২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 256

বুদ্ধিজীবীরা শঙ্কিত, সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত-মাহবুবুর রহমান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘দেশের নিরাপত্তার ব্যাপারটি আজ সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেজন্য দেশ নিয়ে যারা চিন্তা করেন তারা আজ শঙ্কিত, আর সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কিত।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলায়তনে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সারাদেশে গুম-খুন-গুপ্তহত্যা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করা হয়।

দেশ কঠিন সময় পার করছে উল্লেখ করে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে আজ পৃথিবীজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তার ব্যাপারটি আজ সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেটা পারিবারিক, ব্যক্তিগত কিংবা জাতীয় যে ধরনের নিরাপত্তাই হোক না কেন। তাই দেশ নিয়ে যারা চিন্তা করেন তারা আজ শঙ্কিত, আর সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কিত।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘গুম-খুন-হত্যা আজ নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, খ্রিস্টান ধর্মযাজকসহ সব ধর্মের লোককে হত্যা করা হচ্ছে। কিন্ত প্রকৃত হত্যাকারীদের না ধরে এসব ঘটনার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করছে সরকার। এতে করে হত্যাকারীরা আরো উৎসাহিত হচ্ছে।’

জেনারেল মাহবুব আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রকৃত হত্যাকারীদের না ধরে বিএনপি-জামায়াতকে এভাবে দোষারোপের ঘটনা অব্যাহত থাকলে ব্লেইম গেইমের আড়ালে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হতে পারে, যেটা কাম্য নয়।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, সাধারণত দুর্বৃত্তরা দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু সরকারই আজ দেশে অরাজকতা তৈরি করছে। দেশে এখন রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে। জঙ্গি দমনে সাঁড়াশি অভিযানের নামে দেশজুড়ে গণগ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০ থেকে ২৫ হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির ৪ থেকে ৫ হাজার নেতা-কর্মী রয়েছে। এতো লোককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে যে, জেলখানা উপচে পড়ছে। সেখানে তিল ধারণের আর জায়গা নেই। এভাবে চলতে পারে না।’

মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘জাতির ক্রান্তিকালে দল-মত-শ্রেণি নির্বিশেষে এখন জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য তৈরি করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারেরও দায়িত্ব রয়েছে। তাদের দায়িত্ব সমস্যা সমাধানে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করা। এ জন্য প্রয়োজনে সম্মিলিতভাবে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে সরকার জাতীয় সংলাপের আয়োজন করতে বাধ্য হয়।’

জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, যুবদলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সম্পাদক কাজী রফিক, জিনাফ সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।

হকার ইস্যুতে শামীম আইভী মুখোমুখি পুলিশ নীরব

রমজান মাসে নগরীর হকার উচ্ছেদ নিয়ে পুলিশ নীরব কারনে ফের মুখোমুখি অবস্থানে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশেন মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভী বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন নগরবাসী! তাদের মতে, সিটি কর্পোরেশনের কথা না বলে পুলিশ যদি প্রথমেই সাংসদ শামীম ওসমানকে বলতো বৃহত্তর জনস্বার্থে তারা ফুটপাতের হকারদের উচ্ছেদ করেছেন তাহলে শামীম ওসমানও সিটি মেয়র আইভীর কাছে ভিক্ষা চাইতেন না বা তাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলতেনও না। এখন হকার উচ্ছেদে আইভীর অস্বীকার আর পুলিশেরও দু’রকমের বক্তব্যে এখন হকার ইস্যুতে রাজনৈতিক মাঠ গরম হওয়ার শংকা রয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে: গত ১ জুন রমজান উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রসাশন, সিটি কর্পোরেশন ও ডিপিডিসির যৌথ উদ্যোগে নগরীর ফুটপাত উচ্ছেদ করা হয়। এরপর থেকে নগরীর ফুটপাতে হকার বসায় কঠোর থাকে পুলিশ। তারপর থেকে অসহায় হকাররা ঈদের পূর্বে পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচার তাগিদে পুনর্বাসনের দাবীতে নারায়ণগঞ্জ-৫ ও ৪ আসনের সাংসদদ্বয়, সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। এরপর গত ১২ জুন জেলা পুলিশ সুপারের বাস ভবনে পুলিশ প্রশাসন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে আসেন সাংসদ শামীম ওসমান। তখন শামীম ওসমান সহকারী পুলিশ সুপার ট্রাফিক বদরুল আলম মোল্লাকে রসিকতার সুরে বলেন, রোজার মধ্যে হকারদের উচ্ছেদ করায় আপনাদের উপড় গরীবের অভিশাপ লাগবে। যদি তাদেরকে উচ্ছেদ করতেই হতো তাহলে রোজার মাসখানেক পূর্বে উচ্ছেদ করা উচিত ছিল। কেননা, সাধারন হকাররা রোজার সময় বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে পণ্য কিনেন। কিন্তু আপনারা তাদের উচ্ছেদ করে ক্ষতি করেছেন। তখন বদরুল আলম মোল্লা সিটি কর্পোরেশনের অনুরোধে হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে জানিয়ে শামীম ওসমানকে হকারদের পুনর্বাসন করে দেয়ার আহবান জানালে প্রতি উত্তরে শামীম ওসমান বলেন, এটি সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব। তবে চেষ্টা করবো তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার। আন্দোলনরত হকাররা শামীম ওসমানের দ্বারস্থ হলেন: গত ১৩ জুন রাত ৯টায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস্ ক্লাবে নারায়ণগঞ্জের কয়েক হাজার ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা শামীম ওসমানের কাছে তাদের পুনর্বাসনের দাবী জানান। তখন সাংসদ সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে মেয়র আইভীকে গরীবের দিকে তাকিয়ে ঈদের জন্য হকারদের পুনর্বাসনের অনুরোধ জানান। সেদিন শামীম ওসমান হকারদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আপনারা আমাকে বলার আগেই আমি একটি জনসভায় সিটি কর্পোরেশনের উদ্দেশ্যে বলেছিলাম, ফুটপাতের হকারদের যদি উঠিয়ে দিতে চান তাহলে দুই মাসের নোটিশ দেন। আমি প্রশাসনকে জিজ্ঞেস করেছি এই সংযমের মাসে আপনারা কিভাবে গরিবের পেটে লাথি দিলেন। তার প্রতি উত্তরে প্রশাসন আমাকে জবাব দিল আমাদের কিছু করার ছিল না। এটা সিটি কর্পোরেশনের কাজ তারা চাইলে আমাদের করতে হয়। সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ করেছে ট্রাফিক জ্যাম কমানোর জন্য কিন্তু ট্রাফিক জ্যাম কমেছে কোথায়? সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলছে ফুটপাত উঠায় দিলে যানজট কমবে তাই লাথি মাইরা তাদের উঠায়। তারপর দিন গত ১৪ জুন আবার রাইফেলস ক্লাবে শামীম ওসমানের দ্বারস্থ হয় ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হকাররা। তখন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাছে হকারদের জন্য অনুরোধের পর এবার দু’হস্তে ভিক্ষা চান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেন, ফুটপাতে ৩ হাজার মানুষের সংসার চলে। ৩৫ হাজার মানুষের পেট চলে এই হকারদের আয়ের টাকায় এবং ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ ফুটপাতের পোশাক পরে জীবিকা নির্বাহ করে। ঈদ পর্যন্ত মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের বসতে দেন। হকারদের জন্য আমি এমপি হয়ে সিটি কর্পোরেশনের কাছে দু’হস্তে ভিক্ষা চাইলাম। কিন্তু ১৫ জুনের মধ্যে যদি হকারদের ফুটপাতে বসতে দেয়া না হয় তাহলে শামীম ওসমান ১৬ জুন নিজে মাঠে নেমে হকারদের বসার সুযোগ করে দেয়ার ঘোষণা দেন। শামীম ওসমান আরো বলেন, আমি জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেছি। পুলিশ সুপার বলেছেন এটা আমাদের বিষয় না। সিটি কর্পোরেশন থেকে বলা হয়েছে হকার উচ্ছেদ করার জন্য। আমরা সেই অনুযায়ী হকারদের উচ্ছেদ করেছি। তিনি সিটি মেয়রকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আইভী হকারদের কোন সময়ই সহ্য করতে পারেন না। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের লোকজন তার নামে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা চাঁদা নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হকার প্রসঙ্গে ভিন্নমত আইভীর: কিন্তু নগরীতে রমজানের পূর্বে ফুটপাতে হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভী। তিনি বলেন, ঈদকে গিরে কেন এখন ফুটপাত উচ্ছেদ করা হচ্ছে তা তার বোধগম্য নয়। তিনি এখন ফুটপাতের হকারদের উচ্ছেদের কথাও বলেননি আবার বসতেও বলেননি। তবে কেন পুলিশ সিটি কর্পোরেশনের অজুহাত দিল: এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের অনুরোধে নয় বৃহত্তর স্বার্থে রমজানের পূর্বে নগরীর ফুটপাত উচ্ছেদ করা হয়েছে। কেননা অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজানে ঈদের কেনাকাটা করতে তিনগুণ মানুষ রাস্তায় বের হয়। তাই তাদের চলাচল নির্বিঘœ করতে আমাদের লোকবল কম থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আপনি একজন সাংসদকে নাকি জানিয়েছেন যে, সিটি মেয়রের অনুরোধে আপনারা ফুটপাত উচ্ছেদ করেছেন। কিন্তু সিটি মেয়র আইভী ফুটপাত উচ্ছেদ বা হকারদের বসার ব্যাপারে কোন ধরনের নির্দেশনা দেননি। তাহলে উচ্ছেদ কি পুলিশ করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, সেদিন পুলিশের পাশাপাশি উচ্ছেদের সময় সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারাও ছিল। জনস্বার্থেই উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবশেষে সাংসদ শামীম ওসমানের আল্টিমেটামের পর বৃহস্পতিবার ফের ফুটপাতে ব্যবসা করার সুযোগ পেলো নারায়ণগঞ্জের ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

রোজার কাজা ও কাফফারা আদায়ের বিধান

সাধারণত কাজা বলতে আমরা বুঝি বকেয়া। আর কাফফারা বলতে বুঝি জরিমানা। রমজানের রোজা অতিগুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে তা ভঙ্গ করলে কখনো কাজা কিংবা কখনো কাফফারা এবং কখনো কখনো কাজা + কাফফারা অর্থাৎ বকেয়া + জরিমানা উভয়টি আদায় করতে হয়।

কাজা হলো একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজা রাখা। আর কাফফারা হলো একটির পরিবর্তে ৬০টি রোজা রাখা। তবে এ ৬০টি হতে হবে লাগাতার, বিরামহীন। এর মধ্যে কোনো রোজা বাদ দেওয়া যাবে না। অবশ্য রোজার কাফফারার আরেকটি বিকল্প আছে। তা হলো, একটি রোজার পরিবর্তে ৬০ জন গরিব মানুষকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে। ৬০ জন গরিব মানুষকে দুবেলা খাবার খাওয়ালে একটি রোজার কাফফারা আদায় হবে।

যেসব কারণে শুধু কাজা আদায় করতে হয়

স্ত্রীকে চুম্বন বা স্পর্শ করার কারণে যদি বীর্যপাত হয়।

১.ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে।
২.পাথরের কণা, লোহার টুকরা, ফলের বিচি গিলে ফেললে।
ঘুষ গ্রহণ করলে।
৩.নাকে বা কানে ওষুধ দিলে (যদি তা পেটে পৌঁছে)।
৪.মাথার ক্ষতস্থানে ওষুধ দেওয়ার পর তা যদি মস্তিষ্কে বা পেটে পৌঁছে।
৫.যোনিপথ ব্যতীত অন্য কোনোভাবে সহবাস করার ফলে বীর্য নির্গত হলে।
৬.স্ত্রী লোকের যোনিপথে ওষুধ দিলে।

উল্লেখ্য, রমজান মাস ছাড়া অন্য সময়ে রোজা ভঙ্গের কোনো কাফফারা নেই, শুধু কাজা আছে।

যেসব কারণে কাজা ও কাফফারা উভয়ই আদায় করতে হয় (অর্থাৎ একটির পরিবর্তে ১+৬০= ৬১টি রোজা রাখতে হবে)

রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।

২.রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে সহবাস করলে।

নাঃগঞ্জে গরীব হকারদের স্বার্থে নিজেই ফুটপাত বসার ঘোষনা দিলেন শামীম ওসমান

মেয়রের কাছে অনুরোধ করেও কোন ধরনের সাড়া না পাওয়ায় এবার গরীব হকারদের স্বার্থে খোদ নিজেই ফুটপাতে বসার ঘোষণা দিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব শামীম ওসমান। মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস্ ক্লাবে উপস্থিত শতাধিক নারায়ণগঞ্জের ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

প্রথমে সাংসদ রমজান মাসে হকারদের পুনর্বাসনের জন্য বিকল্প হিসেবে নগরীর চাষাড়াস্থ বালুর মাঠে বসার প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে হকাররা জায়গার সংকুলান ও পরিবেশের অজুহাতে বালুরমাঠে বসতে অনীহা প্রকাশ করেন।

এরপর শামীম ওসমান আগামী বুধবারের মধ্যে হকারদের নগরীর ফুটপাতে বসতে দিতে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, যদি বুধবারের মধ্যে হকারদের ফুটপাতে বসতে দেয়া না হয়, তাহলে বৃহস্পতিবার আমি নিজেই ফুটপাতে বসবো, হকার ভাইদের সাথে ইফতার করবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি চন্দন শীল, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, হকার নেতা রহিম মুন্সী প্রমুখ। এর আগে গত ১৩ জুন নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবে হকারদের রমজানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে সিটি মেয়র আইভীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন শামীম ওসমান।

নাঃগঞ্জে ১ শ ৮২ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার-১

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন কাবিলগঞ্জ এলাকায় র‌্যাব-১১’র সিপিসি-১’র অভিযানে ১ শ ৮২ বোতল ফেন্সিডিলসহ সেলিম (৪২) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী’কে গ্রেফতার করা হয়।
উপজেলার কাবিলগঞ্জ এলাকায় ফেন্সি সেলিম নামের এক ব্যক্তি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে ঐ এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চলমান থাকলেও ফেন্সি সেলিম সুকৌশলে ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে যায়। কিন্তু র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকে এবং ১৪ জুন ২০১৬ তারিখ রাত সাড়ে ১২ টায় র‌্যাব-১১, সিপিসি-১’র নারায়ণগঞ্জ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, আসামীর বসত ঘরে মাদক (ফেন্সিডিল ও বিয়ার) ক্রয় বিক্রয় করছে। উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইপূর্বক র‌্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক এএসপি শাহ্ শিবলী সাদিক এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সু-কৌশলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৪/০৬/২০১৬ তারিখ ০১.৩০ ঘটিকার সময় ১৮২ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১৯ ক্যান বিয়ারসহ আসামী মোঃ সেলিম (৪২), পিতা-মৃত নরুল ইসলাম, সাং-কাবিলগঞ্জ, থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়ণগঞ্জকে গ্রেফতার করেন। আসামী এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে যুব সমাজকে ধ্বংস করে আসতেছিল। উদ্ধারকৃত মাদক (ফেন্সিডিল ও বিয়ার) এর আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৮ শ (এক লক্ষ ষাট হাজার আটশত) টাকা। আসামীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নূরে আলম ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক নির্বাচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: তরুণ লেখক, কবি  ও সাংবাদিক নূরে আলম জীবন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূনার্ঙ্গ কমিটিতে সহ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বিপ্লবী সভাপতি লাখো ছাত্রের নেতৃত্বের প্রতিধ্বনি বায়জিদ আহম্মেদ খানের আস্থাভাজন তরুণ লেখক কবি নূরে আলম জীবনকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক নির্বাচিত করায় সবুজবাগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে।

নূরে আলম জীবন বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বায়জিদ আহম্মেদের সৈনিক। পদ আমার কাছে বড় নয়।  ছাত্রলীগের যেকোনো দায়িত্ব পালন করতে আমি প্রস্তুত। মহানগর ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে আমি সর্বচ্চো চেষ্টা করবো।

 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দলের দুই হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবিদেক: গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ায় দেশব্যাপী পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে বিএনপির দুই হাজার ১০০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ‘গত কয়েক দিনের সাঁড়াশি অভিযানে সারাদেশে সাত হাজারের মতো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির দুই হাজার ১০০ নেতাকর্মী রয়েছে।

সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ দাবি করেন।

রিজভী বলেন,  ‘সরকার এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গিকে চিহ্নিত করতে পারেনি। অথচ রমজান মাসে সারাদেশে অনেক সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করছে।’

সরকারের বিদায়ের তৃতীয় ঘণ্টা বেজে গেছে বলে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে।

সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে উর্দিপড়া ক্রিমিনাল বাহিনীতে পরিণত করেছে বলেও দাবি করেন রিজভী। সংবাদ সম্মেলনে রিজভী সারাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান ও সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড ও সরকারের নানা বক্তব্য নিয়ে কথা বলেন।

তনু হত্যার দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আদালতে

কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে সিআইডি। সোমবার দুপুরের দিকে প্রতিবেদনটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাহিম বিল্লাহর আদালতে জমা দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমিল্লা সিআইডির পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার নিকটের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত করেন ডা. শারমিন সুলতানা। গত ৪ এপ্রিল দেওয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ।

পরে আদালতের নির্দেশে ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর মরদেহ মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করা হয়। ডিএনএ রিপোর্টে তনুর কাপড়ে ৩ পুরুষের শুক্রানু পাওয়া যায়। গত রোববার দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করা হলে সেখানে তনুর মৃত্যুর আগে যৌন সম্পর্কে কথা বলা হলেও ধর্ষণের কথা বলা হয়নি। এদিকে তনুর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি ময়নাতদন্ত বোর্ড।

কে এই ওমর মতিন?

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে যে বন্দুকধারীর গুলিতে একটি সমকামী নাইট ক্লাবে ৫০ জন নিহত হয়েছে, তার নাম ওমর মতিন। ২০১৩ সাল থেকেই গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই মার্কিন নাগরিক ওমর মতিন সম্পর্কে জানতো। খবর- বিবিসি বাংলা।

রবিবার রাতে পালস নাইট ক্লাবে তার চালানো হামলাটি আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী গুলিবর্ষণের ঘটনা।

এফবিআইয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশের গুলিতে নিহত ২৯ বছর বয়স্ক ওমর মতিনের উগ্র ইসলামপন্থী ভাবধারার দিকে ‘ঝোঁক ছিল’। তবে তার এই হামলা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়।

হামলা চালানোর সময় মতিন জরুরী নম্বর ৯১১-এ কল দিয়ে কথিত ইসলামিক স্টেটের প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করে। পরবর্তীতে আইএস এক বার্তায় বলে যে তাদের এক ‘যোদ্ধা’ এই হামলাটি চালিয়েছে, তবে তারা সরাসরি জড়িত ছিল নাকি তাকে উৎসাহ যোগানোর জন্য তারা কৃতিত্ব দাবি করছে সেটি তারা সুনির্দিষ্টভাবে বলেনি।

মতিনের বাবা, সাদিক মতিন মার্কিন একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘হামলার সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। তার ছেলে কিছুদিন আগে মায়ামিতে দুজন পুরুষ পরস্পরকে চুম্বন করছে দেখে ‘খুবই ক্রুদ্ধ’ হয়ে ওঠে। সে যে একটি হামলার পরিকল্পনা করছে সে বিষয়ে পরিবারের কোনো ধারণাই ছিল না।

বন্দুকধারীর ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট রন হপার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইএসের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা বলে সহকর্মীদের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করায় তাকে ২০১৩ সালে এফবিআই কর্মকর্তারা দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করে।

কর্মকর্তারা অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তদন্ত শেষ করা হয়। তবে ২০১৪ সালে আবারো সিরিয়ায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সাথে যোগাযোগের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেবারও এ ধরণের যোগাযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং তদন্তটি সেখানেই শেষ করা হয়।’

এফবিআইয়ের নজরে থাকলেও মতিনকে কখনো সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে নজরদারির আনুষ্ঠানিক তালিকায় রাখা হয়নি এবং আইনগতভাবেই তার একটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল।

এটিও জানা যাচ্ছে যে ওমর মতিন ২০০৭ সাল থেকে নিরাপত্তা সংস্থা জিফোরএস-এর একজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করে আসছে।

পুলিশ বলছে, পালস নাইট ক্লাবের হামলায় মতিন একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং একটি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। তার কাছে হয়তো কিছু বিস্ফোরকও ছিল, তবে সেটি নিশ্চিত করা হয়নি।

মতিনের জন্ম নিউইয়র্কে এবং তার মা-বাবা দুজনই আফগান। পরবর্তীতে সে ফোর্ট পিয়ার্সে বসবাস শুরু করে, অরল্যান্ডো থেকে শহরটি গাড়িতে দুই ঘণ্টার রাস্তা।

তার সাবেক স্ত্রী, সিতোরা ইউসুফি বলেছেন, মতিন ছিলেন সহিংস, মানসিকভাবে অস্থিতিশীল এবং তাকে নিয়মিত পেটাতো।

অনলাইনে পরিচয়ের পর ফোর্ট পিয়ার্সে ২০০৯ সালে দুজনের বিয়ে হয়, তবে তার ওপর নির্যাতনের কথা জানার পর ইউসুফিকে তার বাবা-মা তাকে সেখান থেকে নিয়ে যান।

২০১১ সালে স্ত্রীর সাথে ওমর মতিনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

 

মাহফুজ আনামের সব মামলার কার্যক্রম স্থগিত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১০ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। আদালতে মাহফুজ আনামের পক্ষে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক শুনানি করেন।

এর আগে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরও ৭২ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। সোমবারের আদেশের ফলে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৮২টি মামলার সবকটির কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেল।

মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা থেকে তাকে জামিনও দেন হাইকোর্ট।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশের শীর্ষ রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অসংখ্য মামলা হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ বহু রাজনীতিককে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সে সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির খবর’ সরবরাহ করেছিল জানিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক টেলিভিশন আলোচনায় মাহফুজ আনাম বলেন, যাচাই না করে তা প্রকাশ করা ছিল ‘বিরাট ভুল।’

ওই স্বীকারোক্তির পর ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে সারাদেশে মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়।