৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 9

নারায়ণগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :নারায়ণগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় মোস্তাকিম (৮) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

১০ মার্চ (রবিবার) সকালে খানপুর আল-হেরা জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে । নিহত মোস্তাকিম সদর উপজেলার বক্তাবলীর মধ্যনগর এলাকার রমজান আলীর ছেলে। এই ঘটনার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক, নার্স পালিয়ে গেছে।

নিহতের বাবা রমজান আলী বলেন, ‘বাচ্চার টনসিলের অপারেশন করেছে চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাতে অপারেশন হলেও সকালে আমরা হাসপাতালে এসে ওটি রুমে দেখি ছেলেকে রাখা। তখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। তবে সে কোনো সাড়াশব্দ করছিল না। এসময় হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক, নার্সকে আমরা খুঁজে পাইনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের অবহেলায় আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাত পোহালে ফতুল্লা ইউপির ভোটঃ ফাইজুলের জয় সুনিশ্চিত

আবদুর রহিম: ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে সব প্রার্থীকে ছাপিয়ে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম। দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে সক্রিয় রয়েছেন তিনি। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ফাইজুল বরাবরই দলের হয়ে রাজপথ কাঁপিছেন। জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের সেবা করার আকাঙ্খা দীর্ঘদিনের। এবার তাঁর সে আকাঙ্খা পূরণ হতে চলছে।

ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের মৃত্যুতে ফায়জুলের ইচ্ছের প্রতিফলন হতে চলেছে। প্রয়াত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন ফাইজুল ইসলাম। তাঁর উপর দল আস্থা রেখে চেয়ারম্যান পদে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন।

দলের সবুজ সংকেত পেয়ে ফাইজুল ইসলাম ভোট যুদ্ধে নেমে পরেন। শুরুর দিকে নিরবে নিভৃতে কাজ করলেও তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তার বাল্যবন্ধুরা। বিশেষ করে শৈশব, কৈশর যাদের সঙ্গে কেটেছে সেই ৮৮ ব্যাচের বন্ধুরা। মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর দলের সবস্তরের নেতাকর্মীরা ফাইজুল ইসলামের পক্ষে কাজ শুরু করেছে। রাত পোহালেই ভোট। এই ভোট যুদ্ধে ফাইজুলের জয় সুনিশ্চিত বলে মনে করছেন ফতুল্লাবাসী।

ফতুল্লায় নাগিনা জোহার মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ভাষা সংগ্রামী নাগিনা জোহার ৮ম মৃত্যু বার্ষিকীতে ফতুল্লায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য আবু মোঃ শরীফুল হকের উদ্যোগে ফতুল্লা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়। এসময় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেমনগরের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন নাগিনা জোহা। তিনি ছিলেন ভাষাসৈনিক এবং স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত একজন রত্নগর্ভা মা। তার তিন ছেলে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান ও ছোট ছেলে একেএম শামীম ওসমান একাধিকবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ২০১৬ সালের ৭ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন নাগিনা জোহা।

রাজনৈতিক নেতা,জনপ্রতিনিধিদের শেল্টারে কুতুবপুরে কিশোর অপরাধীরা অপ্রতিরোধ্য

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :  কুতুবপুরে কিশোর অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা রেখে, ছবি তুলে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত করছে। ইতোমধ্যে কিশোর অপরাধীদের হামলায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তবুও এই বাহিনীর অপতৎপরতা থেমে নেই। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কুতুবপুরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিশোর অপরাধীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, কুতুবপুরের কিশোর অপরাধীদের দমন করবে কে? তবে এসব অপরাধীদের এখনই লাগান টানা দরকার এমন দাবি সচেতন মহলের।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, কুতুবপুরেট আলোচিত কিশোর গ্যাং লিডার লিমন, ইমরান, নাঈম, রায়হান, মুজাহিদের নেতৃত্বে প্রায় সহস্রাধিক কিশোর অপরাধী সক্রিয় রয়েছে। এদের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনের একাধিক কর্তার সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন এবং নেতাদের নাম ব্যবহার করে এসব উঠতি বয়সের সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কুতুবপুরের অপরাধ জগৎ মূলতঃ কিশোর অপরাধীদের হাতেই পরিচালিত হচ্ছে। এলাকায় চাঁদাবাজি, জোর করে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা, নেট,ডিস ব্যবসা এবং উঠতি বয়সের সন্ত্রাসীদের সংগঠিত করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংগঠিত হচ্ছে কিশোর অপরাধীদের হাতেই।

সূত্র জানায়, কুতুবপুরে বৌবাজার, শাহীবাজার, রসুলপুর, আমতলা, নূরবাগন, পাগলা রেললাইন এলাকায় নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মূল হোতা লিমন,ইমরান,নাঈম, মিশাল। এদের নেতৃত্বে কয়েকশ কিশোর অপরাধী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই করে বেড়াচ্ছে।

সাংসদ শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমানের নাম,ছবি ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে এলাকাবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে। প্রায় সময়ই এই বাহিনীর হামলা নিরিহ মানুষ আহত হচ্ছে। সম্প্রতি মাদকসহ লিমন-ইমরান বাহিনীর সদস্য রকি,শুক্কুর,মিসাইল, টাইগার,নাঈম মাদকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।

একই অভিযোগ আদর্শ নগর এলাকার রায়হান, শহীদ নগরের মুজাহিদ, মুন্সীবাগের টিপু,রোমান, মিজানের বিরুদ্ধেও। রায়হান নিজেকে অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে মুজাহিদ, মিজানকে নিয়ে বিশাল বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

এই বাহিনীর এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, জোর করে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা, নেট,ডিসের ব্যবসার নিয়ন্ত্রক এই বাহিনীর সদস্যরা। ইতোমধ্যে এই বাহিনীর অন্যতম হোতা শহীদ নগরের মুজাহিদ বিপুল পরিমাণ মাদকসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিল। সম্প্রতি রায়হান বাহিনীর হামলায় কুতুবপুর ক্যানেলপাড় এলাকায় সালমান (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সিগারেট খাওয়াট প্রতিবাদ করায় সালমানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

লিমন-ইমরান বাহিনীতে জিম্মী ফতুল্লার কুতুবপুরবাসী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ফতুল্লার কুতুবপুরে কিশোর গ্যাং লিডার লিমন-ইমরান বাহিনী সদস্যদের কাছে কুতুবপুরের মানুষ জিম্মি হয়ে পরেছে। দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড,ছিনতাই এবং মাদক ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। ভুক্তভোগীরা জানায়, লিমন-ইমরান নিজের কখনো ছাত্রলীগ, কখনো যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেছে।

ইতোমধ্যে কয়েকশ উঠতি বয়সের যুবকদের নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। লিমন-ইমরান অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরেছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। সম্প্রতি মাদকসহ লিমন-ইমরান বাহিনীর সদস্য রকি,শুক্কুর,মিসাইল, টাইগার,নাঈম মাদকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।

এই বাহিনীর সদস্যদের কাছে কুতুবপুরের শাহী বাজার, বৌবাজার,রসুলপুর, আমতলা,পাগলা রেললাইন, নুর বাগেরমকয়েক হাজার মানুষ জিম্মী হয়ে পরেছে। এই বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সাংসদ শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী মহল।

স্থানীয়রা জানায়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ইমরানের বিরুদ্ধে আফজাল নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয়রা আফজালকে গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় লিমন,ইমরান, ইমরান ওরফে কালু ইমরান, ইকবাল ও তানভীরের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হলে জামিন নিয়ে নতুন করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে। এই বাহিনী প্রায় সময়ই কুতুবপুর বৌবাজার, শাহী বাজার,রসুলপুর, আমতলা এলাকায় কিশোর অপরাধীদের নিয়ে স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে থাকে। এসব এলাকার অপরাধের জগৎ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই তাদের এমন মহড়া নিয়মিত রুটিনে পরিনত হয়েছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী মহলের।

এলাকাবাসী জানায়, লিমন,ইমরান,নাঈম বিশাল বাহিনী নিয়ে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে কয়েকশ কিশোর অপরাধী। এসব সন্ত্রাসীদের কাছে সবাই জিম্মি হয়ে পরেছে। উঠতি সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এমনকি থানায় অভিযোগ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। ফলে অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েও মুখ বুঝে সহ্য করে আসছে। এলাকার অপর একটি সূত্র জানায়, শুধু অয়ন ওসমানের নাম ব্যবহার করে এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই বাহিনী।

উল্লেখ্য, লিমন,ইমরান তাদের বাহিনী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বটতলা বৌবাজার এলাকায় আবুল হোসেনের মালিকানাধীন দোকান দখলে করেছিলেন। পরবর্তীতে চাপে পরে দখলকৃত দোকান ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

নারায়ণগঞ্জে ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের খানপুরে সুধা চৌউহান (২৩) নামের এক গৃহবধূ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

২৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার ) দুপুর ২ টার সময় দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন নগর খানপুরের এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত গৃহবধূ সুধা চৌউহান ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর এলাকার মৃত মন্টু চৌউহানের মেয়ে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিহত সুধা ও গোপাল মধ্যে কখনোই কোনো ঝগড়া ঘটনা ঘটেনি। তাদের একটি দেড় বছরের একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে। তবে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের দাবি, গোপালের স্ত্রী দুপুর ২ টর দিকে আত্মহত্যা করলেও, তারা বুঝতে পারেন সন্ধ্যায়।

নিহতের স্বামী গোপাল শাহা বলেন, সুধা চৌউহান (নিহত গৃহবধূ) মানুষিক অবস্থা কিছুটা খারাপ ছিলো। তাকে কোনো বিষয় সামান্য কিছু বলতেই রাগ করে বসেন। এক কথায় প্রচন্ড রাগী ছিলেন। তাছাড়া সুধা কিছুদিন পর, পর হঠাৎ মাথা ঘুরিয়ে পরে যেতেন। তার সাথে ঘটনার দিন বা আগে পরে কখনোই কোনো বিষয় মনোমালিন্য হয়নি।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনের নেয় আজও দুপুর ১টা পর্যন্ত এক সাথে কথাবার্তা বলেন। পরে কবুতরের খাবার দিতে ছাঁদে গিয়ে ফিরে পাশের ঘরে টিভি দেখছিলেন। কিছুক্ষণ পর তারা বুঝতে পারেন পাশের ঘরে নিহত সুধা দরজা আটকে রেখেছেন। পরে অনেক বার ডাক দিয়ে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে দেখতে পায় তার স্ত্রী উপরে থাকা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে। পরে তার ছোট ভাই ও মামাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা নিহত সুধার মরদেহ নিচে নামায়।

ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এস, আই শুভ বলেন, প্রাথমিক ভাবে লাশের সুরতহাল দেখে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বাকিটা নিশ্চিত হয়া যাবে।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নারায়ণগঞ্জে এনজিও’র ঋনের চাপে যুবকের আত্মহত্যা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ইমরান (২৫) নামের এক দিনমজুরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

২৫ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সন্ধ্যায় বন্দর কলাবাগ এলাকা হতে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত ইমরান বন্দর ইউনিয় কলাবাগ এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বন্দর ইউনিয়ন পুরান বন্দর কলাবাগ এলাকার ইমরান একজন দিনমজুর ছিল। তার ১টি পুত্র সন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই সাংসারিক খরচের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে একাধিক এনজিও নিকট থেকে চড়া সুদে কয়েক লাখ টাকা ঋণ করে বসেন। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও ঋণ ও সুদের টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না।

কিন্তু টাকার জন্য পাওনাদারদের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয়। পাওনাদারদের চাপ সহ্য করতে না পেরে রবিবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের রডের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে প্রতিবেশিরা সাথে সাথে বন্দর থানা পুলিশকে অবগত করে।

এব্যাপারে বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অফিসার ইনচার্জ) গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা বন্দর কলাবাগ এলাকা থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার দানিয়াল হত্যার মামলার আসামী অনিক গ্রেফতার

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাঞ্চল্যকর আল আমিন দানিয়াল হত্যার ঘটনায় লালমনিরহাট জেলা থেকে অনিক প্রধান (২৮)কে আটক করেছে র‌্যাব-১১। আটককৃত অনিক হত্যা মামলার ২নং এজাহারনামীয় আসামী বলে জানানো হয়।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-১৩’র যৌথ আভিযানে লালমনিরহাট জেলার সদরের ড্রাইভার পাড়া এলাকা থেকে অনিক প্রধানকে তাকে আটক করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক বিক্রয়ে বাঁধা প্রদানকে কেন্দ্র করে আসামীরা আলআমিন দানিয়াল ও শুভ (২৭)’কে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় আক্রমণ করে মারধর করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা তাদেরকে ফেলে চলে যায়।

পরবর্তীতে ঐ দিনেই রাত আনুমানিক পৌনে ১২ টায় ভুক্তভোগীরা আহত অবস্থায় ফতুল্লার বাড়ৈভোগ ফারিয়া গার্মেন্টস এর পাশে খানকার মোড়ে পৌঁছালে আসামীগণ পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র (চাপাতি, রামদা, ছোরা, চাকু) দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। মারাত্মক আহত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভুক্তভোগী দানিয়াল ও শুভ’কে তাদের আত্মীয়—স্বজনরা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরীয়) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দানিয়ালকে মৃত ঘোষণা করে ও শুভকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে।

১০ ফেব্রুয়ারি নিহত ভিকটিমের মা মুক্তা বেগম (৪১) ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-১৩’র যৌথ আভিযানে লালমনির হাটের ড্রাইভার পাড়া এলাকায় থেকে অনিক প্রধানকে আটক করা হয়।

নারায়ণগঞ্জে অস্ত্র সহ ১জন কে আটক করেছে ডিবি

 নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জে অস্ত্র তৈরি এবং সরবারহের অভিযোগে নিতাইগঞ্জ থেকে করিম মিয়া নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করেছ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযানে অভিযুক্ত ব্যাক্তির বাসা থেকে দুটি দেশীয় রিভলভার এবং একটি দেশীয় একনলা শটগান সহ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (২১শে ফেব্রুয়ারী) বিকেলে নিতাইগঞ্জের ঋষিপাড়ার নলুয়াপাড়া এলাকায় অভিযানে এ অস্ত্র তৈরির কারখানা শনাক্ত করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অভিযান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমা বলেন, বহুদিনের তথ্য ছিল যে নিতাইগঞ্জ থেকে সারা দেশে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। ঘরোয়া পরিবেশে দেশীয় অস্ত্র তৈরি এবং সরবরাহের কারবার চলছে। এই তথ্য অনুসদ্ধান করতে করতে আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আমাদের ডিবির টিম আসে এখানে। তারা হাতেনাতেই অস্ত্র তৈরির কারবারিকে করিম মিয়াকে আটক করে। অভিযানের সময় করিম মিয়া থেকে দুটি দেশীয় রিভলভার এবং একটি দেশীয় একনলা শটগান সহ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আটককৃত করিম মিয়া হলেন চাঁদপুরের হাইমচর মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। করিম ৯০ দশকের সময় এখানে আসেন। এখানে বোনের বাসার পেছনে সেই অস্ত্র তৈরির কারবার চালাচ্ছিলো। আমরা তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তার থেকে জানার চেষ্টা করছি যে, তিনি কার কার কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে বা কার থেকেই সরঞ্জাম ক্রয় করেছেন। করিম মিয়া জানিয়েছেন তার সাথে আরো দুইজন সঙ্গী আছেন, আমরা তাদেরকে আটক করার চেষ্টা করছি। করিম মিয়া চাঁদপুর থেকে ১৯৯০ সালে এখানে আসেন। এখানে এসে কবুতর পালন করতেন কিন্তু কবুতরের পাশাপাশি সে এই অস্ত্র তৈরি ব্যবসাটি করতেন। বিগত একবছর ধরে তিনি কবুতর পালন বাদ দিয়ে এই ব্যবসায় আছেন।

ফতুল্লার কুতুবপুরের লিমন-ইমরান বাহিনী বেপরোয়া

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ফতুল্লার কুতুবপুরে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং লিডার লিমন-ইমরান বাহিনী। নিজের কখনো ছাত্রলীগ, কখনো যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেছে। ইতোমধ্যে কয়েকশ উঠতি বয়সের যুবকদের নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।

লিমন-ইমরান অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরেছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয়রা জানায়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ইমরানের বিরুদ্ধে আফজাল নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয়রা আফজালকে গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় লিমন,ইমরান, ইমরান ওরফে কালু ইমরান, ইকবাল ও তানভীরের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হলে জামিন নিয়ে নতুন করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে। এই বাহিনী প্রায় সময়ই কুতুবপুর বৌবাজার, শাহী বাজার,রসুলপুর, আমতলা এলাকায় কিশোর অপরাধীদের নিয়ে স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে থাকে। এসব এলাকার অপরাধের জগৎ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই তাদের এমন মহড়া নিয়মিত রুটিনে পরিনত হয়েছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী মহলের।

এলাকাবাসী জানায়, লিমন,ইমরান,নাঈম বিশাল বাহিনী নিয়ে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে কয়েকশ কিশোর অপরাধী। এসব সন্ত্রাসীদের কাছে সবাই জিম্মি হয়ে পরেছে। উঠতি সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এমনকি থানায় অভিযোগ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। ফলে অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েও মুখ বুঝে সহ্য করে আসছে। এলাকার অপর একটি সূত্র জানায়, শুধু অয়ন ওসমানের নাম ব্যবহার করে এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই বাহিনী।

উল্লেখ্য, লিমন,ইমরান তাদের বাহিনী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বটতলা বৌবাজার এলাকায় আবুল হোসেনের মালিকানাধীন দোকান দখলে করেছিলেন। পরবর্তীতে চাপে পরে দখলকৃত দোকান ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।