নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, আজকে যদি ধন্যবাদ দিতে হয় প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে প্রত্যেকটা ইউনিয়নে যে আমাদের সহযোগিতা করছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার অফিসাররা আজকে সড়কও জনপথে আমাকে আশ্বস্ত করেছে। রোজার মধ্যে আমাদের এই ফেরী চালু করার কথা ছিলো। আমরা করতে পারি নাই বিলম্ব হয়েছে। তারপরও আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া নারায়ণগঞ্জের সাথে আমাদের আমাদের দূরুত্ব কমে গেছে।
১৪ অক্টোবর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আলীরটেকের ডিক্রিরচরে ইউনিয়নবাসীর স্বপ্নের ফেরীঘাট উদ্বোধন শেষে উক্ত কথা বলেন তিনি।
ডিক্রীরচরের ফেরীঘাট উদ্বোধন উপলক্ষে ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষদের নিয়ে সমাবেশটি আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান ও তার সহধর্মিণী নাসরিন ওসমান এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য সেলিম ওসমান বলেন,আপনাদের আলীরটেকের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের মত আর কোন ভালো মানুষ আমি হয়তো পাবো না। সব কিছুতে বড় তাড়াহুড়া করে। লক্ষ লক্ষ টাকা আজকে ফেরী ঘাটের উদ্বোধনের জন্য জনসভা করেছে কিন্তু এই জনসভা করার দরকার ছিলো না। এমন কোন ঘর নাই বাড়ি নাই যেখান থেকে মানুষ বের হয়ে আসে নাই। এত মানুষ আমি কিন্তু ঈদের জামাতেও দেখি নাই। এটা আল্লাহর রহমত। আর যদি এই একত্রিত ধরে রাখতে পারেন তাহলে আলীরটেক হবে একটা পর্যটন এলাকা। আপনাদের চেয়ারম্যান মাদ্রাসার সামনে একটা মার্কেট করার জন্য কান্নাকাটি করে আমি বলি ঈদগা এর কথা। আপনেরা যদি মার্কেট চান তাহলে মার্কেট হবে। আপনাদের চেয়ারম্যান বড় একটি ঈদগা এর কাজ হাতে নিয়েছেন আল্লাহ যদি বাঁচিয়ে রাখে তাহলে আমি নির্বাচনে যদি নাও জিতি তাহলে ঈদের জামাত এখানে পড়বো। কারন আমার কাছে আমার কাছে কোন দল নাই। আমার কাছে আওয়ামীলীগ নাই,বিএনপি নাই, জাতীয়পার্টি নাই। আমার কাছে সবাই ভাই ভাই। আমি মানুষকে সেবা করতে পারি এটাই বড়। আপনাদের চেয়ারম্যান আমাকে খুটা দেয় নিজের এত টাকা ব্যয় করেন স্কুল করেন রাস্তাঘাট করেন। আমি বলি আমার টাকা আছে আমি মানুষের সেবায় ব্যয় করি। আমার বড় ভাই নাসিম ওসমানের স্বপ্ন ছিলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা যেন এখানে লেখা পড়া করতে পারে। আপনাদের এখানে স্কুল ছিলো না। স্কুল করার চেষ্টা করেছি আমার অর্থ দিয়ে স্কুল করা হয়েছে।
সেলিম ওসমান আরো বলেন,আমি বলছি আপনাদের চেয়ারম্যান অনেক ভালো মানুষ। মানুষের ভূলত্রুটি থাকতেই পারে।কে ভালো কে খারাপ সেটা বিষয় না। এলাকার উন্নয়নে যে লোক শরিক না হয় সে লোকের সাথে অবশ্যই চলবেন না। সে আমার বাপ ভাই হলেও। যারা ভালো কাজে বাধা দেয় তারা ভালো না। আমার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে বলেছিলাম ফেরীঘাটের কথা সে হাহা করে হেসেছিলো। উনি বললেন এই এলাকা দিয়ে ফেরী চলবে না। বালু দিয়ে ভরে যাবে। কিন্তু ঠিকই ফেরীঘাট চালু হয়েছে। আমি ফোন দিয়ে তাকে বলেছিলাম ১৪ তারিখ ফেরী উদ্বোধন হতে হবে কিন্তু উনি আসলেন না। যে নিজের এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করেন না সে কিভাবে আমার কথা রাখবে।
সেলিম ওসমান ফেরীঘাট উদ্বোধন উপলক্ষে আলীরটেকবাসিকে সরকারি বরাদ্দ দেবার কথা উল্লেখ করে বলেন,আজ থেকে একবছর পর দেখবেন ফেরী চালু হওয়ায় এখানে আরো ৫০ হাজার মানুষ আসবে। আপনেরা এখানের জায়গা বিক্রি করবেন না। একসময় এই ইউনিয়ন হবে পর্যটন এলাকা। উন্নয়ন কি চোখে দেখা যায় না।বন্দরে এখন ফেরী চলে,নাসিম ওসমান ব্রীজ দিয়ে মানুষ পাড় হয়। রাস্তাঘাটের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। আগামীকাল সকালে আলীরটেকের জন্য ৫০ টন চাল ও গম আমি আলীরটেকবাসির জন্য আমি দিবো। ফেরীর উদ্বোধন উপলক্ষে আলীরটেকের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট ও মসজিদের উন্নয়নের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা ও ৫০ বান টিন ও ১কোটি ৮০ লক্ষ টাকা আমি আগামীকাল বরাদ্দ দিবো। নির্বাচন এর আগেই ফান্ড থেকে টাকা আনবেন এবং নির্বাচন এর আগেই তার কাজ শেষ করবেন। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো আমাদের উন্নয়নের জন্য হলেও আবারো বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে আপনেরা আগামী নির্বাচনে নিয়ে আসবেন।
আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসবি শাহীন সরকার ও শফিকুল ইসলাম বিপ্লবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,জাতীয় পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সানোয়ার হোসেন সানু,সদর থানা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজির আহম্মেদ, জেলা পরিষদের সদস্য মাসুম আহমেদ,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহছান উদ্দিন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, নাসিক ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না,আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী নূর মোল্লা, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ হোসেন, আলীরটেক ইউপি সদস্য শাহীন রাজু, ওসমান গনি, আব্দুল মান্নান, মোকতার হোসেন, রওশন আলী, ফিরোজ মিয়া,জাকির হোসেন,শাহীন রাজু, ওহাব সরকার ও ওমর ফারুক প্রমূখ।