১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 23

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র ৫ ইউনিটের কমিটি অবৈধ : মামুন মাহমূদ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র অধীনস্থ ৫টি ইউনিট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন কমিটি গুলো অনুমোদন দিয়েছেন। তবে কমিটি গুলোতে কেন্দ্রের নির্দেশনা ও জেলা বিএনপি’র কমিটির নিয়ম মানা হয়নি। তাই কমিটি গুলো অবৈধ দাবি করছেন কমিটির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।

শনিবার ও রোববার জেলার অন্তর্গত ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও রূপগঞ্জ থানা এবং রূপগঞ্জের কাঞ্চন ও তারাব পৌর বিএনপি’র কমিটি অনুমোদন করা হয়। তৃণমূলের নেতাদের অনেকের দাবি সুবিধাভোগীরা কমিটিতে স্থান পেয়েছে। যাদের গত ১২-১৩ বছর বিএনপি’র আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে তেমন একটা সক্রিয় দেখা যায়নি। তাছাড়া সুবিধাভোগীরা শীর্ষ পদে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তাদের অনুসারীরা কমিটিতে স্থান পাচ্ছে।

জেলা বিএনপি’র তথ্যমতে, গত ১৫ই নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিনকে ও সদস্য সচিব করা হয় জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে। এতে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় মামুন মাহমুদকে। ঘোষিত কমিটির নিচের দিকে উল্লেখ ছিল, আহ্বায়ক এবং প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে অধীনস্থ ইউনিট কমিটি অনুমোদিত হবে।

তবে ঘোষিত ৫টি ইউনিট কমিটির একটিতেও ছিল না মামুন মাহমুদের স্বাক্ষর। এমনকি তাকে জানানো হয়নি কমিটির বিষয়ে।

জেলা বিএনপি’র প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ জানান, এটি দলের নির্দেশনা অমান্য করা ছাড়া কিছু নয়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান ও মহাসচিব কমিটিতে উল্লেখ করে দিয়েছেন যে ৩ জনের স্বাক্ষরে কমিটি হবে কিন্তু তা হয়নি। দলের চেইন অব কমান্ড মানা হয়নি। আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আলোচনা করা হয়নি, আমাকে জানানো হয়নি। এ কমিটি নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন জানান, আমরা কেন্দ্রের নির্দেশনার বাইরে কিছু করি না। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি করা হয়েছে।

(সূত্র : মানব জমিম)

কোরআন শরিফ অবমাননার প্রতিবাদে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতের মানববন্ধন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: সুইডেনে তুর্কি দূতাবাসের সামনে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন শরিফ সু-মহান মর্যাদার বিরুদ্ধে অবমাননাকর আচরণের তীব্র ঘৃণা প্রকাশ ও প্রতিবাদ মানববন্ধন করেছে তাহরিকে খতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) বাদ আসর নারায়ণগঞ্জ আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে তাহরিকে খতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ এর আমীর ও জৌনপুরী পীর সাহেব আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, সারা বিশ্বে মুসলমানদের নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। মুসলমানদের ওপর গণহত্যা, দখল, নির্যাতন, লুটপাট চালানোর সঙ্গে সঙ্গে তথাকথিত সভ্য দেশগুলো মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সুইডেনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্রবাদীদের দ্বারা কোরআন পোড়ানো হয়েছে—যা মুসলমানদের প্রতি চরম ধৃষ্টতা। এই গর্হিত কাজ কোনোভাবেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা হতে পারে না; বরং মত প্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধকে অবমাননা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এর আগে ২০২০ সালে সুইডেনে একই কাজ করেছিল উগ্রপন্থিরা। কিন্তু সুইডেন সরকার বা জাতিসংঘ কেউ-ই তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। সুতরাং নিজেদের মর্যাদা, অধিকার ও মূল্যবোধকে টিকিয়ে রাখতে মুসলমানদেরকেই দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। কোরআনে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত এবং এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সুইডেন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। যদি কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না নেওয়া হয় বাংলাদেশ থেকে সুইডেন দূতাবাস উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য বলেন, ইসলামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা আজ চুপ কেনো? বাংলাদেশে যখন আলু পিয়াজের দাম বৃদ্ধি পায় তখন তো কঠোর আন্দোলনের দাবী জানান, আজ সুইডেনে মহান আল্লাহ পাকের কোরআন অবমাননা করা হলো আপনারা কোন আন্দোলনে যাচ্ছে না। সুইডেনে এমন কান্ডে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিন্দায় আমরা সন্তুষ্ট না। প্রতিবাদের অনেক ভাষা আছে। আমরা বলবো জনগন সুইচ সকল পণ্য বর্জন করুন।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, তাহরিকে খতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা আরিফুর রহমান, তাহরিকে খতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা বারাতুল ইসলাম, মাওলানা গোলাম মোস্তফা, মাওলান শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জে ড. আব্বাসীর মাহফিল বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর মাহফিল বন্ধের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বন্দর থানার তাওহীদি জনতা।

১ জানুয়ারী (রবিবার) বাদ যোহর বন্দর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত রিদয়ে আজকে এখানে উপস্থিত হয়েছি। আপনারা ইতিমধ্যেই শুনেছেন- (নারায়ানগঞ্জ, বন্দর থানাধীন কদমরসুল পূর্বপাড়া ২নং ওয়ার্ড) উদ্যোগে তাফসীরুল কোরআন মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। প্রধাণ অতিথি হিসেবে দাওয়াত করা হয়েছিল বিশ্ব বরেন্য মুফাসসিরে কোরআন, তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী হুজুর।

যেখানে এলাকায় যুব সমাজের পক্ষ থেকে মাহফিলটির আয়োজনে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ইতিমধ্যেই খরচ করা হয়েছে। আজ (০১ জানুয়ারি) রবিবার (এন.সি.সি হাজী জালালউদ্দিন আহম্মেদ জামে মসিজদ সংলগ্ন) কদম রসুল পূর্বপাড়া, ২৩ নং ওয়ার্ড, নারায়াণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নবীগঞ্জের বন্দরে মাহফিলটি হওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাহফিলটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এক বিতর্কিত ভন্ড পীর ও তার অনুসারীরা প্রশাসন কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাফসীরুল কোরআন মাহফিলটি বন্ধের বাম ও নাস্তিকদের ভূমিকা পালন করেছে। আমরা সেই ভন্ড পীর ও তার অনুসারীদের হেন কাজের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবী সেই বিতর্কিত ভন্ড পীর ও তার কিছু অনুসারীর মিথ্যা প্রবাগান্ডায় প্রভাবিত হয়ে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল বন্ধ করে ইসলাম প্রিয় তাওহীদি জনতার হৃদয়ে যে রক্তের ক্ষরণ সৃষ্টি করেছে, সর্ব স্থরের মানুষের আবেগ অনুভতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নতুন ডেটে মাহফিল করার অনুমতি দিয়ে তা পশমন করবেন। এ প্রতিবাদ সভা ও মানব বন্ধন থেকে স্পষ্ট ঘোষণা করছি, সেই বিতর্কিত ভন্ড পীর ও তার অনুসারীদের বন্দর থানায় কোথাও কোনো প্রোগ্রাম করতে দেয়া হবে না। সেজন্য আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের কর্মীদের আমরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদ লিখতে ওসির অনুমতি লাগবে: ওসি তরিকুল

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বকশীগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম। রোববার দুপুর ১২টার দিকে বকশীগঞ্জে একটি ডাকাতির ঘটনায় বক্তব্য নিতে থানায় যাওয়া হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে ওসি অসৌজন্য আচরণ করেন।

একপর্যায়ে সাংবাদিকদের থানা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন ওসি। হঠাৎ তার এমন অসদাচরণে হতভম্ব হয়ে পড়েন উপস্থিত সাংবাদিকরা।

এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদ লিখতে হলে ওসির অনুমতি নিতে হবে। আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি না। আপনারা থানা থেকে বের হয়ে যান। আপনাদের আমি কোনো বক্তব্য দেব না; যা পারেন করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ওসি তরিকুল ইসলাম।

এ সময় বকশীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম শাহীন আল আমীন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ লায়নসহ বকশীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করেছেন বকশীগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। সভায় ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান- সাংবাদিক এম শাহীন আল আমীন, আবদুল লতিফ লায়, সরকার আবদুর রাজ্জাক, সরওয়ার জামান রতন, আশরাফুল হায়দার, মাসুদ উল হাসান, এইচএম মূসা আলী, গোলাম রব্বানী নাদিম, মতিন রহমান, এমএ ছালাম মাহমুদ, একেএম নুর আলম নয়ন, এমদাদুল হক লালন, আল মুজাহিদ বাবু, রাশেদুজ্জামান রনি, মোহাম্মদ আসাদ ও আলমাছ আলী প্রমুখ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান রাসেল বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা শুধু সাংবাদিক কেন সাধারণ মানুষের সঙ্গেও অসদাচরণ করতে পারেন না।

উল্লেখ্য, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের বাসায় শনিবার দিনগত রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল বাসার সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ২০ লাখ টাকা, ১২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। সূত্র : যুগান্তর

নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতাদের দিন কাটছে আতঙ্কে

আবদুর রহিমঃ নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে মামলা এবং গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। বেশ কয়েকটি মামলা দায়েরের পর থেকে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।

তবে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এসব মামলাকে পাত্তা দিচ্ছে না দাবী করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিলেও নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে মামলা এবং গ্রেফতার ভীতি দূর করতে পারছে না। উল্টো একেরপর এক মামলায় নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক এবং হতাশা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সাবেক এমপি এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক গিয়াসউদ্দিনের বাড়ীতে পুলিশি অভিযানের পর থেকে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে।

আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। সমাবেশ সফল করতে নেতারা কর্মীদের নানা দিক নিদর্শনা দিয়েছেন। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, ঢাকার সমাবেশ সফল করতে তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। যেকোন মূল্যে ঢাকার সমাবেশে যোগদান করবেন।

সূত্র জানায়, সারাদেশের সমাবেশের পর ঢাকায় মহা সমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। এই সমাবেশ নিয়ে নানা শঙ্কার কথা চাউর হয়েছে চারদিকে। রাজনৈতিক অঙ্গনের মূল আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ। এই সমাবেশকে ঘিরে বিএনপির যেমন প্রস্তুতি রয়েছে। রাজপথে প্রস্তুত থাকার নিদের্শনা রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদেরও। মহাসমাবেশের দিন বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে অবস্থান নিবেন। আর এ বিষয়টি নিয়েই নানা শঙ্কা তৈরী হয়েছে। এই সমাবেশেকে ঘিরে সরকার পতনসহ নানা পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের। তবে বিএনপি জোটের এই পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে তৎপর রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এদিকে সমাবেশের আগেই নারায়ণগঞ্জের নেতারা একাধিক মামলার আসামী হয়ে নানা শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। দলের শীর্ষ নেতাদের এখন আর প্রকাশ্যে দেখা মিলছে না। যে যার মতো করে পর্দার আড়ালে চলে গেছে। গ্রেফতার এড়াতেই মূলত গা ঢাকা দিয়েছে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

আসছে শঙ্কা-উৎকন্ঠার ১০ ডিসেম্বর

আবদুর রহিমঃ রণপ্রস্ততি চলছে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে। ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরে উভয় দল প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এমনকি কেউ কাউকে ছাড় দিবে না এমন হুঁশিয়ারী দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

ওই দিনটি ঘিরে লোক সমাগম, পাল্টা পাল্টা রাজপথে অবস্থান সহ নানা প্রস্তুতিও চলছে। উভয় দলের নেতাদের হুংকারে সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের মানুষও শঙ্কিত হয়ে পরেছে। অন্যদিকে নাশকতা কিংবা যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মানুষের জান মালের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে এমন দাবি প্রশাসনের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের। তবে সেদিন কী হতে যাচ্ছে এ নিয়ে আগ্রনের কোন কমতি নেই সাধারণ মানুষের। টিভি কিংবা পত্রিকায় চোখ রাখছে নিয়মিত। চায়ের দোকান থেকে বিভিন্ন দফতরের একই বিষয় নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সূত্রমতে, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। ইতোমধ্যে এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ওইদিন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জনসমাগম ঘটাতে চায় বিএনপি। সমাবেশ সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।

সে লক্ষ্যে নানা কৌশলও অবলম্বন করছেন দলটির নেতৃবৃন্দ। এ সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীসহ জেলা, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাল্টা কর্মসূচিসহ সতর্ক পাহারা বসানোর পরিকল্পনায় দিনটি ভিন্ন মাত্রা পাচ্ছে। অনেকে রাজনৈতিক সংঘাতের শঙ্কাও করছেন। ফলে ১০ ডিসেম্বর এলেই ঢাকায় কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে জনমনে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। এদিকে সমাবেশের আগে পাবলিক পরিবহন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছে বিএনপি। পাশাপাশি হামলা ও পুলিশি ধরপাকড়েরও আশঙ্কা করছে তারা। এজন্য ১০ ডিসেম্বরের আগেই সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীদের ঢাকায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। সমাবেশে অন্তত ২০ লাখ মানুষের সমাগমের টার্গেট রয়েছে তাদের। মহাসমাবেশ সফল করতে ঢাকা বিভাগের যৌথসভা করেছে বিএনপি। সভায় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলাকে প্রস্তুতি নিতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেয়াও হয়েছে। জেলা-মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অধীন সংশ্লিষ্ট ইউনিটকেও প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

যৌথসভায় কোন জেলা বা মহানগর কত লোক নিয়ে মহাসমাবেশে যোগ দেবে তারও একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ সফল করতে একাধিক উপ-কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সারা দেশের মানুষের কাছে মূল আলোচনার এবং উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে আগামী ১০ ডিসেম্বরের বিএনপির মহা সমাবেশ।

বিএনপি নেতা ওহার মাদবরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী’র বিএনপি নেতা মো.ওহাব মাদবর আর নেই।

২৭ নভেম্বর (রবিবার) বিকালে ঢাকার এক প্রাইভেট হাসপাতালে ব্রেন স্ট্রোক করে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। মো. ওহাব মাদবর বক্তাবলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সোমবার সকাল ৯টায় বক্তাবলীর রাজাপুরে নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে মো. ওহার মাদবরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি। বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র পক্ষে দপ্তর  সম্পাদক মো. আবুল কালাম মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

 

গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের আয়না : ওসি ফতুল্লা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : অনলাইন নিউজ পোর্টাল নারায়ণগঞ্জের আলো ২৪ ডটকম’ ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার(২৭ নভেম্বর)সন্ধ্যায় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ রিজাউল হক দিপু।

নারায়ণগঞ্জের আলো-২৪ ডটকম’র সম্পাদক মোঃ সেলিম মুন্সির সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সম্পাদক আঃ আলিম লিটনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলামিন প্রধান, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি কাজী আনিসুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, কার্যকরি সদস্য সচিব সেলিম হোসেন, নারায়ণগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মবির হোসেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ফতুল্লা শাখার সভাপতি এড.রিফাত এ মান্নান,নারায়ণগঞ্জের খবর ২৪ ডটকম’র স্টাফ রিপোর্টার বাহরুল হক বাহু, ফতুল্লা ব্লাড ডোনার্সের সভাপতি তৌকির আহমেদ, শিপলু, রাসেল, মাকসুদ মাসুম প্রমুখ।

বক্তাবলীতে মারামারিতে আওয়ামী লীগের সম্মেলন পণ্ড

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীতে দুই পক্ষের মারামারিতে পণ্ড হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের সম্মেলন। দু’দফায় মারামারির পরে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বক্তাবলীর রাজাপুরে এ ঘটনা ঘটে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফ উল্লাহ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল।

সম্মেলনে উপস্থিত কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শাহ নিজাম বক্তব্য দেবার সময় একজন আওয়ামী লীগ নেতার বারবার উচ্চবাচ্য করায় তিনি বক্তব্য থামিয়ে তাকে শাসান। শাহ নিজামের বক্তব্যের শেষে আবার ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী কর্মীদের উদ্দেশ্যে কঠোর হুশিয়ারী দেন। কিন্তু ভেতরে ভেতরে উত্তপ্ত হতে থাকে পরিবেশ। পরে তা মারামারিতে রূপ নেয়। জেলা ও থানার শীর্ষ নেতাদের সামনেই হাতাহাতি ও চেয়ার ছুঁড়ে মারামারি করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের এমন আচরণের পরে দ্রুত সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন অতিথিরা। অতিথিরা চলে যাবার পরে আবারও মারামারিতে জড়ান নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল।

 

ফতুল্লার বক্তাবলীতে শ্রমিক হত্যার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ২০০৬ সালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলিস্থ এক ইটভাটায় জবাই করে শ্রমিক হত্যার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত আসামী দীর্ঘ ১৬ বছর পলাতক থাকার পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পরিচালক এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।

তিনি জানান, গত ১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা হতে একটি অধিযাচনপত্রে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মোঃ কালাচাঁনকে গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাব-১১ কে অনুরোধ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে বর্ণিত বিষয়ে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে র‌্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামীর অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ফলশ্রতিতে, র‌্যাব উক্ত আসামীকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১১ এর অভিযানে ১৫ নভেম্বর বিকেলে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকা হতে মোঃ কালাচাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী তার অপরাধ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।

উল্লেখ্য যে গত ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর কোরবানের ঈদের দিন রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বক্তাবলিস্থ ইটভাটায় একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে ৫ জন আসামী পরস্পর যোগসাজশে ইটভাটার অপর এক শ্রমিককে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় ইটভাটার মালিক বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-৭৮(১০)০৬, ধারা ৩০২/৩৪। জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নারায়ণগঞ্জ বিচার শেষে মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০২/৩৪ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় গত ৪ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে গ্রেপ্তারকৃত আসামীসহ ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।

আসামীর স্বীকারোক্তি মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হতে গ্রেপ্তার এড়াতে ঘটনার পর পরই নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নতুন ঠিকানায় বসতি স্থাপন করে মৎস্যজীবি হিসেবে কাজ করতে থাকে এবং বিগত দীর্ঘ ১৬ বছর উক্ত মামলায় সে পলাতক ছিলো।

এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে ১ জনকে গত ১০ অক্টোবর ২০২২ তারিখ র‌্যাব-১১ গ্রেপ্তার করেছে। বাকী আসামীদের মধ্যে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন এবং ২ জন পলাতক আসেন। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।