নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র অধীনস্থ ৫টি ইউনিট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন কমিটি গুলো অনুমোদন দিয়েছেন। তবে কমিটি গুলোতে কেন্দ্রের নির্দেশনা ও জেলা বিএনপি’র কমিটির নিয়ম মানা হয়নি। তাই কমিটি গুলো অবৈধ দাবি করছেন কমিটির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
শনিবার ও রোববার জেলার অন্তর্গত ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও রূপগঞ্জ থানা এবং রূপগঞ্জের কাঞ্চন ও তারাব পৌর বিএনপি’র কমিটি অনুমোদন করা হয়। তৃণমূলের নেতাদের অনেকের দাবি সুবিধাভোগীরা কমিটিতে স্থান পেয়েছে। যাদের গত ১২-১৩ বছর বিএনপি’র আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে তেমন একটা সক্রিয় দেখা যায়নি। তাছাড়া সুবিধাভোগীরা শীর্ষ পদে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তাদের অনুসারীরা কমিটিতে স্থান পাচ্ছে।
জেলা বিএনপি’র তথ্যমতে, গত ১৫ই নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিনকে ও সদস্য সচিব করা হয় জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে। এতে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় মামুন মাহমুদকে। ঘোষিত কমিটির নিচের দিকে উল্লেখ ছিল, আহ্বায়ক এবং প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে অধীনস্থ ইউনিট কমিটি অনুমোদিত হবে।
তবে ঘোষিত ৫টি ইউনিট কমিটির একটিতেও ছিল না মামুন মাহমুদের স্বাক্ষর। এমনকি তাকে জানানো হয়নি কমিটির বিষয়ে।
জেলা বিএনপি’র প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ জানান, এটি দলের নির্দেশনা অমান্য করা ছাড়া কিছু নয়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান ও মহাসচিব কমিটিতে উল্লেখ করে দিয়েছেন যে ৩ জনের স্বাক্ষরে কমিটি হবে কিন্তু তা হয়নি। দলের চেইন অব কমান্ড মানা হয়নি। আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আলোচনা করা হয়নি, আমাকে জানানো হয়নি। এ কমিটি নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন জানান, আমরা কেন্দ্রের নির্দেশনার বাইরে কিছু করি না। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি করা হয়েছে।
(সূত্র : মানব জমিম)