৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 262

আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেতে মরিয়া নেতাকর্মীরা

২০তম আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা প্রতিদিন সকাল থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন রাজধানীর ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে। পাশাপাশি পদ-পদবি পেতে নতুন অনেকেই ধর্ণা দিচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় ঊর্ধ্বতন নেতাসহ কর্মকর্তাদের কাছে। এ নিয়ে তদবিরের যেন কমতি রাখছেন না তারা। অন্যদিকে পদবির আশায় বুক পেতে আছেন কেন্দ্রীয় পুরনো নেতাদের অনেকেই। তবে সাবেক ছাত্র নেতাদের একটি অংশ এখনও মুখিয়ে আছেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে হাল ধরার প্রত্যাশায়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একঝাঁক তরুণ নেতৃত্বের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগের ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটি হতে পারে। তার এমন বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে সাবেক ছাত্র নেতারা পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠছেন রাজনীতিতে। তবে এবারের সম্মেলন নিয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতার মুখে উল্টো কথা। তারা বলেন, কমিটিতে বড় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বর্তমান কমিটিতে থাকা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতার বাদ পড়ার আশঙ্কা যেমন ক্ষীণ, তেমনি এক ঝাঁক তরুণ নেতৃত্ব আসবেন এমন সম্ভাবনাও কম। কমিটিতে রয়েছেন এমন নেতারাই ঘুরেফিরে বেশি থাকবেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে।

এবারের সম্মেলনে বড় ধরনের চমক রাখা হয়েছে। নেতৃত্বে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন আসছে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রেও। দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গঠনতন্ত্রে দুটি বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। প্রথমত. দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মেয়াদ বাড়ানো হবে। দ্বিতীয়ত. স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নেওয়ার বিধান সংযোজন করা হবে। এ ছাড়াও দলে কিছু পদ তৈরি করা হবে। এর মধ্যে বাড়ানো হবে একটি যুগ্ম সম্পাদকের পদ ও কয়েকটি সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়ে সরকারে আসা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও মানবাধিকার বিষয়ক দুটি সম্পাদকের পদ যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া প্রেসিডিয়াম ও নির্বাহী সদস্য পদ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে ক্ষমতাসীনদের। এ বিষয়ে কমিটির সদস্য সচিব ও তথ্য গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, গঠনতন্ত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে না, তবে যুগোপযোগী করা হবে। দলের প্রবীণ নেতারা এ কমিটিতে রয়েছেন। সেখানে কমিটির সদস্যরা তাদের মতামত তুলে ধরবেন, প্রস্তাব দেবেন।

জানা গেছে, সম্মেলনকে ঘিরে চলছে নানারকমের প্রস্তুতি। গঠন করা হয়েছে কয়েকটি প্রস্তুতি উপ-কমিটি। এ সব উপ-কমিটি দিনরাত কাউন্সিল সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন। এবারের কাউন্সিলের সেøাগানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। গতবারের চেয়ে অনেকগুণ বেশি উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আয়োজনের মধ্য দিয়ে এবারের কাউন্সিলের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ ফ্লাইওভার ও প্রবেশদ্বারে আলোকসজ্জা করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। দিনরাত ধরে বড় বড় এলইডি স্ক্রিনে দেখানো হবে দলটির ইতিহাস, ঐতিহ্য, অর্জন ও উন্নয়নের চিত্র। এরই মধ্যে সেসব ডকুমেন্টারির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সাজসজ্জায় সাদৃশ্য রাখতে কেন্দ্র থেকে ব্যানার, পোস্টার ও প্ল্যাকার্ডের ডিজাইন নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য রক্ষায় ছবি ব্যবহারেও থাকবে কঠোর নির্দেশনা। সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরেও নেওয়া হচ্ছে নানা পরিকল্পনা। কাউন্সিলর, ডেলিগেটদের জন্য প্রায় ৫০ হাজার চেয়ারের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া নৌকা আকৃতির মঞ্চ ও দেশি-বিদেশি অতিথিদের আসনের বিষয়েও থাকবে ভিন্নতা। দেশি-বিদেশি অতিথিদের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে পদোন্নতি পাওয়ার জন্যে বেশি আশাবাদী হওয়ার যেমন সুযোগ নেই, তেমনি বাদ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হওয়ারও সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক সংগঠন এখানে যোগ্যতা-দক্ষতার মূল্যায়ন হয়। নিষ্ঠার সঙ্গে যার যার দায়িত্ব পালন করলে অবশ্যই পদোন্নতি হবে। আবার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে বাদ পড়তে হবে।

’ভাল নেই মা’ ………আব্দুর রহিম

রাত্রি জেগে তারা দেখি
ঐ আকাশে তাকিয়ে
খুঁজে ফিরে দু’টি চোখ
এদিক সেদিক হাকিয়ে।

চারদিক শূণ্য লাগে
কোথায় যেন কী নেই,,
প্রতিদিন স্মৃতির পাতায়
কত যে উঁকি দেই।

কোটি মানুষরে ভীরে খুঁজি
কোথায় আছো তুমি?
ভাল নেই মা তুমিহীনা
ভীষন একা আমি।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না করা পর্যন্ত বিএনপির পুরনো নেতারা বহাল থাকবেন: রিজভী

বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে সুচিন্তিতভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কমিটি গঠনের জন্য অনেক ভেবে চিন্তে নেওয়া ছাড়াও তিনি যাকে যে দায়িত্ব দেবেন বলে মনে করছেন তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। কথা বলার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর তাকে দায়িত্ব দিচ্ছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যাদের দায়িত্ব দেয়া হবে তাদের বাছাই করা ও দায়িত্ব অর্পণের জন্য সময় নিতেই হবে। এই কারণে বিএনপির নতুন কমিটির যে সব পদে এখনও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি সে সব পদে আগের কমিটির নেতারা বহাল থাকবেন। দৈনিক আমাদের অর্থনীতি কার্যালয়ে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে আমাদের অর্থনীতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নাসিমা খান মন্টিসহ সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির নতুন স্থায়ী কমিটি ঘোষণার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন স্থায়ী কমিটি ঘোষণার আগে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের আভাস দেবেন বলে জানান রিজভী। স্থায়ী কমিটির আকার বাড়ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির আকার বাড়ছে না। যা আছে তাই থাকবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদও রয়েছে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের পদ বিলুপ্ত করে বিএনপির উপদেষ্টা করার ব্যাপারে যে আলোচনা হয়েছিল সেই ধরনের প্রস্তাব পাস হয়নি। এই কারণে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা পদ বহাল রয়েছে।

তিনি বলেন, অন্যান্য পদগুলোতেও বিশেষ পরিবর্তন আসেনি। যেগুলোতে বেশি পরিবর্তন এসেছে তা ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পাদকের পদগুলো ঘোষণা করা হবে।

বিএনপিতে এখন নতুন কমিটির নেতা আছেন কয়েকজন। বাকিরা পুরনো কমিটির। পুরানো ও নতুন কমিটি দিয়ে চলছে বিএনপি। এটা আর কত দিন চলবে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, সময় বলা যাচ্ছে না। তবে নতুনদের যাদের নাম ঘোষণা করা হয়ে গেছে তারা তো পদ পেয়েছেন। কিন্তু এখনও অনেক পদ আছে যেগুলো ঘোষণা করা হয়নি। তবে এতে কোন সমস্যা নেই। বিএনপির গঠনতন্ত্রে বলা আছে কাউন্সিল হলেও যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা করা না হবে, ওই পদে নতুন কোন নেতা দায়িত্ব না নেবেন ততোদিন পর্যন্ত অঘোষিত পদের দায়িত্বে থাকা পুরনো কমিটির নেতারা দায়িত্ব পালন করবেন। এই কারণে আমাদের নতুন কমিটির নাম যতদিন ঘোষণা করা না হবে ততোদিন তারা থাকবেন।

বৈঠকের শুরুতে নিজের রাজনৈতিক জীবনের অনেক কথা তুলে ধরেন এই বিএনপি নেতা। বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ পদ বাণিজ্য করছেন এমন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন যে অবস্থায় বিএনপি রয়েছে সেখানে এগুলো কে করতে যাবে? আসলে এগুলো বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারের তরফ থেকে অপপ্রচার।

গুলশান কার্যালয়ে ইউপি নির্বাচনের মননোয়ন নিয়ে মারামারি

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কার্যালয় সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরের দিকে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ইউপি নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে সভাপতি গ্রুপের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রুপের মতবিরোধ তৈরি হয়।

এসময়ে সভাপতি গ্রুপের লোকজন অর্থের বিনিময়ে ইউপি মনোনয়ন দেয়ার অভিযোগ তুলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এমরান সালেহ প্রিন্স কৌশলে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান।

পরে দুই পক্ষের হাতাহাতিতে মজিবুর রহমানসহ তিনজন আহত হন। এর মধ্যে মজিবুর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে বিষয়টিকে এড়িয়ে উপজেলা সভাপতি ফখরুদ্দিন বাচ্চু বলেন, এলাকায় বিএনপির দুইজনের মধ্যে দ্বদ্বের সূত্রপাত ধরে গুলশান কার্যালয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। মারামারি হয়েছে কি না বলতে পারবো না। সূত্র-জাস্ট নিউজ

তনয়ের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে-বাংলাদেশকে চাপ দিতে জন কেরিকে চিঠি

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডসহ ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়ের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে বাংলাদেশকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির আট কংগ্রেস সদস্য। এক চিঠিতে তারা এই আহ্বান জানিয়েছেন।

সদস্যদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ারম্যান জোসেফ ক্রাউলি রয়েছেন। এ ছাড়া আছেন মাইক হোন্ডা, এলিয়ট অ্যাঞ্জেল, গ্রেস মেং, জো লফগ্রেন, টেড লিউ, এলান লয়েন্থেল ও তুলশি গ্যাবার্ড।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানো ওই চিঠিতে তারা লিখেছেন, ‘ঘাতকদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে বাংলাদেশ যাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়, সে জন্য জন কেরিকে আরো সোচ্চার হতে হবে।’

২৫ এপ্রিল কলাবাগানের লেকসার্কাসে ‘আসিয়া নিবাস’ নামের বাসায় জুলহাজ ও তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জুলহাজ ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডিতে কাজ করার পাশাপাশি সমকামী ও হিজড়াদের অধিকারবিষয়ক পত্রিকা ‘রূপবান’ সম্পাদনা করতেন। তনয় ছিলেন একজন নাট্যকর্মী। ওই ঘটনায় এক নিরাপত্তারক্ষীও আহত হন।

(জাস্ট নিউজ)

দক্ষ শিক্ষকের বড় সংকট: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

শিক্ষা ব্যবস্থায় দক্ষ শিক্ষক সবচেয়ে বড় সংকট বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেন, দক্ষ মানবশক্তি গড়ে তোলার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক। সরকার বর্তমানে দক্ষ শিক্ষক গড়ে তুলতে উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকসহ অন্যন্যা দাতা সংস্থার সহায়তায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে।

রবিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘অ্যাডিশনাল ফাইন্যান্সিং লাউঞ্জিং ওয়ার্কসপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সরকারি ৪৯টি পলিটেনিক্যাল ইনস্টিটিউটে বর্তমানে প্রতি বছরে ৩১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে। পরবর্তী বছরে আরো ২৫ হাজার যোগ হবে। বছরে মোট ৫৬ হাজার শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

এসময় বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, বাংলাদেশ মানবসম্পদ উন্নয়নে বেশ উন্নতি সাধন করেছে। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নিম্নমধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। উন্নত দেশে পরিণত হতে চাচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে এটা বড় বিষয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই অর্থায়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রশিক্ষণে সহায়তা করবে। বিশ্বে বাংলাদেশের শ্রমশক্তিকে আরো প্রতিযোগী করে ভালো মজুরিতে কাজের সুযোগ করে দেবে। এই অর্থায়ন বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের কারিগরি ও দক্ষতা জ্ঞানে সমৃদ্ধ করবে।

ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের অধীনে ১ লাখ ১০ হাজার দরিদ্র শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এর বাইরে প্রায় ৭৭ হাজার যুবক ইলেক্ট্রিক্যাল, অটোমোবাইল, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৬ মাসের কারিগরি প্রশিক্ষণ পেয়েছে। প্রশিক্ষণ নেয়ার ৬ মাসের মধ্যে ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থী স্ব-স্ব ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ পেয়েছে।

‘স্কিল অ্যান্ড ট্রেনিং ইনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট’ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. ইমরান। তিনি জানান, দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশের বয়সই ২৪ বছরের নিচে। প্রতিবছর ১৩ লাখ জনসংখ্যা শ্রমবাজারে প্রবেশ উপযোগী হচ্ছে। এই যুব সমাজকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতির গতি সচল রাখতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই।

এ জন্য স্টেপ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ স্টেপ প্রকল্পের আওতায় অধিক সংখ্যক সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে এগুলোর শ্রেণিকক্ষ-গবেষণাগার উন্নয়ন করা হবে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়া বা পাস করা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ ও চাকরির সুযোগ করে দেবে বলে জানান এই প্রকল্প পরিচালক।

শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসেনর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ডা. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম সামসুন্নাহার প্রমুখ।

পরিবার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তির মূল বুনিয়াদ ‘মা’: খালেদা জিয়া

আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তির মূল বুনিয়াদ হলো ‘মা’।

আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকালে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জন্মদাত্রী মা’কে ঘিরেই আবর্তিত হয় পরিবারের সকল কার্যক্রম। আবহমান কাল ধরেই এই অমোঘ ধারা চলে আসছে। নম্রতা, বিনয়, সৌজন্য, ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা হচ্ছে সুমাতার চিরকালীন বৈশিষ্ট্য। নিষ্ঠা সহকারে দায়িত্ব পালন ও গ্রহণ করতে মায়েরা থাকেন সন্তানদের নিকট অগ্রপথিক। সন্তানদের সুশৃঙ্খল, শিষ্ট ও সর্বক্ষেত্রে যোগ্য হয়ে গড়ে উঠার পিছনে থাকে মায়েদের অক্লান্ত অবদান। সুমাতার সাহচর্যে গড়ে ওঠা সন্তানই সমাজ ও রাষ্ট্রের সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।

রাষ্ট্রের গণতান্তিক বিকাশ এবং অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে একমাত্র হাতিয়ারই হচেছ সুশিক্ষিত মায়েদের ভূমিকা। এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই আমরা ক্ষমতায় থাকার সময় নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছিলাম। আমাদের সময়ে স্কুল থেকে ছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে তার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দায়িত্বশীল, শিক্ষায় আলোকিত মায়েদের সুসন্তানরাই দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভেঙ্গে সামাজিক অগ্রগতি তরান্বিত করবে এবং জাতীয় উন্নয়নকে করবে বেগবান ।

আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা সকল মা যেন তার সন্তানদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। যাতে জাতির আগামী ভবিষ্যত উজ্জল থেকে উজ্জলতর হয়।

আওয়ামী লীগ-যুবলীগ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১৪

রাজধানীর শাহআলী থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার এ ঘটনায় ১৪ জন গুলিবিদ্ধসহ বেশকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আবারও যেকোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সংঘর্ষ লিপ্ত ও গুলিবিদ্ধ বেশিরভাগই মিরপুর বাংলা কলেঝের ছাত্রলীগের কর্মী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জামায়াতের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে মিছিল ও সমাবেশ শেষে শাহআলী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মিরপুর ১ নম্বরের দিকে যাচ্ছিল। এসময় শাহআলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাশেম মোল্লার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ তাদের ওপর হামলা চালায়।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর যুবলীগের আশপাশ এলাকার নেতাকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে জড়ো হয়ে কাশেম মোল্লার গুপের ওপর হামলা চালায়। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় কাশেম গ্রুপের লোকজন মফিজ গ্রুপের  নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে বাংলা কলেজের ছাত্রলীগের মনির, আলামিন ও জাকির গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, শাহআলী মার্কেটসহ আশপাশের দোকান পাট বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, মিরপুরের সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম ও সাবিনা আক্তার তুহিনের ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

উল্লেখ্য, ঘটনার সময় বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তাদের নিরব ভুমিকা পালন করেছেন বলে জানা গেছে।সূত্র-আমাদের সময়.কম

চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন: আ. লীগ-৪৫১, বিএনপি-৭৩, জাপা-৩, অন্যান্য-১৬২

নানা অনিয়ম ও সহিংসতার মধ্য দিয়ে শেষ হলো চতুর্থ ধাপের ৭০৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।  চতুর্থ ধাপে দেশের ৪৬ জেলার ৮৮ উপজেলার ৭০৩ ইউপিতে ভোট শেষে গণনা শনিবার মধ্যরাতেই শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে ৬৮৯টি ই্উপি নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল জানা গেছে।

আগের তিন ধাপের মতো ব্যাপক সহিংসতা, হানাহানি, কেন্দ্রদখলসহ নানা অনিয়মের মধ্যে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা একচেটিয়া জয়ী হয়েছেন।

ভোটে জালিয়াতি ও অনিয়মের কারণে অন্তত ৫১টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে মোট কয়টি ইউপির ফল স্থগিত হবে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি ইসি। তৃণমূল পর্যায়ের এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের সর্বশেষ ৬৮৯ ইউনিয়নের প্রাপ্ত ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছে-

আওয়ামী লীগ (নৌকা) প্রার্থী: ৪৫১

বিএনপি (ধানের শীষ) প্রার্থী: ৭৩

জাতীয় পাটি (লাঙ্গল):  ৩

স্বতন্ত্র ও অন্যান্য: ১৬২

আগের তিন ধাপের ফল

প্রথম ধাপ

অনুষ্ঠিত নির্বাচন: ৭১২ ইউপি, আওয়ামী লীগ ৫৪২ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫৪), বিএনপি স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১০৭।

দ্বিতীয় ধাপ

অনুষ্ঠিত নির্বাচন: ৬৩৯ ইউপি (স্থগিত ১১), আওয়ামী লীগ ৪৪৮ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৪), বিএনপি ৬৩, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১০৫।

তৃতীয় ধাপ

অনুষ্ঠিত নির্বাচন: ৬১৫ ইউপি (স্থগিত ৬), আওয়ামী লীগ ৩৩৪ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮), বিএনপি ৬০, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১০৭।

বিভাগভিত্তিক ফল

ঢাকা

মুন্সীগঞ্জ (সদর ও টঙ্গিবাড়ি উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১৫ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৮, বিএনপি ২, স্বতন্ত্র ৪।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনীতে বিএনপির মোহাম্মদ তোতা মিয়া মুন্সী, পঞ্চসারে স্বতন্ত্র গোলাম মোস্তফা, রামপাল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র বাচ্চু মোল্লা, টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়লে আওয়ামী লীগের দীন ইসলাম, বালিগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের হাজী মোহাম্মদ দুলাল, ধীপুরে বিএনপির আক্তার হোসেন মোল্লা, দীঘিরপাড়ায় আওয়ামী লীগের আরিফ হাওলাদার, হাসাউল বানারীতে আওয়ামী লীগের আনোয়ার হাওলাদার, যশলংয়ে আওয়ামী লীগের আলমাছ জোতদার, কামারখাড়ায় আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন হাওলাদার, কাঠাদিয়া শিমুলিয়ান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নূর হোসেন ব্যাপারী; আবদুল্লাপুরে আওয়ামী লীগের আবদুর রহিম, আউটশাহীতে স্বতন্ত্র লিটন ঢালী, বেতকায় স্বতন্ত্র আলম শিকদার বাচ্চু, সোনারং টঙ্গিবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের লিটন মাঝি বিজয়ী হয়েছেন।

মানিকগঞ্জ (সাটুরিয়া উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ৭ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৭, বিএনপি ০, স্বতন্ত্র ০।

সাটুরিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)নির্বাচনে ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে বিজয়ী আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- বালিয়াটী ইউনিয়নে মো. রুহুল আমিন, সাটুরিয়া সদরে মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু, দরগ্রাম ইউনিয়নে মো. আলাউদ্দিন, হরগজ ইউনিয়নে মো. আনোয়ার হোসেন খান, বরাইদ ইউনিয়নে মো. হারুন অর রশিদ, তিল্লি ইউনিয়নে মো. আব্দুছ সালাম, ধানকোড়া ইউনিয়নে মো. আবুল কালাম আব্দুর রউফ, ফুকুরহাটি ইউনিয়নে মো. আফাজ উদ্দিন ও দিঘুলিয়া ইউনিয়নে মো. মতিয়ার রহমান।

টাঙ্গাইল (মধুপুর ও দেলদুয়ার উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১১ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি ২, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩।

মধুপুর উপজেলার আলোকদিয়ায় আওয়ামী লীগের আবু সাঈদ তালুকদার দুলাল, গোলাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের গোলাম মোস্তফা খান বাবলু, মির্জাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের ইউনিয়নে শাজাহান আলী তালুকদার; দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়ায় স্বতন্ত্র সাজ্জাদ হোসেন আজাদ, দেলদুয়ারে স্বতন্ত্র আবু তাহের বাবলু, দেওলীতে আওয়ামী লীগের দেওয়ান তাহমীনা হক, ডুবাইলে আওয়ামী লীগের ইলিয়াস হোসেন, এলাসিনে আওয়ামী লীগের বেলায়েত হোসেন তালুকদার, ফাজিলহাটিতে বিএনপির তোফাজ্জল হোসেন ও পাথরাইলে স্বতন্ত্র হানিফুজ্জামান লিটন, লাউহাটিতে বিএনপির রফিকুল ইসলাম ফিরোজ জিতেছেন।

কিশোরগঞ্জ (ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১৩ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৮, বিএনপি ০, স্বতন্ত্র ৩ (আ.লীগ বিদ্রোহী), স্থগিত ২।

চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. ফারুক মিয়া, শিবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলাম, শিমুলকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুবায়ের আলম, গজারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী গোলাম সারোয়ার গোলাপ (প্রতীক-আনারস), শ্রীনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. আবু তাহের, সাদেকপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক, আগানগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোমতাজ উদ্দিন জয় লাভ করেছেন।

কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নিজাম কারী, গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুরে স্বতন্ত্র আব্বাস উদ্দিন, সালুয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ও ফরিদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ আলম জয় লাভ করেছেন। এ উপজেলার রামদী ও ছয়সূতি ইউনিয়নের একটি করে কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এজন্য এ দু’টি ইউনিয়নের ফলাফলের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

চট্টগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া (আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১৫ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ১৪, বিএনপি ০, স্বতন্ত্র ১ (আ.লীগ বিদ্রোহী)।

বিজয়নগর উপজেলার আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিতরা হলেন- সিঙ্গারবিল ইউনিয়নে মো. মনিরুল ইসলাম, চম্পকনগরে মো. হামিদুর রহমান হামদু, পত্তন ইউনিয়নে মো. কামরুজ্জামান রতন, চরইসলামপুরে মো. দানা মিয়া ভূঁইয়া, বিষ্ণুপুরে জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, হরষপুরে সারওয়ার রহমান ভূঁইয়া, পাহাড়পুরে মো. আব্দুর রশিদ খন্দকার, চান্দুরায় এএম শামিউল হক চৌধুরী ও বুধন্তি ইউনিয়নে মো. জিতু মিয়া।এছাড়া ইছাপুরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক বকুল নির্বাচিত হয়েছেন।

আখাউড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- ধরখার ইউনিয়নে বাছির মো. আরিফুল হক, মোগড়া ইউনিয়নে মো. মনির হোসেন, মনিয়ন্দ ইউনিয়নে মো. কামাল ভূঁইয়া, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নে আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া ও আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে মো. জালাল উদ্দিন।

ফেনী (সদর ও ছাগনাইয়া উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ৭ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি ১, স্বতন্ত্র ০।

ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নে বিএনপির রবিউল হক মাহবুব জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া বাকি ছয়টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন শুভপুর ইউনিয়নে আবদুল হাই সেলিম, মহামায়া ইউনিয়নে গরিব শাহ বাদশা, ঘোপাল ইউনিয়নে আজিজুল হক মানিক, সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়নে মোশারফ হোসেন টিপু, ধলিয়া ইউনিয়নে মুন্সি খায়রুল ইসলাম, লেমুয়া (সদর) ইউনিয়নে মোশারফ হোসেন নাছিম। এ ছাড়া ছাগলনাইয়ায় একজন এবং সদর উপজেলায় একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁরা দুজনই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।

লক্ষ্মীপুর (সদর ও রায়পুর উপজেলা)

সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ তাফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, টুমচর ইউনিয়নে সৈয়দ নুরুল আমিন। এ ছাড়া উত্তর হামছাদী ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন একই দলের এমরান হোসেন।

রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের শাহজাহান কামাল। এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বামনী ইউনিয়নে তাফাজ্জল হোসেন, রায়পুর ইউনিয়নে সফিউল আজম, চরপাতা ইউনিয়নে খোরশেদ আলম এবং দক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়নে মো. নাসির উদ্দিন চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজশাহী

জয়পুরহাট ( ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ৭ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি ১, স্বতন্ত্র ০।

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। তারা হলেন- মাহমুদপুর ইউনিয়নে মশিউর রহমান শামিম ও আলমপুর ইউনিয়নে আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম।আক্কেলপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে রাইকালী ইউনিয়নে বিএনপি থেকে চেয়ারম্যান পদে শাহিনুর আলম শাহিন নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ইউনিয়নেই আ.লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। এরা হলেন- গোপীনাথপুরে আবু সাঈদ জোয়ার্দ্দার, সোনামুখিতে ডি এম রাহেল ইমাম ও তিলকপুরে সেলিম মাহমুদ সজল নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া রুকিন্দিপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আ.লীগ প্রার্থী এহসান কবীর বিপ্লব নির্বাচিত হন।

পাবনা (সুজানগর ও আটঘরিয়া উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১৫ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ১৫, বিএনপি ০, স্বতন্ত্র ০।

সুজানগর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে বে-সরকারিভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- ভায়না ইউনিয়নে আমিন উদ্দিন (নৌকা), সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নে শামসুল ইসলাম (নৌকা), মানিক হাট ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম (নৌকা), হাটখালী ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান (নৌকা), নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে মশিউর রহমান খান (নৌকা), সাগরকান্দি ইউনিয়নে শাহীন চৌধুরী (নৌকা), রানীনগর ইউনিয়নে তৌফিকুল আলম পিযুস (নৌকা), আহম্মদপুর ইউনিয়নে কামাল হোসেন (নৌকা), দুলাই ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম শাজাহান (নৌকা), তাঁতিবন্দ ইউনিয়নে আব্দুল মতিন মৃধা (নৌকা)।

আটঘরিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বে-সরকারিভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, একদন্ত ইউনিয়নে ইসমাইল হোসেন সরদার (নৌকা), দেবোত্তর ইউনিয়নে মুহাইমিন হোসেন চঞ্চল (নৌকা), চাঁদভা ইউনিয়নে ইঞ্জিনিয়ার কামাল হোসেন(নৌকা), মাঝপাড়া ইউনিয়নে আব্দুল গফুর মিয়া (নৌকা), লীপুর ইউনিয়নে শেখ আনোয়ার (নৌকা)।

খুলনা

মেহেরপুর (গাংনী উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ৯ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৪, বিএনপি ৪, স্বতন্ত্র ১ (আ.লীগ বিদ্রোহী)।

তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে বিএনপির জাহাঙ্গীর আলম, কাজীপুর ইউনিয়নে বিএনপির রাহাতুল্ল্যা, বামুন্দী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শহিদুল ইসলাম, মটমুড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল আহমেদ, ষোলটাকা ইউনিয়নে বিএনপির মনোনীত মনিরুজ্জামান মনি, সাহারবাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের গোলাম ফারুক, ধানখোলা ইউনিয়নে বিএনপির আখেরুজ্জামান, রাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের গোলাম সাকলায়েন সেপু এবংকাথুলি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান রানা নির্বাচিত হয়েছেন।

যশোর (ঝিকরগাছা উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত:১১ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৭, বিএনপি ২, স্বতন্ত্র ২ (আ.লীগ বিদ্রোহী)।

আওয়ামী লীগের বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- বাঁকড়া ইউনিয়নে নেছার উদ্দিন, হাজিরবাগে আতাউর রহমান, নির্বাসখোলায় নজরুল ইসলাম, নাভারণে শাহজাহান আলী, মাগুরায় আব্দুর রাজ্জাক, ঝিকরগাছায় আমির হোসেন ও পানিসারা ইউনিয়নে নওশের আলী। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- শিমুলিয়ায় শফিউদ্দিন ও গঙ্গানন্দপুরে বদরউদ্দিন বেল্টু। বিএনপি থেকে বিজয়ী হয়েছেন গদখালি ইউনিয়নে মিজানুর রহমান ও শংকরপুরে মোজাম্মেল হক।

রংপুর

কুড়িগ্রাম (সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১৮ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৩, বিএনপি ১৩, স্বতন্ত্র ২ (আ.লীগ বিদ্রোহী)।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আমান উদ্দিন   আহমেদ মঞ্জু , ওঘোগাদহ ইউনিয়নে শাহ আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। এছাড়া বিএনপি   থেকে   বেলগাছায়   বর্তমান   চেয়ারম্যান   মাহবুর   রহমান, মোগলবাসায়  নুরজামাল বাবলু, যাত্রাপুরে আইয়ুব আলী সরকার, পাঁচগাছিতে   দেলোয়ার   হোসেন,   ভোগডাঙ্গায়   বর্তমান   চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ও হলোখানায় বর্তমান চেয়ারম্যান উমর ফারুক ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র   প্রার্থী   নুরুজ্জামান বুলু  চশমা  প্রতীক নিয়ে   বিজয়ী   হয়েছেন।   এছাড়াও   রাজারহাট   সদরে এনামুল  হক,   বিদ্যানন্দে   তাইজুল   ইসলাম,   নাজিমখানে   আব্দুল   মালেক পাটোয়ারী,   উমর মজিদে   মোহাম্মদ   আলী   সরদার,   ঘড়িয়াল ডাঙ্গায় রবীন্দ্রনাথ কর্মকার ও চাকিরপশার ইউনিয়নে জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী মুসাদ্দের আলী সুমন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে, শিমুলবাড়ীতে আওয়ামী লীগের এজাহার আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং বড়ভিটা ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী খয়বর আলী মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন।

ময়মনসিংহ

জামালপুর(মাদারগঞ্জ,  বকশীগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১০ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৯, বিএনপি ০, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১।

মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটায় আ’লীগের আলতাবুর রহমান আতা, গুনারীতলায় আ’লীগের জয়নাল আবেদীন আয়না, কড়ইচড়ায় আ’লীগের মোজাম্মেল হক বাচ্চু, সিধুলীতে আ’লীগের মাহবুব আলম মিরন, বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচরে আ’লীগের সেলিম রেজা সিদ্দিক, ধানুয়া কামালপুরে স্বতন্ত্র মোস্তফা কামাল, মেরুরচরে আ’লীগের জাহিদুল ইসলাম জেহাদ, নীলক্ষিয়ায় আ’লীগের নজরুল ইসলাম সাত্তার, সাধুরপাড়ায় আ’লীগের মাহমুদুল আলম বাচ্চু এবং মেলান্দহ উপজেলার দুরমুতে আ’লীগের সৈয়দ খালেকুজ্জামান জুবেরী।

শেরপুর: (সদর ও ঝিনাইগাতী উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১০ ইউপি, নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১০ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৯, বিএনপি ০, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১।

সদরের গাজীর খামারে আ’লীগের আওলাদুল ইসলাম আওলাদ, বাজিতখিলায় আ’লীগের আমির আলী সরকার, পাকুরিয়ায় আ’লীগের হায়দর আলী, ধলায় আ’লীগের রইস উদ্দিন টিক্কি, ভাতশালায় আ’লীগের রফিকুল ইসলাম, রৌহায় স্বতন্ত্র শফিকুল ইসলাম মিজু, ঝিনাইগাতী উপজেলার ঝিনাইগাতী সদরে স্বতন্ত্র মোফাজ্জল হোসেন চাঁন, কাংশায় আ’লীগের জহুরুল হক, ধানশাইলে আ’লীগের শফিকুল ইসলাম, নলকুড়ায় আ’লীগের আইয়ুব আলী ফর্সা, গৌরীপুরে আ’লীগের হাবিবুর রহমান মন্টু, হাতিবান্ধায় আ’লীগের নূরল আমিন দোলা এবং মালিঝিকান্দায় স্বতন্ত্র নূরুল ইসলাম তোতা। সূত্র-আমাদের সময়.কম

সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাসী হাকিম গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে হাজী ইয়াছিনের সক্রিয় সহযোগী সেই ১০ সন্ত্রাসীর এক সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজ ও মাদক পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা হাকিম ওরফে কালা হাকিম (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার (৩ মে) দিবাগত ভোর রাতে মিজমিজি আবদুল আলীপুল এলাকা থেকে এস আই ওমর ফারুক তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত হাকিম দূধর্ষ অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী দলের প্রধান ও মাদারীপুর জেলার মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে। সে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার ক্যাডার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ও অস্ত্র ভান্ডারের নিয়ন্ত্রণকারী এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে ধনুহাজী রোডের মাথার আক্তার ফার্নিচারের মালিক ও সিদ্ধিরগঞ্জের মাদকের ডিলার আক্তারের অন্যতম ব্যবসায়ী পার্টনার । পুলিশ হাকিমকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মু: সরাফাত উল্লাহ জানান, হাকিম এক জন চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। সে সাহেবপাড়া,কান্দাপাড়া, মিজমিজি, মৌচাক ,ধনুহাজী রোড ও পাইনাদী এলাকায় চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি সাহেবপাড়া এলাকায় হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। না দিলে তাকে মারধর করে। ওই ঘটনায় ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির একটি চাঁদাবাজির মামলা করে। যানং ২৩। সে ঐ মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী। এ মালায় অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ওই চাঁদাবজির মামলায় তাকে গ্রেফতার করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবেনা। সে যেকোন দল বা ভাইয়ের লোক হউক। একটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক মুক্ত সিদ্ধিরগঞ্জ উপহার দিতে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
একটি সূত্র মতে জানা যায়, গত ২ মাস আগে মাদারীপুর জেলা ডিবি পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেফতার হয় হাজী ইয়াছিনের ৫ ক্যাডার ইয়াছিন আরাফাত রাসেল, রোকন মিয়া, লিটন, মনির ও হাকিম। পরে মাদারীপুর জেলা ডিবির একটি টিম অস্ত্র উদ্ধারে সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি ইয়াছিন বাহিনীর ক্যাডার রাসেলের বাড়িতে অভিযান চালায়। ডিবি পুলিশের অভিযানের আগেই রাসেলের বাড়ি থেকে অস্ত্র অন্য জায়গায় সরিয়ে পেলে আনোয়ার । এদিকে ইয়াছিন হাজীর সেনাপতি ক্যাডার বাহিনীর প্রধান আনোয়ার হোসেন আশিক মাদারীপুর গিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইয়াছিন আরাফাত রাসেল, রোকন মিয়া, লিটন, মনির নামের ৪ ক্যাডারকে ৩৪ ধারায় চালান দিয়ে আদালত থেকে ছাড়িয়ে আনে। কিন্তু হাকিমকে ডিবি পুলিশ মামলা দিয়ে চালান দেয়। ১৫ দিন জেল খেটে জামিন নিয়ে আবার সিদ্ধিরগঞ্জে এসে ইয়াছিন হাজীর ক্যাডার বাহিনীতে যোগদেয়। এবং ১১এপ্রিল সাহেব পাড়া ব্যবসায়ী হুমায়নের বাড়িতে চাঁদার দাবিতে হামলা করে। এছাড়াও গত ১ মে সন্ধ্যায় হাকিম চক্রের শাহরিয়ার রহমান রাব্বিকে পুলিশ ৫‘শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করে।হাকিমের কর্মচারী জনি ওই ইয়াবাগুলো রাব্বিকে দিয়েছিল বলে জানা গেছে। অপরদিকে একই রাত ৭ টায় এসআই আবুল কালাম আজাদ মিজমিজি ধনুহাজী রোড এলাকা থেকে হাকিমের কর্মচারী ইয়াবা সরবরাহকারী জনিকে একটি চুরির মামলায় গ্রেফতার করেছে। জনি ওই এলাকার কালু মিয়ার ছেলে। হাকিমের এক ভাই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাজি করার কারনে মাদারীপুর জেলা পুলিশের সাথে ক্রসফায়ারে মারা যায়। এ ঘটনার পর থেকে হাকিম পালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে এসে মৌচাক এলাকার একটি মটরসাইকেল গ্যারেজ দিয়ে ধনুহাজী রোডের আক্তার ফার্নিচারের মালিক শীর্ষ মাদকের ডিলার আক্তারের সাথে সিন্ডিকেট করে মাদক পাচার ও ছিনতাইকারী বাহিনী গড়ে তুলে। সে ব্যবসার অন্তরালে অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করতো বীরদর্পে। পরে আনোয়ার হোসেন আশিকের সাথে পরিচয় হয়ে হাজী ইয়াছিন মিয়ার ক্যাডার বাহিনীতে যোগ দেয় এবং অস্ত্র ভান্ডারের নিয়ন্ত্রণকারী হয়ে যায়।