না’গঞ্জে অভিনব কৌশলে প্রবেশ করছে

90

 
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মাদক মজুদ করতে শুরু করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মাদকের চালান প্রবশে করছে নারায়ণগঞ্জে। কিছু কিছু মাদকের চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হলেও বেশীর ভাগ চালানই নিরাপদে চলে যাচ্ছে নিদিষ্ট স্থানে। একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে। মাদব ব্যবসা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকলেও মাদক ব্যবসায়ীরা অভিনব কৌশলেই মাদকের চালান নিয়ে আসছে। সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসার সাথে রাজনীতিক, সাংবাদিক কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতাও রয়েছে। ফলে তাদের সহায়তাই জেলার বিভিন্ন স্থানে নিদিষ্ট সময়ে মাদক চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছু সদস্য, রাজনৈতিক দলের নেতা,ক্যাডার ও কিছু কথিত সাংবাদিকরা জড়িয়ে যাওয়ায় অনেকে প্রতিবাদ জানাতে সাহস পাচ্ছে না। অনেক সময় প্রাবাদকারীরা নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে মাদক ব্যবসা নিমূর্লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি গণসচেতনতা বৃদ্ধির দাগিত দিয়েছেন অপরাধ বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, মাদক ব্যবসায়ী প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নির্ভর হলেই চলবে না, এ ক্ষেত্রে সমাজের দায়িত্বশীল সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সূত্রমতে, নারায়ণণগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয় রয়েছে। ঈদকে ঘিরে মাদকের বড় চালান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে মাদকের বড় চালান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অধিক সতর্কতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে মাদকের ছোট বড় চালান আটক হলেও তা অনেক মাদক প্রবেশের তুলনা অনেক কম। সূত্রের দাবি, মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক প্রবেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সহায়তা করছে। এর সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য, কথিত সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতা ও ক্যাডার জড়িত রয়েছে। তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় মাদক ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে। পর্দার আড়াল থেকে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির অনেক নেতা। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ভদ্র মুখোর কিছু প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পরেছে বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। যে কারণে অনেক সময় মাদক বিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও অসহায় হয়ে পরে।
বিভিন্ন সূত্রে ও অনুসন্ধানে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জে প্রবেশের ক্ষেত্রে নদী, সড়ক ও রেলপথের সুবিধা থাকায় রুট পরিবর্তন করে সহজেই নারায়নগঞ্জে মাদক দ্রব্য প্রবেশ করছে। রাতের আধারে কিংবা নিরব সময়েই নারায়ণগঞ্জের নিদিষ্ট স্থানগুলোতে মাদক চলে যাচ্ছে। কিছু সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও কিছু করার থাকে না। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিনব কৌশলে মাদকের চালান চলে যাচ্ছে। নিদিষ্ট স্থানে মাদক পৌছে দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে নারী,শিশু, কিশোর এবং সুন্দর তরুনীদের। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের অনেক প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায় মাদক প্রবেশ করছে। সূত্র জনায়, জেলার রূপগঞ্জ, সোনারগা, আড়াইহাজার,বন্দর,সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লার পাশপাশি শহরে অভিনব কৌশলে চলছে মাদক ব্যবসা। শহরের গলাচিপা, শীতলক্ষ্যার মোড়, নিতাইগঞ্জ ও সৈয়দপুরে একাধিক সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসা চালিয়োচ্ছে। এছাড়া মাসদাইর এলাকা যেন মাদকের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে। শহরের শীতলক্ষ্যা মোড়,নিতাইগঞ্জ এলাকায় স্থানীয় এক কাউন্সিলরের সহযোগীতায় মাদক ব্যবসা হচ্ছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে। এই এলাকায বিটু নামে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর সাথে ওই কাউন্সিলরের মাদক ব্যবসার বিরোধ এখন অনেকটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অন্যদিকে, ফতুল্লা পাইলট স্কুল, খোঁজপাড়া, ষ্টেশন, তক্কার মাঠ এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে মাদক বেচাকেনা। বক্তাবলী এলাকা মাদক ব্যবসার জন্য নিরাপদ জোন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে ওই এলাকার একাধিক সূত্রে জানাগেছে। অপরাধ বিজ্ঞানীদের মতে, ঈদকে ঘিরে যে ভাবে মাদক মজুদ হচ্ছে তা রূখতে এখনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজের সচেতন মানুষকে একযোগ কাজ করতে হবে। অন্যথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একক প্রচেষ্টা মাদক প্রবেশ ও ব্যবসা প্রতিরো করা সম্ভব না।