৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 124

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আর নেই।

নিউজ প্রতিদিন: জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আর নেই (ইন্না … রাজিউন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সকালে নিজের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রামে (বর্মানে বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে গায়ক, লিডগিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, প্লেব্যাক শিল্পী। এলআরবি ব্যান্ড দলের লিড গিটারিস্ট এবং ভোকাল বাচ্চু বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের একজন। এর আগে তিনি দশ বছর সোলস ব্যান্ডের সাথে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
সঙ্গীতজগতে তাঁর যাত্রা শুরু হয় ফিলিংসের মাধ্যমে ১৯৭৮ সালে। অত্যন্ত গুণী এই শিল্পী তাঁর শ্রোতা-ভক্তদের কাছে এবি নামেও পরিচিত। তাঁর ডাক নাম রবিন। মূলত রক ঘরানার কণ্ঠের অধিকারী হলেও আধুনিক গান, ক্লাসিকাল সঙ্গীত এবং লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন।

ঢাকা বিমানবন্দর ফতুল্লার ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক

নিউজ প্রতিদিন: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী একটি ফ্লাইটের দুই যাত্রীর পেট থেকে বিশেষ উপায়ে ৭৬ পোটলা ইয়াবা উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। ওই দুই যাত্রী হচ্ছেন শফিকুল ইসলাম (২৩) এবং মো. নাহিদ হোসেন (২৫)। বুধবার ভোরে তাদের কাছ থেকে পোটলাগুলো উদ্ধার করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (এডি) খোরশিদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুই যাত্রীর কাছ থেকে পোটলা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ইয়াবা গণনা এখনও শুরু হয়নি। এগুলোর কোনটায় ৪০-৪৪ পিস আবার কোনটায় ৫০ পিস ইয়াবা রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) রাতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-১৪২ নম্বর ফ্লাইটের ২৪-এ এবং ২৪-ব নম্বর সিটে ঢাকায় আসে ওই দুই যাত্রী। উভয়ের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মুসলিমনগর গ্রামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফ্লাইটটি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় অবতরণের পর থেকে তাদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি করা হয়। তাদের কাছে ইয়াবা আছে কিনা-জানতে চাইলে তারা তা অস্বীকার করে।

পরে শমরিতা হাসপাতালে তাদের এক্স-রে করা হলে পেটের ভেতর ইয়াবাভর্তি বেশ কয়েকটি পোটলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাদের কলা, রুটি, জুস খাওয়ানোর পর বিশেষ উপায়ে ইয়াবাগুলো বের করে আনা হয়।

বক্তাবলীর মধ্যনগরের মাদক সম্রাট হালিম এখনও অধরা!

স্টাফ রিপোর্টারঃ ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী এলাকার মধ্যনগর গ্রামের মৃত সেকান্দরের ছেলে হালিমের মাদক ব্যবসা এখন জমজমাট।মাদক সম্রাট রহিম বাদশা গ্রেফতার হওয়ার পর নব্য মাদক সম্রাট হালিম বিভিন্ন বয়সী মাদক ব্যবসায়ীদের দিয়ে বক্তাবলীর বিভিন্ গ্রামে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানায়। নব্য মাদক সম্রাট হালিম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতি অল্প দামে ফেন্সীডিল,ইয়াবা ও গাজার মতো মাদক বক্তাবলী এলাকায় বিক্রী করছে মৃত সালাম মিস্ত্রীর ছেলে মো. আনিস ও রফিকুলের ছেলে মো. শান্তর মাধ্যমে। নব্য মাদক সম্রাট হালিম একই এলাকার আনিস ও শান্তর মাধ্যমে বক্তাবলী এলাকার রামনগর গ্রামের বিসমিল্লাহ মার্কেট, লক্ষীনগর গ্রামের তারু মার্কেট,প্রসন্ননগর গ্রামের খাজা মার্কেট,রাজাপুর, মধ্যনগর, রাজনগর, গোপালনগর,কানাইনগর,রাধানগর সহ আশেপাশের এলাকায় দুপুর ও সন্ধার পর অবাধে মাদক বিক্রী করে। আবার অনেক মাদক সেবীরা মধ্যনগর বাজার থেকে এসব মাদকদ্রব্য ক্রয় করে থাকে হালিমের কাছ থেকে। হাত বাড়ালেই অতি সহজে মাদক পেয়ে যাওয়ায় মাদক সেবীর সংখ্যা এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মাদক সেবন করে ধ্বংস হচ্ছে বক্তাবলীর এলাকার যুব সমাজ। বক্তাবলীর যুব সমাজকে মরণ নেশা মাদকের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য এলাকার আতংকিত অভিভাবক মহল ঊর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছে।
এ ব্যাপারে বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী শওকত আলী বলেন,আমি নিজে মাদকের বিরুদ্ধে এলাকার যুব সমাজকে রক্ষা করার দায়িত্ব সকলের। এক সময় বক্তাবলী মেধাশূন্য হয়ে পড়বে মাদকের কারনে। এজন্যই এলাকার যুব সমাজকে রক্ষ করার জন্য সকলকেে এগিয়ে আসতে হবে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)শাহ মঞ্জুল কাদের (পিপিএম)বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে। আমরা রুটিন মাফিক বক্তাবলীতে অভিযান চালাবো। দেশ উন্নত হচ্ছে যুব সমাজ মাদক সেবন করে ঝিমুবে তা হতে পারেনা।

নরসিংদীর শেখেরচরে ‘গর্ডিয়ান নট’ সমাপ্ত ২ জঙ্গীর লাশ উদ্ধার

ডেস্ক নিউজ: নরসিংদীর শেখেরচরের জঙ্গি আস্তানায় সোয়াত টিমের অপারেশন ‘গর্ডিয়ান নট’ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আস্তানা থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন সোয়াত ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর প্রধান মনিরুল ইসলাম।


তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে তারা নব্য জেএমবির সদস্য। তবে তারা পুলিশের গুলিতে মারা গেছে নাকি আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
এর আগে নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও পুলিশ সদরদপ্তরের ল ফুল ইন্টারসেপশন সেলের (এলআইসি) সদস্যরা সোমবার রাত ৯টার দিকে জঙ্গি আস্তানার সন্দেহে ওই বাড়ি দুটি ঘিরে ফেলে। পরে র্যাব তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। মঙ্গলবার ভোরে সোয়াট সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়।

নারায়ণগঞ্জে ৭টি ফার্মেসীকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

ফতুল্লা প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রান কেন্দ্রে ৭টি ফার্মেসীকে ভিবিন্ন অপরাধে এক লাখ ৮০হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) হোসনে আরা বিনা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শামসুল আরেফীনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

এদিন রাতে সদর উপজেলা কার্যালয়ে ইউএনও হোসনে আরা বিনা সাংবাদিকদের জানান, শহরের চাষাঢ়া ও চারারগোপ এলাকায় পৃথক দুটি ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়।

এসময় ঔষধের দাম বেশি রাখা, মেয়াদ উর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রি, লাইসেন্স না থাকার অপরাধে লক্ষী ফার্মেসী, শিরিন ফার্মেসী, লার্জ ফার্মা, উজ্জল ফার্মেসীসহ ৭টি ফার্মেসীকে মোট এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময় বিপুল পরিমানের নিষিদ্ধ ও মেয়াদ উর্ত্তীণ ঔষধ জব্দ করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আলোকিত বক্তাবলীর ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:  আলোকিত বক্তাবলীর গঠনতন্ত্রের ধারা-২১ মোতাবেক নিয়মিত কার্যনির্বাহী কমিটির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। সংগঠণের আহ্বায়ক মাশফিকুর রহমান শিশির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা হলেন- নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট এফ.এম. কবির হোসেন এবং সহযোগী নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ দেলোয়ার ও সোহরাব ভূইয়া। গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা করবেন।

একজন সাংবাদিক সর্বদা একা!

মাজহারুল ইসলাম রোকনঃ একজন সাংবাদিক সর্বদা একা! মনে রাখা উচিত তার আপন বলতে পরিবারের সদস্য ছাড়া আর কেউ নেই! ১১ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় সেটাই মূল্যায়ন!

রাজনীতিবিদ তার প্রয়োজনে আপনাকে ব্যবহার করবে! প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তার সামনেই যাওয়া যাবেনা! বিপদের সময় চেয়ার এগিয়ে দিবে। কিন্তু সে যখন বড় চেয়ারের মালিক হবেন তখন আপনি তার সামনেও যেতে পারবেন না। কথায় তখন তাদের আগুনের ফুলকি ঝড়বে। মুখের কথায় তারা এক কাপ চা কফি খাইয়ে সাংবাদিক পটাতে পটু! বিবেক বলতে তাদের ভিতরে একটাই মুখের কথায় বিনামূল্যে সেবা নেয়া! কিছু রাজনীতিক আছে তার জন্য বিনা ফিতে সারা বছর শ্রম দিলাম কখনো পাচশো টাকা হাতে ধরায়নি বাট সে মনে করে অন্য রাজনীতিকেরা হাত ভরে দিচ্ছে! অদ্ভুদ ব্যাপার।

অভিজ্ঞতা থেকে বলি, ২০১৩ সালে বহু বিএনপির নেতাদের হুমকি ধমকি পেয়েছিলাম যাদের বহু মিটিং মিছিলের নিউজ বিনা পারিশ্রমিকে করেছিলাম! কারন তাদের ভাবখানা এমন ছিল ২০১৪ সালেই তারা ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন। তবে ২০১৩ সালের আগে খুব কদর পেয়েছিলাম তবে জাস্ট মুখের কথায় আর চা কফিতে। আবারো চেয়ারের সম্ভাবনা দেখলে হুমকি ধমকি আসবে জানি। আজকে কোর্টে এক ভদ্র লোক বললেন তারা ক্ষমতায় আসলে সাংবাদিকদের এটা ওটা করে দিবেন। কিন্তু দুইজন সাংবাদিক একদিন এসেছিলাম তার কাছে একটা বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কিছু টাকা কমিয়ে রাখতো। কিন্তু তার ভাই অধ্যক্ষ তাকেই ফোন করে হাজার দুয়েক টাকা কমাতে বলেননি।। তাই হুট করেই সাথে সাথেই স্মরণ করিয়ে দিলাম সেই কথাটি, যে সামান্য কলটাই করেননি আর ক্ষমতায় আসলে সাংবাদিকদের জন্য এটা ওটা করবেন!

পুলিশের ক্ষেত্রে এমন- যে পর্যন্ত আপনি তার দুর্নীতির ঘটনার সংবাদ প্রচার করতে না পারবেন সে পর্যন্ত আপনাকে সে তিরস্কার করবে। ভয় ভীতি দেখাবে। তার কুকর্ম প্রকাশ করার পর তার কাছে আপনার কদর বেড়ে যাবে! আর ভাল পুলিশ কর্মকর্তারা কাজের ক্ষেত্রে ভাব দেখাবেনা আপনাকে সহযোগীতা করবেন। কোথাও কোন দায়িত্ব পালনে গেলে অহেতুক পুলিশ কার্ড দেখতে চাইবে। কার্ড নিয়ে পুলিশেরা হাতাহাতি করবে এটা ভূয়া নাকি আসল। আর পুলিশ তার প্রয়োজনে আপনাকে ম্যানেজ করে রাখবেন এবং আপনাকে তাদের পাচাটা দালাল বানিয়ে রাখবে। আপনি অন্যের পক্ষে তদবির করতে যাবেন তখন তদবির রাখবে। কিন্তু আপনি নিজে যখন বিপদে পড়বেন তখন আপনাকে সে চিনবেইনা।

সারাদিন সারা বছর সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ কষ্ট যন্ত্রনা বিপদে আপদে কিংবা রাস্তা সংস্কারে, নৌ পথে, রেলপথে মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য আপনি ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন। কিন্তু আপনার বিপদে একজন সাধারণ মানুষকেও পাশে পাবেন না। বরং কোন সন্ত্রাসি আপনার উপর হামলা করলে আমজনতা না বুঝে না জেনেই মারধর শুরু করবে। আর তারা মনে করে সাংবাদিকেরা কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে। জনগণ দুএকজন কোটিপতি সাংবাদিকের উদাহরণ টেনে মনে করে সব সাংবাদিক কোটিপতি। পাবলিক মনে করে যে সাংবাদিক লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে সেই বড় সাংবাদিক। যে পেটে পিঠে খেয়ে চলে সে ভূয়া সাংবাদিক। তাদের ধারনা টাকা কামাতে পারেনা সে কিসের সাংবাদিক। যেমন কদিন আগে এক লোক আমার হাতে দেড় হাজার টাকার মোবাইল দেখে বললো আপনি কিসের সাংবাদিক, মনে হয় ভূয়া। নতুবা সাংবাদিকের মোবাইল দেড় হাজার টাকার হয় নাকি?

আরেক ধরনের পন্ডিত লোকজন আছে যারা সাংবাদিকতা সম্পর্কে সও বুঝেনা। কিন্তু এমন ধরনের মন্তব্য করবে মনে হয় সে সাংবাদিকতায় পিএইচডি করেছিল। উদাহরণস্বরুপ বলি, ক বছর আগে, এক লোক আমাকে বললো কিরে তুই নাকি সাংবাদিক? তখন তার পাশেই দাড়ানো একজন বললো, সে তো সাংবাদিক হতে পারেনি, রিপোর্টার সে!

আরেক ধরনের পন্ডিত আছে, বলবে কিরে তুই কোন টিভির সাংবাদিক? তাদের ধারনা টিভিতে কাজ যারা করে তারাই সাংবাদিক। আর পত্রিকার কথা বললে বলবে এ পত্রিকা সরকারি নাকি বেসরকারি? আরেকদল আছে, যাদের কাছে স্থানীয় পত্রিকার নাম বললে বলে এগুলো ভূয়া পত্রিকা। সরকারি না! কয়েক বছর আগে ডান্ডিবার্তায় কাজ করতাম। এক বন্ধু হটাত বললো কিরে তোরে দেখলাম মিছিলের নিউজ করতাছচ? তো কোন পত্রিকার সাংবাদিক? আমি বললাম, ডান্ডিবার্তা। সে তো পুরো চমকে গেল। বললো এমন পত্রিকার নামও শুনিনি। এগুলো মানুষ তো পড়েনা। পোলাপানের গু মুত ফালায়। অথচ ডান্ডিবার্তা জেলার বহুল প্রচারিত পত্রিকা। সে নিজেও জীবনে কোন পত্রিকা পড়েছিল কিনা সন্দেহ হয়। একজন সাংবাদিক সবচেয়ে বেশি সাধারণ জনগণের পক্ষে ভুমিকা রাখে অথচ একজন সাংবাদিক কখনই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যথেষ্ট সম্মানটা পায়না। নানা তিরস্তারের শিকার হন।

ইদানিং ফেসবুকে কিছু পন্ডিতের আভির্ভাব যারা অনলাইনের নিউজগুলোর শিরোনাম দেখেই কমেন্টস করে পান্ডিত্য দেখায়। কোন নেতার অপকর্মের সংবাদ লিখলে তা নেতার বিপক্ষে গেলে কর্মীরা টানবাজারের ভাষাও ব্যবহার করে। একেকজন জ্ঞানের ভান্ডার সেটা বুঝাতে নানান অশ্রাব্য ভাষায় কমেন্টস করে।

ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম জহিরুল ইসলাম ভাই বললেন, সাংবাদিকতা হলো রাজমিস্ত্রির মতন। রাজমিস্ত্রি একটি ভবন তৈরি করে কিন্তু ভবন তৈরির পর সেই ভবনে রাজমিস্ত্রি প্রবেশ করতে পারেনা। ঠিক তেমনি সাংবাদিকেরা একজনকে চেয়ারে বসাতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে কিন্তু সেই ব্যক্তি চেয়ারে বসার পর ওই সাংবাদিকের জন্যই প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ! সুতরাং Now give and take. শ্রম দাও পারিশ্রমিক নেও! কারন ভবিষৎে তোমার জন্যও প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ থাকতে পারে!

বিঃ দ্রঃ এখানে প্রতিটি ঘটনা যেমন ঘটে আবার তাদের দ্বারা পজেটিভও পাওয়া যায়। বাট আমি একটা শ্রেণিদের নিয়ে বাস্তবতা তুলেছি। ম্যালথাসের তত্ত্ব যেমন পক্ষে বিপক্ষে যু্ক্তি ছিল এখানেও থাকবে। এসব জাস্ট আমার পর্যবেক্ষণে পাওয়া। কেউ এসবের পজেটিভও পেয়ে থাকতে পারেন।

লেখকঃ সংবাদকর্মী

নরসিংদীর ২ জঙ্গি বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

নরসিংদীর মাধবদীতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা দুটি বাড়ির আশপাশের এলাকায় মাইকিং করে সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা।

মঙ্গলবার সকাল থেকে স্থানীয় জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় মাইকিং করে এলাকাবাসী ও সাংবাদিকদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান নরসিংদী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান।

এদিকে  ঢাকা থেকে সোয়াতের একটি দল এসে সদর উপজেলার শেখেরচরের দিঘিরপাড় চেয়ারম্যান বাড়ি সড়কে অপর বিল্লাল মিয়ার সাত তলা বাড়িতে প্রবেশ করেছেন।  সেই বাড়িতে অবস্থানরত সকল বাসিন্দাদের নামিয়ে নেয়া হয়েছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযান শুরু হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

এর আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবপুর সার্কেল) থান্ডার খায়রুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, সাত তলা বাড়িটির এক তলা থেকে তিন তলা পর্যন্ত মিততাহুল জান্নাহ হমিলা মাদ্রাসা।

আমরা গোপন সূত্রে তথ্য পেয়েছি বাড়িটির ৭ তলার একটি বাসায় ৭ জন জঙ্গি অবস্থান করছে। এরই ভিক্তিতে পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ১৫০ জন সদস্য যৌথভাবে এই অভিযান চালাচ্ছে।

এছাড়া শেখেরচরের দিঘিরপাড় চেয়ারম্যান বাড়ি সড়কের আরেকটি বাড়িতেও জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে, বলেন ওই কর্মকর্তা।

এদিকে রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের নিরাপদ দূরত্বে থেকে দায়িত্ব পালন করতে বলেন।

পুলিশ জানায়, আস্তানাগুলোতে জঙ্গি রয়েছে এটা নিশ্চিত হয়েই এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এখন ভেতরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে সম্পাদক পরিষদের ৭ দফা।

এম এম হাসান:ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা সংশোধন করতে ৭ দফা দাবি জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে এসব দাবি তুলে ধরেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আনাম।

মানববন্ধনে অংশ নেন বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত ১৬ জন সম্পাদক। মাহফুজ আনাম বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি পাস হওয়ার আগ থেকে আমরা এর বিভিন্ন ধারা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। আমরা মনে করি, এই আইনটি স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের পরিপন্থি। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধী নই। কিন্তু বর্তমান এই আইনটি শুধু সাইবার জগতে নয়, স্বাধীন গণমাধ্যমেরও পরিপন্থি। আমরা চাই, আগামী সংসদ অধিবেশনে এই আইনটি সংশোধন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করা হোক।’

দাবি সমূহ হলো- ১. সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতা সুরক্ষার লক্ষ্যে এ আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা অবশ্যই যথাযথভাবে সংশোধন করতে হবে।

২. এসব সংশোধনী বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনে আনতে হবে।

৩. পুলিশ বা কোনো সংস্থার মাধ্যমে কোনো সংবাদ মাধ্যম তল্লাশি চালানোর ক্ষেত্রে তাদেরকে শুধু নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু আটকে দেয়ার অনুমতি দেয়া যাবে, কিন্তু কোনো কম্পিউটার ব্যবস্থা বন্ধ করার অনুমতি দেয়া যাবে না। তারা তখনই প্রকাশের বিষয়বস্তু আটকাতে পারবে যখন সংশ্লিষ্ট সাংবাদ প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে কেন ওই বিষয়বস্তু আটকে দেয়া উচিত। সে বিষয়ে যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারবে।

৪. কোনো সংবাদ মাধ্যমের কম্পিউটার ব্যবস্থা আটকে দেয়া বা জব্দ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আদালতের আগাম নির্দেশ নিতে হবে।

৫. সংবাদ মাধ্যমের পেশাজীবীদের সাংবাদিকতার দায়িত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধের ক্ষেত্রে প্রথমেই আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করতে হবে, এবং সংবাদ মাধ্যমের পেশাজীবীদের কোনো অবস্থাতেই পরোয়ানা ছাড়া বা যথাযথ আইনি পক্রিয়া অনুসরণ ছাড়া আটক বা গ্রেফতার করা যাবে না।

৬. সংবাদ মাধ্যমের পেশাজীবীর দ্বারা সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা তার প্রাথমিক তদন্ত প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে করা উচিত। এ লক্ষ্যে যথাযথভাবে প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করতে হবে।

৭. বর্তমান সরকারের পাস করা তথ্য অধিকার আইনকে দ্ব্যর্থহীনভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওপর প্রাধান্য দেয়া উচিত। এ আইনে নাগরিক ও সংবাদ মাধ্যমের জন্য যেসব স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে সেগুলো সুরক্ষা অত্যাবশ্যক।

সাত দফা দাবি উত্থাপনের পর তিনি ১০ মিনিটের মানববন্ধন কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। মানববন্ধনে অংশ নেন- মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনিরুজ্জামান, করতোয়া সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত, যুগান্তর-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, সমকাল-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ইনডিপেনডেন্ট সম্পাদক এম শামসুর রহমান প্রমুখ।

টকশোতে মিথ্যা বললে ৩ বছরের কারাদন্ড ৫ কোটি টাকা জরিমানা।

গণমাধ্যমের লাইসেন্স প্রদান ও বাতিলের একচ্ছত্র ক্ষমতা দিয়ে সাত সদস্যের কমিশন গঠনের বিধান যুক্ত করে সম্প্রচার আইন ২০১৮-এর অনুমোদন দিয়েছে সরকার।আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আইনটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

শফিউল আলম জানান, প্রস্তাবিত আইনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাষ্ট্রপ্রধানের ব্যাপারে বিকৃত তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রকাশের দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ কোটি টাকার জরিমানার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া টকশোতে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচার করলে একই সাজার কথা বলা আছে এই আইনে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইন অনুযায়ী আদালত কর্তৃক দুই বছরের দণ্ড পাওয়া কোনো ব্যক্তি অথবা বিকৃত মস্তিষ্ক ও দেউলিয়া ঘোষিত কোনো ব্যক্তির মালিকানায় গণমাধ্যম প্রকাশিত হলে সাত বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা হবে।

শফিউল আলম বলেন, সম্প্রচার কমিশন গঠনের জন্য প্রথমে পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। পরে রাষ্ট্রের উপযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সাতজনকে নিয়ে কমিশনটি গঠনের সুপারিশ করবে এই সার্চ কমিটি। গঠিত ওই কমিশন উপযুক্ততার ভিত্তিতে দেশের রেডিও, টেলিভিশন, অনলাইনসহ সব ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে লাইসেন্স দেবে। কোনো কারণে লাইসেন্স বাতিল করতে হলেও, সেটা করতে পারবে কমিশন। সরকারের অনুমোদন নিয়ে কমিশন এই দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া গণমাধ্যমগুলোর লাইসেন্স নবায়নও করবে এই কমিশন।’

লাইসেন্স কী কী কারণে বাতিল হতে পারে এবং কত বছর পরপর লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে আইনটিতে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। পরে বিভিন্ন বিধিতে এগুলো যুক্ত করা হবে।’

শফিউল আলম আরো জানান, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি করতেও অনুমোদন দেবে এই কমিশন। এ ছাড়া গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে কমিশন তার নিষ্পত্তি করবে। সূত্রঃ এনটিভি