বর্তমান প্রক্রিয়ায় কোনো ভাবেই প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
তিনি বলেন, আমাদের এমন কোনো প্রক্রিয়ায় যেতে হবে যেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ থাকবে না। আর এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি দ্রুত আমরা এমন কোনো প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করতে পারবো।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রালয়ে প্রশ্নফাঁস নিয়ে আদালতের দেওয়া নির্দেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষা সচিব এসব কথা বলেন।

আজ এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের তদন্ত করার জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রশ্নফাঁস রোধে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সোহরাব হোসাইন বলেন, আদালত যে আদেশ দেবে আমরা অবশ্যই তা পরিপূর্ণভাবে পালন করবো। মন্ত্রী মহোদয় আসার পর আমরা পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করব।
শিক্ষা সচিব বলেন, পাবলিক পরীক্ষা যথাযথ পরিচালনা করা এককভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। আগেও কখনো সম্ভব হয়নি। এখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আরও বিভিন্ন উইং যুক্ত।
সোহরাব হোসাইন বলেন, ইন্টারনেট সুবিধা থাকায় যারা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত তারা দ্রুত ও সহজে কাজটা করতে পারছে। মুর্হুতের মধ্যে একটি জায়গায় প্রশ্ন ফাঁস হলেই তা ছড়িয়ে যাচ্ছে। নেটের কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে তা নয়। বরং যেখানেই প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে তা দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। আর এই নেট যদি না থাকতো তাহলে এতো দ্রুত ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ছড়িয়ে যেত না।
শিক্ষা সচিব বলেন, এখন যে পরিস্থিতি সেই পরিস্থিতিতে সবাই মিলে একটা উপায় বের করতে হবে, যে প্রক্রিয়া প্রশ্ন আউটের কোনো ব্যাপার থাকবে না। সেই প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করার জন্য সকলে মিলে এগিয়ে আসতে হবে। সেজন্য মন্ত্রণালয় ও ব্যক্তিগতভাবে আমি কাজ করছি। আমি অবিলম্বে এটি মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে দেব।
সোহরাব হোসাইন বলেন, আমি চাই আগামী বছর থেকে যে পরীক্ষা হবে সেই পরীক্ষা যাতে কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়া হতে পারে সে রকম একটা প্রক্রিয়া আমরা সবাইকে নিয়ে আমরা বের করতে চাই, সে পথে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।











অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবদীন ফারুক, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাবির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ২০ দলের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল করিম, ন্যাপ-ভাসানীর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।