৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 171

সরকার মামলা আতঙ্কে রেখেছে বিএনপির নেতাদের

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিতে গেলে পুলিশের কাজে বাঁধা, পুলিশের উপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং নাশকতায় ঘটনায় পৃথকভাবে পুলিশ বাদী হয়ে তিন থানায় ৪টি মামলা করেছে।

এসব মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৪৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করে করা হয়েছে। আর এ মামলায় রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভার মেয়রসহ ২৬ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাল রোববার বিকেলে পুলিশ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ ও সোনারগা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে পুলিশের গ্রেফতার অভিযানে জেলার বিভিন্ন এলাকার বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেছে। আর পুলিশও বিএনপির নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার পৃথকভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিতে গেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ হামলার ঘটনা ঘটে। এমনকি পুলিশকে লক্ষ্য কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণও ঘটায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।

এ ঘটনায় সোনারগা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। একটি মামলার বাদী হলো এসআই মুজিবুর রহমান ও এএসআই এনামুল হক। আর রূপগঞ্জ থানার দায়েরকৃত মামলার বাদী হলেন এসআই সাব্বির এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বাদী হলেন (এসআই) রফিকুল ইসলাম।

খালেদার জিয়ার রায়েন দিন নজরদারিতে হোটেল, মেস ও ফেইসবুক

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- না ঘটে, সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে মেস ও আবাসিক হোটেল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার রায়ের তারিখ ঘোষণার দিন (২৫ জানুয়ারি) থেকেই মেস ও হোটেলগুলোতে নজরদারি শুরু হয়েছে। পুলিশের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী হোটেলে আগত অতিথিদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে রুম বুকিং দেয়া হচ্ছে কি-না এসব নজরদারি করছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ফেইসবুকে বিভিন্ন পেইজে এবং গ্রুপে ৮ ফেব্রুয়ারিকে নিয়ে কোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা হচ্ছে কি-না সেগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।

গোয়েন্দা সূত্র আরও জানায়, এছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা মেসগুলোতে জড়ো হয়ে সহিংসতা তৈরির চেষ্টা করতে পারেন এমন আভাসে থানাভিত্তিক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। থানা পুলিশ স্ব স্ব এলাকার মেসগুলোতে গিয়ে ভাড়াটিয়া ছাড়া অন্য কেউ থাকছেন কি-না তা নজরদারি করছে। এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের।

নজরদারির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে হোটেলগুলোতে অতিথির নাম-ঠিকানা লেখা, ছবি তোলা, এনআইডি, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি, ফোন নম্বর রাখা ও ফোন দিয়ে নম্বর যাচাই করাসহ ৮টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হোটেলগুলো নির্দেশনামাফিক কাজ করছে কি-না তা নজরদারি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফর্মে দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়িগুলোতে ভাড়াটিয়ারা থাকছেন কি-না সেটিও খেয়াল রাখা হচ্ছে।

এদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সুপার থানার ওসিদের নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- যেসব স্থানে আগে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে, সেসব স্থান চিহ্নিত করা করে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা। থানাসহ পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা বাড়ানো, পুলিশের সব সিসি টিভি ক্যামেরা সচল রাখা, টহল বা অভিযানে পুলিশ সদস্যরা একা না গিয়ে একসঙ্গে টহল দেয়া। নির্দেশনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্যামেরা রাখতে বলা হয়েছে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তারা ছবি তুলে রাখতে পারেন।

জেলা পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা টাইমস নারায়ণগঞ্জকে জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি কোনো সহিংসতার আশঙ্কা করছি না, তবে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এদিন যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা রোধে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কোনোভাবেই অবনতি না হয় সেজন্য পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে নির্দেশনা দেয়া আছে। একইভাবে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম (সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং) বিভাগও সক্রিয় রয়েছে বলে জানান তিনি।

যে কোনো আন্দোলনে বাস-ট্রাকের মতো পরিবহনগুলো আগুনে পুড়িয়ে প্রতিবাদ করে আন্দোলনকারীরা। রায়ের দিন এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে কি-না এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যানবাহন মালিকরা।

নারায়ণগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর অবস্থা মোকাবেলার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এছাড়াও পুলিশ সুপার মহোদয় আমাদের সার্বক্ষনিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয় এ বিষয়ে একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেলক্ষ্যেই প্রস্তুত রয়েছি।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, পুলিশের প্রধান দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। পুলিশ দৃঢ়তার সঙ্গে এ কাজ করে যাচ্ছে। যাতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে সে জন্য কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ।

বক্তাবলীর আল-আমিন ইকবালের প্রতারণার রিপোর্ট প্রকাশিত হল সিঙ্গাপুরের জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে

মাশফীকুর রহমান শিশির: সামান্য নির্মান শ্রমিক থেকে হঠাৎ কোটিপতি বনে যাওয়া বক্তাবলী এলাকার রামনগর গ্রামের মো. আল-আমিন ইকবালের মালিকানাধীন এভারশাইন বহুমূখী সমবায় সমিতি লি. তথা এভারশাইন গ্রুপের দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশিত হলো সিঙ্গাপুরের জাতীয় দৈনিক “দ্য স্ট্রেইট টাইমস” পত্রিকায়। “বাংলাদেশি শ্রমিকরা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে দুশ্চিন্তায়” শিরোনামে পত্রিকাটিতে প্রকাশিত রিপোর্টে প্রতারণার বিষয়টি বিস্তারিত ওঠে এসেছে । “দ্য স্ট্রেইট টাইমস” পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অবলম্বনে মো. আল আমিন ইকবালের দুর্নীতির বিস্তারিত পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।

সিঙ্গাপুরে বেশ কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক তাদের বিনিয়োগ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। বিশ্বাস করে একটি ফার্মে তারা অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন কিন্তু সেখান থেকে এখন আর কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

সিঙ্গাপুর প্রবাসী ২০ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের অভিযোগ, তারা ২ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার যা বাংলাদেশি অর্থে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এভারশাইন গ্রুপ নামে একটি ফার্ম ঢাকায় ‘সিঙ্গাপুর সিটি’ নামে হাউজিং প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বলে এই টাকা নিয়েছে। তাদের অর্থ বিনিয়োগের সময় শেষ হয় গত বছরের শেষ দিকে। এরপর আর প্রতিশ্রুত অর্থ ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না।

বিনিয়োগকারীরা সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইট টাইমসকে জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি হোটেলে ওই কোম্পানি একটি আবাসন মেলার আয়োজন করেছিল। তারা জানিয়েছিল, সিঙ্গাপুর ও ঢাকায় তাদের কার্যালয় রয়েছে। লিটল ইন্ডিয়ায় একটি রেস্টুরেন্টের ভবনের উপর তলায় কোম্পানিটির প্রধানের একটি দোকান ছিল। সেখানেই টাকা জমা দিত প্রবাসীরা।

দ্য স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদক অ চ্যাং উই’কে শ্রমিকরা জানান, তাদের বিনিয়োগের প্রসপেক্টাস, কাজের শিরোনাম এবং টাকা জমা দেওয়ার রশিদও তাদের কাছে রয়েছে।

৩৪ বছরের নাঈম সিঙ্গাপুরের একটি বাগানে মালির কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ওই মালিককে বিশ্বাস করেছিলাম। গ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকায় পরিবারকে স্থানান্তরের জন্যে আমার সব টাকা আমি বিনিয়োগ করেছিলাম।’

‘২০১২ সালে সিঙ্গাপুরের একটি হোটেলে আবাসন নিয়ে একটি রোড-শো অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তার হাতে লিফলেট এবং অন্যান্য প্রচারপত্র ধরিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে একটি নকশায় দেখানো হয় বড় একটি কমিউনিটি সেন্টার থাকবে। এমনকি মেরিলিয়নের মতো একটি ভাস্কর্যও থাকবে সেখানে।’

নির্মাণ শ্রমিক ৪২ বছরের রিফাতও একটি অংশে টাকা বিনিয়োগ করেন। তিনি বলেন, আমি আমার ভালোবাসার দেশে একটি জায়গায় থাকতে চেয়েছিলাম।

এই দুইজনই এভারশাইন বহুমূখী সমবায় সমিতিতে টাকা রাখেন। এখন অবশ্য বোঝা যাচ্ছে এই সমিতি অবৈধ। কারণ সিঙ্গাপুরের সংস্কৃতি, যোগাযোগ এবং যুব মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়নি।
বিনিয়োগকারীরা জনপ্রতি ৬০০ সিঙ্গাপুরি ডলার থেকে ২ হাজার ৪০০ সিঙ্গাপুরি ডলার (৩৭ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা) পর্যন্ত ওই কোম্পানিকে দেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তাদের এই মূলধন দুই বছরে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এভারশাইন গ্রুপে নাঈম ও রিফাত গত তিন বছর ধরে বিনিয়োগ করে আসছিলেন।

তবে সিঙ্গাপুরের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড কর্পোরেট রেগুলেটরি অথরিটির সঙ্গে এই কোম্পানির নাম যাচাই করে জানা যায়, এভারশাইন গ্রুপটি ২০১১ সালে নিবন্ধিত হয়েছিল। তবে, তিন বছর পর এই প্রতিষ্ঠানটি এভারশাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি হিসেবে নতুন নামকরণ হয় এবং মালিকানা পরিবর্তিত হয়। নতুন মালিক বলছেন, তাদের বিনিয়োগের মতো কোনো প্রকল্প নেই।

সিঙ্গাপুরের বাংলা ভাষাভাষীদের পত্রিকা ‘বাংলার কণ্ঠ’র সম্পাদক একেএম মহসিন বলেন, তিনি এই ধরনের অভিযোগ ২০০৯ সালের দিকে শুনেছিলেন। আবারও এমনটা ঘটলো। শ্রমিকরা চিন্তায় আছেন তাদের বহুল কষ্টে অর্জিত অর্থ ফেরত পাবেন কিনা।

বিনিয়োগকারী শ্রমিকরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা এভারশাইন গ্রুপের মালিককে খুঁজে পাচ্ছেন না।তারা কয়েকজন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, সিঙ্গাপুরে বিদেশি সম্পত্তি বিক্রি অবৈধ কিছু নয়।

কয়েকজন শ্রমিক আশা করছেন, তারা তাদের বিনিয়োগ করা অর্থ হয়তো ফিরে পাবেন। কারণ কয়েকজন পেয়েছেন। নাঈম বলেন, কয়েকজন বেশ হৈ-চৈ করার পর ওই ফার্মের মালিকের কাছ থেকে অর্থ ফেরত পেয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এভারশাইন গ্রুপের একজন সাবেক পরিচালক জানান, তিনি শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন এবং সেই অর্থ আবার ফেরত দেওয়ার কাজ করতেন। তিনি বলেন, মালিক আমাকে প্রতি রোববার সাড়ে তিন হাজার সিঙ্গাপুর ডলার (২ লাখ ১৭ হাজার টাকা) দিয়ে তার অফিসে বসাতেন মানুষকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্যে। আমি অনেককেই টাকা ফেরত দিয়েছি।

ফার্মের মালিককে খুঁজতে তার রেস্টুরেন্টে গিয়ে পাওয়া যায় নি। রেস্টুরেন্টের কর্মীরা বলেছেন, তাদের মালিক সিঙ্গাপুরেই রয়েছেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে অফিসে আসছেন না।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা শ্রমিকদের নিয়মিত মনে করিয়ে দিই তারা যেন সিঙ্গাপুরে থাকাকালিন এই দেশের নিয়ম মেনে চলেন। তাদেরকে অবৈধ সমবায় সমিতিতে বিনিয়োগ না করতে বলি। আমরা যখন ডরমেটরিগুলো পরিদর্শন করি তখনও একই কথা বলি।

 

নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত দখল মুক্ত করতে পুলিশের উচ্ছেদ অভিযান

নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ফুটপাত থেকে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দখলদার মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ।
রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়ুম আলী সরদারের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য কাঁচপুর মোড় থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া বাস স্ট্যান্ড এবং কাঁচপুর মোড় থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাস স্ট্যান্ড ও মোগড়াপাড়া বাস স্ট্যান্ড হয়ে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চালায় হয়।
এসময় মহাসড়কের দু’পাশের ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সহস্রাধিক বিভিন্ন দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়ুম আলী সরদার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কিছু ভাসমান ব্যবসায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দু’পাশের ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা করে আসছে। এতে মহাসড়কে যান চলাচলে যানজট সৃষ্টিসহ মহাসড়কে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছিল।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার সিমানা এলাকা হতে অবৈধ দখলদার ও চোরাই তেল ব্যবসায়ীদের দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান করে মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করার লক্ষেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী, আব্দুস সামাদ, সার্জেন্ট মাহবুব, পিএসআই আতাউর রহমান এবং সহকারী উপ-পরিদর্শক কুদ্দুস ও আমিনুলসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।

নারায়ণগঞ্জে মেয়রসহ ১১ বিএনপি নেতা আটক

নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পৌর মেয়রসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা ও থানা পুলিশ। শনিবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকদের মধ্যে রয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র ও বিএনপি নেতা আবুল বাশার বাদশা, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফর মেম্বার, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সামছুল হক সরকার, পৌর বিএনপি নেতা আলমগীর, সোনারগাঁও থানার ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক ও সোহেল।জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিএসবি) সরাফত উল্লাহ এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নাশকতা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে সোনারগাঁওয়ে ১০ জন ও রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভার মেয়রসহ মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জুয়েল ,মোহসীন পরিষদকে দেওয়ান কামাল এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা

নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগের সংগ্রামী সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ হাসান ফেরদৌস জুয়েল সভাপতি ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী পরিষদের নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি দেওয়ান কামাল ও নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগের এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

 

ভয় নেই, বিএনপির সঙ্গে আল্লাহ,সাধারণ জনগন,প্রশাসন-পুলিশ-সশস্ত্র বাহিনী আছে: খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপির কোনো ভয় নেই। বিএনপির সঙ্গে আল্লাহ আছে, প্রশাসন আছে, পুলিশ আছে, সশস্ত্র বাহিনী ও আছে। এ দেশের জনগণ আছে। দেশের বাইরে যারা আছেন, তারা আছেন। কাজেই বিএনপির কোনো ভয় নেই, ভয়টা আওয়ামী লীগের।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উদ্বোধনী পর্বে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার প্রশাসনকে দলীয় নেতা–কর্মীদের মতো ব্যবহার করছে। তারা মনে করে, প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়া যায়। কিন্তু প্রশাসন যদি একটু সুযোগ পায়, তাহলে তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। কেননা, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তিনি আরো বলেন, পুলিশকে বাধ্য করা হচ্ছে অন্যায় ও দলীয় কাজ করতে।

বক্তব্যের শেষে এসে খালেদা জিয়া বলেন, আমি যেখানেই থাকি না কেন, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আমাকে কোনো ভয়ভীতি দেখিয়ে দমাতে পারেনি, পারবেও না। আমি দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আছি, দেশের মানুষের সঙ্গে আছি।

বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সাহস সঞ্চার করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘আসুন, সবাই এই দেশটাকে রক্ষা করি, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনি।’

আল আমিন প্রধাণের মায়ের মৃত্যুতে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের শোক

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের কার্যকরী সদস্য ও দৈনিক যুগান্তরের ফতুল্লা প্রতিনিধি আলামিন প্রধানের মা ফাতেমা বেগম(৫৬) শনিবার সন্ধ্যায় সস্তাপুর নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন(ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে স্বামী,দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। এদিকে সাংবাদিক আলামিনের মায়ের মৃত্যুর খবরে ফতুল্লা প্রেস ক্লাব শোক প্রকাশ করেছে। ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিন,সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম, যুগ্ম সম্পাদক রিয়াদ মোঃ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম, কার্যকরী সদস্য মনির হোসেন, মাসুদ আলী.আবুল কালাম আজাদ,রুহুল আমীন প্রধান শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমাবেদন জ্ঞাপন করেছেন। এসময় নেতৃবৃন্দ মরহুমান আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ইয়াবা তৈরির কারখানার মালিক হাবিবুর রহমানের স্ত্রী লাকী আক্তার গ্রেপ্তার

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাঁড়াশি অভিযানে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ইয়াবা ট্যাবলেট তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। অভিযানে বন্দর উপজেলার হরিপুর গ্রামে একটি টিনসেড বাড়িতে ইয়াবা তৈরির কারখানার সন্ধান মেলে। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে মূলহোতা হাবিবুর রহমান পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে তার স্ত্রী লাকী আক্তার (৩২)।

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তমিজউদ্দিন মৃধা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী লাকী আক্তার নিজ বাড়িতে ইয়াবা তৈরি করে বিক্রি করে আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিত্তে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে টিনসেড বাড়ির তিনটি কক্ষের প্রত্যেকটিতে ইয়াবা তৈরির উপকরণ মজুদ পাওয়া গেছে। একটি কক্ষে পাওয়া যায় ইয়াবা তৈরির মেশিন। পুরো বাড়িটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

ওই বাড়ির বাসিন্দা হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা তৈরি করে আসছিল। তিনি নিজ নেটওয়ার্কে ইয়াবা সাপ্লাই দিতেন। তাকেও ধরার চেষ্টা চলছে।

অভিযানে ওই বাড়িতে তল্লাশি করে ২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ইয়াবা তৈরির উপকরণ ২ কেজি কাঁচামাল, কেমিক্যাল ৩০০ গ্রাম, তরল পদার্থ ২০০ গ্রাম, ইয়াবা তৈরির ডাইস ৩টি, সিসি ক্যামেরা ২টি, মনিটর ১টি, মোবাইল সেট ১টি উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক আব্দুস সালাম বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

কোনো অপরাধ নেই, গায়ের জোরে বিচার করছে সরকার: খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেস ট্রাস্ট মামলার রায়ের বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, অপরাধই নেই, তাহলে বিচারটা করবে কিসের? গায়ের জোরে বিচার করছে সরকার।

‘সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে অস্ত্রের মুখে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে’ উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারকরা এখন স্বাধীনভাবে রায় দিতে পারছেন না। ক্ষমতাসীন দল সংবিধানকে নিজেদের মতো করে সংশোধন করে নিয়েছে। সংবিধানে গণতন্ত্রের কিছু রাখা হয়নি। এখন ভোটের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর লা মেরিডিয়েন হোটেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী সভায় সভাপতির বক্তব্যে দলের চেয়ারপারসন এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, আজকে যারা গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় আসার দাবি করছে, অস্ত্রের মাধ্যমেই তারা ক্ষমতায় এসেছে। তত্ত্বাবধায়কের দাবি আওয়ামী লীগের ছিল। এ দাবির জন্য তারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছে, জ্বালাও-পোড়াও করেছে। এখন তারা সব মুছে দিয়ে নিজেরা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করছে জনগণকে ভয় পায় বলে।

গুম-খুন-নিত্য ঘটনা। নৌকায় পচন ধরেছে বলে এত আগে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ওয়াদা নিচ্ছেন জনগণের কাছ থেকে, যোগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন নেই’ উল্লেখ করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ডিজিটাল আইনের নামে নতুন কালাকানুন করা হচ্ছে মানুষের কণ্ঠরোধের জন্য।

বেগম বেগম খালেদা জিয়া আজ বেলা ১১টা ৫ মিনিটে লা মেরিডিয়েন হোটেলে এসে পৌঁছালে দলীয় নেতারা তাঁকে স্বাগত জানান। তারপর তাঁকে সভাকক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। মঞ্চে তাঁর পাশে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা রয়েছেন।