৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 172

বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে ঝড়ের পূর্বাভাস-মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে ঝড়ের পূর্বাভাস দেখতে পাচ্ছি। আমরা দানবীয় সরকারের মারমুখী আক্রমণের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে লড়াই করে টিকে আছি। পরাজয়ের ভয়ে ভীত আওয়ামী লীগ, তাই ওরা উন্মাদের মতো হত্যা-লুণ্ঠন আর ধ্বংসের লীলায় মেতে উঠেছে।

শনিবার সকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহীর কমিটির সভায় ‘মহাসচিবের প্রতিবেদন’ এ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা উল্লেখ করেছেন। রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে এ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব প্রতিবেদনে বলেন, আমাদের সামনে আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। এই স্বৈরাচারি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার গণ আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের মধ্যে সব দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে সাংগঠনিক প্রক্রিয়াকে বেগবান করে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী সরকার, আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই তাকে গণদাবি মেনে নিতে বাধ্য করতে হবে। লড়াই করে টিকে থাকার কোনও বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগকে নগ্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে উল্লেখ করে ফখরুল জানান, রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর ১৫টি মামলাসহ সরকারি দলের নেতাকর্মীদের ৭ হাজার ৬৩টি মামলা প্রত্যাহার হলেও খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কোনও মামলা প্রত্যাহার হয়নি। বরং বিএনপি চেয়ারপারসন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া, জাতীয় নেতাসহ সারাদেশে ১১ লাখ ৯১ লাখ ৪৪৯ জন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার ৭৪টি মামলা দায়ের করেছে সরকার।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্যই সরকার তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত রায় দেওয়ার নীল নকশা করছে উল্লেখ করে মির্জা আলমগীর বলেন, কিন্তু জনগণ এই ষড়যন্ত্র কোনোভাবে মেনে নেব না। প্রতিবাদী জনগণ রাজপথে নেমে এলে গণ আন্দোলনের জোয়ারে আওয়ামী তখত ভেঙে খান খান হয়ে বঙ্গপোসাগরের ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যাবে।

নির্বাহী কমিটির সভায় উত্থাপিত মহাসচিবের প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকার চিরাচরিত ভাবেই গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চায়। ঐতিহ্যগতভাবেই তারা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। সর্বশেষ ৫৭ ধারা বাতিল করে যে নতুন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে তা আরও ভয়াবহ বলে সাংবাদিক সমাজ থেকে প্রতিবাদী আওয়াজ উঠেছে।

এর আগে, শনিবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির প্রথম বৈঠক শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এতে দলের ৭০০ নেতা উপস্থিত আছেন। এর মধ্যে নির্বাহী কমিটির সদস্য ৫০২ জন। এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সব জেলার সভাপতিরাও অংশ নিচ্ছেন বৈঠকে।

ছমিরনগর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে শাহ আলমের ১ লক্ষ টাকা অনুদান

শুক্রবার বাদ জুম্মা জান্নাহ ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব শাহ আলমের এর পক্ষ থেকে ছমির নগর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য ১ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। অনুদান প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিলন মেহেদী,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আলাউদ্দিন বারী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আল আমীন সিদ্দিকী,ফতুল্লা থানা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোঃ বোরহান,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মন্ঞ্জুর আলী,দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ,ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা শাহ জাহান আলী, নূর মোহাম্মাদ,বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদল নেতা মোঃ পিয়ার হোসেন পিন্টু,মোঃ হালিম আজাদ,মোঃ রকমতুল্লাহ,বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মোঃ ইফতেখার আহম্মেদ রাজু, মোঃ মাহমুদুল্লাহ,মসজিদ কমিটির সভাপতি আঃ রউফ কন্ট্রাকটর,সাধারণ সম্পাদক হাসেম ঢালী, সহ সভাপতি জহুরউদ্দিন,আমিনউদ্দিন,আলফাজউদ্দিন,আঃ মোতালেব এবং আমানউল্লাহসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএর নেতা সানীর জোর দখল বন্ধ করে দিল পুলিশ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ ডট কমঃ নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় ব্যবসায়ী সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক সহসভাপতি আসলাম সানীর বিরুদ্ধে আদালতের নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে এক ব্যবসায়ীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ তাৎক্ষনিক সেই জমিতে গিয়ে আসলাম সানীর জোর দখল বন্ধ করে দিয়েছে। এঘটনায় আসলাম সানীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।

এছাড়া আসলাম সানীর বিরুদ্ধে তার পরিচালিত রপ্তানীমূখী কারখানা সম্প্রসারনের জন্য আশপাশের লোকজনদের জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার একাধীক অভিযোগ রয়েছে। এতে বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে মামলা ও সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।

ফতুল্লার শাসনগাও এলাকার ফকির চাঁন মিয়ার ছেলে জহিরুল হক জানান, তার বাবা বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য। বিসিক শিল্পনগরীর কাছে ব্যবসায়ী নেতা আসলাম সানীর মালিকানাধীন অবন্তি গ্রুপে সাথে তার বাবা ফকির চাঁন মিয়ার ১২ শতাংশ জমিতে টিনের ঘর রয়েছে। সেখানে মুনতাছির নামে পোষাক তৈরীর হোসিয়ারী কারখানা দিয়ে ব্যবসা করেন তিনি (জহিরুল)। সেই জমি জোড় দখল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আসলাম সানী চেষ্টা করে আসছে।

জহিরুল জানান, আসলাম সানীর অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে আদালত থেকে জমির উপর অবৈধ ভাবে প্রবেশ না করতে নিশেধাজ্ঞা জারি করিয়েছি। বৃহস্পতিবার আদালতের সেই নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মান কাজ শুরু করে আসলাম সানী। পরে থানায় গিয়ে পুলিশের সহযোগীতা চেয়ে একটি জিডি দায়ের করি। এরপর পুলিশ গিয়ে আসলাম সানীর জোড় দখল বন্ধ করে দেয়। ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মাজেদ মিয়া এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসলাম সানীর লোকজনের নির্মান কাজ করা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে ব্যবসায়ী আসলাম সানীকে তার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোনটি কেটে দিয়ে ম্যাসেজ পাঠিয়ে বলেন এখন তিনি কথা বলতে পারবেন না। পরে তাকে আরেকটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে অনুরোধ করা হলেও তিনি কোন উত্তর দেয়নি।
উল্লেখ্য, ফতুল্লার শাসনগাও এলাকায় সোলেমান দেওয়ানের জমি দখল করে বাড়ি ঘর ও দোকান ভাংচুরের অভিযোগে আসলাম সানীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সম্প্রতি ইঞ্জিনিয়ার আজিজের জমি দখল করে ভবন নির্মানের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাছাড়া আসলাম সানীর বিরুদ্ধে সরকারী খাল দখল করে ভবন নির্মানের অভিযোগ রয়েছে।

বন্দুক যুদ্ধে সোনারগাঁয় ডাকাত নিহত

সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁওয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নজরুল ইসলাম (৩৬) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। নিহত নজরুল ইসলাম উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে।

পুলিশ এসময় একটি বিদেশী রিভালবার, এক রাউন্ড গুলিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের ফুলদী বাগেরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

সোনারগাঁও থানার ওসি মো: মোরশেদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনারগাঁও নিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার বারদীর ফুলদী বাগেরপাড়া গ্রামে থানা পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছিল। তখন ১৫/২০ জনের একটি ডাকাতদলকে দেখে সন্দেহ হলে তাদের গতিরোধ করার চেষ্টা করে। তখন ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এরপর পুলিশ পাল্টা গুলি করতে থাকে। ডাকাত আর পুলিশের গোলাগুলিতে নজরুল ইসলাম নামে এক ডাকাত ঘটনাস্থলে মারা যায়। আর অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তবে গোলাগুলির সময় কোন পুলিশ সদস্য ও অন্য ডাকাত আহত হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী রিভালবার, এক রাউন্ড গুলি, রাম দা, ছোরা ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরো জানান, নিহত ডাকাত নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও, আড়াইহাজার, বন্দর, নরসিংদসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।

পুলিশ বাহিনী জন্ম থেকেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে-আইজিপি

ডেস্ক নিউজঃ নির্বাচনের বছর ২০১৮ সালকে পুলিশ বাহিনী কোনও চ্যালেঞ্জ মনে করছে না বলে মন্তব্য করেছেন নবনিযুক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ বাহিনী জন্ম থেকেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জীবন দিয়েছেন। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে পুলিশ বাহিনী জীবন দিয়ে আগুন সন্ত্রাস মোকাবিলা করেছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে আমাদের সাহসী পুলিশ সদস্যরা শহীদ হয়েছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরাই জয়ী হয়েছি। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ বাহিনী কাজ করবে।’

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সমার্থক। যদি বাংলাদেশ বলতে হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধুকেও বলতে হবে। তিনি আজীবন সংগ্রাম করে এ দেশটাকে স্বাধীন করেছেন। দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আমি সে দ্বায়িত্ব আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গে পালন করে যাবো।’

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন আইজিপি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান ও র‌্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আতিকুর ইসলাম, ডিআইজি (সিআইডি) মনিরুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আবু কালাম সিদ্দিকী, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান খানসহ খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে আইজিপি বঙ্গবন্ধু ভবনে যান এবং সেখানে রাখা মন্তব্য বইতে মন্তব্য লেখেন। এছাড়া এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, যুগ্ম-সাধারণ সালাউদ্দিন পান্না, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিটু, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তাফা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মীর্জা, সাবেক পৌর মেয়র সরদার ইলিয়াস হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব নিলেন জাবেদ পাটোয়ারী

ডেস্ক নিউজঃ বাংলাদেশ পুলিশের নবনিযুক্ত ইন্সপেক্টর জেনারেলের (আইজিপি) দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জাবেদ পাটোয়ারী। বুধবার দুপুরে পুলিশ সদরদফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক। দায়িত্ব হস্তান্তরের মাধ্যমে ৩২ বছরের কর্মজীবনের ইতি টানেন একেএম শহীদুল হক।

বুধবার পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত ‘বিদায় সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে শহীদুল হক বলেন, আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব শেষ হওয়ার মাধ্যমে পূর্ণ সন্তুষ্টি নিয়ে ৩২ বছরের চাকরি জীবনের ইতি টানছি।

তিনি আরও বলেন, গত তিন বছর এক মাস আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে চেষ্টা করেছি পুলিশের সক্ষমতা উঁচুমাত্রায় নিয়ে যেতে এবং পুলিশকে জনবান্ধব করতে। দায়িত্ব পালনকালে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সাহকিতার সঙ্গে সব সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি।

‘গত তিন বছরে পুলিশে যা অর্জন তার কৃতিত্ব কনস্টেবল থেকে আইজি পর্যন্ত সবার। আর সব ব্যর্থতার দায় আমার। দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের সবাইকে হয়তো খুশি করতে পারিনি। একটা প্রশাসনিক কাঠামোতে কাজ করতে হয়েছে। এর বাইরে কিছু চাপ, কিছু গাইডলাইন থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমি কারো প্রতি বিরাগভাজন ছিলাম না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, স্বপ্ন অনেক থাকে কিন্তু সব তো পূরণ হয় না। তবে অধিকাংশ কর্মপরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করেছি। পুলিশের পেশাদারিত্বের জন্য ২০টি নির্দেশনা দিয়ে গেছি। ৯৯৯- জরুরি সেবা ছিল সবচেয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।

তবে থানা লেভেলে পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। আমি চেয়েছিলাম মানুষ যেখানে অভিযোগ নিয়ে যায়, যেটা মানুষের শেষ ভরসা, সেখানে সেবা পেয়ে যেন সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরে। আমি থানা পর্যায়ে সেবার মান বাড়াতে অনেক চেষ্টা করেছি, অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু পুরোপুরি পরিবর্তন হয়নি। যদিও এটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পুলিশে নতুন ছেলেরা আসছে, আশা করব তারাই মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে।

একই অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বিগত দিনগুলোতে আইজিপিকে সবাই যেভাবে সহায়তা করেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সামনের দিনগুলোতেও সে সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।

মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার পুলিশের যে প্রয়াস, সেটা অব্যাহত রাখতে পারলে আরও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন সদ্য দায়িত্ব নেয়া জাবেদ পাটোয়ারী।

না.গঞ্জ বার নির্বাচনে বিএনপির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় মাহবুব উদ্দিন খোকনের শুভেচ্ছা

নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির ২০১৭-২০১৮ কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে ১১টি পদে বিজয়ী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় বিজয়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ব্যারিষ্টার এম খোকন।
বুধবার সকালে ব্যারিষ্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের পক্ষে গ্লোবালভিশন টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এক ক্ষুদে বার্তায় এ শুভেচ্ছা জানান জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম জুলফিকার আলী জুনু।
সারা দেশেই বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের জয়জয়কার উল্লেখ করে ব্যারিষ্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমাজ এ দেশের বিচার বিভাগকে স্বাধীন দেখতে চায়।  বিচার বিভাগের সুষ্ঠু পরিবেশ ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমাজ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের এই বিজয় সরকারকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বিএনপির জনপ্রিয়তা কতটুকু।  সারা দেশেই বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এই জয়জয়কার আগামী নির্বাচনের যথেষ্ট ইঙ্গিত বহন করে বলেও মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বার বার নির্বাচিত এই সম্পাদক।
মঙ্গলবার সকাল থেকে অনুষ্ঠিত ২০১৭-২০১৮ কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে মোট ৯২৭ জন আইনজীবী ভোটারের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ৯১৩ টি ভোট। নির্বাচনে ২টি প্যানেলে মোট ১৭টি পদের জন্য ৩৪ জন আইনজীবী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া কার্যকারী সদস্য পদে স্বতন্ত্র থেকে আরো ১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৬টি পদে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামীপন্থী আইনজীবী সাদা প্যানেল।  অপরদিকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবী পেয়েছন ১১টি পদ।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেলের সভাপতি পদে হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সেক্রেটারী পদে মোহসীন মিয়া, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে আব্দুল লতিফ, সহ সভাপতি পদে সালাউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ পদে জসিমউদ্দিন, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে মনিরুজ্জামান কাজল, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আবুল বাশার রুবেল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে সাজ্জাদুল হক সুমন, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে সুভাষ বিশ্বাস, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে স্বপন ভূইয়া, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ইসরাত জাহান ইনা, কার্যকরী সদস্য পদে মশিউর রহমান, রাশেদ ভূইয়া, সোয়েব আহমেদ শুভ, আবদুল মান্নান ও রুমানা আক্তার।
অপরদিকে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের ১৭ জন প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে জহিরুল হক, সেক্রেটারি পদে আব্দুল হামিদ ভূইয়া ভাসানী, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ মোল্লা, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, সমাজ সেবা সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট শারমীন, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে ওমর ফারুক নয়ন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে সাইদুল ইসলাম সুমন, কার্যকরী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট আমেনা আক্তার শিল্পী, অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব গোলাপ, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আনু, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ফাহিম ও অ্যাডভোকেট আল আমিন সবুজ। এছাড়া কার্যকরি সদস্য পদে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। তিনি হলেন- আসাদুল্লাহ সাগর।
এ বছর নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন, নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন নান্নু, অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা, অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম ও অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার বেগম। আপিল বোর্ডে রয়েছেন অ্যাডভোকেট শওকত আলী, অ্যাডভোকেট রমজান আলী ও অ্যাডভোকেট হারুন উর রশিদ।

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ মামলা

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে নেতাদের ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের ওপর বিএনপির কর্মীদের হামলা ও প্রিজনভ্যান ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা ও শাহবাগ থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।

রমনা ও শাহবাগ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলাগুলোর মধ্যে রমনা থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং শাহবাগ থানায় একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি ১১, আওয়ামী লীগ ৬ পদে জয়ী

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে ১৭ পদের মধ্যে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক ও কার্যকরী সদস্য পদসহ ৬ পদে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ।

অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ সিনিয়র সহ সভাপতি, সহ সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, আপ্যায়ন সম্পাদক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, লাইব্রেরী সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক ও কার্যকরী সদস্য পদসহ ১১ পদে জয়ী হয়েছে।

মঙ্গলবার জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৯২৭ জন ভোটারের মধ্যে ৯১২ জন ভোট দিয়েছেন।

সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের হাসান ফেরদৌস জুয়েল পেয়েছেন ৪৬৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের জহিরুল হক পেয়েছেন ৪৩৫ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া পেয়েছেন ৪৮১ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাষানী ভূইয়া পেয়েছেন ৪১৫ ভোট।

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট আবদুল লতিফ মিঞা পেয়েছেন ৩৬১ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা পেয়েছেন ৫২৮ ভোট।

সহ-সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন পেয়েছেন ৩২৩ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন পেয়েছেন ৫৫৯ ভোট।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ৪৭৩ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আব্দুস সামাদ মোল্লা পেয়েছেন ৪০৫ ভোট।

কোষাধ্যক্ষ পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট জসিমউদ্দিন পেয়েছেন ৩৯০ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম পেয়েছেন ৫০২ ভোট।

আপ্যায়ন সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া। প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল।

ক্রীড়া সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম সুমনকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল জয়ী হয়েছেন।

সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম। লাইব্রেরী সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন।

সমাজ সেবা সম্পাদক পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান ইনাকে পরাজিত করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট শারমীন আক্তার বিজয়ী হন।

আইন ইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা জিতেছেন। পরাজিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট স্বপন ভূইয়া।

কার্যকরী সদস্য পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের অ্যাডভোকেট রাশেদ ভূইয়া ও অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে সদস্য পদে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে অ্যাডভোকেট আমেনা আক্তার শিল্পী, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আনু ও আল আমিন সবুজ বিজয়ী হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের সমাবেশ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের পূর্ব  ঘোষিত আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বিশাল সমাবেশ স্থগিত করেছেন  তিনি কৌশলগত কারণে এ সমাবেশ স্থগিত করেছেন।

তবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির পর সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট চলাকালীন সময়ে গণমাধ্যমকে ডেকে পূর্বের ঘোষিত সমাবেশ স্থগিতের কথা জানান শামীম ওসমান।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে মতবিনিময় সভা করে ৩ ফেব্রুয়ারি শহরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন শামীম ওসমান।

তিনি বলেছিলেন, এ সমাবেশ হবে স্মরণকালের সব থেকে বড় এবং প্রমাণ করা হবে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যাতে বুঝতে পারেন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী। এ সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতকে বুঝিয়ে দেয়া হবে নারায়ণগঞ্জে কোনো ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।

সমাবেশ স্থগিতের বিষয়ে শামীম ওসমান আদালত পাড়ায় বলেন, আগামী ৩ তারিখে স্মরণকালের বৃহৎ সমাবেশ করবো বলেছিলাম। যেহেতু ৮ তারিখে একটি রায় হবে। এছাড়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পর যারা জ্বালাও পোড়াও করেছিল তাদের আস্ফালন আবারও দেখতে পাচ্ছি এবং এ সুযোগে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াত শিবিরের ওপরে ভর করে দেশে যে অরাজকতা চালানোর চেষ্টা করছে আমি চেয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জের মানুষকে আগ থেকে সচেতন করতে। কিন্তু জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে এখনও বিষয়টি ফাইনাল করতে পারিনি। এছাড়া কৌশলগত কারণে ৮ তারিখে রায়ের পর আমরা সুবিধা মতো নারায়ণগঞ্জে এ জনসভা করবো। কারণ আমরা রায়ের পক্ষে শ্রদ্ধাশীল। তাই আদালতের রায় কি হয় তার অপেক্ষায় থাকবে নারায়ণগঞ্জবাসী।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতের রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত নারায়ণগঞ্জের মাটিতে কোনো ধরনের অপরাজকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। নারায়ণগঞ্জবাসী শান্তি চায়, ভালোভাবে বাঁচতে চায়। তাই ৮ তারিখে আদালতের রায়ের পর পরিস্থিতি বুঝে সমাবেশের আয়োজন করা হবে। আগেও বলেছিল, এখনও বলছি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ ঐক্য ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।