৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 129

ফতুল্লায় ৭০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক।

ফতুল্লায় ৭০ হাজার পিছ ইয়াবা সহ আজিজুল হক নামে এক মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ফতুল্লার মুন্সীখোলা  চেক পোষ্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়,ধৃত আজিজুল সিএনজি করে ঢাকা যাওয়ার পথে মুন্সীখোলা চেক পোষ্টের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সন্দেহ হলে সিএনজি থামিয়ে আজিজুলের  ব্যাগ চেক করলে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি উপরোস্ত কর্মকর্তাদের জানালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো:মনির হোসেন ও ফতুল্লা থানার ওসি শাহ মঞ্জুর কাদের ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে সমস্ত ইয়াবা গুনে সাংবাদিকদের জানান আটককৃতর কাছ থেকে ৭০ হাজার পিছ ইয়াবা পাওয়া গেছে। পরে আটককৃত আজিজুল সহ ৭০ হাজার পিছ ইয়াবা ফতুল্লা থানায় সোপর্দ করা হয়। আজিজুল টেকনাফের লেংগুর বিল এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।

অবশেষে জানা গেল বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার স্থাপনের গোপন রহস্য!

অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক’সীমানা পিলার স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার বলে আখ্যায়িত করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন এর মাধ্যমে বৃটিশরা আসলে এদেশের সব গোপন তথ্য চুরি করে নিয়ে যায়।তবে আসল ঘটনা হচ্ছে- এদেশে বৃটিশদের শাষনের সময়কালে সীমানা পিলারগুলো ফ্রিকুয়েন্সি অনুযায়ী একটি থেকে আরেকটির দুরত্ব মেপে মাটির নীচে পুতে রাখা হয়েছিলো। যেগুলোর মধ্যে পিতল, তামা, লোহা, টাইটেনিয়ামসহ ধাতব চুম্বকসমন্বয়ে গঠিত হওয়ার কারনে বজ্রপাত হবার সময়ে ইলেকট্রিক চার্য তৈরী হয় সেটি সরাসরি এই পিলারগুলো শোষন করে আর্থিং এর কাজ করতো। এতে করে বজ্রপাত হতো কিন্তু মানুষ মারা যেতোনা। অসাধু কিছু লোক এই পিলারগুলো অনেক দামে বিক্রি করা যায় এরকম গুজব ছড়ায়। এ কারনে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিলারগুলো নিষ্চিন্ন হয়ে গেছে। কিছু লোক এগুলোকে মহামুল্যবান বলে অপপ্রচার করে খুজে বের করে চুরি করে নিয়ে গেছে।সীমান্ত পিলারগুলোর মধ্যে থাকা তামা পিতল, টাইটেনিয়াম জাতীয় ধাতবের সমন্বয়ে তৈরী বলে এগুলো বিদ্যুৎ সুপরিবাহি হয়ওয়াতে একে মহামুল্যবান বলে অপপ্রচারের ফলে এসব পিলার চুরি হতে থাকে।বৃটিশ শাষন আমলে বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য এই প্রযুক্তির পিলার গুলো সারা দেশ জুড়ে মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট দুরত্ব পর পর ফ্রিকুয়েন্সি মেপে মেপে। এখন যেমন মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর সময় একটা থেকে আরেকটার দুরত্ব আর ফ্রিকুয়েন্সি মেপে ম্যাপ করে বসানো হয় । আগেকার আমলে বজ্রপাতে নিহত হবার সংখ্যা ছিল অনেক কম যেটি এখন এতটা বেড়ে গেছে যে, মানুষ রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গেছে । এখন সবাই বুঝতে পারছে কেন বৃটিশ আমলে এগুলো মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিলো।বজ্রপাতে মৃত্যু রোধকল্পে সরকারকে বৃটিশদের মতো করে পিলার স্থাপনের উদ্দোগ আবার গ্রহণ করা উচিৎ বলেও মতামত দিচ্ছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

ফতুল্লায় টায়ার ফ্যাক্টরীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের পাশে এশিয়ান কক্স প্রাইভেট লিমিটেড টায়ার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ইস্ট এশিয়ান কক্স নামে ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটেছে। প্রায় সোয়া দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মন্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাতটি ইউনিট ১০টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।ঢাকা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মামুন মাহমুদ জানান, আমাদের সাতটি ইউনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।  যেহেতু এটি টায়ারের রবার ফ্যাক্টরি এখানে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল আছে, তারপরও আমরা চারদিক থেকে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি এখন ড্যাম্পিংয়ের কাজ চলছে।

তিনি আরো জানান, আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা যাচ্ছে না। তবে কোন হতাহতের কোন বিষয় পাওয়া যায়নি।

কারখানার জেনারেল ম্যানেজার মাহমুদুর রহমান জানান, এখানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে আমরা ধারণা করছি। এটি বাংলাদেশের প্রথম টায়ার কারখানা, এখানে অগ্নিকাণ্ডে আমাদের অনেক মেশিনারিজ ও কেমিক্যালসহ বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করতে পারিনি।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ মো. মঞ্জুর কাদের আগুনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বক্তাবলীর আকবরনগরের দুর্ধর্ষ রহিম হাজীর অজানা কাহিনী!

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর আকবর নগর গ্রামের সামেদ আলী হাজ্বীর প্রধান প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী ও চাদাঁবাজ রহিম হাজ্বীর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ও একাধিক মামলা থাকা সত্বেও সব সময় রয়ে গেছে পুলিশী ধরা ছোয়াঁর বাইরে। বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত রহিম হাজ্বীর উত্থান নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।

কে এই রহিম হাজ্বী :
বক্তাবলীর আকবরনগর গ্রামের মৃত লতু খাঁর ৫ পুত্রের মধ্যে ৪র্থ রহিম খাঁ ওরফে হাজ্বী রহিম,লতু খাঁর অপর পুত্ররা হলেন লালু খাঁ,মৃত নুরুল ইসলাম,ফুলু মাদবর ও সুরুজ খা।

রহিম হাজ্বীর উত্থান যে ভাবে :
এক সময়ের কাচাঁ সবজী বিক্রেতা ও ইটভাটার লেবার হতে অন্যের জমি জমা দখল করে রাতারাতি কয়েকটি ইটভাটা, একাধিক বাড়ি ও জমিজমার মালিক বনে যান। ফতুল্লার কোতালেরবাগে বহুতল ভবন, গ্রামের বাড়িতে ভবন ও ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান মাত্র ১৮/২০ বছরের ব্যবধানে।

রহিম হাজ্বীর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য যারা :
সুচতুর রহিম হাজ্বী তার ৩ ছেলে মামুন, মিলন ও রিপনকে শহরে রাখলেও তার আপন ভাতিজা নবী হোসেন ও তার মেয়ে কাকলীর স্বামী কবির হোসেনের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। এ বাহিনীর সদস্যরা হলেন, কাদির, নজরুল, সানি, মান্না, সুরজা, সেরাজল, রিয়াজল, মজিবর, গফুঁর, রশিদ, হাসান উল্লেখযোগ্য। এ বাহিনীর মাধ্যমে সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজি, জমিজমা দখল সহ নানান অপকর্ম করিয়ে থাকে রহিম হাজ্বী।

রহিম হাজ্বীর বিরুদ্ধে যত মামলা :
রহিম হাজ্বীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজি, লুটপাট, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ নানান অভিযোগে সিরাজ দিখান ও ফতুল্লা মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে যার কিছু তুলে ধরা হলো। জালাল মিয়া বাদী হয়ে গত ২০১৮ সালের ৮ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৩১ ধারাঃ ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩৫৪/৩৮৫/১১৪/৫০৬ দঃবিঃ। ২০১৮ সালের ১০ জুলাই রাজিব বাদী হয়ে আরো একটি মামলা করেন মামলা নং-৪০ ধারাঃ ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ দঃবিঃ। ২০১৮ সালের ৯ আগষ্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাসিমা বেগম বাদী হয়ে মামলা নং-৫০ তারিখ ১২/৮/১৮ইং ধারাঃ ১৪৭/৪৪৮/২২৩/২২৪/২২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৪৪৬/৪২৭/৫০৬/১১৪ দঃবিঃ
এছাড়াও সেলিনা বেগম বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

রহিম হাজ্বীর রাজনৈতিক পরিচয় :
রহিম হাজ্বী ও তার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী ও সামেদ আলীর অনুসারীরা। গত বিএনপির সময়ে রহিম হাজ্বী বাহিনী বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সামেদ আলী পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, হামলাসহ নানান ভাবে হয়রানি করেছিল।

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য :
বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সুমন আকবরের কাছে মুঠোঁফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, রহিম হাজ্বী বিএনপি করে কিনা লিষ্টে নাম আছে কিনা? বলতে পারবোনা।
সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর আলী মন্জু বলেন, রহিম হাজ্বীর বিএনপির কোন পদ পদবী নাই। তারা কোন দলের সমর্থক হতে পারে সেটা তাদের মনের ব্যাপার।

রহিম হাজ্বী যা বললেন :
এ ব্যাপারে রহিম হাজ্বীর মুঠোঁফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কারোর কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেই নাই এবং কেউ আমার কাছে কোন টাকা-পয়সা পাবে না।

 

বক্তাবলীর পূর্ব গোপালনগরের লম্পট নবী হোসেন গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলীতে স্ত্রী-সন্তান রেখে আপন বড় ভায়রার মেয়েকে (১৪) নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত ভায়রা নবী হোসেন (৩২) কে  গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার ভোরে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ পাকাপুল এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নবী হোসেন ফতুল্লার বক্তাবলীর পূর্ব গোপালনগর এলাকার বাদল মুদির ছেলে।

গ্রেফতারের পর আপন ভায়রার মেয়েকে নিয়ে কেন পালিয়েছেন জানতে চাইলে নবী হোসেন পুলিশকে বলেন, পালিয়েছি তো কী হয়েছে। ভায়রার মেয়েকে বিয়ে করা জায়েজ আছে।

একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান ও এক ছেলেসন্তান এবং স্ত্রী রেখে ভায়রার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকাসহ বিভিন্ন মহল থেকে নবীকে ধিক্কার জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, ফতুল্লার বক্তাবলীর পূর্ব গোপালনগর এলাকার বাদল মুদির ছেলে নবী হোসেন একই এলাকায় বিয়ে করে। তার এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। নবী হোসেনের আপন ভায়রার মেয়ে তার বাড়িতে বেড়াতে আসলে নবী হোসেনের নজরে পড়ে।

একপর্যায়ে ভায়রার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয় নবী। এতে সে রাজি হয়নি। এরপর স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করত নবী। গত বছরের ২ অক্টোবর রাতে ভায়রার মেয়ে বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার পথে নবী হোসেন ও তার লোকজন অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে নবী হোসেনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নবী হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়।

এছাড়া নবী হোসেনের স্ত্রী আদালতে মামলা করেন। দুই মামলায় নবীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সোমবার ভোরে নবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাফিউল আলম বলেন, স্ত্রী-সন্তান ফেলে আপন ভায়রার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ভায়রার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে নবী হোসেন।

জয়ের হস্তক্ষেপে কমছে সর্বনিম্ন কলরেট

যেকোনো অপারেটরে অফনেট বা অননেট তুলে দিয়ে কলরেট প্রতি মিনিট সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা করা হচ্ছে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত সপ্তাহে এক বৈঠকে অভিন্ন কলরেট মিনিট প্রতি সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। পরে আবার বৈঠকের কার্যবিবরণীতে এই রেট ৪৫ পয়সা উল্লেখ করা হয়।তাছাড়া সর্বোচ্চ রেট প্রতি মিনিটের জন্যে এক টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণের আলোচনা হলেও সেটি আগের মতোই দুই টাকা রয়ে গেছে।ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চলতি সপ্তাহেই অপারেটরদেরকে চিঠি দিয়ে নতুন হার কার্যকরের নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট দপ্তর।বর্তমানে একই অপারেটরে কথা বলা বা অননেটের সর্বনিম্ন দর ধরা হয়েছে ২৫ পয়সা এবং অফনেট বা অন্য অপারেটরে কথা বলার জন্যে সর্বনিম্ন ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিন্ন কলরেট নির্ধারণের ফলে গ্রাহক স্বস্তি পাবে।

রূপগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের চেষ্টা

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রূপগঞ্জে ফয়সাল নামে এক বখাটে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় বরাব রসুলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বখাটে ফয়সাল কাজীপাড়া আলমাছ মিয়ার ছেলে।

সিদ্ধিরগঞ্জে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রাজউক কর্তৃক এক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি নতুন আইলপাড়া এলাকায় শুরু হয় এই অভিযান। এসময় নাসিক ৮নং ওয়ার্ড নতুন আইলপাড়া এলাকার ইটালী প্রবাসী দম্পতি শাহাবুদ্দিন ও মার্জিয়া বেগমের বাড়িতে উচ্ছেদ অভিযান চালায় রাজউক। এসময় বাড়ির নকশা বহির্ভূত সিমানা প্রাচির ও পার্কিংয়ের স্থানে ফ্ল্যাট নির্মাণ করায় তা ভেঙ্গে দেয় রাজউক।

এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বছর খানেক আগে ইটালী প্রবাসি দম্পত্তি শাহাবুদ্দিন ও মার্জিয়া বেগম নাসিক ৮নং ওয়ার্ডের নতুন আইলপাড়া এলাকায় বাড়ির নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ওই সময় থেকেই এলাকাবাসির অভিযোগ ছিলো বাড়ি নির্মাণের সময় রাস্তার জন্য যে পরিমান জায়গা ছাড়া দরকার ছিলো তা না ছেড়েই বাড়ি নির্মাণ করছেন ওই দম্পতি। এ বিষয়ে স্থানীয়রা ওই দম্পতিকে এলাকাবাসী অবহিত করলেও তারা সেই দিকে কর্ণপাত না করেই বাড়ি নির্মাণের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। পরে ওই দম্পতির প্রতিবেশী খন্দকার নজরুল ইসলাম ও নাজিম উদ্দিন এ বিষয়ে রাজউকে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজউক তাদের নিজ দায়িত্বে নকশা বহির্ভূত স্থাপনা অপসারনের নির্দেশ দেয়। তারপরও তারা সেই স্থাপনা অপসারণ করেনি। পরে তাদের কয়েকবার রাজউকের পক্ষ থেকে সময়ও দেয়া হয়। সবকিছুর পরও ওই দম্পতি বাড়িটির নকশা বহির্ভূত অংশ অপসারণ না করায় বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান চালায় রাজউক। এদিকে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ওই দম্পতি বর্তমানে ইটালী রয়েছে। ওই বাড়িতে বর্তমানে থাকেন শাহাবুদ্দিনের পিতা শাহজাহান সরকার। তাকে উচ্ছেদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি। তবে এসময় উপস্থিত ছিলেন মার্জিয়ার ভাই বাবু জানায় আমার বোন ও বোন জামাতা বিদেশে থাকে। তারা দেশে থাকতে এ রাজউক তাদের কি বলেছে তা আমি জানি না। তবে আজ রাজউক বাড়ি ভাংগতে আসবে তা আমরা জানতাম না। তারা কোন নোটিশ না দিয়েই বাড়ি ভাঙ্গতে এসেছে। এবিষয়ে রাজউক নারায়ণগঞ্জ জোনাল অফিসের অথরাইজড অফিসার মাকিদ হাসান জানায়, শাহাবুদ্দিন ও মার্জিয়া দম্পতিকে আমরা নোটিশ করেছি এবং নোটিশের পরে সময়ও দিয়েছি। সেই নোটিশের অনুলিপি আমাদের কাছেও আছে। এবং মর্জিয়া বেগমের কাছেও আছে। পরে মার্জিয়া বেগমের ভাই বাবুর সাথে এ বিষয়ে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা খুজে পাওয়া যায়। এবং পরে তিনি ওই নোটিশের কাগজ দেখায় উপস্থিত সাংবাদিকদের।

এজিডব্লিউইবি ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুটস্ উইমেন এন্টারপ্রেনার্স বাংলাদেশ (এজিডব্লিউইবি) ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

জ্বালানী বিটের সেরা রিপোর্টারের পুরস্কার পেলেন কাকন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতের রির্পোটিংয়ে বর্ষসেরা পুরস্কার পেলেন আমাদের সময়ের সাংবাদিক লুৎফর রহমান কাকন। বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আর্ন্তজাতিক কনভেনশন সেন্টার-১ এর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার হাতে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধূরী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, জ্বালানি সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম। এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী বর্ষা মান পুন অনন্ত। এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের বিদেশী রাষ্ট্রুদুতগন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের র্শীষ কর্মকর্তা কর্মচারীগন। লুৎফর রহমান কাকন প্রায় এক যুগ ধরে সাংবাদিকতা করছেন। বর্তমানে দৈনিক আমাদের সময়ে কর্মরত আছেন। তিনি ঢাকা রির্পোটার ইউনিটি, ঢাকা সাংবাদক ইউনিয়নের সদস্য এবং নারায়নগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য। এছাড়া জ্বালানি খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস (এফইআরবি) এর প্রশিক্ষন ও গবেষনা বিষয়ক পরিচালক।

এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে জ¦ালানী খাতে শ্রেষ্ঠ রিপোর্টারের বর্ষসেরা পুরষ্কার পাওয়ায় লুৎফর রহমান কাকনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক নেতারা এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দরা। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময়ের নিজস্ব প্রতিবেদক আবু সাউদ মাসুদ, দৈনিক কালের কন্ঠ ও নিউজ২৪ চ্যানেলের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি দীলিপ মন্ডল, দৈনিক মানব জমিনের ষ্টাফ রিপোর্টার ও প্রেস নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রবিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের পক্ষে সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম, সিদ্ধিরগঞ্জ রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হোসেন চিশতি শিপলু, দৈনিক আমাদের সময়ের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি এমরান আলী সজীব, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি এম.এ শাহিন, দৈনিক নয়াদিগন্তের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি এমরান হোসেন। অভিনন্দন বার্তায় সাংবাদিক নেতারা লুৎফর রহমান কাকনের উত্তর উত্তর সফলতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। তারা আরো বলেন, লুৎফর রহমান কাকন নারায়নগঞ্জের গর্ব। তার এ সফলতার জন্য আমরা অভিনন্দন জানাই।