১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 165

কারারুদ্ধ জননী; কারারুদ্ধ গণতন্ত্র

নির্মোহ নীলগিরি:সরকার ক্রমাগত একের পর এক তামাশা করে যাচ্ছে। এই তামাশা তারা করছে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সাথে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে, বাংলাদেশের জনগণের সাথে। কিন্তু হীরক রাজার দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষের মুখে আজ স্কচটেপ লাগিয়ে রেখেছে। চোখে লাগিয়ে রেখেছে রঙ্গিন চশমা। ‘লাগ ভেল্কি লাগ’ বলে একের পর এক ভেল্কি দেখাচ্ছে। আবাল জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকার একের পর এক দেশ বিরোধী চুক্তি করে যাচ্ছে। আর দেশের মানুষকে গালভরা ফিরিস্তি দিয়ে বলছে বাচ্চালোক তালিয়া বাজাও। তাদের পোষা মাধ্যম গুলো হাততালি দিয়ে মারহাবা মারহাবা করে বলছে ‘ক্যায়া বাত ক্যায়া বাত’। সকল অন্যায়, দুর্নীতি অনিয়ম হালাল করতে বেহায়া মিডিয়া কিছু নির্লজ্জ ক্লাউন নিয়ে বসে যাচ্ছে লাইভ মস্করা-শো করতে। ছিঃ এরা পারেও বটে!!!

বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সংগ্রামে ত্যাগ এবং আপসহীন ভুমিকার জন্য দেশবাসীর কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীতে পরিণত হন বেগম খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসাবে সুদীর্ঘ সময় তিনি গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাঁর এই সংগ্রামের পথ কখনোই মসৃণ ছিলনা। বরং তাঁকে ষড়যন্ত্রের খানাখন্দে ভরা কণ্টকাকীর্ণ দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। কোন হুমকি, কোন ষড়যন্ত্র, কোন বাঁধা তাকে থামাতে পারেনি। ইস্পাত কঠোর দৃঢ়তায় তিনি দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় তাঁর এই সংগ্রামী ভূমিকার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি ষ্টেট সিনেটর ’ফাইটার ফর ডেমোক্রেসি’ খেতাবে ভূষিত করেন।

মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন ‘‘আমার কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে যেখানে সবচেয়ে র্দূবলতম ব্যাক্তিও সবচেয়ে সবলের সমান সুযোগ পায়।‘‘ সব নাগরিকের সমান অধিকার ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার চর্চার মাধ্যমেই শুধু গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই চর্চা চলেছে কি? গণতন্ত্র শম্ভুক গতিতে হাঁটতে গিয়ে প্রতি পদে হোঁচট খেয়েছে। স্বেচ্ছাচারিতা, একগুয়েমী, আগ্রাসী দমননীতির র্হাডলে প্রতিবার গণতন্ত্র হয়েছে বাধাগ্রস্থ। বতর্মান সরকার র্নিবাচিত সরকারের দোহাই দিয়েছে কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকারের আচরণগত পরীক্ষায় পেয়েছে ডাবল জিরো।

গণতন্ত্র হত্যা করতে আর নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে আওয়ামী সরকার বারবার একই নাটক মঞ্চস্থ করে। সেই একই ডায়লগ, একই বুলি। শুধু স্থান আর কালটা ভিন্ন। ২০১৩ সালে ‘র্মাচ ফর ডেমোক্রেসী‘ কমর্সূচী ঠেকাতে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছিলো তার নিজ বাসভবনে আর ‘গণতন্ত্র হত্যা‘ দিবসের কমর্সূচী ঠেকাতে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল দলীয় কার্যালয়ে। সেই একই কায়দায় আইন শৃংক্ষলাবাহিনী দিয়ে কয়েক স্তরের বেস্টনী, জলকামান, প্রিজন ভ্যান আর ইট-বালু-সুরকীর ট্রাক দিয়ে রাস্তায় তৈরী করা হয়েছিল ব্যারিকেড। আর ২০১৫ সালে নতুন সংযোজন করা হয়েছিল গেইটে ঢাউস সাইজের একখানা তালা। আর ২০১৮ তে এসে মিথ্যা সাজানো ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় সাজা দিয়ে এভাবে সরকার শুধু বেগম খালেদা জিয়াকেই কারারুদ্ধ করেনি, কারারুদ্ধ করেছে গোটা দেশকে, গণতন্ত্রকে।

কর্তৃত্ববাদী সরকার মিথ্যা বানোয়াট মামালায় বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পুরেই ক্ষান্ত হয়নি। গোয়েবলসের মতো ধারাবাহিক ভাবে র্নিজলা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজেদেরকে করে তুলেছে তামাশার পাত্র। এখন লটারী করে ঠিক করতে হবে যে- মানুষ নিজের চোখকে বিশ্বাস করবে নাকি শেখ হাসিনা এবং তার সভাসদদের কথা বিশ্বাস করবে!

একদিকে বলা হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে সবরকম সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বাস্তবে আমরা কি দেখছি- সত্তরঊর্ধ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে রাখা হয়েছে একাকী একটি পরিত্যাক্ত, স্যাঁতস্যাঁতে ভবনে। কোন ডিভিশন দেয়া হয়নি।

আর ‘হীরক রাজার দেশের’ মতো প্রধানমন্ত্রীর সাথে সুর মিলিয়ে তার সব মন্ত্রীরা বলে চলেছেন- কোথায় আজ খালেদা জিয়া? জেলে পুরে চোখের আড়াল করলেই তাঁকে মনের আড়াল করা যাবেনা। তিনি আছেন লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়।

৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ আবারো ছোট্ট একটি নমুনা দেখিয়েছে যে তারা বেগম খালেদা জিয়ার সাথেই আছে। ১৪৪ ধারা জারি করেও বেগম জিয়ার গাড়ী বহরে গণমানুষের স্রোত আটকাতে পারেনি। ঢাকার অলি গলি রাজপথ থেকে হঠাৎ আসা সুনামির মতো মানুষ আসতে থাকে। তাদের গন্তব্য ছিল একটাই। বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহর। তারা এসেছিলেন নেত্রীর প্রতি তাদের আনুগত্য, তাদের সহমর্মিতা, তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করতে। পুলিশের গ্রেফতার, লাঠিচার্জ, টিয়ার গুলি, ছাত্রলীগ যুবলীগের হামলা ও তাদের ঠেকাতে পারেনি।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দেওয়ার ওয়াদা করে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগকে পরিনত করেছে তাদের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার নামে চলছে সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতা। বিচারের বানী এখন শুধুই নিভৃতে কেঁদে মরে। বিচারের আশায় অসহায় মানুষ আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও ন্যয় বিচার যেন শুধুই মরিচীকা। বলা হয়ে থাকে আইনের হাত অনেক লম্বা কিন্তু এখানে প্রমানিত হয় সরকার দলীয় প্রভাবের কাছে বাংলাদেশের আইনী ব্যবস্থা পক্ষাঘাতগ্রস্ত, ডিজএইবল।

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টর দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। সন্ত্রাসের কালো ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছেনা দেশের একজন মানুষও। সরকার দলীয় লোকজনের পাশাপাশি এমনকি সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোও একেকটা সন্ত্রাস আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে আর সরকার এক্ষেত্রে উটপাখির নীতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু সমস্ত আবহাওয়া রিপোর্টকে ভুল প্রমানিত করে হঠাৎ আসা টর্নেডোর মতো, যত ঝড় ঝাপটা বিরোধী দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক এমনকি তাদের আত্মীয় স্বজনদের উপর দিয়ে যাচ্ছে। জেল-জুলুম, নির্যাতনতো রয়েছেই, এমনকি তাদের হত্যা, গুম খুন করতেও দ্বিধা করছেনা। কোন একটা অপকর্মের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার সবচেয়ে সহজ সমাধান বিরোধী নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ার দেয়া। এ হচ্ছে এক ঢিলে দুইপাখি মারার সবচেয়ে সহজ সমাধান বটিকা। ইস্যু ধামাচাপার সাথে সাথে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

উন্নয়নের নামে যেখানে দেশে চলছে অবাধ লুটপাটের মহোৎসব আর বিচারের নামে চলছে প্রহসন, যেখানে সরকার ব্যতিব্যস্ত রয়েছে ইন্ডিয়া তোষণে আর সরকারি নেতাকর্মীরা ব্যস্ত রয়েছে নিজ নিজ উদরপূর্তিতে। শুধুমাত্র হয়রানি করার হীন উদ্দেশে বৃহৎ সরকারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দুদক নামক পঁচা শামুকের দ্বারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে। বেগম জিয়াকে চার দেয়ালে আটকে রাখলে, মানুষের মনে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আর ঘৃণা শুধু বাড়বে বৈ কমবেনা। তাই অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

ক্ষমতাকে আরো দীর্ঘায়িত করতে যা যা করা দরকার কোর্টের মাধ্যমে হালাল করিয়ে নিচ্ছে সরকার। যাকে যে ভাবে দমানো দরকার, কন্ঠরোধ করা দরকার, রুলজারির মাধ্যমে তার বাস্তবায়ন করছে তারা। র্কোট কেন রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হবে? যাত্রাপালার সংয়ের মতো অতি উৎসাহী কিছু বিচারপতির কারনে বিচারালয় দলীয় অংগ সংগঠনের আদলে কাজ করছে। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের ক্যাডার এই বিচারপতির কাছে বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার পাওয়া বাতুলতা মাত্র। ছাত্রজীবনে শেখ হাসিনার পরিক্ষীত সৈনিক বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অন্যায় রায় দিয়ে বিচারপতির পরীক্ষায় গোল্ডেন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এবার শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে গোল্ড মেডেল পাবার অপেক্ষা।

সরকার ভাবে তাদের ভুজুং ভাজুং বাংলাদেশের মানুষ বোঝেনা। আইনী জুজুর ভয় দেখিয়ে, একপ্রকার চিপে ধরে জনগণের মুখ বন্ধ করে রাখছে সরকার। সেদিন আর বেশী দূরে নেই যেদিন জেগে উঠবে লক্ষ কোটি জনতা। বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা একদিন জাগবেই সেই জনতা। এই জনতা। সূত্র:(জাস্ট নিউজ)

লেখকঃ লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক।

প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা অসম্ভব: শিক্ষা সচিব

বর্তমান প্রক্রিয়ায় কোনো ভাবেই প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।

তিনি বলেন, আমাদের এমন কোনো প্রক্রিয়ায় যেতে হবে যেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ থাকবে না। আর এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি দ্রুত আমরা এমন কোনো প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করতে পারবো।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রালয়ে প্রশ্নফাঁস নিয়ে আদালতের দেওয়া নির্দেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষা সচিব এসব কথা বলেন।

আজ এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের তদন্ত করার জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রশ্নফাঁস রোধে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সোহরাব হোসাইন বলেন, আদালত যে আদেশ দেবে আমরা অবশ্যই তা পরিপূর্ণভাবে পালন করবো। মন্ত্রী মহোদয় আসার পর আমরা পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করব।

শিক্ষা সচিব বলেন, পাবলিক পরীক্ষা যথাযথ পরিচালনা করা এককভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। আগেও কখনো সম্ভব হয়নি। এখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আরও বিভিন্ন উইং যুক্ত।

সোহরাব হোসাইন বলেন, ইন্টারনেট সুবিধা থাকায় যারা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত তারা দ্রুত ও সহজে কাজটা করতে পারছে। মুর্হুতের মধ্যে একটি জায়গায় প্রশ্ন ফাঁস হলেই তা ছড়িয়ে যাচ্ছে। নেটের কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে তা নয়। বরং যেখানেই প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে তা দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। আর এই নেট যদি না থাকতো তাহলে এতো দ্রুত ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ছড়িয়ে যেত না।

শিক্ষা সচিব বলেন, এখন যে পরিস্থিতি সেই পরিস্থিতিতে সবাই মিলে একটা উপায় বের করতে হবে, যে প্রক্রিয়া প্রশ্ন আউটের কোনো ব্যাপার থাকবে না। সেই প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করার জন্য সকলে মিলে এগিয়ে আসতে হবে। সেজন্য মন্ত্রণালয় ও ব্যক্তিগতভাবে আমি কাজ করছি। আমি অবিলম্বে এটি মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে দেব।

সোহরাব হোসাইন বলেন, আমি চাই আগামী বছর থেকে যে পরীক্ষা হবে সেই পরীক্ষা যাতে কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়া হতে পারে সে রকম একটা প্রক্রিয়া আমরা সবাইকে নিয়ে আমরা বের করতে চাই, সে পথে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।

ওসি ফতুল্লাসহ তিন অফিসার আবারো শ্রেষ্ঠ

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের আয়োজিত অপরাধ সভায় ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.কামাল উদ্দিন বিশেষ ও এস.আই কাজী এনামুল হক ও এ.এস.আই তারেক আজিজ শ্রেষ্ঠ অফিসারের সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মাসিক মূল্যায়ন সভা এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন যোগদানের পর থেকে ফতুল­া থানার সার্বিক দিকদিয়ে তিনি চমৎকারভাবে সাজিয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় থানার শৈলপিক দিকদিয়ে জেলার অন্যান্য থানার চেয়ে সে সবার শীর্ষে। ফতুল­া মডেল থানার সিভিল টীম প্রধান এস.আই কাজী এনামুল হক ও তার সহকর্মী এ.এস.আই তারেক আজিজ ওয়ারেন্ট তামিল মাদক উদ্ধার ও সন্ত্রাসী দমনে বেশ কয়েক বার পুরস্কার পেয়েছে। জানুয়ারী মাসেও তারা সেরা পুরস্কার পেয়েছে। ১৫ ফেব্র“য়ারী জেলা পুলিশ সুপারের আয়োজিত অপরাধ সভায় জেলার শ্রেষ্ঠ এস.আই হিসেবে কাজী এনামুলহক এবং এ.এস.আই হিসেবে পুরস্কার পেলেন তারেক আজিজ।

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীর মত আমাদেরও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে-এড. শাখওয়াত

নাশকতা এবং বিস্ফোরক মামলায় ১১ দিনের কারাবাস শেষে কারামুক্তি লাভ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. শাখওয়াত হোসেন খান সহ ৩ আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩টায় কারাগারের প্রধান ফটক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনের সামনে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নেতাকর্মীরা।

এর আগে জেলা ও দায়রা জজ মো: আনিসুর রহমান মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড.শাখওয়াত হোসেন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জেলার যুগ্ম সম্পাদক এড. আনোয়ার হোসেন প্রধান, ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মঈনুদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করেন।

কারামুক্তি হয়ে এড. শাখওয়াত হোসেন খান বলেন, কারাজীবন সুখের নয়। এর আগেও কারাজীবন পার করতে হয়েছে, কিন্তু এবারের মতো লজ্জা এবং ন্যাক্কারজনকভাবে আমাদের এর আগে আর রাখা হয়নি। অপরাধ না করা সত্বেও আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়েছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন মৃত্যুর আসামীকে কনডেম সেলে রাখা হয় আমরা জানতাম। কিন্তু আমাদেরকেও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। অজস্য নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে, যারা রাজনীতি থেকে প্রায় নিস্কিয় হয়ে গিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই চালিয়েছি। ভবিষ্যৎও লড়াই চালিয়ে যাবো, যতদিন পর্যন্ত আমাদের নেত্রীর মুক্তি না হয়।

পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে বীমা করে শতাধিক গ্রাহকরা দিশেহারা

পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে জীবন বীমা করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শতাধিক গ্রাহকরা দিশেহারা। বীমা পলিসির মেয়াদ পূর্তির চেক প্রদান করার ১ বছর অতিবাহিত হলেও ওই চেকের টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না গ্রাহকেরা। পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের একাউন্টে টাকা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকেরা ব্যাংক ও বীমা অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

উপজেলার রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সুলপিনা এলাকার গ্রাহক পারভীন আক্তার জানান, ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তার বীমা পলিসির মেয়াদ পূর্ণ হয়। তখন কোম্পানি থেকে তাকে ৫০০৪৫৭৯-৮ নং পলিসির নামে একটি চেক প্রদান করেন। একাউন্টে কোনো টাকা না থাকায় ১ বছর অতিবাহিত হলেও ওই চেকের টাকা উত্তোলন করতে পারছে না। তাছাড়া ১৫ বছর মেয়াদী এসব জীবন বীমা গ্রাহকদের এক টাকাও লাভ দেয়া হয়নি কোম্পানী থেকে। বরং জমাকৃত টাকার চেয়েও কম টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে গ্রাহকদের মাঝে।

পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহক ও উপজেলার সুলপিনা এলাকার মোগল মিয়া (৫০০৩৯১৮-৯), হালিমা বেগম (৫০০৩৮১৩-২), গোলজার হোসেন একই অভিযোগ করে বলেন, এক বছর পার হয়ে গেছে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কোনো চেক জমা দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে না। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চেকের টাকা না পেলে আদালতের সরণাপন্ন হবেন বলেও তারা জানান।

এ ব্যাপারে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড কোম্পানির ইভিপি (প্রশাসন) জাকির হোসেন জানান, সাময়িক অসুবিধার জন্য গত এক বছর ধরেই কোম্পানির কোনো চেক পাস হচ্ছে না। শত শত পলিসি হোল্ডার হয়রানি হচ্ছে শিকার করে আরো বলেন, একাউন্টে টাকার বিষয়টি কোম্পানির চেয়ারম্যানই বলতে পারবেন। তবে গ্রাহকদের টাকা পরিশোধের ব্যাপারে একাধিকবার বোর্ড মিটিং হয়েছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে।

শেখ হাসিনার বদলে খালেদা জিয়ার নামে দোয়া করায় মসজিদের ইমাম আটক

শেখ হাসিনার নামে দোয়া করতে গিয়ে ভুলে খালেদার জিয়ারনাম বলায় আটক হলেন মসজিদের ইমাম আবু বকর সিদ্দিক। ঘটনাটি ঘটেছে উল্লাপাড়া উপজেলার ভেটুয়াকান্দি গ্রামে।

বুধবার সকালে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান কওশিক আহমেদ জানান, উল্লাপাড়ার ভেটুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনার নামে দোয়া করতে গিয়ে ভুলে খালেদা জিয়ার নাম বলায় এমপির নির্দেশে ইমামকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান ওসি।আটক আবু বকর সিদ্দিক একই উপজেলার পশ্চিম বামন গ্রাম এবং বাখুয়া দারুর রাশাদ মাদ্রাসার ছাত্র।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার উল্লাপাড়ার এমপি তানভীর ইমাম ওই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। অনুষ্ঠানে দোয়া করার জন্য আনা হয় অত্র গ্রামের মসজিদের ইমাম আবু বকর সিদ্দিককে। তিনি মোনাজাতে শেখ হাসিনার নামের জায়গায় ভুলে খালেদা জিয়ার নাম বলে ফেলেন।

এ সময় এমপি তানভীর মোনাজাত ছেড়ে দিয়ে ওই ইমামকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন এবং পুলিশকে আটকের নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

শিক্ষিকা লাঞ্চনাকারী জাপা নেতা মজিদ খন্দকার’র জামিন

হাজীগঞ্জের স্কুল শিক্ষিকা শাহীনুর পারভীনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার কৃত নারায়নগঞ্জ জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবুল মজিদ খন্দকার জামিন দিয়েছে আদালত।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে আদালতে হাজির করে জামিন চাইলে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দও এই জামিন মঞ্জুর করেন।

গত, ১৩ ফেব্রুয়ারী দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ অভিযুক্ত আসামী মজিদ খন্দকারকে নারায়নগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জেল হাজতের নির্দেশ দেন। একই সাথে বুধবার তার জামিন শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।

প্রসঙ্গ, গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাতে স্কুল শিক্ষিকা শাহীনুর পারভীনের বাসায় গিয়ে আবুল মজিদ খন্দকার ও তার স্ত্রী তাদের নাতিকে প্রাইভেট পড়ানোর প্রস্তাব দিলে স্ইে প্রস্তাবে স্কুল শিক্ষিকা শাহীনুর পারভীন অপারগতা প্রকাশ করলে মজিদ খন্দকার ও তার স্ত্রী কতৃক জুতাপিটা ও মারধরের শিকার হয়।

এরপর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে ৩০০ শষ্য বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসা শেষে পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারী তাকে বাসায় আনা হয়। ঐদিন সকালে শাহীনুর পারভীনের পিতা বাদী হয়ে মজিদ খন্দকার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল সন্ধায় মজিদ খন্দকারকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এ সময় তার স্ত্রী পলাতক ছিল।

হিজড়া বিউটি পার্লার উদ্বোধন করলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর একটি বিউটি পার্লার উদ্বোধন করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা পুলিশের সহযোগিতায় শহরের পুরাতন জেলরোডস্থ পুলিশ ভবন মার্কেটে ‘উত্তরণ-৩’ নামে ওই বিউটি পার্লারের উদ্বোধন করেন তিনি। হিজড়ারা এ পার্লার পরিচালনা করবেন।

বিউটি পার্লার উদ্বোধন শেষে ডেপুটি স্পিকার বলেন, সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমরা চাইব সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) উদ্যোগ নেবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সংরক্ষিত নারী সাংসদ ফজিলাতুন-নেছা বাপ্পি, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি মিজানুর রহমান, এএসপি ইকবাল হোসেন ও রেজাউল কবির প্রমুখ। (সূত্র-যুগান্তর)

 

বিকালে খালেদা জিয়ার রায়ের কপি পাবেন আইনজীবীরা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের কপি বুধবার বিকালে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।বিষয়টি নিশ্চিত করে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, সকালে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছেন কপি তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। বিকাল ৪টা নাগাদ তা আইনজীবীদের দেয়া যাবে। ওই অনুলিপি পাওয়ার পরই বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করবেন আইনজীবীরা।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনশনে নেতাকর্মীরা

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্ব ঘোষিত অনশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টার আগ থেকেই এ প্রতীকী অনশনে যোগ দিতে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

অনশনকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রেসক্লাব ও আশপাশের এলাকায় রয়েছে অন্যদিনের তুলনায় অতিরিক্ত পুলিশ। এ ছাড়া আছে সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবদীন ফারুক, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাবির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ২০ দলের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল করিম, ন্যাপ-ভাসানীর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।