৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 174

ইসলাম শান্তির ধর্ম, জঙ্গীবাদের ধর্ম নয় : এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। এটি জঙ্গীবাদের ধর্ম নয়। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সারা পৃথিবীতে মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গী বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত। এখন কোন কোন রাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশেও বাঁধা দেয়া হয়। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, আমাদেরকে সন্ত্রাসী কে বানালো? ইরাকতো একটি সুন্দর দেশ ছিলো। সেখানে কোন জঙ্গীবাদ ছিলো না। কিন্তু এরপরেও ইরাককে কেন ধ্বংস করা হলো? সিরিয়া ও স্তাম্বুলেও কোন জঙ্গী ছিলো না। তাহলে সিরিয়াকে কেন ধ্বংস করা হয়েছে? ইরানে এখনো যুদ্ধ চলছে। ইসলামের বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।’

২৬ জানুয়ারি শুক্রবার বাদ জুম্মা বন্দরের কুতুববাগ দরবারের ওরশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জাতীয় পার্টির এমপি এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু প্রমুখ।

এদিকে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আগমন উপলক্ষে শুক্রবার সকালে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার নেতৃত্বে সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শতশত মোটরসাইকেল ও গাড়ির বহর নিয়ে পল্লীবন্ধুকে স্বাগত জানান। এসময় নেতাকর্মীদের মুখে মুখে পল্লীবন্ধু ও এমপি খোকার স্লোগান এবং হাতে উভয়ের ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন ছিলো।

বহুল আলোচিত নিয়াজুলের অস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার ইস্যু নিয়ে সংঘর্ষের দিন প্রকাশ্যে অস্ত্র বের করা নিয়াজুল ইসলাম খানের খোয়া যাওয়া পিস্তলটি ১০ রাউন্ড গুলিসহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইতালির তৈরি ৭ পয়েন্ট ৬ বোরের অস্ত্রটি নিয়াজুলের নামে লাইসেন্স করা। তবে অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে জনমনে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ২টায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে সাধু পৌলের গির্জার সামনে একটি ফুলের টবে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি চাষাঢ়ায় সংঘর্ষের সময় পিস্তল বের করেন নিয়াজুল। পরে তাকে আইভীর সমর্থকরা রাস্তায় ফেলে মারধর করে। এসময় তার পিস্তলটি খোয়া যায়। পরদিন অস্ত্রের মালিক নিয়াজুল ইসলাম তার ছোট ভাই রিপন খানের মাধ্যমে সদর মডেল থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অস্ত্র লুটের ঘটনায় অভিযোগ দেন। পুলিশ সেটাকে জিডি হিসেবে গ্রহণ করে।

ঘটনার ৯ দিন পর নিয়াজুলের খোয়া যাওয়া অস্ত্রটি ফুলের টব থেকে খুঁজে পাওয়ায় তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ সাধু পৌলের গির্জাটির অবস্থান শহরের মূল সড়কে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজনের আনাগোনা। এতদিন কারো চোখে পড়লো না অথচ গভীর রাতে পুলিশের চোখে অস্ত্রটি পড়ে গেলে। এ নিয়ে নগরবাসীর মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অবৈধ উপায়ে কোটিপতি বনে যাওয়া এক প্রভাবশালী ব্যক্তি আমার পিছনে লেগেছে-ইকবাল মেম্বার

অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজএটুজেড২৪.কম পরিবেশিত দৈনিক সোজা সাপটা,আজকের জনবানী, সময়ের নারায়ণগঞ্জ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের দ্বিমত পোষন করেছেন আলীরটেক ইউপি ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার ইকবাল মাহমুদ। তিনি জানান, গত ২২ জানুয়ারী বারেক মাতববর সদর মডেল থানায় তাকে গালিগালাজ,কিল- ঘুষি,শরীরে জখম ও প্রাণে মেরে ফেলার যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি।

৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার সিরাজুল ইসলাম সিরু, সমাজসেবক সেলিম সরদারকে নিয়ে ২৩ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে বারেক মাতববর কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন অভিযোগ করেছি নিজে। পত্রিকায় এলো কিভাবে জানিনা। সিরু মেম্বার বলেন, এ রকম কোন ঘটনা ঘটেনি। সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।

ইকবাল মেম্বার আরো জানান,বারেক মাতববর বার বার তাকে হয়রানি করছে এলাকার একজন অবৈধ উপায়ে কোটিপতি বনে যাওয়া প্রভাবশালী মুখোশদারি এক ব্যক্তির মাধ্যমে । আমার এবং আমার পরিবারের সম্মান নষ্ট করার পেছনে সেই মুখোশদারি ব্যাক্তিটি বারেকের নাম বিক্রি করে এই কাজ গুলো করতে চাচেছ। সেই মুখোশ দারি ব্যাক্তিটি কে ? আপনাদের অবশ্যই জানার দরকার। কারন এই ব্যাক্তিটি গত ১৫/২০দিন আগে আমার বড় ভাইকে তার অবৈধ  টাকার বিনিময়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে মাদক মামলায় ফাসাইতে চেয়েছিল। ভবিষৎতে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুরো ইউনিয়ন বাসিকে জানিয়ে দেওয়া হবে সেই মুখোশ দারি ব্যক্তির নাম। (মুখোশ দারি ব্যক্তিটির নাম জানতে চোখ রাখুন নিউজ প্রতিদিন ডট নেট এ)

দক্ষিণ কোরিয়ায় হাসপাতালে আগুনে নিহত-৩৩

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ৩৩ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো বহু। এর মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। খবর বিবিসি।

দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মিরাং এলাকার ওই হাসপাতালটি রাজধানী সিউল থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

সেজং নামের ওই হাসপাতালটিতে বেশির ভাগই বৃদ্ধদের সেবা দেয়া হয়। আগুন লাগার সময় হাসপাতালে ২০০ রোগী ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রধান চোই ম্যান-য়ু বলেণ, আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত হওয়া ৪০ জনের জনের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের অন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন।

গত বছর জেচেন শহরের একটি সরকারি শরীর চর্চাকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ জন নিহত হয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগ জিতলে হাতে চুড়ি পরব : কাদের সিদ্দিকী

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার পর যদি আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে তবে হাতে চুড়ি পরবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার নাটোর শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে নাটোর জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি আরো বলেন, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে মাত্র ১৩ পার্সেন্ট ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার মানায় না। দলটি এই রকম নির্বাচন আরেকবার করলে তাদের স্থান হবে মাটির নিচে।

আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে না, তারা ভালবাসে ক্ষমতা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন আর আওয়ামী লীগ করে না বলেই সেই দলে বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য দায়ী হাসানুল হক ইনু আর বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে জুতার বানানোর শ্লোগান দেয়া মতিয়া চৌধুরীর মতো মন্ত্রী আছে।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমাকে ইনু-মতিয়ারের সাথে বেহেশতে যেতে বললেও যাবো না। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পরে জাসদ যা হত্যা না করেছে আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিজেদের লোককে তার চেয়ে অনেক বেশি হত্যা করেছে।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এভাবে ক্ষমতায় এলে তিনি হবেন মহিলা স্বৈরাচার। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর মহিলা স্বৈরাচার উপাধি নেওয়া উচিত হবে না।

তিনি নাটোরের রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তিনি নাটোরে আটদিন অবস্থান করে আব্দুল কুদ্দুসকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজ করে গেছেন। আর পরে নিজ দলের কাজে আহম্মদপুর স্কুল মাঠে তাঁবু খাটিয়ে থাকার সময় সেই আব্দুল কুদ্দুসই গুন্ডা বাহিনী পাঠিয়ে তাদের তাঁবু ভেঙ্গে দেন।

তিনি বলেন, আব্দুল কুদ্দুসের মতো নিমক হারাম আর আছে বলে আমার জানা নাই।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, তিনি নাটোরে তার দলের জন্য গামছার বীজ বপণ করতে এসেছেন। এই বীজ থেকেই এক সময় হাজার হাজার গামছার কর্মী-সমর্থক তৈরি হবে ইনশাআল্লাহ, আশাবাদ তার।

নাটোর জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহবায়ক শহীদুল ইসলাম মুন্সির সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর প্রতিক হাবিবুর রহমান তালুকদার, কেন্দ্রীয় যুব শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুন নবী সোহেল, স্থানীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা তমসের আলী, সাইফুল ইসলাম, কায়সার জামান খান, এসএম আয়নাল হোসেন ও সোহরাব হোসেন।

জামিনে মুক্ত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম

উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাড.তৈমূর আলম খন্দকার।

২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা ইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড.সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে একদল আইনজীবীসহ শতাধিক নেতাকর্মী তৈমূরকে ফুলের মালা পুড়য়ে শুভেচ্ছা ও অভিন্দন জানান। এ সময় কারামুক্ত তৈমূর মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া এবং বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পরে মাসদাইরের বাসায় ফিরে শুকরিয়া নামাজ আদায় শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। এছাড়া আদালত প্রাঙ্গনে দলমত নির্বিশেষে আইনজীবিরা আমার জন্য যে ভূমিকা রেখেছেন তা নারায়ণগঞ্জে ইতিহাস হয়ে থাকবে।

তৈমুর আরো বলেন, হামলা মামলা করে জেলে দিয়ে আমাকে গনতন্ত্র পুনুরুদ্ধারের আন্দোলন থেকে বিরত রাখা যাবে না। তৃণমূলের হাজার লক্ষ্য নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গনতন্ত্র পুনুরুদ্ধারের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবো। আল্লাহ ছাড়া কোন রক্ত চক্ষুকে পরোয়া করি না। রাজপথে ছিলাম, আছি এবং আগামী দিনেও রাজপথে থাকবো। আমার জন্ম রাজপথে, মৃত্যুও হবে রাজপথে।

এর আগে এদিন সকালে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন। বিকেলে জামিনের আদেশ নারায়ণগঞ্জ কারা কতৃপক্ষের কাছে পৌছারে কারা কতৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়া থেকে তৈমুর আলম খন্দকারকে গ্রেপ্তার করেছিল।

খতমে নুবুওয়াতের আকিদা মানা ঈমানের শর্ত -এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

তাহরিকে খাতমে নুবুওয়াত বাংলাদেশের আমির ও জৌনপুরী পীর সাহেব আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী বলেছেন, দুনিয়া ও আখেরাতের প্রধান বিষয় ঈমান। কিয়ামতে নাযাত পাবে প্রকৃত ঈমানদার মুমিনগণ। রসুল (সা.) সর্বশেষ নবী কিয়ামত পর্যন্ত আর কোন নবী আসবেন না । ঈমান ও ইসলামের প্রধান ভিত্তি হচ্ছে তাওহীদ ও রিসালাত অর্থাৎ খাতমে নুবুওয়াতের আকিদা। এটা মানা ঈমানের অংশ। যারা এটা মানবেনা তারা মুসলমান থাকতে পারে না এবং কাফির হয়ে যাবে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়াত সিলেট বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পীর সাহেব বলেন, খাতমে নুবুওয়াতের আকিদা সম্পর্কে সুস্পষ্ট কুরআনের আয়াত ও হাদিস রয়েছে। পবিত্র কুরআনের সূরায়ে আহযাবে ৪০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, রসুল (সা.) সর্বশেষ নবী । অর্থাৎ রসুল (সা.) নবী না হলে মহান আল্লাহ তায়ালা তার একজন পুত্র সন্তানকে জীবিত রেখে তাকে পরবর্তী নবী নির্বাচিত করতেন। সুতরাং রসুল (সা.) সর্বশেষ নবী রসুল (সা.) বলেছেন আমি সর্বশেষ নবী আমার পরে কোন নবী আসবে না (বুখারী, মুসলিম, তিরমীযি শরীফ)

পীর সাহেব আরো বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ৮০টি জিহাদে মোট নিহত হয়েছে সাহাবি ও বিরোধীপক্ষসহ ১০১৮ জন। জিহাদ মানুষ হত্যার জন্য নয়। অপরদিকে খাতমে নুবুওয়াত বিরোধী কাজ্জাবের বিরুদ্ধে জিহাদে মোট সাহাবি নিহত হয়েছিলেন ২৪০০ জন। সুতরাং খাতমে নুবুওয়াতের জিহাদ সব চেয়ে বড় জিহাদ ও আন্দোলন।

রসুল (সা.) এর চাচা হামজা (রা.) এর হত্যাকারী ওয়াসী, খাতমে নুবুওয়াত বিরোধী কাজ্জাবকে হত্যা করায়, রসুল (সা.) তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। সুতরাং খাতমে নুবুওয়াতের মর্যাদা অনেক বেশি। হযরত ঈসা (আ.) দামেস্কের জামে মসজিদে অবতরণ করে মসজিদে প্রবেশ করলে ইমাম মাহাদী (আ.) তাকে আসরের নামাযের ইমামতি করার কথা বলবেন তখন হযরত ঈশা (আ.) বলবেন, আমি নবী হিসেবে নয়, উম্মত হিসেবে আগমন করেছি। আপনি ইমামতি করেন। সুতরাং আবারো তিনি প্রমাণ করবেন রসুল (সা.) সর্বশেষ নবী । তাই খাতমে নুবুওয়াতের অস্বীকার কারীদের প্রতিহত করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ও আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং কাদিয়ানীদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার দাবি আদায় করতে হবে।

হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম মিয়াজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো বয়ান করেন, ভারতের জৌনপুর থেকে আগত হাদীয়ে বাঙ্গাল শাহ্ কারামত আলী জৌনপুরীর অন্যতম আওলাদ, আল্লামা আবু মুসা আশয়ারী সিদ্দিকী আল কোরইশী পীর সাহেব জৌনপুরী (ভারত)। আল্লামা মুফতী এহসান উল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরী, আল্লামা ক্বারি সাইয়্যেদ ওবায়েদুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরী, আল্লামা ওমার আহম্মদ সিদ্দিকী আল কোরাইশী জৌনপুরী। মাহফিলের সমন্বয়কারী ছিলেন জনাব ফয়েজ আহমেদ উজ্জল, বিমান প্রকৌশলী ও বদ্দরুল ইসলাম আকন।

রাজনৈতিক মামলার হাজির দিলেন বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ

সোনারগাঁ থানার রাজনৈতিক মামলায় নারায়ণগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম,সাবেক এমপি মোঃ গিয়াস উদ্দিন , সোনারগাঁ থানা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান,জেলা যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম স্বপন, সোনারগাঁ থানা ছাত্রদল নেতা মোঃ আশ্রাফ মোল্লা, মোঃ রুবেল হোসাইন ।

বৃহস্পতিবার ( ২৫ জানুয়ারি ) সকাল সাড়ে ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদালত মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের আদালতে সোনারগাঁ থানা মামলা নং (২৪ -১০-১৭ ইং) মামলার হাজিরা দেন তারা ।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন,জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, এড. জাকির হোসেন, এড. সরকার হুমায়ুন কবীর, এড. খোরশেদ আলম মোল্লা, এড. মশিউর রহমান শাহীন, এড. রকিবুল হাসান শিমুল, এড. বোরহানউদ্দিন সরকার, এড. আবুল কালাম আজাদ জাকির, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, এড. শরিফুল ইসলাম শিপলু সহ বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা ।

বর্তমান সরকার দেশ উন্নয়ন করছে-প্রাণিজ সম্পদ মন্ত্রী

সোনারগাঁ প্রতিনিধি: মৎস ও প্রাণিজ সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বর্তমান সরকার সামগ্রিকভাবে দেশ উন্নয়ন করে যাচ্ছে। ২০২১ সালে দেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে। দেশ স্বাধীন না হলে আমরা কলোনীর মতো হয়ে যেতাম। আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। সরকার আসে সরকার যায়। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা আমিনপুর মাঠে প্রাণিজ সম্পদ অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে প্রজেনী প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রাণিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় দুটি লক্ষ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে একটি হলো দুধের যোগান দেওয়া অন্যটি হলো মাংসের যোগান দেওয়া।

প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, সংরক্ষিত সাংসদ হোসনে আরা বাবলি, প্রাণিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওয়াছি উদ্দিন, মহাপরিচালক আইনুল হক, সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল ইসলাম ভুইয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম প্রমূখ।

দেশে ৩য় বারের মতো প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীতে ১৯০টি ফার্মের গরু প্রদর্শন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে ভিসিকে উদ্ধার ছাত্রলীগের, আহত ১০

ছাত্রী নিপীড়নে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বহিষ্কারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে উদ্ধার করেছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। মঙ্গলবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে ৫ দফা দাবিতে ফটক ভেঙে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্য নিজ কার্যালয়ে ছিলেন। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে তিনি সেখান থেকে বের হতে পারছিলেন না।

বিকালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে সংগঠনের ২০-২৫ জনের একটি দল উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে যান। এরপর ছাত্রলীগের আরো নেতা কর্মী সেখানে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালিয়ে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

শিক্ষার্থীরা বের হওয়ার সময় বিভিন্ন ফটকের সামনে থাকা ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ওপর আবারো হামলা চালায়। ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি লিটন নন্দীসহ কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাদের বেধড়ক মারধর করে।

হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজিব কুমার দাস, তাজুয়ার, জহর লাল রায়, অপু, আরশাদ, উম্মে হাবিবা বেনজীর, রায়হান, জাফরুল নাদিম, রাসেল ও লিটন নন্দী।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত ১৫ জানুয়ারি উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্রদের হুমকি-ধমকি ও ছাত্রীদের ওপর নিপীড়ন করে আন্দোলন নস্যাৎ করে দেন। এর প্রতিবাদে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা ১৭ জানুয়ারি প্রক্টর কার্যালয়ের ফটক ভেঙে প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করেন। পরদিন অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে টানা আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-প্রক্টরের পদত্যাগ, ছাত্র প্রতিনিধিসহ ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনার তদন্ত করা, অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতাদের বহিষ্কার করা ও প্রশাসনের করা মামলা তুলে নেওয়া।