নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান মঙ্গলবার বিকেল থেকে শহরের ফুটপাতে হকারদের বসার নির্দেশ দেয়ার পর এবার হকারদের ঠেকাতে রাস্তায় নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগর ভবন থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে শহরের চাষাড়া যান তিনি। সেখানে পৌঁছার পর মেয়র আইভী ও এমপি শামীম ওসমান সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সংঘর্ষে মেয়র আইভীসহ প্রায় ৫০জন আহত হয়।
শহরে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নাসিক মেয়র আইভী ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অনুসারীেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মঙ্গলবার বিকালে বন্দর নগরীর আহত হয় অন্তত ৫০ জন। এদের একজন স্বয়ং মেয়র আইভী। ডিসেম্বরের শেষ দিকে নগরী থেকে হকার উচ্ছেদ করেছিল সিটি করপোরেশন। আর তাদেরকে বসতে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন শামীম ওসমান।
সোমবার তিনি মেয়রকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, হকাররা নারায়ণগঞ্জে বসবে, এটা তার অনুরোধ নয়, এটা তার নির্দেশ। মেয়র আইভীও জবাব দেন এভাবে যে, নারয়ণগঞ্জ শহর শামীমের এলাকা না। এখানে তার নির্দেশ চলবে না।
দুই নেতার অনঢ় অবস্থানের কারণে সকাল থেকেই নগরীতে ছিল উদ্বেগ উৎকণ্ঠা। চাষাঢ়ায় শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেয় পুলিশও।
বিকাল ৪ টা ১৮ মিনিটে নগর ভবনের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের নিয়ে অবস্থান নেন মেয়র আইভী। ওখান থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আবু সুফিয়ান আইভীর পক্ষে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করে চাষাড়ার দিকে আসতে থাকেন। পরে নেতাকর্মীদের নিয়েই আইভী হকার উচ্ছেদ করতে করতে চাষাড়ার দিকে আসতে থাকেন। এসময় আইভীর সঙ্গে সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন।
অপর দিকে হকার এবং শামীম ওসমানের অনুসারীরা অবস্থান নিয়েছিলেন চাষাঢ়া শহীদ মিনারে। আইভী যখন চাষাঢ়া সায়েম প্লাজার সামনে আসেন, তখন শামীম ওসমানের লোকজন আইভীর লোকজনদের বাধা দেয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে মেয়র আইভী, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফুদ্দীন সবুজ ও শামীম ওসমানপন্থী মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেনসহ অর্ধশতাধিক নেতা কর্মী আহত হন। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আর কয়েকশ পুলিশ এসে দুই পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দেয়।
বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে চাষাঢ়া রাইফেলস ক্লাব থেকে বের হন শামীম ওসমান। নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি চাষাঢ়া সায়াম প্লাজা পর্যন্ত শোডাউন করেন। এর আগে আইভী তার নেতাকর্মীদের নিয়ে চাষাড়া ত্যাগ করেন। পরে শামীম ওসমান রাইফেলস ক্লাবে ফিরে যান। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সকল মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।


উল্লেখ্য যে গত শুক্রবার জুন্মার নামাজ শেষে ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকাসহ আশে পাশের মুসুল্লীরা হাসানের গ্রেপ্তারের দাবীতে তার বাড়ী ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং হাসানের বাড়ীতে অভিযান চালান, এসময় হাসানের বড় ভাই হেদায়েত উল ইসলাম ছাড়া অন্য সদস্যরা আত্নগোপনে চলে যায় পরে পু্লিশ হেদায়েত কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সোনারগাঁও থানাধীন মেঘনাঘাট এলাকায় চেকপোষ্ট পুলিশ হাসান উল ইসলাম কে আটক করেন এবং ফতুল্লা থানায় সোর্পদ করেন। শনিবার রাতে এঘটনায় কুতুবপুর ইউনিয়নের ভূৃইঘর এলাকাস্হ আল আরাফা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ছিদ্দিকুল্লাহ্ বাদী হয়ে হাসানের বিরুদ্ধে আইসিটি এ্যাক্টের ৫৭ ধারায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ হাসান কে জিঙ্গাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে রোববার আদালতে পাঠালে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে একটি সুএে জানা গেছে ধৃত হাসান উল ইসলাম ছোট বেলায় টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হলে তার বাম পা একটু বাকাঁ হয়ে যায়, এই কারনে তার পরিবার তাকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যায় এর পরে বেশ কয়েকমাস ভারতে চিকিৎসা করিয়েও তার পাঁ আর স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসেনি।






