১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 120

মেয়র আইভীর বিএনপি-জামায়াত কানেকশনের অডিও প্রকাশ

জামায়াতে ইসলামীর মজলিশে শূরার সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমির মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমদ পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন। পুলিশি জেরায় উঠে এসেছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির অজানা কথা। তার কাছ থেকে রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নানা সমীকরণের তথ্য জানতে পেরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও হতবাক। মাঈনুদ্দিন আহমদের জবানিতে নারায়ণগঞ্জের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের গোপন ঘনিষ্ঠতার চিত্র ফুটে উঠেছে। আইভীর বিএনপিতে যোগদানের পরিকল্পনার তথ্যও ফাঁস করেন জামায়াতের এই নেতা। এ-সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড এখন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে।

জামায়াত নেতা মাঈনুদ্দিনের এসব তথ্য ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করেছেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের। যোগাযোগ করা হলে মঞ্জুর কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘মাঈনুদ্দিন এমন কিছু তথ্য ফাঁস করেছেন, যা আগে কেউ শোনেনি। এসব তথ্য জানার পর আমরাও অবাক হয়েছি।’ তিনি বলেন, মাঈনুদ্দিন আহমদ এখন কারাগারে আটক রয়েছেন। গ্রেফতারের পর তাকে দুই দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই মূলত একসময় তার মুখ থেকে নানা গোপন তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। ফাঁস হওয়া তথ্যের চুম্বক অংশ বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাঠকদের জন্যে প্রকাশ করা হলো— বিএনপির সঙ্গে আইভির যোগাযোগ প্রশ্নে মাঈনুদ্দিন বলেছেন, ‘আইভীর সঙ্গে বেগম জিয়ার সরাসরি যোগাযোগ ছিল। ঢাকার মির্জা আব্বাসের বউ আফরোজা আব্বাসের মাধ্যমেই এই সম্পর্কটা হয়। তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচনের সময় আমরা (জামায়াত) হেল্প করেছি। বিষয়টা হলো এ রকম, আইভীর একটা ইয়ে (ওয়াদা) ছিল বেগম জিয়ার সাথে। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর সে বিএনপিতে জয়েন করবে। আইভীর সাথে বেগম জিয়ার আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা এ রকম ছিল। সেই হিসেবে তৈমূরকে প্রত্যাহার করা হলো। অল্প সময়ে না। রাতের মধ্যেই তৈমূরকে বসিয়ে দেওয়া হলো।’ চুনকা পরিবারের সঙ্গে জামায়াতের যোগাযোগের বিষয়ে অডিও রেকর্ডে মাঈনুদ্দিন বলেন, ‘আমরা আলী আহমদ চুনকা (আইভীর বাবা) সাহেবের সাথে ছিলাম। আইভীর ফাদারের সময় আমরা রাজনীতি করেছি। আমরা ওনার সাথে আলোচনা করে ওনারে সাথে নিয়া সাঈদী সাহেবের মিটিং করেছি এখানে। আমি চুনকা সাহেবের কাছ থেকে আদর্শ স্কুলের জায়গা নিয়ে আসছি।’ আদর্শ স্কুল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মাঈনুদ্দিন বলেন, ‘স্কুলটা প্রতিষ্ঠা করেছে মুজাহিদ সাহেব (আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ)। উনি এখানে ছিলেন। উনি প্রতিষ্ঠাতাদের একজন এবং প্রিন্সিপাল ছিলেন। কিছু জায়গা কিনেছি আমরা, কিছু জায়গা ওনার (চুনকা) কাছ থেকে দলিল করে নিয়েছি। ওই সময়টা ছিল আওয়ামী লীগ হোক আর যে-ই হোক, তাদের সঙ্গে রাজনীতিক কো-অপারেশন ছিল। কিন্তু এখন সেটা আর নেই। আমরা আমলাপাড়া মসজিদে চুনকা সাহেবকে নিয়ে বসে আলোচনা করে সাঈদী সাহেবের মাহফিল করেছি সেই ঈদগাহে।’ জামায়াতের সঙ্গে আইভীর যোগাযোগ প্রশ্নে অডিও রেকর্ডে জামায়াত নেতা মাঈনুদ্দিন বলেন, ‘আইভীর বাপের সাথে আমারও রিলেশন ছিল। মুজাহিদ সাহেবের ওয়াইফ আর আইভী ক্লাসমেট ছিল। আইভী আর মুজাহিদের বউ সমবয়সী এবং ক্লাসমেট। মুজাহিদ সাহেব যখন জেলে, তখন ওনার ছেলেদের জন্মনিবন্ধনও এখানেই হয়েছে। অনেক ঘুরাঘুরি করে যখন পাচ্ছিল না, তখন মুজাহিদের ওয়াইফ আইভীকে বলার পরই আধঘণ্টার মধ্যে এই জন্মনিবন্ধন হয়ে গেল।’ বর্তমানে জামায়াতের সঙ্গে আইভীর যোগাযোগ প্রসঙ্গে মাঈনুদ্দিন বলেন, ‘সম্পর্ক আছে, তবে এখন রিলেশনটা ওপেন হলে সমস্যা। আমরাও চাই না তাকে (আইভী) বিব্রত করতে। এভোয়েট করে চলি। আমিও চলি, সেও চলে। তবে আইভীর মধ্যে কৃতজ্ঞতা বোধ আছে। আমাদের যে কোনো কাজে অনুরোধ করলে ডাইরেক্ট, ইনডাইরেক্ট সে বসে সহজে করে দিছে। অনেক কাজ করে দিছে।’ মুজাহিদ-চুনকা সম্পর্কের বিষয়ে মাঈনুদ্দিন বলেন, ‘১৯৭৮-৭৯ সালের দিকে চুনকা সাহেব পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আগে তো এখানে (নারায়ণগঞ্জ) কমিউিনিটি সেন্টার ছিল না। চুনকা পাঠাগারে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়াম হতো। এগুলোর আয়োজন চুনকা সাহেব করতেন। মুজাহিদ সাহেবকে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি সবগুলোতে রাখতেন। তখন পৌরসভার সেমিনারগুলো পাঠাগারের উদ্যোগে হতো। উনিই পাঠাগারের চেয়ারম্যান ছিলেন। উনিই উদ্যোক্তা, সব। উনি সভাপতি হতেন আর মুজাহিদ সাহেব প্রধান আলোচক হতেন।’ ২০১১ সালের নির্বাচনের সময় আইভির জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ প্রসঙ্গে মাঈনুদ্দিন বলেন, ‘ওই সময় সরাসরি যোগাযোগ না থাকলেও একটা যোগাযোগ ছিল। কারণ, আইভীর তো একটা অবস্থান আছে। তাকে আওয়ামী লীগই করতে হবে। আওয়ামী লীগ না করলে তার ইয়ে থাকবে না। তার সাথে যারা আছে তারাও তাকে আওয়ামী লীগের বাইরে যেতে দিবে না। আওয়ামী লীগ করে ব্যাকওয়ার্ড পজিশনে পড়ে এমন কাজ সে করবে না, আর আমরাও চাই না যে আইভী তার নিজের ইমেজটাকে নষ্ট করুক। এতে কোনো লাভ নেই। ও (আইভী) আওয়ামী লীগেই থাকুক। ও (আইভী) আওয়ামী লীগে থাকলে শামীম ওসমানদের সাথে যে দূরত্ব এটা বহাল থাকলে বিএনপি-জামায়াত সবার জন্য সুবিধা আছে। ওকে আওয়ামী লীগে রাখতে পারলেই ভালো। ও যেই কথা শামীমকে বলতে পারে, তা বিএনপির কেউ বলতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে বিএনপির কারও সাহস নাই। ও যে পারছে এটার জন্য তাকে ধন্যবাদ দিতে হয়। সে শামীম ওসমান বা সেলিম ওসমান কাউকে কোনো পাত্তা দেয় না।’(সূত্র-বিপি)

নাজির, কালাম ও বাদলের নেতৃত্বে আলোকিত বক্তাবলী’র নয়া কমিটি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর শিক্ষা, সামাজিক খাতে ব্যাপক আলোচিত সংগঠণ ‘আলোকিত বক্তাবলী’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য গত আগষ্ট মাসের ১১ তারিখে মাশফীকুর রহমান শিশিরকে আহবায়ক করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি অনুমোদন করা হয়। পরবর্তিতে আহবায়ক কমিটি একটি আলোকিত নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য নতুন সদস্য নবায়ন করেন। আহবায়ক কমিটি পরবর্তিতে সর্বজন গ্রহনযোগ্য একটি নতুন কমিটি উপহার দেয়ার জন্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠণ করে। এড. এফএম কবির হোসেনকে প্রধান করে আলোকিত বক্তাবলীর নির্বাচন পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনে ছিলেন, দেলোয়ার হোসেন ও সোহরাব ভূইয়া। নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা প্রনয়ন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেন। নভেম্বরের ১,২,৩ তারিখ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ, ৪ নভেম্বর জমা দেয়ার শেষ দিন। ৫ নভেম্বর বাছাই ও ৬ নভেম্বর প্রতাহারের শেষ দিন। নির্বাচনে ভোট গ্রহনের জন্য দিন ধার্য ছিল ১৪ নভেম্বর। তবে মনোনয়ন সংগ্রহকারী বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে একাধিক প্রার্থী না থাকায় ৩ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ঘোষনা করেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিতরা হলেন, সভাপতি পদে পূর্ব চরগড়কুল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো: নাজির হোসেন, সাধারন সম্পাদক পদে নিউজ প্রতিদিন ডটনেটের সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক মো: আবুল কালাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো: বাদল হোসেনকে নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত ঘোষনা করেন।
নির্বাচন কমিশনের প্রধান এড. এফএম কবির হোসেন জানান, আলোকিত বক্তাবলী শিক্ষা ও সামাজিক খাতে শুধু বক্তাবলীরই নয় পুরো ফতুল্লার একটি আলোচিত সংগঠণ। এই সংগঠণটির নির্বাচন সকলের সহযোগীতায় একটি গ্রহনযোগ্য ও গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। নতুন কমিটি আলোকিত বক্তাবলীর ঐতিহ্য ও সুুনাম আরো বৃদ্ধি করবে এ কামনা করি।
আলোকিত বক্তাবলীর সাবেক সভাপতি এড. আল আমিন সিদ্দীকি জানান, গণতান্ত্রিক ধারায় আলোকিত বক্তাবলীর নতুন নির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানাই। তাদের কার্যকর্মে সংগঠণ আরো গতিশীল হবে এ কামনা করি।
আহবায়ক কমিটির আহবায়ক সাবেক ছাত্র নেতা মাশফীকুর রহমান শিশির জানান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আলোকিত বক্তাবলীর নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনেক বাঁধা বিপত্তি পাড়ি দিতে হয়েছে। একটি সর্বজন গ্রহনযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ায় নির্বাচন কমিশন, আলোকিত বক্তাবলীর সকল সাধারন সদস্য, শুভাকাঙ্খী ও আমার বক্তাবলী ইউনিয়নবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যোগ্য ও শিক্ষিত নেতৃত্বের হাত ধরে আলোকিত বক্তাবলী শুধু ফতুল্লায়ই নয় আলো ছড়াবে সারা দেশব্যাপী এ প্রত্যাশা রইলো নবনির্বাচিত কমিটির কাছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে জেলা বিএনপির অংশ গ্রহন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বিশাল শোডাউন করে করে অংশ নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনির,সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন শিকদারের নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নেয়।

সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য প্রক্রিয়ায় গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় রাজধানী ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে আসতেও শুরু করেছেন।

‌’সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি ও ৭ দফা দাবি আদায়’ করতে এ জনসভার আয়োজন করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

এদিকে ঐক্যফ্রন্টের জনসভাকে কেন্দ্র করে শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনসভা ও এর আশপাশের এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

ফতুল্লায় তাপসের কোচিংয়ে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত কে এই আশা?

স্টাফ রিপোর্টার:ফতুল্লায় কোচিং সেন্টারের আড়ালে এক শিক্ষকের বিকৃত যৌন কর্মকান্ড করার অভিযোগ উঠেছে। সর্বশেষ ওই লম্পট শিক্ষকের হাতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়। আর এ কাজে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে ওই কোচিংয়ে কর্মরত আশা নামের এক মহিলা শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি লম্পট তাপসের পাশাপাশি অপকর্মের সহায়তাকারী কথিত শিক্ষিকা আশাকেও আইনের আওতায় আনা হোক।
২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ছাত্রীর মায়ের করা মামলায় গত ২৩ অক্টোবর তাপস কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, ফতুল্লা রেলস্টেশন সংলগ্ন এডুকেশনাল কেয়ার নামে তাপস কুমার সিংয়ের কোচিং সেন্টার রয়েছে। ওই কোচিংয়ে ষষ্ঠ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কোচিং করানো হয়। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী দেড় মাস আগে তাপস সিংয়ের কোচিংয়ে ভর্তি হয়। ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে তিনি তার মেয়েকে ওই কোচিংয়ে ভর্তি করান। কোচিং সেন্টারের প্রতিটি কক্ষে সিসি টিভি ক্যামেরা থাকায় তিনি নিশ্চিন্ত হয়ে মেয়েকে ওই কোচিংয়ে দেন।
২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে মেয়ে তাকে জানায়, সে ওই কোচিংয়ে আর পড়বে না। তাপস স্যারের ব্যবহার তার ভালো লাগে না। এরপর তিনি মেয়েকে জেরা করে ঘটনা সম্পর্কে জেনে থানায় গিয়ে মামলা করলে পরদিন পুলিশ তাপসকে গ্রেফতার করে।
ওই ছাত্রী জানায়, ঘটনার দিন সে যথারীতি কোচিংয়ে যায়। কোচিংয়ে সে-ই একমাত্র মানবিক বিভাগের ছাত্রী। বাকিরা বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থী। কোচিং শেষে সব শিক্ষার্থী চলে গেলেও তাকে কোচিংয়ের আশা ম্যাডাম বলে- তুমি দোতলায় গিয়ে তাপস স্যারের কাছে ভূগোল পড়ে এসো। ওই ছাত্রী আশা ম্যাডামকে জানান, ভূগোল ক্লাস তো অন্য ম্যাডাম পড়ান, তিনি তো আজ আসেননি। তারপরেও আশা ম্যাডাম বলেন, তুমি দোতলায় যাও তাপস স্যারের কাছে গিয়ে ভূগোল পড়ে আসো। আশা ম্যাডামের কথায় ওই ছাত্রী দোতলার একটি কক্ষে গেলে তাপস ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে না বলতে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে আশা ম্যাডামও জড়িত।
এ বিষয়ে ছাত্রীর বাবা মিজানুর রহমান অপুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার মেয়ে এই কোচিংয়ে পড়ে তিনমাস যাবত। এর আগেও তাপসের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় আরেক ছাত্রী শ্লীলতাহানীর অভিযোগ করেছিল। এই অভিযোগে সে গ্রেপ্তারও হয়েছিল। এর কয়েক বছর আগে লম্পট শিক্ষক তাপস ফতুল্লা পোষ্টা অফিস এলাকায় এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ফতুল্লা ষ্টেশন এলাকায় প্রকাশ্যে গণধোলাইয়ের শিকারও হয়। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জুর কাদের বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত করেছি। ওই কোচিংয়ের একজন ছাত্রের বক্তব্য নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, তাপসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ইতোমধ্যে ফতুল্লা ষ্টেশন এলাকায় প্রকাশ্যে গণধোলাইয়ের শিকার হয় এই কথিত শিক্ষক। এছাড়া গত বছর একই অভিযোগে ফতুল্লা থানা পুলিশের হাতে আটক হয়। যা পরে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে ধামাচাপাা দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর দুপুরে শিক্ষক তাপসের পক্ষে তার পরিবারের সদস্যরা নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে তাপসকে নির্দোষ দাবি করেন।

ফতুল্লার পঞ্চবটিতে নিউ কস্তুরী,নিউ সুপার ও ক্যাপে মদিনা রেস্টুরেন্টকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা।

ফতুল্লার পঞ্চবটিতে রবিবার দুপুরে অসাস্থ্যকর পরিবেশ ও ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় ৩ টি রেস্তোরাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলা ইউ এন ও হোসনে আরা বেগম ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ম্যাজিষ্ট্রেট হোসনে আরা বেগম জানায়, সদর উপজেলার পঞ্চবটি এলাকায় ৩টি রেস্তোরায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনের ৩৭,৩৮,৪৩ ধারায় নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও ট্রেড লাইসেন্সবিহীন ব্যাবসা পরিচালনার অপরাধে নিউ সুপার রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার, ক্যাফে মদিনা রেস্টুরেন্টকে ৩০ হাজার এবং নিউ কস্তুরী অভিজাত রেস্তোরা এন্ড নাবিল সুইটসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সামনে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট হোসনে আরা বেগম।

বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম আর নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম আর নেই। রোববার বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপলো হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে ভুগছিলেন।

প্রবীণ এ বিএনপি নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।

শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমি জননী’ উপাধি।

আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শোকরানা মাহফিলে’ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেয়া হয়েছে। আজ রবিবার সকালে এ মাহফিল শুরু হয়।

কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ পাস হওয়ায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি শিক্ষার্থীদের ‘শোকরানা মাহফিল’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল নয়টায় কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে কওমির ছয় বোর্ডের সমন্বিত আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন হেফাজতে ইসলামের আমি শাহ আহমদ শফী।

এর আগে গণতন্ত্রের মানসকন্যা, জননেত্রী, মাদার অব হিউমিনিটিসহ অনেক উপাধীতে ভূষিত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পুলিশকে গুলি ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার-৫

পুলিশের উপর গুলি করে পালানোর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নগরীর চাষাঢ়ায় একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে পিস্তল, গুলি,ছোড়া সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। তারা হলো, বোরহানউদ্দিন,হোসেন আলী রাজন, সৈয়দ হাবিব হায়দার বাবু,সাজ্জাদুল হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন। এসময় তাদের কাছ থেকে ৭ পয়েন্ট ৬৫ বোরের পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন ও ৮টি ছোড়া উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টায় শহরের উত্তর চাষাঢ়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে (ডিবি) উপ পরিদর্শক সায়েম জানায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতি ফতুল্লার পাগলা মুন্সিখোলায় পুলিশের উপর গুলি করে পালানোর ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে আমরা ধারনা করছি। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে উপ পরিদর্শক আরিফুর রহমান, আবু সায়েম, সহকারী উপ পরিদর্শক আরিফুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করেন। তাদের কাছ থেকে ১টি ৭ পয়েন্ট ৬৫ বোরের বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ১০টি গুলি ও ৮টি ছোড়া উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ফতুল্লার পাগলায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের চেকপোস্টে ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয় কনস্টেবল সোহেল মিয়া। ওই সময় যাত্রীবাহী বাসে পুলিশ সদস্যকে গুলি করে নিচে নামার পরেই মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ফলে মটরসাইকেলের সঙ্গে ওই সন্ত্রাসীদের যোগসাজশ ও সম্পৃক্ততা রয়েছে ধারণা করছে পুলিশ। সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে পুলিশও কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লেও তাদের ধরতে সক্ষম হয়নি। পুলিশের ধারণা পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য।

এদিকে সিসি ফুটেজে দেখা গেছে ৩ সন্ত্রাসী দৌড়ে যাচ্ছে। আর তাদের জন্য আগে থেকে একটি মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে ছিল অদূরে। চালকের মাথায় ছিল হেলমেট। তিনজন দৌড়ে ওই মোটরসাইকেলে উঠে যায়। পেছন থেকে পুলিশের একজন কনস্টেবল গুলি করছে। পরে ৪জন মিলে পালিয়ে যায়।

আ‌লো‌কিত বক্তাবলীর নেতৃত্ব নির্বাচ‌নের জন্য নির্বাচনী তফ‌সিল ঘোষণা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:আ‌লো‌কিত বক্তাবলীর নেতৃত্ব নির্বাচ‌নের জন্য নির্বাচনী তফ‌সিল ঘোষণা করা হ‌য়ে‌ছে। নির্বাচন ক‌মিশ‌নের আজ‌কের সভার সিদ্ধান্ত মোতা‌বেক এই তফ‌সিল ঘোষণা করা হয়। তফ‌সিলে নির্বাচন অনুষ্ঠা‌নের তা‌রিখ নির্ধারণ করা হ‌য়ে‌ছে ১৪/১১/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ। তফ‌সি‌লে সভাপ‌তি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠ‌নিক সম্পাদক প‌দে সরাস‌রি নির্বাচন অনুষ্ঠা‌নের কথা বলা হ‌য়ে‌ছে। সভাপ‌তি প‌দে ম‌নোনয়ন প‌ত্রের মূল্য ১৫,০০০/-টাকা, সাধারণ সম্পাদক প‌দে ১২,০০০/- টাকা ও সাংগঠ‌নিক সম্পাদক প‌দে ১০,০০০/-টাকা নির্ধারণ করা হ‌য়ে‌ছে। ০১/১১/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ তা‌রিখ হ‌তে ০৩/১১/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ তা‌রিখ পর্যন্ত ২০৭/১ বঙ্গবন্ধু সড়ক নারায়ণগ‌ঞ্জে স্থা‌পিত আ‌লো‌কিত বক্তাবলীর নির্বাচন ক‌মিশ‌নের অস্থায়ী কার্যালয় হ‌তে ম‌নোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যা‌বে। ভোট গ্রহন অনু‌ষ্ঠিত হ‌বে নির্বাচন অনুষ্ঠা‌নের দিন বিকাল ৩:০০ ঘ‌টিকা হ‌তে ৬:০০ ঘ‌টিকা পর্যন্ত প্রসন্ননগর গাজী মা‌র্কে‌টে অব‌স্থিত আ‌লো‌কিত বক্তাবলীর অস্থায়ী কার্যাল‌য়ে। তফ‌সি‌লে উ‌ল্লেখ্য মোতা‌বেক ম‌নোনয়নপত্র জমা প্রদা‌নের শেষ তা‌রিখ ০৪/১১/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ। ম‌নোনয়নপত্র বাছাইয়ের তা‌রিখ ০৫/১১/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ এবং প্রত্যাহা‌রের সর্ব‌শেষ তা‌রিখ নির্ধারণ করা হ‌য়ে‌ছে ০৬/১১/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ।

সবার দৃষ্টি গণভবনের দিকে

রাজাধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামেও বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী আমেজ। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নানামুখী প্রচারে এখন মুখর প্রত্যন্ত জনপদ। আরেকটি ভোটের আয়োজনে ব্যস্ততা বাড়ছে নির্বাচন কমিশনেরও। এমনই এক আবহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাউন্ট ডাউন শুরু হচ্ছে আজ থেকে।

কেননা আজ ৩০ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট করতে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিলের ঘোষণার কথা জানিয়েছে ইসি।

এদিকে ইসি সূত্রে জানা গেছে, ১ নভেম্বর বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে নির্বাচন কমিশন। আর সাক্ষাতের পর যে কোনো দিন তফসিল ঘোষণা করবে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। আর ৪ বা ৮ নভেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা।

সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বিষয়ে সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার  (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, অক্টোবরের ৩০ তারিখের পর থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। অর্থাৎ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সময় রয়েছে। নভেম্বরের দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে নির্দিষ্ট তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। কমিশনের বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, গত সংসদের প্রথম অধিবেশন হয়েছিল ২৯ জানুয়ারি। সে হিসাবে এবার ভোটের ৯০ দিনের ক্ষণগণনা শুরু হবে ৩০ অক্টোবর।

এদিকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসলেও এখনও অধরা রাজনৈতিক সমঝোতা। কী হবে নির্বাচনে, সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, না-কি আরেকটি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন, শেখ হাসিনার অধীনে নাকি ভিন্ন ধারার সরকারের অধীনে নির্বাচন, কী হবে কারাবন্দি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ইস্যু, এমন সব প্রশ্নই জনমনে।

এসব প্রশ্ন ঘিরে রাজনীতিতে নতুন আশার আলো হলো সংলাপ আলোচনাতে। ক্ষমতাসীন দলের অনীহা থাকলেও আলোচনার আবেদন উঠেছে সর্বমহল থেকে। দীর্ঘদিন ধরে সরকার আর বিরোধী জোটের বৈঠকের তাগিদ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মহলও।

অবশেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত সংলাপ।  ১ নভেম্বর ক্ষমতাসীন দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসছে প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি এবং বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ১ নভেম্বরের বৈঠকে সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। আওয়ামী লীগ ও ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই সংলাপে কোনো সমঝোতা হলে ইসি আইনের মধ্য থেকে তা গ্রহণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

অপর একটি সূত্র বলছে, সংলাপের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে ইসি। সংলাপে সমঝোতা হলে পিছিয়ে যেতে পারে তফসিল ঘোষণাও। এ বিষয়ে ইসি কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, অতীতে তফসিল ঘোষণার পরও রাজনৈতিক দলের দাবির কারণে পিছিয়ে দেওয়ার নজির রয়েছে। সবকিছুই নির্ভর করছে সংলাপের ভবিষ্যতের ওপর।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পেয়ে জয়লাভ করে।