ব্যক্তিগত গাড়িতে হাতে লেখা স্টিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরও বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

94

সময়ের শ্রোতধারায় বাড়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের অপরাধ বিরোধী তৎপরতা। তবে থেমে নেই অপরাধ চক্রও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা অবলম্বন করছেন নিত্য নতুন পদ্ধতি। অপরাধ জগতের সাথে জড়িত অপরাধিরা ছদ্দবেশের আশ্রয় নিচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় অপরাধ মূলক কর্মকান্ড সচল রাখতে বর্তমানে তারা ব্যাক্তিগত গাড়িতে সম্মানিত পেশা সাংবাদিকতার স্টিকার ব্যবহারসহ বিভিন্ন সময়ে পুলিশ, ডিবি পুলিশ আবার কখনও কখনও রূপ ধারণ করছেন আইনজীবীদেরও।

তবে এসকল কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে বেশ শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গত ৪ মে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়িতে হাতে লেখা স্টিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

এদিকে তৎকালিন সময়ে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জেও ব্যাক্তিগত গাড়িতে হাতে লেখা স্টিকার নিষিদ্ধ করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছিলেন জেলা পুলিশ সুপারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। তবে সেই প্রত্যয় ব্যাক্তয়ের তিন মাস অতিবাহীত হলেও এখনও পর্যন্ত পরিপূর্ণ ভাবে তা বাস্তবে রূপান্তর হয়নি নারায়ণগঞ্জে।

ফলে অপরাধীরা তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে সাংবাদিকতাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের স্টিকার ব্যবহার করে ছদ্দবেশে চলা ফেরা করছেন বলে ধারণা করছেন সচেতন মহল।

কেননা বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বহু ছদ্দবেশী অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছিলো। যারা গ্রেফতার হবার পূর্বে নিজেদের সংবাদকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা বলে দাবী করেছিলেন এবং ব্যক্তিগত গাড়িতে এসকল স্টিকার ব্যবহার করেছিলেন।

এদিকে দেশের বর্তমান অপরাধ প্রবণতা হার বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে প্রশাসনের তৎপরতাও। ফলে অপরাধীরা নিজের কর্মকান্ড সচল রাখতে আরো বেশি ছদ্দবেশের আশ্রয় নিচ্ছেন। তাই সময়ের প্রেক্ষাপটে উপরোক্ত প্রত্যয় দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন বলে ধারণা করছেন অনেকেই।

এবিষয়ে জেলা অরিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. জাকারিয়া সময় নারায়ণগঞ্জকে জানান, ‘প্রতিটি চেকপোষ্টে দায়ীত্বরত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের আমরা নিদের্শ দিয়েছি। তাই বর্তমানে চেক পোষ্টে ব্যক্তিগত স্টিকার লেখা কোন গাড়ি দেখা গেলো সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তা ছিরে ফেলছে। বিষয়টির চুড়ান্ত রূপ নিতে আমরা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাথে বৈঠক করব। কারণ, এতে করে অপরাধিদের অপরাধ কার্য্য পরিচালনার সুযোগ অনেকাংশে কমে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্যে সাধারণ মানুষেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।’