ঈদ পূর্ব বেতন-বোনাসের দাবীতে শ্রমিক সমাবেশ

64

ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমকিদের পূর্ণাঙ্গ বেতন, বোনাস ও ওভারটাইম পরিশোধ এবং প্রস্তাবিত ইপিজেড শ্রম আইনের শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারাসমূহ বাতিলের দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।

শ্রমিক-সমাবেশসোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল চাষাড়া শহীদ মিনারে এই শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে জেলা শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি সেলিম মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নইবুল হাসান জুয়েল, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আব্দুল ওয়াহীদ, সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, শ্রম উপমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, সকল মালিকরা যেন আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের বোনস ও ওভারটাইমসহ পূর্নাঙ্গ বেতন পরিশোধ করেন। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি যে, বহুসংখ্যক মালিক এতে অনিহা প্রকাশ করেছে। এতোমধ্যেই নারায়ণগঞ্জ সহ কয়েকটি জেলায় অবৈধ ভাবে মালিকরা তাদের ফ্যাক্টরী বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি যে, অনতি বিলম্বে আপনারা আপনাদের প্রতিষ্ঠান চালু করুন অথবা শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিন এবং আগামী ৭ সেপ্টম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের ঈদ বোনাসসহ সকল পারিশ্রমিক প্রদান করুন। অন্যথায় আমরা মেহনতি শ্রমিকদের সাথে নিয়ে আপনাদের বাড়ী ঘেরাও করতে বাদ্ধ হবো।

প্রস্তাবিত ইপিজেড শ্রম আইনের বিষয়ে বক্তারা বলেন, দেশে শ্রম আইন রয়েছে। এরপরও নতুন করে ইপিজেড আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কয়েকটি ধারা রয়েছে, যা সম্পূর্ণ শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী। এই আইনে শ্রমিকদের পক্ষে মালিকদের সাথে কথা বলে তাদের অধিকার আদায়ের জন্যে কোন মাধ্যম রাখা হয়নি। তবে কথা হচ্ছে, একদেশে দুটি আইন কেন?

কিছু শ্রমিক সংগঠনের বিষয়ে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ‘ট্রেড ইউনিয়ন’সহ কিছু নামধারী শ্রমিক সংগঠন রয়েছে, যারা শ্রমিকদের হক নষ্ট করে বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ’র দালালি করে। আমরা ঐসকল দালালদের হুশিয়ার করে দিচ্ছি, আপনারা দালালি বন্ধ করুন। অন্যথায় বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ এর উপযুক্ত জবাব দেবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক নেতা শফিকুল ইসলাম, মো. রফিক, দেলোয়ার হোসেন, সরদার খোরশেদ, শহীদুল ইসলাম প্রমূখ।

সভা শেষে শ্রমিকদের নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল আনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে শহরের ২নং রেল গেইট এলাকা প্রদক্ষিন করে পূনরায় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।