অবশেষে মুক্তি পেলেন কাউন্সিলর খোরশেদ

27

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গ্রেপ্তারের পর জামিন পেলেও একাধিকবার কারাগারের গেটের সামনে তাদের গ্রেপ্তার করে আবারো অন্য মামলায় শ্যোন এরেস্ট করেছে পুলিশ। রিমান্ডেও ছিলেন । অবশেষে কারামুক্ত হলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিন মাস ২৪ দিন কারাভোগ শেষে তিনি জামিনে মুক্তিহন। বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন।

কয়েকবার জামিন পেলেও তাকে বারবার শ্যোন এরেস্ট দেখানোর বিষয়ে গত সোমবার উচ্চ আদালত খোরশেদকে কেন বারবার গ্রেপ্তার করা হচ্ছে- তা জানতে চেয়ে পুলিশ বাহিনী ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরকে কারণদর্শানোর আদেশ দেয়। সেই সঙ্গে কোন ধরনের শ্যোন এরেস্ট না দেখাতেও নির্দেশ দেয় আদালত। পরে বুধবার বিকালে খোরশেদ জামিনে মুক্তি পান। এদিন তাকে স্বাগত জানাতে কারাগারের বাইরে প্রচুর নেতাকর্মী জড়ো হন। কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড থেকে টানা দুইবার সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত কাউন্সিলর।

এর আগেও নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থাকাকালীন সময়ে একই ওয়ার্ডে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের আপন ছোট ভাই তিনি। খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী। এ আসনে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।

গত ১৯ মার্চ তার ওয়ার্ডবাসীর মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণে সিরিয়ালে দাঁড়ানো নিয়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষুব্ধ হন। ওই সময় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের তখন জানিয়েছিলেন, খোরশেদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন- তাই তাকে আটক করা হয়। তবে পরবর্তীতে তাকে নাশকতার মামলায় আদালতে রিমান্ড চেয়ে পাঠানো হয়। ওই মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয় দুই দিন। তারপর আরও দুইবার তাকে কারাগারের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে অপর দুটি মামলায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। গত ২৩ মে ও গত ১৩ জুন খোরশেদকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়।