১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 191

২০২০ সালের মধ্যে শেষ হবে ডিএনডি উন্নয়ন প্রজেক্টের কাজ -পানি সম্পদ মন্ত্রী

২০২০ সালের মধ্যে শেষ হবে ডি এন ডি উন্নয় প্রজেক্টের কাজ। রবিবার সিদ্ধিরগঞ্জে এসে এ কথা বলেন পানি সম্পদ মন্ত্রি ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি। এর আগে সিদ্ধিরগঞ্জের নাভানা ভূইয়া সিটি বালুর মাঠে ডি এন ডি উন্নয়ন প্রজেক্টের কাজ শুরু উপলক্ষে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়। রোববার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের নাভানা ভূইয়া সিটি বালুর মাঠে ডিএনডি প্রকল্প নিয়ে আয়োজন করা হয় এক জনসভার। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রি ব্যারিষ্টর আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি। এসময় মন্ত্রী ডিএনডি বাধের জলাবদ্ধতা নিরসনে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। কাজটির গুণগত মান এবং শৃঙ্গলা ঠিক রাখার জন্য সেনাবাহীনিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে কাজটি শেস হওয়ার কথা থাকলেও আমরা সেনাাবহিনিকে অনুরোধ করবো যাতে কাজটি আরো এক বছর আগে তারা শেষ করে। অর্থাৎ ২০১৯ সালের মধ্যে কাজটি শেষ হলে আগামী বর্ষা মৌসুম থেকেই মানুষ এর সুফল ভোগ করতে পারবে। এসময় মন্ত্রী আরো বলেন সেনাবাহীনির কাজ শেষ হওয়ার পর আশা করি ডিএনডির মানুষ আর কোন দুর্ভোগের শিকার হবে না। ডিএনডি খালের পাশে নির্মাণ করা হবে ওয়াকওয়ে। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের জন্য আমরা এতগুলো মানুষকে কষ্ট দিতে পারি না। মাত্র ২হাজার মানুষ এর বিরোধিতা করছে। এর আগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামিম ওসমান ডিএনডি প্রকল্প অনুমোদন ও কাজ শুরুর কারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ডিএনডি বাসির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত জনসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণসম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সাধারাণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি সহ স্থানীয় আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।

ফতুল্লায় সেফটি ট্যাংকির গ্যাসে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পূর্ব সেহচর লালখাঁ এলাকায় নির্মানাধীন একটি ভবনের সেফটি ট্যাংকি পরিষ্কার করতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় ফতুল্লার লাঁল খা এলাকায় অবস্থিত রশিদ বেপারীর নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে মন্ডলপাড়া ফায়র সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাঁশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করেছে।শ্রমিক বিটু ইসলাম জানান, আঃ খালেক নামের এক কন্ট্রাকটারের তত্ত্বাবধানে তারা ১০জন শ্রমিক লাঁল খা এলাকায় অবস্থিত রশিদ বেপারী নামক এক ব্যাক্তির নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে কাজ করছিল। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় বিল্ডিংয়ের শ্রমিক শাহীনূর, নবীন এবং লিয়াকত নামের তিন শ্রমিক নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের সেফটি ট্যাংকি পরিষ্কার করার জন্য নিচে নামলে বিষক্রিয়ায় উক্ত ৩ শ্রমিক মারা যায়।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার (তদন্ত) শাহ জালাল জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

শহরের মন্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিসের (উপ-মহাপরিচালক) মামুনুর রশীদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সেফটি ট্যাংকির বিষক্রিয়ায় নির্মান শ্রমিকদের মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বিল্ডিংয়ের মালিক রশিদ বেপারী এবং কন্ট্রাকটার আঃ খালেক পলাতক রয়েছে।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে মতিন সভাপতি- আব্দুর রহিম সম্পাদক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে এম সামাদ মতিন সভাপতি ও আব্দুর রহিম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে। শনিবার দিনব্যাপী সাধারন সভা ও বিকেলে ক্লাবের ভোটারদের ব্যালটের মাধ্যমে এম সামাদ মতিন ২২ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়। নির্বাচনে আনিসুজ্জামান অনু ৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়। এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় কামাল উদ্দিন সুমন ও এড.সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন সহ-সভাপতি, আব্দুর রহিম সাধারন সম্পাদক, রিয়াদ মোঃ চৌধুরী যুগ্ম সম্পাদক,আব্দুল আলিম লিটন সাংগঠনিক সম্পাদক, শাকিল আহমেদ ডিয়েল অর্থ সম্পাদক,রফিক হাসান দপ্তর সম্পাদক, জি এ, রাজু প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হয়। এছাড়া সেলিম মুন্সি, মনির হোসেন ও আলামিন প্রধান কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
নির্বাচন পরিচালনা করেন সদর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা অফিসার প্রদীপ চন্দ্র রায়, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক নাফিজ আশরাফ ও নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ।

আপন ভাগ্নিকে নিয়ে পালিয়েছে লম্পট নবী হোসেন

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় নবী হোসেন (৩২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে আপন বড় ভায়রার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে (১৪) নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে লম্পট নবী হোসেনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মেয়েটি মুসলিমনগর হাজী আব্দুল কাজী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।মামলার বাদী ওই স্কুলছাত্রীর মা জানান, চরনবীনগর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে নবী হোসেন সম্পর্কে তার ছোট বোনের জামাই। সেই সুবাধে নবী হোসেন তাদের বাসায় আসা যাওয়া করত। বিগত ৩/৪ মাস ধরে তার মেয়েকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে নবী হোসেন বিয়েসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার মেয়ে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় মেয়েটি বান্ধবী বাড়িতে যাওয়ার পথে নবী হোসেন তার সহযোগিদের নিয়ে তাকে তুলে যায়।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নবী হোসেন ও মেয়েটির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এ সুবাধে নবী হোসেন মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন মামলা দায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও নবী হোসেনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আলীরটেক এলাকাবাসী মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে জিন্মি

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন ১৮ জন মাদক ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি হলেও আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনী ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নীরব ভুমিকার কারনে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ব্যাপক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে পুরো আলীরটেক মাদক নিয়ন্ত্রন করছে ১৮ জন মাদক সম্রাটসহ প্রায় ৫০ জন মাদক ব্যবসায়ী।

১৮ জন মাদক সম্রাটরা হচ্ছেন কুড়ের পাড় গ্রামের নুর হোসেন গেদা, একই এলাকার বড় মোকতার, মোঃ আলীর পুত্র মেহেদী, আব্দুলের পুত্র মিজান, মরা মোকতার, করম আলীর পুত্র হোসেন ওরফে পেটফারা হোসেন ওরফে স্বর্নচোরা হোসেন, পুরান গোগনগর গ্রামের সামসুল পাঠান, গোপচর গ্রামের হাবিবুর, ক্রোকের চর গ্রামের জামাল ও সালাউদ্দিন, ডিক্রিরচর গ্রামের নোয়াব মেম্বারের পুত্র মাহাবুব, বাদশার পুত্র রুহুল আমিন, মুক্তারকান্দি গ্রামের আলামিনের ভাই তপন, একই গ্রামের জব্বর বেপারীর পুত্র বাবু, আলীরটেক গ্রামের মুন্না ওরফে কাইল্লা মুন্না, গোপচরের মোজাম্মেল ওরফে কাঠমোল্লা, মোঃ আলীর পুত্র মেহেদী ওরফে ডিলার মেহেদী প্রমুখ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বর্তমানে পুরো আলীরটেকের আনাচে কানাচে মাদক ব্যবসা ইয়াবা, গাজা, ফেন্সিডিল বিক্রি চলছে পুরো মহোৎসবে।

আলীরটেক, কুড়েরপাড়, গঞ্জকুমারিয়া, গোপচর, মুক্তারকান্দি, ক্রোকেরচর, ডিক্রিরচরসহ বিভিন্ন গ্রামে মাদক ব্যবসা চলছে।

চরাঞ্চল বলে খ্যাত হওয়ায় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সহজে আলীরটেক ইউনিয়নে না যাওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা আরো বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

এলাকাবাসী জানায়, আলহাজ্ব জাকির হোসেন চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আলীরটেক মৌলভী বাড়ি সংলগ্ন মাদক ব্যবসায়ী মুন্না আস্তানা গড়ে তুলেছিল। জাকির হোসেন চেয়ারম্যান এলাকাবাসীকে নিয়ে সেই আস্তানা ভেঙ্গে দিয়েছিল। মাদক ব্যবসায়ীকে তার মিলে চাকুরীর ব্যবস্থা করলেও মুন্না তা করেনি।

এলাকাবাসীরা জানান, বর্তমান কিছু মেম্বারের শেল্টারে মাদক ব্যবসা চলছে বলে তারা নীরব ভুমিকা পালন করায় মাদক বিক্রি চলছে দেদারছে। সহজে মাদক হাতে নাগালে পাওয়ায় স্কুল/ কলেজের শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হওয়ায় অভিবাবক মহল চিন্তিত হয়ে পড়েছে। তাদের দাবী মাদক নির্মূল করা না হলে মাদকাসক্তদের কারনে পরিবারে অশান্তি নেমে আসবে।

এ ব্যাপারে আলীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতির ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,মাদক ব্যবসায়ীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেও কোন ছাড় নেই। আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় মাদক বিক্রেতাদেরকে চিরতরে উৎখাত করা হবে।

নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শাহীন শাহ পারভেজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি  জানান, সেখানকার মাদক বিক্রেতাদের তালিকাটি আমার হাতে নেই। এর আগে আলীরটেকের এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করে সাজা দিয়েছি। আমি আলীরটেক ইউপিকে মাদকমুক্ত করতে ইতিপুর্বে স্থানীয় মেম্বারদেরও সহযোগিতা চেয়েছি কিন্তু তাদের মাধ্যমে মাদক বিক্রেতাদের কোন তথ্য পাইনি।(নিউজএটুজেড)

ফতুল্লার বক্তাবলীতে মা ইলিশসহ ২ জন গ্রেফতার

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমাণ্য করে মা ইলিশ বিক্রয়ের সময় বক্তাবলীর নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ মোশারফ হোসেন এর নেতৃত্বে ফতুল্লার বক্তাবলীর বাজার সংলগ্ন রাজাপুর চৌরাস্তার মোড় থেকে ২০ কেজী মা ইলিশসহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হল বক্তাবলী এলাকার রাধানগরের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মোঃ নাজির (৩৬) ও প্রসন্ননগরের মৃত আলীমউদ্দিনের ছেলে আমীনউদ্দিন।

বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মোশারফ জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় মা ইলিশসহ নাজির ও আলীম উদ্দিন নামের ২ জনকে  গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামীদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং জব্দকৃত মাছ এলাকার বিভিন্ন  এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে। ‍

দাপা আদর্শ স্কুলের নির্বাচনে টিপুর মনোনয়ন জমা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দাপা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক স্তুরের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী আব্দুল খালেক টিপু। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল গণির কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাইতুর মা’মুর জামে মসজিদের সভাপতি হাজী আবুল কাশেম, সাধারন সম্পাদক হাজী আব্দুল গফুর,সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন, বাইতুন নূর বাহার আলী জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুর রউফ,ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, কার্যকরী সদস্য সেলিম মুন্সি, মনির হোসেন, সদস্য মাসুদ আলী, রিপোর্টার্স ক্লাবের অর্থ সম্পাদক সাংবাদিক দুলাল প্রমুখ।

গোয়ালন্দ থানার এসআই দেলোয়ারের সাহসিকতা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি এড.মশিউর রহমান শাহিন ও এড. নুরুল হুদাসহ সোহাগ পরিবহনে(৫৭৫) ভারত থেকে নারায়ণগঞ্জে ফেরার পথে সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় দৌলতদিয়া-পাটোরিয়া ফেরীঘাট থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিনতাই হয়। তাৎক্ষনিক এ ঘটনায় গোয়ালন্দ থানার এসআই দেলোয়ার হোসেনকে জানালে তিনি রাত ৪টায় মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে। এদিকে এড.মশিউর রহমান শাহিনের মোবাইল উদ্ধারে দ্রুত চেষ্টা করায় এসআই দেলোয়ারকে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের পক্ষে ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ্,নব-নির্বাচিত সাধাররন আব্দুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, যুগ্ম সম্পাদক রিয়াদ মো: চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক জি, এ, রাজু, দপ্তর সম্পাদক রফিক হাসান, কার্যকরীর সদস্য মনির হোসেন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে দুই জিএমবি সদস্য আটক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা ও সিদ্দিরগঞ্জ এলাকা থেকে জেএমবির সক্রিয় সদস্য সম্রাট হোসেন (২১) ও শাহাদাত হোসেন (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ১২ এর একটি টীম। গত সোমবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নাঃগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জের আইল পাড়া এলাকায় ও ফতুল্লা থানাধীন হাজীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ধৃত জেএমবির সদস্যরা টাংগাইল জেলার কালিহাতী থানার একটি সন্ত্রাস বিরোধী মামলার এজাহারভুক্ত আসামী বলে সুত্রে জানা গেছে। ধৃত সম্রাট নেএকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানাধীন শেখুপুরা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে, সে জেএমবির সংগঠনে হুরের খোজেঁ নামে পরিচিত, অপর ধৃত শাহাদাত হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার সাহেদ নগর থানা এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে, সে জেএমবিতে আমীর হামজা নামে পরিচিত, তারা বেশ কিছু দিন ধরে সিদ্দিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা এলাকায় বসবাস করতো পরিবার নিয়ে জানিয়েছেন র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

সুত্রে আরো জানায় যে, ধৃত দুই জঙ্গী সদস্য সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরে র‍্যাবের অভিযানে নিহত জঙ্গী নেতা আবদুল্লাহ্র অন্যতম সহযোগী ছিলেন। এছাড়াও গত ৫ সেপ্টেম্বর টাংগাইলের কালিহাতী থানার এলেঙ্গা গ্রামের ধৃত জেএমবির সদস্য সহোদর মাসুম ও খোকনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য ধৃত মাসুম ও খোকনকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করার পর তাদের কাছ থেকে একটি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে তারা নিজেরাই স্বীকার করেছেন যে এই ড্রোন দিয়ে তারা সরকারী বিভিন্ন স্হাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছিল। এঘটনায় কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেই মামলায় এজাহারভুক্ত ৫ আসামীর মধ্যে ধৃত শাহাদাত হোসেন ও সম্রাট অন্যতম। তাদের গ্রেপ্তারের পর টাংগাইল জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব ১২ কর্মকর্তা।

র‍্যাব-১২ এর সুত্রে আরো জানা গেছে যে, ধৃত টাংগাইলে গ্রেপ্তার কৃত জঙ্গী সদস্য মাসুম ও খোকন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক যে জবান বন্দী দিয়েছিল সেখানে তারা জেএমবির সক্রিয় সদস্য মুক্তারুল। শাহাদাত হোসেন, সম্রাট হোসেনের নাম বলেন, এর পরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র‍্যাব-১২ এর একটি টীম অভিযান চালিয়ে মুক্তারুলকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। বাকী দুজনকে সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ফতুল্লা ও সিদ্দিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেন এবং তাদের টাংগাইল আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

র‍্যাবে জানায়, শাহাদাত হোসেন নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন হাজীগঞ্জ এলাকার জামিয়া হোসাইনিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফজ শেষ করেছেন। সে উক্ত এলাকায় বসবাস করতেন। অপর ধৃত সম্রাট হোসেন নেএকোনা জেলার মোহনগঞ্জের মহুয়া টেকনিক্যাল এ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করে রাজধানী ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী নিয়েছিল। তারা দুজনেই ২০১৩ সালের দিকে জেএমবিতে যোগ দিয়ে সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বনে যান। তারা হুরের খোজেঁ ও আমীর হামজা নামসহ বিভিন্ন বেনামে ফেসবুকে আইডি খুলে জঙ্গী, জিহাদী মূলক পোষ্ট দিয়ে আসতেছিল, সম্রাট সিদ্দিরগঞ্জে বসবাস করতো, তারা টেলিগ্রাম, ট্রিমা সহ বিভিন্ন গোপন অ্যাপস ব্যবহার করে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতো বলে জানিয়েছে র‍্যাব-১২।

মিথ্যা সংবাদে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের নিন্দা

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ফতুল্লা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও নিউজ পোর্টাল আমাদের নারায়নগঞ্জ ডট কম এর প্রাকাশক-সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফরিদ আহম্মদ বাধনকে হত্যার হুমকীর অভিযোগ এনে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা মিথ্যা এবং বানোয়াট। কথিত সাংবাদিক ফরিদ আহমেদ বাধন ফেসবুকে যে পোষ্ট নিয়ে জিডি করেছে তা মিথ্যা। প্রকৃত পক্ষে ফেসবুকের কোন পোষ্ট নিয়ে তর্ক-বির্তক হয়নি, রিয়াদ মো: চৌধুরীর ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে কমেন্টস লিখেছিল বিধায় সে বিষয়ে জিজ্ঞাস করলে,সে ব্যাপারে বাধন দুঃখ প্রকাশ করে এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তা আপোষ হয়ে যায়। এসময় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের নব-নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন,ক্রীড়া সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম, কর্যকরী সদস্য মনির হোসেন, সম্মানিত সদস্য মো: সহিদুল ইসলাম শহিদ,মো: আরিফুল ইসলাম আরিফ এবং ফতুল্লা রিপোর্টর্স ইউনিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু উপস্থিত ছিলেন।
এই ঘটনার পরের দিন সাংবাদিক বাধন প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে এবং নিজেকে জাহির করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রি করে এবং রিয়াদ মো: চৌধুরীকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। এ ঘটনা ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা, সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আগামীতে সত্য প্রকাশ করবে বলে আশা করছি।
বিবৃতিদাতা:
সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ – প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,কামাল উদ্দিন সুমন -সহ- সভাপতি,এড. মশিউর রহমান শাহিন – সহ- সভাপতি
আব্দুর রহিম -সাধারন সম্পাদক,আ:আলিম লিটন -সংগঠনিক,শাকিল আহম্মদ ডিয়েল -অর্থ সম্পাদক, রফিক হাসান -দপ্তর সম্পাদক, জি.এ রাজু -প্রচার সম্পাদক, নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম – ক্রীড়া সম্পাদক, এম.সামাদ মতিন – প্রতিষ্ঠাতা সদস্য,এস. এম. বাবুল – প্রতিষ্ঠাতা সদস্য,এ.আর. মিলন – প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, কার্যকারী সদস্য -সেলিম মুন্সি,কার্যকারী সদস্য -মনির হোসেন
কার্যকারী সদস্য -আল-আমিন প্রধান,সম্মানিত সদস্য বৃন্দ রুহুল আমিন প্রধান,আনিসুজ্জামান অনু,আবুল কালাম আজাদ,পিয়ার চাঁন, প.ম আজিজ, সুরাইয়া মতিন,আবু মোহম্মদ হামিদুল হক,সাইদুল ইসলাম সহিদ, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মাহবুবুর রহমান খোকা, আমিনুল ইসলাম মিশু,মাসুদ আলী।