সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সিটির ৬ নং ওয়ার্ড আদমজী সোনামিয়া বাজার রেললাইন এলাকায় দু‘পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ২ জন গুরুতরসহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। জমি ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় দু‘দফা এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেলিম ও আরজু নামে ২ জনকে আটক করেছে। থানায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, আদমজী সোনামিয়া বাজার এলাকার মোঃ সুমন খান নামে এক ব্যক্তি ৯ পয়েন্ট জমি বিক্রি করার ইচ্ছা পোষন করেন। একই এলাকার হানিফ খার ছেলে সাহেব আলী ও শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজু ওই জমি কিনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। সাজু গং ৪ লাখ টাকা দরদাম করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বায়না করে। এ খবর জেনে সাহেব আলী বিক্রেতাকে পটিয়ে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দরদাম করে গত সোমবার ২ লাখ টাকা বায়না করে। এ বিষয়টি জানার পর এনিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাহেব আলী ও সাজু গংদের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দু,পক্ষকে শান্ত করে চলে আসেন। পুলিশ চলে আসার কিছুক্ষণ পর বেলা ১২ টায় আবার বিরোধ সৃষ্টি হয়। বৃদ্ধ হানিফ ও তার ছেলে সাহেব আলী, সেলিম খা, জাফর খা ও জাফর খার মেয়ের জামাই আরজু লাঠি সোটা নিয়ে হামলা করে। তারা চাপাতি দিয়ে শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তখন সাজুর ভাই সজিব, বোন সাথি,বিথি ও মা মর্জিনা বেগম ওরফে (ব্যালী) লাটি-সোটা নিয়ে পাল্টা হামলা করে। শুরু হয় দু,পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি। লাঠির আঘাতে সাহেব আলীর মাথা ফেটে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় আরো আহত হয় সাহেব আলীর পিতা বৃদ্ধ হানিফ খা, অপর পক্ষের সজিব, স্কুল ছাত্র হৃদয়, সাজুর বোন সাথি ও বিথি। খবর পেয়ে আবার এসআই রফিকুল ইসলাম ও রেজাউল সঙ্গীয় ফোর্সসহ দ্রæত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সাহেব আলী পক্ষের সেলিম খা ও তার ভাতিজি জামাই আরজুকে আটক করে। গুরুতর আহত সাহেব আলী ও সাজুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। গুরুতর আহত সাজু ও সাহেব আলীকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে বলে আহতদের স্বজনরা জানায়।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় সন্ধা পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলে পুলিশ জানায়। তবে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে সংঘর্ষ আহত ৬
রূপগঞ্জে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত
রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পারটেক্স গ্রæপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আম্বর গ্রুপের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিধ্বস্তের ঘটনায় স্কোয়াড্রন লিডারসহ ৩ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কলাতলী এলাকায় আবাসন প্রকল্প আমেরিকান সিটির বালুর মাঠে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। মাটি থেকে প্রায় ২০০ ফুট ওপরে থাকতেই হেলিকপ্টারটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। এতে হেলিকপ্টারটির ( এএইচওয়াই এস-২ ) সামনের ও পিছনের অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি দেখতে হাজার হাজার জনতার ভীড় জমে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন হেলিকপ্টারের স্কোয়াড্রন লিডার ও কো-পাইলট জিয়া ইসলাম, কর্ণেল মিজান ও প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে একজন জানান, বিকাল পৌনে ৩ টার দিকে তারা ঢাকা থেকে পারটেক্স গ্রæপের নিজস্ব হেলিকপ্টারে করে রূপগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। হেলিকপ্টারটি পরীক্ষামূলক চালানোর উদ্দেশ্যেই উড্ডয়ন করা হলে পথিমধ্যে হঠাৎ করে যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দেয়। তখন পাইলট হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে কলাতলীর অবতরণের সময় সেটি বেশ উঁচু থেকে আছড়ে পড়ে। আহতদের চিকিৎসার জন্য অন্য একটি হেলিকপ্টার যোগে দ্রæত ঢাকায় পাঠানো হয়। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাঈল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হেলিকপ্টারটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরামের কার্যকরী কমিটি গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীর ডালিমকে সভাপতি, আব্দুর রহিম সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এএসএম এনামুল হক প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৭-২০১৯ মেয়াদের নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরামের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে অন্যরা হচ্ছেন-সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম, সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় দত্ত, শহীদুল্লাহ শিশির, আহমেদ রউফ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো: ফয়সাল, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক অপু ভুইয়া, সমাজকল্যাণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ সাগর, অর্থ সম্পাদক সুমন সরকার, দপ্তর সম্পাদক মো: আলাল, প্রচার সম্পাদক ইকবাল হোসেন রোমেছ, প্রকাশনা সম্পাদক সোহেল কবীর, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন-ফরিদ আহমেদ হৃদয়, আলতাফ হোসেন রায়হান, হোসেন ফরহাদ, রাসেল মৃধা ও আবুল খায়ের সিহাব।
কমিটিতে ৮জনকে উপদেষ্টাম-লী করা হয়েছে। তাঁরা হলেন-মুজিবুল হক কবীর, আমজাদ হোসেন, এস এ শামীম, বাতেন বাহার, জিএম জব্বার চিশতি, ইয়াদী মাহমুদ, গোলাম নবী পান্না ও মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ।
ফতুল্লার প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দকে দাপা যুব উন্নয়ন সংস্থার শুভেচ্ছা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে দাপা যুব উন্নয়ন সংস্থার নেতৃবৃন্দ। এসময় নতুন কমিটির সভাপতি এম সামাদ মতিন ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিমকে ফুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দাপা যুব উন্নয়ন সংস্থা।
এসময় প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এড. মশিউর রহমান শাহিন, সাংগঠনকি সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল এবং প্রচার সম্পাদক জি এ রাজুকে ফুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সংগঠটি। শুভেচ্ছা বিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন, দাপা যুব উন্নয়ন সংস্থার মিজানুর রহমান দিপু, মোঃ হানিফ প্রধান, অপু, সাইফুল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, বাপ্পি, হৃদয়,রাব্বি, বাবু-১, বাবু-২, আশরাফুল ইসলাম তৌকির, সাব্বির প্রমুখ।
হাবীবাহ্ নাসরীন এর কবিতা
তার পথ চেয়ে
হাবীবাহ্ নাসরীন
আবেগের বানে ভেসে ভেসে আসা
প্রেম পূজারীর ফুল
তার পথ চেয়ে মনের দেয়ালে
কখন জমেছে ঝুল।
কখন নেমেছে অচেনা আঁধার
কখন নিভেছে আলো
তারাবোনা ওই আকাশি চাদর
তবু যেন জমকালো।
তবু যেন কিছু কিছু পিছুটান
অবিরাম ডাকে আয়
ফেলে আসা সেই প্রিয় খেলাঘর
আকাশের আঙিনায়।
রাতজাগা তারা কেড়ে নিল কারা
বেহিসেবী যত ভুল
পাপে পরিতাপে কখন পুড়েছে
হৃদয়ের উপকূল।
কার পথ চেয়ে সারাটি জীবন
স্রোতহীন জলে ভাসা
সেই বুঝি প্রেম, মায়াবিনী প্রেম
ঘাতকীনি ভালোবাসা।
তানিয়া বিনতে অাকরামের কবিতা
মা
…..তানিয়া বিনতে অাকরাম
পাখিদের ডানা নিয়ে শীত এল গ্রামে,
ভোরের গন্ধ জুড়ে ফুলেদের নামে সূর্য কিরণ দিলে,
আলো এসে ঝরে, অযথাই, অকারণে মাকে মনে পড়ে।
মার হাতে বুনে রাখা লাল সোয়েটার,
এখনও তেমনি আছে আদর-বাহার,
দেরাজের এককোণে যত্নেই রাখা,
হাতে নিলে আজও দেখি মার মুখ আঁকা।
ক্লান্তিতে ভেঙ্গে এলে যুদ্ধের দিন,
মনে হয় মার হাত কপালে বিলীন,
‘ভয় নেই, আমি আছি, আমি তোর মা’
কানে কানে কার গলা? কেউ জানে না।
বিএনপির পক্ষে গণ স্রোত দেখে সরকার ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজছে-খসরু
আড়াইহাজার প্রতিনিধি: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও আড়াইহাজার থানা বিএনপির সভাপতি এএম বদরুজ্জামান খসরু বলেছেন, বিএনপির পক্ষে সারাদেশে গণ¯্রােত দেখে সরকার বিচলিত হয়ে গেছে। বিএনপিকে ঢ্যাগ দেয়ার জন্য শেখ হাছিনার সরকার ষড়যন্ত্রের নতুন পথ খুঁজছেন। তবে সরকারের কোনো ষড়যন্ত্রই আর কাজে আসবে না। সরকার বিএনপিকে যতই নির্যাতন করছে, বিএনপির জনপ্রিয়তা ততই বাড়ছে। এসময় তিনি আরও বলেন, আসছে একাদশ জাতীয় নিবার্চনে সারাদেশে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে লাখ লাখ নেতাকর্মীসহ সাধারণ লোকের সমাগম হবে। “বিল্পব ও সংহতি” দিবস উপলক্ষ্যে ১২ নভেম্বর ঢাকার সাহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে আড়াইহাজারে শুক্রবার প্রস্তুতিমূলক সভায় এএম বদরুজ্জামান খসরু এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাসেম ফকির, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছালাউদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছালাউদ্দিন চৌধুরী, গোপালদী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি হোসেন আলী, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মনিরুজ্জামান খান, আড়াইহাজার থানা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক জহির, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি জাহিদ হোসেন ও যুবদল নেতা তফলিমউদ্দিন ভূঁইয়া লিটন প্রমুখ।
শিল্প পুলিশ শিল্পের চাকাকে সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে-নওশের আলী
র্যাবের অভিযানে ২ জঙ্গী আটক
পাগলায় বন্দুক যুদ্ধে বিল্লাল মিশরী নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লার কুতুবপুরের রসুল-কদমতলীর চিহ্নিত তালিকা ভুক্ত সন্ত্রাসী বিল্লাল মিশরী র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। বুধবার ভোরে পাগলা ওয়াসা সংলগ্ন খেজুরবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বিল্লাল মিশরী নিহতের খবরে এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল করে উল্লাস প্রকাশ করেছে।
এর আগে ফতুল্লায় র্যাবের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে বিল্লাল মিশরীর ভাই মাদক ব্যবসায়ী ইমরান মিশরী (৩৫) চলতিবছরের ৪ই জুলাই শুক্রবার রাতে কদমতলীর ওয়াসা এলাকায় অভিযান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। কুতুবপুরের সীমানাবর্তী এলাকা কদমতলীতে মাদক ব্যবসায়ীদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১০ এর একটি দল। এসময় মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ করে গুলি ছোড়তে থাকে। এরপর র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়লে ঘটনাস্থলে ইমরান মিশরী গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল, ৫ পিছ ইয়াবা , নগদ ৬৯ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়









