৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 207

তথাকথিত মুহিউস সুন্নাহ দাবিদার যাত্রাবাড়ীর মাহমুদুল হাসানের সুন্নাহ বিরোধী আচরণ

কিরুপ আচরণ করতে হবে, মেহমানদের কিভাবে গ্রহণ করা হবে, কথা বলার ক্ষেত্রে সুন্নাত কি এসব সবক প্রদানের মাঝে যিনি জীবন পার করলেন, আজ ওনার এসব বিষয়ে সুন্নাহবিরোধী সর্বোপরি বিবেক বহির্ভূত আচরণ দেখে আমরা তাজ্জব হলাম। একজন প্রথিতযশা আলেম হিসেবে নয়, একজন সাধারণ মানুষও কি এমন আচরণ করতে পারেন?
রুমে প্রবেশের পর আব্বাসী হুজুরের নাম বলার পর থেকেই শুরু হয় ওনার বিমাতাশুলব আচারণ, হুমকি, ধমকি ও কটুবাক্যে। একের পর এক শানিত করে যাচ্ছেন এসব বৈরী আচরণে। চেহারাকে অগ্নিসর্মা করে, চোখ রাঙ্গিয়ে, উচ্চবাচ্য করে এমনভাবে আমাদের শাসালেন যে মনে হয় কোন শত্রুকে হুমকি ধমকির মাধ্যমে ভীতিসঞ্চার করেছেন।
আমরা মর্মাহত, নির্বিকার ও পাঠকের কাছে বিচারপ্রার্থী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে শুরু করলাম ২৫ মে বাহাস প্রসঙ্গে আয়োজনের যাবতীয় বিষয়াবলী নিয়ে। বাহাস শব্দ শুনেই তিনি অগ্নিসর্মা হয়ে গেলেন, বললেন কিসের বাহাস কোন বাহাস নয়, আমাকে বলা হয়েছে ইলমী মুজাকারার কথা, উভয় পক্ষ্যের ৫ জন ৫ জন বা ১০ জন ১০ বসে আলোচনা করবেন।
অথচ পাঠক নিশ্চয়ই অবগত আছেন দুই পক্ষই বাহাস করার জন্য দীর্ঘ দুই মাস যাবৎ বিভিন্ন বৈঠক করে আসছে, সব বৈঠকেই বাহাসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, অথচ এখন বাহাসের কথা সরাসরি অস্বীকার করে পীঠ বাচাতে ইলমী মুজাকারার আশ্রয় নিচ্ছে। পাঠক নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে উভয়পক্ষের সম্মতিতে যে চুক্তিনামা করা হয়েছে তাতে শিরোনাম দেওয়া হয়েছে প্রচলিত মিলাত কিয়াম নিয়ে বাহাসের চুক্তিনামা।

ওনারা ভালো করেই জানেন বাহাস আর সাথারণ মুজাকারা এক নয়, বাহাসের নির্দিষ্ট কিছু শর্ত থাকে, কিছু নিয়ম থাকে যা সাধারণ আলোচনায় থাকেনা। মিলাদ কিয়াম বিরোধীরা বাহাস থেকে সড়ে এসে কেন্ন সাধারণ আলোচনায় বসতে তোড়জোড় শুরু করেছেন তা পাঠকমহল ভালো করেই বুঝতে পারছেন।

আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা সবসময় এক নীতিতে বিশ্বাসী, তাই চুক্তি মোতাবেক বাহাসই হবে সাধারণ কোন আলোচনা সভা (মুজাকারা ) নয়। কেননা ফলাফল প্রক্রিয়া বিহীন কোন আলোচনায় চুড়ান্ত সমাধান আসেনা।
অতএব সাধারণ মুজাকারা নয়, হতে হবে বাহাস। হযরতের কাছে আমরা জানতে চাইলাম প্রশাসনিক নিরাপত্তার বিষয়ে। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করার পরই হযরত আরো গরম হয়ে উঠলেন, কিসের প্রশাসন? কোন প্রশাসন আসবে না, আমিই প্রশাসন। অর্থাৎ কোন প্রশাসন ওনারা বরদাশত করবেন না, জানাবেন না, এমনকি ঢুকতেও দিবেন না।
হযরতকে জিজ্ঞেস করলাম তাহলে পূর্ণ জিম্মাদারি নিয়েছেন আপনি? হযরত পূর্ণ শক্তি দিয়ে অস্বীকার করে বললেন জিম্মাদারি আমার নয়, জিম্মাদারির কোন প্রশ্নই আসেনা।

পাঠক কি দাড়ালো?
ষড়যন্ত্রের রুপরেখা কতোটা ভয়াবহ তা অবশ্যই দেখতে পাচ্ছেন। ওনার মাদরাসার ভিতরে হাজার হাজার ছাত্র আছে অথচ বাহাসের নিরাপত্তার জন্য কোন প্রশাসন দিবেন না এবং জিম্মাদারিও নিবেন না, অর্থাৎ সম্মিলিত পরিকল্পনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট চকে অগ্রসর হচ্ছেন ওনারা।  যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে প্রশাসনের বিষয়ে এতো নাটকীয়তা কেন? এতো তালবাহানা কেন? কি জবাব দিবেন ঐ পক্ষের প্রতিনিধি দল? বিগত ৯ মে কেন ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল গঠন করা হলো? যদি সত্য প্রতিষ্ঠাই তাদের মাকসাদ হতো তাহলে প্রশাসন নিয়ে এতো তালবাহানা কেন? এতো ভয় কেন? নাকি নিজেদের পরিকল্পিত চকে অগ্রসর হতে প্রশাসনের লোকেরা প্রধান বাধা। প্রতি প্রোগ্রামে প্রশাসনের কথা বলে আসলেও বাহাসের ৪ দিন আগে প্রশাসন নেওয়া যাবেনা, বাহাস নয় সাধারণ আলোচনা হবে, বিবিধ বিষয় প্রমাণ করে বাহাস থেকে সটকে পড়তে একের পর এক বাহানা। ১৩.৫০ মিনিট থেকে ১৪.২৪ মিনিট পর্যন্ত হযরতের হুমকিতে আমরা রীতিমত নিস্তব্ধ ও ভীতসন্ত্রস্ত। “কোন কথা বলবোনা ২৫ তারিখ আসেন। না, কি ঠেকছে আমার কথা বলার, কেন আমাকে চেতাইতেছেন, তারা বলতেছে হুজুরে এদের লালনপালন করতেছে। উদারতার (…) প্রশাসনের ভয় দেখান কেন আমাকে? যত কথা বলবেন ততো মাইর খাবেন আপনারা। পর্যালোচনা এখানেই সব পরিষ্কার যে কেন প্রশাসন নিতে চাচ্ছেন না। একটা পক্ষের প্রতিনিধি দলের সাথে কোন কথা বলতেই তিনি অপারগ। অথচ ঘন্টার পর ঘন্টা ঐ পক্ষ্যের আর্জি শুনে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এ এক বিমাতাশুলব আচরণ। হযরতের শেষ উক্তি যে কতোটা ভয়ংকর তা পাঠক ও শ্রোতারাই বিবেচনা করবেন। “যত কথা বলবেন ততো মাইর খাবেন আপনারা” নির্বিগ্নে নিরীহ অবস্থায় মারামারি ই কি মূল মাকসাদ? ওনি মাইরের হুমকি দেন কি করে?মিলাদ কিয়ামের পক্ষ্যে প্রতিনিধি হয়ে আমাদের যাওয়া নাকি চরম বেয়াদবি হয়েছে, হযরত নিজেকে মুহিউস সুন্নাহ দাবি করলেও এক্ষেত্রে কোন সুন্নাতের পরিচয় দিলেন?
* রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে কি কোন গোত্র বা কওম কর্তৃক প্রতিনিধি দল আসেননি? তাতে কি হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেয়াদব সম্মোধন করেছেন? গোত্র প্রধান আসতে হবে বলে বৈরী আচরণ করেছেন?

কোথায় আজ রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ?
সম্পূর্ণ বিপরীত আদর্শের ধারক হয়েও যে তথাকথিত মুহিউস সুন্নাহ হওয়া যায় তা আজ বুঝলাম….

পাঠক আরো একটু গভীরভাবে চিন্তা করুন….
আব্বাসী হুজুরকে নাকি হযরত চিনেনই না, তাহলে হযরত দেখা করার জন্য আব্বাসী হুজুরকে আসার কথা বললেন কেন?

এ এক স্ববিরোধী উক্তি?
ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুরের সম্পূর্ণ বিষয়াবলী (হুজুরের আকিদাহ সম্পর্কে সব জানেন) সম্পকে জানেন অথচ হুজুরকেই চিনেন না।
হুজুরের খানকার সামনে দিয়ে ২ বছর নিয়মিত যাতায়াত করেও হুজুরকে চিনেন না।

হযরতের ছেলে নিট কনসার্সে চাকুরীর সুত্রে ২ বছর নিয়মিত খানকাতে এসে বসে থাকতেন, অথচ হযরত চিনেন না।

হুজুরের বাসার (আব্বাসী মনজিল) পাশেই অবস্থিত নিট কনসার্সের কর্ণধার….. (যিনি হযরতের মাদরাসার সবচেয়ে বড় ডোনার) অনবরত ডোনেশন কালেকশনে এসেও হুজুরকে চিনেন না।
চমৎকার স্ববিরোধী বক্তব্য…… হযরতের কথার আওয়াজ ও ব্যবহার এমন হবে তা ছিলো কল্পনাতীত।
গালিগালাজ : আমাদের শাইখ এবং মিলাদ কিয়ামের পক্ষের প্রধান মুবাহিস ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুরকে ২টি অশালীন ও কটুবাক্যে সম্মোধন করে বলেন বেয়াকুফ ও বদমাইশ। আস্তাগফিরুল্লাহ!! নাউজুবিল্লা।।
এ অধিকার ওনাকে কে দিলো যে তিনি গালিগালাজ করবেন?
একজন সাধারণ মানুষের মুখেও তো এ ভাষা বড় বেমানান ও গুনাহের কাজ,
একজন আলেম, একজন শাইখ ও মুহিউস সুন্নাহর আচরণ এমন হয কি করে?

সুন্নাহ বিরোধী আচরণ:
হযরত শুরু থেকেই আব্বাসী হুযুরকে তুই তুকারি করে সম্মোধন করেছেন যা স্বাভাবিক সমাজেই নিন্দিত, নামধারী মুহিউস সুন্নাহর সমাজে নন্দিত হয় কিভাবে?

প্রতিনিধি দলের সমন্বয়ক মাহদি ভাই অত্যন্ত বিনয়ের সহিত বলল, হযরত একটু অনুমুতি দিলে একটা কথা বলব, হযরত অগ্নিসর্মা হয়ে বলে উঠলেন তুমি কে? বেরিয়ে যাও……
এছাড়াও বেশ
কয়েকবার বেরিয়ে যান, চলে যান বলে ধমকি দিলেন।
এ কেমন সুন্নাহ ভিত্তিক আচরণ?
.
ফরায়েজী হযরতের চিরাচরিত মিথ্যাচারের দৃষ্টান্ত।
৯/৫/১৭ তারিখের বৈঠকে ফরায়েজী সাহেব স্পষ্ট দাবী করলেন যে আমরা কোন মুবাহেস বা বিচারক পরিবর্তন করিনাই। অথচ ফরায়েজী সাহেবের পাশে বসা মুফতি শাসছুদ্দিন সাহেব বললেন আমরা মুবাহেস পরিবর্তন করে তার স্বাক্ষর নিয়েছি। মিথ্যাচার প্রমাণ হওয়ার সাথে সাথে ফরায়েজী সাহেব তার কর্মী ভাইকে হাতজোড় করে বলতে লাগলেন আপনি কোন কথা বলবেন না। আমরা কোন মোবাহেস পরিবর্তন করিনি।
অথচ আজ প্রকাশ করলেন ওনারা আজিজুল হক মাদানী সহ আসবেন….
পাঠক যার কাছে সামান্য কথার আমানত ঠিক থাকেনা, মিথ্যাচারের চুড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেন তিনি কিভাবে কুরআন ও সুন্নাহর আমানত রক্ষা করবেন?
এ প্রতারণার পরও ফরায়েজী কোন মুখে কথা বলবেন?

৯/৫/১৭ তারিখের মিথ্যাচারে
১। মসজিদে প্রবেশ করেই বললেন গত বৈঠক আমি লাইভে দেখেছি, পরে বলে উঠলেন গত বৈঠক সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।
লাইভের কথা স্বরণ করালে বললেন কিছু কিছু দেখেছি…..
২। ৮ তারিখ আব্বাসী হুজুরকে ফোন দিয়ে ৯ তারিখের বৈঠকে যাওয়ার দাওয়াত দিয়েছিলেন, কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, গত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আজ অনুমতির জন্য আমরা ২ জন যাব। অথচ বৈঠকে উপস্থিত সবাই এ কথা অস্বীকার করলে ফরায়েজী হযরত বিমর্ষ হয়ে বলে উঠলেন সময় তো কম তাই নিজ থেকেই বললাম।
এ ছাড়াও অনেক…..

প্রস্তাবনা :
১। মিলাদ কিয়ামের পক্ষে আমাদের শাইখ ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুর উদার ও বড় মনের পরিচয় দিয়ে মাহমুদুল হাসানের মাদরাসায় বাহাসের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা একটি বিরল ঘটনা, কিন্তু মাহমুদুল হাসান সাহেবের উদ্ধত ও মারমুখী আচরণের কারণে যাত্রাবাড়ী মাদরাসাতে ২৫ তারিখের বাহাস মিলাদ কিয়াম বিরোধীদের দ্বারাই অনিশ্চিত হয়ে গেল। তাদের প্রধান কারণ-

ক. ২ মাস ব্যাপী প্রস্তিত চলছে বাহাসের, অথচ মাহমুদুল হাসান স্পষ্ট নাকচ করে বললেন কোন বাহাস হবেনা হবে সাধারণা আলোচনা (মুজাকারা) যার জন্য কোন চুক্তি, সালিস, মোবাহেস প্রয়োজন হয়না, প্রয়োজন হয় মুজাকিরের।
আমরা পূর্বঘোষিত বাহাসের জন্য প্রস্তুত, মুজাকারা করতে হলে বিরোধীদের পূর্বের বাহাস বানচালের জন্য ক্ষমা চেয়ে নতুন মুজাকারার প্রস্তুতি নিতে হবে।

খ. মাহমুদুল হাসান আমাদের প্রধান মুবাহিস ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন এবং উপস্থিত ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিনিধিদের কে প্রকাশ্যে মার দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অতএব সে তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে এক পক্ষ্যের প্রতিনিধিতে পরিণত হয়েছেন, অতএব সেখানে সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ বাহাসের জন্য যেতে পারেনা। আমাদের উদারতাই তাদের হীন চরিত্র ও সংকীর্ণতাকে প্রকাশ করেছে।

গ. বাহাসের উল্লেখযোগ্য একটি শর্ত হলো প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুই পক্ষ্যের আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়া, আমরা বারবার প্রশাসনের জন্য অনুরোধ করলেও তিনি কর্ণপাত না করে উল্টো অগ্নিসর্মা হয়ে বলেছেন, কোন প্রশাসন ঢুকতে পারবেনা, কিসের প্রশাসন? এবং তিনি কোন প্রকার জিম্মাদারিও গ্রহণ করবেন না। তাহলে বাহাস থেকে সড়ে আসলো কারা? আমরা এখনো তাদেরকে বাহাসের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি
উপরোল্লিখিত ডকুমেন্টারি পোষ্ট থেকে একথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, মাহমুদুল হাসান সাহেবকে বাহাসের জন্য রাজি করানো না করতে পারা ও বাহাসের সাবলীল পরিবেশ করতে না পারায়, তাদের পূর্বের ঘোষনা অনুযায়ী এখন স্থান নির্ধারণ করবেন আব্বাসী হুজুর, অতএব আমরা সব শর্ত মেনে বাহাসের স্থান নির্ধারণে বদ্ধ পরিকর ইনশাআল্লাহ , এবং প্রশাসন উপস্থিত রেখে ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি নিরপেক্ষ স্থানে বাহাসের স্থান নির্ধারণ হবে ইনশাআল্লাহ, এবং তাদের প্রধান মুবাহিস মিজানুর রহমান সাঈদের ঘোষনা অনুযায়ী সেখানে আসতে তারা বাধ্য কেননা তিনি ঘোষনা দিয়েছিলেন, যাত্রাবাড়ীতে বাহাস অনুষ্ঠিত না হলে আব্বাসী হুজুরের মনোনীত জায়গায় বাহাস হবে ইনশাআল্লাহ। একই কথা তাদের প্রতিনিধিও বলেছেন।

তথাকথিত কথিত মহিউস সুন্নাহ এর সুন্নাহ বিরোধী আচরণের ভিডিও লিংকঃ-
https://m.facebook.com/story.php…

শফিউল আলম প্রধান আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।  রবিবার ভোর সাড়ে ৬টায় রাজধানীর আসাদগেটে নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জাগপা’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শফিউল আলম প্রধান কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। রবিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঘুম থেকে ওঠার জন্য ডাক দেন। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। এ অবস্থায় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার মৃত্যুর খবরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তার বাড়িতে যান । শফিউল আলম প্রধানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

শফিউল আলম প্রধান আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন।

১৯৭৪ সালের এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলে সাত ছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আসামি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। এই মামলায় তার সাজাও হয়েছিল। পরে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাকে ক্ষমা করে দেন।

সে সময় কারাগারে যেতে হলেও পরে জিয়াউর রহমানের সময়ে মুক্তি পান এবং ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল রমনা গ্রিনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি গঠন করে তার সভাপতি হন শফিউল আলম প্রধান।

দুই ছাত্রী ধর্ষণ: নাঈম আশরাফের ধর্ষণের কথা স্বীকার

ডেস্ক নিউজ: তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বনানীতে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামি নাঈম আশরাফ ওরফে হালিম। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মামলার বাদীর বান্ধবীকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে নাঈম। এরপরই তাদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তদন্ত তদারক কর্মকর্তারা। এরইমধ্যে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে আবেদন করা হয়েছে। রবিবার এ বিষয়ে শুনানি রয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তদন্ত তদারকিতে থাকা দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে নাঈম আশরাফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডের তৃতীয় দিনে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণে জড়িত থাকার বিষয়টি ছাড়াও আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য দিয়েছে নাঈম। পরিকল্পিতভাবেই দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জ্ঞিাসাবাদে জানিয়েছে সে। এছাড়া এই ধর্ষণ-পরিকল্পনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত ছিল, তাদেরও নাম-পরিচয় বিস্তারিত জানিয়েছে।’

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মামলার বাদীর বান্ধবীর পোশাকে পাওয়া ডিএনএ-এর সঙ্গে আসামি নাঈম আশরাফের ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে। এজন্য নাঈম আশরাফের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডির ফরেনসিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। সব আলামত ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পরই এ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।’ নাঈম আশরাফ সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য আছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘নাঈম আশরাফ জিজ্ঞাসাবাদের প্রথমদিকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। তবে এখন সে মুখ খুলতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।’

এদিকে ধর্ষণের ঘটনাস্থল ও ধর্ষণের সহযোগী হিসাবে রেইনট্রি হোটেলের মালিকের ছেলেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। কারণ, ধর্ষণের আগে দুই শিক্ষার্থীর বন্ধু শাহরিয়ারকে মারধরের ভিডিও ফুটেজ পেয়েছেন তারা। যা এজাহারেও উল্লেখ রয়েছে। তবে ধর্ষণের সময় মোবাইল ফোনে যে ভিডিও করা হয়েছিল, সেটা এখনও উদ্ধার করা যায়নি। সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার পর সেই ভিডিও উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তারা। তবে আসামিদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতে স্বীকারোক্তি ছাড়াও তাদের কাছ থেকে জব্দ করা আলামতের মাধ্যমে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ওরফে আজাদ পুলিশকে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। তবে ধর্ষণের সঙ্গে তার জড়িত থাকার কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ। ঘটনার মাত্র দুইদিন আগে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ধর্ষণের পরই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

গত ১১ মে রাতে সিলেট শহরের একটি বাড়ি থেকে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে প্রথম গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা দু’জনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বর্তমানে কারাগারে আছে। এরপর গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীকে রাজধানীর নবাবপুরের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। গত বুধবার ১৭ মে রাতে মুন্সীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ২৮ মার্চ রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বনানী থানায় মামলা হয় গত ৬ মে। ধর্ষণের পর নানাভাবে ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী ওরফে আজাদকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

নরসিংদীতে জঙ্গি আস্তানা ঘিরে রেখেছে র‌্যাব

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলী এলাকার একটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

শনিবার বিকেল ৪টার দিকে র‌্যাব-১১ এর একটি দল ও পুলিশ বাড়িটি ঘিরে ফেলে।

বাড়ির মালিকের নাম মাঈন উদ্দীন। লিবিয়া প্রবাসী মাঈন উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি জেলার রায়পুরা উপজেলার হাইরমারা গ্রামে। এক বছর আগে তার স্ত্রীর মৃত্যু হলে পরিবারের বাকি সদস্যরা গ্রামে চলে যান। বর্তমানে তার পরিবারের কেউ এ বাড়িতে থাকেন না।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই তলা বাড়িটি নির্মাণাধীন। বাড়িটি একবার ভাড়া হলেও ৫/৬ মাস আগে সেই ভাড়াটিয়া চলে যায়। তারপর থেকে বাড়িটি ফাঁকাই ছিল। একমাস আগে বাড়ির কেয়ারটেকারের মাধ্যমে বাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয়ে তিন যুবক ভাড়া নেয়। এরপর থেকেই র‌্যাব বাড়িটি তাদের নজরদারিতে রাখে। গত কয়েক দিন পূর্বে এই তিনজন ভাড়াটের সঙ্গে আরো সন্দেহভাজন দুজন লোক বাড়িতে উঠেছে খবর পেয়ে র‌্যাব শনিবার বিকেলে বাড়িটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে।

বাড়ির ভেতরে থাকা সন্দেহভাজনদেরকে জানালা দিয়ে উঁকি-ঝুকি দিতে দেখা গেছে। কখনো তারা বিদ্যুতের আলো জ্বালাচ্ছে আবার নিভিয়েও দিচ্ছে। অনুকুল পরিস্থিতি অনুযায়ী এই বাড়িতে অভিযান চালানো হবে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

ইতোমধ্যেই র‌্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তিনি সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরই অভিযান শুরু হবে বলে জানা গেছে।

তবে র‌্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান বলেছেন, র‌্যাবের আরো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসছেন। তারা আসার পর অভিযানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

র‌্যার-১১’র সিনিয়র এএসপি আলেক উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সন্দেহ করছি বাড়িটিতে জঙ্গি রয়েছে। ঢাকা থেকে র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসার পর অভিযানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’

বাড়িটির ভেতরে কতজন অবস্থান করছেন সে সম্পর্কে তিনি সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। ধারণা করা হচ্ছে ৫/৬ জন সন্দেহভাজন লোক বাড়িতে রয়েছে।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বলেন, ‘অভিযান পুরোপরি র‌্যাব কর্তৃপক্ষের। আমরা তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছি। সেখানে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন।’

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাড়ির ভাড়াটিয়াদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে র‌্যাব সদস্যরা বাড়ির মালিক প্রবাসী মাঈন উদ্দিনের ছোট ভাই জাকারিয়াকে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে জানা গছে।

ফতুল্লায় ৬ বছরের শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অজ্ঞাতনামা ৬ বছরের এক শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে ঢকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে ফতুল্লা দাপাস্থ শিশু কল্যাণ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-২ (পথকলি) স্কুলের ভিতর একটি ঝোপ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ফতুল্লা দাপাস্থ পথকলির স্কুলের দারোয়ান নামাজ পড়ে এসে স্কুলের ভিতরে একটি শিশুর মরদেহ দেখতে পান। পরে তিনি আশপাশের লোকজন ডেকে আনেন। স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে আমি এবং এসআই নাজনীন ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাতনামা শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠাই।

তিনি আরো জানান, শিশুটিকে অন্য স্থানে গলাকেটে হত্যার পর পথকলি স্কুলটি নিরিবিলি হওয়ার সুবাধে দুর্বৃত্তরা মরদেহটি ওই স্থানে ফেলে চলে যায়। শিশুটির পরণে লাল টিশার্ট ও ফুল প্যান্ট রয়েছে।

শিশুটির পরিচয় জানার জন্য স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে। শিশুটিকে এলাকার কেউ চিনতে পারছে না, শিশুটির পরিচয় শানাক্তের চেষ্টা চলেছে।

মিলাদ কিয়াম বিরোধীদের বাহাস বানচালে সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত সফল হতে দেওয়া হবে না-ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

২৫ মে বাহাসের সকল প্রস্তুতি আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুর দরবারের পক্ষ থেকে সুসম্পন্ন হয়েছে ।এখন শুধুই বাকি ২য় পক্ষ মিলাদ কিয়াম বিরোধীদের সদিচ্ছা ও বাহাসে উপস্থিতি । বড়ই আফসোসের বিষয় ! কিয়াম বিরোধী ফরায়েজী গংরা ২৫ তারিখ বাহাস বানচালে শুরু থেকেই সীমাহীন মিথ্যাচার, চক্রান্ত করে আসছে । তবে তাদের চক্রান্ত এতটাই স্থূল যে, তা বিবেক সম্পন্ন মানুষের খালি চোখেই ধরা পরে । মিলাদ কিয়ামের পক্ষের আলেমদের বাহাসে অংশ গ্রহণের সদীচ্ছা ও পূর্ণ প্রস্তুতি থাকার পরও তারা তাদের কিছু আইডি ও অখ্যাত Online পত্রিকায় নিরন্তনভাবে আল্লামা আব্বাসী হুজুর ও তার দল বাহাসে বসতে চায়না এরকম অভিযোগ করে আসছে, যা নির্জলা মিথ্যাচার । দেশবাসী সোশাল মিডিয়াতে দেখে আসছে যে, শুরু থেকেই তারা বাহাসে বসতে অনাগ্রহী যার রেকর্ডকৃত বক্তব্য ও ভিডিও চিত্র আমরা সরাসরি উপস্থাপন করেছি । তা থেকে নতুন তথ্যসহ কিছু তথ্য আমরা তুলে ধরছি—

১.. ফরায়েজী গং ঘটাকরে দেশ ব্যাপী প্রচার করলো যে তারা আব্বাসী হুজুরের সাথে ২৫ তারিখ বাহাসে বসবে । কিন্তু বাহাস পূর্ব তৃতীয় প্রস্তুতি সভায় জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমে খোদ ফরায়েজী আল্লামা আব্বাসী হুজুরের প্রতিনিধি প্রধান মুফতী মানজুর হোসাইনের কাছে প্রকাশ্যে কয়েকবার ক্ষমা চেয়ে বসে যে, আসলেই আমরা আব্বাসী হুজুরের সাথে কোন বাহাস চাই না বরং তার সাথে একান্ত বসতে চাই । আলোচনার মাধ্যমে পারস্পারিক দূরত্ব কমাতে চাই । এখন দেশবাসীর নিকট আমাদের প্রশ্ন; আপনারাই বলুন কারা বাহাসে বসতে চায় না ?? তাদের অনলাইন পত্রিকার ভাতেমারা সাংবাদিকরা আব্বাসী হুজুরের ক্ষেত্রে কেঁচো খুঁরতে সাপ খুজে পায় । অথচ নাকের ডকায় ঘোড়া ও গাধা দেখতে পায় না ??

২.. বাহাসে বসার অনুমতির জন্য উভয়পক্ষের প্রতিনিধি যখন ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় আগারগাঁওতে যান তখন ফরায়েজী প্রতিনিধি আব্দুস সবুরের উপস্থিতিতেই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা জানান যে, প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলের পক্ষ থেকে বাহাসের অনুমিত জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমে না দেওয়ার নির্দেশ করা হয়েছে । আপনারাই বলুন, বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের সাথে কাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ?? কাদের বন্ধুত্ব প্রগাঢ় ?? আব্বাসী হুজুরের ?? নাকি কিয়াম বিরোধী সনদের স্বীকৃতির মূলা যারা পেয়েছেন তাদের ?? যাদের সম্পর্ক তেতুল থেকে রসগোল্লায় পরিনত হয়েছে, আমরা মনে করি তারাই বাহাস বানচালে প্রশাসনকে রাজী করেছে ।।

৩.. কাপুরুষ, ভীতসন্ত্রস্ত ও পরাজিত শক্তিই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকে । বিগত দিনেও মিলাদ কিয়াম বিরোধীদের মিথ্যাচার আমরা জাতীর সামনে তুলে ধরেছি । কিন্তু তাদের সর্বোচ্চ মহল যদি মিথ্যার আশ্রয় নেয় তখন তো একথা দিবালোকের ন্যায় স্পস্ট হয়ে যায় যে, আসলেই তাদের বাহাসের কোন ইচ্ছাই নেই । তাদের কথিত শাইখুল ইসলাম মিজানুর রহমান সাঈদ শায়েখ যাকারিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রদের বিদায়ী অনুষ্ঠানে বললেন; তিনি বাহাসের কথা জানতেন না । তাকে না জানিয়েই স্টাম্পে তার নাম দেওয়া হয়েছে । অথচ আমরা তাদের আইডি থেকেই প্রচারিত ভিডিওতে দেখতে পেয়েছি তাদের পক্ষে প্রধান মুবাহিস হিসেবে রাজি করাতে হাটহাজারীর সাবেক শিক্ষক মাওলানা আজীজুল হকের বাড়ীতে তিনি উপস্থিত হয়ে দলীলে সাক্ষর নিয়েছে । তিনিই যদি বলেন বাহাসের চ্যালেঞ্জ তিনি দেননিও নেননিও তাহলে এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার ও বাহাসে না আসার বাহানা আর কি হতে পারে ?? মাওলানা মিজান বিদয়াতীদের মুখোশ খুলতে চান । প্রচলিত তাবলীগ ও কঠিন বিদয়াত চীল্লার পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী মিজান সাহেবদের দাঁত কতটি আর বিদয়াত কি পরিমাণ তা ইনশাআল্লাহ ২৫ তারিখ বাহাসেই দেখা যাবে ।।

৪.. Our Islam পত্রিকায় তারা আরো একটি জঘন্য মিথ্যাচার করেছে যে, ২৫ তারিখের জন্যই আব্বাসী মঞ্জিলের পক্ষ থেকে আরেকটি দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়েছে বাইতুল মুকাররমে । আর সে কারণেই ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি । মূলত মিলাদ কিয়াম বিরোধীরা বাকা পথে চলতে চলতে সহজসরল ও স্পট বিষয়ও অনেক সময় বুঝতে ব্যার্থ হয় । বাহাসের অনুমতির জন্যে আগারগাঁও যাওয়ার আগেই কওমী ঘরানার বিশিষ্ট আলেম, সাংবাদিক ও রাজনীতি বিদ এবং আল্লামা শফী সাহেবের স্নেহধন্য ছাত্র মাওলানা মাসুদুর রহমান বিক্রমপুরীর নেতৃত্ত্বে একটি প্রতিনিধি দল ফাউন্ডেশনের ডি.জির সাথে ফোনে কথা বলেন ও পরবর্তিতে সাক্ষাৎ করেন । তাতে ডি.জি অগ্নিমূর্তি ধারণ করে অত্যন্ত ক্ষিপ্রভাবে বলেন, বাইতুল মুকাররমের কোথাও কোন বাহাস হতে দেওয়া তো হবেই না বরং বাহাসে কেউ আসলে তাকে পিটিয়ে বের করে দেওয়া হবে । তা শুনেই ২৫ তারিখ বাইতুল মুকাররমে যে কোন প্রকারেই হোক যেন উপস্থিত হওয়া যায়, সেজন্যে বাহাসের অনুমতির দরখাস্তের পাশাপাশি সংগঠনের প্যাডেও ভিন্ন ব্যাপারে বাইতুল মুকাররমে অনুমিত চাওয়া হয়েছে । বাহাসে বসার জন্যে আসলেই যে আব্বাসী হুজুর ও তার লোকজনের সদিচ্ছা ও প্রস্তুতি আকাশচুম্বী । এ ঘটনা থেকে তো তাই অনুমিত হয় ।

মিলাদ কিয়াম বিরোধীদের আপডেট মিথ্যাচার—
আব্বাসী হুজুর বলেছিলেন বাইতুল মুকাররমে বাহাস হতে না দিলে বিরোধী পক্ষের মুরুব্বী আল্লামা মাহমুদুল হাসান সাহেবের মাদ্রাসায় আমরা বাহাসে বসবো । এরকম উদারমন ও উদাত্ত আহবান যা আল্লামা আব্বাসী হুজুরের পক্ষ থেকে হয়েছে তার একটি নজীর মনে হয় দুর্বিন দিয়ে খুজেও বিরোধী পক্ষ তাদের মধ্যে দেখাতে পারবে না । কথা ছিল উভয়পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় যাবে কিন্তু মাওলানা মিজানুর রহমান সাঈদ এককভাবে যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার শায়েখকে রাজী করার দায়িত্ব নেন এবং কয়েকদিন পরই তারা ঘোষণা দেয় যাত্রাবাড়ীর শায়েখ রাজি হয়েছেন । ২৫ তারিখ বাহাস যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসাতেই হবে । আমাদের পক্ষ থেকে বাহাসের আগে মাহমুদুল হাসানের কাছে কাউকে যেতে হবে না । শাইখুল হাদীস আল্লামা আব্বাসী হুজুর এই কথা স্বাভাবিক ভাবেই গ্রহণ করেন এবং ২৫ তারিখ মাহমুদুল হাসান সাহেবের মাদ্রাসাতেই বাহাসে যাবেন । তা, লুৎফর ও তার প্রতিনিধিকে জানানো হয় । কিন্তু আফসোস সহস্র আফসোস !! (আবুল কাযীবাত) ابو الكذبات চরম মিথ্যাবাদী কিয়াম বিরোধীরা রাতারাতি সুর বদলিয়ে এখন তারা আবার অনুমতির জন্যে উভয় পক্ষ থেকে মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেবের কাছে যাওয়ার প্রস্তাব করেছে । এখন প্রশ্ন হল; তাহলে মাওলানা মিজানুর রহমান সাঈদ যাত্রাবাড়ী শায়েখের কাছ থেকে কি অনুমিত না নিয়েই প্রচার করেছিলেন যে, যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় ২৫ তারিখ বাহাস হবে ?? তাদের কোন কথাটিকে আমরা মিথ্যা বলবো ?? প্রথমটি নাকি দ্বিতীয়টি !!!

মুফতী মাঞ্জুর হোসাইন ও আব্দুস সবুর এর কথোপকথন এর ভিডিও লিংকঃ-
https://m.facebook.com/story.php…
ডি.জির সাহেবের সাথে কথোপকথন এর ভিডিও লিংকঃ-
https://m.facebook.com/story.php…

মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক ১৭ মে_৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার আয়োজনে সভাপতি মাসুম আহমদ সুমন এর সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি জুয়েল এর উপস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমদ রিপন। এছারাও আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে বক্তব্য রাখেন যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক সহেল মাহমুদ, কাইয়ূম মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক-মোঃমুস্তাহিদ খান, ত্রান বিষয়ক সম্পদক-রাজিব,সমাজ কল্যান সম্পাদক-নূর হোসেন,অর্থ সম্পাদক-জিসান, স্বাংস্কৃতিক সম্পাদক-জুয়েল।
এছারাও উক্ত আলোচনা সভায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিভিন্ন ওয়াডএর নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস কোরে বাংলাদেশের সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী

ডেস্ক নিউজ

হোয়াইট হাউসের প্রেস কোরে বাংলাদেশের সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী হোয়াইট হাউসের প্রেস কোরে জায়গা করে নিলেন জাস্টনিউজ সম্পাদক ও জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী। খন্ডকালীন সময়ের জন্য তিনি এই ক্রেডেনশিয়াল লাভ করেন। এসময়ে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর্মসূচিসহ নিয়মিত ব্রিফিংএ অংশ নিয়ে হোয়াইট হাউস কভার করবেন। গত ২০১৫ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন হোয়াইট হাউস করলে তার মিডিয়া টিমের সংযুক্ত ছিলেন মুশফিকুল। বাংলাদেশের গনতন্ত্র, মুক্ত গণমাধ্যম, মানবাধিকার, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পরিসরে জোরালো ভূমিকা রেখে চলেছেন বাংলাদেশী এই সাংবাদিক। সম্প্রতি এনটিভিতে প্রচার হওয়া কূটনীতিকদের অংশগ্রহনে ‘হ্যালো এক্সিলেন্সি’ অনুষ্ঠান ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। দ্য টাইমস ও সানডে টাইমস, দৈনিক ইত্তেফাক, ইউএনবিসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নানা সময়ে দায়িত্ব পালন করা এই সাংবাদিক ২০০১-৬ মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সহকারি প্রেসসচিব হিসাবেও নিয়োজিত ছিলেন।

ফতুল্লায় রণির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ 

 

স্টাফ রিপোর্টার
নিজ ধর্মের অনুসারীদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মামলার আসামী হয়ে হাজতবাসের পর অবশেষে নিজ ধর্মের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে কথিত সাংবাদিক রণি দাসের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে, মামলা নং ৪৬। শনিবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানা মামলা দায়ের করেন গৃহবধূর মা পাবর্তী রানি দাস। ঘটনাটি ঘটে শনিবার ভোর সোয়া ৫টায়। প্রদক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় স্থানীয়দের হাতে রণি দাস গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় রণি দাসকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসী ফতুল্লা মডেল থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
মামলার বাদি জানান, তার মেয়ে পঞ্চবটি আমতলা শিষ মহল এলাকায় স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছে। মেয়ে জামাত চিত্তরঞ্জন দাস একজন মাছ ব্যবসায়ী। সে প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার ভোর ৫টায় যাত্রাবাড়িতে মাছ কিনতে গেলে ভোর সোয়া ৫টায় রণি দাস আমার মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে তার কলের দেড় বছরের কন্যা সন্তানকে নামিয়ে দিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টা চালালে তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে রণিকে হাতে নাতে আটক করলে রণি দাস কৌশলে পালিয়ে যায়।
এদিকে, এ ঘটনার জানাযানি হলে এলাকাবাসী রণির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং ফতুল্লা মডেল থানার সামনে এসে অবস্থান নিয়ে রণির গ্রেফতারের দাবি জানান। থানা পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভকারী অবস্থান তুলে নিয়ে নিজ এলাকায় ফিরে যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগেও রণি দাসের বিরুদ্ধে শিষ মহল এলাকায় সংখ্যা লঘু পরিবারের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে রণি দাস গৃহবধূকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

ফতুল্লায় এক্সিস জিম এর উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার
ফতুল্লায় এক্সিস জিম এর উদ্বোধন হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ফতুল্লা বাজারে অবস্থিত লুৎফা টাওয়ারে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন,হাসিব ম্হোম্মদ হলি, রাকিব প্রিন্স, সুমন দাস, নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষক মিহির। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান অনু, সহ-সভাপতি রুহুল আমিন প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, সদস্য সেলিম মুন্সি, ফতুল্লা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি রনজিৎ মোদক, সাধারন সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন, ফতুল্লা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি মীর মোজাম্মেল আলী, যাদু চৌধুরী, সৈয়দ মিজানুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি এড মশিউর রহমান শাহিন, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক ও পরিচালক তাইহান তাবাস্সির সোয়াদ।