৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 189

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটিকে সাহিত্য ফোরামের সংবর্ধনা

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরাম ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটিকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরামের সভাপতি কবি জাহাঙ্গীর ডালিম এই সংবর্ধনার আয়োজন করেন। এসময় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ, নব-নির্বাচিত সভাপতি এম সামাদ মতিন, সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, সাবেক সাবেক সাধারন সম্পাদক রুহুল আমীন ও দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টুকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ, আর মিলন, প্রচার সম্পাদক জি এ রাজু, অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিয়াজ মো: মাসুম, কার্যকরী সদস্য আলামিন প্রধান, সদস্য আমিনুল ইসলাম মিশু উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানে নিউজ প্রতিদিন ডট কমের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন, সঙ্গীত শিল্পী মিতু মোরশেদ, সাংবাদিক হোসেন মনির, সাহিত্য পত্রিকা রুদ্রছায়ার সম্পাদক কবি আহমেদ রউফ, নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরামের উপদেষ্টা কবি শেখ হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কবি রুহুল আমীন, প্রচার সম্পাদক ইকবাল হাসান রোমেস, দপ্তর সম্পাদক সুমন সরকার, সদস্য রাসেল, আবুল খায়ের শিহাব, পারভেজ, সঙ্গীত শিল্পী রাজিব উপস্থিত ছিলেন। এসময় আদর্শ নগর আহসানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক মুন্সি, দাপা আদর্শ স্কুলের নব-নির্বাচিত সদস্য সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল খালেক টিপু, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাইয়ূম সরকার শাহিন, যুবলীগ নেতা মমতাজ উদ্দিন নিশাদ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু ও ফতুল্লা সানসাইন স্কুলের প্রিন্সিপাল ঝুমা আক্তারের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়। এছাড়া স্থানীয় শিল্পীদের অংশ গ্রহনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ফতুল্লায় চোরাই চাউলসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টারঃ ফতুল্লায় চোরাই চাউল,মিটার ও ত্রিপলসহ যুবলীগের নামধারী ক্যাডার শাহাদাতকে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার ভোরে ফতুল্লার ফতুল্লার দাপা সামাদ ডাক্তারের বাড়ির সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শাহাদাত ফতুল্লা ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শাহাদাত ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। শাহাদাতের নেতৃত্বে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ(পুরাতন সড়কে) রাতের আধারে চাল,ডাল বোঝাই ট্রাক থেকে মালামাল চুরির একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। গতকাল শুক্রবার ভোরে ট্রাক থেকে চাল চুরির সময় ফতুল্লা মডেল থানার এ এস আই আলমঙ্গীর অভিযান চালিয়ে শাহাদাত(২৫), আকাশ(১৮), রাকিব(৪০), রশিদ(৩৫)কে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে তিন বস্তা চাল, একটি ত্রিপল ও কিছু বিদ্যুতের নতুন মিটার উদ্ধার করে। শাহাদাত বাহিনী সড়ক পথে চুরি ছাড়াও বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ওয়াক ওয়েতে ছিনতাই ও দাপা এলাকার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রসঙ্গেত, শাহাদাত ফতুল্লা ইউনিয়ন ১,২,৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে রয়েছে। এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা যুবলীগের  সভাপতি মীর সোহেল জানান, অপরাধী আমার কর্মী হতে পারে না। এছাড়া আমি কোন অপরাধীকে তিনি আশ্রয় প্রশ্রয় দেই না।

খালেদার উপর হামলা নারায়ণগঞ্জে যুবদলের বিক্ষোভ

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ফেনীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় যুবদল ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে মহানগরীতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল। বুধবার বিকাল ০৩.০০ টায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে চাষাড়া চত্বর ঘুরে শহীদ মিনার হয়ে সরকারী তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সরকারী তোলারাম বিশ্ববিদ্যাল কলেজের সামনে সমাবেশ করে মহানগর যুবদল। মহানগর যুবদলের আহবায়ক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু,রানা মুজিব, জুয়েল রানা,ঁজুয়েল প্রধান,সাগর প্রধান ও বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন,বন্দর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
সভাপতির বকত্ব্যেবে কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, একজন জাতীয় নেত্রী ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা পথে দফায় দফায় হামলায় প্রমান করে এদেশে আইনের শাষন নাই।আইনের শাষন থাকলে প্রথম হামলার পরেই যথাযথ ব্যাবস্থা নিলে দ্বিতীয়বার হামলা হতো না।তিনি বলেন,প্রথম হামলায় সরকার কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় সন্ত্রাসীরা দ্বিতীয়বার হামলার সাহস পেয়েছে।অনির্বাচিত সরকারের কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া মানুষ কেউই নিরাপদ না।তবে মনে রাখা দরকার এই সরকারই শেষ সরকার নয়।প্রত্যোকটি অপকর্মের বিচার হবে এই বাংলাদেশের মাটিতে,ইনশাল্লাহ।অচিরেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গনতন্ত্র পুনুরুদ্ধার হবে,ইনশাল্লাহ।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রিপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, বন্দর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি সোহেল খান বাবু,সাংগঠনিক সম্পাদক আলী নুর তুষার,যুগ্ম সম্পাদক কাজী সোহাগ,আক্তার হোসোন জাহিদ,মাহবুবুর রহমান,পনির হোসেন,হুমাযুন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের ফয়সাল মাহমুদ,মন্জু মিয়া,বোরহান,মোঃইব্রাহিম,মোস্তাফিজুর রহমান বাহার,ইসমাইল হোসেন মিলন,মিজান,সুমন ভূইয়া,হারুন,জাকির, মহানগর যুবদল নেতা রিটন দে, আব্দুর রহমান, ইউনুস খান বিপ্লব,মাহাবুব হাসান জুলহাস, ইসলেউদ্দীন ইসা,সরকার লিমন মোঃশহীদ,মোঃমিঠু আহম্মেদ,রানা মুন্সী,মোঃশাহীন,শওকত খন্দকার, ওসমান গনি, আল আমিন খান, মুহিন আহম্মেদ রিপন, মহিদ্দিন শুভ,দেলোয়ার হোসেন দেলু, সরকার মুজিব,আল-মামুন,জানে আলম দুলাল,ছামছুল আলম,আকতার হোসেন অপু,রাসেল মনির,আফাজউদ্দিন আফতাব প্রমুখ।

ঝলক’ র বিশেষ সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক জীবন

ডেস্ক নিউজঃ ঝলক সমাজকল্যাণ সংসদ পথ চলায় ২৫ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। রজত জয়ন্তী উৎসব-২০১৭ পালন করে এ সংগঠনটি। ২৭ অক্টোবর (শুক্রবার) সংগঠনের সাথে জড়িত সদস্যদের মধ্য থেকে স্ব-স্ব কাজে যারা সমাজ ও রাষ্ট্রে অবদান রাখছে, তাদেরকে বিশেষভাবে সম্মান জানানো হয়। সংগঠনটির এবারের স্লোগান ছিল- “নাক উঁচু নয় মাথা উঁচু করে বাঁচি, আকাশে চোখ আর মাটিতে পা রাখি”।

আনলিমিটেড নিউজ২৪.কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক, দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ও ঝলক সমাজকল্যাণ সংসদ এর সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নূরে আলম জীবন সাহিত্যে বিশেষ ভূমিকা রাখায় সম্মাননা পেয়েছেন। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম রাজুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিখি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন, ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।

উৎসব সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ইসমত তাকির বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ, মিসেস কনা রেজা, লায়ন চিত্ত রন্জন দাস, লায়ন শরীফ আলী খান, আলমগীর চৌধুরী, এবিএম সিরাজ,আলহাজ গোলাম মোস্তফা, মিল্টন খন্দকার, আক্তারুজ্জামান মিথুন, তানিয়া হোসেন, মাসুদ পারভেজ আকন্দ, মাসুদ হাসান শামীম, জাহাঙ্গির হোসেন, মো: তুষার, মো: হিমেল, মো: পিয়াস, নগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ নেতা মহসিন আহমেদ, ইফতেখার আহমেদ পাপ্পু, সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন, শোভন আহমেদ সুজন, ছাত্রলীগ নেতা অনিকসহ আরো অনেকে।

পালন করে এ সংগঠনটি। সংগঠনের সাথে জড়িত সদস্যদের মধ্য থেকে স্ব-স্ব কাজে যারা সমাজ ও রাষ্ট্রে অবদান রাখছে, তাদেরকে বিশেষভাবে সম্মান জানান সংগঠনটি। সংগঠনটির এবারের স্লোগান ছিল- “নাক উঁচু নয় মাথা উঁচু করে বাঁচি, আকাশে চোখ আর মাটিতে পা রাখি”। আনলিমিটেড নিউজ২৪.কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক, দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ও ঝলক সমাজকল্যাণ সংসদ এর সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নূরে আলম জীবন সাহিত্যে বিশেষ ভূমিকা রাখায় সম্মাননা পেয়েছেন। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম রাজুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিখি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন, ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।

উৎসব সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ইসমত তাকির বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ, মিসেস কনা রেজা, লায়ন চিত্ত রন্জন দাস, লায়ন শরীফ আলী খান, আলমগীর চৌধুরী, এবিএম সিরাজ,আলহাজ গোলাম মোস্তফা, মিল্টন খন্দকার, আক্তারুজ্জামান মিথুন, তানিয়া হোসেন, মাসুদ পারভেজ আকন্দ, মাসুদ হাসান শামীম, জাহাঙ্গির হোসেন, মো: তুষার, মো: হিমেল, মো: পিয়াস, নগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ নেতা মহসিন আহমেদ, ইফতেখার আহমেদ পাপ্পু, সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন, শোভন আহমেদ সুজন, ছাত্রলীগ নেতা অনিকসহ আরো অনেকে।

খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলার প্রতিবাদে মহানগর যুবদলের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  ফেনীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় যুবদল ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে মহানগরীতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল।
শনিবার বিকাল ০৩.০০ টায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ স্কাঊট ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রেস কøাবের সামনে সমাবেশ করে মহানগর যুবদল। মহানগর যুবদলের আহবায়ক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক সানোয়ার হোসেন,যুগ্ম আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু,রানা মুজিব, জুয়েল রানা,ঁজুয়েল প্রধান,সাগর প্রধান ও বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
সভাপতির বকত্ব্যেবে কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীর গাড়ী বহরে হামলা করে প্রমান করেছে আওয়ামী লীগ জংগী সরকারে পরিনত হয়েছে।সন্ত্রাসী সোনার ছেলেরা পুলিশী প্রটেকশন পায়,আর আমরা অধিকারের কথা বললে পুলিশী হামলার শিকার হই।এক দেশে দুই নীতি চলতে পারে না।অচিরেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গনতন্ত্র পুনুরুদ্ধার হবে,ইনশাল্লাহ।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রিপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, বন্দর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি সোহেল খান বাবু,সাংগঠনিক সম্পাদক আলী নুর তুষার,যুগ্ম সম্পাদক কাজী সোহাগ,আক্তার হোসোন জাহিদ,মাহবুবুর রহমান,পনির হোসেন,হুমাযুন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের ফয়সাল মাহমুদ,মন্জু মিয়া,বোরহান,মোঃইব্রাহিম,মোস্তাফিজুর রহমান বাহার,ইসমাইল হোসেন মিলন,মিজান,সুমন ভূইয়া,হারুন,জাকির, মহানগর যুবদল নেতা রিটন দে, আব্দুর রহমান, ইউনুস খান বিপ্লব,মাহাবুব হাসান জুলহাস, ইসলেউদ্দীন ইসা,সরকার লিমন মোঃশহীদ,মোঃমিঠু আহম্মেদ,রানা মুন্সী,মোঃশাহীন,শওকত খন্দকার, ওসমান গনি, আল আমিন খান, মুহিন আহম্মেদ রিপন, মহিদ্দিন শুভ,দেলোয়ার হোসেন দেলু, সরকার মুজিব,আল-মামুন,জানে আলম দুলাল,ছামছুল আলম,আকতার হোসেন অপু,রাসেল মনির,আফাজউদ্দিন আফতাব প্রমুখ।

চলতি বছরেই নবীগঞ্জে সেতু নির্মাণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন সেতুমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করতে নবীগঞ্জ খেয়াঘাট দিয়ে আরো একটি সেতু নির্মাণের ব্যাপারে চলতি বছরেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে আশ্বস্ত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অপরদিকে সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট ও নবীগঞ্জ খেয়াঘাট দিয়ে ফেরী সার্ভিসের মাধ্যমে যানবাহন ও সাধারণ যাত্রীদের নিরাপদে পারাপারের ব্যবস্থা করা হবে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহাজাহান খাঁন।
রোববার ২৯ অক্টোবর সকালে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের যোগাযোগ মন্ত্রনালয় ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের স্ব স্ব কার্যালয় কক্ষে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষের চাহিদা ও দাবী নিয়ে মন্ত্রীদের সাথে আলোচনায় নারায়ণঘঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও শাহজাহান খাঁন এ আশ্বাস দেন।
মন্ত্রীদের সাথে আলোচনায় এমপি সেলিম ওসমান তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন বন্দর থানা এলাকা থেকে প্রতিদিন শহরে আসা লাখো মানুষের নদী পারাপারে দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। সেই সাথে সাধারণ মানুষের চাহিদার কথা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে নবীগঞ্জ খেয়াঘাট দিয়ে আরো একটি পূর্ণাঙ্গ সেতু নির্মাণের ব্যাপারে ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তার দেওয়া ডিও লেটারের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে জোর দাবী রাখেন।
পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চলতি বছরেই নবীগঞ্জ খেয়াঘাট দিয়ে সেতু নির্মাণের ব্যাপারে তাদের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে এমপি সেলিম ওসমানকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও আগামী মাসের যে কোন দিন তিনি সরেজমিনে নবীগঞ্জ খেয়াঘাট ও বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট পরিদর্শনে আসার কথা উল্লেখ করেন। একই দিন এমপি সেলিম ওসমানের আমন্ত্রনে বন্দর এলাকায় তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নির্মিত স্কুল গুলোর মধ্য থেকে মুছাপুর ইউনিয়নে শামসুজ্জোহা এমবি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, মদনপুর ইউনিয়নে নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয় ও ধামগড় ইউনিয়নে শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার ব্যাপারে মত দেন।
অপরিদকে সেলিম ওসমান নবীগঞ্জ খেয়াঘাট দিয়ে সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ যাত্রীদের নিরাপদে নদী পারাপার নিশ্চিত করতে বন্দর সেন্ট্রাল ও নবীগঞ্জ খেয়াঘাট দুটি দিয়ে অচীরেই ফেরী সার্ভিস চালু করার জন্য নৌ-পরিবহন শাহজাহান খাঁনের কাছে জোর দাবী রাখেন। পরিপ্রেক্ষিতে নৌ-মন্ত্রী নবীগঞ্জ ও বন্দর খেয়াঘাট দিয়ে যত দ্রæত সম্ভব ফেরী সার্ভিস চালু করার ব্যাপারে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রতিশ্রæতি প্রদান করেন।
এ সময় সেলিম ওসমানের সাথে ছিলেন বিকেএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি মনসুর আহম্মেদ, দ্বিতীয় সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহ্সান।
শীতলক্ষ্যা নদীতে নবীগঞ্জ দিয়ে আরো একটি সেতুর ব্যাপারে সেলিম ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে আমি সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাথে আলোচনা করে একমত হয়েছি যে জনগনের সুবিধার্থে এ ব্রিজটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ শহরের ভেতরের অপরিকল্পিতভাবে শিল্প কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার কারনে নগরীতে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সেই সকল শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে আলোচনা করবো। আমাদের বন্দরে মদনগঞ্জে শান্তিরচরে অর্থনৈতিক অঞ্চল (প্রস্তাবিত নীটপল্লী) নির্মাণের কাজ দ্রæত এগিয়ে চলেছে। সৈয়দপুর-মদনগঞ্জ দিয়ে শীতলক্ষ্যা সেতু-৩ সম্পন্ন হলে ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, বন্দর ও সোনারগাঁও থানা এলাকা জুড়ে বিশাল শিল্পজোন তৈরি হবে যা কিনা সরাসরি চট্রগ্রামের সাথে সম্পৃক্ত হবে। শীতলক্ষ্যা সেতু-৩ একদিকে যেমন ঢাকার উপর চাপ কমাবে তেমনি নারায়ণগঞ্জের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে বলে আমি মনে করি। নীটপল্লীর কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বন্দর ও সোনারগাঁও এলাকায় অনেক অনাবাদী জমি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে সেই গুলোতে পরিকল্পিতভাবে শিল্পায়ন করা হবে এবং সেটা ব্যক্তি উদ্যোগেও সম্ভব বলে আমি মনে করি। আর এসব কিছু বাস্তবায়নে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ সহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দদের সহযোগীতা। সকলের আন্তরিক সহযোগীতা আগামী ১ বছরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জকে একটি পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। এর মধ্য দিয়েই প্রাচ্যেরডান্ডি নারায়ণগঞ্জ নগরী পুনরুজ্জীবিত হবে।

ফতুল্লার অলিগলিতে ছড়িয়ে পরেছে মাদক 

স্টাফ রিপোর্টারঃ ফতুল্লার দাপা এলাকায় এখনো চলছে জমজমাট মাদক ব্যবসা প্রশাসনের সাড়াঁশি অভিযান কিছু মাদক ব্যবসায়ী কারাগারে, আবার কেউ মাদক ব্যবসা ছেড়ে কর্মজীবনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেলেও এ ব্যবসা থেমে নেই। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অভিনব কায়দায় চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যবসা। এছাড়া বেশ কিছু মাদক ব্যবসমা পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে থাকলেও মাদক ব্যবসায় নতুন করে বেশ কিছু যুবক যুক্ত হয়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। তবে বর্তমানে প্রশাসনের নানামুখী তৎপরতায় সাধারন মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করলে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এখনো ভিন্ন কৌশলে নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানাগেছে। তবে জেলা পুলিশ প্রধান মঈনুল হকের দাবি, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পাইলট স্কুলের পশ্চিম পাশে লিটন চৌধুরী ওরুফে সাইকেল ও তার ছেলে রিফাতের মাদক ব্যবসা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। রিফাত নিজেকে থানা পুলিশের সোর্স দাবী করে মাদক ব্যবসা করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পাইলট স্কুলের পূর্ব পাশে চন্দ্র বাড়ীতে এখন চলছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এর সোর্স পরিচয় দিয়ে ফজলার ছেলে পান্নার মাদক ব্যবসা। এছাড়া খোঁজপাড়া এলাকায় করিম ড্রাইভারের পোলা নয়ন ও স্বপন আজগরের হাসান, রওশন আলী, কমুর ছেলে আহসান উল্ল্যাহ্, লাদেন হারুন, হযরতের ভাতিজি জামাই জসিম ওরফে বরিশাইল্ল্যা জসিম, এছাক হাজীর ছেলে সবুজ বরিশাইল্ল্যা কালামের পোলা সোহেল। রেল ষ্টেশন, বটতলা এলাকায় মাদক ব্যবসা চলছে শুভ ওরফে ইয়াবা শুভ, হানিফ, সোলেমান ওরফে মাইচ্ছ্যা সোলেমানের মাধ্যমে, রেল ষ্টেশনের কলাবাগান, ব্যাংক কলোনী, জোড়পুল এলাকায় হেরোইন, গাজাঁ, চরস ও ইয়াবার ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে মাদক সম্রাঞ্জী পারভীন, তার দেবর শাহীন ওরফে ডাকাত শাহীন গ্রæপের মাধ্যমে। রিফুজিপাড়া এলাকায় মুন্না ওরফে বুইট্যা মুন্না, শুভ ওরফে ইয়াবা শুভ, মাসুদ ওরফে গাল কাটা মাসুদ, খাঁ বাড়ীর রাসেল, রিফাত, হানিফ,আহসান, রায়হান ওরফে ভাগিনা রায়হান, রিয়াদ, ফারুক, দেলু ওরফে ভাগিনা দেলু ও রওশন আলীর মতো মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনে চলছে এখন দাপা এলাকার মাদকের ব্যবসা।

অপদিকে, পিলকুনী,ব্যাংক কলোনী এলাকায় হিটলারের ভাই জনি, বাবু, ডাকাত তুজুর নেতৃত্বে বিশাল একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ব্ল্যাক মেইলিং, মাদক ব্যবসা, দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ডাকাত তুজু, জাহাঙ্গীর, খোকনের বিরুদ্ধে গত কিছুদিন আগে সমির চক্রবর্তী নামে এক ব্যবসায়ী ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও এখনো এই বাহিনী বহাল তবিয়তে রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মঈনূল হক বলেন, মাদক নির্মূলে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে, অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে, মাদক ব্যবসায়ীরা যতোই প্রভাবশালী হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন জানান, মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আগের তুলনায় ফতুল্লায় মাদকের তৎপরতা কমে গেছে। তবে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আমাদের কোন আপোষ নেই।

মুসলিমনগরে ক্যাবল ব্যাবসায়ীর উপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মুসলিম নগরে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন এক ক্যাবল লাইন ব্যবসায়ী। আহত ব্যবসায়ীর নাম আওলাদ হোসেন। তিনি এনায়েতনগর ইউনিয়নের মুসলিমনগর এলাকার মৃত: কালু মাদবরের ছেলে। ঘটনাটি গত ১৮ অক্টোর মুসলিমনগর এলাকার দেলু মিয়ার বাড়ির সামনে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় আওলাদ হোসেন নিজে বাদী হয়ে সন্ত্রাসীীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানাযায়, প্রায় ২০ বছর ধরে মুসলিমনগর এলাকায় ক্যাবল লাইনের ব্যবসা করে আসছেন আওলাদ হোসেন। এ.এস.সি ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক নামে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারী সনদ (লাইসেন্স) ও ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন আওলাদ হোসেন। গত দুই বছর পূর্বে বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিয়ে ক্যাবল টিভির পাশাপাশি এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগের ব্যাবসাও শুরু করেন আওলাদ হোসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ- ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে তিনি কয়েক লাখ টাকা খরচ করে ইন্টারনেট সংযোগের লাইসেন্স সংগ্রহ করেন। এরপর মোটা অংকের পুঁজি খাটিয়ে ইন্টারনেট লাইন সম্প্রসারন শুরু করেন। কিন্তু কয়েক বছর পূর্ব থেকে একই এলাকার আজিম উদ্দিন মাদবরের সন্ত্রাসী পুত্রদ্বয় সোহেল, সেলিম, শাসনগাঁও এলাকার আলমাস মিয়ার ছেলে আহম্মদ, ফজলুল হকের ছেলে সোহেল ও ফজলু মিয়ার ছেলে আনিস দেওয়ান ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওলাদ হোসেনের ডিসের ও ইন্টারনেটের ক্যাবল রাতের আঁধারে কাটতে শুরু করে। গ্রাহক সেবায় বিঘœ ঘটাতেই এ অপতৎপড়তা শুরু করে সন্ত্রাসীরা। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার থানায় অভিযোগও করা হয়েছিল। ফতুল্লা মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকতার হোসেন তাদের থানায় ডেকে এনে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছিলেন।
আহত আওলাদ হোসেন তার অভিযোগে বলেন, ‘সম্প্রতি এ সন্ত্রাসীরা আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তারা এক সন্ধ্যায় মুসলিমনগর এলাকার দেলু মিয়ার বাড়ির সামনে এসে আমার ডিস লাইনের প্রায় ৭০০ মিটার ক্যাবল ও চারটি মেশিন খুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমার অফিসের ম্যানেজার মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বাঁধা প্রদান করলে সন্ত্রাসীরা তাকে বেধরক পিটিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করে। এ ঘটনা শুনে আমি নিজে মামুনকে উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাকেও লাঠি ও হকি ষ্টিক দিয়ে পেটাতে থাকে। তাদের হামলা থেকে আমি নিজেও রক্ষা পাইনি। এলাকার লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেছিল সেদিন।’
বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীরা যে কোনো সময় আবারো তার ক্যাবল লাইনের অফিসে হামলা ও তার চুরি করে নিয়ে যেতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেন আওলাদ হোসেন। তবে তিনি কোন ঝামেলা নয়, বরং বিধি মোতাবেক শান্তিপূর্ণভাবে ব্যাবসা করতে চান। সরকারী লাইসেন্স, ইনকাম ট্যাক্স, বিটিআরসির লাইসেন্সসহ যাবতীয় কাগজ-পত্র যার সঠিক থাকবে, প্রশাসন এবং স্থাণীয় সংসদ সদস্য যেনো তাকেই ব্যাবসা করার অনুমতি দেন- সে প্রার্থনা করেছেন আওলাদ হোসেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থাণীয় মুসলিমনগর কে.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ‘আওলাদ হোসেন নব্বই দশক থেকে ক্যাবল লাইনের ব্যাবসা করে আসছেন। ব্যাবসা পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি কখনো প্রভাবও দেখাননি। তারা নিজেরাই পারিবারিকভাবে অনেক সমৃদ্ধশালী। ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ট হওয়া সত্বেও সেই পরিবারের দাম্ভিকতা কখনোই প্রকাশ করেননি। কারন, তার কারনে ওসমান পরিবারের কোন বদনাম কেউ করবে সেটা কখনোই চান না তিনি।

 

ফতুল্লায় মঞ্জুরী বেগম আত্মহত্যা করেনি

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় মঞ্জুরী বেগম আত্মহত্যা নয় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী মাসুদ খান ও তার পরিবার। এ ঘটনায় মঞ্জুরী বেগমের ভাই ফরিদ শেখ গত ২২ অক্টোবর অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। এই অপমৃত্যু মামলাটি আবার ফতুল্লা মডেল থানায় ২৪ অক্টোবর হত্যা মামলায় রূপার্ন্তিত হয়েছে।

এ মামলার সূত্রে জানানযায়, ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মঞ্জুরী বেগম (২৩)। এ ব্যাপারে মঞ্জুরী বেগমের বড়ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। পরে পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে গত ২২ অক্টোবর । কর্তব্যরত চিকিৎসক এই লাশটির ময়না তদন্ত রির্পোটে আসে তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে।

এলাকা সূত্রে জানাযায়, রাজবাড়ী জেলার কল্যাণপুর এলাকার মো.মাসুম খান(৩০)। সে গত ৮ বৎসর আগে ফরিদপুর জেলার ভদ্রসন ভাঙ্গিরচর গ্রামের শেখ মান্নানের মেয়ে মঞ্জুরী বেগম কে বিবাহ করেছে। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী স্ত্রী মিলে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ভাড়া থাকে। দুই জনের মধ্যে সাংসারিক বিষয়দি নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতে বলে জানায় প্রতিবেশি ভাড়াটিয়ারা। গত ২১ অক্টোবর রাতে মঞ্জুরী বেগমকে তার স্বামী মাসুদখান ও তার পরিবার শ্বাসরোধ হত্যা করে গোসলখানার আড়ার সাথে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রাখে। এরপর তার স্বামী ও আসে পাশের লোকজনদের ডেকে লাশটি উদ্ধার করে তাদের রুমের খাটে রাখে। অতঃপর মঞ্জুরী বেগমের বড় ভাই ফরিদকে জানালে ফরিদ এসে পুলিশ খবর দেয় পরে থানায় এসে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। এই অপমৃত‚্য মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপার্ন্তিত হয়েছে। এই মামলায় পাষন্ড স্বামী মাসুদ খান ও তার শ্বশুর অহিদুল ইসলাম খানকে আসামী করে মামলা করা হয়। প্রধান আসামী মাসুদ খান বর্তমানে জেল হাতে আছে। তাকে গত ২২অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়।

ফতুল্লার আজাদ ডাইংয়ের বিষাক্ত পানিতে পৌষারপুকুরপাড় সয়লাব

 

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লা বাজার আজাদ ডাইংয়ের বিষাক্ত পানিতে লালপুর ,পৌষার পুকুরপাড় এলাকায় বৃষ্টির পানির সাথে মিশে জনজীবনের ক্ষতি সাধন হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।

এলাকা সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লা মডেল থানা থেকে মাত্র ৫০গজ দূরে আজাদ ডাইং এন্ড এ্যামবোটারী নামক প্রতিষ্ঠান । আর এই প্রতিষ্ঠানের বিষাক্ত রঙ্গিন পানি লালপুর ,পৌষারপুকুর পাড় আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিষাক্ত পানিতে রাস্তায় চলাচল করে স্কুল মাদ্রাসার ও পথিকের পায়ে নানা রকম চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে। আজাদ ডাইংয়ের পানি আর বৃষ্টির জমে থাকা পচাঁ পানি মিলে একাকারন হয়ে গেছে ফলে নানা রোগ জিবানুতে আক্রান্ত হচ্ছে পায়ে হেটে চলা সাধারন মানুষের ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফতুল্লার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আজাদ মিয়ার মিলের পানিতেই এই বিষাক্ত ক্যামিকেলের রঙ্গিন পানি লালপুর ও পৌষারপুকুর পাড় এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। ফতুল্লার কেহ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন না। লালপুরের সড়ক গুলো এখন এই বিষাক্ত পানিতে রঙ্গিন হয়ে আছে। আর এই পানির ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারন মানুষের। ফলে অনেকেরই পায়ে চরম রোগে আক্রন্ত হয়ে পড়েছে। এই বিষাক্ত পানিতে হাটলে পায়ের পাতাসহ জ্বালাতন করে বলে পথিকরা জানান।

এ্যাড.কাজী রাসেল জানান, এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার আমরা প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছে বলেছি কিন্তু তিনি আজও প্রতিকার করেনি। এখন আমাদের বাড়ির ঘরেও এই বিষাক্ত পানি ঢুকে গেছে। এই রাস্তায় স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচল করে। এই গরম ও রঙ্গিন পানিতে পা দিলেই পা চুলকায় ।

এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আজাদ ডাইংয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বৃষ্টির পানিতে ডাংইয়ের ড্রেনের পানি মিলে যাওযায়, এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে জলাবদ্ধতার পানি কমে গেলে আমাদের ড্রেনের পানি আর মহল্লায় ঢুকবে না।