৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 237

নাসিক নির্বাচনে চমক আসছে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে মেয়র আইভী সংশয়, শামীম ওসমানের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মেয়র ও আনোয়ার হোসেনের মেয়র হওয়ার স্বপ্নে বিভোর নিয়ে নারায়ণগঞ্জ রাজনীতিতে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। তবে এ নিয়ে বিএনপি এখনো প্রকাশ্যে তেমন কথা না বললেও নিরবে প্রার্থীতা চূড়ান্ত করাসহ নির্বাচনে কী ভাবে জয় ছিনিয়ে আনতে তার কৌশল আঁটছে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কাকে সমর্থন দিবে এবং ভোটারদেও কাছে কার বেশী গ্রহনযোিগ্যতা রয়েছে তার খোঁজ নিতে শুরু করেছে। এ জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পরেছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা নারায়ণগঞ্জের ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে। তবে নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন খোদ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বিগত দিনেও তিনি নিজেই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছিলেন। এদিকে নারায়নগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভা থেকে নারায়নগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে আসন্ন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছে। এর পর থেকে নড়েচড়ে বসে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও নগরবাসী। তৎপর হয়ে ওঠে বর্তমান মেয়র আইভীও তার ঘনিষ্ঠজনেরা। তবে জামাত এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেনি। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে এবার বড় ধরনের চামক থাকতে পারে। এছাড়া এবারের নির্বাচনে নানা নাটকীয়তা অপেক্ষা করছে বলে মনে করছেন তারা। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে আলোচনামুখোর হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর। এবারের নির্বাচনে সাংসদ শামীম ওসমান অংশ নিবেন না। কিন্তু, তিনি এবার নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করাবেন। ইতোমধ্যে শামীম ওসমানের পছন্দের প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন দিয়েছে। শামীম ওসমানের পাশাপাশি মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন দিয়েছে। এছাড়া আসন্ন নির্বাচনে আনোয়ার হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মেয়র করারও একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন সাংসদ শামীম ওসমান। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে হৈচৈ পরে যায়। এদিকে, সাংসদ শামীম ওসমান ও কর্মীদের সমর্থন পেয়ে নারায়নগঞ্জ আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা আনোয়ার হোসেন মেয়র হওয়ার স্বপ্নে বিভোর রয়েছে। তার দাবি, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও নাসিকবাসী চাইলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়ে মেয়র হবে। বিএনপির একাধিক নেতা তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানান। তবে মেয়র আইভী এ নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করেনি। তবে তিনি কিছিদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে গিয়ে আসন্ন নাসিক নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবে তারও নির্বাচনী তৎপরতা থেমে নেই। তার ঘনিষ্ঠজনদের সাথে নিয়েও তিনি নির্বাচনী মাঠে নেমে পরেছেন। তবে অনেকটা নিরবতা পালন করছেন মেয়র আইভী ঘোর সমর্থক হিসেবে পরিচিত বাম নেতারা। অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অনেকটা কাছিম গতিতে চলতে শুরু করেছে। বিত দিনের ন্যায় এখন আর বিএনপি নেতাদের সরব হতে দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচনী মাঠে নেই বিএনপি। তবে প্রকাশ্যে তাদেও তৎপরতা না থাকলেও নিরবে তৎপর রয়েছে বিএনপি। এছাড়া নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে বিএনপির একাধিক নেতা লবিং-গ্রæপিং চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে। তবে বিএনপির হাই কমান্ডের দৃষ্টি সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালামের দিকে। এনিয়ে বিএনপিতে আলোচনা হচ্ছে। বিএনপির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে, শেষ পর্যন্ত এড. কালামকেই বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হবে। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বড় ধরনের চমক অপেক্ষা করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে।

২৪ ঘন্টার মধ্যে মাদক গুড়িয়ে দেওয়ার মত ক্ষমতা রাখি- শামীম ওসমান

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী দিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, ‘আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে মাদক গুড়িয়ে দেওয়ার মত ক্ষমতা রাখে শামীম ওসমান। আমি বারবার তাদের হুসিয়ারী করছি। তবে মাদক ব্যবসায়ীরা যদি তাদের ব্যবসা বন্ধ না করে, তাহলে আসন্ন samim-osman-1কোরবানী ঈদের (ঈদ উল আজহা) এর আগেই মাদক ব্যবসায়ীদের কোরবানী দেওয়া হবে।’

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে শহরের চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাবে অনুষ্ঠিত ফতুল্লা থানা এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সাংসদ শামীম ওসমান মাদকের বিরুদ্ধে এই হুশিয়ারী প্রদান করেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার চৌধূরী, নির্বাহী ম্যাজিস্টেট নাহিদা বারিক, মাসুম আলী বেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান, ফতুল্লা মডেল থানার সার্কেল এএসপি শরফুদ্দিন, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) মামুনুর রশিদ মন্ডল, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরাফত আলী ও ফতুল্লা থানা এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন উপস্থিত ছিলেন।

শামীম ওসমান আরো বলেন, মাদকের কারণে আমাদের সমাজটা নষ্ট হয়ে গেছে। সমাজে পঁচন ধরে গেছে। উন্নয়নের আগে সমাজকে ঠিক করতে হবে।

সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে মাদক ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের তালিকা চেয়ে শামীম ওসমান বলেন, শুধু আমাকে তালিকা দেন আমি ওর বাড়ির ইট খুলে ধরে আনবো।

তিনি বলেন, আমার ভীমরুলের চাক আছে, ছেড়ে দিলে নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীদের খালি করে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে।

পুলিশকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, ‘জাস্ট গো ফর দ্যা অ্যাকশন’

তবে নিরীহ কোন ব্যক্তিকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেও অনুরোধ করেন তিনি।

না:গঞ্জে অনুভুত হলো ৫ দশমিক ৩ মাত্রার মৃদু ভূমিকম্প

n-ganj

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৮টা ১১ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

উৎসস্থলে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৫ দশমিক ৩। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলো মায়ানমারের মাওলাইক থেকে ৪০ কি. মি উত্তর পূর্বে, ভূপৃষ্ট থেকে ১০৬ দশমিক ৩ কি. মি. গভীরে।

রাজধানী ঢাকা থেকে এর উৎসস্থলের দুরত্ব ছিলো প্রায় ৮শ’ কি. মি.। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানায়।

এদিকে মৃদু ভূমিকম্প হলেও অনেকটা চাঁপা আতঙ্ক বিরাজ করছে নারায়ণগঞ্জবাসীর মাঝে।

নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে

বিএনপি-২
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একাধিক নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়াতে ওইসব নেতাদের কর্মী সমর্থকরা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি দলের নিস্ক্রীয় নেতারাও দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নিতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে যে সমস্ত নেতারা স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে এখন তারা জেলা,মহানগর ও থানা পর্যায়ের কমিটিতে স্থান পেতে তৎপর হয়েছে। বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে, নাসিক নির্বাচনে আে বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের কমিটিগুলোকে নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ কারনে পদ প্রত্যাশিরা নতুন করে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পদের আশায় যারা রাজনীতি করে তারা দলের দুর্দিনে মাঠে থাকে না। অথচ পদ পদবীর প্রতিযোগীতায় এসব নেতারাই সবার আগে থাকে। বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের যে সময় নেতাকর্মী বিগত দিনে আন্দোলনে সংগ্রামে মাঠে ছিল তাদের যথাযথ মূল্যায়নে ভুল করলে আগামীতে বিএনপিকে কঠির সময়ের মুখোমুখি হতে হবে। বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১জন নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তাদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। আর যে সমস্ত নেতা জেলা বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের পদ পত্যাশি সে সমস্ত নেতারাও তাদের কর্মী সমর্থকদেও নিয়ে তৎপর হতে শুরু করেছে। সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর নারায়ণঞ্জ বিএনপিকেও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিএনপির হাই কমান্ড। কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর বিএনপির পর নারায়ণগঞ্জ জেলাকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। রাজধানীর পাশের জেলা হিসেবে বরাবরই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা নারায়ণগঞ্জকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। এছাড়া খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নারায়ণগঞ্জ জেলাকে আলঅদা দৃষ্টিতে দেখেন। কারণ হিসেবে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ দিয়ে দেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের পায় ৩৬টি জেলার যাতায়াতের পথ গেছে। যে কারনে এ জেলা গুরুত্ব দেয়া হয় বেশী। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির জেলা ও মহানগর কমিটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে বিএনপির হাই কমান্ড। দীর্ঘদিন ধওে বিএনপির অংশিক কমিটি থাকায় নারায়নগঞ্জ বিএনপি সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল হয়ে পরেছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ প্রায় পাঁচ বছর ধরে সিটি করপোরেশন হলেও শহর বিএনপি ভেঙ্গে মহানগর বিএনপিতে রূপ নিতে পারেনি। এবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটি গঠনে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। নারায়ণগঞ্জ সদর-সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর নিয়ে মহানগর কমিটি গঠিত হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন হওয়ায় মহানগর কমিটির গুরুত্ব বেড়েছে। যে কারনে এ কমিটি গঠনের আগ্রহী হয়ে উঠেছে বিএনপির হাই কমান্ড। এছাড়া চলতি বছরের ডিসেম্বওে নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আর এ বারের নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বিএনপি মাঠে থাকার চিন্তা করছে। তার আগে নারায়নগঞ্জ মহানগর কমিটি ঘোষণা দিতে চাচ্ছে বিএনপির হাই কমান্ড। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নারায়নগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের তাগিদ রয়েছে। আর এ বিষয়গুলোকে আচ করতে পেরেই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা তাদেও প্রত্যাশিত পদ পেতে লবিং গ্রæপি শুরু করেছে। তবে বিগত দিনে যারা দলের হয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে নানা ভাবে নির্যাতিত নীপিরিত হয়েছে তাদেও যথাযথ মূল্যায়ন করা না হলে বিএনপির রাজনীতি কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

অনলাইনে শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করলে যাবজ্জীবন

আবুল কালাম আজাদ: বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে অনলাইনে অবমাননা করলে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে যাবজ্জীবনের বিধান রেখে নতুন একটি খসড়া আইনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।

সমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ খসড়া আইনের অনুমোদন দেয়া হয়।

নতুন এ খসড়া আইনটির নাম হচ্ছে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৬’।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, এ খসড়া আইনটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এরপর সেখান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর সেটি আবারও মন্ত্রীসভায় ফিরে আসবে।

মন্ত্রীসভায় এই আইনের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর সেটিকে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সংসদীয় কমিটির যাচাই বাছাইয়ের পর সেটি সংসদে তোলা হবে।

সুতরাং এই আইনে আরও সংযোজন ও বিয়োজনের সুযোগ থেকে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এই আইনের ১৫ নং ধারায় ৫ এর উপ-ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে জাতির পিতার বিরুদ্ধে যেকোন প্রকার প্রপাগান্ডা, প্রচারণা বা তাহাতে মদদ প্রদান করে; তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, সত্ত্বা বা বিদেশী নাগরিক ডিজিটাল সন্ত্রাসী কার্যসংঘটনের অপরাধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হবে।

এই একই ধারায় আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আদালত কর্তৃক মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিষয়াবলীর বিরুদ্ধে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কোন প্রপাগান্ডা বা প্রচারণা করে তাহলে সেটিও অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।

এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন তিন বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

এ ধরনের অপরাধকে ‘ডিজিটাল বা সাইবার সন্ত্রাসী কাজ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

এই আইনটির উদ্যোক্তা বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তারা বলছেন বাংলাদেশে অনলাইনে অপরাধ তৎপরতা বেড়ে যাবার কারণে এ ধরনের আইনের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশে এরই মধ্যে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’ নামে আলাদা আরেকটি আইন রয়েছে। এই আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে তীব্র বিতর্ক রয়েছে। এই ৫৭ ধারাকে অনেকে ‘নিপীড়নমূলক আইন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এই বিতর্কের প্রেক্ষাপটে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া মন্ত্রীসভায় অনুমোদন করা হলো।সূত্র : বিবিসি

উন্নয়নের নামে দেশে সীমাহীন লুটপাট : নজরুল

উন্নয়নের নামে দেশে সীমাহীন লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

নজরুলসোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত ‘দলটির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্য’শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে যে খরচ দেখানো হচ্ছে তা উন্নত দেশের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন মিলে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন শব্দকেই এখন ভয় পায় জনগণ। জনগণের অধিকার আদায়ে বিএনপি আন্দোলন করে যাবে উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের এমন কোন থানা,জেলখানা নেই যেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাঘরে রাথা হয়নি।এমনকি আন্দোলনে পঙ্গুত্ব হয়ে এমন কোন হাসপাতাল নেই যেখানে দলের নেতাকর্মীরা চিকিৎসা নেননি।‘সম্ভবত’অপমৃত্যুর স্বীকার হয়ে বাংলাদেশের সব গোরস্থানেই বিএনপির নেতাকর্মীদের কবর আছে।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, অবৈধ’নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ রুপে ধ্বংস করে ফেলেছে। জনগণ এখন আর নির্বাচনের কথা শুনতেই চায় না। কারন এখন নির্বাচন মানেই হল আগের রাতেই ভোটের বাক্স ভর্তি করা,জনগণ যাকে ভোট দিবে অন্য জনকে বিজয়ী ঘোষনা করা।

শাষকগোষ্ঠী স্বাধীনতার সুবর্ণ ফসল গণতন্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন,‘সকল মানুষের জীবনমান এখন অনিশ্চিত। কেউ নিশ্চিত নন কখন কি হবে?

তিনি আরো বলেন,‘মাদকাসক্ত অর্থনীতিকে মানুষ বানাতে বিএনপির ৩ বছর সময় লেগে ছিল।আ্ওয়ামী শাসন আমলে আ্ওয়ামী লীগ সরকার দূর্ণীতিতে দেশকে চ্যাম্পিয়ান বানিয়েছিল।

নজরুল ইসলাম বলেন,‘স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে উঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। তাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে এই অবৈধ সরকারের কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করা দলটির দায়িত্ব রয়েছে।

এ সময় তিনি বিএনপির সিনিয়র-যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী সহ-গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেন।

আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির হোসেনের সভঅপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন-সংগঠনের সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার,মোস্তাফিজুর রহমান,সাইফুল ইসলাম,এনডিপির যুগ্ম-মহাসচিব শামসুল আলম প্রমুখ।

জিয়াউর রহমানের মাজারে নতুন কমিটি নিয়ে খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

সোমবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসন নবগঠিত স্থায়ী কমিটি, উপদেষ্টা কাউন্সিল ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ নিয়ে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন এবং মরহুম নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। নতুন এই কমিটি দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শ্রদ্ধা নিবেদনের এই অনুষ্ঠানে ব্যাপক শো ডাউন দিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। দুপুরের পর থেকে মহানগরের বিভিন্ন থানা থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী শ্লোগান নিয়ে জিয়ার মাজারে ভিড় করেন। বিকাল ৪টার আগেই মাজার প্রাঙ্গন কানায় কানায় ভড়ে যায়। সোয়া ৫টার দিকে খালেদা জিয়া এসে পৌঁছলে নেতা-কর্মীরা শ্লোগানে ফেটে পড়েন। কর্মীদের ভিড় ডিঙিয়ে চেয়ারপারসনকে মাজারে নিয়ে যেতে নিরাপত্তা কর্মীদের বেগ পেতে হয়। মাজার প্রাঙ্গনের দেয়ালে বিশাল আকারের জাতীয় পতাকা ও বিএনপির পতাকা টানানো হয়।

শ্রদ্ধা অর্পণ শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, নতুন কমিটি শপথ নিয়েছে যে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ২১ আগস্টের ঘটনাবলীর সঙ্গে বিএনপি জড়িত বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যারা একসময়ে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করেছে, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছে, তারা আজকে সম্পূর্ণভাবে একনায়কতন্ত্র এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে চলেছে। তারা এখানে কোনো হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার করেনি। এ কারণে আজ হত্যাকান্ড বেড়ে গেছে। ক্রসফায়ার ও গান ব্যাটেলের কথা বলে কোনো বিচার ছাড়াই মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। ঠিক একইভাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আমাদের দলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে জড়িত করা হয়েছে।

মির্জা আলমগীর বলেন, ২১ আগস্টের হত্যাকান্ডের মামলায় তিনটি চার্জশীটের তারেক রহমানকে তার নাম দেয়া হয়নি। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানের নাম যুক্ত করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। আমরা চাই, এই মামলায় সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হউক।

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে দলের অবস্থান জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিদ্যুৎ আমাদের দরকার। তবে সেটা অবশ্যই আমার সুন্দরবনে বাদ দিয়ে করতে হবে, সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে।

পুষ্পার্ঘ অর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, আসম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, রুহুল আলম চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, জেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লুৎফুর রহমান খান আজাদ, আমানউল্লাহ আমান, আ ন হ আখতার হোসেইন, জয়নুল আবদিন ফারুক, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, অধ্যাপিকা তাজমেরী ইসলাম, কাজী আসাদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, নাজমুল হক নান্নু, আফরোজা খান রীতা, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম, শরিফুল আলম, শামা ওবায়েদ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, আমিনুল হক, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড. মোর্শেদ হাসান খান, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।

প্রশ্ন করলেই আপনারা ক্ষেপে যান-গোলাম মোর্তোজা

প্রশ্ন করলেই তো আপনারা রেগে যান, ক্ষেপে যান। প্রশ্ন করি একটা ব্যাখ্যা করেন আরেকটা।

দেড় বছর পর অভিজিত হত্যাকান্ডের সন্দেহভাজনদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করলেন।

আপনারা মনে করছেন ‘দেড় বছর’ পরও হত্যাকারীরা সেই চেহারাতেই আছে?

সন্দেহভাজনদের নাম ঠিকানা জানতে পারেন নি, প্রত্যাশা করেছেন জনগণ জানাবেন। প্রত্যাশাটা ভালো। তো এর জন্যে দের বছর সময় নিলেন কেন? এর আগে না বলেছিলেন, হত্যাকারীরা আপনাদের নজরদারিতে আছে। এও বলেছিলেন হত্যাকারীরা বিদেশে পালিয়ে গেছে।

সন্দেহভাজন হত্যাকারীরা ‘নজরদারি ‘তে থাকার পরও ধরলেন না, ধরতে পারলেন না? বিদেশে পালিয়ে গেল? ‘নজরদারি ‘- ব্যাপারটা আসলে কী?

গুলশানের হলি আর্টিজান ট্রাজিডির আসামীদের চিনেছেন -জেনেছন, গ্রেপ্তার সময়ের ব্যাপার বলেছেন। হাসনাত করিম ছাড়া কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তাহমিদের বিষয়টি চরম রহস্যজনক।

কী জানালেন, কী বুঝলেন? ‘সময়ের ব্যাপার ‘ মানে কী, সাগর -রুনীর মত সময়ের ব্যাপার?

এসপি বাবুল আক্তার বলছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে তিনি পদত্যাগ পত্রে সাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এখন তিনি আবার চাকরি করতে চাইছেন।

আইজিপ বলছেন, বাবুল আক্তার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।

সত্য বলার অপরাধে ধমক দেয়ার আগে,দয়া করে আপনারা একটু ভেবে দেখবেন, আপনাদের সম্পর্কে পাবলিক পারসেপশন কী তৈরি হচ্ছে?

এইচএসসির ফল প্রকাশ,৭৪.৭০ শতাংশ পাস

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এ বছর সারাদেশে ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ হাজার ২৭৬ জন। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪২ হাজার ৮৯৪ জন।

সেই হিসাবে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হার বেড়েছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ পয়েন্ট। আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ১৫ হাজার ৩৮২ জন বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। বেলা ১টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের ঘোষণা দেবেন।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৯১২ জন।

দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ৮৯৯ জন।

রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ছয় হাজার ৭৩ জন।

সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৩৩০ জন।

চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ২৫৩ জন।

বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ১৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮৭ জন।

কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ছয় হাজার ৫৮৬ জন।

আর মাদ্রাসা বোর্ডে ৮৮ দশমিক ১৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৪১৪ জন।

দুপুর দুইটা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) গিয়ে ফল জানতে পারবে। এছাড়া মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

গত ৩ এপ্রিল শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ৯১ হাজার ৫৯১, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এক লাখ দুই হাজার ১৩২ ও ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) চার হাজার ৭৯৬ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

মুঠোফোনে ফল জানার প্রক্রিয়া
আটটি সাধারণ বোর্ডের ক্ষেত্রে মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

মাদ্রাসা বোর্ডের আলিমের ক্ষেত্রে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

এছাড়া এইচএসসি ভোকেশনালের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। সবক্ষেত্রে ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের।

রিজভী ন্যায়বিচার বঞ্চিত : খালেদা জিয়া

অসুস্থ রিজভীকে জামিনযোগ্য মামলায় জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছারই প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে রিজভীর মুক্তি দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, রিজভী একজন আইনজীবী ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই আদালতে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। তার জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রতিফলিত হয়নি বলে আমি মনে করি।’

বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না মন্তব্য করে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে মানবতাবোধও হারিয়ে ফেলেছে। বিচার বিভাগও আজ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না।

তিনি বলেন, মামলার এজাহারে রুহুল কবির রিজভীর নাম না থাকলেও সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় পুলিশ তার নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

প্রসঙ্গত, সকালে নাশকতার পাঁচ মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।পরে আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।