ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সড়কের ট্রেনের ছাদে টোকাইদের ছোড়া ঢিলে আহত হচ্ছে হচ্ছে সড়কের পাশে বসবাসকারী বাসিন্দা ও যানবাহন। ট্রেনের ছানে ভ্রমনকারী এসক টোকাইরা ট্রেনের টিটিদের সাথে আতাঁত করেই সব সময় ট্রেনের ছাদে অবস্থান নিয়ে থাকে বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। এসব টনার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও তদারকিকে দায়ি করছেন ভুক্তভোগী মহল। এদিকে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সড়কের এ ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটলেও ভুক্তভোগীরা এর কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। যে কারনে ট্রেনের ছাদ থেকে ছোড়া ঢিলে একের পর এক দূঘর্টনা অব্যাহত রয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যান ও মালের। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ভুক্তভোগী মহল। এদিকে, ট্রেনের ছাদা থেকে ঢিল ছুড়ে মানুষকে হতাহত ও যানবাহনের ক্ষতি করায় ফতুল্লার ষ্টেশন এলাকার বাসিন্দা সাবের হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সধারন ডায়েরী দায়ের করেছে। যারা নং ৭৫৭। সূত্রমতে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সড়কের পাশে প্রায় সময়ই হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে। এ নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের ছাদে সব সময়ই কিছু টোকাই অবস্থান নিয়ে থাকে। এসব টোকাইরা ইটের টুকরো, পাথরের টুকরো নিয়ে ট্রেনে ছাদে অবস্থান নিয়ে রেললাইনের পাশে অবস্থিত দোকান, বসত বাড়ি কিংবা যান বাহন লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ে মারে। এর ফলে প্রায় সময়ই রেল লাইনের পাশে অবস্থিত বাসিন্দা, পথচারী গুরুতর আহত হয়। সম্প্রতি, কদমতলীর চাকদা এলাকায় ট্রেনের ছাদ থেকে ছোড়া ঢিলে (ঢাকা মেট্রো-ম-১১-০৫৯৭) ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া প্রায় সময়ই টোকাইদের ছোড়া ইট, পাথরের আঘাতে যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষের চরম উদাসিনতার কারনেই টোকাইরা সব সময় ট্রেনের ছাদে অবস্থান নিয়ে এসব অঘটনের জন্ম দিচ্ছে। এর জন্য ট্রেনে টিটিদেরও দায়ি করেছে অনেকে। একাধিক যাত্রীর সাথে আলাপকালে জানাগেছে, এসব টোকাইরা শুধু ট্রেনের ছাদেই অবস্থান নিয়ে ক্ষ্যন্ত হয় না। এরা ট্রেনের প্রবেশ পথগুলোতেও অবস্থান নিয়ে যাত্রীদের পকেটে থাকা ম্যানিব্যাগ, মোবাইল রেখে দিচ্ছে। টিটিরা এসব টোকাইদের ব্যাপারে সব সময়ই উদাসিন। তাদের মতে, টিটিরা যদি একটু সতর্ক এবং কঠোর হতো তা হলে এসব ঘটনার সূত্রপাত হতো না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ভুক্তভোগী মহল।
নিস্ক্রীয় হয়ে পরেছে ফতুল্লা যুবদল
হজের প্রস্তুতি কেমন হবে?
হজের সফরের জন্য দুই ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। একটা যাহেরি বা বাহ্যিক প্রস্তুতি। অর্থাৎ বৈষয়িক বিষয়াদির প্রস্তুতি গ্রহণ। নানা প্রয়োজনীয় বস্তু সামগ্রী সংগ্রহ করেন নিজ ঘর থেকে বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার যাবতীয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। দ্বিতীয়টি বাতেনি ও রুহানি তথা অভ্যন্তরীণ ও আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি। যারা বিশাল অংকের অর্থ ব্যয় করে, অনেক দূরত্বের পথ অতিক্রম করে, অনেক দুঃখ-কষ্ট স্বীকার করে হজের উদ্দেশ্যে বায়তুল্লাহ সফরে যাবেন। তাদের জন্য রুহানি প্রস্তুতি গ্রহণ করা অধিকতর প্রয়োজন ও আবশ্যক। তাদের উচিত সফরের বেশ কিছুদিন পূর্ব থেকে নিজেদের অন্তর ও হৃদয়কে আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি গ্রহণে বেশি মনোযোগ দেয়া হজের মৌলিক গুণ ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য লাভ করাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়া।
অনেকেই হজের জন্য রুহানি বা আত্মিক প্রস্তুতির প্রয়োজনই বোধ করে না। ফলে অধিকাংশ হজযাত্রী যেভাবে যায়, সেভাবে ফিরে আসে। তাদের জীবনে হজের কোনো প্রভাব পরিলক্ষিত হয় না। তাদের জীবনাচারে হজের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তাদের কাজকর্মে কোনো পরিবর্তন আসে না।
বৈষয়িক চাহিদা ও প্রয়োজনগুলোর ব্যবস্থা করা যদিও জায়েজ, প্রয়োজনীয় পরিমাণ তো আবশ্যক। কিন্তু এটা হজের প্রকৃত প্রস্তুতি নয়। হজের প্রকৃত প্রস্তুতি হলো হজের আহকাম ও মাসায়েল শিখে নেয়া, তার নিয়ম-পদ্ধতি ও আদব-কায়দা জেনে নেয়া এবং তার যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা। নিজ দেশে থেকে গমন ও প্রত্যাগমন পর্যন্ত পুরো সফর, হজ জিয়ারতসহ সব আমল কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করা, স্বীয় হৃদয় ও অন্তরকে হজের বারাকত ও কল্যাণ ধারণের উপযোগী করে তোলা।
দুর্নীতির দায়ে চার বিচারককে বরখাস্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট
দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার বিচারকের বরখাস্ত অনুমোদন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এখন অপেক্ষা শুধুই আইন মন্ত্রণালয়ের আদেশ জারির। বর্তমানে এ চারজনই আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আছেন। আরও দুই বিচারকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মিললেও অবসরে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি এবং অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়গুলো দেখভাল করে সুপ্রিম কোর্টের জেনারেল এডমিনিস্ট্রেটিভ বা জিএ কমিটি। যার প্রধান হলে প্রধান বিচারপতি।
কোন বিচারকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম অসদারচণের অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয় এই কমিটি। দুর্নীতি অনিয়মের এমনই কিছু সুর্নিদিষ্ট অভিযোগের প্রমাণ হওয়ায় কুমিল্লার সাবেক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক জেলা জজ মো. রুহুল আমিন খোন্দকার, জামালপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এবং খুলনার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মঈনুল হকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের জন্য আইন মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলো সুপ্রিম কোর্ট। তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের প্রমাণও পায় তদন্ত কর্মকর্তা।
এই চার বিচারকের দেয়া কোন ব্যাখ্যাই সন্তুষ্ট করতে পারেনি জিএ কমিটিকে। পরে তাদের বরখাস্তের বিষয়টি ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করে। তদন্ত প্রতিবেদন পর্যলোচনা করে হাইকোর্ট বিভাগের সকল বিচারপতির উপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি চার বিচারককে চাকরি থেকে বরখাস্তের অনুমোদন দেয়।
বরখাস্ত বিচারক এস এম আমিনুল ইসলাম ঢাকায় কর্মরত থাকাকালীন জামিন অযোগ্য ২০টি মামলায় আসামীদের অর্থের বিনিময়ে জামিন দিয়েছেন।
সাবেক জেলা জজ মো. রুহুল আমিন খোন্দকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ-ঠাকুরগাঁওয়ের বিচারক থাকাকালীন ঘুষ নিয়ে সেখানে নিচু পদে অসংখ্য কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন।
তৃতীয় বরখাস্ত বিচারক সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জামালপুরে থাকাকালীন আদালতে অনিয়মিত ছিলেন এবং সেখানে অবৈধভাবে জমি দখলও করেছেন।
সর্বশেষ সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মঈনুল হকের বিরুদ্ধে ৬৮ জন আইনজীবী অভিযোগ করেছেন তিনি খুলনায় দায়িত্ব পালনের সময় টাকা নিয়ে মামলার রায় দেন।
দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও প্রমাণ না পাওয়ায় অব্যাহতি দেয়া হয়েছে কক্সবাজারের সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্তমানে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা জজ সৈয়দ হুমায়ুন আজাদ ও ময়মনসিংহের জেলা জজ আদালতের অধীন ঈশ্বরগঞ্জ চৌকি আদালতের সাবেক সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ কামাল খানকে।
গত বৃহস্পতিবারই এই চার বিচারককে বরখাস্ত অনুমোদনের নথি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে আইনমন্ত্রণালয়ে। নিয়মানুযায়ী আইন মন্ত্রণালয় এই চার বিচারককে বরখাস্তের আদেশ জারি করবেন। তারা এখন আইনমন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আছেন। -চ্যানেল ২৪
বঙ্গবন্ধুকে জানাযা ছাড়াই দাফন করতে চেয়েছিলো ঘাতকরা
বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনককে হত্যার পর জানাযা ছাড়াই দাফন করতে চেয়েছিলো ঘাতকদের সহযোগীরা। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় ইমামের দৃঢ়তায় জানাযা হলেও আসতে দেয়া হয়নি টুঙ্গিপাড়াবাসীকে। গোসল করানো হয়েছিলো কাপড় ধোয়ার সাবান দিয়ে আর দাফনের জন্য আনা হয়েছিল ত্রানের কাপড়।
পরে জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মা-বাবার কবরের পাশেই কবর দেয়া হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ৭৫এর ১৫ আগস্ট হত্যার পর ঘাতকরা, তাঁর লাশ চরম অবমাননায় পরের দিন সকাল পর্যন্ত ফেলে রাখে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে। পরে জাতির জনকের লাশ হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। কফিনটি কাঁধে করে নিয়ে আসেন এলাকাবাসী। লাশ পৌঁছার আগেই দ্রুত কবর খোঁড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কফিন আনার পর তা খোলা যাচ্ছিল না, ধরে আনা হয় এক কাঠমিস্ত্রীকে। ইমাম আব্দুল হালিমের দৃঢ়তায় গোসল করানো হয় জাতির পিতাকে। পড়ানো হয় জানাজা। মা-বাবার কবরের পাশেই কবর দেয়া হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। সেই টুঙ্গিপাড়াই আজ স্বাধীনতার শপথের তীর্থস্থান।
বাঁধন ছিঁড়ে আবার জলাশয়ে হাতিটি
আটকে রাখার পর থেকে পায়ে বাঁধা শেকল আর দড়ি ছেঁড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিল বানের পানিতে ভেসে আসা হাতিটি। সে চেষ্টা আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে সফল হয়েছে। বাঁধনমুক্ত হয়ে হাতিটি কাছের একটি জলাশয়ে নেমে পড়েছে। পানির বাইরে কেবল শুঁড় বের করে রয়েছে।
ঢাকার বন অধিদপ্তরের সাবেক উপপ্রধান বন সংরক্ষক তপন কুমার দে বলেন, হাতিটিকে ডান্ডা বেড়ি পরানোর চেষ্টা চলছে। ডাঙায় তোলা গেলেই তাকে বেড়ি পরানো হবে।
হাতিটিকে দেখতে উৎসুখ মানুষের ভিড় অনেক। এলাকায় পুলিশ ও র্যাব অবস্থান করছে।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, পুকুরে ঝাঁপ দেয়ার আগ পর্যন্ত হাতিটি ডাঙায় একটি আম গাছের সাথে বাঁধা হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার হাতিটিকে উদ্ধার করে ওই আম গাছে বাঁধা হয়। গতকাল তার হুঁশ ফেরে। চিকিৎসা চলছিল তার। পুরোপুরি সুস্থ হলে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নেয়ার কথা।
গত ২৮ জুন ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বন্যার পানিতে ব্রহ্মপুত্র নদ বেয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে হাতিটি। এরপর শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। হাতি উদ্ধার নিয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে গত কয়েক দিন ধরে ছিল টান টান উত্তেজনা। চেতনানাশক ছোড়ার পর হাতিটির জলাশয়ে পড়ে যাওয়া, জনতার তৎপরতায় সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়া, এসব ঘটনা নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
ফজলুর রহমান পটলের জানাজা শনিবার
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল ।
শুক্রবার বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আগামীকাল শনিবার বেলা ৩টায় এবং জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বেলা ৪টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে যথাসময়ে জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কলকাতার রবীন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফজলুর রহমান পটল (৬৫) মারা যান। আগামীকাল শনিবার তাঁর মরদেহ দেশে আনা হবে।
রাজধানীর বাসাবোয় ভাই-বোন খুন মা গ্রেফতার, হত্যার দায় স্বীকার
রাজধানীর বাসাবোয় নিজ ঘরে খুন হওয়া দুই শিশুর মা তানজিন রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোর ৪টার দিকে উত্তর বাসাবোর অন্য একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার রাতে নিহত দুই শিশু বাবা মাহবুবুর রহমান সবুজবাগ থানায় দুই শিশুর মাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সবুজবাগ থানার ওসি মো. আব্দুল কুদ্দুস ফকির জানান, মামলার পর উত্তর বাসাবোর একটি বাড়ি থেকে শিশুদের মা তানজিন রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানজিন রহমান দুই সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে উত্তর বাসাবোর (হোল্ডিং নম্বর ১৫৭/২, ‘ষড়ঋতু’) বাড়ির সপ্তম তলা থেকে দুই শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হল- হুমায়রা বিনতে মাহবুব (৬) ও মাশরাফি ইবনে মাহবুব (৭)। তারা আপন ভাই-বোন।
নিহতদের বাবা মাহবুবুর রহমান ওয়াসার কম্পিউটার অপারেটর। বর্তমানে তিনি এলজিইডিতে ডেপুটেশনে আছেন।
দু’জনের লাশ দুই ঘরে পড়েছিল। তারা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। এ ঘটনার পর থেকে তাদের মা তানজিন রহমান নিখোঁজ ছিলেন।
খবর পেয়ে সিআইডি রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ধারালো চাপাতি উদ্ধার ও আলামত সংগ্রহ করে।
জানা গেছে, ‘ষড়ঋতু’ নামের এই বাড়ির সপ্তম তলায় দুই সন্তান নিয়ে প্রায় আট মাস ভাড়া থাকেন মাহবুবুর রহমান দম্পতি। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর মাহবুবুর রহমান বাসার বাইরে যান। এ সময় দুই সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী তানজিন বাসায় ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাহবুবুর রহমান বাসায় গিয়ে দরজা খোলা দেখতে পান।
ঘরে ঢুকে একটি কক্ষে ছেলের গলাকাটা লাশ দেখেন তিনি। ছেলের লাশ দেখে মেয়েকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পাশের রুমের মেঝেতেও একইভাবে মেয়ের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
দুই সন্তানের লাশ দেখে মাহবুবুর রহমান নিথর হয়ে যান। এ সময় সন্তানদের মাকে তিনি ঘরে পাননি।
নিহতদের ফুফু লায়লা নূর জানান, রাতে মাহবুব তাকে ফোন করে সন্তানদের হত্যাকাণ্ডের খবর জানান। এরপর নারায়ণগঞ্জের বাসা থেকে উত্তর বাসাবোয় ছুটে আসেন তিনি।
এ সময় লায়লা নূর বলেন, তার ভাবী তানজিন মাঝেমধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। সে সময় ঠিকমতো রান্না করেন না। কারও সঙ্গে কথাও বলেন না। আচরণ পাল্টে যায়। কয়েকদিন এ অবস্থা থাকে পরবর্তীতে আবার ভালো হয়ে যান।
ভূয়া ডাক্তার জি.সি পন্ডিতের শেল্টারদাতা ডা: শাহনেওয়াজ!
র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে শহরে দীর্ঘদিন যাবত রোগীদের সাথে প্রতারনা করে টাকা কামিয়ে আসা ভূয়া ডাক্তার জি.সি পন্ডিতের ডাক্তার হওয়ার নেপথ্য কাহিনী। জানাগেছে, দীর্ঘদিন যাবত এই জি.সি পন্ডিত বিএমএ জেলা সভাপতি ডা: শাহনেওয়াজের তত্ত্বাবধানেই কাজ করতেন। তাকে শেল্টারও দিতেন ডা: শাহনেওয়াজ। যিনি এই ভূয়া ডাক্তারকে শীঘ্রই একটি বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ও এমবিবিএস সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু বিধি বাম, না করা সত্ত্বেও স্ট্যান্ডার্ট চাটার্ড ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখা থেকে একটি ক্রেডিট কার্ড করতে যেয়ে জি.সি পন্ডিতের ভাগ্যে এই দূর্গতি নেমে আসে। তথ্যানুসন্ধ্যানে জানাগেছে, স্ট্যান্ডার্ট চাটার্ড ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখা থেকে একটি ক্রেডিট কার্ড নেয়ার আবেদন করে ভূয়া ডাক্তার জি.সি পন্ডিত। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জি.সি পন্ডিতের দেয়া এমবিবিএস সার্টিফিকেট অনলাইনে যাচাই করে দেখতে পায় জি.সি পন্ডিতের দেয়া সার্টিফিকেটের ছবির সাথে বাস্তবতার মিল নেই। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি র্যাবকে জানালে ভূয়া ডাক্তার এইচএসসি পাশ জি.সি পন্ডিত ধরা পরে যায়। আর অর্থদন্ড দিয়েও যেতে হয় জেলখানায়। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, মেয়ে বিয়ে দেয়ার প্রায় ৫ বছর পর শ্বশুড় নারায়ণগঞ্জের হিন্দু নেতা আয়কর আইনজীবী তারাপদ আচার্য্য জামাতা জি.সি পন্ডিত একজন ভূয়া ডাক্তার জানতে পায়। অথচ বিয়ের এত বছর পর কেন জানতে পারলেন বা বিয়ের পূর্বেই বা জি.সি পন্ডিতের সর্ম্পকে যাচাই করেননি কেন- অভিযানের নেতৃত্বদানকারী সিদ্ধিরগঞ্জ র্যাব-১১’র এএসপি নাজিম উদ্দিনের এমন প্রশ্নে জবাবে তারাপদ আচার্য্য জানান, তার মেয়ের জামাতা ডা: শাহনেওয়াজের তত্ত্বাবধানেই কাজ করতেন। ডা: শাহনেওয়াজ এবং জনৈক ডা: সুবীর জি.সি পন্ডিতের সাথে তার মেয়েকে বিয়ে দিতে সুপারিশ করায় আর তখন তারাপদ আচার্য্য জামাতার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেননি। কিন্তু জামাতার এমন ঘটনা ফাঁস হওয়ায় বেশ মর্মাহত হয়ে যান তিনি। কিন্তু জি.সি পন্ডিতের শেল্টারদাতা বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন জেলা সভাপতি ডা: শাহনেওয়াজ ঘটনার দিন এক ঝলকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেলেও তখন সেখানে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বা র্যাব কেউই জানতেন না যে এই শাহনেওয়াজই ছিলেন জি.সি পন্ডিতের ভূয়া ডাক্তার হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করার নেপথ্য কারিগর। তবে এব্যাপারে জানতে বিএমএ জেলা সভাপতি ডা: শাহনেওয়াজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারাপদ আচার্য্য জি.সি পন্ডিতের সাথে তার মেয়েকে বিয়ে দিবেন কিনা এব্যাপারে বিয়ের আগে কখনোই আমার কাছে জানতে চাননি। আমি এই দেশের একজন নাগরিক, আইনের উর্ধ্বে নই। তাই জি.সি পন্ডিতকে শেল্টার দেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। উল্লেখ্য, গত ১০ আগষ্ট শহরের বি.বি রোডে ন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ র্যাব-১১’র এএসপি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম ভূয়া ডাক্তার গৌর চাঁদ পন্ডিত ও জি.সি পন্ডিত (সুবীর)কে আটক করেন। পরে সদর এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুম আলী বেগ ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ভূয়া ডাক্তার জি.সি পন্ডিতকে নগদ ১লাখ টাকা জরিমানা করে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
সরকার দেশকে সিরিয়া বানাতে চাইছে-মিলন মেহেদী
নারায়নগন্জ থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়ার গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন মেহেদী। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার বিএনপির তৃনমূলের শক্তিকে ধ্বংস করতেই জিয়ার মত সারাদেশের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কোন রকম মামলা মোকদ্দমা ছাড়াই গ্রেফতার করছে। যা গণতান্ত্রিক রাজনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। বিএনপিকে ধ্বংস করার নীল নকশা সরকারের একটি অলীক স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়। সেদিন বেশী দূরে নয় গনবিচ্ছিন্ন এই সরকার তাদের ভ্রান্ত ও উদ্ভট স্বপ্নের দহনেই একদিন পুড়ে ছাই হবে। মিলন মেহেদী আরো বলেন, সরকার ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে জঙ্গী নাটক সাজিয়ে দেশের অসংখ্য রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গুম-হত্যা করে চলেছেন। মুসলিম প্রধান এই দেশটিতে ইসলাম ধর্মকে কলংকিত করে সরকার দেশকে সিরিয়া বানাতে চাইছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করে সরকারকে গণতন্ত্রের পথে আসার আহ্বান জানান।