৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 210

মোঃ মঈনুল হোসেন আড়াইহাজারের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী রোকনউদ্দিন মোল্লা গার্লস ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যাপক মোঃ মঈনুল হোসেন, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মেধাবী, দক্ষ এবং দায়িত্বশীল একজন শিক্ষক। তিনি শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলকার সুধীজনের নিকট অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তি। ঘোড়াশাল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ১২ অক্টোবর ১৯৯৯ তারিখে প্রভাষক পদে প্রথম যোগদান করেন এবং গত ১৭ নভেম্বর ২০০১ তারিখ হতে অদ্যবধি তিনি সুনামের সাথে রোকনউদ্দিন মোল্লা গার্লস ডিগ্রি কলেজে সহকারি অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন। এ সফল্যের জন্য কলেজের ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক, গভর্ণিং বডির সদস্যবর্গ এবং এলাকার শুভানুধ্যায়ীদের পক্ষ হতে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়। তিনি আড়াইহাজার উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের কাইমপুর গ্রামের একজন কৃতিসন্তান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক সন্তানের জনক। তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫ সালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে অর্নাস সহ মাষ্টর্স ডিগ্রী  অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে কলেজে প্রায় ৫ বছরের অধিক অত্যন্ত সুনামের সাথে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি গভর্ণিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি ও শিক্ষক কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত।

আড়াইহাজারে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের শিবপুর এলাকায় রোববার ১১টার দিকে পুকুর থেকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে হালিম, আসানউল্ল্যাহ, মোছলেম, মোশারফ, কাদির, রেজিয়া, খোরশেদ, ফারুক, আরিফ ও শিমুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন সেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হালিম ও আসানউল্ল্যাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় জানা গেছে, শিবপুর এলাকায় চিতাশাল সংলগ্ন একটি পুকুর দীর্ঘদিন ধরে হালিমগংয়েরা ভোগ দখল করে আসছে। রোববার বিরোধপূর্ণ পুকুরে হালিম মাছ ধরতে যায়। এসময় প্রতিপক্ষের খোরশেদ মিয়া তার লোকজন নিয়ে মাছ ধরায় বাঁধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পর ম্পরের লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় যুবক কাসেম জানান, বিরোধপূর্ণ পুকুরটি ‘খ’তফসিল ভুক্ত। এটি বিভিন্ন সময় স্থানীয় লোকজন মাছের চাষ করে আসছে। রোববার স্থানীয় একটি পক্ষ পুকুরটি মালিকানা দাবী করে মাছ ধরায় বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কিছু লোক আহত হয়েছেন। আড়াইহাজার থানার ওসি মো: সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি।

আড়াইহাজারে শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শনিবার প্রধান শিক্ষক শাজাহানের ওপর হামলার ঘটনায় রোববার মামলা হয়েছে। আহত শিক্ষকের ছেলে বাদী রোববার মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নগরডৌকাদি গ্রামের সমিরউদ্দিনের ছেলে দেলোয়ারের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাত আরও তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, শনিবার ৬০নং পাঠানেরকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পাশ্ববর্তী টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে বলেন। কিন্তু ওই ছাত্রী পানি আনতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক তাকে চড়থাপ্পর মারেন। ঘটনাটি ছাত্রী তার চাচা দেলোয়ারকে অবহিত করেন। পরে দেলোয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে অজ্ঞাত আরও কয়েক জনকে নিয়ে প্রধান শিক্ষককে লোহার পাইপ দিয়ে বেধরক মারপিট করেন। এতে তার বাম হাত ভেঙে যায়। আশঙ্ক জনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢাকার শ্যামলী শেফা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ মো: মান্নান সরকার জানান, প্রধান শিক্ষকের বাম হাতটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিনি দোষিদের দ্রæত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন। আড়াইহাজার থানার ওসি মো: সাখাওয়াত হোসেন জানান, মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ভালো করবে- অনু

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির বারবার কারা নির্যাতিত নেতা ও সাবেক বিআরডি’র চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন অনু বলেছেন, জেলা বিএনপির অতীতের যে সময়ের কমিটি থেকে নবর্গঠিত কমিটি ভালো করতে পারে। বর্তমান সময়ে এমন একটি কমিটিই বিএনপির তৃণমুল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ছিল বলে তিনি দাবী করেন। আজ (শনিবার) জেলা বিএনপির নবর্গঠিত কমিটির প্রথম আলোচনা সভায় নেতাদের একমঞ্চে দেখে থানা শাখা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে। এটি বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানো শুভ ইঙ্গিত বহন করে। বিশেষ করে জেলা নেতাদের দক্ষ তৎপরতায় এবং শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রতিআস্থা জ্ঞাপন করেছেন। অনু আরো বলেন, আমিসহ আড়াইহাজার থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা উৎসাহের সাথে দলের জন্য কাজ করে যাব। জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মো: মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ যেভাবে নির্দেশ দিবেন; আমরা সেভাবেই দলের জন্য কাজ করব। তাদের নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। শনিবার বিকালে আড়াইহাজার পৌরসভায় অবস্থিত আশিক সুপার মাকের্টে এক আলোচনায় সভায় অনু এসব কথা বলেন। এসয়ম জেলা বিএনপির কমিটির নেত্রীবৃন্দকে সহযোগিতার ঘোষণা দেয়াসহ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।

ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

জাহাঙ্গীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লাস্থ ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠান শুক্রবার সকালে বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, না.গঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জেবিন বিনতে শেখ।

এ সময় সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা থানা পুলিশিং সমন্বয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মীর মোজাম্মেল আলী, শাহ্ ফতেহউল্লাহ দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি আলহাজ্ব হামিদুর রহমান চৌধুরী, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ উবায়েদ উল্লাহ, ফতুল্লা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি রণজিৎ মোদক ও সাধারন সম্পাদক কাজী আনিছুর রহমান ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মিজানুর রহমান প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নিয়াজ মোঃ চৌধুরী, মীর ফয়সাল আলী, আলহাজ্ব মোঃ সালাউদ্দিন সরকার (মুক্তি) মোসাঃ তানজু হাসান ও মোসাঃ রোমানা সিদ্দিক।

বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নাই-প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ

শেখ হাসিনা বলেছেন,  বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নাই। মাদকাশক্তি থেকে সন্তানদের রক্ষা করতে হবে।

‘এ জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। আর ছেলে-মেয়েরা যেন লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী নারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেদেরকে কখনও অপাংতেয় ভাবা যাবে না। প্রত্যেকটি মানুষেরই কর্মদক্ষতা আছে, কর্মক্ষমতা আছে। যার যেটুকু আছে সেটা দেশের কাজে লাগাতে হবে। বিশেষ করে যারা রাজনৈতিক কর্মী তাদের একটাই লক্ষ্য থাকতে হবে- রাজনীতির মধ্যদিয়ে আমরা জনগণকে কী দিতে পারলাম। মানুষকে কী দিতে পারলাম এবং আমাদের মা-বোনেরা, তাদের কাছে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের যেতে হবে। তাদের জন্য আমরা যে কাজগুলো করেছি সেগুলো তাদেরকে বলতে হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আমাদের মা-বোনদের বলব, আপনারা জানেন- আজকে শুধু বাংলাদেশ না সমগ্র বিশ্বে একটা নতুন উপসর্গ হচ্ছে জঙ্গিবাদের আবির্ভাব।

শেখ হাসিনা বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে নারীরাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। মেয়েরা মায়ের জাত আর ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষ হত্যা করে কীভাবে তারা ইসলাম ধর্ম পালন করছে আমি জানি না। মানুষ হত্যা মহাপাপ, মানুষ হত্যাকারীর স্থান হবে দোজখে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী ভাই-বোনদের আমি বলব, নিজ নিজ পরিবারে লক্ষ্য রাখবেন ছেলে-মেয়রা কোথায় যায় এবং কার সঙ্গে মিশে, কী করে, পড়াশোনা ঠিকমতো করছে কি না, স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত যাচ্ছে কি না, নিশ্চই সেটার খবর রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস মোকাবিলায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান করেছি এবং ঐক্যবদ্ধ করেছি। সেখানে অভিভাবক, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম এবং ওলামা মাশায়েখগণসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক নেতা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যার যার নিজের সন্তানদের রক্ষা করতে হবে। এই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এবং মাদকাশক্তির পথে যেন তারা না যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আপনারা দেখেছেন তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা কোথায় চলে গেছে। সারা দেশে ৩ হাজার ৩৩৬ জন অগ্নিদগ্ধ এবং সাড়ে ৩০০ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। স্কুলছাত্র অনিক আর হৃদয়কে আমি চিকিৎসা করাচ্ছি। যতই চিকিৎসা করাই তাদের দেখলে কষ্ট লাগে- বোমার আঘাতে তাদের সৃষ্ট ক্ষত সরাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। ৬ বছরের শিশু রুপা, অন্তস্বত্তা নারী মনোয়ারা বেগম, স্কুল শিক্ষিকা শামসুন্নাহার ঝর্ণাও বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস থেকে রেহাই পায় নাই।

প্রধানমন্ত্রী ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে বলেন, ভোলার লালমোহন ও আশপাশের গ্রামে ১০ বছরের শিশু থেকে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ কেউ বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি। পাক হানাদারবাহিনীর মতই তারা বর্বর সন্ত্রাস-নির্যাতন চালিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরিশালের গৌরনদী-আগৈলঝড়ায় মা-মেয়েকে একসঙ্গে ধর্ষণ করা হয়েছে। ৫ মাসের অন্ত:স্বত্তা নারী সাবিত্রি দাসের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। লজ্জায় তারা অনেকেই কাউকে কিছু বলতে পারেনি। তারা অনেকেই আমার কাছে এসে তাদের এই কষ্টের কথা জানিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, রাজশাহীর ৭ বছরের শিশু রজুফা ধর্ষিত হয়েছে। নেত্রকোনাতেও মহিলাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে, রাজশাহীতে মহিমা আত্মহত্যা করেছে। খুলনায় রুমাকে তুলে আনতে গেলে সে আত্মহত্যা করে ইজ্জত রক্ষা করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, রংপুরের নিসবেদগঞ্জে, যারা তীর ধনুক নিয়ে একসময় পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল তারাও ভয়াবহ সন্ত্রাস, নির্যাতন ও পাশাবিকতার শিকার হয়েছে। বসতবাড়ি দখল করে রাতারাতি পুকুর কেটে বসতবাড়ি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। পুকুরের পাশে চুলা দেখতে পেয়ে সেটি যে বসতবাড়ি ছিল তা চিহ্নিত করা গেছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, মাদারীপুরে ২ বছরের শিশু রোকসানাকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে চুলায় নিক্ষেপ করে হত্যা করেছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ বছরগুলোতেও একই কায়দায় জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে নির্যাতন করেছে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা। একদিকে জাতীয় সম্পাদ ধ্বংস করেছে। পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে।

‘সেই দৃশ্যতো এখনো চোখে ভাসে। সেই যন্ত্রণা নিয়ে এখনো অনেকে বেঁচে আছেন,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্মেলন উপলক্ষে সবাইকে অভিন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস আমাদের স্বাধীনতার মাস। এই মাসেই জাতির পিতা ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ আবার এই মাসের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার মায়েরা বিরাট ভূমিকা পালন করে। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, সন্তান ও স্বামীর হাতে অন্যত্র তুলে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধে পাঠানো, যুদ্ধের খবর সংগ্রহ এবং যুদ্ধ কি করেনি তারা।

তিনি বলেন, পিরোজপুর-বরিশালের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে হানাদার ক্যাম্পের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের ইতিহাস আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রত্যেক ঘরে যে দুর্গ গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই দুর্গই গড়ে তোলেন বাংলার নারী সমাজ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি আমার মা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের কথা। তিনি ছিলেন জাতির পিতার ছায়াসঙ্গী। কারাগারে থাকার সময় একহাতে সংসার সামলে জাতির পিতার মামলা পরিচালনা করা, সংগঠন চালানো আবার আন্দোলন জমিয়ে তোলা- সবই করেছেন একহাতে।

‘বিশ্বে যা কিছু মহান চিরকল্যাণকর অর্ধেকে তার করিয়াছে নারী অর্ধেকে তার নর।’ মায়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা থেকে এই অংশটি উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধে সম্ভ্রমহারা নারীদের পুণর্বাসনে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগ তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু তাদের জন্য পুনর্বাসন বোর্ড গঠন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ড থেকে বঙ্গবন্ধু নার্স, ডাক্তার নিয়ে এসে তাদের চিকিৎসা করান। যাদের অ্যাবরশন করানো যায় অ্যাবরশন করান এবং যাদের অ্যাবরশন করানো সম্ভব হয়নি তাদের সন্তান জন্ম দিয়ে বিশ্বের বহুদেশে তাদের পাঠিয়ে পুনর্বাসন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু তাদের ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধি দেন। আর তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এসব নারীদের স্বীকৃতি দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব নারীদের অনেকেরই বিয়ের সময় সমস্যা দেখা দিলে বাবার নামের স্থলে বঙ্গবন্ধু বলেন- ‘লিখে দাও পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান, বাড়ি ধানমন্ডি ৩২।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সমাজ গড়ে তুলতে হলে সমাজের সবার জন্যই সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের একমাত্র সংগঠন যেখানে গঠনতন্ত্র এবং ঘোষণাপত্রেও নারীর অধিকার নিশ্চিত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার সরকারের আমলে দেশে নারীর ক্ষমতায়নের খণ্ড চিত্র তুলে ধরে বলেন, প্রথম সচিব, মহিলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, আর্মি, নেভী, এয়রফোর্সে প্রথম নারী সদস্যদের তার সরকারই নিয়োগ প্রদান করে। শুধু তাই নয়, মহিলা বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, হাইকোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের জজ হিসেবেও নারীদের নিয়োগ করা হয়।

স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে বর্তমানে ২১ জন সরাসরি নির্বাচিত নারী সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনে ৫০ জন প্রতিনিধি রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের বর্তমান আর্থসামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে নারী উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে এর বিপরীতে তার সরকারের ক্ষুদ্র সঞ্চয় নীতির উল্লেখযোগ্য দিকও উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আশরাফুননেছা মোশাররফ। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাফিয়া খাতুন স্বাগত বক্তৃতা করেন। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুননেছা ইন্দিরা এমপি। সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পিনু খান এমপি।

সোনারগাঁয় বৃদ্ধাকে ঘর ও আসবাবপত্র কিনে দিলেন এএসআই আজাদ

সোনারগাঁ প্রতিনিধি
সোনারগাঁয়ের সনমান্দী পূর্বপাড়া গ্রামে রুপবাহার (৭৫) নামে এক সহায়-সম্বল ও আত্মীয়স্বজনহীন বৃদ্ধাকে নিজ জিম্মায় সুচিকিৎসার পর পুলিশের ভবিষ্যত তহবিল (জিপিএফ) ফান্ডের জমানো টাকা উত্তোলণ করে একটি আধুনিক পরিবেশ বান্ধব ঘর ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কিনে দিয়েছেন থানার আলোচিত এএসআই আবুল কালাম আজাদ। তার এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ।
গতকাল শনিবার উপজেলার সনমান্দী পূর্বপাড়া গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, গত ২৭ জানুয়ারি সোনারগাঁ থানার এএসআই আবুল কালাম আজাদ ওই এলাকার একটি মসজিদে মুসল্লীদের সঙ্গে জঙ্গী ও মাদক বিরোধী আলোচনা করতে আসেন। এ সময় তিনি জানতে পারেন ওখানে রুপবাহার (৭৫) নামে এক বৃদ্ধা রোগে শোকে আক্রান্ত হয়ে একটি ছোট্ট ডেরা ঘরে মানববেতর জীবনযাপন করছেন। বৃদ্ধার কোন আত্মীয়স্বজন না থাকায় তিনি অনেকটা যেন মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। এ সময় এএসআই আবুল কালাম আজাদ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে বৃদ্ধার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। তাকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং পরে নিজ খরচে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান।
এদিকে সম্প্রতি এএসআই আজাদ নিজের ভবিষ্যত তহবিল (জিপিএফ) ফান্ডের জমানো টাকা উত্তোলণ করে বৃদ্ধার সেই ছোট্ট ডেরা ঘরের স্থলে একটি আধুনিক পরিবেশ বান্ধব ঘর নির্মাণ করেছেন এবং এতে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রও কিনে দিয়েছেন। তাছাড়া ঘরের সামনে একটি ফুলের বাগান তৈরী করা হয়েছে। রোববার (৫ মার্চ) বিকেলে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে ঘরটি বৃদ্ধা রুপবাহারকে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
নানা ধরণের বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে সোনারগাঁ উপজেলাসহ সারাদেশে পুলিশের উপর জনগণের যে বিরুপ ধারণা রয়েছে, এএসআই আবুল কালাম আজাদ তা বদলে দিয়েছেন বলে সনমান্দী পূর্বপাড়া গ্রামবাসীর ধারণা। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোমেন জানান, যে কাজটি জনপ্রতিনিধিদের করা উচিৎ ছিলো এএসআই আবুল কালাম আজাদ তা করে দেখিয়েছেন। তিনি ইতিপূর্বে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ময়লার স্তুপ থেকে হাত-পা ভাঙ্গা অবস্থায় উদ্ধারকৃত এক মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধাকে সুচিকিৎসার পর আত্মীয়স্বজনদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তার এসব কর্মকান্ডে সারাদেশে পুলিশ সম্পর্কে মানুষের ধারণা পরিবর্তন হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এ প্রসঙ্গে এএসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, পুলিশ মানুষের সেবক। আমি এই নীতিকে বিশ্বাস করি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করি। মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা আমাকে এই কাজে উৎসাহিত করে।

ফতুল্লায় তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি পোশাক কারখানায় (গার্মেন্ট) চাকরির খোঁজে আসা এক তরুণীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করেছে কারখানার দুই মালিক। গত সোমবার সকালে ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় টাইলস বিল্ডিং ৩নং রোডে অবস্থিত বন্ধু ফ্যাশন গার্মেন্টে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে পোশাক কারখানার দুই মালিক ও দারোয়ানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই তরুণীর স্বামী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত সোমবার সকাল ৮টার দিকে বন্ধু ফ্যাশন গার্মেন্টে ডেমরা থেকে এক তরুণী (২১) চাকরির খোঁজে আসেন। এসময় দারোয়ান সালাউদ্দিন ওই নারীকে গার্মেন্টের পঞ্চম তলার ছাদে একটি রুমে নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে।
এরপর ওই গার্মেন্টের মালিক স্বপন (৩৫) ও লিটন (৩৬) ওই রুমে গিয়ে আটক তরুণীকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাইয়ে পর্যায়ক্রমে দুদিন এক রাত ধর্ষণ করে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে গার্মেন্টের পেছনের দরজা দিয়ে বের করে দেয়। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টাচ্ স্টোন এডুকেশনাল হোমে পুরস্কার বিরণ অনুষ্ঠিত

ফতুল্লা প্রতিনিধি
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন, প্রধান অতিথি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব এম, শওকত আলী, চেয়ারম্যান বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ ওবায়েদউল্লাহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান অনু, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রনজিৎ মোদক, সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি নূরুল ইসলাম নুরু,
শাহ ফতেহউল্লাহ মাদ্রাসার সভাপতি হামিদুর রহমান চৌধুরী , আলহাজ্ব কাজী আব্দুল করিম,মোবারক হোসেন চৌধুরী সমাজ সেবক, সৈয়দ মিজানুর, আলহাজ্ব এড. মশিউর রহমান শাহীন, একরামুল কবির মামুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক অসহযোগীতায় ছিলেন টাচ্ স্টোনের পরিচালক অধ্যক্ষ সেলিনা সুলতানা।

আড়াইহাজারে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন দুগ্ধ খামারিরা

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
ন্যায্য দাম না পাওয়া, কাঙ্খিত উৎপাদন না হওয়া ও গো খাদ্যের সংকটসহ বিভিন্ন কারণে লোকসানের মুখে পড়ে খুঁড়িয়ে খুঁিড়য়ে চলছিল স্থানীয় দুগ্ধ খামারগুলি। লোকসানে পড়ে অনেকেই খামার গুটিয়ে ফেলে ছিলেন। তিন বছরের ব্যবধানে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক চাহিদা সৃস্টি হওয়ায়, দুধের ন্যায্য দাম পাওয়া এবং কাঙ্খিত উৎপাদনের ফলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জিমিয়ে পড়া দুগ্ধ খামারিরা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। নতুন করে এশিল্পের সঙ্গে জড়িত হয়ে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হচ্ছেন অনেক যুবক। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়, উপজেলার দুইটি পৌরসভা ও দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নিবন্ধিত ৬২৩ টি খামার এছাড়াও ছোট, বড় প্রায় অনিবন্ধিত আরো প্রায় দুই শতাধিক দুগ্ধ খামার গড়ে উঠেছে। খামারে ফ্রিজিয়ান, শাহীয়াল, সিন্দি ও দেশীয় শংকরজাতসহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের গাভী পালন করা হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেকে গরু মোটাজাতা করেও স্থানীয় পর্যায়ে বছর জুড়ে মাংসের জোগান দিয়ে যাচ্ছেন। এতে বাড়তি টাকা আয়ের পাশাপাশি হ্রাস পাচ্ছে বেকারত্ব। তবে খামারিদের দাবী পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা পেলে এশিল্পে আরও অগ্রগতি হতো। অনেকে পুঁজির অভাবে খামারের পরিধি বাড়াতে পারছে না। দুগ্ধ খামারে প্রতিদিন প্রায় ৪৭ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি লিটার দুধ গড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রতিটি খামারি লাভের মুখ দেখছেন। প্রতিটি বছর শেষে বকনা বাছুর বিক্রি করেও লাখ টাকা আয় করছে খামারিদের। উৎপাদিত দুধ স্থানীয় পর্যায়ে চাহিদা মিঠিয়ে উপজেলার আপশাশের বিভিন্ন এলাকায়সহ রাজধানীতে রপ্তানী করা হচ্ছে। উৎপাদন ধরে রাখতে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে খামারিদের পরার্মশ দিয়ে সাহায্য দিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, গত কোরবানীর ঈদে এই উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার গরু মোটাজাতা করা হয়। এতে স্থানীয় চাহিদা মিঠিয়ে উদ্বৃত্ত হয়েছিল। এছাড়াও বছর জুড়ে ছাগল, খাসি ও ভেড়া, ষাঁড় পালন করে অনেকেই দারিদ্রতাকে গুডবাই জানিয়েছেন। প্রাকৃতিক পদ্ধতির পরিবর্তে প্রযুক্তি নির্ভর (কৃত্রিম) পদ্ধতিতে প্রজনন করায় উন্নত জাতের গাভীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াসহ বাছুর মৃত্যুর হার করেছে। প্রান্তিক পর্যায়ের দারিদ্র খামারিদের বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে কৃষি নাশক ওষধ। স্থানীয় বিভিন্নœ তফসিলী ব্যাংক থেকে বকনা বাছুর প্রকল্পের অধিনে ৫ পার্সেন সুদে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে। উপজেলা যুবউন্নয়ন অধিদফত থেকে বেকার যুবক-যুবতীকে গাভী পালনের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদানসহ ঋণ দেয়া হচ্ছে।
সম্ভবনাময় এই শিল্পটি নিয়ে অনেকে সোঁনালী দিনের স্বপন বুনছেন। ইচ্ছা আর কঠোর পরিশ্রমে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে তারা এখন সঞ্চয় মুখী হয়ে উঠেছেন। এসব পরিবার দারিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে প্রতিনিয়তই আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠছেন। প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত এসব পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি পূরণ হচ্ছে প্রোটিন ও আমিষের চাহিদা। পুষ্টিহীতায় আক্রান্ত সন্তানদের খাওয়াতে পারছেন দুধ-ভাত। খামারের মালিকের অধিকাংশই শিক্ষিত ও এক সময়ের বেকার যুবক। পুরুষদের সাথে তাল মিলিয়ে সংসারের কাজের পাশাপাশি অনেক গৃহবধূ বাড়িতে গড়ে তোলেছেন ক্ষুদ্র দুগ্ধ খামার। ক’দিন আগেও যাদের নূন আনতে পানতা ফুরাতো, তারা এখন আদরের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করাচ্ছেন। গাভী পালন করে তারা দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন। খামারগুলিতে শ্রমিকের কাজ করে অনেকের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন। দুধ দিয়ে দই, মিষ্টি, মাখন ও ঘি-সহ দুগ্ধজাত বিভিন্ন খাবার তৈরি করে বাজারজাত করছেন। এতেও অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃস্টি হয়েছে। প্রতিটি খামারি গোবর সার থেকে তৈরি জৈবসার দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির চাষ করছেন। সেখান থেকেও তারা বাড়তি টাকা আয় করছেন।
দুগ্ধ খামারে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন সদাসদীর সিরাজ মিয়া, হযরত আলী, নোয়াব আলী, বারেক, নজরুল, সুবেদ আলী, মানিক, আয়ুবুর রহমান, আনিছ, আবু দায়েরন, কুদ্দুস, আরিফ, মনির,আহাদ মিয়া, মোতাহর হোসেন, নাজিরুল ইসলাম, আমজাত হোসেন, ফারুক,কবির হোসেন, মোক্তার, শাহাজালাল, সফর আলী, গৃহবধূ ইয়াছমিন, ফজিলা ও পারভীনের মত আরো অনেকে।
আড়াইহাজার পৌরসভাধীন বাগানগর এলাকার দুগ্ধ খামারি ইয়াছমিন জানান, স্বামী ছাদেক মিয়া পাওয়ালুমের শ্রমিক। সপ্তাহ শেষে যে টাকা পেতেন। তা দিয়ে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হতো। তিনি ২০০২ সালে স্থানীয় গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ১টি গাভী পালন করেন। প্রথম বছরেই তিনি লাভের মুখ দেখতে পান। পরে তিনি ঋণ নিয়ে আরো ৩টি গাভী কেনেন। তার খামারে ৬টি গাভী রয়েছে। এখন শ্রমিকের কাজ ছেড়ে ছাদেক মিয়া স্ত্রীকে সাহায্য করছেন। তিনি আরও জানান, ৩ বছর আগে দুধের ন্যাষ্য দাম পাওয়া যায়নি। এতে লোকসান দিতে হয়েছে। এলাকায় অনেকে খামার বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রতিদিন তার খামারে প্রায় ৪০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি লিটার দুধ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে প্রতি মাসে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে এবং সংসারের সকল খরচ মিটিয়ে বভিষ্যতের জন্য তিনি মাসে ১ হাজার টাকা সঞ্চয় করছেন। এবছর তিনি ৩টি বাছুর বিক্রি করেও প্রায় ১ লাখ টাকা আয় করেছেন। খামারে মানিক নামে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধি শ্রমিক মাসিক ৭ হাজার টাকা বেতনে কাজ করছেন। তিনি কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই খামার পরিচালনা করছেন। তার ১ ছেলে ১ মেয়ে। ছেলে ইমন স্থানীয় স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছেন। মেয়ে হাবীবা আক্তার পড়ছেন দ্বিতীয় শ্রেণিতে। গোবর সার দিয়ে শাক-সবজির চাষ করেছেন। সেখান থেকেও বাড়তি টাকা আয় করছেন তিনি।
২০১১ সালে এনজিও থেকে মাত্র ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একটি দেশীয় প্রজাতির গাভী কিনে বিশ্বনন্দী এলাকার বারেক মিয়ার জীবন সংগ্রাম শুরু হয়। বছর না ঘুরতেই গাভীটি জন্ম দেয় একটি বকনা বাছুর। এটিকেও লালন-পালন করে বড় করে তোলেন তিনি। ২০১২ সালে ফের ১ লাখ টাকা ঋণ নেয় বারেক। লালন-পালন করা দেশীয় প্রজাতির দুটি গাভী স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ঋণ নেয়া অর্থে সঙ্গে ওই টাকা সমন্বয় করে ফ্রিজিয়ান প্রজাতের চারটি মাঝারি আকারের গাভী ক্রয় করে গড়ে তোলেন একটি খামার। এরপর থেকে  বারেক মিয়ার পরিবারকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। চারটি থেকে আজ তার খামারে অস্ট্রেলিয়ান প্রজাতির ১১টি গরু রয়েছে। এর মধ্য ৪টি গাভী এবং চারটি ষাঁড়। এর আয় থেকে সংসারের প্রয়োজনীয় মিঠিয়ে দুই সন্তান লেখাপড়া করছেন।
উচিৎপুরা এলাকার খামারি ফারুক জানান, স্থানীয় পশু সম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি তার খামারের পরিচর্যা করে থাকেন। বাড়তি কোনো খরচ হয় না তার খামারে। গাভীগুলিকে খাওয়ানো  হচ্ছে খড়, ভুসি, খৈল, কাঁচাঘাস, ক্যাটেল ফিড দিয়ে থাকেন তার খামারের গরুকে। প্রতিদিন তার খামার থেকে প্রায় ১৮০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি লিটার ৬০ টাকা হিসাবে ১০ হাজার আটশ’ টাকা। প্রতিদিন খাবার ও ওষুধসহ নানা খরচে ব্যয় হয়  ৬ হাজার টাকা। বাকি টাকা উদ্বৃত্ত থেকে যায়। ফারুক আরও জানান, খামারের আয় দিয়ে বেশ কিছু জমিও ক্রয় করেছেন তিনি। সঠিক পরিচর্যা আর মনোবল তাকে চলার পথ দেখিয়েছে। বর্তমানে তার খামারে স্থানীয় একজন মহিলাসহ তিনজন সহযোগী রয়েছেন। তাদের প্রতি মাসে দুই জনকে ১৮ হাজার টাকা বেতন দিচ্ছেন। তার খামারে বর্তমানে পূর্ণবয়স্ক ২২টি গাভী রয়েছে। প্রতিবছর ১৫টি বকনা বাছুর বিক্রি করে তিনি লাখ টাকা আয় করছেন।
একই এলাকার কবির সংসারে অসচ্ছলতায় যখন হতাশায় ভুগছিলেন, ঠিক তখনই পাশের গো খামারি আনিসের পরামর্শে গাভী পালন শুরু করেন তিনি। মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে আজ তিনি একটি গো খামারের মালিক। স্বাবলম্বী এ যুবক জানান, পাঁচ সদস্যের পরিবার তার। বাবার একার আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। এ সময় প্রতিবেশী আনিসের গাভী পালন দেখে নিজেই ইচ্ছা পোষণ করেন গাভী পালনের। সেই থেকে পথচলা। তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজের ইচ্ছাশক্তি আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে ২০১১ সালের শেষ দিকে আনিসের কাছ থেকে একটি অস্ট্রেলিয়ান গাভী নিয়ে শুরু করেন উন্নয়নের যাত্রা। এখন তার ৮টি গাভী ও চারটি বাছুর রয়েছে। গাভী থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। গাভীগুলিকে দানাদার জাতীয় খাবারের পাশাপাশি ঘাস খাওয়ানোর জন্য তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে ইপিল ইপিল চাষ করছেন।
সিঙ্গাপুর ফেরত যুবক হাইজাদী ইউনিয়নের তিলচন্দ্রী এলাকার আমান উল্যাহ জানান, তিনি ২০১৬ সালের প্রথম দিকে ২৪টি গাভী দিয়ে খামার শুরু করেন। খামারে প্রতিদিন ২৪০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। ক্যাটেল ফিডসহ গাভীগুলিকে অন্যান্য দানাদার খাবার খাওয়াচ্ছেন। পাইকাররা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে দুধ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তার খামারে ১৭টি বাছুর রয়েছে। তিন জন শ্রমিক ১০ হাজার, ১১ হাজার ও ৭ হাজার টাকা বেতনে কাজ করছেন। তিনি আরও জানান, তার খামারে আড়াইলাখ টাকা দামের গাভী রয়েছে। খাবার এবং ওষধের দাম কম হলে আরও বেশী লাভ হতো। স্থানী ব্যাংকগুলি থেকে স্বল্প সুদে বড় আকারে ঋণ দেয়া হলে খামারের পরিধি তিনি বাড়াতে পারতেন। প্রথমে তিনি শখের বসে শুরু করলেও, বর্তমানে তিনি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খামার গড়ে তোলেছেন।
সাতগ্রাম এলাকার নাজিরুল ইসলাম বলেন, তিনি ২০০০ সালে  খামার গড়ে তোলেছেন। তার খামারে পূর্ণবয়স্ক ১১টি গাভী রয়েছে। প্রতিদিন ৮০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি বছর কোরবানীর ঈদের বিক্রির জন্য তিনি পাঁচটি ষাঁড় গরু পালন করেন। এতে খরচ বাদে তার প্রায় দুই লাখ লাভ হয়। আগামী ঈদকে সামনে রেখে তিনি সাতটি গরু পালন করছেন। বাজার ভালো থাকলে চার লাখ আয়ের স্বপন দেখছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গরু বিক্রির আয় দিয়ে তিনি সারা বছর সংসারের খরচ চালাচ্ছেন। তার দেখাদেখি অনেক বেকার যুবক এলাকায় খামার গড়ে তোলেছেন। তার খামারে দুইজন শ্রমিক মাসিক ১৬ হাজার টাকা বেতনে দিচ্ছেন।
শফিকুল জানান, প্রশিক্ষণ শেষে শেষে আড়াইহাজার উপজেলা যুবউন্নয়ন অধিদফতর থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে প্রথমে একটি গাভী নিয়ে খামার শুরু করেন। বছর ঘুরতেই তিনি লাভ দেখতে পান। দুধ বিক্রির টাকা থেকে ঋণের টাকা পরিশোধ করছেন। স্বল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করলেও, লাভজনক হওয়ায় খামারের পরিধি বুদ্ধি করার চিন্তাভাবনা করছেন। গোবর দিয়ে তিনি বাড়িতে একটি বায়ুগ্যাস প্লানও স্থাপন করেছেন। এটি থেকে পরিবারের সকল রান্না-বান্নার কাজ চলছে।
দুগ্ধ খামারকে কেন্দ্র করে মের্সাস ভাই বোন ট্রেডার্স, সিরাজ ফিড, লিটন ট্রেডার্স, মা ফিড, মদিনা ফিড ও ভাই ভাই ফিডসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গবাদীর পশুর সুষম খাদ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় খামারিরা ফিড কিনে নিচ্ছেন। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে সুষম এই খাবার খাওয়ানোর ফলে খামারে আগের তুলনায় দুধের উৎপাদন কয়েক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান স্থানীয় লিটন ট্রেডার্সের মালিক লিটন জানান, প্রতিদিন গড়ে দুইশ’ বস্তা বিক্রি হচ্ছে। ২৫ কেজির একটি বস্তা ৬শ’ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সুষম খাবার খামারে ব্যবহার করে খামারিরা লাভবান হচ্ছেন। আগের তুলনায় ফিডের বিক্রিও বেড়েছে।
আড়াইহাজার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডাক্তার মো: ফারুক আহাম্মদ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, বাছুর মৃত্যুর হার আগের তুলনায় অনেক কম। উপজলার নীচু এলাকায় দারিদ্র খামারিদের বিনামূল্যে কৃষিনাশক বড়ি দেয়া হচ্ছে। তৃণমুল পর্যায়ে ভেকসিনেশন চালু হওয়ায় তরকা (এনথ্্রাক্স) রোগের পার্দুভাব কমে গেছে। এতে এলাকায় গাভীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, ৩০ জন করে খামারির অংশ গ্রহণে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমন ইস্টারেস্ট ( সি,আই, জি) প্রকল্প চালু করার প্রস্তুতি চলছে। এত খামারিরা উপকৃত হবেন। দুগ্ধ খামারগুলিতে প্রতিদিন ৪৭ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে ক্রেতা (কনজুমার) সৃস্টি হওয়ায় উৎপাদিত দুধ বিক্রিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
আড়াইহাজার পৌরসভা শাখা কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মুক্তিযোদ্ধা  মো: মতিউর রহমান জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকারের বকনা বাছুর প্রকেল্পের অধিনে বরাদ্দ অনুযায়ী স্থানীয় আর্দশ ডেইরী ফার্ম ও মেসার্স নাসিব মিক্স নামে দুই দুগ্ধ খামারে ৫ পার্সেন সুদে চার লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ই, আ, ম, মামুন মজুমদার বলেন, দুগ্ধ খামারে উৎসাহিত করতে স্থানীয় বেকার যুবক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ৩০ জন যুবক-যুবতীকে ৭ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।