নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের পূর্ব ঘোষিত আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বিশাল সমাবেশ স্থগিত করেছেন তিনি কৌশলগত কারণে এ সমাবেশ স্থগিত করেছেন।
তবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির পর সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট চলাকালীন সময়ে গণমাধ্যমকে ডেকে পূর্বের ঘোষিত সমাবেশ স্থগিতের কথা জানান শামীম ওসমান।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে মতবিনিময় সভা করে ৩ ফেব্রুয়ারি শহরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন শামীম ওসমান।
তিনি বলেছিলেন, এ সমাবেশ হবে স্মরণকালের সব থেকে বড় এবং প্রমাণ করা হবে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যাতে বুঝতে পারেন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী। এ সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতকে বুঝিয়ে দেয়া হবে নারায়ণগঞ্জে কোনো ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।
সমাবেশ স্থগিতের বিষয়ে শামীম ওসমান আদালত পাড়ায় বলেন, আগামী ৩ তারিখে স্মরণকালের বৃহৎ সমাবেশ করবো বলেছিলাম। যেহেতু ৮ তারিখে একটি রায় হবে। এছাড়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পর যারা জ্বালাও পোড়াও করেছিল তাদের আস্ফালন আবারও দেখতে পাচ্ছি এবং এ সুযোগে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াত শিবিরের ওপরে ভর করে দেশে যে অরাজকতা চালানোর চেষ্টা করছে আমি চেয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জের মানুষকে আগ থেকে সচেতন করতে। কিন্তু জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে এখনও বিষয়টি ফাইনাল করতে পারিনি। এছাড়া কৌশলগত কারণে ৮ তারিখে রায়ের পর আমরা সুবিধা মতো নারায়ণগঞ্জে এ জনসভা করবো। কারণ আমরা রায়ের পক্ষে শ্রদ্ধাশীল। তাই আদালতের রায় কি হয় তার অপেক্ষায় থাকবে নারায়ণগঞ্জবাসী।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতের রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত নারায়ণগঞ্জের মাটিতে কোনো ধরনের অপরাজকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। নারায়ণগঞ্জবাসী শান্তি চায়, ভালোভাবে বাঁচতে চায়। তাই ৮ তারিখে আদালতের রায়ের পর পরিস্থিতি বুঝে সমাবেশের আয়োজন করা হবে। আগেও বলেছিল, এখনও বলছি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ ঐক্য ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।


ভোটগ্রহন চলাকালীন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্যান্ডেলে উপস্থিত হন, আওয়ামীলীগের নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, সংরক্ষিত নারী সাংসদ অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো: বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, জাতীয় শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতা কাউছার আহমেদ পলাশ, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, মহনগর ছাত্রলীগের আহবায়ক হাবিবুর রহমান রিয়াদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো: জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল,ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু মোহাম্মদ শরিফুল হক প্রমুখ।
অপরদিকে বিএনপির প্যান্ডেলে উপস্থিত হন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও জেলা বারের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, অ্যাডভাকেট জাকির হোসেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী প্রমুখ
নেছার উদ্দীন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল গোপালগঞ্জের অজপাড়া টুঙ্গিপাড়ায়, কিন্তু নিজের মেধা ও পরিশ্রমের কারণে তিনি দেশের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন। দেশনেতা থেকে বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, অজপাড়া গাঁ বলে এখন আর কোন শব্দ নেই। প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। তাই বক্তাবলীর এই গ্রাম থেকেও সাফল্যের চূড়োয় উঠতে পারে যে কেউ।
অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, শিক্ষা একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় নিজেদের আবদ্ধ না রেখে জ্ঞান অর্জনের দিকে শিক্ষার্থীদের মনোযোগী হতে হবে। জিপিএ-৫ অর্জন-ই নয়, প্রত্যেককে আলোকিত মানুষও হতে হবে। এসময় সকলে হাত উচিয়ে আলোকিত মানুষ হবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।





