৪ঠা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 252

দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হচ্ছে পাসপোর্ট বিভাগ-টিআইবি

দেশের সেবা খাতগুলোর মধ্যে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হচ্ছে পাসপোর্ট বিভাগ। এখানে সেবা নিতে গিয়ে প্রায় ৭৭ শতাংশ মানুষকে দুর্নীতি ও ঘুষের শিকার হতে হয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ‘সেবা খাতে দুর্নীতি জাতীয় খানা জরিপ ২০১৫’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৫ সালে প্রাক্কলিত মোট ঘুষের পরিমাণ আট হাজার ৮২২ কোটি টাকা। যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটের তিন দশমিক সাত শতাংশ। প্রতিবেদনে জানানো হয়, উচ্চ আয়ের তুলনায় নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর দুর্নীতি ও ঘুষের বোঝা অনেক বেশি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, উপনির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া খায়ের প্রমুখ।

পুলিশ প্রশাসনের সাফল্যের পর মানুষ বিশ্বাস করছে না – গোলাম মোর্তোজা

গোলাম মোর্তোজা : অল্প কিছু দিনের মধ্যে হত্যাকা- ঘটানো আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা আদালতে জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকা- ঘটানোর দায় স্বীকার করেছে। এটা তো পুলিশ বাহিনীর একটা বড় সাফল্য। এমন একটি কাজের পরে তো প্রশংসিত হওয়ার কথা পুলিশ বাহিনীর। কিছুটা হলেও আস্থা ফিরে আসার কথা। বাস্তবে তা কি হচ্ছে? পুলিশ কি প্রশংসিত হচ্ছে? হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না?

গণমাধ্যম তার দায়িত্ব পালন করছে না? পুলিশের ভালো কাজ তুলে ধরছে না? হয়তো তুলে ধরছে না বা তুলে ধরতে পারছে না। কাজ করতে গিয়ে পুলিশ যা করছে বা বলছে, তার প্রেক্ষিতে ‘পুরো কাজই’ সন্দেহের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের কিছু করার নেই। পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ কর্তাদের কথা শুনে, কাজ দেখে-বুঝে, জনমানুষের ভেতরে ‘বিশ্বাসহীনতা’ জন্ম নিচ্ছে। যা ক্ষণস্থায়ী নয়, স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে।

আপনি অনেক কিছু করছেন, অনেক কিছু বলছেন-মানুষ কিছুই বিশ্বাস করছে না। এমন একটি ভয়াবহ ‘বিশ্বাসহীনতা’র পরিবেশ বাংলাদেশে বিরাজ করছে। এই ‘বিশ্বাসহীনতা’র প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু কথা।

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে রাত সাড়ে বারোটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। আর মুখে বলছেন, না তেমন কিছু না। গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মুখোমুখি করা হয়েছেন। আপনারা যা করেছেন, আর মুখে যা বলছেন- একটির সঙ্গে আরেকটি সঙ্গতিপূর্ণ নয়। স্বাভাবিক কারণেই মানুষ আপনাদের কথা বিশ্বাস করছে না। বিশ্বাস যে করছে না, বিশ্বাস না করার কারণ যে আপনারা তৈরি করছেন-তাও বুঝতে চাইছেন না। জোর করে যে বিশ্বাস করানো যায় না, তা বুঝতে চাইছেন না।

মানুষ যা ভাবে, প্রকৃত ঘটনা কখনও কখনও তার সম্পূর্ণ বিপরীত হয়। পৃথিবীতে এমন অনেক নজির আছে। ‘বাবুল আক্তারই তার স্ত্রী মিতুকে হত্যা করিয়েছে’-এমন একটি ধারণা পুলিশই প্রচার করিয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও, অসত্য নাও হতে পারে। এত স্পর্শকাতর একটি বিষয় সেভাবেই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন ছিল। প্রয়োজন ছিল অতিরিক্ত সতর্ক থাকার। যা এক্ষেত্রে একেবারে লক্ষ্য করা যায়নি। একজন পুলিশ সুপার কর্মরত থাকা অবস্থায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হয়েছেন-এমন নজির তো নেই। এটা তো এত স্বাভাবিক ঘটনা নয়। দেশের সব মানুষ তা বুঝতে পারলেও, পুলিশ কেন তা বুঝতে পারছে না, সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না।

মিতু হত্যার আসামিদের মুখোমুখি করার জন্যে, তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্যে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এটাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশের বক্তব্য। কোন আসামিদের মুখোমুখি করা হলো বাবুল আক্তারকে? বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে শুক্রবার মাঝরাত থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত। মিতু হত্যায় প্রথম দুজন আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয় শনিবার। চট্টগ্রামের পুলিশ সেই তথ্যই জানিয়েছে। তাহলে শুক্রবার রাতে কোন আসামিদের মুখোমুখি করা হলো? তখন পর্যন্ত তো পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করার কথা বলেনি। গ্রেফতারকৃত কোনও আসামিকে ঢাকায় আনা হয়েছে, তাও বলেনি পুলিশ।

সুতরাং বাবুল আক্তারকে গ্রেফতারকৃত আসামিদের মুখোমুখি করার জন্যে ডেকে নেওয়া হয়েছিল, তা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য কোনও কথা হচ্ছে না। পুরো বিষয়টির মধ্যে গভীর কোনও ‘রহস্য’লুকিয়ে আছে বলে মানুষের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, দু’একজন ধরা পড়বে। দুজন ধরা পড়ছে। বিষয়টি খুবই ইন্টারেস্টিং। পুলিশ বলছে, সবকিছু জানে আসামি ‘মুছা’। সে বাবুল আক্তারের পুলিশের সোর্স। মুছার পরিকল্পনাতেই এই হত্যাকা- ঘটেছে। মুছাকে পাওয়া গেলেই সব পাওয়া যাবে-এমন একটি ধারণা বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুছাকে পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া কি যাবে?

মনে হয় না। পুলিশের একাধিক সূত্রই জানাচ্ছে, মুছাকে সপ্তাহখানেক আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মুছার ক্রসফায়ারের সম্ভাবনা ছিল, এখন সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সম্ভবত ‘মুছা’ এখন ‘অদৃশ্য’কোনও নাম। কোনও দিনই হয়তো মুছা আর ‘দৃশ্যমান’হবে না। জানাও যাবে না, মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারীর নাম।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গত দু’তিন দিনের কথায়ও তার ইঙ্গিত আছে। বাবুল আক্তার ও পরিবার নিয়ে যে গুঞ্জন চলছিল তার সত্যতা বিষয়ে আগের দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘হতেও পারে।ৃ. প্রকাশ করার সময় আসেনি।’পরের দিন বলেছেন, ‘বাবুল আক্তার নজরদারিতে নেই।ৃ. তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ এখনও আসেনি।’ ‘হয় জেল অথবা পুলিশ বাহিনী থেকে সরে যাওয়া’ পুলিশের পক্ষ থেকে বাবুল আক্তারকে দেওয়া প্রস্তাবের এই প্রসঙ্গটি সর্বত্রই আলোচিত হচ্ছে।

বাবুল আক্তার যদি সত্যিই হত্যাকা-ে সম্পৃক্ত থাকেন, সেই প্রমাণ যদি পুলিশের কাছে থাকে-তবে বিচার হবে না কেন? কেন তাকে বাহিনী থেকে সরে যেতে হবে? এমন অবিশ্বাস্য সব কর্মকা- করে, এমন অবস্থা প্রতিষ্ঠিত করে দেয়া হয়েছে যে-

মূল হত্যাকারী আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে।

বাবুল আক্তারকে পুলিশ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রেক্ষাপট পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে।

পুলিশ যা করছে তার কোনও কিছুই বিশ্বাসযোগ্য নয়।

অন্য আর দশটি হত্যাকা-ের মতো মিতু হত্যারও প্রকৃত অপরাধী সনাক্ত হবে না, ধরা পড়বে না, বিচার হবে না।

বাবুল আক্তারের স্ত্রীর চরিত্রহননমূলক কল্পকাহিনী গণমাধ্যম প্রচার করে গর্হিত অপরাধ করেছে। এই গল্প প্রচারে উদ্বুদ্ধ করে পুলিশও কম অপরাধ করেনি। প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের চেয়ে, কল্পকাহিনী প্রচার করে, বাবুল আক্তার ও তার পরিবারের নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করার দিকে মনোযোগ বেশি।

বাবুল আক্তার সৎ না অসৎ সেটা ভিন্ন আলোচনা। বাবুল আক্তার সাহসী-যোগ্য-দক্ষ পুলিশ অফিসার-এটা প্রমাণিত। বাবুল আক্তার বড় কোনও কর্তা বা বড় কোনও গোষ্ঠীর প্রতিপক্ষ হয়ে গিয়েছিল। বড় শক্তির সঙ্গে যুদ্ধ করার পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে বাবুল আক্তারকে।

কোনটি সত্য, কোনটি মিথ্যা, তার চেয়ে বড় বিষয়-মানুষ বিশ্বাস করছে যে সত্য প্রকাশ করা হচ্ছে না, প্রকাশ করা হবে না। সাধারণ জনমানুষের কাছে এত অবিশ্বাস এবং আস্থাহীনতা নিয়ে-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চলতে পারে না।

পুলিশের কর্তাদের বিষয়টি উপলব্ধিতে আসা দরকার।

নামাজে আমিন জোরে বলা যাবে না-আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

নামাজে আমিন জোরে বলা যাবে না, আস্তে বলতে হবে এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।

আলহামদুলিল্লাহ্‌….!! ঐতিহ্যবাহী আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরীফ পাঠানটুলী শাহী জামে মসজিদে বিগত ৪০ হাদীসের ২৮টি হাদীসের দারস আপনারা শুনেছেন…।।
গত ১৮ই রমজান পাঠানটুলী শাহী মসজিদে আয়োজিত দারসে বুখারীর বিদায়ী অনুষ্ঠানে বাকী ১২টি হাদীসের উপর খুবই তাত্ত্বিক ও দলীল ভিত্তিক দারস প্রদান করে আল্লামা আব্বাসী হুজুর…।।

দারসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলঃ—–
১. বিতের নামাজ ১ রাকাত নয় বরং ৩ রাকাত এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
২. ইকামতের আগে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা বিদআত, ইকামতের পরে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৩. নামাজে আমিন জোরে বলা যাবে না, আস্তে বলতে হবে এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৪. ইমামের পিছে মুক্তাদীগণকে সূরা ফাতেহা পড়া যাবে না এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৫. নবীজী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা গায়েব জানতেন এর পক্ষে সহীহ হাদীস থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবী ও ওহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৬. মুসলমানের ঐক্য এবং জিহাদ…।।
৭. খাতমে নুবুওয়্যাত অস্বীকারকারী ইহুদীদের চেয়েও বড় কাফের…।।

সংসদে অর্থবিল পাস

ডেস্ক নিউজ: রপ্তানি খাতের উৎসে কর হ্রাস, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক সুবিধার প্রসার, পোল্ট্রি খাতের পণ্যে রেয়াত সুবিধা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধে শুল্ক প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু সুবিধা দিয়ে পাস হলো অর্থবিল-২০১৬।

একই সঙ্গে অর্থবিলে ভোজ্য তেল, চিনি, ডাল ইত্যাদি পণ্যে বিদ্যমান শুল্ক অব্যাহতির রেয়াত আগামী বছরও কার্যকর রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উত্থাপিত বিল কণ্ঠভোটে পাস হয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তৃতায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছেন। তার এই প্রস্তাবকে অনুশাসন মনে করে তার সব প্রস্তাবই গ্রহণ করা হলো।’

পরবর্তী সময়ে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের উপস্থিতিতে অর্থ বিল পাস হয়।

অর্থমন্ত্রী সমাপনী বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে রপ্তানি খাতের উৎসে করের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ১.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৭০ শতাংশ ধার্য করা হলো। অর্থ্যাৎ মাত্র ১০ পয়সা বাড়ল। আগে ছিল ০.৬০ শতাংশ। এ ছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্য ও  হিমায়িত দ্রব্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিদ্যামান ০.৬ শতাংশ উৎসে কর ২০১৬ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

অর্থমন্ত্রী বক্তৃতায় অন্যান্য খাতের বিষয়ে বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন কেমিক্যাল আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ কমিযে ১৫ শতাংশ ও স্পিনিং শিল্পের কাচাঁমাল ফ্লাস্ক ফাইবারের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক শিল্পের কাঁচামাল সিলিকন আমদানিতে শুল্ক হ্রাস করা হবে। ই-কমার্সের সঠিক সংজ্ঞা দেওয়া হবে। মেডিক্যাল ও সার্জারি পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হবে। জীবন বাঁচানো ওষুধের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করছি।

তিনি জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে অনুচ্ছেদ ২০১৩ এর তথ্য-প্রযুক্তিতে নিয়োজিত স্থাপনা ভাড়ার ওপর ৫৪ শতাংশ ভ্যাট সম্পূর্ণরূপে অব্যাহতি দেওয়া হলো। শিল্প খাতে বিদ্যমান মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক অব্যাহত রেখে আরো কতিপয় শিল্পের ক্ষেত্রে এই সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে।

ভোজ্য তেল, চিনি, ডাল, চাল ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্ক অব্যাহতির রেয়াত আগামী বছরও কার্য্কর থাকবে। পর্য্টন শিল্পে সিপার ও যন্ত্রপাতিতে সীমিত রেয়াত সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া ওষুধ শিল্পের কতিপয় কাঁচামাল আমাদানিতে শুল্ক সুষম করা হবে।

সিগারেটের ক্ষেত্রে বিদ্যমান উৎসে কর অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সিগারেটের ক্ষেত্রে বিদ্যমান উৎসে কর অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া বহুজাতিক কোম্পানির আয়ের হিসাব বর্তমানে সার্বজনীন কর বছর জুলাই-জুন তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তারা তাদের হিসাব তাদের দেশের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে রাখতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক রাবার তৈরিতে উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর (মূসক) প্রত্যাহার করা হয়েছে।  দেশে উৎপাদিত প্লাস্টিক পণ্যে ট্যারিফ মূল্য ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা, প্রণোদনা দেওয়ার লক্ষ্যে চা উৎপাদনে প্রতি কেজি চায়ের ট্যারিফ মূল্য ১.৬ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১ কেজি তাজা ফুলের ট্যারিফ মূল্য ১ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হলো।

নির্মাণ খাতের উপরণ, বিশেষ করে বাঁশ, রড ও অ্যালুমিনিয়ামসহ বিভিন্ন পণ্যে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে এর কাঁচামাল আয়কন ও ফ্যারোয়েল ইত্যাদির শুল্ক সুষমভাবে হ্রাস করা হবে।

গত ২ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের সঙ্গে এই অর্থবিল উত্থাপন করেছিলেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। বুধবার সকালে সেই বাজেটের ওপর সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বক্তৃতা করেন। পরে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় কয়েকটি প্রস্তাবে সংশোধনী আনতে বলেন। অর্থমন্ত্রী তার সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশগুলো গ্রহণ করে অর্থবিল-২০১৬ সংসদে উত্থাপন করেন।

বৃহস্পতিবার পাস হবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট। আগামী ১ জুলাই নতুন অর্থবছরের শুরুতে এই বাজেট কার্যকর হবে।

নিষেধাজ্ঞার কবলে চলচ্চিত্র ‘দ্য ফেক’

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:  নিষেধাজ্ঞার কবলে আটকা পড়ল দ্য ফেক আদালতের অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়নি মুখোশ মানুষ গল্প অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র দ্য ফেক। গত মাসের শেষ দিকে এই চলচ্চিত্রটির সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ঢাকার জেলা জজ আদালত। আদালতের এ আদেশের প্রেক্ষিতে সেন্সর বোর্ড ছবিটি মুক্তির অনুমতি দেয়নি। বিবেক মিডিয়ার কর্নধার প্রবাসী বাঙ্গালী প্ল্যাসিড পল রোবেরো’র দায়ের করা একটি মামলায় গত ২৬ মে এস এস কুদ্দুস জামানের আদালত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই সঙ্গে আদালতের এই নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এই সিনেমার পরিচালক ও প্রয়োজককে কারন দর্শাতেও বলা হযেছে। আদালতের আদেশে বলা হয়, দ্য ফেক ফিল্মটির রিলিজ সংক্রান্ত কার্যক্রম আদালত পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবরনে জানা গেছে, মুখোশ মানুষ নামে একটি খ-কালীন নাটক নির্মানের জন্য উদ্যোগ নেন প্ল্যাসিড পল রোবেরো’র বিবেক মিডিয়া ও জাপানের আরেকটি প্রতিষ্ঠান জাপান-বাংলাদেশ মিডিয়া লিমিটেড। নাটকটি পরিচালনার জন্য এই মামলার ১ নম্বর বিবাদী ইয়াসির আরাফাত জুয়েল ওই দুই মিডিয়ার সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। নাটকটি নির্মানে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেন বিবেক মিডিয়া ও জাপান-বাংলাদেশ মিডিয়া লিমিটেড। অথচ পরিচালক ইয়াসির আরাফাত জুয়েল এই নাটকটির কার্যক্রম অসমাপ্ত রেখেই মুখোশ মানুষ এর গল্প দিয়েই বে আইনী ভাবে দ্য ফেক নামে একটি চলচ্চিএ নির্মান করেন। এই চলচ্চিত্রটি নির্মানের জন্য যাতীয় ব্যয়ভার বহন করেন প্রয়োযজক একেএম সামসোদ্দাহা পাটোয়ারী। যিনি এই মামলার দুই নম্বর বিবাদী। চলতি মাসেই এই চলচ্চিত্রটি বাজারে ছাড়ারও পরিকল্পনা ছিল তাদের। এমন পরিস্থিতিতে প্ল্যাসিড পল রোবেরো চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা জেলা জজ আদালতে এই চলচ্চিত্রকে অবৈধ ঘোষনা ও এর সকল কার্যক্রম বন্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ১২৮/২০১৬। আদালত নিষেধাজ্ঞা দরখাস্ত শুনানী না করেই ইহা তার গত ২৮ এপ্রিল তারিখের আদেশ দ্বারা বাদ দেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে বাদীগন ঢাকা জেলা জজ আদালতে একটি মিস আপিল দায়ের করেন। যার নম্বর ১১০/২০১৬। এরই প্রেক্ষিতে আদালত অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। জানতে চাইলে নির্মাতা জুয়েলের সাথে গতকাল যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে বিবেক মিডিয়ার কর্নধার প্ল্যাসিড পল রোবেরো বলেন, মুখোশ মানুষ নামে একটি খ-কালীন নাটক পরিচালনা জন্য এই মামলার প্রথম বিবাদী ইয়াসির আরাফাত জুয়েল আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। কিছু দিন নাটকের কাজ করার পর পরিচালক জুয়েল জানান যে, তিনি বেশী কাজ করে ফেলেছেন। আরো কিছু টাকা খরচ করে এটা টেলিফিল্ম আকারে নিমার্ণের দাবি জানান। এরপর বিবেক মিডিয়া ও জাপান-বাংলাদেশ মিডিয়া লিমিটেড বিষয়টি নিয়ে আলেচনায় বসেন। এরপর টেলিফিল্ম আকারে নিমার্ণের জন্য আরো কিছু টাকা বিনিয়োগ করে এ দুই প্রতিষ্ঠান। তারপর পরিচালক এটাকে চলচ্চিত্র আকারে নির্মানের দাবি জানায়। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে এটার পেছনে ১৫-১৬ লক্ষ্য টাকার মতো বিনিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু পরিচালক জুয়েল মুখোশ মানুষ গল্পটি অবলম্বনে দ্য ফেক নামে একটি চলচ্চিত্র বানান। একেএম সামসোদ্দাহা পাটোয়ারী নামে একজন এটি প্রয়োজনা করেছেন। এতে আমারা বিশাল ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছ্ িএমন পরিস্থিতিতে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি। আদালত এটার সকল কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক সংকট দূর করার আশ্বাস দিলেন শামীম ওসমান

স্টাফ রির্পোটারঃ ঈদের পর তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক সংকট দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেন, আসন্ন রমজানের ঈদের পর তৃণমূলের মতামত নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির সংকট দূর করবো। অনেক পত্র পত্রিকায় লিখা হচ্ছে আজকের অনুষ্ঠানে কি হবে না হবে! কিন্তু আমরা ইফতার নিয়ে রাজনীতি করি না। মঙ্গলবার (২৮ জুন) বাদ আসর নারায়ণগঞ্জ ক্লাব কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের আয়োজনে মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, মানুষ দুই প্রকার হয় ভালো আর মন্দ। আমরা ভালোদের নিয়েই রাজনীতি করতে চাই। মুখোশধারীদের কে নিয়ে নয়। বঙ্গবন্ধুর সময় খন্দকার মোস্তাক ছিল এখনো আছে। যুগে যুগে মোস্তাকের মত মুখোশধারীরা আসে।

এ সময়ে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জকে আলোকিত নারায়ণগঞ্জ হিসেবে দেখতে চাই। সুন্দর রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য সকল নেতৃবৃন্দকে এক টেবিলে বসিয়ে সাংসদ শামীম ওসমানকে ঐক্যবদ্ধ করার আহবান জানান।

মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিনের রেষ কাটানোর জন্য এই ইফতার। মানুষের কল্যানে ঐকবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।

ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব লিয়াকত হোসেন খোকা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল হাই, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ণ ও কল্যান বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহম্মেদ পলাশ, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হায়দার আলী পুতুল, কমান্ডার গোপীনাথ দাস, বাবু চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো বাদল, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্টস্ এসোসিয়েশন সভাপতি লিটন সাহা, পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা সভাপতি শ্রী শংকর সাহা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানী, সহ-সভাপতি এড. আলী আকবর, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন সহ রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ।

জামায়াত-শিবিরই গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে- ড. হাছান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জামায়াত-শিবিরের যেসব ক্যাডার আগে মানুষের হাত-পায়ের রগ কাটতো তারাই এখন বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর নামে গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, যেসব জঙ্গিগোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে, তাদের খালেদা জিয়া তার আঁচলের তলায় আশ্রয় দিয়েছেন।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জঙ্গি নেত্রী হিসেবে আখ্যা দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) জঙ্গিদের পাশে বসিয়ে জঙ্গিবিরোধী বক্তব্য রাখেন। খালেদা জিয়ার প্রচ্ছন্ন ছায়ায় এবং বিএনপি নেতাদের অর্থায়নে এসব হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

‘সরকারের উচিত হবে ব্রিটেনের উদাহরণ অনুসরণ করা’- খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি যেভাবে নিরীহ মানুষ হত্যা করেছিল ব্রিটেন বা অন্য কোন উন্নত দেশ হলে তিনি এতদিনে রাজনীতি করার অধিকার হারাতেন।

প্রতিদিন ইফতারের পূর্বে খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করছেন। মিথ্যা বলায় বিএনপি নেত্রী অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন।

তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম বিএনপি নেত্রী নাকি দলের নেতাদের উপর বিরক্ত। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার উপর আরও বেশি বিরক্ত। চার মাস হয়ে গেছে সম্মেলনের পর বিএনপি এখনো কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি। যে নেত্রীর উপর তার দলের নেতারা আস্থা রাখতে পারেনি, তার উপরে জনগণ কীভাবে আস্থা রাখবে? সে দল কীভাবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে।

সংগঠনের উপদেষ্টা এমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

যে কারণে অবসর নিলেন মেসি

বয়স মাত্র ২৯ বছর। যে ফর্ম এবং যে ফিটনেস তাতে আর সাত-আট বছর তো অনায়াসেই খেলতে পারেন লিওনেল মেসি। অথচ টানা তিনটি, মোট চারটি ফাইনাল হেরে এখনই কি না অবসরের ঘোষণা দিলেন! ঐতিহ্যের আকাশি-সাদা জার্সি গায়ে বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সিতে আর দেখা যাবে না মেসিকে।

এদিকে মেসির অবসরের পেছনে ফক্স স্পোর্টস কিছু কারণ বের করেছে। কারণগুলো হল-

পরপর তিনটি বড় ফাইনালে পরাজয়: মেসি নিজেই বলেছেন, আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি সর্বোচ্চ চারটি আসরের ফাইনাল খেলেছেন; অথচ একটিও জিততে পারেনি। বিশেষ করে অধিনায়ক হয়ে তিন বছরে তিনটি ফাইনাল হেরেছেন। এর দায় পুরোটাই নিজের কাঁধে নিয়েছেন।

পেনাল্টি মিস: আর্জেন্টিনার হয়ে ১১৩টি ম্যাচ খেলে গোল করেছেন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫টি। শতবর্ষের এ আসরের ফাইনালে চিলির করা প্রথম শটই রুখে দেন রোমেরো। কিন্তু মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম শটটি নিতে এসে মিস করলেন। আর এতেই শিরোপা জয়ের যে ক্ষীণ আশাটুকু ছিল সেটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। আর এ হারের জন্য নিজেকে দোষী ভাবছেন মেসি।

আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার সঙ্গে দূরত্ব: ফাইনালের তিনদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা বিভ্রাট নিয়ে আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থাকে একহাত নিয়েছিলেন। বিমানবন্দরে তাদের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটটি দেরি হওয়ায় সেখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। তার পরই টুইটারে সমালোচনা করেন মেসি, যা কানে আসার পর ফিফাও আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থাকে একহাত নেয়। যে কারণে এএফএর সঙ্গে একটা শীতল সম্পর্ক তৈরি হয় তার।

ম্যারাডোনার তির্যক মন্তব্য: কোপা চলার মধ্যেই ম্যারাডোনার এক মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। অধিনায়ক মেসিকে তিনি ‘ব্যক্তিত্বহীন’ বলেন। এমনকি আর্জেন্টিনায় বসে তিনি ক’দিন আগে এমনও বলেন যে, কোপা জিততে না পারলে দেশে ফেরার দরকার নেই। এক সময়কার কোচের এমন কথায় ভীষণ আহত হয়েছিলেন মেসি।

স্বদেশি মিডিয়ার সমালোচনা: আর্জেন্টিনার মিডিয়াগুলো বরাবরই মেসির সমালোচনায় মুখর। তাদের অভিযোগ, মেসি যতটা না আর্জেন্টিনার, তার চেয়ে বেশি বার্সেলোনার। মেসি ১৩ বছর বয়সেই বার্সেলোনা একাডেমিতে যোগ দেন। তাকে স্পেন জাতীয় দলেও খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটা গ্রহণ করেননি। আর্জেন্টাইন মিডিয়ার অভিযোগ, মেসি আবেগ দিয়ে দেশের জন্য খেলেন না। এ জন্যই দেশের হয়ে কোনো ট্রফি জিততে পারেননি তিনি।

ঈদের আগে পুলিশ বাণিজ্য করার সুযোগ পাচ্ছে- খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপির তিন হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। সত্যিকার অপরাধীদের ধরলে সরকারকে সহযোগীতা করতে চাই। ঈদের আগে পুলিশ বাণিজ্য করার সুযোগ পাচ্ছে। এ অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর লেডিস ক্লাবে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, বিদেশি হত্যাসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে সরকার ধরতে পারেনি। কারণ লোকগুলো তাদের ছিল। তবে দেশে বিদেশকে দেখানের জন্য সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু এই অভিযানে যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের বেশিরভাগই অপরাধী ছিল না।

ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

নিউজ প্রতিদিন ডট নেটঃ ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা এবং ঘরে ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি। অপরাধ দমনে জনগণকেও এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, ‘চুরি, ডাকাতি প্রতিরোধের জন্য মেট্রোপলিটনের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। অন্যান্য ঈদ, পূজার চেয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতর অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন, উৎসব মুখর এবং জনগণকে কোন ধরণের বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।