আইভীর লোকজন হকারদের ওপর গুলি করেছে-শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নাসিক মেয়র আইভীসহ আহত-২০
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ শহরে হকারদের ঠেকাতে রাস্তায় নামার পর মেয়র আইভী ও শামীম ওসমানের সমর্থক হকারদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে নগরীর সাধুপৌলের গির্জার কাছে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নগরজুড়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মেয়র আইভী আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরই তার সঙ্গে থাকা নগরবাসী উত্তেজিত হয়ে হামলাকারীদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এরপরই চাষাড়ার দিক থেকে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ হয়। পরে আইভীপন্থী লোকজনও পাল্টা গুলি করে।
এতে করে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় দুই সাংবাদিক শরিফুদ্দিন সবুজ, তাপস সাহসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
হকার ইস্যু নিয়ে নারায়ণগঞ্জে সংঘর্ষ চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান মঙ্গলবার বিকেল থেকে শহরের ফুটপাতে হকারদের বসার নির্দেশ দেয়ার পর এবার হকারদের ঠেকাতে রাস্তায় নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগর ভবন থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে শহরের চাষাড়া যান তিনি। সেখানে পৌঁছার পর মেয়র আইভী ও এমপি শামীম ওসমান সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সংঘর্ষে মেয়র আইভীসহ প্রায় ৫০জন আহত হয়।
শহরে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নাসিক মেয়র আইভী ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অনুসারীেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মঙ্গলবার বিকালে বন্দর নগরীর আহত হয় অন্তত ৫০ জন। এদের একজন স্বয়ং মেয়র আইভী। ডিসেম্বরের শেষ দিকে নগরী থেকে হকার উচ্ছেদ করেছিল সিটি করপোরেশন। আর তাদেরকে বসতে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন শামীম ওসমান।
সোমবার তিনি মেয়রকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, হকাররা নারায়ণগঞ্জে বসবে, এটা তার অনুরোধ নয়, এটা তার নির্দেশ। মেয়র আইভীও জবাব দেন এভাবে যে, নারয়ণগঞ্জ শহর শামীমের এলাকা না। এখানে তার নির্দেশ চলবে না।
দুই নেতার অনঢ় অবস্থানের কারণে সকাল থেকেই নগরীতে ছিল উদ্বেগ উৎকণ্ঠা। চাষাঢ়ায় শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেয় পুলিশও।
বিকাল ৪ টা ১৮ মিনিটে নগর ভবনের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের নিয়ে অবস্থান নেন মেয়র আইভী। ওখান থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আবু সুফিয়ান আইভীর পক্ষে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করে চাষাড়ার দিকে আসতে থাকেন। পরে নেতাকর্মীদের নিয়েই আইভী হকার উচ্ছেদ করতে করতে চাষাড়ার দিকে আসতে থাকেন। এসময় আইভীর সঙ্গে সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন।
অপর দিকে হকার এবং শামীম ওসমানের অনুসারীরা অবস্থান নিয়েছিলেন চাষাঢ়া শহীদ মিনারে। আইভী যখন চাষাঢ়া সায়েম প্লাজার সামনে আসেন, তখন শামীম ওসমানের লোকজন আইভীর লোকজনদের বাধা দেয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে মেয়র আইভী, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফুদ্দীন সবুজ ও শামীম ওসমানপন্থী মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেনসহ অর্ধশতাধিক নেতা কর্মী আহত হন। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আর কয়েকশ পুলিশ এসে দুই পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দেয়।
বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে চাষাঢ়া রাইফেলস ক্লাব থেকে বের হন শামীম ওসমান। নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি চাষাঢ়া সায়াম প্লাজা পর্যন্ত শোডাউন করেন। এর আগে আইভী তার নেতাকর্মীদের নিয়ে চাষাড়া ত্যাগ করেন। পরে শামীম ওসমান রাইফেলস ক্লাবে ফিরে যান। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সকল মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
কোরআন শরীফ অবমাননাকারী হাসান ৫ দিনের রিমান্ডে
ফতুল্লায় পবিএ আল কোরআন শরীফ অবমাননাকারী ধৃত হাসান উল ইসলামের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে একটি মামলা রুজু হয় থানায়।
শনিবার রাতে থানার ভূঁইগর এলাকার আল আরাফা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ্ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। রোববার (১৪ জানুয়ারী) পুলিশ ধৃত হাসান উল ইসলাম কে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে আদালতে প্রেরন করলে, পরে নাঃগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানায় ওসি কামাল উদ্দীন (পিপিএম)।ধৃত হাসান উল ইসলাম কুতুবপুর ইউনিয়নের পূর্ব দেলপাড়া এলাকার মজিবুর রহমান ওরফে মজিবুরের ছেলে বলে জানা গেছে। গত ১০ জানুয়ারী হাসান তার ব্যবহৃত ফেইসবুকের আইডিতে পবিএ আল কোরআন শরীফ অবমাননা করে ১০টি ছবি পোষ্ট করেন।এর পরে ফেইসবুকে সেই পোষ্ট গুলি ভাইরাল হয়ে সকলের নজরের আসলে ধর্মপ্রান মুসলমানেরা ক্ষোভে ফেটেঁ উঠেন।
উল্লেখ্য যে গত শুক্রবার জুন্মার নামাজ শেষে ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকাসহ আশে পাশের মুসুল্লীরা হাসানের গ্রেপ্তারের দাবীতে তার বাড়ী ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং হাসানের বাড়ীতে অভিযান চালান, এসময় হাসানের বড় ভাই হেদায়েত উল ইসলাম ছাড়া অন্য সদস্যরা আত্নগোপনে চলে যায় পরে পু্লিশ হেদায়েত কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সোনারগাঁও থানাধীন মেঘনাঘাট এলাকায় চেকপোষ্ট পুলিশ হাসান উল ইসলাম কে আটক করেন এবং ফতুল্লা থানায় সোর্পদ করেন। শনিবার রাতে এঘটনায় কুতুবপুর ইউনিয়নের ভূৃইঘর এলাকাস্হ আল আরাফা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ছিদ্দিকুল্লাহ্ বাদী হয়ে হাসানের বিরুদ্ধে আইসিটি এ্যাক্টের ৫৭ ধারায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ হাসান কে জিঙ্গাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে রোববার আদালতে পাঠালে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে একটি সুএে জানা গেছে ধৃত হাসান উল ইসলাম ছোট বেলায় টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হলে তার বাম পা একটু বাকাঁ হয়ে যায়, এই কারনে তার পরিবার তাকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যায় এর পরে বেশ কয়েকমাস ভারতে চিকিৎসা করিয়েও তার পাঁ আর স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসেনি।
এদিকে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দীন (পিপিএম) জানায়, ধৃত হাসান উল ইসলাম পবিএ আল কোরআন শরীফ অবমাননা করে ছবি পোষ্ট দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন । সে পারিবারিক ভাবে মানসিক দিক দিয়ে বিপর্যস্ত থাকতো এবং সে মাদকাসক্ত বলেও পুলিশ কে জানিয়েছেন। ওসি আরো বলেন এর পরেও আরো কিছু বিষয় জানতে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে রোববার তাকে আদালতে প্রেরন করা হলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ-সংস্কৃতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ। প্রাচীন সম্পদগুলোকে রক্ষা করে আরও আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। পাহাড়পুর, শীতল পাটি, জামদানি, বাউল গান, মঙ্গল শোভাযাত্রা, ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত হয়েছে। এটা একদিকে আমাদের জন্য গর্বের অন্যদিকে লজ্জার। কারণ আমরা দেশের সম্পদকে মূল্যায়ন করতে পারিনি। প্রাচীন ঐতিহ্যকে আমরা সম্মান করি না। অথচ বিদেশিরা তাদের দেশে আমাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাসব্যাপী লোক-কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কক্সবাজার নিয়ে আমরা অনেক কথা বলি। পৃথিবীর দীর্ঘতম বিচ। কিন্তু এখানে বিদেশিরা কেন আসে না। কারণ এখানে বিদেশি পর্যটকদের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার তা নেই। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের আইনগত বাধাও আছে। আমরা যেমন নাইট ক্লাব করতে দেব না, তেমনি বার ও পানশালা করারও সুযোগ দেব না। এসব সুযোগ-সুবিধা না দিলে বিদেশি পর্যটকরা আসতে চায় না।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, সোনারগাঁয়ের পানাম সিটিতে বিদেশিরা কেন আসেন। কারণ আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সভ্যতা দেখতে আসেন তারা। বগুড়া, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, কান্তজির মন্দির, লালবাগ কেল্লা, ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখতে যান তারা। কিন্তু সমুদ্র সৈকত দেখতে যান না পর্যটকরা। এটা আমাদের অনুধাবন করা প্রয়োজন।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। তারই নেতৃত্বে দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে রূপান্তরিত করতে চাই। দেশের মানুষ ধ্বংসাত্মক রাজনীতি চায় না। হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ হত্যার রাজনীতি দেখতে চায় না। মানুষ শান্তিতে চলতে চায়, শান্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করে বাঁচতে চায়।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালে দেশের মানুষ না খেয়ে মারা গিয়েছিল। আজ মানুষ আর না খেয়ে মরে না। উত্তরবঙ্গের মঙ্গায় মানুষ না খেয়ে থাকতো। আজ সেই মঙ্গার মানুষের হাতে মোবাইল। যারা একসময় না খেয়ে থাকতো তারা আজ মোবাইল ব্যবহার করে। ৫০০/১০০ টাকা মোবাইলে খরচ করে তারা। কাজেই বুঝতে হবে দেশ কতটা উন্নত হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান, সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনুর ইসলাম, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজুর রহমান কালাম ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি প্রমুখ।
সিনথিয়া শারমিন এর কবিতা
★ব্যথা ★
এলোমেলো ভাবনার মাঝে,প্রতিনিয়ত তোমাকে
খুজে ফিরি,
তুমি পশ্চিমাকাশের সন্ধ্যাতারার মত অস্তগামী হয়ে যাও
দিগন্তরেখায়।
তবুও ভাবি,আসবে কি তুমি,গোধূলি বেলায় শিউলিমালা নিয়ে?
জানি,কোনো দিন আসবে না আমার আঙিনায়
রোদ্দুর হয়ে,
হিজল পাতায় লিখবে না চিঠি কখনও, উদাস দুপুর বেলায়।
আমার নামে কখনো পদ্ম পুকুরে ভাসাবে
না,তোমার গড়া তরীখানি।
জানি, প্রয়োজন ফুরালে কোন
একদিন ভুলে যাবে
এই আমাকে,
হয়ত সেদিন ও আমার কামনায় তুমি থাকবে,স্বপ্নে
দেখা স্বপ্নপুরুষ হয়ে।
অবুঝ আমি,সারাক্ষণ শুধু তোমাকেই ভাবি।।
তাবলিগের ভুল পথ ছেড়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আদর্শ গ্রহণের ঘোষণা দেন মোজাম্মেল
সিদ্ধিরগঞ্জে নানী-নাতি হত্যার ঘটনায় দু’জন ৩ দিনের রিমান্ডে
সিদ্ধিরগঞ্জ পাইনাদী মধ্যপাড়া এলাকায় নানি-নাতিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দু’আসামী মাসুম (৩৫) ও মুক্তার হোসেন (২৮)কে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক মাহমুদের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে দু’জনকে হাজির করা হলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশের পরির্দশক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে নানি-নাতি হত্যাকান্ডের ঘটনায় মাসুম ও মুক্তার হোসেনকে শিমরাইল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মাসুম ও মুক্তারকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক মাহমুদের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে পাঠানো হলে আদালত তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৭ জানুয়ারি রবিবার নানা-নাতি হত্যার ঘটনায় আরেক আসামী আক্তার হোসেন ১৬৪ ধারায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। আক্তার হোসেনের জবানবন্দীতে মাসুম ও মুক্তার হোসেনের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে। পরে তাদেরকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৪ জানুয়ারি নিখোঁজের ৫ দিন পর পাইনাদীর মধ্যপাড়াস্থ বাড়ির তালাবদ্ধ রুম থেকে পুলিশ নানি পারভিন আক্তার ও নাতি মেহেদী হাসানের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ নিহত মেহেদী হাসানের পিতা নবী আউয়ালকে সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠায়। নানি-নাতির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৪ জানুয়ারি রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বরিশাইল্যা টিপুকে গ্রেফতারের দাবিতে ফতুল্লা প্রেস ক্লাব ও থানার সামনে বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা পোষ্ট অফিস রোড এলাকার দিপ্তি ডাইংয়ের মালিক রফিকুল ইসলাম অরুফে বরিশাইল্যা টিপুকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে। শনিবার বিকেলে পোষ্ট অফিস রোড থেকে একটি মিছিল বের হয়ে ফতুল্লার মডেল থানার সামনে অবস্থান নিয়ে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে এসে এক প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় বক্তারা নব্য গফফাদার টিপু ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, জয়নগর ও দিপ্তি ডাইংয়ের মধ্যে অবস্থিত সরকারী রাস্তাটি দীর্ঘ ২ বছর ধরে বন্ধ করে দিয়ে মানুষ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করেন দিপ্তি ডাইংয়ের মালিক রফিকুল ইসলাম টিপু। এ নিয়ে এলাকাবাসী একাধিক বার প্রতিবাদ জানালেও টিপু প্রতিবাদকারীদের নানা ভাবে ভয়ভিতি দেখিয়ে আসছিলো। গত ৮ জানুয়ারী এলাকারা দেলোয়ার হোসেন রাস্তা বন্ধ রাখার প্রতিবাদ জানালে নব্য গডফাদার টিপু তার ভাই সাপ্পু, ভাগ্নে রায়হান,রাজিবসহ বেশ কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী দেলোয়ারের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
দেলোয়ারের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা দেলোয়ার গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। টিপুর বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা, চেকজালিয়াতি, সন্ত্রাসী লালনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী ঝাড়– মিছিলও করেছিলো। উল্লেখ্য, বরিশাইল্যা টিপু সাবেক এমপি কবরীর সময়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানের ফ্যাক্টরীতে হামলা চালিয়েছিলো বলেও অভিযোগ রয়েছে।
পবিত্র আল কোরআন অবমাননাকারী হাসান গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পবিত্র আল কোরআন অবমাননাকারী হাসান-উল ইসলামকে (২৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে মেঘনাঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।হাসান-উল ইসলাম ফতুল্লার পূর্ব দেলপাড়া এলাকার মাছ মজিবুর রহমানের ছেলে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন (পিপিএম) জানান, মেঘনাঘাট এলাকা থেকে হাসান-উল ইসলামকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
সম্প্রতি হাসান-উল ইসলাম তার নামে ফেসবুক আইডিতে পবিত্র আল কোরআন অবমাননা করে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন। এতে ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এ নিয়ে ফতুল্লায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে স্থানীয় মসজিদের ইমামরা জুমার নামাজ শেষে প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন।
এতে বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মুসলমান স্থানীয় একটি মাঠে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ করেন।
পরে বিক্ষোভ সমাবেশে মুসল্লিদের শান্ত করা হয়। এর পর হাসান-উল ইসলামের বড় ভাই হেদায়েত-উল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।









