২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 188

বন্ধু নুরুকে এডভোকেট আল আমীনের খোলা চিঠি

বন্ধু নূরু,
যেখানেই থাকিস ভালো আছিস নিশ্চয়। কয়েক বছর চলছে তোর সাথে সাক্ষাৎ নেই। জীবনের বাস্তবতাই এর জন্য দায়ী। আজ সেইসব দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে, যেইসব দিনগুলো ভবিষ্যতের জন্য বিড়ম্বনার না হয়ে আনন্দের হওয়ার কথা ছিল। তুই আর আমি ক্লাসমেট বন্ধু ছিলাম, যদিও বয়সে আমার চেয়ে তুই অনেক বড়। বন্ধু হিসেবে তুই এতটাই আমাকে ভালোবাসতিস যে, আমার সফলতায় তোর মূখে হাঁসি ফুটতো আর ব্যর্থতায় তোর চোঁখে আসত জল। তোর মতো বন্ধু পাওয়া যেকারো জন্যই ভাগ্যের ব্যাপার। অথচ আজ মনে হচ্ছে- তোর সাথে বন্ধুত্ব না হলেই মনে হয় ভালো হত; জীবনের এই পর্যায়ে এসে “ফালতু অতীত” বিড়ম্বনা হয়ে সামনে দাঁড়াত না।

আমি তোর চাচাত বোনের সাথে সম্পর্ক করতে রাজি ছিলাম না। তোর চাচাত বোনের পাগলামোর কারণে তুই আর তোর চাচি আমাকে বাঁধ্য করেছিলি সম্পর্কে জড়াতে। আমি রাজি না হলে নাকি তোর চাচাত বোনকে সুস্থ্য করা সম্ভব নয়- সে মারা যাবে। ইতোমধ্যে, অনেক কবিরাজ-ডাক্তার ব্যর্থ হয়েছিল তোর বোনকে সুস্থ্য করতে। প্রেম রোগ কি আর ডাক্তার-কবিরাজে ভালো হয়? তোর বোনের অসুখ সাড়াতে তুই একদিন রাত দুইটার সময় আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল তোদের গ্রামে তোর চাচার ঘরে। আমাকে জোর করেই তুই নিয়ে গিয়েছিল- হুমকি দিয়ে। ঘরে ঢুকে দেখি তোর চাচি কাঁদছে। সে রাতে আমি তোর বোনকে সুস্থ্য হওয়ার ঔষধ, ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি, দিয়ে এসেছিলাম। তারপর থেকে…। তোর বোন আর আমার সম্পর্কটি লুকোচুরির ছিল না। সেটা ছিল এলাকায়, বিশেষ করে আমাদের দুই গ্রামে, আলোচিত প্রেমের উপাখ্যান। লোকে জানত আমরা বিয়ে করে ফেলেছিলাম। তোর বোনের জন্যই তো এক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে মারামারি পর্যন্ত হয়েছিল। সেসব আর বলতে চাই না।

ঢাকায় পড়ালেখা করতাম। তোর বোনকে দেওয়া কথা মোতাবেক আমি প্রতি বৃহস্পতিবার বাড়ি আসতাম তোর বোনের নয়ন জুড়াতে। এইচএসসির ফাইনাল পরীক্ষার ব্যস্ততার কারণে কয়েক মাস বাড়ি আসা হচ্ছিল না। এরই মধ্যে তোর চাচার পরিবারে একটা দুর্ঘটনার কারণে তারা গ্রাম ছেড়ে চলে আসে শহরে। তখন তুই সিঙ্গাপুরে। রিটেন পরীক্ষা শেষ করে ব্যবহারিক পরীক্ষার আগে বাড়িতে এসে তোদের গ্রামে আমার ফুফুর বাড়িতে গিয়ে তোর চাচি আর তোর চাচাত বোনের বিশ্বাসঘাতকতার সংবাদটি শুনতে পাই। তোর চাচা বিদেশে থাকায় তোর চাচিই ছিল তখন সংসারের প্রধান নির্বাহী। আমি নিজেকে সামলে নিয়েছিলাম; যদিও সময় লেগেছিল। সিঙ্গাপুর থেকে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে তুই কেঁদেছিলি অনেক। নিজেকে আমার সামনে অপরাধী হিসেবে আত্মসমর্পন করেছিলি।

সবকিছুকে পেছনে ঠেলে আমি আমার লক্ষ্যে পৌছার সংগ্রামে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা এবং রাজনীতি নিয়ে যখন আমি ব্যস্ত সময় পার করছিলাম এমনি কোন এক শবে বরাতের রাতে তোর বোনের ফোন পেলাম। কয়েকদিন এভাবে ফোন করতে থাকলে এক পর্যায়ে তাকে বিরত হতে বাঁধ্য করলাম। কারণ বংশহীন পরিবারে আমার জন্ম হয় নি।

তারপর থেকে অনেকগুলো বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের উপর সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে আইন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেছি। বিয়ে করেছি, সন্তান হয়েছে। সূখেই আছি। পেশাগত জীবনের পাশাপাশি রাজনীতিটাও চালিয়ে যাচ্ছি। এমনই এক সুন্দর সময়ে অতীত সামনে এসে দাঁড়িয়েছে বিড়ম্বনা হয়ে; যেই অতীত ঘটনাবলীর তুই অন্যতম চরিত্র। প্রেম করা কি পাপ? প্রেম করে তোর বোনকে সুস্থ্য করা কি পাপ ছিল?। আমি তো কারও স্ত্রীর সাথে প্রেম করিনি। আমার সাথে সম্পর্ক ছিল তখন, যখন তোর বোন কারও স্ত্রী ছিল না।

তোর ভগ্নিপতি স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক। তোর বোনের সাথে অতীতের সেই সম্পর্কের জের ধরে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে সে আমাকে উদ্দেশ্য করে মিথ্যা বানোয়াট কথামালা সাজিয়ে সংবাদের নামে পত্রিকায় গল্প লেখে। আমার ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করতে চায়। যদিও এই ছোকড়ার পক্ষে সেটা কখনও সম্ভব নয়, তবুও ছোকড়ার লাফালাফিটা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে দিনদিন। এই সাংবাদিক ছোকড়ার ব্যক্তিগত যোগ্যতা ও তার পারিবারিক ইতিহাস তো ভালো করেই জানিস তুই। শুধু তুই কেন আমাদের দুই গ্রামের কে না জানে? ওর মতো এইট পাশ লোকাল পত্রিকার সাংবাদিকের নাম আমার মূখে উচ্চারণ করাও বেমানান। এমন পরিস্থিতিতে তুই প্রাসঙ্গিক চরিত্র। বল বন্ধু, “কী করা উচিত?”

নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

ডেস্ক নিউজঃ  নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার হাইকোর্টের রায়ে সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও সাবেক তিন র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রয়েছে। এছাড়া, রায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন ও ৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, বিচারিক আদালতের রায়ে ৩৫ জন আসামির মধ্যে নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও মাসুদ রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, কয়েকজনের জন্য পুরো বাহিনীকে দোষী করা যাবে না। যারা দোষ করেছে, তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে।
রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিষয়ে আপিল করা হবে কিনা, পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তিনিও মনে করেন, কয়েকজন ব্যক্তির দায় পুরো বাহিনীকে দেওয়া ঠিক হবে না।

হাইকোর্টের রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মামলার বাদী বিউটি বলেন, ‘ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যাশা করেছিলাম আসামিরা খালাস পাবে। কিন্তু কেউ খালাস পায়নি। ন্যায়বিচার হয়েছে বলে আমরা মনে করি না।’

এর আগে, মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষ হয় ২৬ জুলাই। ওই দিন রায় ঘোষণার জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। তবে সেদিন রায় ঘোষণা না করে রায় ঘোষণার জন্য ২২ আগস্টকে নতুন দিন ঘোষণা করা হয়।

মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হলো আমাদের রক্ষা করা, সেখানে তারাই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে। দেশে যত অপরাধ ঘটেছে, সব অপরাধের পরিসংখ্যান যদি নেওয়া হয় তবে এই অপরাধটি অপরাধ জগতের মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
গত ২২ মে সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত নুর হোসেনসহ আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করে।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট আহসান উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
বিচারিক আদালতের রায়ে এ মামলায় দণ্ডিত ৩৫ আসামির মধ্য ২৫ জনই র‌্যাবের সদস্য। তাদের মধ্যে ১৫ জন সেনাবাহিনী, দু’জন নৌবাহিনী ও আটজন পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে ছিলেন। ফৌজদারি অপরাধে একসঙ্গে এত র‌্যাব সদস্যদের সাজা এর আগে আর হয়নি। সাত খুনের মামলা হওয়ার পর তাদের সবাইকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে অপহরণ করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটন, সহযোগী মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, স্বপনের গাড়ি চালক জাহাঙ্গীরকে । ঘটনা দেখে ফেলায় নজরুলের গাড়ির পেছনে থাকা আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিমও অপহৃত হন। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে মেলে ছয়জনের লাশ। পরের দিন ভেসে ওঠে আরেকটি লাশ। মৃতদেহগুলো ইটভর্তি দুটি করে বস্তায় বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দু’টি মামলা করেন। একসঙ্গে দুই মামলার বিচার শেষে গত ১৬ জানুয়ারি রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন।

শহীদ মিনারে নায়ক রাজকে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

 

ডেস্ক নিউজঃ  বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা রাজ্জাকের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ সেখানে নেওয়া হয়।

সেখানে নায়করাজ রাজ্জাককে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের, , সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানসহ সর্বস্তরের মানুষ।

শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে তার মরদেহ গুলশানে আজাদ মসজিদ প্রাঙ্গণে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।

এর আগে সকাল ১১টার দিকে গুণী এই চলচ্চিত্র অভিনেতার মরদেহ এফডিসিতে নেওয়া হয়। সেখানে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পী ও কলাকুশলীরা রাজ্জাককে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবাদপুরুষ ও কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি পাঁচ সন্তানসহ, অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব, ভক্ত, অনুসারী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

রাজ্জাক ১৯৪২ সালে ২৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা সিনেমায় ‘নায়করাজ’ উপাধি পেয়েছিলেন তিনি।

ষাটের দশকের মাঝামাঝি তিনি চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। সত্তরের দশকে তাকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হত। তিনি একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন।

আখেরি স্টেশন, বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলা, এতটুকু আশা, নীল আকাশের নীচে, জীবন থেকে নেয়া, নাচের পুতুল, অশ্রু দিয়ে লেখা, ওরা ১১ জন, অবুঝ মন, রংবাজ, আলোর মিছিল তার ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলফলক।

নায়করাজ রাজ্জাক পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান। এছাড়া ইন্দো-বাংলা কলা মিউজিক পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার, আজীবন সম্মাননা (চলচ্চিত্র), ইফাদ ফিল্ম ক্লাব পুরস্কার পান তিনি।

নায়করাজের মৃত্যুর খবর শুনে ইউনাইটেড হাসপাতালে ছুটে যান নায়ক আলমগীর, ফেরদৌস, ওমরসানি, গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও চলচ্চিত্র জগতের কলাকুশলীরা।

ম্যাজিষ্ট্রেট আসবে বলে, পোষ্ট অফিস মোড়ের সব ফামের্সী বন্ধ!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ম্যাজিষ্ট্রেট আসার খবরে ফতুল্লা পোষ্ট অফিস মোড়ে অবস্থিত সবগুলো ওষুধের ফামের্সী বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায় ফামের্সীর মালিকরা।

স্থানীয়দের মতে, এসব ফামের্সীগুলোর সঠিক কাগজ নাই এবং নিষিদ্ধ অনেক ওষুধ বিক্রি করে থাকে, যে কারণে ম্যাজিষ্ট্রেট আসার খবর এসব ওষুধের দোকনোর মালিক-কর্মচারীরা তাদের নিজ নিজ ওষুধের ফাসমর্সী বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকায় অবস্থিত সবগুলো ওষুধের ফামের্সীতেই পাশ্ববর্তীদেশ ভারতের নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। যে কারনে তাদের মধ্যে সব সময় আতঙ্ক বিরাজ কেরে। শুধু ওষুধ ফামের্সীই নয়, এখানে দুইটি ডায়াগোনষ্টিক সেন্টার রয়েছে, এই দুইটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় ম্যাজিষ্ট্রেট আসার খবরে। এসব ফামের্সী ও ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে তারা।

নারায়ণগঞ্জ থেকে জেএমবির সক্রিয় ৩ সদস্য আটক

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জে পৃথক দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে জেএমবির ৩জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব-১১। এসময় তাদের কাছ থেকে পিস্তল, গুলি ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে র‍্যাব সূত্রে জানা যায় নারাণগঞ্জের লাঙ্লবন্দ ও তারাবো এলাকায় জঙ্গীবিরোধি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি, বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আবদুর রহমান ওরফে সুফিয়ান ওরফে রুবেল (২৭), ইমাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু মনা (২৬) ও সৈয়দ রায়হান আহমদ ওরফে নাসির (৩০)।

র‌্যাব-১১ জানায়, গোপন খবরে নারায়ণগঞ্জে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় আবদুর রহমান ও ইমাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করার সময় জঙ্গিরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র‌্যাবকে লক্ষ্য গুলি ছোড়ার চেষ্টা করে। এ সময় আবদুর রহমানের কোমর থেকে ৬ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারাব এলাকা থেকে নাসিরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

আলোচিত জজ মিয়া এখন গাড়ি চালক!

ডেস্ক নিউজঃ  শোকগাঁথা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আলোচিত এক নাম জজ মিয়া। সে সময় সিআইডি’র সাজানো নাটকে গ্রেপ্তার হওয়া নোয়াখালীর আলোচিত সেই জজ মিয়া আজ সর্বহারা। নোয়াখালীর সেনবাগ কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের  টেন্ডল বাড়ির জালাল আহমদ জজ মিয়া দীর্ঘ কারাভোগের পর গ্রাম ছেড়েছেন। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় এক বস্তিতে বসবাস করছেন। জজ মিয়া বাঁচার তাগিদে মা আর ছোট বোনকে নিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে চাকরি করছিলেন। কিন্তু স্বল্প বেতনে তার পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করা কষ্টসাধ্য হওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে অন্যত্র চাকরির আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সারা দেশে জজ মিয়া আলোচিত হলেও এলাকায় বা আত্মীয়স্বজনদের কেউই তার পরিবারের খোঁজখবর জানেন না। বীরকোট গ্রামের মৃত আবদুর রশিদ ও জোবেদা খাতুনের ৪ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে জজ মিয়া দ্বিতীয়। প্রায় একযুগ আগে তার বাবা মারা যাওয়ার পর সামান্য পুুঁজি নিয়ে ঢাকার মতিঝিলে ফলের ব্যবসা করতেন জজ মিয়া। ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ৯ মাস পর সেনবাগ থানার এএসআই কবির হোসেন গ্রাম পুলিশ মোকছুদ মিয়ার সহায়তায় বীরকোট গ্রামের রাজামিয়ার চা দোকান থেকে গ্রেপ্তার করে জজ মিয়াকে। পরে থানা থেকে জজ মিয়াকে সিআইডির এএসপি আবদুর রশিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর কয়েক দিনের মাথায় জজ মিয়া ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকারোক্তির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। নানা নাটকীয়তার পর ২০০৮ সালের ১১ই জুন আদালতে সিআইডির দাখিল করা চার্জশিটে ২২ জনকে আসামি করা হলে অব্যাহতি দেয়া হয় জজ মিয়াকে। তখন জজ মিয়া মুক্তির বিষয়টি আটকে যায় ঢাকার সূত্রাপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা (১০৮, তাং- ২৭-১২-৯৮) মামলায়। এ মামলায় কোনদিন জজ মিয়াকে আদালতে হাজির না করা হলেও ২০০৫ সালের ২রা নভেম্বর আদালত তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। দীর্ঘ তদন্তের পর সিআইডি’র পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল জজ মিয়া ওই হামলায় জড়িত। যদিও তখনই এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। এর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তদন্তের মূল রহস্য বেরিয়ে আসে। মামলা ভিন্নখাতে নেয়ার অভিযোগে তৎকালীন সিআইডির তিন তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি আবদুর রশিদ, এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান ও বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে সরকার মামলা করে। সেই সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সঙ্গে অভিযুক্ত করা হয় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে জজ মিয়ার বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশিট দিলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার সময়ে তদন্ত শেষে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয় জজ মিয়াকে। দীর্ঘ ৪ বছর ২ মাস ২৫ দিন কারাভোগের পর ২০০৯ সালের ২০শে জুলাই কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান জজ মিয়া। কারামুক্তির পর ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে বীরকোট তার পৈতৃক বাড়িতে এসে আত্মীয়দের ঘরে উঠেন জজ মিয়া। কারণ মামলার ব্যয় বহন করতে গিয়ে ভিটেমাটিসহ সবকিছুই হারাতে হয়েছে জজ মিয়ার পরিবারকে। গত ২০শে আগস্ট রোববার জজ মিয়ার পৈত্রিক নিবাস বীরকোট গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রীত বসতঘরের দরজায় তালা ঝুলছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জজ মিয়া জেলে থাকা অবস্থায় তার পরিবার বসতবাড়ির জায়গাটুকু তার জেঠাত ভাই রফিক উল্যার কাছে বিক্রি করে দেয়। জজ মিয়ার মামলার সাক্ষী বীরকোট গ্রামের সাবেক মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তাফা চৌধুরী জানান, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় জড়ানো জজ মিয়া ঘটনার দিন ও সময়ে তার বাড়ির পাশে বাবুলের দোকানে আমাদের সঙ্গে বসে চা খেতে খেতে টেলিভিশনের পর্দায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঘটে যাওয়া গ্রেনেড হামলার দৃশ্য দেখছিলেন। কিন্তু গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে জড়িয়ে তার পরিবারটিকে সর্বস্বান্ত করা হয়েছে। এর পর কেউই তার খোঁজখবর রাখেননি। তার মা জোবেদা বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে গত ২৫ রমজান দু’লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। জজ মিয়া ও তার পরিবারের দুঃখ-দুদর্শার কথা একে একে তুলে ধরলেন চায়ের দোকানদার বাবুল মিয়া, রাজা মিয়াসহ এলাকার শত শত নারী পুরুষ। এক আত্মীয়ের ফোনে জজ মিয়ার মাতা জোবেদা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার নিরপরাধ ছেলেটিকে ধরে নিয়ে কত নাটক সাজাইছে। আমার পুরো পরিবারটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাড়িঘর বিক্রি করে দিতে হয়েছে। জোট সরকারের আমলে সর্বস্বান্ত হয়ে বর্তমান সরকারের নিকট একটু মাথা গোঁজার জায়গার জন্য বহু আবেদন করেছি। না পেয়ে বর্তমানে বস্তিতে বসবাস করছি। ছেলের ভবিষ্যৎ পথ চলা ও নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করলেন মা জোবেদা। এদিকে বহুল আলোচিত জজ মিয়ার সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান, আমাকে নিয়ে সিআইডির নাটকের কথা এদেশের মানুষ জানেন। মিথ্যা মামলায় পড়ে আমার জীবন থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো চলে গেছে বলে হুঁ হুঁ করে কেঁদে ফেললেন জজ মিয়া। তিনি বলেন, আমি কখনো কোন রাজনীতি বা দলাদলিতে ছিলাম না। টুকিটাকি ব্যবসা করে কোনো রকম পরিবার পরিজন নিয়ে চলতাম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় সিআইডি কর্মকর্তাদের সাজানো মামলায় আমাকে বলি করা হয়েছে। তাদের নাটকের বলি হয়ে দীর্ঘ সময় কারাভোগের পর বর্তমানে আমি নিঃস্ব। সরকারের কাছ থেকে একটু মাথা গোঁজার জায়গা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি চাকরি পেলে সংসার জীবনে পদার্পণ করে সুখী জীবন যাপন করতে পারবো।

শেখ হাসিনা কিন্তু নওয়াজ শরীফ না-শামীম ওসমান

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের মালিক জনগণ আর বাংলাদেশের জনগণ আর ধৈর্য্য দেখাবে না। জনগণের পয়সায় রাষ্ট্রীয় কোষাগাড় থেকে বেতন পাওয়া কোন পাকিস্তান প্রেমীর উদ্ভট অনভিপ্রেত কথাবার্তা এদেশের রাজনৈতিক সচেতন মানুষ আর সহ্য করবে না। সোমবার বেলা ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের  সংসদর সদস্য  শামীম ওসমান এ কথা বলেছেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, রাজনীতির গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা কোন আদালতের নাই।  যারা কথা বলছেন তারা ভুলে গেছেন ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানের উদাহরন বাংলাদেশে অচল। কারণ বাংলাদেশটা পাকিস্তান না, বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের জনগণ না। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা নওয়াজ শরীফ না, তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।  বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং আইনশৃক্সখলা বাহিনী পাকিস্তানের আইনশৃক্সখলা বাহিনী না । বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো আইএসআই দ্বারা পরিচালিত না। পাকিস্তানের রাজনীতি এবং বিচার বিভাগ সেনা বাহিনীর নির্দেশে চলে। পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আর বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে জাতির জনকের নেতৃত্বে পরিচালিত ¯^শস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে। আমার এসব কথার জন্য যদি আদালত আমাকে তলব করেন, তবে অবশ্যই যাবো। তবে সংসদ সদস্য পদ ও দলীয় পদ ছেড়েই যাবো এবং এদেশের প্রতিটি ¯^াধীনতার পক্ষে বিশ্বাসী কোটি কোটি মানুষের মনের কথাগুলো আদালতে বলে আসবো। বিশ্বাস করি আদালত সেই কথার মর্মার্থ বুঝবেন। মনে রাখা উচিত,  শেখ হাসিনা নীলকন্ঠী হলেও বাংলার মানুষ নীলকন্ঠী নয়। কারণ, সব কিছু নিয়ে আপোষ করলেও বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনা প্রশ্নে তার কর্মীরা আপোষ করতে শিখেনি।
শামীম ওসমান এসময় বলেন, দেশ নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছেন তাদের মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনার কর্মীরা রাজপথের অকুতোভয় সেনা। আওয়ামী লীগের কর্মীরা সকল ষড়যন্ত্রের জওয়াব দেয়ার মতো ক্ষমতা রাখে। কেউ কেউ দায়িত্বশীল জায়গায় বসে দায়িত্বহীনের মত কথা বলছে, শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে অশ্রদ্ধার কথা বলছেন। তাদের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে পল্টন থেকে কোন বিএনপি-জামাতের প্রেতাত্মা কথা বলছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এসব নিন্দনীয় বক্তব্য দেশের শতকরা  ৮৫ ভাগ মানুষের কাছে অযোগ্য অগ্রনযোগ্য বলে মনে হচ্ছে। তাই উচিত হবে তাদের সম্মানের সাথে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করা, নয়তো নিজেকে সেই সম্মানের চেয়ার থেকে সরিয়ে নেয়া। কারণ ইতিহাস স্বাক্ষী, যারা ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন, ইতিহাস তাদেরকে বারবার আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে। সময় হয়ে এসেছে সব কিছুর জবাব দেয়ার। শামীম ওসমান এসময় উপস্থিত কর্মীদের সজাগ ও প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, ২১আগষ্ট শুধুমাত্র একদিনের স্মরণের বিষয় নয়। ২১আগষ্ট আমাদের শিক্ষা দিয়ে যায়, মনে করিয়ে দেয় যে, এদেশকে ব্যর্থ ও জঙ্গী রাষ্ট্র বানাতে শকুনীর দল আমাদের নেত্রীকে হত্যার জন্য এখনও ওৎ পেতে আছে। কিন্তু দেশ দল ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই আবারো প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতে হবে এবং কর্মীরাই সেটা করবেন।
 সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রেণুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিকলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মতিন মাষ্টার, থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া,মহানগর আওয়ামীলীগের সহ প্রচার সম্পাদক ইফতেখার আলম খোকন,জেলা যুবলীগ সদস্য ও নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লাসহ স্থানীয় অনেক নেতৃবৃন্দ । #

দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করা প্রধান বিচারপতির কাজ নয়-প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজঃ অাওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান বিচারপতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি যাকে নিয়োগ দিলেন তিনিই অাবার রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কেড়ে নিতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করা ও পক্ষ নেয়া প্রধান বিচারপতির কাজ নয়। প্রধান বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে সংসদ সদস্যদের নিয়ে যে বৈধতা ও অবৈধতার প্রশ্ন এনেছেন এ ধরনের প্রশ্ন অাসতে পারে না। কথাগুলো পর্যবেক্ষণে লেখার অাগে এ পদ থেকে ওনার সরে যাওয়া উচিত ছিল।’

সোমবার বিকেলে ২১ অাগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে অাওয়ামী লীগ অায়োজিত এক অালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অায়োজিত এ অালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অাওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অাওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৪টা ৫ মিনিটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এসেই ২১ অাগস্ট উপলক্ষে নির্মিত অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সভার শুরুতেই অাওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এরপর ২১ অাগস্টের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অামিনুল ইসলাম।

অালোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অাওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী অামির হোসেন অামু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল অাহমেদ, অাওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ অাশরাফুল ইসলাম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বালাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বসার মাইজভান্ডারী, জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, জাসদের একাংশের কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দিন খান বাদল ও অাওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অাফম বাহাউদ্দিন নাছিম।

অালোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অার যাই হোক পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন তুলনা সহ্য করা হবে না। সুতরাং পাকিস্তানে কী হয়েছে না হয়েছে সে বিষয়ে কোন হুমকি দেবেন না। এটা সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, অবৈধভাবে অার কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। যদি কেউ সে চেষ্টা করে সংবিধান অনুযায়ী তার বিচার হবে।

না ফেরার দেশে নায়ক রাজ

ডেস্ক নিউজঃ বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গুরুতর অবস্থায় তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

সেখানেই তার জীবনের অবসান ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন। এই নায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে।

রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার টালিগঞ্জে। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্বরসতি পূজা চলাকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়করাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।

তিনি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক।

পরবর্তীতে কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ ‘টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন। পরে বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। তার দুই পুত্র বাপ্পারাজ ও সম্রাটও চলচ্চিত্র অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত।

রাজ্জাকের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার নায়িকারা

ডেস্ক নিউজঃ আর নেই নায়করাজ রাজ্জাক। আজ সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর যেন মানতেই চাইছেন না কেউ। যার সঙ্গেই যোগাযোগ করা হচ্ছে সেই পাল্টা প্রশ্ন করছেন খবরটা সত্যি তো? নাকি গুজব।

রাজ্জাকের নায়ক হিসেবে প্রথম ছবি ‘বেহুলা’। জহির রায়হান পরিচালিত সেই ছবিতে তার নায়িকা ছিলেন সুচন্দা। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার কণ্ঠ বেশ ভারী শোনা গেল। জানতে চাইলেন, ‘বিশ্বাসই করতে পারছি না রাজ্জাক সাহেব নেই। প্রথমবার শুনে ভাবছি গুজব। এমনটা তো আগেও হয়েছে। প্লিজ, বলুন যে এটাও গুজব।’

তার মৃত্যুর খবরটি সত্য প্রমাণ করতেই তিনি কেঁদে উঠলেন। বললেন, ‘বিশ্বাসই করতে পারছি না। তার মতো শিল্পীর চলে যাওয়া চলচ্চিত্রের এই দুর্দিনে দারুণ ক্ষতি।’ সুচন্দা আরও বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান, নায়করাজের সঙ্গে কাজ করার অনেক অভিজ্ঞতা আছে আমার। ‘বেহুলা’ তো অনেক স্মৃতির জায়গা। আর ‘জীবন থেকে নেয়া’ আমাদের দুজনের ক্যারিয়ারেই অনবদ্য ছবি। উনার জন্য দোয়া করবেন।’ কথা শেষ করেই হাসপাতালে যাবেন বলে কল কেটে দিলেন তিনি।

নায়করাজের আরেক নায়িকা কবরী। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে অসংখ্য জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান মিষ্টি মেয়ে খ্যাত কবরী। তিনি বলেন, ‘কীভাবে বিশ্বাস করব আমার নায়ক রাজ্জাক আর নেই। খবরটা শুনে মনে হচ্ছে শরীরটা অবশ হয়ে গেছে। যাচ্ছি হাসপাতালে। একটা সময় তার সঙ্গেই দিনগুলো কেটে যেত। আর সময়ের নিষ্ঠুরতায় কতদিন দেখা হয় না তার সঙ্গে। কিন্তু এভাবে দেখা করতে ছুটে যেতে হবে ভাবতেও পারছি না।’

রাজ্জাকের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন নায়িকা রোজিনাও। তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে জানা গেল উত্তরা থেকে তিনিও ছুটছেন গুলশানে ২-এ অবস্থিত ইউনাইটেড হাসপাতালে। কল রিসিভ করেই কেঁদে উঠলেন। বললেন, ‘রাজ্জাক ভাইয়ের মৃত্যুর অনেক গুজব ছড়িয়েছে আগে। তাই বিশ্বাসই হচ্ছিল না তিনি নেই। এটা মেনে নেয়া কষ্টের যে আমাদের অভিভাবক চলে গেছেন। তিনি ছিলেন ঢাকাই ছবির বটগাছ। তার বিকল্প কেউ হবে না।’

রাজ্জাকের ৪০টি ছবির নায়িকা ববিতা। খবর শুনে নিজেও অসুস্থ হয়ে গেছেন। বললেন, ‘এটা কী করে সম্ভব! কিছুদিন আগেও রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গে কথা হলো। আমরা মজা করলাম। আর আজ শুনতে হলো তিনি নেই। কী অদ্ভুত মানুষের জীবন।’

নায়করাজকে দেখতে তার বাসায় যাচ্ছেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই কথা হলো আলমগীর ভাইয়ের সঙ্গে। উনি জানান, হাসপাতালে প্রচুর ভিড়। ওখানে যাওয়া যাবে না। তাই বাসায় যাচ্ছি আমি। এই মুহূর্তে রাজ্জাক ভাইয়ের স্ত্রীর পাশে আমাদের থাকা উচিত। সবাইকে বলব, আমার ভাই, আমার নায়ক, রাজ্জাকের জন্য দোয়া করবেন। তিনি ভালো মানুষ ছিলেন। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত দান করেন।’