২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 205

র‍্যাব ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলা, আইএসের দায় স্বীকার

রাজধানীর উত্তরার আশকোনা এলাকায় হজক্যাম্পে র‌্যাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আমাক ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে সংগঠনটির নামে এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

আইএসের সংবাদমাধ্যম হিসেবে পরিচিত আমাক-এ বলা হয়েছে, ঢাকায় র‍্যাব বাহিনীর একটি সামরিক ক্যাম্প লক্ষ্য করে একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী আক্রমণ চালিয়েছে। একজন যুবকের নিহত হওয়ার খবরও সংবাদমাধ্যমগুলোতে জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের দুটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে চারজন নিহতের ঘটনার একদিন পর আজ শুক্রবার এ আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আশকোনার হজক্যাম্পের পাশেই অবস্থিত র‍্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প। ওই অস্থায়ী ক্যাম্পের নির্মাণকাজ চলছে। এখানে র‍্যাব প্রশাসনের কিছু লোকজন আর কিছু নির্মাণশ্রমিক থাকেন। ক্যাম্পের একটি মাত্র গেট। চারদিকে গ্রিল ও দেয়াল দিয়ে বাউন্ডারি দেওয়া। বাউন্ডারির একপাশে দুপুর ১টার দিকে একজন অপরিচিত লোককে হাঁটতে দেখে র‍্যাবের সদস্যরা তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেন। এ সময় তিনি বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। এতে ঘটনাস্থলেই হামলাকারী নিহত হন। এ সময় র‍্যাবের দুই সদস্য ল্যান্স করপোরাল মিজান ও কনস্টেবল আরিফ আহত হয়েছেন।

আহতদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর হামলাকারীর দেহ বিস্ফোরণের কারণে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মুফতি মাহমুদ আরো জানান, বর্তমানে র‍্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারী কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। তবে কোন সংগঠনের তা এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া জানান, আশকোনায় র‍্যাবের নির্মাণাধীন কার্যালয়ে এক ব্যক্তি দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় র‍্যাব সদস্যরা তাঁকে বাধা দিতে গেলে ওই ব্যক্তি নিজের শরীরে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান।

ফতুল্লা ঘুরে গেলেন শিল্পমন্ত্রী আমু

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফতুল্লা লালখাঁ এলাকায় অবস্থিত গার্মেন্টস অ্যাক্্েরসরিজ ও প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠান হৃদয় গ্রƒপের উদ্বোধন ও পরিদর্শন করে গেলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের উদ্বোন করেন। এসময় তার সাথে উপন্থিত ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জহিরুল হক, প্রতিষ্ঠানের কর্ণধর তৈয়ব হোসেন, প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পরষদের সদস্য মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন শ্রমিক নেতা কাউছার আহমেদ পলাশ, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু প্রমুখ।

কালো ছায়া বাংলাদেশ কে গ্রাস করতে চাইছে: শিল্পমন্ত্রী

শহর প্রতিনিধি
জঙ্গীবাদের মধ্য দিয়ে একটা কালো ছায়া আবারো বাংলাদেশ কে গ্রাস করতে চাইছে ।  সাম্প্রদায়িকতা সহ নানা রকমের হামলার মধ্য দিয়ে আজ দেশের উন্নয়নের ধারা কে ব্যাহত করতে চাইছে সেই ৭১ এর পরাজিত শক্তির দোসর রা। বাংলাদেশের মানুষ আজ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবন্ধ আছে বলেই সরকার সাহসিকতার মাধ্যমে জঙ্গীবাদ নির্মূলে কাজ করছে । ৭১ এর পরাজিত অপশক্তি, রাজাকারের দলেরা আজ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হাসিল করতে না পেরে জঙ্গীবাদের পথ বেছে নিয়েছে, তারা আজ জঙ্গীবাদীতার মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে কিন্তুু তা সম্ভব না -এই কথা গুলো বলেন বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু । বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নাঃগঞ্জের মর্গ্যান গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজে সংর্বধনা ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। আমির হোসেন আমু আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্না সেতু করছে এতেই প্রমানিত হয় বাংলাদেশ এখন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বয়ং সম্পন্ন দেশে পরিনত হচ্ছে । মর্গ্যান গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে  উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নাঃগঞ্জ (৫) আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান, নাঃগঞ্জ (৪) আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এড.হোসনে আরা বাবলী । উক্ত অনুষ্ঠানের সংবর্ধনা পর্বে শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু , স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি, নাঃগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন, নাঃগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য শারমীন হাবিব বিন্নী নাঃগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় তাদের সংবর্ধনা দেন । এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নাঃগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শাহ্ মোঃ নিজাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা আলহাজ্ব কাউসার আহম্মেদ পলাশ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত, মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, নাঃগঞ্জ জেলা ছাএলীগের সভাপতি শাফায়েত আলম সানি,,মহানগর মুক্তিযোদ্ধ প্রজন্মলগের সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমন,সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ রিপন, সাংগঠনকি সম্পাদক মোস্তাহিদ খান, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, নূর হোসেন, ডা: কামরুল হাসান প্রমুখ। অপরদিকে ফতুল্লার লালখাঁ এলাকায় অবস্থিত হৃদয় গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এসময় তার পাশে ছিলেন  সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জহিরুল হক, প্রতিষ্ঠানের কর্নধর তৈয়ব হোসেন,ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন,শ্রমিক নেতা কাউছার আহমেদ পলাশ, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করায় যে কোন সময় ভেঙে দেওয়া হতে পারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি’র কার্য্যক্রম এখন মন্ডলপাড়া হাইকমান্ড অফিসমুখি। জেলা ও মহানগরের ত্যাগী নেতাকর্মীরা মন্ডলপাড়ায় হাইকমান্ড খ্যাত প্রভাবশালী বিএনপি নেতা এমএ মজিদের অফিসকেই মূল অফিস হিসেবে গণ্য করছেন। সকল ত্যাগী নেতাকর্মীর মিলন মেলা বসে এখন হাইকমান্ড অফিসে। গতকাল জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও মজলুম জননেতা এড. তৈমূর আলম খন্দকার হাইকমান্ড অফিসে গিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেন। এ সময় এড. তৈমূরকে জড়িয়ে ধরে সাদরে বরণ করে নেন হাইকমান্ড নেতা এমএ মজিদ। এদিকে, জেলা ও মহানগর বিএনপি কমিটি নিয়ে আদালতে রিট হতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করায় যে কোন সময়ে ভেঙে দেওয়া হতে পারে নব গঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি। তবে সে সেক্ষেত্রে কমিটিতে কিছুটা পুনবিন্যাসের চেষ্টা করা হচ্ছে। চেষ্টা চলছে বর্তমান যে কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে হুবহু সেই কমিটিই নতুন করে ঘোষণা দিতে। আর তখন মহানগর বিএনপির যে অংশটি তথা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাটি আবারও মহানগরেই যুক্ত করা হবে। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, সিদ্ধিরগঞ্জকে মহানগর থেকে বাদ দিয়ে জেলাতে অন্তর্ভূক্ত করাটা গঠনতন্ত্র বিরোধী চরম সাংঘর্ষিক এবং এ ব্যাপারে আগামী সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির উপর প্রভাব পড়তে পারে আইনগতভাবে।
এদিকে, এ কমিটির এ অবস্থা নিয়ে আদালতে রিট করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার জনৈক বিএনপি নেতা এ ব্যাপারে আদালতে রিট করতে যাচ্ছেন। বিএনপির নেতাদের মতে, এ জটিলতার অবসান না হলে আগামীতে বিএনপি ছাড়াও সহযোগি সংগঠনও একই পন্থায় কমিটি গঠনের চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে সে জটিলতা প্রকট আকারে রূপ নিতে পারে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারী জেলা বিএনপির সাবেক কমিটির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সেক্রেটারী করে ২৬ সদস্যের জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। একইদিন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক তিনবারের এমপি আবুল কালামকে সভাপতি ও বিলুপ্ত নগর বিএনপির সেক্রেটারী এটিএম কামালকে সেক্রেটারী করে ২৩সদস্যের মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।
জেলা কমিটিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৯টি ওয়ার্ডকে রাখা হয়েছে। যদিও সিটি করপোরেশন এলাকাটি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নিয়েই গঠিত। সিদ্ধিরগঞ্জকে মহানগর থেকে বাদ দেওয়ার ফলে মহানগরের সীমাবদ্ধতা এখন বন্দরের কদমরসুল এলাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহর। সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী বন্দর ইউনিয়ন পড়বে জেলা কমিটিতে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনে সেটা মানা হয়নি।
প্রসঙ্গত ২৩ সদস্যের কমিটিতে সহ সভাপতি হলেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বিদ্রোহী কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম সরদার, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি হাজী নূরউদ্দিন, বিলুপ্ত নগর কমিটির সহ সভাপতি জাকির হোসেন, আইনজীবী নেতা সরকার হুমায়ূন কবির, ফখরুল ইসলাম মজনু, বেগম আয়েশা আক্তার। যুগ্ম সম্পাদক ২জন হলেন আজহারুল ইসলাম বুলবুল ও মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। সাংগঠনিক সম্পাদক তিনজন হলেন আবদুস সবুর খান সেন্টু, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু। সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, মাহাবুবউল্লাহ তপন। কোষাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির। দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার ও প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান।
এর আগে ২০০৯ সালের অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয় সম্মেলন করে। সেখানে জাহাঙ্গীর আলম সভাপতি ও এটিএম কামাল হন সেক্রেটারী। গত কয়েক বছর ধরেই কমিটি গঠন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। গত ২২ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর থেকেই কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয় তোড়জোড়। আর এ নিয়ে নেতারাও বেশ উদগ্রীব ছিল কমিটি গঠনে। এ অবস্থায় সোমবার বিকেলে ঘোষণা করা হয় কমিটি। কমিটিতে সহ সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে।
২৬ সদস্যের কমিটিতে সহ সভাপতি হলেন শাহ আলম, খন্দকার আবু জাফর, জান্নাতুল ফেরদৌস, শাসমসুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, আজহারুল ইসলাম মান্নান, আবদুল হাই রাজু, মনিরুল ইসলাম রবি, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ, লুৎফর রহমান। যুগ্ম সম্পাদক লৎফর রহমান খোকা, এম এ আকবর। সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, নজরুল ইসলাম পান্না, মাসুকুল ইসলাম রাজীব। সহ সাংঠনিক সম্পাদক উজ্জল হোসেন, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান ও রুহুল আমিন। সদস্য পদে সাবেক এমপি রেজাউল করীম, গিয়াসউদ্দিন, বদরুজ্জামান খান খসরু, নজরুল ইসলাম আজাদ, আতাউর রহমান আঙ্গুর ও মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া। এর আগে ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয় সম্মেলন করে। সেখানে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সভাপতি, কাজী মনিরুজ্জামান সেক্রেটারী ও মুহাম্মদ শাহআলম হন সহ সভাপতি। এর পর ৭ বছর ধরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। তবে গত বছরগুলোতে আন্দোলন সংগ্রামে কোন ভূমিকাই ছিল না কাজী মনির ও শাহআলমের। বরং আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেই চলতে হয়েছে তাঁদেরকে। ( যুগের চিন্তা)

নারায়ণগঞ্জ ডিবি অফিসে সাংবাদিক তাহের লাঞ্ছিত

নারায়ণগঞ্জে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিক তাহের হোসেনকে লাঞ্ছিত করেছে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। পেশাগত কাজে  বুধবার রাত ১১টার দিকে ডিবি অফিসে গেলে তাকে এসআই মিজান ও  এসআই সায়েম সহ কয়েকজন তাকে লাঞ্ছিত করে বলে তাহেরের অভিযোগ।

সাংবাদিক তাহের হোসেন জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ের গেইটের সামনে যাবার পর কনেষ্টবল  আমাকে থামিয়ে  বলেন ভিতরে সাংবাদিক প্রবেশ  নিষেধ আছে। তখন আমি  প্রতি উত্তরে বললাম,  ঐ যে  ভিতরে অনেক লোকজন দেখা যাচ্ছে। একথা বলার সাথে সাথেই ভিতর থেকে দারোগা মিজান ও সায়েম এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে, চোখের চশমা ভেঙ্গে ফেলে মোবাইল  ছিনিয়ে নেয়। এরপর টেনে হিঁচড়ে হাজত খানার সামনে নিয়ে ফের লাঞ্ছিত করার সময় অন্যান্য দারোগারা এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে  ইন্সপেক্টর তদন্ত আমার মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেয়। আমি বাহিরে  আসার পথে ফের দারোগা মিজান আমাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য গালিগালাজ করে  ও নানাভাবে হুমকি দেয়। ঘটনার বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ফোরকান আহম্মেদকে জানানো হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে আশ্বাস প্রদান করেন ।

এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ওই সাংবাদিক আমাকে জানাতে পারতো। ঠিক আছে বিষয়টি আমি খোঁজ নিচ্ছি।

তাহের হোসেন একাত্তর লাইভ ডট কমের বার্তা সম্পাদক,  দৈনিক সোজা সাপটার সিনিয়র রিপোর্টার।

জঙ্গিবাদকে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার: মির্জা আলমগীর

জঙ্গিবাদকে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পন শেষে তিনি এ অভিযোগ করে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে একটি মহল কাজ করছে। একারণে সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে না এবং বিচারের আগেই অনেককে হত্যা করা হচ্ছেন।

জঙ্গিবাদ দমনে প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার বক্তব্যে সঙ্গে অন্য জনের বক্তব্যের মিল নেই। ফলে জঙ্গিবাদ দমনের অভিযান নিয়ে রহস্য থেকে যাচ্ছে- বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে সাম্প্রতিক দুটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছে। যা নির্বাচন আচারণ বিধি লঙ্ঘন এবং লেভেল প্লিয়ং ফিল্ড নষ্ট হচ্ছে।

বিএনপি নির্বাচনে যাবে কী না- এ প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা আলমগীর বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখি দল। সুতরাং বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার জন্য সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। ৫ জানুয়ারির মত আর একটি নির্বাচন করা সম্ভব হবে না বলেও সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

কবে নাগাদ নির্বাচনী প্রচারণার নামবে বিএনপি- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে আসরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে প্রচারণার বিষয়টি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার পরে দেখা যাবে।

আল্লামা ইকবাল রোডের শাখা সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু

শহর প্রতিনিধি
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওর্য়াডের আল্লামা ইকবাল রোডের মসজিদ গলির রাস্তা ও ড্রেণ উচুকরণ কাজ ও জামতলা এলাকার পানি শীতলক্ষ্যা নদীতে নেয়ার জন্য টিএন্ডটি কলোনীর মধ্য দিয়ে টিএন্ডটি কলোনীর পুকুর থেকে আল্লামা ইকবাল রোডের ডীপ ড্রেন পর্যন্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শুরু করেন ১৩ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।সকাল ১১টায় দোয়ার মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়েছে।দোয়া পরিচালনা করেন আল্লামা ইকবাল রোড জামে মসজিদের প্রধান ইমাম আলহাজ্ব মাওলানা রফিকুল ইসলাম। দোয়া শেষে ১৩ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন,মেয়রের নেতৃত্বে ১৩ নং ওয়ার্ডকে সারা দেশের মধ্যে একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য ওর্য়াডের মডেল হিসাবে গড়ে তোলা হবে।তিনি পরিস্কার পরিলন্নতা ও ড্রেন-রাস্তা ব্যবহারে নগরবাসীর সচেতনতা কামনা করেছেন।
ঊদ্বোধনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন আল্লামা ইকবাল রোড নিবাসী কুতুবউদ্দিন আহম্মেদ,আশরাফ হোসেন,মোঃলিটন.ইলিয়াস খান,সিরাজুল ইসলাম,মোঃরানু,হাজী সামছুদ্দিন,মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান,জামতলাবাসী ইন্জিনিয়ার আঃরাজ্জাক,ফারুক আহম্মেদ প্রমুখ। উল্লেখ্য যে গত ০৫ই মার্চ নাসিক মেয়র ডাঃসেলিনা হায়াৎ আইভী একসাথে ১৩ নং ওর্য়াডের ১৪ টি প্রকল্প আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

আলোচনা আড়াইহাজার বিএনপির চার নেতা

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
মন জোগাতে তৃণমুল চষে বেড়াচ্ছেন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির চার নেতা। এতে অবহেলিত নেতাকর্মীদের কদর কিছুটা হলেও বেড়েছে বলে দাবী তৃণমুল নেতাদের। এই উপজেলায় দলটির একাধিক নেতৃত্বের দৌঁরাত্মের কারণে দীর্ষদিন ধরেই দ্বিবিদ্বিক হয়ে ছুঁটছেন সাধারণ কর্মীরা। এতে বিএনপির অবস্থান এখানে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। অনেকে মনে করেন, এই মুহুর্তে সৎ, সাহসী ও কর্মী বান্ধব নেতাদের সম্মনয়ে কমিটির কোনো বিকল্প নেই। তবে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে অনেকে বলেছেন, দীর্ঘদিনের নিরবতা ভেঙে লাপাত্তা অনেক নেতাই পদ বাগাতে তৃণমুল নেতাদের নানা কায়দায় ম্যানেজে চেষ্টা করছেন। তবে গ্রহণ যোগ্য একটি কমিটি গঠনের জন্য নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ দ্ব›দ্ববিভক্তি ভুলে পরম্পরের মধ্যে সমঝোতারও চেষ্টা করছেন। অতীতের মতো আর ভুল করতে চান না তারা। মঙ্গলবার আড়াইহাজার পৌরসভায় বিএনপির নেতা অনু’র মালিকানাধীন আশিক সুপার মার্কেটে দলীয় কার্যালয়ে এনিয়ে সিনিয়র নেতাদের অংশ গ্রহণে কয়েক দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এতে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এএম বদরুজ্জামান খান খসরু প্রæগ, সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর গ্রæপ, সাবেক বিআরডি’র চেয়রাম্যান ও বিএনপির নেতা আনোয়ার হোসেন (অনু) প্রæগ ও থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর গ্রæপসহ অনেকে আগামী কমিটিতে সভাপতি পদের জন্য লবিং করছেন। জানা গেছে, নানা কারণে আনোয়ার হোসেন (অনু) আলোচনায় উঠে আসছেন। বারবার কারা নির্যাতিত এইনেতাকে অনেকেই সরাসরি সমর্থন দিচ্ছেন। এদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে লবিং করছেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী ইউছূফ আলী ভূঁইয়া, মনিরুজ্জামান খাঁন, আব্দুল জুয়েল ও এমএ মতিন ভূঁইয়া।

থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: শহীদ উল্যাহ বলেন, বিএনপিকে এই উপজেলায় ঘুরে দাঁড়াতে হলে সাহসী নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। অতীতে ঢাকায় বসে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এতে দলের চরম ক্ষতি হয়েছে। অনেকে সরকারি দলের রোষানলে পড়েছেন। কিছু নেতা ছাড়া নির্যাতিত অনেক নেতার পাশেই আঙ্গুর ও খসরু ছিল না। ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন করে তারা সব সময় পকেট কমিটি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, জিম্মি দশা থেকে দলের নেতৃত্বকে বের করে আনতে হবে। বিএনপির প্রবীন এইনেতার দাবী সাহসী ও কর্মী বাবন্ধব নেতা হিসাবে আনোয়ার হোসেন (অনু)’র বিকল্প নেই।

এদিকে, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছালাউদ্দিন মোল্লা বলেছেন, নেতৃত্ব নিয়ে আড়াইহাজার থানা বিএনপির নেতাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাঁধাছোড়াছুড়ি চলছে। অতীতে ত্যাগীদের কেউ মূল্যায়ন করেনি। যুবদলের এইনেতা বলেন, এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুর্গ ভাংতে হলে শক্তিশালী ও গ্রহণ যোগ্য কমিটির কোনো বিকল্প নেই। তিনি জানান বিএনপির প্রবীন নেতা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীরকে নিয়ে একটি রুপরেখা তৈরি করা হয়েছে। এনিয়ে আনোয়ার হোসেন (অনু)সহ অন্যনেতাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতা আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করি খুব শিগগিরই এর সুফল পাওয়া যাবে।

ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহ্সান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুরের জনপ্রিয়তা ঈশ্বানিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অনেকে নানা অপ্রচার চালিয়েছেন। আঙ্গুরকে দলের দায়িত্ব দেয়া হলে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। তিনি দলীয় কর্মসূচি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পালন করেছেন। বারবার কারা নির্যাতিত এই নেতার দাবী, আঙ্গুরের ডাকে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।

এদিকে, আনোয়ার হোসেন (অনু) বলেন, গণন্ত্রাতিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বে পরিবর্তন আসলে; নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসবে। সেই সাথে দলের চালিকা শক্তি তৃণমুলের নেতাকমীরাও মূল্যায়ন পাবেন। এরই মধ্যে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে। বিএনপির ঘুরে দাঁড়াতে কর্মী বান্ধব ও শক্তিশালী একটি কমিটি গঠন করাই আমাদের মুল লক্ষ্য।

ফতুল্লায় অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ী তৎপর

নিউজ ডেস্ক : জেলার আলোচিত সাংসদ শামীম ওসমানের মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার পরেও থেমে নেই মাদক ব্যবসা। ফতুল্লা ও কুতুবপুরসহ আশ-পাশ এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্যাডার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত সোর্স ও নামধারী সাংবাদিকদের ছত্রছায়ায় চলছে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যের ব্যবসা। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিক ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত সোর্স ও নামধারী সাংবাদিকদের কারনে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফতুল্লা ও কুতুবপুরে প্রায় অর্ধশত রাজনৈতিক ক্যাডার ও সোর্স মাদকের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ্য ভাবে জড়িত রয়েছে। এসব এলাকায় কেউ পর্দার আড়াল থেকে আবার কেউ প্রকাশ্যে একাধিক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দাপা ইদ্রাকপুরের খোজঁপাড়া, সরদারদার পাড়া ও রিফিউজিপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে একাধিক হত্যা মামলার আসামী যুবদল ক্যাডার মুসলিম, লাদেন হারুন, মহসিন, রকি, বশির ওরফে বরিশাইল্ল্যা বশির, সরদারপাড়া এলাকার ইলিয়াস, রুবেল, টিকি মারা লিটন, সবুজ, ছাত্রলীগ ক্যাডার রাসেল ও পুলিশের কথিত সোর্স ইয়াসিনের বিরুদ্ধে। মূলত এদের নেতৃত্বে খোঁজপাড়া ও সরদারপাড়া এলাকায় জমজমাট মাদক ব্যবসা চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এরা দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এলাকায় মাদকের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়া শহজাহান রোলিং মিল খাঁ বাড়ী এলাকায় মাদক স¤্রাট ফাহিম তার স্ত্রী লাকি ও ছেলে রবিনের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া ছাত্রদল ক্যাডার মনার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চলছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া একই এলাকায় অভিনব কৌশলে মাদক ব্যবসা চলছে শাহজাহান ওরফে মাইচ্ছ্যা শাহজাহান, তার পুত্র সাজুল, মেয়ে স্মৃতি এবং তার স্ত্রী। দাপা ইদ্রাকপুরের ব্যাংক কলোনী, রেল লাইন বটতলা, কলাবাগান,  জোড়পুল এলাকায় জমজমাট মাদক ব্যবসা চলছে ডাকাত লিপু, তার স্ত্রী পারভীন, ডাকাত শাহীনের মাধ্যমে। ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকার মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে পুলিশের কথিত সোর্স ডাকাত রনি, পান্না, গরু নাছির, ডাকাত তুজো, কাইল্যা সুমন, ডাকাত কবির হোসেন ফেলা ও তার স্ত্রী। এলাকার বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, ফতুল্লা পাইলট স্কুল এলাকার পূর্ব পার্শ্বের গেট সংলগ্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে মাদক স¤্রাট দিপু ও  দেলু ওরফে ভাগিনা দেলুর মাধ্যমে। দিপু থানা পুলিশের কথিত সোর্স শিপুর ভাই। স্থানীয়দের অভিযোগ সোর্স শিপুর ছত্রছায়া থেকেই দিপু ও ভাগ্নে দেলু দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে।

স্থানীয়রা জানায়, ভাগিনা দেলু যুবলীগ ক্যাডার মোক্তার ওরফে কাইল্লা মোক্তারের ভাগ্নে এবং মোক্তারের শেল্টারে থেকেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স্কুলের সামনের দিকে জমজমাট মাদক ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে কামাল ওরফে বোম কামাল, লিটন চৌধুরী, ওরফে হিরোইনচি লিটন, ফারুক চৌধুরী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ডালিয়ার মাধ্যমে। সুত্রে জানা গেছে এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কায়দায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে যদিও লিটন, ফারুককে পুলিশ মাদক সহ গ্রেপ্তার করে জেল বন্দী করে। তখন ফারুকের দ্বিতীয় স্ত্রী ডালিয়া ও হিরোইনচি লিটনের ছেলে রিফাতের মাধ্যমে মাদক স্পর্ট অক্ষত থাকে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সম্প্রতি হিরোইনচি লিটন ও ফারুক জামিনে বের হয়ে এলাকায় ফিরেই তাদের জমজমাট মাদক ব্যবসা পূনরায় চালু করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তক্কার মাঠ এলাকায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের ভাই আয়নাল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। সম্প্রতি গাজার গাছসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল আয়নাল।

অপরদিকে, ‘অপরাদ জোন’ হিসেবে খ্যাত কুতুবপুরে চলছে জমজমাট মাদক ব্যবসা। পাগলা বৌবাজার, রসুলপুর, আকন পট্টি এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগক্যাডার মীরু ও ভাগ্নে শাকিলের বিরুদ্ধে। এছাড়া রহমান, সজল,শাহনাজও এলাকার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। সম্প্রতি রসুলপুরে মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় ডাকা বিল্লাল মিশরী ও ইমরান বাহিনী। এই এলাকা জাকির হোসেন এসপির একটি বাহিনীও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। নয়ামাটি ও নন্দলালপুরের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাকের ভাই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে। একই এলাকার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে যুবলীগ ক্যাডার চশমা রিপনের বিরুদ্ধে। গত ক’দিন আগে চশমা রিপন ডিবি পুলিশের হাতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামালউদ্দিন টাইমস নারায়ণগঞ্জকে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী যে দলেরই হোক আর যতোই শক্তিশালী হোক তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক নির্মূলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সকল মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

এদিকে শনিবার একটি অনুষ্ঠানে মাদক ব্যবসায়ীদের হুশিয়ার করে দিয়ে পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, নতুন প্রজ¥ককে রক্ষা করতে এবং মাদককে উৎখাত করতে মাদক ব্যবসায়ীদের সাবধান করছি। না হলে কিলার মোক্তার, বন্দুক শাহীনের থেকেও খারাপ পরিণতি হতে পারে। আমরা চাই না আর কোন মায়ের বুক খালি হোক। সূত্র-টাইমস নারায়ণগঞ্জ

ফতুল্লায় ডক ইয়ার্ড শ্রমিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা

ফতুল্লা সংবাদদাতা
ফতুল্লায় ব্যবসায়ী বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন এনায়েত নগরের ধর্মগঞ্জ এইচ আর ষ্টীল ডক ইয়ার্ডের শ্রমিক শাহাদাত হোসেন(৪০), সাইফুল(২৯) ও মিজান(৩০)। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ধর্মগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় জাহাজ নির্মান পুন:নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েক শত শ্রমিক দুপুর ১টায় ফতুল্লা মডেল থানর সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি জানান। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান প্রত্যাহা করে নেয়।
শ্রমিকদের অভিযোগ, সাগর ইঞ্জিনিয়রিংয়ের মালিক সাগর ও নাজমুল বেশ ক’জন সহযোগী নিয়ে এইচ আর ষ্টীল ডক ইয়ার্ডের শ্রমিকদের উপর হামলা করে। এসময় শ্রমিকরা বাধা দিলে হামলাকারীরা শাহাদাত হোসেন(৪০), সাইফুল(২৯) ও মিজান(৩০) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহত সাইফুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহত শাহাদাত হোসেন জানান।