২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 228

বক্তাবলীতে ১০টাকা কেজি চাউল বিক্রি কার্যক্রম শুভ উদ্ভোধন করেন হাজী এম.শওকত আলী।

সরকার প্রদত্ত হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিতরনের কার্যক্রম সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউপিতে শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে ১০টায় বক্তাবলী বাজারে এ কার্যক্রম শুভ উদ্ভোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান হাজী এম.শওকত আলী।

এ সময় আরো উপস্থিত বক্তাবলী ইউপি মেম্বার আতাউর রহমান প্রধান,হাজী মো.ওমর ফারুক,মো.রাসেল চৌধুরী,আকিলউদ্দিনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ইউপির ৯টি ওয়ার্ডের মো.রমজান বেপারী,রাকায়েত বেপারী ও মন্নাফ ৩জন ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরের চাউল বক্তাবলীতে বিক্রি করা হবে।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী এম.শওকত আলী ডিলারদের উদ্দেশ্যে বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সামনে এগুচ্ছেন। তার এ মহৎ উদ্দেশ্যেকে সফল করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি ডিলারদেরকে বলেন,কোনভাবেই যেন ১০টাকা কেজি দরের চাউল হতদরিদ্র বাদে অন্যকোন স্থানে বিক্রি না হয়। যদি কোন ডিলারদের বিরুদ্ধে এরুপ কোন অভিযোগ উঠে তাহলে তাদের ডিলারশিপ বাদ করা সহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

১০টাকা কেজি দরের চাউল বিক্রির প্রথম দিনেই ইউপিতে ১৫০০ জন হতদরিদ্র চাউল সংগ্রহ করেন।

ওবায়দুল কা‌দেরের বক্তব্যে জাতি হতাশ : রিজভী আহমেদ

সঙ্কট সমাধা‌নে সংলাপ বা আ‌লোচনা নাকচ ক‌রে দি‌য়ে আওয়ামী লী‌গের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কা‌দেরের বক্তব্য জা‌তি‌কে হতাশ ক‌রে‌ছে ব‌লে মন্তব্য করে‌ছেন বিএন‌পির সি‌নিয়র যুগ্ম মহাস‌চিব অ্যাড‌ভো‌কেট রুহুল ক‌বির রিজভী।

শুক্রবার বেলা সোয়া এগারটার দি‌কে রাজধানীর নয়াপল্ট‌নে বিএন‌পির কেন্দ্রীয় কাযাল‌য়ে এক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে তি‌নি এ কথা ব‌লেন।

রুহুল ক‌বির রিজভী ব‌লেন, আমরা আ‌গে থে‌কে জা‌নি ক্ষমতাসীনরা কেন আ‌লোচনায় বস‌তে চান না। শেখ হা‌সিনার অধী‌নে নির্বাচ‌নে গে‌লে কী হ‌বে তার উপ‌দেষ্টা এইচ টি ইমাম ব‌লে‌ছেন, নির্বাচ‌নের প্রস্তু‌তি গু‌ছি‌য়ে রে‌খে‌ছিলাম। অর্থাৎ ভোট যাই হোক ফলাফল শাসক দ‌লের প‌ক্ষে। শাসক দল ফের এ রকম এক‌টি নির্বাচন কর‌তে চায়। তাই তারা আ‌লোচনায় বস‌তে চান না।

তি‌নি ব‌লেন, শাসক দ‌লের অঙ্গ সংগঠ‌নের নেতাকর্মী‌দের দ্বারা নারী নির্যাতন রে‌ড়েই চল‌ছে। এ‌দের উপদ্র‌বে ছে‌লে‌মে‌য়েরা স্কু‌লে যে‌তে পা‌রে না। রাজধানীসহ সারা দে‌শে দিন‌দিন ক্ষমতাসীন‌দের নির্যাত‌নের ভয়াবহতা বাড়‌ছে। বিচা‌রের হাত অপরাধী‌দের দি‌কে প্রসা‌রিত হ‌চ্ছে না। কারণ তারা শাসক দ‌লের কর্মী। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হ‌য়েও কিভা‌বে নি‌শ্চুপ থা‌কেন তা জনগ‌ণের ম‌নে প্রশ্ন।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে আরো উপ‌স্থিত ছি‌লেন,‌ বিএন‌পির যুগ্ম-মহাস‌চিব খায়রুল ক‌বির খোকন, আন্তর্জা‌তিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড‌ভো‌কেট মাসুদ আহ‌মেদ তালুকদার, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আ‌জিজুল বারী হেলাল, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু,‌ বেলাল আহ‌মেদ প্রমুখ।

ইশ্বরের নির্দেশ! আর গালি দেবেন না ফিলিপিনের প্রেসিডেন্ট

ফিলিপিনের প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতার্তে সম্প্রতি বার বার সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন খুবই বাজে ভাষায় বিভিন্ন দেশের নেতাদের গালিগালাজ করে।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট দুতার্তে এখন দাবি করছেন, এরকম গালিগালাজ বন্ধ করার জন্য তিনি ঐশীবাণী শুনেছেন। নইলে তাকে বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে তাকে।

আমি একটি কন্ঠ শুনতে পেলাম আমি যেন গালি দেয়া বন্ধ করি। নইলে মধ্য আকাশ থেকে আমার বিমান বিধ্বস্ত হবে। কাজেই আমি প্রতিজ্ঞা করছি আর বাজে কথা বলবো না।

জাপানে এক সফর থেকে নিজের শহর ডাভাও-তে ফিরে প্রেসিডেন্ট দুতার্তে তার এই সংকল্পের কথা জানান।

প্রেসিডেন্ট দুতার্তে যে ভাষায় বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের নেতাদের গালাগালি করেন, তার কারণে অবশ্য স্বদেশের মানুষের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বাড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামাকে তিনি “কুকুরের বাচ্চা” বলে গালি দেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে “ভন্ড” বলে বর্ণনা করেন। এমনকী তিনি জাতিসংঘ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা দেন।

হিটলারের সঙ্গে নিজের তুলনায় খুশি হয়ে তিনি দরকার হলে তিরিশ লক্ষ মাদকাসক্তকে হত্যা করতে রাজি বলে জানান।

প্রেসিডেন্ট দুতার্তে নিজ দেশে মাদক ব্যবসা এবং মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ চালাচ্ছেন, সেটার সমালোচনার জবাবে এসব কথা বলেন।

তবে এখন থেকে নিজের বক্তৃতায় আর কোন বাজে শব্দ, কথা আর ব্যবহার করবেন না বলে অঙ্গীকার করছেন তিনি।

তবে এই অঙ্গীকার তিনি মেনে চলবেন কীনা, তাকে তিনি শর্তসাপেক্ষ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ঈশ্বরকে কথা দেয়া মানে, ফিলিপিনের জনগণকে কথা দেয়া। তবে এই কথা তিনি রাখবেন কীনা, সেটা নির্ভর করবে সময়ের ওপর।

ফিলিপিনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতো প্রেসিডেন্ট দুতার্তেও রোমান ক্যাথলিক ধর্মের অনুসারী। কিন্তু রোমান ক্যাথলিকদের ধর্মগুরু পোপকেও তিনি “পতিতার বাচ্চা” বলে গালি দেন।

প্রেসিডেন্ট দুতার্তে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দেশের দীর্ঘদিনের মৈত্রীর সম্পর্ক ছেদ করতে চান বলে জানান। তিনি বলেন, মার্কিন সেনারা আগামী দুবছরের মধ্যে ফিলিপিন ছেড়ে যাচ্ছে, সেটাই তিনি দেখতে চান। -বিবিসি

বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যার বিচার প্রক্রিয়া আবারো প্রশ্নবিদ্ধ

বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যায় দায় মুক্তি বা বিচার এড়ানোর অভিযোগ তুলেছে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্তর্জাতিক সংগঠন সিপিজে৷ তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে অন্তত সাত জন সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় দায়মুক্তির কথা বলেছে তারা।

তবে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিজম বা সিপিজে যে সাত জনের নাম বলেছে তাদের মধ্যে মাত্র দুই জন পেশাদার সাংবাদিক, বাকি পাঁচ জন ব্লগার বা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট৷ সিপিজের প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক হত্যার বিচার এড়ানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এ বছর ১১তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এর আগের বছর বাংলাদেশ ছিল ১২তম স্থানে৷ তার মানে হলো. সিপিজে’র বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থার অবনতি ঘটেছে৷

সিপিজে’র তালিকার শীর্ষে আছে সোমালিয়া৷ দেশটি দ্বিতীয়বারের মতো শীর্ষে অবস্থান করছে৷ সোমালিয়ার পরে আছে যথাক্রমে ইরাক, লিবিয়া, ফিলিপাইন্স, দক্ষিন সুদান, মেক্সিকো, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ব্রাজিল, রাশিয়া, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া ও ভারত৷

সাংবাদিক হত্যার মামলাগুলোর সন্দেহভাজনদের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসসহ অপরাপর জঙ্গি সংগঠন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি ৪০ শতাংশ ঘটনায় জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়৷ সেখানে বলা হয়, ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সাংবাদিক হত্যার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এবারের তালিকাটি করা হয়েছে৷ এই সময়কালে অন্তত পাঁচটির বেশি অমীমাংসিত সাংবাদিক হত্যা মামলা রয়েছে এমন দেশের সংখ্যা ১৩টি৷ গত বছর এই তালিকায় এমন দেশের সংখ্যা ছিল ১৪৷ তালিকার ক্ষেত্রে যেসব মামলায় কারো কোনো শাস্তি হয়নি, সেসব মামলাকে অমীমাংসিত হিসেবে ধরা হচ্ছে৷ আর যেসব মামলায় অপরাধীদের মধ্যে সবাইকে আইনের আওতায় আনা যায়নি, সেগুলোকে আংশিক অব্যাহতি হিসেবে ধরা হলেও তালিকাভূক্ত করা হয়নি৷

সিপিজে বাংলাদেশের যে ৭ জনের হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের বিচার না হওয়ার কথা বলছে, তাদের ২ জন সরাসরি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত ছিলেন৷ সেই দুজন হলেন, ২০১৪ সালের ২১ মে  নিহত সদরুল আলম নিপুল এবং ২০১২ সালের ১৫ জুন নিহত জামাল উদ্দীন৷ আর বাকি পাঁচ জন, অর্থাৎ উল্লেখিত ব্লগার-অ্যাক্টিভিস্টরা হলেন, ২০১৫ সালে নিহত ফয়সাল আরেফীন দীপন, নিলয় নীল, অনন্ত বিজয় দাশ, ওয়াশিকুর রহমান বাবু এবং অভিজিত রায়৷ ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যার বিচার হওযায় ওই মামলাটি এই তালিকায় নেয়নি সিপিজে৷ সিপিজে বলছে, বাংলাদেশে হত্যাকারীদের নিশানায় ছিলেন সেক্যুলার ব্লগার এবং মাদক চোরাচালান সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা সাংবাদিক৷

বাংলাদেশে ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২২ জন সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে৷ আর ২০০৬ সাল থেকে পরের ১০ বছরে হত্যার শিকার হয়েছিলেন ৬ জন৷ এই হিসেবে অবশ্য ব্লগাররা নেই৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার অধ্যাপক ড. সফিউল আলম ভুইয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, বাংলাদেশে শুধু সাংবাদিক হত্যা নয়, যে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতেই অনেক সময় লাগে৷ এটা প্রচলিত আইনের ত্রুটি৷ উদ্দেশ্যমূলকভাকে সাংবাদিক হত্যার বিচার বিলম্বিত করা হয় তা আমার মনে হয় না৷ তবে তিনি মনে করেন, হত্যাকাণ্ডের বিচার ত্বরান্বিত করতে আইন সংশোধন করা যেতে পারে৷

অন্যদিকে সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান মনে করেন, এসব জরিপ নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ আছে৷ ব্লগাররা মুক্তমনা৷ তাদের সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভূক্ত করে এই জরিপ গ্রহনযোগ্য হবেনা বলেই মনে হয়৷

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যার নানা ধরণ আছে৷ এর ভিতরে পেশার কারণে কতটি হত্যাকান্ড ঘটেছে, তা অনুসন্ধান করা প্রয়োজন৷ তবে সাংবাদিক হত্যায় যারা জড়িত, তারা শক্তিশালী এবং তারা নানা কৌশল অবলম্বন করে৷ এ কারণে তারা অনেক সময় পার পেয়ে যায়৷ আবেদ খান আরো বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত ব্রিটিশ আইন আসামিদের পক্ষে, বাদির পক্ষে নয়৷ বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে এটিও একটি বড় বাধা৷-ডয়চে ভেলে।

ছেলের দুশ্চিন্তায় গ্যালারিতে বসেই কাঁদলেন মুশফিকের মা

আজ বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের মধ্যকার শেষ টেস্টের প্রথম দিনের খেলার মাঝামাঝি সময়ে বেন স্টোকসের ধেয়ে আসা বাউন্সারটা লাগল একেবারে মুশফিকুর রহিমের হেলমেটের পেছনে। মাটিতে পড়ে গেলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক।

ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরাই দ্রুত ফিজিওকে আসার ইঙ্গিত দিলেন। দৌড়ে ঢুকলেন বাংলাদেশ দলের ফিজিও। খানিক পরে ইংল্যান্ডের ফিজিও। স্ট্রেচার হাতে ফায়ার ব্রিগেডের দুই সদস্যও। খানিক পরে মুশফিক নিজেই উঠে দাঁড়ালেন। দুশ্চিন্তার মেঘটা সরে গেল তাতে। দর্শকেরা অধিনায়ককে অনুপ্রাণিত করলেন তুমুল করতালিতে।

তবে যখন বাউন্সারের আঘাতে ক্রিজে লুটিয়ে পড়লেন মুশফিক, তখন টিভি স্ক্রিনে তখন ভেসে আসল মুশফিকের বাবা-মায়ের চেহারা।

তবে দর্শকেরা অধিনায়ককে তুমুল করতালিতে অনুপ্রাণিত করলেও গ্যালারিতে বসা মুশফিকের মা রহিমা খাতুনের শংকা কাটলো না। কেঁদে দিলেন ছেলের দুশ্চিন্তায়।

দুশ্চিন্তা তো থাকবেই! মা বলে কথা। তবে এসময় মুশফিকের বাবা মাহবুব হামিদ তাকে সান্তনা দেন।

বর্তমানে আমি রাজনীতিতে সক্রিয় নই: সোহেল তাজ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে গুঞ্জন ছিল দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ দলটির কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসছেন। সম্মেলনের আগে গুঞ্জন চললেও সম্মেলন শেষে তাজকে দেখা যায়নি দলটির কোনো পদে। তবে সব আলোচনার অবসান ঘটিয়েছেন সাবেক এ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন ‘বর্তমানে আমি রাজনীতিতে সক্রিয় নই।’

সোহেল তাজের ফেসবুকে স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘আপনাদের মন্তব্য এবং গণমাধ্যমের কিছু সংবাদ দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে, অনেকের ধারণা সদ্য অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ council এ আমাকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে।

এই বিষয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর খবরও প্রকাশিত হয়েছে এবং এও প্রচারিত হয়েছে যে, আমি দেশে ফিরেছি council এর কারণে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এসব ধারণা সঠিক নয়, আমি কোনো পদ কারো কাছে চাইনি এবং আশাও করিনি, কারণ বর্তমানে আমি রাজনীতিতে সক্রিয় নই।’

সোহেল তাজের এ স্ট্যাটাস প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় চার হাজার লাইক ও প্রায় বারো’শ কমেন্ট পড়েছে। সেই সঙ্গে ১৪০টির মত শেয়ার হয়েছে।

এদিকে স্ট্যাটাসে দেয়া সোহেল তাজের এমন সিদ্ধান্তকে পরিবর্তনের অনুরোধ জানান সাধারণ পাঠকরা। পাঠকরা তাকে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানান। দেশের জন্য সোহেল তাজকে দরকার বলে তারা উল্লেখ করেন।

এর আগে সোহেল তাজ রাজনীতিতে ফিরছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা গিয়েছিল। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়ার বিষয় গুঞ্জন ছিল সোহেল তাজের। কাউন্সিলের আগে সোহেল তাজের এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এ গুঞ্জনে আরও জোরালো হয়েছে। তিনি তার ফেসবুক পাতায় বাংলাদেশের লাখো মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আর এর জন্য বাংলাদেশে প্রচুর সময় দিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে তিনি রাজনীতিতে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

তার বাস্তব প্রমাণও মিলেছিল সম্মেলনের মঞ্চে সোহেল তাজের উপস্থিতি। সেই সঙ্গে সম্মেলনের ঠিক আগ মুহূর্তে টানা দুদিন দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক। সম্মেলন স্থলও পরিদর্শন করেছেন তিনি।

প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ চারদলীয় জোট সরকার আমলে রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় থেকে অনেকের নজর কাড়েন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয় অর্জন করেন। সে সময় গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গঠিত মন্ত্রিসভায় সোহেল তাজকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এর পাঁচ মাসের মাথায় ২০০৯ সালেই তিনি পদত্যাগ করেন।

ওই বছর ৩১ মে তিনি পদত্যাগ করে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন। কিন্তু তখন তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন বছর পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি পদত্যাগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারিরও আবেদন জানান। সেই সময় থেকে তার ব্যক্তিগত হিসাবে পাঠানো বেতন-ভাতার যাবতীয় অর্থ ফেরত নেয়ারও অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে। এরপর ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিলে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ।

বন্দরে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মানববন্ধন

বন্দরে স্বামী পরিত্যাক্তা ২ সন্তানের জননী দুলালী হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও বাদ আসর নবীগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে মানববন্ধন করে। খুনীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে এলাকাবাসী অংশ গ্রহন করেন।

গত ১৬ অক্টোবর নবীগঞ্জ রওশন বাগের বাড়ী থেকে দুলালীকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে। ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৭ অক্টোবর দুলালী বেগম (২৫) মারা যায়।

ময়না তদন্ত শেষে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় নবীগঞ্জ কবরস্থানে দুলালীর লাশ দাফন করা হয়।

মামলার বাদী নিহত দুলালীর চাচা আক্তার হোসেন জানান, বন্দর থানার নবীগঞ্জ রওশনবাগ এলাকার মৃত বাছেদ মিয়ার মেয়ে দুলালী সাথে বন্দর তিনগাঁও সুতারপাড় ভদ্রাসন এলাকার হাসান আলী মিয়ার ছেলে নূর ইসলাম পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এ সুবাধে প্রায় সময় প্রেমিক নূর ইসলামের বাড়ীতে যাতায়ত করত।

এ সূত্র ধরে গত ১৬ অক্টবর সন্ধ্যা ৭টায় প্রেমিক নূর ইসলাম প্রেমিকা দুলালীকে কথা আছে বলে রওশনবাগ এলাকা থেকে তার ডেকে নিয়ে যায়। পরে পরকিয়া প্রেমিক নূর ইসলামের ২ স্ত্রী সেলিনা বেগম, হেলেনা বেগম, ছেলে আল আমিন, মা মাফিয়া বেগম মিলে তাকে পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত ভেবে কুশিয়ারায় চন্ডিতলা বিলে ফেলে পালিয়ে যায়। ১০ দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। দুলালী খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন রওশনবাগ পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক কামাল বাদশার নেতৃত্বে, লাভলু, সুরুজ, মধূ, সুমন, মহসীন, বাপ্পি, রহিম, আক্তার, আরমান, পাগলা, আক্তার হোসেন, কালুন, আলী আকবর, আন্নাস, রাজু আহাম্মেদ, আঃ করিম, খোরশেদ, রুবেল, রবিউল হোসেন পাখিসহ এলাকার শত শত নারী-পুরুষ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বন্দর থানার পুলিশ প্রশাসন দুলালীর খুনীদের গ্রেফতারে ও মামলা নিতে সকল প্রকার সহযোগিতা করেছেন। তাই তারা বন্দর পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

বক্তারা আরও বলেন দুলালী একজন নিরিহ ও অসহায় মহিলা ছিলেন, তার ২টি বাচ্চা। দুলালী খুন হওয়ায় এ বাচ্চা ২টি সম্পূর্ন অসহায় হয়ে পড়েছে।

এ অসহায় নারীর খুনীদের দৃুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ড মূলক শাস্তি দাবি করেন। সেই সাথে এলাকাবাসী স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ফতুল্লায় ইউপি সদস্যসহ ৩ ছিনতাইকারী গ্রেফতার

ফতুল্লায় ইউপি সদস্যসহ আন্তঃজেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা ছিনতাইচক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত একটি অটোরিকশা (ঢাকা মেট্রো-থ-১৩-০০৭৪) উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দিনগত গভীর রাতে ফতুল্লার তুষারধারা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলো, পটুয়াখালির বাউফল বিশাল এলাকার মৃত আব্দুল সাত্তার মিয়ার ছেলে ইউপি সদস্য শানু (৪৫), নড়াইল নরাগাতি থানার কালিনগর এলাকার কাজি হারুন অর রশিদের ছেলে কাজি তরিকুল ইসলাম (৩৬) ও মুন্সিগঞ্জ জেলার দক্ষিণ চরমশোয়ারার মঞ্জিল মিয়ার ছেলে মামুন (৩০)।

ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজি এনামুল জানান, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের কৌশলে বোকা বানিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে চক্রটি। পরে মুক্তিপণ দাবি করে চাহিদা অনুযায়ী টাকা আদায় করে অটোরিকশা ফেরত দেওয়া হতো। বিশেষ করে বাউফল ইউপি সদস্য শানু ছিনতাইচক্রের মূলহোতা। তার নেতৃত্বে একটি বড় চক্র রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নয়া সমিকরণ

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন হিসেব। প্রাপ্তি-প্রত্যাশা নিয়েও চলছে নয়া সমিকরণ। দীর্ঘ ১৪ বছর পর জেলা আওয়ামী লীগ আংশিক গঠনের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নড়েচড়ে বসে। যারা এতোদিন পদের বাইরে থেকে দলের সব কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহন করেছে তাদের মধ্যে পদ প্রাপ্তি আকাঙ্খা জেগে উঠেছে। আবার অনেকে প্রত্যাশিত পদ পেতেও লবিং-তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। শঙ্কিত রয়েছে পদ আকড়ে থাকা সুবিধাবাদী নেতারাও। এতোদিন পর দল পূর্নগঠন শুরু হওয়ায় ওইসব সুবিধাবাদী নেতারা স্বপদে বহাল থাকতে পারবে কিনা এ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতারা চাচ্ছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কর্মীবান্ধব নেতারা নেতৃত্বে ফিরে আসুক। আর সে লক্ষ্য নিয়েই কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে তৃনমূলে শুরু হয়েছে নানামুখী তৎপরতা। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নিস্ক্রীয় নেতাদের সক্রিয় করতে এবং পদের বাইরে থেকে যারা দলের হয়ে রাজপথে সক্রিয় রাজনীতি করেছে তাদের মূল্যায়নের আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর কাজ। এছাড়া নেতাকর্মীদের নতুন করে সংগঠিত করতে একাধিক কর্মসূচির হাতে নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে আগামীকাল অক্টো অফিস এলাকায় অবস্থিত সামসুজ্জোহা ষ্টেডিয়ামে সমাবেশের আয়োজন করেছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের মতে, এই সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের যে কোন সময়ের চেয়ে স্মরনীয় সমাবেশ হবে। আর এই সমাবেশের মধ্যদিয়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ নতুন করে জেগে উঠবে। তবে এই সমাবেশকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নেতাকর্মীরা সমাবেশকে সফল করতে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রস্তুতি সভা অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারাঢয়ণগঞ্জের একাধিক নেতার স্থান পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কেউ গুরুত্বপূর্ন কোন পদে স্থান পায়নি। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা নেমে আসে। আর এই হতাশা কাটানোর জন্য আগামীকালের সমাবেশ গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধা মহল। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কমিটিগুলো দীর্ঘদিন ধরে পূর্নগঠন প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। এর ফলে নেতাকর্মীদেও মধ্যে স্থবিরতা নেমে আসে। জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চ্য ফিরে আসে। নেতাকর্মীরা নতুন করে চাঙ্গা হয়ে ওঠেছে। জেলা আওয়ামী লীগের পাশাপাশি অঙ্গ সংগঠনগুলোতে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করছে জেলা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ইতোমধ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও সক্রিয় নেতাদেও গুরুত্ব দেয়া হবে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলও একই ধরনের কথা বলেছেন। দলের তৃনমূলের কর্মীদেও মতে, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার কথা সত্যি হলে অনেক পরে হলেও দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা সঠিক মূল্যায়ন পাবে। কর্মীদের মতে, নেতাদের এমন বক্তব্য যেন গতানুগথিক ধারার না হয় সে ব্যাপারে নেতাদের আরো সর্তক হতে হবে। দলের অপর একটি সূত্রে জানাগেছে, জেলা আওয়ামী লীগের খসড়া কমিটি প্রস্তুত করে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটিগুলোও নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অঙ্গ সংগঠগুলোতেও নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করছে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তবে আওয়ামী লীগের এই প্রাণচাঞ্চল্য ধরে রাখতে কর্মীবান্ধব নেতাদের সঠিক মূল্যায়নের বিকল্প কিছু নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধা মহল।

মৌসুমি পাখিদের স্থান হবে না দলে-ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতার রাজনীতির স্রোতধারায় সুবিধাবাদীরা গড়ে ওঠে। মৌসুমি পাখির মতো আসা এসব অতিথি নেতার দাপটে দলের দুঃসময়ের কর্মীরা হারিয়ে যান। কেউ কেউ কোণঠাসা হয়ে পড়েন। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগে মৌসুমি পাখিদের জায়গা হবে না।

গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে প্রথমবারের মতো দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামে ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের দৈনিক বাংলার বাণীর সহকারী সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘ সময়। এ পর্যন্ত নয়টি বই লিখেছেন। বসুরহাট সরকারি এএইচসি হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান করে তিনি উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা একজন আইনজীবী।

১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুজিববাহিনীর কোম্পানীগঞ্জ থানা কমান্ডার ছিলেন। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কারাবন্দী থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। টানা দুবার তিনি এ পদে ছিলেন। ওবায়দুল কাদের ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এক-এগারোর সময় ১৭ মাস ২৬ দিন তিনি কারাবরণ করেন। ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। বর্তমানে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

সাক্ষাৎকারে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ অনেকেরই অর্থসম্পদের দিকে ঝুঁকে পড়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করছি। তবে যারা মূলত আওয়ামী লীগ করেন, দলকে ভালোবাসেন, তাদের কোনো চাহিদা নেই। দল ও দেশ ভালোভাবে চললে, এটাই তাদের বড় পাওয়া।

সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর আপনার কোন কাজটি এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের প্রথম টার্গেট আগামী নির্বাচন। পরবর্তী টার্গেট রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন। অর্থাৎ উন্নত ও মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা।’ তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ আমাদের প্রধান বিপদ। প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে তারা ভয়াবহ হামলার প্রস্তুতি যে নিচ্ছে না এ কথা বলার উপায় নেই। এ বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে পরাজিত করাই হবে আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার।’ তিনি বলেন, ‘দলকে শৃঙ্খলায় নিয়ে আসা আমাদের অন্যতম কাজ। উন্নয়ন আর আচরণকে একই ধারায় বহমান করা দরকার। উন্নয়ন যতই হোক না কেন, আচরণ খারাপ করলে উন্নয়ন ম্লান হয়ে যায়। আবার ভোটের রাজনীতিতেও এর প্রভাব আছে। এখন থেকেই এ কাজটি আমাদের করতে হবে। ২০২১ ভিশনের সঙ্গে সংগতি রেখে দলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। দলে একটি টিমওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।’ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি দলেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে কোনো সমস্যা হবে কিনা— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার যে কাজের ধরন, তার সঙ্গে এখন আমার দলীয় কাজ খুব সহজ হলো। আজকে আমি যদি সাধারণ সম্পাদক না হতাম, তাহলে ধরুন প্রেসিডিয়াম সদস্য থাকতাম। তখন রাস্তা দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অনেকের অভিযোগ শুনতে হতো; যা আগেও শুনেছি। কিন্তু কোনো সমাধান দিতে পারতাম না। কারণ আমি অথরিটি নই। এখন অথরিটি পেয়েছি। এখন সমাধান করতে পারব। যদি কোথাও সমস্যা খুব বেশি হয়, তাহলে প্রয়োজনে দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে নেব। এখন আমার সুবিধা রাস্তা দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগ দেখব, আর আওয়ামী লীগ দেখতে গিয়ে রাস্তা দেখব।’ আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের কাছে বিএনপি প্রত্যাশা করেছে, তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে এবং নতুন নির্বাচনের উদ্যোগ নেবে; আপনি কী বলবেন? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্র ও নির্বাচন সবই আছে। একটা গণতান্ত্রিক দল দীর্ঘদিন সরকারের বাইরে আছে। সরকারের বাইরে থেকে বিরোধী দলের যে দায়িত্ব, তা যদি যথাযথভাবে পালন করে এবং গত নির্বাচনের মতো নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি যদি তারা না ঘটায় তাহলে দেশে স্বস্তি আসবে। শান্তি কথাটা বলব না এ কারণে যে, শান্তি জিনিসটা অনেক বড় বিষয়। এখন বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ আমাদের তাড়া করছে। আমেরিকায় যখন নির্বাচন চলছে, তখন সেখানে অনেক ঘটনা ঘটছে। প্যারিসের মতো দেশ নিরাপদ নয়। যে দেশকে সংস্কৃতির রাজধানী বলা হয়, সেখানেও শান্তি নেই। তাই এসবের মধ্যে আমি তাদের (বিএনপি) বলব, সরকারকে অস্থিতিশীল করে দেশের স্থিতি নষ্ট করে লাভ নেই। এখন দেশের ক্ষতি করে তারা যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে সেই ক্ষতি পূরণ করার জন্য অনেক সময় তাদের অপেক্ষা করতে হবে। যেসব ঘটনা দেশকে পিছিয়ে দেয়, গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করে, দেশের স্থিতিকে রক্তাক্ত করে, সেসব ঘটনা না ঘটিয়ে তারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন করুন। জনমত গড়ে তুলুন। বিরোধী দল বা বিরোধী পক্ষ শক্তিশালী হলে সরকারও আরও শক্তিশালী হয়।’

বিএনপি আপনাদের স্বাগত জানিয়েছে, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে আমাদের মতের বিভেদ থাকতে পারে। তবে রাজনীতিতে সৌজন্য হারিয়ে যাবে, এটা ঠিক না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা কাজের পরিবেশ থাকা ভালো। তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোরও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিএনপি স্বাগত জানিয়েছে, আমিও তাদের শুভেচ্ছা জানাই।’ তিনি বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে সৌজন্য সাক্ষাতে বেগম খালেদা জিয়া দেশে গণতন্ত্রশূন্যতার কথা বলেছেন। কিন্তু চীনের প্রেসিডেন্ট তাদের বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশে শান্তি চাই’। চীনের প্রেসিডেন্ট যেটা বলেছেন, তার কথার সঙ্গে প্রতিধ্বনি করে বলতে চাই, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বিএনপিরও সহযোগিতা চাই।’ দলকে ঢেলে সাজাতে বা আরও সংগঠিত করতে আপনার বাড়তি কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কৌশলটা একটা পরিস্থিতিতে উদ্ভব হয়। পরিস্থিতির আলোকে নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করা হবে। আমরা দলকে সংগঠিত করতে গতকাল প্রথম সম্পাদকমণ্ডলীর সভা করেছি। দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নের সহায়ক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক ১০০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের কর্মকাণ্ডের সীমা বেঁধে দেওয়া হবে যাতে তারা জেলায় গিয়ে নেতাদের ওপর হামবরাভাব দেখাতে না পারে।’ আপনার কাছে দলের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর অনেক প্রত্যাশা— এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যাশার চাপ তীব্রভাবে অনুভব করছি। সম্মেলনে সর্ববৃহৎ উত্তাল ঢেউয়ের রেশ এখনো যায়নি। দলীয় কার্যালয়ে যুদ্ধ করে ঢুকি, যুদ্ধ করতে করতে বের হই। এগুলো জাগরণের ঢেউ। কাজেই আমার কাছে নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। আমি এখন যদি প্রতিশ্রুতি দিই, আর সেগুলো বাস্তবায়ন না করতে পারি তাহলে এই জাগরণের কোনো মানে নেই।’

ছাত্রলীগের সভাপতি থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক— আপনার মন্তব্য কী? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেত্রী আমাকে পরিশ্রমের মূল্য দিয়েছেন। আমার রাজনৈতিক জীবনে অনেক পরিশ্রম করেছি। দুর্যোগের অমাবস্যা পার করেছি। জেল খেটেছি। নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমার একটা কমিটমেন্ট আছে, সেটা হলো আমাকে কোনো কাজে লাগালে সেখানে লেগে থাকি। বিষয়টি নেত্রী জানেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি দুই দফা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। জেল থেকে আমিই প্রথম ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম। ১৯৮১ সালে নেত্রী দেশে আসার পর আমি তাকে স্বাগত জানিয়েছি সভাপতি হিসেবে। নেত্রীর দলের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় ৩৫ বছর। আমারও ছাত্রলীগ ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা ৩৫ বছর। আমি ’৮১ সাল থেকে নেত্রীর সঙ্গে থাকতাম, নেত্রীর সঙ্গেই কাজ করতাম। নেত্রীর এমন কোনো সফর ছিল না যেখানে আমি ছিলাম না।’ তিনি বলেন, ‘৭৫-এর রাজনীতির পর আমরা ছাত্রলীগের কয়েকজন তরুণ রাজপথে আন্দোলন করেছি, প্রথম লিফলেট বিতরণ করেছি, এমনকি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে মিছিল নিয়ে বের হয়েছিলাম। নভেম্বরের ৪ তারিখে মিছিল করার সময় খবর পেলাম জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। সব মিলে আমি বলব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃষ্ট কর্মী আমি। তার কাছ থেকে অনেক শিখেছি। তিনি আমাকে ধাপে ধাপে অনেক গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন সেই ধারাবাহিকতায়।’

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে বর্তমান ছাত্রলীগের প্রতি আপনার উপদেশ কী— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের সহযোগী সংগঠন। আমি নিজেও ছাত্রলীগের সৃষ্টি। ছাত্রলীগ আমার কৈশোরের ভালোবাসা, যৌবনের প্রথম প্রেম। স্বাধীনতার সময় ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল অন্যরকম। সে সময় ছাত্রলীগের ত্যাগী মানসিকতা ছিল। এরপর আমরা যখন প্রথম ক্ষমতায় ছিলাম, তখন যে নেতিবাচক বিষয়গুলোর অনুপ্রবেশ করেছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ’৭৫-পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল, তাদের ছাত্র সংগঠনগুলো কিছু সুবিধাবাদী-সুযোগসন্ধানী বা স্বার্থপরতা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এখন আবার আওয়ামী লীগেরও তৃণমূল পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা, অথবা ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাদের যে মানসিকতা সেখানে ছাত্রলীগকে পাহারাদার হিসেবে ব্যবহার করার প্রবণতাটা সমস্যার কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সেটা এখনো বিরাজ করছে। সে অবস্থার যে স্রোত তা থেকে ছাত্রলীগকে পুরোপুরি বের করে আনতে পারিনি। আমি মনে করি, যদি নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতো তাহলে এ সমস্যার সমাধান হতো। আজ প্রায় ২৪ বছর ডাকসুসহ প্রতিটি ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই গণতন্ত্রচর্চা চালু থাকলে প্রতি বছর নতুন নেতৃত্ব বের হয়ে আসত। ডাকসু-জাকসুসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন হলে যাদের আচরণটা বেপরোয়া বা অপকর্ম করে, তারা ভালো হওয়ার চেষ্টা করত। কারণ তারা মনে করত আমাকে তো আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে হবে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ভোট নিতে হবে। তাদের মন জয় করতে হবে। এসব করলে ভোট দেবে না। এ ব্যাপারে আমি শিক্ষামন্ত্রীকে বার বার বলেছি, ছাত্র রাজনীতিকে বিশুদ্ধ করার জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন।’ আপনি তো সাংবাদিকতা করেছেন, গণমাধ্যমের প্রতি আপনার বার্তা কী— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই পেশায় এখন তরুণরা আসছে। তারা বেশ ভালো করছে। যেহেতু আমি সাংবাদিক ছিলাম, তাই একজন রিপোর্টারের মূল্যায়ন আমি বুঝি।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাংবাদিকতা এখন বিকাশমান। তবে বড় কষ্ট হচ্ছে আমি যখন সাংবাদিকতা করেছি, তখন প্রেসক্লাবে ওয়াল ছিল না। এখন রাজনীতির মতো প্রেসক্লাবেও ওয়াল তৈরি হয়েছে। যে জেলায় যাচ্ছি তার অধিকাংশতেই দেয়াল তৈরি দেখতে পাচ্ছি। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে বলব, একটু নজর দিন। অন্তত একটা মাত্র জায়গা পাব যেখানে পেশাদারিত্বের জায়গায় সবাই এক থাকবেন।’ তিনি বলেন, ‘শুধু সাংবাদিকতায়ই নয়, সব পেশাতেই দেয়াল উঠছে। তারা হয় আওয়ামী না হয় বিএনপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তাই আহ্বান থাকবে— মোটামুটি একটা পজিটিভ জায়গায় থাকলে, আমাদের মূল্যবোধ, সৌজন্যবোধ বৃদ্ধি পাবে। আদর্শের জায়গাটা আরও উজ্জ্বল হবে।’