১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 4

বক্তাবলীর রাধানগরের ছয়টি সমাজ এক হলো নুর মোঃ টিটুর প্রচেষ্টায়

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের দ্বিধাবিভক্ত ছয়টি সমাজ এখন এক হয়েছে নূর মোহাম্মদ টিটুর প্রচেষ্টায়।

সমাজসেবক নূর মোহাম্মদ টিটুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জীবনের সহযোগিতায় দ্বিধাবিভক্ত ছয়টি সমাজকে এক করা হয়েছে।
জানা যায়, ছয়টি সমাজের মধ্যে হাজী বাড়ি সমাজ আলাদা হয়ে তারা বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচি ও সামাজিক কাজকর্ম পালন করতো।

বিশিষ্ট সমাজসেবক নুর মোহাম্মদ ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও তত্ত্বাবধানে এবং সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জীবনের সহযোগিতায় ৬ টি সমাজকে এক করতে সক্ষম হয়।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকাল ৫ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জীবনের সভাপতিত্বে ৬ টি সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সকলের মতামতের ভিত্তিতে এখন থেকে ৬ টি সমাজ মিলেমিশে সকল ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রম করবে বলে একাত্বতা ঘোষণা করা হয় ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জীবন, নুর মোহাম্মদ টিটু, আলমগীর হোসেন মেম্বার, সাবেক মেম্বার আব্দুল জলিল, ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব হোসেন দুলাল,শরিয়তউল্লাহ, মজিবুর রহমান, আবুল হোসেন, ও ওমর ফারুক প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলী এখন আতঙ্কের জনপদ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: অশান্ত হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলী। সেখানে একের পর এক ঘটছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে হামলা-পাল্টা হামলা, সংঘর্ষের ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। অনেকে গুরুতর আহত হয়ে সারা জীবনের জন্য কাজের অক্ষম হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে সম্প্রতি টেঁটা দিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে। পুরো বক্তাবলী এলাকায় এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। নারায়ণগঞ্জ শস্যভাণ্ডার খ্যাত বক্তাবলী এখন আতঙ্কের জনপদ হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, বক্তাবলী অশান্ত হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তার। এ ছাড়া ইটভাটায় মাটি সাপ্লাই, নৌপথে ডাকাতি এবং জমিজমা বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্ব।

স্থানীয়দের মতে, বিগত এক যুগ ধরে চলা আধিপত্যের লড়াইয়ে কম করে হলেও সহস্রাধিক নারী পুরুষ আহত হয়েছেন। অসংখ্য বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। সর্বশেষ ৩১ মে দুইপক্ষের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধ হয়। এতে বেশ ক’জন টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এর ঠিক তিন দিন আগেও দুই গ্রুপের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধ হয়েছিল। সে সময় অন্তত ২০জনের মতো টেঁটাবিদ্ধসহ আহত হয়েছিলেন অন্তত শতাধিক ব্যক্তি। এ ছাড়া বিক্তাবলী আকবর নগরের রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের সংঘর্ষে বিগত দিনে প্রায় ডজনখানেক খুনের ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র জানায়, বক্তাবলীর আকবর নগরের অধিপত্য বিস্তার নিয়ে গেল এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রহিম হাজী ও সামেদ আলীর মধ্যে বিরোধ বিদ্যমান। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করতে এই যুগের মধ্যে অন্তত কয়েক শ বারের মতো সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। কয়দিন বিরতির পরপরই এই দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নানা সময়ে নানাভাবেই এই দুই গ্রুপের এই বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন থেকে শুরু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তবে অভিযোগ রয়েছে, সামেদ আলী ও রহিম হাজী একে অপরের শত্রু হলেও তারা দুজনই স্থানীয় চেয়ারম্যান শওকত আলীর শেল্টারেই চলেন। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের এই নেতার লোক তারা দুজন- সবার কাছে তেমনভাবেই পরিচিত তারা। কারো কারো মতে, নিজের সুবিধার জন্য সামেদ ও রহিমের মধ্যে বিরোধ জিইয়ে রাখার নেপথ্য কারিগর হিসেবেই কাজ করছেন তিনি।

নদীবেষ্টিত আকবর নগরের একদিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদি খান অন্যদিকে কেরানীগঞ্জ। ফলে সংঘর্ষের সন্ত্রাসীরা ওই দুটি এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। আবার এসব সংঘর্ষে ওই দুই এলাকা থেকে সন্ত্রাসীরা এসেও উভয় গ্রুপে যুক্ত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে পুলিশ প্রশাসন এখানে কার্যত তেমন কোনো ভূমিকা পালন করতে পারছে না। বক্তাবলীতে দুই গ্রুপের মারামারির কারণে হৃদয় হোসেন বাবু (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী ও হত্যা মামলার আসামি নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের আরো কয়েকজন গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হৃদয় হোসেন বাবু বক্তাবলী ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার রাসেলের লোক বলে জানা গেছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগরে এক শিক্ষানবিস আইনজীবী ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। একই সাথে মাদ্রাসা ভাঙচুর ও টাকা লুটেরও অভিযোগ উঠেছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে। চাঁদা দাবি এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে সম্প্রতি বক্তাবলীর কানাইনগরের মারকাযুস সুন্নাহ তৈয়্যবিয়া মাদ্রাসার সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় সম্প্রতি ডাকাতের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ধলেশ্বরী নদীতে একটি বাল্কহেডে ডাকাতির সময় নৌ পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে এ হামলা চালায় ডাকাতরা। এ সময় আট ডাকাতকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান শওকত আলী জানান, পরিবারের প্রভাব বিস্তার নিয়ে গত তিন দশক ধরে এই দুই পরিবার সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। মাঝখানে বেশ কয়েক বছর শান্ত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তারা আবারো একে অপরের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে সাথে নিয়ে বক্তাবলীর শান্তি ফিরিয়ে আনতে যা যা করনীয় তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদের কোনো দলীয় সাপোর্ট নেই। তারা এলাকা ও পরিবারকেন্দ্রিক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আযম মিয়া জানান, বক্তাবলীতে যারা সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে তাদের ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সূত্র : নয়া দিগন্ত

ভিক্ষুকের টাকা মেরে দিলেন চেয়ারম্যান

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ভিক্ষা করে জমানো স্বামী হারানো ৮২ বছর বয়সী কুটি খাতুনের ১৫ হাজার টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে। মাথা গোঁজার স্বপ্ন নিয়ে সরকারি ঘরের আশায় ২ বছর আগে ওই নেতাকে এ টাকা তুলে দেন কুটি। অথচ আজও সেই ঘর দেওয়া হয়নি তাকে। এমনকি টাকাও ফেরত পাননি তিনি।

অভিযুক্ত ওই আ.লীগ নেতার নাম কামরুজ্জামান সাহেব ফকির। তিনি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ভুক্তভোগী কুটি খাতুন উপজেলার চরযশোরদি ইউনিয়নের বড় শ্রীবদ্দি গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইউসুফ মাতুব্বরের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে নিজের জীবন বাঁচাতে লড়াই করে আসছেন তিনি। পেটের তাগিদে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করছেন তিনি। বসবাস করছেন প্রতিবেশির ঝুপরি ঘরে। এমন অবস্থায় শেষ বয়সে এসে একটি সরকারি ঘরে মাথা গোঁজার স্বপ্ন দেখেন তিনি। আর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য গত ২ বছর আগে ভিক্ষা করে জমানো ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে।

তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, এখনো মেলেনি তার সরকারি ঘর। এমনকি ফেরত পাননি টাকা। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো ভাতার তালিকায় তার নামও ওঠেনি বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী কুটি খাতুনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য ওঠে আসে।

মূলত চেয়ারম্যান নির্বাচনের আগে আওয়মী লীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় এ লেনদেন হয়েছে বলে জানা যায়।

প্রতিবেশীরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের বছর মারা যান কুটি খাতুনের স্বামী। তার দুটি ছেলে সন্তান থাকলেও তারা কেউ মাকে দেখেন না। স্বামীর সম্পত্তি বলতে এক টুকরো ভিটে থাকলেও মাথা গোঁজার মতো ঘর ছিল না। প্রতিবেশীর একটি ঝুপরি ঘরে থেকে ভিক্ষা করে পেট চালান তিনি। বর্তমানে অনাহারে অর্থাহারে কাটছে তার জীবন।

ভুক্তভোগী কুটি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে গত ২ বছর আগে চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সাহেব ফকির আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু টাকা নিলেও ঘর দেয়নি। আমি ঘরের জন্য অনেক ঘুরেছি, লাভ হয়নি। এখন দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে বিচার চেয়েছি।

কুটি খাতুনের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির খান বলেন, ওই বৃদ্ধা মহিলা বারবার আমার কাছে এসে ঘর ও টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। আমি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলেও তিনি গুরুত্ব দেননি।

অভিযুক্ত চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান সাহেব ফকির বলেন, কুটি খাতুনকে আমি চিনিই না। তবে শুনেছি, সরকারি ঘরের জন্য পাচী নামে এক মহিলা তার আত্মীয়কে ১৩ হাজার টাকা দিয়েছিল। সেই টাকা পাচীকে ফেরতও দিয়েছে। এখন আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া এই বয়োজ্যেষ্ঠ অসহায় মহিলাকে বসবাসের জন্য অতি দ্রুত একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে এবং সরকারি ভাতার আওতায় আনা হবে।

 

না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাংবাদিক বদিউজ্জামান

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : না ফেরার দেশে চলে গেলেন ফতুল্লা থানা বিজয় টিভির প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ টিভি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক বদিউজ্জামান ভাই।

আজ ভোর রাত চারটার সময় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীনবস্থায় ইন্তেকাল করেন।ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউ।

জোহর নামাজের পর পূর্ব লালপুরস্থ তার বাড়ীর সামনে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। উক্ত জানাযার নামাজে ফতুল্লা প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ টিভি সাংবাদিক ফোরামের সদস্যবৃন্দ সহ, মরহুমের আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

স্বাক্ষীদের রাতভর থানায় আটক রেখে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : গুরুত্বপূর্ণ মামলার সাক্ষীদের স্বাক্ষী হাজিরের তারিখের একদিন আগে থানায় নিয়ে সারারাত আটক রেখে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সোনারগাঁওয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অবৈধভাবে জমি দখল করতে গিয়ে যুবলীগ নেতাকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে থানায় নিয়ে সারারাত নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আইনজীবি খন্দকার মাজেদুল ইসলাম সম্রাট রবিবার (২ জুন) রাতে এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার চিলারবাগ এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আনিসুর রহমান আলমগীর বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ নারায়গঞ্জ এ সোনারগাঁও থানার তৎকালীণ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলম ও সেকেন্ড অফিসার সাধন বসাকের বিরুদ্ধে একটি প্রতিষ্ঠানকে জোর করে অন্যের জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টায় ওসি মোর্শেদ ও সাধন বসাককে আসামী করে আদালতে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় আগামীকাল ৩ জুন আদালতে স্বাক্ষীদের হাজির সাক্ষ দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ আছে।

এদিকে, পুলিশী হয়রানী ও হুমকি থেকে বাচঁতে গত ১৯ মে বাদী বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হয়ে বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধান ও আসামী হয়েও সাবেক ওসি মোরশেদ আলম আদালতের প্রথম বেঞ্চে বসে থাকার বিষয় বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করেন। আদালত সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সোনারগাঁও থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

এদিকে, আদালতের সে নির্দেশকে পুঁজি করে সোনারগাঁও থানা পুলিশ স্বাক্ষী হাজিরের তারিখের একদিন আগে ২ জুন রবিবার বিকাল ৫টার দিকে সোনারগাঁও থানার এসআই ইমরান বাদী আনিসুর রহমান আলমগীর, স্বাক্ষী সৈয়দ বশিউর রহমান শামীম ও স্বাক্ষী জাহিদুল ইসলাম স্বপন’কে থানায় ডেকে নিয়ে সারারাত আটকে রেখে মানসিক নির্যাতন করে।

স্বাক্ষী জাহিদুল ইসলাম স্বপনের সাথে কথা হলে তিনি জানায়, আগামীকাল আমাদের মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ। আমরা আদালতে যাওয়ার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু ওসি সাহেব মামলার বিষয়ে আমাদের সাথে কথা বলবেন এমন কথা বলে বিকালে থানায় এনে আমাদের আটকে রেখেছেন। এখানে রাতে না খেয়ে, আমি (স্বপন) ডায়বেটিকের রোগী। প্রতিদিন দুই বেলা ইনস্যুলিন নিতে হয়। অথচ থানায় সারারাত মশার কামড় খাইয়ে আর ক্ষুধার্ত রেখে পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার এসআই ইমরান সোনারগাঁও বলেন, পুলিশ আদালতের নির্দেশ পালন করেছে মাত্র। এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, বিগত দিনে তারা স্বাক্ষী না দেওয়ায় মাননীয় আদালত পরোয়ানা জারি করেছেন। আমরা আদালতের নির্দেশ পালন করেছি মাত্র।

এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাজেদুল ইসলাম সম্রাট জানায়, পুলিশী হয়রানী ও হুমকি থেকে বাচঁতে গত মে মাসের ১৯ তারিখ বাদী বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হয়ে বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধান ও আসামী হয়েও সাবেক ওসি মোরশেদ আলম আদালতের প্রথম বেঞ্চে বসে থাকার বিষয় বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করেন। আদালত সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সোনারগাঁও থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। তারপরও সোনারগাঁও থানা পুলিশ সাক্ষীদের গ্রেফতার করে সারারাত আটক রেখে যে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করেছে তা শুধু আইন পরিপন্থী নয়, একটি অপরাধ। আমরা পুরো বিষয় নিয়ে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাবো।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার চিলারবাগ এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আনিসুর রহমান আলমগীর বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ নারায়গঞ্জ আদালতে সোনারগাঁও থানার তৎকালীণ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোর্শেদ আলম এবং একই থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন।

এরআগে অভিযোগে বাদী জানান, সোনারগাঁও উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায় তাঁর কেনা প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের একটি জমি অবৈধ দখলে নিতে আল মোস্তফা কোম্পানীর পক্ষ হয়ে পুলিশ তাদের থানায় তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ সময় ওসি ও এসআই তাদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে নির্যাতন করেন এবং জমিটি ছেড়ে না দিলে বন্দুকযুদ্ধে হত্যার হুমকি দেন। আর বন্দুকযুদ্ধ থেকে বাঁচাতে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওসি। পুলিশের পুলিশের কথায় রাজি না হলে সারারাত থানায় আটকে রেখে নির্যাতন করে। পরের দিন উপজেলা যুবলীগ এক নেতার জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেন।

বক্তাবলীর আকবরনগরে সামেদ আলী- রহিম হাজ্বী গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবরনগর গ্রামের সামেদ আলী ও রহিম হাজ্বী বাহিনীর দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে সাইদুলের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আহত সাইদুল ইসলামের বোন সাবিনা জানান, রহিম হাজ্বীর লোকজন আমাদের উপর অর্তকিত ভাবে হামলা চালায়।

এতে করে আমাদের চারজন রক্তাক্ত জখম হয়।
এদের মধ্যে জসিমের স্ত্রী চম্পা বেগম,কাশেমের ছেলে আমিন ও কাশেমের ছেলে জসিমের অবস্থা আশঙ্কা জনক।

এদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (ক -অঞ্চল) জহিরুল ইসলাম ও ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আজম মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।

রহিম হাজ্বীর ভাতিজা নবী হোসেন জানান, সামেদ আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজিত হয়ে মালেক ও নুরুল আমিনের বাড়ি ভাংচুর, হামলা, লুটপাট চালায়।

উল্লেখ্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামেদ আলী ও রহিম হাজ্বীর গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত সংঘর্ষ চলে আসছিল। রবিবার (২৬ মে) দুপুর ২:৩০ থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।

গুরুতর আহত সাইদুলের বোন সাবিনা জানান, আমার ভাইয়ের বুকে টেটাবিদ্ধ হয়েছে। আইসিইউতে আছে।টেটা বের করতে পারেনি। তার বাঁচার আশা কম।

ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের ১৯ সদস্য বিশিষ্ট পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের ১৯ সদস্য বিশিষ্ট পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দৈনিক আজকের নীরবাংলা পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার এম.রফিকুল্লাহ রিপনকে সভাপতি ও জাগো নারায়ণগঞ্জ২৪.কমের সহ-সম্পাদক এএস মনিকাকে সাধারন সম্পাদক করা হয়।

বুধবার (১৫ মে) সকাল ১১টায় ফতুল্লা থানা যুবলীগের কার্যালয়ে মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির এক সাধারন সভায় এ পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়।

আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো.রিপন খন্দকারের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করার জন্য ভোটের আয়োজন করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি পদে এম.রফিকুল্লাহ রিপনও সাধারন সম্পাদক পদে এ এস মনিকাকে নির্বাচিত করা হয়।

এছাড়াও সর্বসম্মতিক্রমে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদেরও নির্বাচিত করা হয়। তারা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি টাইমস নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী সম্পাদক মো.জাহাঙ্গীর আলম জনি, সহ-সভাপতি ডেইলী নারায়ণগঞ্জের এম.মনির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার মো.সুলতান, সাংগঠনিক সম্পাদক চ্যানেল এস এর ফতুল্লা প্রতিনিধি মো.কাইয়ুম আলী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এনএএন টিভির ক্যামেরা পারসন মো.সাগর খান, কোষাধ্যক্ষ পদে টাইমস নারায়ণগঞ্জের প্রকাশক মো.সাজু হোসেন, প্রচার সম্পাদক দৈনিক সরেজমিন পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি তামান্না দেওয়ান দোলা, ক্রীড়া ও সমাজকল্যান সম্পাদক দৈনিক বর্তমান দেশবাংলা পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মো.জামিল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এনএএন টিভির ইমাম হোসেন সুমন।

কার্যকরী সদস্য হিসেবে রয়েছেন, জাগো নারায়ণগঞ্জ ২৪.কমের প্রকাশক ও সম্পাদক এম.শহীদুল্লাহ রাসেল, দৈনিক অগ্রবানী পত্রিকার ফতুল্লার ব্যুরো প্রধান মশিউর রহমান তরুন, নিউজ প্রতিদিন.নেটের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।

সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফোকাস নিউজ বিডি’র রিপন খন্দকার, খবর নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী সম্পাদক মো.মশিউর রহমান, নিউজ জি২৪.কমের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি এমআর জয়, জাগো নারায়ণগঞ্জের বিশেষ প্রতিনিধি গাফ্ফার হোসেন লিটন ও দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার মো.হাবিব খন্দকার।

আগামী দুই বছরের (২০২৪-২০২৬ইং ) জন্য এ নবগঠিত কমিটির নাম প্রকাশ করেন ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের সম্মানিত উপদেষ্টা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী। তিনি নবগঠিত এ কমিটির সকল সদস্য ও সংগঠনের সফলতা কামনা করে বলেন, একটি আধুনিক সমাজ বিনির্মানে ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাব কাজ করে যাবে। সমাজের অসঙ্গতিপুর্ন কাজগুলো সাধারন মানুষের মাঝে তুলে ধরাই সাংবাদিকের কাজ। আমি আশা করবো মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিটি সদস্য সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করে সংগঠনটি আরো শক্তিশালী করে তুলবে।

ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি এম.রফিকুল্লাহ রিপন এবং সাধারন সম্পাদক এএস মনিকা সংগঠনটি শক্তিশালী করে তুলতে সকল সদস্য’র সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আমরা একা নয় আপনারা প্রতিটি সদস্যই এ সংগঠনের কর্নধার। সাংগঠনের কার্যক্রম বেগবান করে তুলতে আমরা সকলেই একসঙ্গে কাজ করে যাবো এবং ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবটি শুধু ফতুল্লাতে নয় পুরো জেলাতেই অন্যতম একটি সংগঠন হিসেবে জাগ্রত করে তুলবো।

 

ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর মাহফিল বন্ধ করে দিল প্রশাসন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: ব্যাপক প্রচার প্রসার ও আলোচনায় ছিলো ডেমরা, শারুলিয়ার গতকালকের মাহফিল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেবের।

মাসব্যাপী প্রচার, মাইকিং, পোস্টার, হ্যান্ডবিল, প্যান্ডেল করার পর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসে বাধা দিয়ে বলা হয় মাহফিল এখানে করা যাবে না। প্রশ্ন হলো কেন?
যেখানে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় গান বাজনা হচ্ছে, ডিজে পার্টি হচ্ছে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে বাধা দেয়া হয় না; সেখানে একটি মাহফিলে কেনো এরকম সারাশী অভিযানের মাধ্যমে বাধা দেয়া হবে? তাহলে তো বুঝা যায়, স্বাধীন বাংলাদেশে আলেম উলামা ও ইসলামপন্থীরাই পরাধীন। তা আর কতদিন? আর কতদিন এদেশের মুসলমান তা সহ্য করবে?

যদি প্রশাসনের কাছ থেকে শর্ত অনুযায়ী অনুমতি না নিয়ে থাকে কমিটি মাসব্যাপী প্রচারণার শুরুতেই তো বাধা দেয়া যেত, তাতে তো লক্ষ লক্ষ টাকা কমিটির খরচ হয় না। যেখানে এলাকার যুবকরা এতো পরিশ্রম করে, শরীরের ঘাম ঝড়িয়ে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে মাহফিলের এরেঞ্জমেন্ট করেছে। এরপর মাহফিলের মাত্র ১ দিন পূর্বে বন্ধ করে দেয়াটা কতটা যৌক্তিক এবং মানবিক?

এবং এটা কোন পর্যায়ের অপরাধ, তা দেখার দায়িত্ব সরকারের, স্থানীয় প্রশাসনের ও এলাকাবাসী মুসলমানদের। কারন এখানে উদ্দেশ্য এটা হতে পারে যে, যুবসমাজ যেন ওয়াজ মাহফিল থেকে নিরুৎসাহিত হয় এবং প্রকারান্তরে ডিজে পার্টি, অপ-সাংস্কৃতি, জুয়ার আসর সহ অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, গড্ডালিকাপ্রবাহে গা ভাসায়। এই বিষয়গুলো এখনই আলেম উলামা ও পীর মাসায়েখদের নজরে আনা জরুরি।

গভীর নিরীক্ষণ ও পর্যালোচনার মাধ্যমে মাহফিল বন্ধের কারন হিসেবে (দায়ী) তিনটি অভিমত পাওয়া যায়:
১/ স্থানীয় সংসদ সদস্য, সজল মোল্লা। যিনি প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে। তাকে প্রধান অতিথি হিসেবে না রাখাতেই প্রশাসনকে বাধ্য করে মাহফিলটি বন্ধ করিয়েছেন। যদি তাই হয়ে থাকে, তবে এম.পি সজল মোল্লা চরম হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছে এবং এই এলাকার জনমানুষের প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতাই হারিয়েছে। তারা বাবা হাবিবুর রহমান মোল্লার ব্যাপারেও বিভিন্ন ঘটনা রয়েছে। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ইসলামিক বক্তা, স্কলারদের বসিয়ে সে ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তব্য রাখতো, যাতে মানুষ ত্যক্ত বিরক্ত ছিলো। তার ছেলে সজল মোল্লা এরকম না করলেও যখন তখন সংসদ সদস্যের প্রভাব খাটিয়ে মাহফিলে কর্তৃত্ব এবং হস্তক্ষেপ করবে, এটা কখনোই হতে পারে না। একজন সংসদ সদস্যের কাজ কি মাহফিল বন্ধ করা? প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ করা? তাহলে বাক স্বাধীনতার যে দোহাই দেয়া হয়, মানবাধিকারের কথা সকল রাজনৈতিক দলগুলো বলে থাকে, সবই কি মুখরোচক স্লোগাম? ধোকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়? নতুবা যেখানে স্থানীয় কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলো, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলো, সেখানে ১ মাস প্রচারণার পর ১ দিন আগে মাহফিল বন্ধ করে দেয়া ইসলাম বিরোধী, ইসলামী আইনের চোখে চরম অপরাধী এবং বর্তমান রাষ্ট্রীয় আইনেও সমান অপরাধী। একজন সংসদ সদস্য কখনোই এধরণের হীন চক্রান্ত করতে পারে না, শুধুমাত্র তার নাম না থাকার কারনে। আসলেই সজল মোল্লা মাহফিল বন্ধ করলেন কিনা, সে বিষয়টি তাকে স্পষ্ট করতে হবে।

২/ ২য় যে অভিমত পাওয়া যায়, তা হলো: ডেমরা জোনের যিনি ডি.সি, তিনি ওসির মাধ্যমে মাহফিলটি বন্ধ করিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, কেনো? আর এই ডি.সি কোন পন্থী? সে কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়েছিলো মাহফিল বন্ধের আগে? হতে তো পারতো, মাহফিল বন্ধের কারনে এলাকায় যুবকরা রোড-ঘাট বন্ধ করে, হরতাল অবরোধ করে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করতে। ডি.সি কি তখন এর দায়ভার নিতো? দায়ভার তো পুরোটাই আসতো সরকারের উপর। এমনিতেই তো এলাকায় সাধারণ জনগন ছি ছি করছে, সেটা পুলিশ কিংবা ডি.সি কে নয় বরং আওয়ামী সরকারের প্রতি। কান্ডজ্ঞানহীন এধরণের পুলিশ কিংবা ডি.সি অফিসারের কারনে আওয়ামী সরকার জনগণের আস্থার জায়গা হারিয়ে ফেলছে।

অতএব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে আমাদের আবেদন এটাই, ডি.সি স্ব প্রনোদিত হয়েই কাজটি করলো? নাকি এম.পির কথায় করলো; তা যেন যাচাই করা হয়। প্রশানের লোক তো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তারা যদি জনগণের সেবা বাদ দিয়ে এম.পি মন্ত্রীদের কথায় ওঠবস করে, তাহলে তো প্রশাসনিক পোশাক খুলে ফেলে আওয়ামী সরকারের রাজনৈতিক দলে নাম লেখানো উচিত।

৩/ ৩য় যে মত পাওয়া যায়, তা হলো: এলাকার লেবাসধারী কিছু মুনাফিক, ভন্ড মৌলভী; যারা মাহফিলটিতে বাধা প্রদান করেছে।
যদি এটাই হয়ে থাকে, তাহলে এক্ষেত্রে দায়টা আসে দারুন নাজাতের প্রিন্সিপাল আ.খ.ম আবু বকর সিদ্দিক সাহেবের উপর। কারন তিনি সে এলাকার মুরুব্বি হিসেবে সেই দুনিয়াদার, দুষ্ট আলেমদেরকে এই হীন কাজ থেকে বিরত রাখতে পারতেন। আবু বকর সিদ্দিক সাহেব যদিও আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, তথাপিও এলাকার প্রায় সকল প্রোগ্রামেই তাকে দাওয়াত করা হয়ে থাকে। তিনি নিজেও উক্ত প্রোগ্রামে দাওয়াতী মেহমান ছিলেন। কেউ কেউ এটাও বলছেন যে, দারুন নাজাতের প্রিন্সিপাল’ই মাহফিলটি এম.পির মাধ্যমে বন্ধ করিয়েছে। কারণ, এ মাহফিল যদি হতো, আর সে যদি উপস্থিত হতো তবে ছারছিনা পন্থী এ প্রিন্সিপাল তার পীরের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আর যদি পীরের মন রক্ষা করতে যেয়ে মাহফিলে না আসতো, তবে এলাকাবাসীর কাছে সে ধিক্কারের পাত্র হতো। এ উভয় সংকট থেকে বাচার জন্যই, অনেকের মতে দারুন নাজাতের ধুরন্ধর, চালবাজ ব্যবসায়ী প্রিন্সিপাল এ কাজটি করতে পারেন। বাকি সময়’ই বলে দিবে, এর পিছনে কারা দায়ী।

এ হীন চক্রান্ত যারাই করলো, তারা একটি অপসংস্কৃতি চালু করলো। পরবর্তীতে কেউ মাহফিল করতে গেলে এ যুবকরাই মাহফিলে বাধা দিবে। কারন তারা এতো পরিশ্রম করে, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মাহফিলের আয়োজন করা সত্ত্বেও মাহফিলটিতে যারা বাধা দিয়েছে, তারা ইসলামিক দৃষ্টিতেও একটি জঘন্য অপরাধ করেছে, প্রচলিত আইনেও অনেক বড় অপরাধ করেছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

ফতুল্লায় যুবলীগের পানি,স্যালাইন বিতরণ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : তীব্র তাপদাহে অতিষ্ট মানুষের মাঝে পানি,স্যালাইন, সরবত বিতরণ করেছে ফতুল্লা থানা যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা পোস্ট অফিস মোড়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য আবু মোঃ শরীফুল হক, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম, সাংবাদিক রনজিৎ মোদক, রুহুল আমীন প্রধান,কাজল সরদার, মোঃ আলামিন, ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাজল চৌধুরী, সরকার কনক, মোঃ রাসেল। যুবলীগ নেতা সৈয়দ মুন্না ও সৈয়দ শাওনের উদ্যোগে এই কর্মসূচি শেষে বৃক্ষরোপণ করা হয়।

মামলাবাজ আকবর গ্রেফতার 

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : এ এস কে ফ্যাশনে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের মালিক  আমির হোসেনকে  মারধরের  ঘটনায় মামলাবাজ আকবর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে গাবতলী তাগাড়পাড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মোঃ আমির হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত  আকবর আমার বিরুদ্ধে এরআগে একটি মামলা দায়ের করে। ঐ মামলা আপোষ করার জন্য আলোচনার নামে কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার কারখানায় প্রবেশ করে আমাকে মারধর এবং কারখানা ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা দায়ের করি।

অভিযোগের তদন্ত অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন কাজী মাসুদ রানা জানান, অভিযোগের সত্যতা প্রমান পাই এবং  থানায় মামলা দায়ের করে আকবর হোসেন,  তার ম্যানেজারসহ তিনজন আসামীকে  গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।

আকরের বিরুদ্ধে নিজ পরিবারসহ আশপাশের একাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।