৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 137

ফতুল্লা পাইলট স্কুলে স্মার্টকার্ড বিতরণ চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদে গত ৬ আগষ্ট থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। ফতুল্লা ইউনিয়নের ভোটারা স্বর্ত:স্ফূত লাইনের দাঁড়িয়ে স্মার্ট কার্ড নিচ্ছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত লম্বা লাইন ধরে থাকতে দেখা গেছে অনেককে। তবে দীর্ঘ সময় লাইনের দাঁড়িয়ে স্মার্টকার্ড নিলেও কারো কাছে বিষয়টি বিরক্তবোধ করছে না।

লাইনের দাঁড়িয়ে স্মার্ট কার্ড নিতে আসা বেশ ক’জন ভোটারের সঙ্গে আলাপকালে জানান, কার্ড নিচ্ছি এটা আমার প্রয়োজনে। তাই দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে কোন বিরক্ত লাগছে না। কেউ কেউ দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়ে স্বস্তির হাসিও হাসতে দেখা গেছে। অনেকে আবার স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অভিব্যাক্তি ব্যক্ত করেছে। কেউ কেউ হাতে স্মার্ট কার্ড নিয়ে ফটোসেশন এবং সেলফী তুলে এই সময়কে স্মৃতিরে এ্যালবামে বন্ধি রেখেছে।

বক্তাবলী আকবর নগরের জয়নালের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবর নগর এলাকায় রহিম হাজ্বী ও সামেদ আলী নিজেদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আঃরহিমের সমর্থক জয়নাল আবেদীনের মৃত্যুতে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নিহতের স্বজনরা। শুক্রবার বিকেলে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুক্তিযোদ্ধ লাল চাঁন মোদবরের সভাপতিতে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা আঃ রহিম ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন,কোতালের বাগ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মসজিদের মোতাওয়াল্লি আশরাফ উদ্দিন আশা, হাজী নাহিদ হাসান সবুজ, নিহতের মেয়ে জামাতা শ্যামল,ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান জুয়েল, বাসেদ প্রধান প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন,জুয়েল, সাঈদ, আ: রহিম, জসিম,তাইজুদ্দিন,আরমান,ইসরাফিল, মাহমুদ মেম্বার,ইমরান,শাহাদাত হোসেন, সবুরসহ কয়েক শতাধিক মানুষ প্রতিবাদ সভায় অংশ নেয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকার আকবর নগর গ্রামের সামেদ আলী হাজ্বী  ও রহিম হাজ্বীর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ সামেদ আলী বাহিনীর হামলায় আহত টেটাবিদ্ধ জয়নাল আবেদীন মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান।

এছাড়া রহিম হাজ্বী বাহিনীর মৃত তাহের আলীর স্ত্রী নাসিমা (৫০),রিয়াজুলের স্ত্রী আউশি (৩০),রমজান আলী হাজ্বীর পুত্র আলমগীর (৪৫), সামেদ আলীর পুত্র রনি (৩৫),  ফুলু মাদবরের পুত্র নবী হোসেন (৩৫) ও কবির হোসেন( ৩৭)। নবী
হোসেনের হাতের কনুইতে টেটাবিদ্ধ হলে প্রথমে মুন্সিগঞ্জে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় নবী হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

এলাকাবাসী জানান,বিকাল ৫ ঘটিকার সময় রহিম হাজ্বীর ভাতিজা ফুলু মাতবরের পুত্র কবীর হোসেন,নবী হোসেন সহ তার বন্ধুরা আকবর নগর মসজিদের সামনে বসে ছিল। সামেদ আলীর পুত্র ওসমানসহ তার সহযোগীরা মসজিদের সামনে আসলে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায়ে সামেদ আলী বাহিনীর অর্তকিত হামলা চালায়। এতে রহিম হাজ্বীর ভাতিজা টেটাবিদ্ধ হয়।

সামেদ আলীর লোক জন জানান,ডাকাতি করার উদ্যেশ্য রহিম হাজ্বী বাহিনীর সদস্য ফুলু মাদবরের পুত্র কবির হোসেন,নবী হোসেন এর নেতৃত্বে কাদির, রিয়াজুল,টারজান,সুইজা,জিহাদ,সাইদুর,আল আমিন,রশিদ,জাহিদ, হাসান সহ ৬০/৭০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাষান মাদবরের পুত্র সামসুলের বাড়ি,সফি মাদবর সহ ৩/৪ টি বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট চালায়।

সামসুলের স্ত্রী লিমা জানান,সন্ত্রাসীরা ভাংচুর করে ৫০/৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।এ ছাড়া ৮ টি গরু ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান আলমগীর হোসেন।

রহিম হাজ্বীর ভাই ফুলু মাদবর বলেন,আজ সামেদ আলী বাহিনীর লোকজন অর্তকিত ভাবে আমার ছেলে নবী হোসেন ও কবীর হোসেনের উপর হামলা চালায়।সামেদ আলীর লোকজনের বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা সাজানো।

সামেদ আলী জানান,রহিম হাজ্বীর লোকজন নিজেদের টেটাঁয় নিজেরা টেটাঁবিদ্ধ হয়েছে।

এলাকাবাসি জানায়,রহিম হাজ্বী ও সামেদ আলী নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে প্রায় সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। মাস খানেক আগে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জু কাদের ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর উপস্থিতিতে উভয়কে মিলিয়ে দেয়া হয়।

দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই শাফিউল আলম ও এসআই কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থল হতে ১১ টি টেটাঁ উদ্ধার করে।

বক্তাবলীর আকবরনগরে দুই হাজ্বী বাহিনীর সংঘর্ষে আহত-১০

ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকার আকবর নগর গ্রামের সামেদ আলী হাজ্বী  ও রহিম হাজ্বীর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই শাফিউল আলম ও এসআই কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থল হতে ১১ টি টেটাঁ উদ্ধার করে।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৫ ঘটিকার সময় বক্তাবলীর আকবর নগর গ্রামে।

আহতরা হলেন,রহিম হাজ্বী বাহিনীর মৃত তাহের আলীর স্ত্রী নাসিমা (৫০),রিয়াজুলের স্ত্রী আউশি (৩০),রমজান আলী হাজ্বীর পুত্র আলমগীর (৪৫), সামেদ আলীর পুত্র রনি (৩৫),  ফুলু মাদবরের পুত্র নবী হোসেন (৩৫) ও কবির হোসেন( ৩৭)। নবী
হোসেনের হাতের কনুইতে টেটাবিদ্ধ হলে প্রথমে মুন্সিগঞ্জে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় নবী হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

এলাকাবাসী জানান,বিকাল ৫ ঘটিকার সময় রহিম হাজ্বীর ভাতিজা ফুলু মাতবরের পুত্র কবীর হোসেন,নবী হোসেন সহ তার বন্ধুরা আকবর নগর মসজিদের সামনে বসে ছিল। সামেদ আলীর পুত্র ওসমানসহ তার সহযোগীরা মসজিদের সামনে আসলে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায়ে সামেদ আলী বাহিনীর অর্তকিত হামলা চালায়। এতে রহিম হাজ্বীর ভাতিজা টেটাবিদ্ধ হয়।

সামেদ আলীর লোক জন জানান,ডাকাতি করার উদ্যেশ্য রহিম হাজ্বী বাহিনীর সদস্য ফুলু মাদবরের পুত্র কবির হোসেন,নবী হোসেন এর নেতৃত্বে কাদির, রিয়াজুল,টারজান,সুইজা,জিহাদ,সাইদুর,আল আমিন,রশিদ,জাহিদ, হাসান সহ ৬০/৭০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাষান মাদবরের পুত্র সামসুলের বাড়ি,সফি মাদবর সহ ৩/৪ টি বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট চালায়।
সামসুলের স্ত্রী লিমা জানান,সন্ত্রাসীরা ভাংচুর করে ৫০/৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।এ ছাড়া ৮ টি গরু ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান আলমগীর হোসেন।

রহিম হাজ্বীর ভাই ফুলু মাদবর বলেন,আজ সামেদ আলী বাহিনীর লোকজন অর্তকিত ভাবে আমার ছেলে নবী হোসেন ও কবীর হোসেনের উপর হামলা চালায়।সামেদ আলীর লোকজনের বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা সাজানো।
সামেদ আলী জানান,রহিম হাজ্বীর লোকজন নিজেদের টেটাঁয় নিজেরা টেটাঁবিদ্ধ হয়েছে।

এলাকাবাসি জানায়,রহিম হাজ্বী ও সামেদ আলী নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে প্রায় সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। মাস খানেক আগে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জু কাদের ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর উপস্থিতিতে উভয়কে মিলিয়ে দেয়া হয়।

রূপগঞ্জে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ ৪ জন গ্রফেতার

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দুই লাখ ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪ মাদক স¤্রাটকে র‌্যাব-১ গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে ৩’শ ফুট সড়কের পাশ্ববর্তী রূপগঞ্জের পর্শী এলাকার লেংটার মাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-১ এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রেজাউল করিম জানান, বুধবার রাতে পর্শী লেংটার মাজার এলাকায় ইয়াবা আদান-প্রদানের খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় মাদক স¤্রাট রাজেসপুরের নুর ইসলামের ছেলে মনির মিয়া, দক্ষিণ কুমিল্লার ধর্মপুর এলাকার শরাফত আলীর ছেলে মাসুম মিয়া, কুমিল্লার বসন্তপুর এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন ও কক্সবাজারের রামু থানার নন্দখালী এলাকার আব্দুল মতলব মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করা হয়। একপর্যায়ে তাদের তল্লাশী চালিয়ে ২ লাখ ৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের প্রতিবাদ সভা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাংবাদিকরা যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েও হামলা শিকার হচ্ছে না, আর আমাদের দেশে দিনের পর দিন সাংবাদিকরা সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হচ্ছে,সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নির্যাতিত হচ্ছে। এসব হামলার বিচার না হলে সাংবাদিকরা সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দিবে।

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের দ্বারা সাংবাদিকরা হামলার শিকারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরো বলেন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে দায়িত্ব পালনের সময় যে সমস্ত সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়েছে তাদের গ্রেফতার করা না হলে এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা না হলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে বাধ্য করা হবে।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ্, সহ-সভাপতি এড.মশিউর রহমান শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, প্রচার সম্পাদক জিএ রাজু, অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম,সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান, কার্যকরী সদস্য মনির হোসেন, মাসুদ আলী,এ আর মিলন, আবুল কালাম আজাদ, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু, বন্দর থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাব্বির আহমেদ সেন্টু, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ফতুল্লা থানা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ,সদস্য সচিব শেখ মোঃ সেলিম, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এ আর কুতুবে আলম, অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন, বিজয় টিভির ফতুল্লা প্রতিনিধি বদিউজ্জামান, মাইটিভির ফতুল্লা প্রতিনিধি শাহাব উদ্দিন,রাসেল আহমেদ,জনি,হারুন অর রশিদ সাগর, মোঃ মুন্না প্রমুখ। প্রতিবাদ সভা শেষে সাংবাদিকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সড়ক প্রদক্ষিন করে ফতুল্লা মডেল থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের সহধর্মিনী ও জাতীয় মহিলা সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি বলেছেন, আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন না হলে স্কুল-কলেজ, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন করেও সফলতা আসবেনা।তোমরা আমাদের সন্তান, তোমরাই আমাদের আশা ভরসা, তোমরা ধবংস হয়ে যাবে তা আমরা মেনে নিতে পারবোনা। কাজেই সববিষয়েই বিবেক খাটাতে হবে। তোমরা সঠিক ভাবে গড়ে উঠতে না পারলে সামাজিক ভাবে প্রভাব পড়বে।

বুধবার (৮ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসনে আরা বেগম।

লিপি ওসমান আরো বলেন, বাংলাদেশকে সামনের দিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার বেচে থাকা জরুরী। সবারকাছে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ যে অবস্থানে আছে, উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা আছে তা ধরে রাখতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। অন্যথায় দেশ পিছিয়ে পড়বে। তাই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে পুনরায় নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনতে হবে।

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে দোয়া ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি এবং বয়স্ক ও বিধবাদের মাঝে ভাতা বই বিতরণ করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, নারায়ণগঞ্জ কর্মাস কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শিরীন বেগম, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুরাইয়া আশরাফি, সমাজসেবা অফিসার ফিরোজ হোসেন প্রমুখ।

নৌঁ-স্থল পথে চাঁদাবাজি বন্ধ করুন নইলে হাঁটুতে গুলি-শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, নদীপথে ট্রলার ও স্থলপথে ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। ট্রলার ও ট্রাকে চাঁদাবাজি মেনে নেয়া হবে না। ফতুল্লার আলীগঞ্জ থেকে চাঁদাবাজি শুরু হয়। তাই চাঁদাবাজদের বিষয়ে পুলিশকে বলে দিয়েছি। যেভাবে হোক চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। নইলে হাঁটুতে গুলি।

তিনি বলেন, আমি রাজনীতি ব্যবসা হিসেবে নেইনি। রাজনীতি ইবাদত হিসেবে নিয়েছি। আমার দলের কেউ যদি রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নেন তাহলে আমার সঙ্গে থাকার দরকার নাই। রাজনীতি যদি ইবাদত হিসেবে নেন তাহলে আমার সঙ্গে থাকতে পারেন। আমি কোনো খারাপ লোক নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না।

মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী সিনিয়র মডেল মাদরাসার মাঠে বক্তাবলী ইউনিয়ন ১ ও ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, এবার এমপি হয়ে বক্তাবলীতে ফেরি চালু করে দিয়েছি। আগামীতে এমপি হলে বক্তাবলীর বুড়িগঙ্গা নদীতে ব্রিজ করে দেব। বক্তাবলীকে এমনভাবে সাজাতে চাই, যাতে ঢাকা থেকে লোকজন বক্তাবলী দেখতে আসেন। আমি আপনাদের কাছে এমপি সাহেব হতে চাই না, শামীম হিসেবে থাকতে চাই।

পুলিশ সোর্স ডজন মামলার আসামী ডাকাত রনি বাহিনীর হামলায় আহত-৩

ফতুল্লার বহুল আলোচিত-সমালোচিত এবং ডজন মামলার আসামী ডাকাত রনি ও তার বাহিনীর লোকজনকে গভীর রাতে নেশা করতে না দেয়ায় কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে একই পরিবারের তিনজনকে। এ সময় বাড়িতে থাকা নগদ টাকাসহ দামি মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ডাকাত রনিসহ ৫জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ফতুল্লা মডল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  শাহ মঞ্জুর কাদের আহত পরিবারকে ডাকাত রনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

অভিযোগ জানাযায়,গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় ডাকাত রনি এবং তার সহযোগী শুভ,,সেলিম,রুবেল,সোহেলসহ আরো কয়েকজন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফতুল্লা ষ্টেশন হাতেম আলীর বাড়িতে প্রবেশ করে ইদ্রিস আলীর ঘরে প্রবেশ করে ইয়াবা সেবন করবে বলে জানায়, এসময় ইদ্রিস আলীর স্ত্রী জেসমিনসহ পরিবারের অন্যান্যরা বাধা দিলে ডাকাত তার সহযোগীদের নিয়ে জেসমিনের ছেলে জসিম(২০),মেয়ে ফাজানা(১৮) ও ফারিয়াকে(১২) কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এদের মধ্যে জসিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় ইদ্রিস আলীর স্ত্রী জেসমিন বেগম ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ডাকাত রনির সহযোগী সোহেলকে গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, ডাকাত রনি ফতুল্লা পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে ফতুল্লা ষ্টেশন, তক্কার মাঠ, পিলকুনী, লালখা, পাইলট স্কুল এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি,অস্ত্র,মাদকসহ একডজন মামলা রয়েছে।

বক্তাবলীতে আওয়ামীলীগের জনসভায় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের যোগদান

বক্তাবলীতে আওয়ামীলীগের সভায় নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মাশফীকুর রহমান শিশির, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক নাজির হোসেন ও বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে যোগদান করে।বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায়।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মঙ্গলবার (৭ই আগষ্ট) বক্তাবলি ইসলামিয়া মডেল মাদ্রাসার মাঠে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজ উদ্দীন ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় উক্ত কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
উক্ত কর্মী সভায় কয়েক শত ছাত্রলীগের নেতা কর্মীর মিছিল নিয়ে নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মাশফীকুর রহমান শিশির, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক নাজির হোসেন ও বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে কর্মী সভায় যোগদান করেন।
ছাত্রলীগের মিছিলে নেতাকর্মীদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মোকবুল হোসেন শ্যামল, মোঃ সাফায়েত উল্লাহ, সাঈদুর রহমান, মোজাম্মেল হোসেন, মনির হোসেন, মোঃ ফয়সাল, মোঃ নাজমুল হাসান, মোঃ রিফাত, তামিম, মামুন, আরিফ, তুহিন, মিলন, মিঠু, ইয়াকুব, মেহেদী, সজীব, আরিফ, নাহিদ, হযরত আলী, শিহাব, আহাদ প্রমুখ।

আমি ভোট চাই না মাদকমুক্ত সমাজ চাই-শামীম ওসমান

আমি ভোট চাই না মাদকমুক্ত সমাজ চাই। মাদক ব্যবসায়ী শয়তানের ভাই। মাদক,সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের সাথে আমি কখনোই আপোষ করবো না। মাদক সব উন্নয়ন গিলে খেতে চায়। রাজনীতি একটা বিশাল অংক, আর এই অংক আমি বুঝি। চারদিকে শকুনের খেলা শুরু হয়ে গেছে।

আগামী দুই মাস এই খেলা ওরা খেলবে। আমি ভোট চাইনা আমি জনগনের দোয়া চাই। ক্ষমতা দেয়ার মালিক আল্লাহ, নেয়ার মালিকও আল্লাহ। তাই এমপি হতে পারি আর না পারি তাতে দুঃখ নেই। তবে মানুষের ভালবাসা আর দোয়া চাই।

কারণ এমপি, মন্ত্রী হওয়া সহজ কিন্তু মানুষের ভালবাসা পাওয়া কঠিন। আমি সেই ভালবাসাই চাই। মঙ্গলবার ( ৭ জুলাই) বিকাল ৩ টায় বক্তাবলী ইসলামীয়া আলিম মডেল মাদ্রাসা মাঠে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে পরিচিত ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।

বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আফাজউদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে,অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসিবে উপস্থিত ছিলেন,ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম শওকত আলী,মহানগর আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া প্রমুখ।

শামীম ওসমান তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন,১৯৯৬ সালে যখন নির্বাচন করলাম। তখন বক্তাবলীবলী অঞ্চলে রাস্তাগুলোর বেহাল দশা ছিল। ঐ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বক্তাবলীর রাস্তাঘাটের উন্নয়নের চেষ্টা করেছি।

আ’লীগ সরকারের সময়ই বক্তাবলীতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এতো কাজ করার পরও ২০০১ সালে বক্তাবলী থেকে ভোট পেয়েছি খুবই অল্প। এবার আবার যখন সংসদে গেলাম,গিয়ে প্রথমেই আমি বক্তাবলীর মানুষের পক্ষে জাতীয় সংসদে কথা বলেছি।

তারই ফলশ্রুতিতে বক্তাবলীতে ফেরী আনতে আমি সক্ষমও হয়েছি। বক্তাবলীতে ফেরী দিতে হলে সরকারী কিছু নিয়ম কানুন মানতে হয়। আমি কৌশল করে সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর কাছ থেকে এই ফেরী এনে দিয়েছি। আগামীতে যদি আল্লাহ আমাকে এমপি বানায় তাহলে বক্তাবলীতে সেতু নির্মাণ করা হবে।

আরেক প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন,বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান যখনই আমার কাছে যায়,তিনি শুধু কাজ আর কাজের কথা বলেন। আমার কাছ থেকে তিনি কাজ আদায় করে নেন। বক্তাবলীকে নিয়ে আমার স্বপ্ন অনেক। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধান মন্ত্রী করতে হবে। নৌকা মার্কায় ভোট  দিয়ে আ’লীগকে শক্তিশালী করতে হবে।

দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। বিএনপি জামাত এখনো ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না,এটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। তবে ষড়যন্ত্র ছিল, ষড়যন্ত্রও থাকবে। কারণ দলের মধ্যে এখনও খন্দকার মোস্তাকরা রয়েছে। সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখতে হবে। শামীম ওসমানের বক্তব্যের পর বক্তাবলীর বেশ কয়েকটি কেন্দ্র কমিটির নেতৃবৃন্দের তালিকা বক্তাবলী ইউনিয়ন আ’লীগ নেতৃবৃন্দ তার হাতে তুলে দেন। অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রলী‌গের সা‌বেক সি‌নিয়র সহসভাপ‌তি ভি‌পি আলমগীর হো‌সেন, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান, সা‌বেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাশফীকুর রহমান শি‌শির, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক  নাজির,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান প্রধান, জলিল গাজী, মনির  হোসেন,আলহাজ্ব ওমর ফারুক, আব্দুল মতিন, রাসেল  চৌধুরী, আকিলউদ্দিন, আমজাদ  হোসেন, হাজেরা  বেগম, মরিয়ম  বেগম, কুলসুম বেগম,ফতুল্লা থানা  যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক  আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন ভূইয়া,আনোয়ার আলী, মো.সিরাজুল ইসলাম, রাসেদুল ইসলাম,বাদল হোসেন ববি প্রমূখ।