২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 221

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তুলার কারখানায় অগ্নিকান্ড

নারায়ণগঞ্জ বন্দরের উত্তর লক্ষণখোলায় বাদল মিয়ার তুলার কারখানায় অগ্নিকান্ডে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যা ৭টায় তুলার মেশিন থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়ে পুরো কারখানা জ্বলে যায়। সংবাদ পেয়ে বন্দর ফায়ার সাভির্সের ২টি ইউনিট ২ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

নাসিক নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করে ঘরে ফেরার আহ্বান খালেদা জিয়ার

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করে দলীয় নেতা–কর্মীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড এবং গুম, খুন ও সন্ত্রাসের কারণে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে।

নারায়ণগঞ্জের জনাসাধারণের প্রতি আহ্বান রেখে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে আপনারা যাতে পছন্দের প্রার্থীকে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন এবং কোনো রকম হুমকির মুখে পড়তে না হয়, তার জন্য সেনা মোতায়েন করা হোক আমরা এ দাবি করেছিলাম। কিন্তু আমাদের দাবি মানা হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত সরকার সমর্থিতদের দ্বারা বিরোধীদলের প্রার্থীদের কিছু ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নির্বাচনী প্রচারে বাঁধা দেয়ার ঘটনা ঘটলেও বড় রকমের কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেনি। আমি নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ, ক্ষমতাসীন দল এবং সর্বোপরি ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ভোটের দিন এবং এর আগে পরে পুরো নারায়ণগঞ্জে যেন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ বজায় থাকে।

খালেদা জিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জের জনগণ এবং বিএনপি ও ২০ দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং যে-কোনো উস্কানির মুখে সংযম ও শান্তি অক্ষুন্ন রাখার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, মামলা মোকদ্দমার হাজিরা, শারিরীক অসুস্থতা ও অন্যান্য ব্যস্ততা ও সমস্যার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্বেও আমার পক্ষে সশরীরে এই নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জবাসীর মাঝে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের দল-জোটের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা আপনাদেরকে আমার সালাম ও অনুরোধ পৌঁছে দিয়েছেন।

বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাখাওয়াতের কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাহসী ব্যক্তি অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানকে মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছি। পরীক্ষিত ও যোগ্য ব্যক্তিদের কাউন্সিলার পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের পৃথক পৃথক মার্কা রয়েছে। তবে মেয়র পদে আমাদের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের মার্কা ধানের শীষ।

তিনি বলেন, এই ধানের শীষ মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ধানের শীষ। এই প্রতীক বিএনপির প্রতীক, আমার প্রতীক। এই ধানের শীষ সন্ত্রাস ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের। এই ধানের শীষ ‘শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতীক। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অধিকার রক্ষার প্রতীক’।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসী আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে সাখাওয়াত হোসেন খানকে মেয়র নির্বাচিত করবেন এবং আমাদের মনোনীত কাউন্সিলার প্রার্থীদেরকেও একইভাবে নির্বাচিত করবেন।

বিএনপি ও ধানের শীষের পক্ষে নারায়ণগঞ্জে ইতোমধ্যে যে জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা জেনে তিনি আনোন্দিত উল্লেখ করে বলেন, ভোটের বাক্সে এই সমর্থনের প্রতিফলন ঘটান। নতুন ভোটার, মা-বোন, মুরুব্বীয়ান এবং হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নাগরিকসহ সকলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দিবেন এবং অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন।

তিনি বলেন, মনে রাখবেন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আপনাদের ভোট দেওয়ার ও অন্যান্য অধিকার ফিরিয়ে আনা এবং শান্তি স্থাপনে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা জুলুম, নির্যাতন, গুম, খুন, হামলা, মামলা, হয়রানী, দখল, দলীয়করণ, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, সন্ত্রাসসহ নানা ধরণের অন্যায়ের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপনাদের এক-একটি ভোট হবে এসবের বিরুদ্ধে এক-একটি বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। আমি আশা করি আপনারা নারায়ণগঞ্জে ২২ ডিসেম্বর নীরব ভোট বিপ্লব ঘটাবেন।

নেতা-কর্মীদের প্রতি খালেদা জিয়া বলেন, আমি আশা করি দল-জোটের নেতা-কর্মী ও জনগণ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন এবং নির্বাচনী ফলাফল শেষে বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরবেন।

বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

মহান বিজয় দিবসে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি।

শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে একাত্তরের বীর সেনানিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওই সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি দলও শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণ ছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যরা। পরে স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের।

এদিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে সাভারের উদ্দেশে রওনা হন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান বীরউত্তম ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর প্রমুখ।

বিজয় দিবসে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধা

বিজয় দিবস উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

শুক্রবার দুপুর সোয়া ১ টার দিকে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ জিয়াউর রহমানের মাজারে তিনি এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সকাল  ৮ টা ৫০ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে সাভারে স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।

বিজয় দিবসের খাবার নিয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ৬

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিজয় দিবসের খাবার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার গ্রুপের কর্মীদের হমালায় সভাপতি সাইফুল ইসলাম গ্রুপের ৮ কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে জসিম নামের এক কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীদের কাছে লাঞ্ছিত হয়েছেন প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান। শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে ইবির সাদ্দাম হোসেন হলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে ইবির আবাসিক হলে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। জুমার নামাজের পর সাদ্দাম হোসেন হলে শিক্ষার্থীরা লাইন ধরে খাবার নিচ্ছিল। এসময় অমিত কুমার গ্রুপের কর্মীরা ও সাদ্দাম হলের সহ-সভাপতি নওশাদ কবির টোকন ছাড়া খাবার নিতে থাকে। এতে সভাপতি গ্রুপের কর্মী ও হল শাখার সধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগরের কর্মীরা নওশাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আশরাফুল আলমকে খাবার দেয়া বন্ধ করতে বলে। তারা প্রভোস্টকে আগে তাদেরকে খাবার দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্যদের খাবার দিতে বলে। এসময় নওশাদ সভাপতি গ্রুপের সাগরের কর্মীদের পাল্টা হুমকি দেয়। পরে নওশাদ হলের বাইরে গিয়ে অমিত কুমারের নেতা-কর্মীসহ বহিরাগত ২০/২৫ জন মিলে ডাইনিংয়ের সামনে সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাঠিসোটা, রড নিয়ে সভাপতির কর্মীদের মারতে থাকে। এসময় আতঙ্কে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দিগ্বিক ছুটোছুটি করতে থাকে। হামলায় ছাত্রলীগের ৬ কর্মী, ৪ জন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনাস্থলে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান আসলে সাগরের কর্মীরা পেছন থেকে তাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার বলেন, আমার কর্মীরা খাবার নিতে গেলে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা বাধা দেয়। এতে আমার কর্মীরা ক্ষিপ্ত হলে একটু হতাহাতি হয়। আমি ঘটনার পর আমার কর্মীদের সরিয়ে দিয়েছি।

অভিযোগ অস্বীকার করে সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমারা কেন্দ্রিয় কমিটিকে ঘটনা জানাবো। দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বহিরাগত কর্মীদের নিয়ে কেউ যদি এর সাথে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্বসেরা শিক্ষক পুরস্কারে মনোনীত বাংলাদেশের শাহনাজ

বগুড়ার শেরপুরের শিক্ষিকা শাহনাজ পারভীন ২০১৭ সালের বিশ্বসেরা শিক্ষক (বেস্ট গ্লোবাল টিচার) পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

নিজের পেশায় অনবদ্য ভূমিকা রাখায় ও সমাজে শিক্ষকের ভূমিকার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের স্বীকৃতি দিতে এ পুরস্কার দেয়া হয়।

শাহনাজ পারভীন শেরপুর উপজেলা সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে গ্লোবাল টিচার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ায় আনন্দিত শাহনাজ পারভীন। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে যেন দেশের মুখ উজ্জল করতে পারেন, সেজন্য সবার দোয়া চেয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, লন্ডনভিত্তিক ভারকি ফাউন্ডেশন তৃতীয়বারের মত এ পুরস্কার দিতে যাচ্ছে। গ্লোবাল টিচার ওয়েবসাইটে পুরস্কারের জন্য মনোনীত ফাইনালিস্ট ৫০ জনের তালিকায় বগুড়ার শেরপুরের শাহনাজ পারভীনের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানের একজন করে শিক্ষক রয়েছেন।

আগামী বছরের ১৯ মার্চ দুবাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। অর্থ পুরস্কার হিসেবে থাকছে ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

গ্লোবাল টিচার প্রাইজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে বলা হয়েছে, এ ধরনের পুরস্কারের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। বিশ্বের ১৭৯টি দেশ থেকে ২০ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে থেকে সর্বশেষ ৫০ জনের তালিকা করা হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন মোট ৩৭টি দেশের শিক্ষক-শিক্ষিকা।

শাহনাজ পারভীন ২০১৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে পুরস্কার পান।

উপজেলা সদর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে শহরের শান্তিনগরে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন তিনি।

পারিবারিক ও আর্থিক কারণে অনেক শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে। সে সমস্যা সমাধানে শাহনাজ পারভীন এগিয়ে এসেছেন।

শিক্ষা পদ্ধতির ওপর প্রযুক্তি ও বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়া অ্যাপিলেকেশনের ওপর জোর দেন তিনি।

শাহনাজ পারভীন নতুন শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালা নিয়মিত আয়োজনের পাশাপাশি এ বিষয়ে গবেষণাও করেছেন।

কেন শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণে ব্যর্থ হচ্ছে সেটি তার গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল বলে জানা গেছে।

মুন্সীগঞ্জে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নে মুখে দড়ি বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ।

বুধবার রাত ৮টার দিকে হোসেন্দি এলাকার মেঘনার শাখা ফুলদি নদীর একটি ব্রিজের পাশে মরদেহটি পাওয়া যায়।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেদায়েতুল ইসলাম ভূইয়া জানান, মরদেহটিকে আমরা মুখে ও গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। যা বোঝা যাচ্ছে, ৭-১০ দিন আগে এই যুবককে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মরদেহে পচন ধরেছে।

ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি মর্গে রাখা হবে।

আবারও পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে কিশোর হত্যা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে এক কিশোর শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিশোরের মৃত্যু হয়।নিহত কিশোরের নাম ইয়ামিন (১৬)। তাঁকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে রায়হান নামের আরেক কিশোর শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঞ্জুর কাদের জানান, সোনারগাঁর মহেষটেক এলাকায় বিআর স্পিনিং মিলের শ্রমিক ইয়ামিন। সে একই এলাকায় থাকত। গতকাল রাতে ইয়ামিন মিলের ওয়ার্কশপে কাজ করছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়ই রায়হান কম্প্রেসরের পাইপ ইয়ামিনের পায়ুপথে চেপে ধরে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইয়ামিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চলতি বছরের ২৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক শিশু শ্রমিকের পায়ুপথ দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিনে দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার যাত্রামুড়া এলাকায় জোবেদা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিকের নাম সাগর বর্মণ। তার বয়স ১০ বছর। তার বাবার নাম সুমন বর্মণ। তাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর গ্রামে।

জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অসাংবিধানিক নয় : হাইকোর্ট

আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন  অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট

বৃহস্পতিবার একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। সঙ্গে ছিলেন সৈয়দ ইজাজ কবির।

আইনজীবী  রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের  বলেন, আদালত রুল জারি করেছেন, তবে নির্বাচন স্থগিত করেননি।

রুলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করার পর গত রবিবার জেলা পরিষদ আইনের তিনটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ইজাজ কবির।

রিটে বলা হয়, সংবিধানের ১১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশে নির্বাচন জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে করতে হয়। কিন্তু জেলা পরিষদ আইনের ৪, ৫ ও ১৭ ধারা অনুযায়ী জেলা পরিষদের প্রশাসকরা নির্বাচিত হচ্ছেন প্রতিনিধিদের ভোটে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের ভোটেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হবেন।এর আগে ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ একই বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন।

আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফের বার্ষিক মাহফিল অনুষ্ঠিত

গত ১৩ই ডিসেম্বর রোজ মঙ্গলবার আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা) উপলক্ষে ইসলামী মহা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ইসলামী মহাসম্মেলনে সভাপতিত্ব ও বিদায়ী মুনাজাত পরিচালনা করেন আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফের বর্তমান গাদ্দিনাশীন পীর, আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী।

সভাপতির বক্তব্যে পীর সাহেব জৌনপুরী বলেন একমাত্র কুরআন সুন্নাহকে কেন্দ্র করেই মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। আর সফলতা কেবলমাত্র মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হওযার দ্বারাই আসতে পারে। কেননা কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তায়ালা সুরা আল ইমরানের   আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন “ তোমরা আল্লাহর রশীকে সম্মিলিতভাবে আকড়ে ধর” এ থেকেই মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়াকে ফরয করা হয়েছে কিন্তু আজ আমাদের সমাজে একদল লোক রয়েছে যারা বলতে চায় আমরা ঐক্য চাই কিন্তু তাদের জানা নাই একমাত্র কুরআন হাদীসকে কেন্দ্র করেই মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। আজকে মুসলমানগণ প্রধানত ৪টি কারণে ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না এর মধ্যে প্রথমত হল আজ আমরা গণতন্ত্র চর্চায় নিজেকে ব্যস্ত করে ফেলেছি তাই আমাদের পক্ষে সফলতা নেই। দ্বিতীয়ত কেউবা আবার জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত তৃতীয়ত আবার কেউবা সাম্প্রদায়িকতা/ব্যাক্তি পারাস্তিতে ব্যস্ত এবং সে তার অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে যেয়ে অনেক ক্ষেত্রে কুরআন হাদীসের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। চতুর্থত জাহালাত আবার সে এই জাহালাতকে প্রতিষ্ঠা করতে সদা সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যায়। আর এই কারণগুলো আমাদের জন্য ঐক্যের পক্ষে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর এ থেকে পরিত্রাণের জন্য অবশ্যই কুরআন ও সুন্নাহকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। তবে আমাদের পক্ষে সফলতা আসবে এবং আমরা মুসলমান একটি প্লাটফর্মে আসতে পারবো। যা শুধু কুরআন সুন্নাহ দ্বারাই সম্ভব।
ইসলামী মহা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা সাইয়্যেদ ক্বারী ওবাইদুল্ল্যাহ্ আব্বাসী, মাওলানা ড. ঈষা শাহেদী। মাওলানা পীরজাদা নাইমুর রহমান, মাওলানা আঃ রহিম মাওলানা আঃ হাফিজ, মাওলানা এনামুল হক আজাদী প্রমুখ।
পীর সাহেব জৌনপুরী সমাপনি বক্তব্যে আরো বলেন-দুনিয়া ও আখেরাতে শ্রেষ্ঠ নিয়ামত হল আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা)। কুরআনের তাফসির দ্বারা প্রমাণিত আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ করেছেন রবের নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার জন্য। আর সেই লক্ষ্যে উম্মতে মুহাম্মাদিরা তাঁদের হৃদয়ের স্পন্দন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মহামানবের স্মরণে ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা)। পালন করে থাকে । আর এটাকে অস্বীকার করার মত কোন সুযোগ নেই।
উক্ত মাহফিলে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়। মাহফিল শেষে পীর সাহেব হুজুর বার্মার নির্যাতিত মুসলমানসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য দোয়া করে সকলকে বিদায় দেন।