২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 232

‘নতুন চকম কি থাকবে সেটা শুধু নেত্রী আর আমি জানি’

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কারা আসবে সেটা আমি আর নেত্রী (শেখ হাসিনা) ছাড়া কেউ জানে না। নতুন চকম কি থাকবে সেটা শুধু আমরাই জানি।

আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে নেতৃত্বে কী ধরনের চমক থাকছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ জানে না নতুন চমক কী থাকছে। রাজনীতি হলো ধারাবাহিকতা। আর নতুন চমকের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে সম্মেলন হবে।

সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে বিভিন্ন নামে যে স্লোগান শোনা যাচ্ছে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব স্লোগান কাজে আসবে না। আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্পর্কে তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলছে। কালকের মধ্যে শেষ হবে।

`আ. লীগের সম্মেলনে নিরাপত্তায় ১০ হাজার পুলিশ’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের নিরাপত্তায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মোট দশ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তার নির্দেশনা দেবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)।

পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা জোরদারে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের মঞ্চ পরিদর্শনে যান আইজিপি। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সম্মেলনকে ঘিরে রাজধানীজুড়ে ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সম্মেলনস্থল ও এর আশেপাশে শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। প্রতিটি গেটে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতনরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করবেন।’

২২ ও ২৩ অক্টোবর দলটির ২০তম জাতীয় সম্মেলন। এ দুইদিন সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সঙ্গে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমন্বিতভাবে পুরো ঢাকা মহানগরীর নিরাপত্তায় কাজ করবেন।

উদ্যানের ভেতরে দলীয় কোন্দলের মতো কোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশ কী ব্যবস্থা নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল। আমার বিশ্বাস এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটবে না। তবে এমন কিছু হলে দলটির নিজস্ব ডিসিপ্লিনারি কমিটি ব্যবস্থা নেবে।’

কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক?

কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক? সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, নাকি নতুন কেউ? জাতীয় সম্মেলনের মাত্র দু’দিন বাকি। এ নিয়ে এখনও রয়েছে অপার রহস্য। দলের নেতাকর্মীরা নানা হিসাব-নিকাশ করছেন। কোনো স্পষ্ট চিত্র তাদের সামনে ভেসে উঠছে না। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামই এই মুহূর্তে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন। তবে শেষ হাসি কে হাসবেন, তা এখনও বোঝা দুষ্কর।

আজ বুধবার এক জাতীয় দৈনিকের খবরে বলা হয়, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে আরেক দফায় সাধারণ সম্পাদক করা নিয়ে দলের ভেতরে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি রয়েছে। দলীয় কর্মকাণ্ডে তার কম আগ্রহে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয়েছে, তা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও জানেন। তবে নানা হিসাব-নিকাশ করে অনেকে বলছেন, সৈয়দ আশরাফই মন্দের ভালো। সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে রয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনকে ঘিরে তিনি আরও সক্রিয় হয়েছেন। তাকে নিয়েও নেতাকর্মীদের আগ্রহ রয়েছে। গত সম্মেলনেও এই দুই নেতা দলের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় ছিলেন।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানককে নিয়েও অনেকের আগ্রহ রয়েছে। বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের মঞ্চ নির্মাণ থেকে শুরু করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে ব্যাপক সাজসজ্জার কাজ গুছিয়ে আনার বেলায় তার সাংগঠনিক দক্ষতা ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। এ ছাড়া কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাকও সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদকের তালিকায় রয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি দলের গঠনতন্ত্র উপপরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন।

কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের আগ্রহ দেখালেও নেতাকর্মীরা তার বিকল্প হিসেবে কাউকে কল্পনাও করতে পারছেন না। তিনি টানা অষ্টম দফায়ও দলের সভাপতি হচ্ছেন_ মোটামুটি নিশ্চিত বলা যায়।

মূলত এ কারণেই এখন পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক পদই এবারকার জাতীয় সম্মেলনের প্রধানতম আকর্ষণ হয়ে আছে। আগে টুকটাক আলোচনা হলেও সম্মেলনের দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এ নিয়ে নীতিনির্ধারক নেতারা নিজেদের মধ্যেও কোনো কথা বলছেন না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলের নীতিনির্ধারক নেতারা বলেছেন, সাধারণ সম্পাদক পদে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। নেতারা অবশ্য দলের সভাপতির মনোভাব জানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

এখন পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আলোচনার পুরোভাগে থাকলেও শেষতক তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে রাখা হবে কি হবে না_ এ নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে এই মুহূর্তে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী করার পর সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা সক্রিয় হয়েছেন।

অবশ্য পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় দলীয় কার্যক্রমের কোথাও তার উপস্থিতি দেখা যায়নি। জঙ্গিবাদবিরোধী আন্দোলনের মুহূর্তে মহাজোটের শরিক জাসদকে জড়িয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সরকারের জন্য কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলেন।

শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি রাজনীতি সচেতন নাগরিকদের মধ্যেও সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক কে হন_ তা নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে আগামী দিনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়টি প্রধান ভাবনায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিকভাবে বিচক্ষণ, দূরদর্শী, আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারদর্শী, গ্রহণযোগ্য, অভিজ্ঞ ও আস্থাভাজন কাউকে সাধারণ সম্পাদক করবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিশ্বাস। একই সঙ্গে দক্ষ, মেধাবী ও যোগ্যতার মাপকাঠিতে সেরা এক ঝাঁক তরুণ নতুন কমিটিতে আসবেন বলে সবার প্রত্যাশা।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, ৭৩ সদস্যের বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাঠামো এবার ৮১-তে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এর মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংখ্যা হবে ১৯। সভাপতিমণ্ডলীর বর্তমান ১২ সদস্যের মধ্যে রদবদলের সম্ভাবনা খুব কম। তবে সতীশ চন্দ্র রায়সহ কয়েকজন ছিটকে পড়লে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে নেতারা আভাস দিয়েছেন। বর্তমান কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক না হলে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হতে পারেন ড. আবদুর রাজ্জাক। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানকেও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

এ ছাড়াও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের চার পদ, সাংগঠনিক সম্পাদকের আট পদসহ সম্পাদকমণ্ডলী এবং কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যপদে অনেক নতুন মুখ আসবে বলে নেতারা মনে করছেন। এর ফলে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির অনেকেই পদ হারাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ নেতাদের বাদ দেওয়া হবে।

বৃদ্ধাশ্রমে ৫ অভিনয় শিল্পী

এটিএম শামসুজ্জামান, আবুল হায়াত, সৈয়দ হাসান ইমাম, শর্মিলী আহমেদ ও আমিরুল আসলাম। এই পাঁচ অভিনয় শিল্পী আছেন বৃদ্ধাশ্রমে। একদিকে বয়সের ভারে জর্জরিত।

অন্যদিকে সন্তানদের অবহেলা। তাদের জীবন নাভিশ্ব্বাসে উঠেছে। শেষ বয়সে ঠাঁই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে। তাদের এমনই অবস্থা দেখা যাবে এস এ হক অলিক পরিচালিত ‘এক পৃথিবী প্রেম’ ছবিতে। শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। বৃদ্ধাশ্রমে তাদের দেখাশোনা করেন ছবির নায়িকা আইরিন। তার সঙ্গে প্রেম হয় আসিফের।

নির্মাতা বলেন, প্রেম ও বৃদ্ধাশ্রমকে ঘিরে ছবির গল্প গড়ে উঠেছে। বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক গল্পে প্রাধান্য পেয়েছে। অন্যরকম গল্পের কারণে ছবিটি অবশ্যই দর্শকের ভালো লাগবে। ছবির গানগুলোও চমৎকার। বাংলাদেশ প্রতিদিন

ফতুল্লায় সন্ত্রাসী হামলায় জনতালীগ নেতার মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত ফতুল্লা থানা আওয়ামী জনতা লীগের সভাপতি মনির হোসেন মারা গেছেন।

বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় ফতুল্লার পাগলার রসুলপুরস্থ ওয়াসা এলাকায় সন্ত্রাসীরা মনির ও তার স্ত্রীসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে।আহতরা হলেন- শেখ স্বাধীন মনির হোসেন, তার স্ত্রী মেঘলা এবং মেঘলার বড় বোন রেখা। এদের মধ্যে মনিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।

মনির হোসেনের ভাগিনা আশরাফ জানান, মনির হোসেন রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করেন। লোহার দরজা, জানালা তৈরির ওয়ার্কসপ ও একটি মাছের খামার রয়েছে তার। ময়না তদন্তের পর লাশ বাড়িতে নিয়ে যওয়া হবে। আহত অপর দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা যায়, ফতুল্লা থানা আওয়ামী জনতা লীগের সভাপতি মনির হোসেন তার স্ত্রী মেঘলা এবং মেঘলার বড় বোন রেখাকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে পাগলা ওয়াসা এলাকায় রাত সাড়ে ১০টায় প্রতিপক্ষ মীর হোসেন মীরু বাহিনীর লোকজন তাদের পথরোধ করে।

এ সময় সন্ত্রাসীরা প্রথমে মনির হোসেনকে এলোপাতাড়ি কোপায়। তখন তার স্ত্রী মেঘলা এবং মেঘলার বড় বোন রেখা চিৎকার করলে সন্ত্রাসীরা তাদেরও কোপায়। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসীরা জানান, ডিশ লাইনের দখল নিয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা মীর হোসেন ওরফে মীরু বাহিনীর সঙ্গে মনির হোসেনের দ্বন্দ্ব ছিল। এ ঘটনায় দুপক্ষে মারামারিও হয়েছে এর আগে।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ জালাল জানান, এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

হবিগঞ্জে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫

হবিগঞ্জের বাহুবলে শিক্ষক আটকের জের ধরে ছাত্রদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ছাত্রসহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আহতদের হবিগঞ্জ সদরস হাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের সময় উত্তেজিত ছাত্ররা থানা ভাঙ্গচুর করে।

বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, বাহুবলের দীননাথ স্কুল জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দুই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। এতে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় এক ঘন্টার সংঘর্ষে এলাকাটি রণক্ষেত্র পরিণত হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দাঙ্গা পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে শিক্ষকসহ ছয় জনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা (ওসি) মনরিুজ্জামান জানান, আন্দোলন শেষে ছাত্ররা থানার মোড় দিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ করে থানায় হামলা চালেিয় পুরো থানা ভাঙচুর করেছে। এতে পুলিশও আহত হয়।

কুরআনের জ্ঞানই চূড়ান্ত জ্ঞান-ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসি পীর সাহেব জৈনপুরী

মানব জাতির হেদায়াতের জন্য দেড় হাজার বছর পূর্বে আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিম নাজিল করেছেন। যাতে গোটা মানব জাতীয় সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে। আর কুরআন থেকে সকল সমস্যার সমাধান বাহির করতে পারে ইলম পিপাসু হক্কানী আলেম ওলামা। যাদের মানদন্ড হল ইলম। গত কাল ১৩ই অক্টোবর শাহ জালাল ও শাহ পরান (র) স্বরনে আয়োজিত নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী লক্ষিনারায়ন স্কুল মাঠে ইসলামি মহা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা মুফতী ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসি ওয়া সিদ্দিকি পীর সাহেব জৈনপুরী একথা বলেন।। ইফতেখার আলম খোকনের সভাপতিত্বে ইসলামি মহা সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ওবায়েদুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী এবং দেশ বরেন্য ওলামায়ে কেরাম। পীর সাহেব জৈনপুরী আরো বলেন,আল্লাহ তায়ালা হজরত আদম (আ) কে সৃষ্টি করে তাকে ইলমের মাধ্যমে শ্রেষ্টত্ব দ্বান করলেন।ফেরেস্তারা নূরের তৈরী তাদের সম্মান বেশী হওয়ার কথা ছিল কিন্তু মাটির তৈরী আদমকে শ্রেষ্টত্ব দেওয়া হয়েছে তার ইলমের কারনে। মানবজাতিকে যুগের সকল সমস্যার সমাধান নিতে হবে কুরআন হাদীস থেকে আর এর দ্বারাই তারা দুনিয়ায় শান্তি আর আখেরাতে মুক্তি পেতে পারে। আমরা আজ কুরআননের জ্ঞান থেকে বহু দূরে । তাই আজ আমাদের মধ্যে নানা মতভেদ যদি কুরআনের ইলম আমাদের হৃদয়ে বিস্তার করতে পারতাম তা হলে আমরা সকল ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারতাম। ইলমটা আল্লাহর পক্ষ থেকে আল্লাহর মনোনিতরাই অর্জন করতে পারে এই জন্য সহিহ নিয়ত ওই খলাসের পূর্নতা থাকাটা আবশ্যক।

আল্লাহ তায়ালা যার ভাল চান তাকে দ্বীনের বুঝ দান করেন-ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী।

স্টাফ রির্পোটারঃ আল্লাহ তায়ালা যার ভাল চান তাকে দ্বীনের বুঝ দান করেন। আর আল্লাহ তায়ালা যাকে দ্বীনের বুঝ দান করেন সে ব্যক্তিই কেবল সফল এবং সৌভাগ্যবান। গত সোমবার বাদ আসর মারকাযু তাহরিকে খাতমিন নুবুওয়্যাত কারামাতিয়া মাতলাউল উলুম মাদ্রাসায় তাখাছসুস ফিল ফিকহি ওয়াল ইফতা (ফতুয়া বিভাগ)উচ্চতর গবেষনা বিভাগ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অত্রমাদ্রাসার মহা পরিচালক শাইখুল হাদিস আল্লামা ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ াাব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব হুজুর একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ইলম ও ফিকহের অধিকারী গণই মুলত উলিল আমর আল্লাহ তায়ালা যাদেও আনুগত্যকে ওয়াজিব কওে দিয়েছেন। তাই তাকলীদ বা মাযহাব চতুষ্ঠের কোন একটি অনুসরন করাটাই কুরআন সুন্নাহ বর্হিভুত কোন কাজ নয়।ইফতা বিভাগের সবক অনুষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রদেরকে তিনি ইলমে দ্বীন শিক্ষার ক্ষেত্রে একাগ্রতা, মনোযোগ বিশেষ করে এখলাছ বা নিয়াত বিশুদ্ধ করার নসিহত করেন। উল্লেখ্য মক্তব থেকে দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটিতে ফতুয়া বিভাগ চালু  হওয়াতে ফিকহ ও ফতুয়ার উপর উচ্চতর গবেষনার দবআর উন্মুক্ত হল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,অত্র প্রতিষ্ঠানের নায়েবে মুহতামিম মাঃ ওবায়েদুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী,মাঃ মোশাররফহোসাইন,মাঃ বারাতুল ইসলাম এবং মাঃ ঞাফেজ আঃ হাফিজ প্রমুখ। অনুষ্ঠানশেষে পীর সাহেব জৈনপুরী হুজুর দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন।

বিএনপি নেতা নুর হোসেনের মায়ের মৃত্যুতে গিয়াসউদ্দিনের শোক প্রকাশ

বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.নুর হোসেনের মায়েরমৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন নারায়নগঞ্জ- ৪আসনের সাবেক সাংসদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ।

এক শোক বানীতে মরহুমার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে। এবং মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। আজ শুক্রবার(৭ অক্টোবর) সকালে বিএনপি নেতা নুর হোসেনের মাতা ইন্তেকাল করেন এবং বাদ জুম্মা তাকে দাফন করা হয়।

ফতুল্লায় বিদেশী পিস্তলসহ সন্ত্রাসী সজিব গ্রেফতার

ফতুল্লায় গোলাগুলির পর এক রাউন্ড তাজা গুলি, তিনটি খোলাগুলি, ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি বিদেশি পিস্তলসহ সন্ত্রাসী সজিব (৩০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী সজিব সস্তাপুর এলাকার মমতাজ মিয়ার ছেলে। সে সস্তাপুর এলাকার একটি বস্তিতে চায়ের দোকানদারী করতো বলে জানাগেছে।

ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই রাশেদের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদ পেয়ে আমরা অভিযান চালালে গ্রেফতারকৃত সজিব আমাদের লক্ষ করে গুলি ছুরে। একপর্যায়ে পুলিশও সন্ত্রাসীকে উদ্দেশ্যে করে পাল্টাগুলি করে। পরে সন্ত্রাসী সজিবকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

এসময় সন্ত্রাসীর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি তাজা গুলি, তিনটি খোলাগুলি, ও বেশ কয়েক পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

সন্ত্রাসী সজিবের নামে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক ও অস্ত্রসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফতুল্লা মডেল থানার সিনিয়র এএসপি শরফুদ্দিন আহমেদ।