২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 241

না:গঞ্জে শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনা ফের তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট

স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছনায় ঘটনার পুলিশের দেয়া প্রতিবেদন গ্রহণ না করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে ওই ঘটনা তদন্ত করে আগামী ৩ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ৯ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাসের গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

নারায়ণগঞ্জের স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনায় মন্ত্রী থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এ কে এম সেলিম ওসমানের শাস্তি দাবি করলেও ওই ঘটনায় এই সংসদ সদস্যের কোনো দোষ পায়নি পুলিশ।

এই শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বস করাতে নির্দেশ দিতে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্যকে দেখা গেলেও তিনি ‘পরিস্থিতির শিকার’ বলে হাইকোর্টে দেওয়া পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই ঘটনায় কাউকে জড়িয়ে কারও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেছেন, এজন্য কারও বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ১৩ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি প্রকাশ পেলে দেশজুড়ে নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়।

ওই ঘটনার ভিডিওতে ওই শিক্ষককে কান ধরে উঠ বসের নির্দেশ দিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে দেখা গেলে তার শাস্তির দাবিও উঠে। তবে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের এই সদস্য শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন।

ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ অন্তর্র্বতীকালীন আদেশ দেয়।

আদালতের নির্দেশনায় ২৯ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসির প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ, যা দায়সারা বলে অসন্তোষ জানিয়েছিল আদালত।

এরপর ৮ জুন জেলা প্রশাসক নতুন করে প্রতিবেদন দেন হাইকোর্টে। ওই ঘটনায় জিডির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে অগ্রগতি আছে জানিয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসি ৬০ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেন।

আদালত তখন স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় করা জিডির তদন্তে আসা ফল হলফনামা আকারে ৪ অগাস্ট আদালতে দাখিল করতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়।

ওই প্রতিবেদন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাই কোর্ট বেঞ্চে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ওই প্রতিবেদনটি দাখিল ও পড়ে শোনান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। অন্যপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান।

পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার বিষদ বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, “স্থানীয় সাংসদ এ কে এম সেলিম ওসমান ওই দিন ১৫.৪৫ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উত্তেজিত জনতা প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিচারের দাবিতে পুনরায় উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।

“তখন পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করার সময় প্রধান শিক্ষককে জনগণের রোষানল থেকে রক্ষার জন্য উত্তেজিত জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কান ধরে ওঠ-বস করার ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটে।”

“ওই ঘটনার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান দুজনই উদ্ভূত ঘটনায় পরিস্থিতির শিকার। ওই ঘটনা সংক্রান্তে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট (পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়) কারোই কারও বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ না থাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় আকস্মিকভাবে ওই ঘটনাটি হয়েছে বলে জানা যায়।”

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধু হত্যা হয়েছিল : শেখ হাসিনা

যেসব আন্তর্জাতিক শক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো। তাদের ষড়যন্ত্রেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে সচিবালয়ে আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরের আগে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে বাঙালির কোনো অধিকার ছিলো না। বঙ্গবন্ধু সবসময় বাঙালির অধিকার আদায়ের কথা বলেছেন। সে কারণে তাকে নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে।

২৪ জনেরও বেশি নেতা বিএনপির রাজনীতিকে বিদায় জানাচ্ছেন

বিএনপির বহুল প্রত্যাশিত কমিটি গঠনের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশের পরিবর্তে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেই চলেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ সব পর্যায়ে চলছে কমিটি সম্পর্কে নেতিবাচক পর্যালোচনা। কমিটি ঘোষণার পর এরই মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন নতুন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদ পাওয়া মোসাদ্দেক আলী ও সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম। তবে বিএনপির জন্য আরো দু:সংবাদ হয়ে আসছে যা, তা হলো ক্ষুদ্ধ হয়ে ২৪ জনেরও বেশি নেতা বিএনপির রাজনীতিকে বিদায় জানাচ্ছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এই ইঙ্গিত দিয়েছে। কমিটির সমালোচনা করে বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, তাদের শঙ্কা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার হাতে একক ক্ষমতা দেওয়া হলেও তাকে প্রভাবিত করে কমিটি গঠনের কাজ হয়েছে। কমিটি গঠনের আগ পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাছেও এ বিষয়ে তেমন তথ্য ছিলো না। তারা সবচেয়ে যে বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেটি হচ্ছে, কমিটিতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। অনেক জুনিয়র নেতা সিনিয়রের চেয়ে উপরের পদ পেয়েছেন। অনেকে আগের কমিটিতে যে পদে দায়িত্ব পালন করেছেন নতুন কমিটিতে তার চেয়ে নিচের পদ পেয়েছেন। এতে অনেকেই অপমান বোধ করছেন। তারা বলছেন, বিএনপির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কমিটি ঘোষণা করেও কাউকে খুশি করা যায়নি। এটি একটি বড় কমিটি ঘোষণার পাশাপাশি বড় ধরণের ব্যর্থতাও। বড় কমিটি দিয়ে সবাইকে খুশি রাখার চেষ্টা করা হলেও বেশির ভাগ নেতারই ক্ষুব্ধ। আর ত্যাগীদের যথাযথ
মূল্যায়ন না হওয়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও হতাশ।
বিতর্কিত এই কমিটি দিয়ে ভবিষ্যতে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালানো কঠিন হবে বলেও মনে করছেন তারা। এমনকি খালেদা জিয়ার ঘোষিত রূপকল্প ২০৩০-এর বাস্তবায়ন মুখ থুবড়ে পড়বে এই কমিটির জন্য।
বিএনপির সবচেয়ে প্রবীন নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। যিনি আগের কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই কমিটিতেও তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। তবে তার প্রত্যাশা ছিলো বিএনপির সবচেয়ে সিনিয়র রাজনীতিবিদ হিসেবে তাকে দলের নীতি নির্ধারনী স্থায়ী কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে। কিন্তু প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে খুবই আশাহত হন তিনি। তার ঘনিষ্ঠজন ও ৯০ এর দশকের একজন ছাত্রনেতা জানিয়েছেন, ‘তিনি চরম অপমানিত বোধ করছেন। এ নিয়ে মনোকষ্টে গত দুইদিন তিনি হাসপাতালে ছিলেন। তার রক্তচাপ খুবই বেড়ে গেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। ইউনাইটডে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সোমবার তাকে বাসায় আনা হয়েছে।’
ওই ছাত্র নেতা বলেন, ‘শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সবচেয়ে প্রবীন রাজনীতিবিদ। আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ তার অধীনে রাজনীতিতে এসেছেন। অথচ তিনি বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরামে জায়গা পেলেন না। এ নিয়ে তিনি খুবই অপমান বোধ করেছেন। পদের লোভ করলে উনি কমিটি ঘোষণার পরই পদত্যাগ করতেন।’
দলের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, কমিটি গঠনের পর এতে নিজেদের পদ দেখে ক্ষুদ্ধ হওয়া নেতাদের মধ্যে আরো রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান (আগে যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন), ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের আরেক নেতা ডাকসুর প্রাক্তন এজিএস ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম (আগের কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া (আগের কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক), উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, নির্বাহী সদস্য নাদিম মোস্তফা, উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক (আগের কমিটির প্রচার সম্পাদক), উপদেষ্টা আবদুস সালাম (আগের কমিটির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক), বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন (আগের কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক), নির্বাহী সদস্য ডা. মাজহারুল ইসলাম (আগের কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক), কোনো পদেই নেই আবদুল লতিফ জনি (আগের কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক) প্রমুখ।
এছাড়া প্রত্যাশিত পদ পেয়ে ক্ষোভের তালিকায় রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে (অব.) মাহবুবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান (আগের কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান), ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা (আগের কমিটিতেও ভাইস চেয়ারম্যান), ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (আগের কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান), আবদুল আউয়াল মিন্টু (আগের কমিটিতে উপদেষ্টা), অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন (আগের কমিটিতে উপদেষ্টা), ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ (আগের কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান)। এদের মধ্যে কেউ রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ও কেউ পদত্যাগের চিন্তাভাবনা করছেন এবং অনেকে নিস্ক্রিয় থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘কমিটি নিয়ে আর কি বলবো ? ভাবছি, কি করা যায়। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। নেতাকর্মীরা আসছেন। আলোচনা করছেন। পরামর্শ দিচ্ছেন। কি করবো এখনও ঠিক করিনি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানকে আগের অবস্থান থেকে দুই ধাপ অবনমিত করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এবং তরিকুল ইসলাম আগের কমিটিতে ক্রমানুযায়ী তার নিচে অবস্থান করলেও নতুন কমিটিতে তাদেরকে ওপরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আশাহত মাহবুবুর রহমান।
কমিটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে গিয়ে দলের ক্রান্তিকালে দায়িত্ব পালন করা এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির নতুন কমিটি নিয়ে সর্বস্তরে ক্ষোভ অভিযোগ আসছে। কারণ, এটা ঠিক যে, কমিটিতে অনেক ভুল এবং দুরদর্শিতার অভাব রয়েছে। জেষ্ঠ্যতা মানা হয়নি, সিনিয়রদের ওপরে জুনিয়রদের রাখা হয়েছে, যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হয়নি। সর্বোপরি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের কাউন্সিলে ২০৩০ সালের যে রূপকল্প ঘোষণা করেছেন, এই কমিটি দিয়ে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
স্থায়ী কমিটিতে তার দুই ধাপ অবনমনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আট বছর বিএনপির ক্রান্তিকালে দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে গেছি। যখন কেউ ছিলো না সেই বিপদের দিনে আমি নিজে ছিলাম। নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে যখন আমার আরো ওপরে যাওয়ার কথা তখন আরো নিচে আসলাম।’
সেনাবাহিনীর প্রধান থাকা অবস্থায় নিজের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘আমি স্থায়ী কমিটিতে আরো ওপরে যাওয়ার অধিকার রাখি। আমি দেশের সংবিধান রক্ষা করেছি, দেশকে গৃহযুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করেছি, সেনাবাহিনীর মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছি।’

ব্যক্তিগত গাড়িতে হাতে লেখা স্টিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরও বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

সময়ের শ্রোতধারায় বাড়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের অপরাধ বিরোধী তৎপরতা। তবে থেমে নেই অপরাধ চক্রও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা অবলম্বন করছেন নিত্য নতুন পদ্ধতি। অপরাধ জগতের সাথে জড়িত অপরাধিরা ছদ্দবেশের আশ্রয় নিচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় অপরাধ মূলক কর্মকান্ড সচল রাখতে বর্তমানে তারা ব্যাক্তিগত গাড়িতে সম্মানিত পেশা সাংবাদিকতার স্টিকার ব্যবহারসহ বিভিন্ন সময়ে পুলিশ, ডিবি পুলিশ আবার কখনও কখনও রূপ ধারণ করছেন আইনজীবীদেরও।

তবে এসকল কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে বেশ শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গত ৪ মে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়িতে হাতে লেখা স্টিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

এদিকে তৎকালিন সময়ে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জেও ব্যাক্তিগত গাড়িতে হাতে লেখা স্টিকার নিষিদ্ধ করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছিলেন জেলা পুলিশ সুপারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। তবে সেই প্রত্যয় ব্যাক্তয়ের তিন মাস অতিবাহীত হলেও এখনও পর্যন্ত পরিপূর্ণ ভাবে তা বাস্তবে রূপান্তর হয়নি নারায়ণগঞ্জে।

ফলে অপরাধীরা তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে সাংবাদিকতাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের স্টিকার ব্যবহার করে ছদ্দবেশে চলা ফেরা করছেন বলে ধারণা করছেন সচেতন মহল।

কেননা বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বহু ছদ্দবেশী অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছিলো। যারা গ্রেফতার হবার পূর্বে নিজেদের সংবাদকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা বলে দাবী করেছিলেন এবং ব্যক্তিগত গাড়িতে এসকল স্টিকার ব্যবহার করেছিলেন।

এদিকে দেশের বর্তমান অপরাধ প্রবণতা হার বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে প্রশাসনের তৎপরতাও। ফলে অপরাধীরা নিজের কর্মকান্ড সচল রাখতে আরো বেশি ছদ্দবেশের আশ্রয় নিচ্ছেন। তাই সময়ের প্রেক্ষাপটে উপরোক্ত প্রত্যয় দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন বলে ধারণা করছেন অনেকেই।

এবিষয়ে জেলা অরিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. জাকারিয়া সময় নারায়ণগঞ্জকে জানান, ‘প্রতিটি চেকপোষ্টে দায়ীত্বরত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের আমরা নিদের্শ দিয়েছি। তাই বর্তমানে চেক পোষ্টে ব্যক্তিগত স্টিকার লেখা কোন গাড়ি দেখা গেলো সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তা ছিরে ফেলছে। বিষয়টির চুড়ান্ত রূপ নিতে আমরা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাথে বৈঠক করব। কারণ, এতে করে অপরাধিদের অপরাধ কার্য্য পরিচালনার সুযোগ অনেকাংশে কমে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্যে সাধারণ মানুষেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।’

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে আব্দুর রশিদ (৫০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজ বাড়ির ৩ তলার ছাদ থেকে পয়ঃনিস্কাশনের পাইপ বেয়ে নিচে নামতে গিয়ে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু ঘটে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই জসিমউদ্দিন জানান, আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় আমরা তার বাসায় গিয়েছিলাম। ওই সময়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে নিহত আব্দুর রশিদের মেয়ে আফসানা পারভীন অভিযোগ করেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় হঠাৎ করে পুলিশ এসে বাড়ির গেইটে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। এ সময় বাড়ির গেইট খুলতে দেরি হওয়ায় পুলিশ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। তখন পুলিশ আমাদের জানায়, তারা আবদুর রশিদকে আটক করতে এসেছে। তখন আমার বাবা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ির ৩ তলার ছাদ থেকে পয়ঃনিষ্কাশনের পাইপ দিয়ে নামতে গিয়ে স্ট্রোক করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১২টায় তিনি মারা যান। এর আগে তিনি একবার স্ট্রোক করেছিলেন। তাছাড়া তার ডায়াবেটিক রোগ ছিল। রবিবার দুপুরে (বাদ জোহর) সাইলোগেইট ঈদগাঁহ কবরস্থান মাঠে নামাজের জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে-আইভীর

জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় কোনো ধরনের বিভেদ নয় বরং ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে নিয়ে ঐক্য গড়ে তুলেই এই বিপদ থেকেই দেশ-সমাজকে রক্ষার করার পথ খুঁজতে হবে বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

এ সময় কোমলমতি শিশুরা কেন এই বিপথে পা রাখছে তার উৎস এবং নেপথ্যের মানুষদের খুঁজে বের করার ওপর জোর দেন এ আওয়ামী লীগ নেত্রী।

শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ঢাকা দক্ষিণ বিভাগীয় সম্মেলন, ২০১৬-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মেয়র আইভী।

সংগঠনের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র।

সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘শুধু ইসলাম ধর্মকে কলুষিত করার জন্য, ইসলাম ধর্মকে জঙ্গিবাদী বানানোর জন্য আজকে সারা দেশে হামলা করা হচ্ছে। এই অপচেষ্টা বহুদিনের। সেখানে আমাদেরই প্রমাণ করতে হবে, ইসলামে জঙ্গিবাদের স্থান নেই।’

‘জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে হলে যারা আমাদের সন্তানদের বিপথগামী করছে তাদের আগে ধরতে হবে। এখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টি বিভেদ সৃষ্টি করলে হবে না। ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমাদের সন্তানরা কেন বিপথগামী হচ্ছে, কী করছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

সিটি মেয়র আরো বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে আমাদের সন্তানদের যে বিপথগামী করে দিচ্ছি, সেটা যে একটা ভয়াবহ পরিণতি হবে, সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখা উচিত। আমাদের যদি কাউকে মোকাবিলা করতে হয়, রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা উচিত। আমাদের সন্তানদের বিপথগামী করা কোনো অবস্থাতেই উচিত না। এ জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

মেয়র আরো বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলের জন্য দরকার সাহস, সততা, নৈতিকতা ও ভেদাভেদ ভুলে যাওয়ার। কিন্তু সেটিই আমাদের নেই। আমাদের সাহস কমতে যায় তখনই, যখনই আমরা অন্যায় কাজ করতে থাকি, টাকার কাছে লোভী হয়ে যাই, কোনো রাজনীতিবিদের ক্ষমতার কাছে পরাজিত হই বা প্রশাসনের ভয়ে তটস্থ থাকি। তখনই আমরা পিছপা হয়ে যাই। এসব কারণে এখানে নানাভাবে গণতন্ত্রের অপব্যবহারও হচ্ছে।’

সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের উল্লেখ করে মেয়র আইভী আরো বলেন, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে আজকে বিদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে।

পদ্মায় ট্রলারডুবি, শিশুসহ নিখোঁজ ৭

রাজবাড়ীর হরিণবাড়িয়া এলাকায় পদ্মানদীতে ট্রলার ডুবিতে শিশু-নারীসহ সাতজন নিখোঁজ হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়া এলাকায় ট্রলারডুবির এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিখোঁজ সাতজনের মধ্যে তিন শিশু, তিন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, রাহুল, রাজু, হালিমা ও রেহেনা।  এদের বাড়ি কালুখালী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার দিকে পদ্মা নদীর হরিণবাড়িয়া ঘাট থেকে ২০/২২ জন যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার সাদারচরের উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্রলারটি মাঝ নদীতে গিয়ে ডুবে যায়। এসময় যাত্রীদের অনেকেই সাঁতরিয়ে তীরে ওঠে। নিখোঁজ থাকে সাতজন।

ঘটনাস্থল থেকে কালুখালী থানার ওসি নূরে আলম ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কয়েকটি ট্রলার ও নৌকা দিয়ে পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও কাউকে পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অন্যদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। উদ্ধার তৎপরতা চালাতে রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল রওনা হয়েছেন।

তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান, রতনদিয়া ও কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে ঈদ পূর্ণমিলনী ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

ফতুল্লা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইন চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রায়ের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভা ও ঈদ পর্ণমিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিকাল ৫টায় বক্তাবলীর ব্রীজের পশ্চিম পাশে প্রতিবাদ এই সভা ও ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক পিয়ার হোসেন পিন্টুর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ওমর আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির  সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমজাদ হোসেন, বক্তাবলী ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জলিল সিকদার,৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি রজ্জব আলী ভান্ডারী,ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা মোঃ শাহ জাহান। বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা মোঃ কামাল হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মোঃ আলমগীর হোসেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন জিয়া পরিষদের সভাপতি মোঃ দুলাল হোসেন,ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মোঃ আওলাদ হোসেন, যগ্ম-সম্পাদক মোঃ মান্নান,কার্যকরী সদস্য মোঃ ডালিম,বিএনপি’র নেতা মোঃ রিপন,এলাহী এবং যুবদল নেতা আমান মাল। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মোঃ রাজু আহমেদ,মোঃ মাহমুদুল্লাহ,মোঃ শাহাদাৎ স্বপন,মোঃ পিয়ার আলী, মাসুদ রানা এবং কাউমূর রহমার বিপ্লব প্রমূখ।

নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের আত্মপ্রকাশ

নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাব নামে একটি সাংবাদিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। অনলাই নিউজ পোর্টাল ‘সংবাদ নারায়ণগঞ্জ.কম’র’ এডিটর ইন চীফ সাইফুল্লাহ্ মাহমুদ টিটুকে সভাপতি এবং একই নিউজ পোর্টালের সম্পাদক মহসীন আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্য নির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়। ৩ আগষ্ট বিকেল ৩ টায় নগরীর সেন্ট্রাল চাইনিজ রেষ্ট্রুরেন্টে উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে এক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি পদে দৈনিক অগ্রবানী পত্রিকার সহ-সম্পাদক উত্তম সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক খবরের পাতা পত্রিকার অনলাইন বিভাগের বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান (মামুন), সহ- সম্পাদক পদে দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার ফরিদ আহাম্মেদ বাঁধন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দৈনিক আজকের বানী পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দৈনিক জনতা পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার হাসান মজুমদার বাবলু, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে দৈনিক সোজা-সাপটা পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার শহীদুল্লাহ্ রাসেল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, দপ্তর সম্পাদক পদে সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন, সহ-দপ্তর সম্পাদক পদে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘কুয়াকাটা নিউজ ২৪.কম’র বার্তা সম্পাদক সোহেল আহাম্মেদ, কার্য নির্বাহী সদস্য দৈনিক ভোরের সময় পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার নুরুজ্জামান কাউসার, পাক্ষিক তথ্যপত্র পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম আরজু, দৈনিক খবর প্রতিদিনের ফটো সাংবাদিক মিলন বিশ্বাস হৃদয় ও দৈনিক ডান্ডিবার্তা পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের ফটো সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম।

গাজীপুরে স্টার জলসা দেখতে বাধা দেয়ায় স্বামী খুন, স্ত্রীর যাবজ্জীবন

গাজীপুরে স্টার জলসা দেখতে বাধা দেয়ায় স্ত্রীর ছুরিকাঘাতে স্বামী হত্যার অভিযোগে স্ত্রী নাহিদা আকন্দ ওরফে রিপা আক্তারের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ ৩ আগষ্ট বুধবার দুপুরে গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া এলাকার মো: শাহজাহানের পুত্র সোহরাব হোসেন স্ত্রী নাহিদা আকন্দ ওরফে রিপা আক্তার ও ছয় বছর বয়সী সন্তান নিলয়কে নিয়ে গাজীপুর মহানগরের তেলিপাড়ায় জনৈক মনিরের বাসায় ভাড়া থেকে এয়ারটেল মোবাইল ফোন কম্পানিতে চাকুরী করতেন। সোহরাব হোসেন ওরফে আমির হোসেন পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার পশ্চিম চালাকচর এলাকার বাবু মেম্বারের মেয়ে নাহিদা আকন্দ রিপাকে ২০০৭ সালে বিয়ে করে। তাদের ঘরে নিলয়(৬) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বাদী শাহজাহান মামলায় উল্লেখ করেন, সোহরাব হোসেনের স্ত্রী রিপা আক্তার উশৃক্সখল প্রকৃতির ছিলেন।
ঘটনার দিন রাতে সোহরাব বাসায় ফিরে রিপা আক্তারকে টিভি চ্যানেল স্টার জলসা দেখতে দেখেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারী গাজীপুর মহানগরের তেলিপাড়ার ভাড়া বাসায় স্ত্রী রিপা আক্তারের ছুরিকাঘাতে স্বামী সোহরাব হোসেনের মৃত্যু হয়। এঘটনায় সোহরাবের বাবা শাহজাহান বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আল মামুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক আদালতে ১০জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে বুধবার এ হত্যা মামলার রায়ে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আসামী রিপা আক্তারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। বিচারক একই সাথে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেন।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি মো: হারিছঊদ্দিন আহম্মদ। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবি বেগম রওশন আরা খানম।