২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 255

মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘জঙ্গিদের দমনের নামে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের ওপর নামিয়ে আনা হয়েছে দুঃসহ নিপীড়নের খড়গ। দেশে মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার সকল পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ দেশে এখন বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে।’ জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকেলে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বার্তায় এ তথ্য জানা যায়।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকারের অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু আচরণের প্রতিবাদ করতে গেলেই লেলিয়ে দেওয়া হয় তাদের নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী। এই সরকারের পোষ্য সন্ত্রাসীদের হাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশু ভয়াবহভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। সরকারের নিষ্ঠুর দমননীতির ছোবলে গণতন্ত্রকে করা হয়েছে দেশছাড়া। উত্থান হয়েছে এক দানবীয় উগ্র জঙ্গি শক্তির। যারা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, ব্লগার, শিয়া সম্প্রদায়, পীর, বাউল-সাধক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের ওপর মরণঘাতী হামলা করছে।’

প্রতিদিন কোন না কোন জনপদ রক্তে সিক্ত হচ্ছে। এই উগ্র গোষ্ঠীর কার্যকলাপ নিয়ে সরকারের ভূমিকা এখন রহস্যঘেরা বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি প্রধান।

তিনি বলেন, ‘২৬ জুন জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যময়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে জাতিসমূহ স্বাধীনতা অর্জন করলেও আজও বিশ্বব্যাপী চলছে জাতিগত, বর্ণগত, ভাষাগত এবং ধর্ম ও সম্প্রদায়গত সংঘাত। আর এই সংঘাত ও বিরোধের কারণেই সাধারণ মানুষেরা দেশে দেশে নিষ্ঠুর স্বৈরশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে নিহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করছে, মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর কারাযন্ত্রণা ভোগ করছে। সারা বিশ্ব আজ যান্ত্রিক সভ্যতায় এগিয়ে গেলেও মানবিক সভ্যতা বেশি দূর এগুতে পারেনি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন বন্দি, এখানে ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে বিএনপিসহ বিরোধী দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী গুম, খুন, অপহরণ ও গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যাকে গা-সওয়া করানো হচ্ছে। সাংবাদিক হত্যা এবং অসংখ্য সাংবাদিককে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়াও মত প্রকাশের স্বাধীনতা স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য একের পর এক সংবাদপত্র, টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে বিরোধীদের কণ্ঠ শোনা না যায়।’

জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নির্যাতিত মানুষকে সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মানবিকবোধে উদ্বুদ্ধ বিশ্বের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমেই নিষ্ঠুর নির্যাতনকারী মহল ও স্বৈরশাসককে পরাস্ত করা সম্ভব।’

 

 

 

সরকার বুলেটএবং পাতাল ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিবে

নিউজ প্রতিদিনি ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট দেশের রেল সার্ভিসকে প্রায় বন্ধই করে দিতে বিভিন্ন রুট থেকে রেললাইন পর্যন্ত তারা সরিয়ে ফেলে। ‘সে অবস্থা থেকে ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তার সরকার রেল পুনর্গঠনে উদ্যোগী হয়।’ তার সরকার বুলেট ট্রেন এবং পাতাল ট্রেন চালুর উদ্যোগও গ্রহণ করবে বলে এ সময় প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে প্রধানমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে এই নতুন আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে দ্বিতীয় বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আশাবাদের কথা ব্যক্ত করেন।খবর : বাসস

তিনি এদিন ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি সার্ভিসের বিকল্প হিসেবে নতুন ব্রডগেজ ট্রেন সার্ভিসও চালু করেন। প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, এই ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন বাংলাদেশের যোগাযোগ ক্ষেত্রে এক নবতর অধ্যায়ের সংযোজন। নতুন ট্রেনে করে বাড়ি গিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের মজাটাই আলাদা হবে বলেও এ সময় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী এদিন যান চলাচলের সুবিধার জন্য খিলগাঁও ফ্লাইওভারে স্থানীয় সরকার বিভাগের তৈরি খিলগাঁও ফ্লাইওভারের লুপ খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন এবং কমলাপুর থেকে ফেরার পথে প্রগতি সরণী-বনশ্রী সংযোগ সড়কে নেমে প্রধানমন্ত্রী হাতিরঝিল প্রকল্পের সাউথ ইউ-লুপের ফলক উন্মোচন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।

রেলপথ এবং নদ-নদী বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক এবং দাতাগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব স্বার্থে এই যোগাযোগের সহজ এবং সাশ্রয়ী মাধ্যম দুটিও বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ দেয়।’

তারা বঙ্গবন্ধু সেতুতেও রেললাইন স্থাপনে রাজি ছিল না। কিন্তু তিনি তাদের প্রস্তাবে সাড়া দেননি বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দাতারা অর্থ সহায়তা দেবে, কিন্তু আমাদের ভাল-মন্দ আমাদেরই বুঝতে হবে। তারা কিন্তু বুঝবে না।’

এ প্রসঙ্গে নিজস্ব সিদ্ধান্তে অটল থাকায় এখন বিশ্বব্যাংক বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশ দিয়ে একটি পৃথক রেলসেতু নির্মাণের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই দেশটা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাক। রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য জীবন দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে রেলওয়ের যারা শহীদ হয়েছেন তাদের জন্য স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণেরও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবন্ধী যারা তারা যেন রেলের সুবিধা পেতে পারে সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জন্য কাজ করে এবং কীসে কল্যাণ কীসে উন্নয়ন তা ভালো করে জানে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালে আমরা উচ্চ আয়ের দেশ হবো।’

উদ্বোধন হওয়া নতুন ট্রেন ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে রবিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে। শনিবার ছাড়া এটি নিয়মিত চলাচল করবে। ট্রেনটি সকাল ৭টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম পৌঁছুবে। আবার চট্টগ্রাম থেকে বিকেল ৫টায় ছেড়ে রাত পৌনে ১১টায় ঢাকায় পৌঁছুবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ১৬ বগির বিশেষ ট্রেনটি ৭৪৬ সিটের। ৪ বগিতে আছে ২২০টি আসন, শোভন চেয়ার ৪২০টি এবং এসি বার্থ আসন ৬৬টি। এছাড়া, দু’টি খাবার গাড়ির সঙ্গে ৪০টি আসন রয়েছে।

এলজিআরডির এবং সমবায় মন্ত্রী খন্দোকার মোশাররফ হোসেন, গৃহয়াণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, রেল সচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা মিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন, সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ভারত ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ সহায়তায় নির্মিত ১৬ বগির এই সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি চলাচল করার পথে কেবল বিমানবন্দর রেল স্টেশনে খানিক যাত্রাবিরতি করবে। এটি ৫ ঘন্টা ৪০ মিনিটে ঢাকা থেকে কন্দরনগরী চট্টগ্রামে পৌছবে।

 

একটি গোষ্ঠী এ দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত করতে চায়-এড. আনিসুর রহমান দিপু

স্টাফ রিপোর্টার
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আনিসুর রহমান দিপু বলেছেন, কিছু গোষ্ঠী শান্তির ধর্ম ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্মে পরিনত করতে চায়। ইসলামের নাম ব্যবহার করে নিরিহ মানুষকে হত্যা করে এ দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে চায়। এসব জঙ্গি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গতকাল শনিবার ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে পরিচিত করতে যারা চেষ্টা করছে তাদের সে চেষ্টাকে সফল হতে দেয়া যাবে না। যারা এসব ঘৃনিত কাজের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির আহবান জানান। সাংবাদিকদের সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের দাবি জানিয়ে, দিপু বলেন, সাংবাদিকরা এ সমাজের আয়না। তাদের কাছে মানুষ অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। সমাজের অনিয়মকে সঠিক ভাবে তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
বিশেষ অতিহিসেব বক্তব্যে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল বলেছেন, সাংবাদিকরা এ সমাজের বিবেক, সমাজের অনৈতিক কর্মকান্ড সাংবাদিকদের সঠিক লিখনির মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। সাংবাদিকরা সঠিক তথ্য তুলে ধরলে এ সমাজ থেকে সব ধরনের অপরাধ দ্রুত নির্মূল হবে। সন্ত্রাসী, জঙ্গিদের ব্যাপারে সর্তক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা সব সময় নাশকতা চালাতে তৎপর থাকে। আমরা একটু সর্তক হলে তাদের যে কোন ধরনের অপ-তৎপরতা প্রতিরোধ-প্রতিহত করা সহজ হবে।
ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সভাপতিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ লিটন, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. শরীফুল হক, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার হুমায়ূন কবির, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শরিফউদ্দিন সবুজ, বৈশাখী টিভির জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, আর টিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনিসুজ্জামান অনু, সহ-সভাপতি রুহুল আমিন প্রধান, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এসএম বাবুল, এ আর মিলন,এমএস মতিন, এড, মশিউর রহমান শাহিন, পম আজিজ, রিয়াদ মো. চৌধুরী, রফিক হাসান, আরিফ হোসেন, সহিদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান খোকা, মনির হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, জুয়েল হোসেন, মাসুদ আলী, এড. সুমন মিয়া প্রমুখ ।

কাকে আড়াল করতে এই হত্যাকাণ্ড : ইমরান

জনতার হাতে ধরা পড়া টার্গেট কিলারদের খুন করে সরকার সব প্রমাণ আড়াল করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজের ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইমরান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন‘খুন যেই করুক না কেন, সে খুনি। জঙ্গি করুক, সন্ত্রাসী করুক কিংবা রাষ্ট্র করুক;  সে খুনি। এখানে তবে-কিন্তুর কোনো অবকাশ নেই। একজন  বোধ-বিবেচনা সম্পন্ন মানুষের কোনো খুনই সমর্থনের সুযোগ নেই।

কোনো খুনি কিংবা সন্ত্রাসী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশের ৩০ লক্ষ মানুষ আত্মত্যাগ করেনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে খুনি কিংবা নিপীড়ক রাষ্ট্র নয়। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে পরিষ্কারভাবেই ন্যায়বিচারের কথা বলা হয়েছে।

একজন খুনিকে হত্যার মধ্যদিয়ে সবচেয়ে বেশি অবিচার করা হয় খুন হওয়া মানুষটির স্বজনদের সাথে। কেননা, অপরাধীকে খুনের মাধ্যমে পরিবারটির ন্যায়বিচার পাবার আর কোনো সম্ভাবনাই থাকে না।
হাতেনাতে আটক হওয়া খুনিকে হত্যার আরো গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, এইসব খুনির বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকে এবং ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ হয়। পাশাপাশি এইসব ক্ষেত্রে চলমান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের সুযোগ থাকে। তাহলে প্রশ্ন আসে ঠিক কি কারণে তাহলে এমন অপরাধীকে হত্যা করা হলো?? কাকে আড়াল করতে এই হত্যাকাণ্ড??

একদিকে সরকার নিজ দলীয় সিরিয়াল খুনিদের ফাঁসিসহ সকল সাজা মওকুফ করে দিয়ে জেল থেকে মুক্ত করছে। অন্যদিকে জনতার হাতে ধরা পড়া টার্গেট কিলারদের খুন করে সব প্রমাণ আড়াল করছে। তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? এর নাম কি ন্যায়বিচার? এটাই কি ৩০ লাখ মানুষের রক্তে অর্জিত আমার মুক্তিযুদ্ধের বাংলা

প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতেই ফাহিমকে হত্যা : রিজভী

প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতেই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গোলাম ফয়জুল্লাহ ফাহিমকে (১৯) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ফাহিম জঙ্গি কি না বা তার সঙ্গে আরো কেউ আছে কি না, জিজ্ঞাসাবাদে তা বের হয়ে আসত। তার আগেই তাকে হত্যা করা হলো।

‘জঙ্গিবাদ’ ও ‘আওয়ামী লীগবাদ’ যমজ ভাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুজনেই রক্তারক্তি পছন্দ করে। এ কারণে যেসব হত্যাকাণ্ড হচ্ছে সরকার কোনোরকম বিচার ও তদন্ত করছে না। মানুষকে হয়রানি করছে।

সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, এরপরও কেন রামকৃষ্ণ মিশন ও কুষ্টিয়ায় সেবায়েতকে হুমকি দেওয়া হলো?

রিজভী বলেন, জঙ্গিদের গ্রেফতার করে আইনি প্রক্রিয়ায় না নিয়ে ক্রস-ফায়ার দিয়ে হত্যা করে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করছে সরকার। জঙ্গিবাদের কুয়াশার মধ্যে সরকার নিমজ্জিত।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, বিএনপিসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের জঙ্গি হিসেবে চিহিৃত করাই সরকারের এজেন্ডা।

তিনি বলেন, গ্রেফতার করে জঙ্গি দমন সরকারের উদ্দেশ্য নয়। সরকারের উদ্দেশ্য গণ-গ্রেফতার করে বিএনপি দমন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতকাল (শুক্রবার) যৌথ অভিযান শেষ হয়েছে। তারপরও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, গতকাল (শুক্রবার) থেকে আজ (শনিবার) পর্যন্ত রাজধানীর পল্লবী, ফেনীর সোনাগাজী, খুলনা, বাগেরহাট, নাটোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিএনপির ২৭শ’র বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জঙ্গি দমনের নামে প্রহসনের এক চরম নাটক অনুষ্ঠিত করছে সরকারি লোকেরা। মামলা হচ্ছে, তদন্ত হচ্ছে, কিন্তু কুপিয়ে হত্যাকারী প্রকৃত অপরাধীরা অধরাই থেকে যাচ্ছে। হত্যা রহস্যের কোনো কুল-কিনারাই বের হচ্ছে না। অথচ সরকারি বাহিনী ক্ষুধার্থ নেকড়ের মতো গ্রাম, শহর, নগর, বন্দরে হামলা করেছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা-যারা গ্রেফতার হয়নি তারা দিশেহারা হয়ে প্রাণ ভয়ে অজানা গন্তব্যে পাড়ি জমিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ভোটারবিহীন সরকারের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর ক্র্যাক ডাউন এবং অপপ্রচার চালিয়ে দলটির সমুলে বিনাশ সাধন।

কারণ এর আগেও নানা দেশি-বিদেশি চক্রান্তে দলটিকে নিশ্চিহ্ন করা যায়নি। ভোটারবিহীন সরকারের প্রধান টার্গেট হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সে কারণেই চলমান দেশব্যাপী পুলিশি নির্যাতনের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এই অবৈধ সরকারের আমলে রক্ত আর লাশের উন্নতি ছাড়া আর কোনো উন্নতিই দেশবাসীর চোখে পড়েনি বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, গুম-খুন হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচি। বাংলাদেশের নগর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এক ঝিমধরা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সরকারের উদ্দেশ্য শুভ নয় বলেই তাদের জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান এখন জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারি মহলের সদিচ্ছার ঘাটতি থাকার কারণেই জঙ্গিবাদ দমনের পথে কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

ভোটারবিহীন সরকারকে তার পাপ স্খলনের জন্য সকল অনাচার, উৎপীড়ন, জুলুম-নির্যাতন, পুলিশের বেপরোয়া আচরণ বন্ধ করে মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে অবিলম্বে অবাধ, শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবি করেন রিজভী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার নজরানা হিসেবে ভারতকে ট্রানজিট দিয়েছে। মাত্র ১৯২ টাকা নামমাত্র ভাড়ায় ট্রানজিট দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে দিয়েছে সরকার। যেখানে দেশের চলাচলে অসুবিধা থাকার পরও অন্যদের ট্রানজিট দিয়ে বিপন্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।

প্রকৃত আসামিদের আড়াল করতেই ক্রসফায়ার : খালেদা জিয়া

প্রকৃত আসামিদের আড়াল করতেই ক্রসফায়ার দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

শনিবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, এখন দেশ আছে কী না, সেটাই সন্দেহ। একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সত্যিকার অর্থে কোনো অপরাধীর বিচার হয়নি। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিকে হত্যা করা হলো। তখন অনেক হইচই হলো। বললো, ৪ দিনের মধ্যে হত্যকারীদের ধরে বিচার করা হবে। আজ কয়েকবছর হয়ে গেলো কিছুই হয়নাই।

তিনি বলেন- কেন হয় নাই? এর পেছেনে নিশ্চয় বড় কারণ আছে। কারণ, যদি হত্যাকারীদের ধরা হয় সত্যি বেরিয়ে আসবে। তাদের কাছে (সাগর-রুনি) সরকারের অপকর্ম, চুরি, দুর্নীতির রেকর্ড ছিলো। অনেক তথ্য ছিলো। এসব যেই কম্পিউটারে ছিলো সেটি চুরি করে নিয়ে গেছে। আর কোনো জিনিস চুরি হয়নাই।

সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে পুলিশের সাড়াশি অভিযানের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার জনগণের নির্বাচিত নয়। জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে ধরতে পারবে না। কিন্তু তারা সেই নির্দেশনা মানছে না । এরা আদালতের নির্দেশ মানে না, উল্টো আদালতে আদেশ দেয় কি করতে, হবে না করতে হবে।

দেশে বর্তমান সময়ে কারো কোনো নিরাপত্তা নেই মন্তব্য করে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে যুদ্ধ করেছি, সেটি হারিয়ে গেছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, সবার সমান অধিকার, নিরাপত্তা আজ নেই।

দেশে আজকে যিনি প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসে আছেন, তিনি কি প্রধানমন্ত্রী, না অন্য কোনো মন্ত্রী হিসেবে আছেন? দেশের মানুষ মনে করেন, তিনি নামে প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু তিনি নির্দেশ পালন করেন। তাকে প্রধানমন্ত্রী বলা যায় না।

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধী ধরা পড়লো অথচ রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ক্রসফায়ারে দেয়া হচ্ছে। কারণ আটককৃতরা এমন তথ্য দেয় যার সঙ্গে সরকার জড়িয়ে যায়। তাই ক্রসফায়ার।

দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হতে চলেছে মন্তব্য করে এই অবস্থা থেকে উত্তরণে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, প্রচার সম্পাদক শেখ ফরিদ উদ্দিন, নগর জাগপার সভাপতি আকসাদুর রহমান, জাগপা মজদুরলীগের সভাপতি শেখ জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

এছাড়া নয়াদিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক এ এমএম বাহাউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।

২০ দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মাদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানী, মহাসচিব গোলাম মোস্তাফা ভূঁইয়া, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব,  ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজারুল ইসলাম।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মসলিজের নায়েবে আমির মাওলানা মজিবুর রহামন পেশয়ারী, সাম্যদলের সভাপতি কমরেড সাইদ আহমেদ, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী, পিপলস পার্টির মহাসচিব গরীবে নেওয়াজ প্রমুখ।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল(অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য ১২ হাজার গ্রেপ্তার

হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে সারা দেশে ১২ হাজারের বেশি মানুষকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার রাজধানীর একটি মাদ্রাসায় জমিয়তে উলামায়ে বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অভিযোগ করেন।

বিএনপি নেতা বলেন, দেশে বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজমান। একের পর এক গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এসব ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, জঙ্গি দমনের নামে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় বেছে বেছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করছে। দেশে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে দেশপ্রেমিক সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা আলমগীর বলেন, কয়েকদিন হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন যে বিনা পরোয়ানায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। অথচ তারা এই ১২ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে সম্পূর্ণ বিনা পরোয়ানা। এর মধ্যে তাদের ভাষায় ১৩৫ জন জঙ্গি খুঁজে পেয়েছে। ১২ হাজার মানুষ কারা? তারা ধর্মপ্রাণ মানুষ, ইমান-আকিদায় বিশ্বাস করে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে তাদের বিশেষ অভিযান।

রিমান্ডে থাকা ফাহিম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

মাদানীপুর প্রতিনিদিঃ মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার গোলাম ফায়জুল্লাহ ফাহিম (২০) রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

শনিবার সকাল সাতটার দিকে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিয়ারচর গ্রামে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) সরোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফাহিমের লাশ মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এসপি আরো জানান, শনিবার ভোরে ফাহিমকে নিয়ে রিপন চক্রবর্তী হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিদের ধরতে যায় পুলিশ। এ সময় তাঁর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে ফাহিম নিহত হন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফাহিমকে উপস্থাপন করে ১৫ দিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারিক হাকিম মো. সাইদুর রহমান ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ফাহিমসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মাদারীপুর সদর থানায় হত্যাচেষ্টার একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় নাম উল্লেখ থাকা অন্য আসামিরা হলেন তাকসিন সামলাম ওরফে সামিল (২০), শাহরিয়ার হোসেন পলাশ (২০), মেজবাহ (১৯), রায়হান (২০) ও জাহিন (২০)। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত একাধিক আসামি করা হয়েছে।

গত বুধবার বিকালে মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে কলেজের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর নিজ ভাড়া বাসায় হামলা চালায় তিন দুর্বৃত্ত। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় তারা। পালিয়ে যাওয়ার সময় ফায়জুল্লাহ ফাহিমকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন স্থানীয় লোকজন।

বুদ্ধিজীবীরা শঙ্কিত, সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত-মাহবুবুর রহমান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘দেশের নিরাপত্তার ব্যাপারটি আজ সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেজন্য দেশ নিয়ে যারা চিন্তা করেন তারা আজ শঙ্কিত, আর সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কিত।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলায়তনে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সারাদেশে গুম-খুন-গুপ্তহত্যা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করা হয়।

দেশ কঠিন সময় পার করছে উল্লেখ করে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে আজ পৃথিবীজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তার ব্যাপারটি আজ সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেটা পারিবারিক, ব্যক্তিগত কিংবা জাতীয় যে ধরনের নিরাপত্তাই হোক না কেন। তাই দেশ নিয়ে যারা চিন্তা করেন তারা আজ শঙ্কিত, আর সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কিত।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘গুম-খুন-হত্যা আজ নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, খ্রিস্টান ধর্মযাজকসহ সব ধর্মের লোককে হত্যা করা হচ্ছে। কিন্ত প্রকৃত হত্যাকারীদের না ধরে এসব ঘটনার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করছে সরকার। এতে করে হত্যাকারীরা আরো উৎসাহিত হচ্ছে।’

জেনারেল মাহবুব আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রকৃত হত্যাকারীদের না ধরে বিএনপি-জামায়াতকে এভাবে দোষারোপের ঘটনা অব্যাহত থাকলে ব্লেইম গেইমের আড়ালে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হতে পারে, যেটা কাম্য নয়।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, সাধারণত দুর্বৃত্তরা দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু সরকারই আজ দেশে অরাজকতা তৈরি করছে। দেশে এখন রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে। জঙ্গি দমনে সাঁড়াশি অভিযানের নামে দেশজুড়ে গণগ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০ থেকে ২৫ হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির ৪ থেকে ৫ হাজার নেতা-কর্মী রয়েছে। এতো লোককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে যে, জেলখানা উপচে পড়ছে। সেখানে তিল ধারণের আর জায়গা নেই। এভাবে চলতে পারে না।’

মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘জাতির ক্রান্তিকালে দল-মত-শ্রেণি নির্বিশেষে এখন জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য তৈরি করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারেরও দায়িত্ব রয়েছে। তাদের দায়িত্ব সমস্যা সমাধানে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করা। এ জন্য প্রয়োজনে সম্মিলিতভাবে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে সরকার জাতীয় সংলাপের আয়োজন করতে বাধ্য হয়।’

জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, যুবদলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সম্পাদক কাজী রফিক, জিনাফ সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।

হকার ইস্যুতে শামীম আইভী মুখোমুখি পুলিশ নীরব

রমজান মাসে নগরীর হকার উচ্ছেদ নিয়ে পুলিশ নীরব কারনে ফের মুখোমুখি অবস্থানে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশেন মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভী বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন নগরবাসী! তাদের মতে, সিটি কর্পোরেশনের কথা না বলে পুলিশ যদি প্রথমেই সাংসদ শামীম ওসমানকে বলতো বৃহত্তর জনস্বার্থে তারা ফুটপাতের হকারদের উচ্ছেদ করেছেন তাহলে শামীম ওসমানও সিটি মেয়র আইভীর কাছে ভিক্ষা চাইতেন না বা তাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলতেনও না। এখন হকার উচ্ছেদে আইভীর অস্বীকার আর পুলিশেরও দু’রকমের বক্তব্যে এখন হকার ইস্যুতে রাজনৈতিক মাঠ গরম হওয়ার শংকা রয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে: গত ১ জুন রমজান উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রসাশন, সিটি কর্পোরেশন ও ডিপিডিসির যৌথ উদ্যোগে নগরীর ফুটপাত উচ্ছেদ করা হয়। এরপর থেকে নগরীর ফুটপাতে হকার বসায় কঠোর থাকে পুলিশ। তারপর থেকে অসহায় হকাররা ঈদের পূর্বে পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচার তাগিদে পুনর্বাসনের দাবীতে নারায়ণগঞ্জ-৫ ও ৪ আসনের সাংসদদ্বয়, সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। এরপর গত ১২ জুন জেলা পুলিশ সুপারের বাস ভবনে পুলিশ প্রশাসন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে আসেন সাংসদ শামীম ওসমান। তখন শামীম ওসমান সহকারী পুলিশ সুপার ট্রাফিক বদরুল আলম মোল্লাকে রসিকতার সুরে বলেন, রোজার মধ্যে হকারদের উচ্ছেদ করায় আপনাদের উপড় গরীবের অভিশাপ লাগবে। যদি তাদেরকে উচ্ছেদ করতেই হতো তাহলে রোজার মাসখানেক পূর্বে উচ্ছেদ করা উচিত ছিল। কেননা, সাধারন হকাররা রোজার সময় বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে পণ্য কিনেন। কিন্তু আপনারা তাদের উচ্ছেদ করে ক্ষতি করেছেন। তখন বদরুল আলম মোল্লা সিটি কর্পোরেশনের অনুরোধে হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে জানিয়ে শামীম ওসমানকে হকারদের পুনর্বাসন করে দেয়ার আহবান জানালে প্রতি উত্তরে শামীম ওসমান বলেন, এটি সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব। তবে চেষ্টা করবো তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার। আন্দোলনরত হকাররা শামীম ওসমানের দ্বারস্থ হলেন: গত ১৩ জুন রাত ৯টায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস্ ক্লাবে নারায়ণগঞ্জের কয়েক হাজার ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা শামীম ওসমানের কাছে তাদের পুনর্বাসনের দাবী জানান। তখন সাংসদ সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে মেয়র আইভীকে গরীবের দিকে তাকিয়ে ঈদের জন্য হকারদের পুনর্বাসনের অনুরোধ জানান। সেদিন শামীম ওসমান হকারদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আপনারা আমাকে বলার আগেই আমি একটি জনসভায় সিটি কর্পোরেশনের উদ্দেশ্যে বলেছিলাম, ফুটপাতের হকারদের যদি উঠিয়ে দিতে চান তাহলে দুই মাসের নোটিশ দেন। আমি প্রশাসনকে জিজ্ঞেস করেছি এই সংযমের মাসে আপনারা কিভাবে গরিবের পেটে লাথি দিলেন। তার প্রতি উত্তরে প্রশাসন আমাকে জবাব দিল আমাদের কিছু করার ছিল না। এটা সিটি কর্পোরেশনের কাজ তারা চাইলে আমাদের করতে হয়। সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ করেছে ট্রাফিক জ্যাম কমানোর জন্য কিন্তু ট্রাফিক জ্যাম কমেছে কোথায়? সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলছে ফুটপাত উঠায় দিলে যানজট কমবে তাই লাথি মাইরা তাদের উঠায়। তারপর দিন গত ১৪ জুন আবার রাইফেলস ক্লাবে শামীম ওসমানের দ্বারস্থ হয় ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হকাররা। তখন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাছে হকারদের জন্য অনুরোধের পর এবার দু’হস্তে ভিক্ষা চান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেন, ফুটপাতে ৩ হাজার মানুষের সংসার চলে। ৩৫ হাজার মানুষের পেট চলে এই হকারদের আয়ের টাকায় এবং ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ ফুটপাতের পোশাক পরে জীবিকা নির্বাহ করে। ঈদ পর্যন্ত মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের বসতে দেন। হকারদের জন্য আমি এমপি হয়ে সিটি কর্পোরেশনের কাছে দু’হস্তে ভিক্ষা চাইলাম। কিন্তু ১৫ জুনের মধ্যে যদি হকারদের ফুটপাতে বসতে দেয়া না হয় তাহলে শামীম ওসমান ১৬ জুন নিজে মাঠে নেমে হকারদের বসার সুযোগ করে দেয়ার ঘোষণা দেন। শামীম ওসমান আরো বলেন, আমি জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেছি। পুলিশ সুপার বলেছেন এটা আমাদের বিষয় না। সিটি কর্পোরেশন থেকে বলা হয়েছে হকার উচ্ছেদ করার জন্য। আমরা সেই অনুযায়ী হকারদের উচ্ছেদ করেছি। তিনি সিটি মেয়রকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আইভী হকারদের কোন সময়ই সহ্য করতে পারেন না। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের লোকজন তার নামে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা চাঁদা নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হকার প্রসঙ্গে ভিন্নমত আইভীর: কিন্তু নগরীতে রমজানের পূর্বে ফুটপাতে হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভী। তিনি বলেন, ঈদকে গিরে কেন এখন ফুটপাত উচ্ছেদ করা হচ্ছে তা তার বোধগম্য নয়। তিনি এখন ফুটপাতের হকারদের উচ্ছেদের কথাও বলেননি আবার বসতেও বলেননি। তবে কেন পুলিশ সিটি কর্পোরেশনের অজুহাত দিল: এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের অনুরোধে নয় বৃহত্তর স্বার্থে রমজানের পূর্বে নগরীর ফুটপাত উচ্ছেদ করা হয়েছে। কেননা অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজানে ঈদের কেনাকাটা করতে তিনগুণ মানুষ রাস্তায় বের হয়। তাই তাদের চলাচল নির্বিঘœ করতে আমাদের লোকবল কম থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আপনি একজন সাংসদকে নাকি জানিয়েছেন যে, সিটি মেয়রের অনুরোধে আপনারা ফুটপাত উচ্ছেদ করেছেন। কিন্তু সিটি মেয়র আইভী ফুটপাত উচ্ছেদ বা হকারদের বসার ব্যাপারে কোন ধরনের নির্দেশনা দেননি। তাহলে উচ্ছেদ কি পুলিশ করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, সেদিন পুলিশের পাশাপাশি উচ্ছেদের সময় সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারাও ছিল। জনস্বার্থেই উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবশেষে সাংসদ শামীম ওসমানের আল্টিমেটামের পর বৃহস্পতিবার ফের ফুটপাতে ব্যবসা করার সুযোগ পেলো নারায়ণগঞ্জের ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।