১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 259

আওয়ামী লীগ ইসলামপন্থী মানুষদের জঙ্গি বানিয়ে হয়রানি করছে-রুহুল কবির রিজভী

আওয়ামী লীগ ইসলামের নাম মুছে দিতেই ইসলামপন্থী মানুষদের জঙ্গি বানিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, এই অবৈধ ভোটারবিহীন সরকার হেফাজতের ওপর আক্রমণ করে বহু লোককে হত্যা করেছে এবং কত লোককে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য কৌতুক ও কৌতুহলী ছাড়া আর কিছু না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিএনপির বিরুদ্ধে ইসলামপন্থী দলগুলোকে মাঠে নামার যে আহ্বান জানিয়েছেন, এর প্রেক্ষিতে রিজভী বলেন, ভূতের মুখে রাম নাম। আওয়ামী সরকারের আমলে ইসলামের উপর সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ একটি সুবিধাবাদী দল। প্রধানমন্ত্রী ওআইসি সম্মেলনে গেলেন না। অথচ একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিদেশ গেলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আসলাম চৌধুরী ও মোসাদ নামে কল্পকাহিনী তৈরি করে সরকার প্রচার করে যাচ্ছে। এই ভোটারবিহীন সরকার এদেশের মানুষকে পাগল বা বোবা ভাবেন। তাই জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণদেশ। ভারতের যারা পলিসি মেকার তারা এই ভোটারবিহীন সরকারকে সমর্থন করে যাচ্ছে। সেই দেশের মাটিতে কীভাবে এই সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র হয়।

ইউপি নির্বাচনে অযোগ্যরা পাচ্ছেন ধানের শীষ

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে বিএনপির মনোনয়ন-বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। তৃণমূল নেতাদের পাঠানো তালিকার নাম কেন্দ্রে এসে বদলে যাচ্ছে। কখনও দলীয় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেয়ে যাচ্ছেন মাঠপর্যায়ের নিষ্ক্রিয় ও অযোগ্য নেতারাও। দলীয় নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ চলে যাচ্ছে দলীয় পদ-পদবিবিহীন নেতাদের দখলে। এর পেছনে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন মূল ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

নির্বাচনী মৌসুমে বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা এ সুযোগে চুটিয়ে বাণিজ্য করছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় কিছু নেতাও। সারাদেশে দল বেকায়দায় থাকলেও মনোনয়ন বাণিজ্যে লিপ্ত এসব নেতা এ ব্যাপারে নির্লিপ্ত এবং বেপরোয়া। অন্যদিকে এ নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দিন দিন অসন্তোষ বাড়ছে। বিভিন্ন স্থানে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, সমাবেশসহ বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করছেন তারা। এমনকি দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মারামারির ঘটনাও ঘটে গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়টি এখন রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত রাজনীতি থেকে দুর্নীতিপরায়ণ ও দুর্নীতিগ্রস্তদের বের করা না যাবে ততদিন এ অবস্থা চলতেই থাকবে। দলীয় নেতাদের এ ধরনের কর্মকা-ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না জানতে চাইলে বিএনপির এ নেতা বলেন, দলের দায়িত্বশীল নেতারা মনোনয়ন বাণিজ্যের ব্যাপারে সচেতন। সময়-সুযোগ মতো অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, ‘কিছু এলাকায় এসব ঘটছে বলে শুনেছি। তবে সরাসরি এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। মূলত দলীয় প্রতীক যারা পাননি, তাদের কাছ থেকেই অভিযোগ আসছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ পেলে দল অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।’

পদ-পদবিবিহীন নেতারাও পাচ্ছেন প্রতীক :তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সাংগঠনিক দুর্বলতা ও সরকারি নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে এমনিতেই চলমান ইউপি নির্বাচনে সব জায়গাতেই দলীয় প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি। এরপরও যে কয়েকটি জায়গায় মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে, সেগুলোতেও এ নিয়ে চলছে বাণিজ্য। স্থানীয় নেতারা দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছেন। ফলে অনেক জায়গাতেই দলে পদ-পদবি কিংবা এলাকায় পরিচিতি নেইথ এমন ব্যক্তিরাও ধানের শীষ প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন।

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী মনোয়ন নিয়ে এমন অভিযোগ উঠেছে দলের উত্তর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। গত ৭ মে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপে সন্দ্বীপের সারিকাইত, মাইটভাঙা, মগধরা, গাছুয়া, আমানউল্লাহ ও সন্তোষপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে এই নেতার পছন্দের প্রার্থীরাই মনোনয়ন পান। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ায় নির্বাচনে তারা কেউই বিজয়ী হননি। এমনকি সবার জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন এ প্রসঙ্গে সমকালকে বলেন, ‘দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে উত্তর জেলার নেতা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন। সন্দ্বীপের ছয়টি ইউনিয়নে পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছেন তিনি। ভোটের পর দেখা গেছে, এদের কেউই ২০০ ভোটও পাননি।’

কেন্দ্রে এসে বদলে গেল প্রার্থীর নাম : ২৮ মে অনুষ্ঠেয় পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দীঘলিয়ার প্রার্থী হিসেবে ডা. ইউসুফ আলীর নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এখানে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী করা হয়েছে শেখ রবিউল ইসলাম পলাশকে। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী নেতারা অর্থের বিনিময়ে নাম বদলে দিয়েছেন। জেলার কয়েকজন নেতাও এর সঙ্গে জড়িত।

ডা. ইউসুফ আলী সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, প্রার্থী মনোনয়ন করেছেন তৃণমূল বিএনপির দুই স্তরের টিম। সে অনুযায়ী পঞ্চম ধাপের যে প্রার্থী তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল, সেখানে তার নাম ছিল। অথচ তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম সাগর অভিযোগে বলেন, ‘তিনি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হলেও পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে তার বদলে শাজাহান আলী নামে এক ইউপি সদস্যকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মোমেন তালুকদার খোকা টাকা খেয়ে শাহজাহান আলীকে প্রার্থী করেছেন।’

তবে আবদুল মোমেন তালুকদার খোকা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘সাগর বিএনপির কেউ নন। তিনি যুবলীগের রাজনীতি করেন। তাকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মারামারি :মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগে খোদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে দলের দু’গ্র“পের মধ্যে মারামারির মতো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।

ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠেয় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে কয়েক কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্য ও আত্মীয়করণের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়েই গত ৮ মে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে ভালুকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু ও উপজেলা যুবদল সভাপতি তারেক উল্লাহ চৌধুরীর সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতা মোর্শেদ আলম গ্র“পের সংঘর্ষ হয়। এতে মজিবুর রহমান মজু নামের একজন নেতা আহত হন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মোর্শেদ আলম বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু জনপ্রিয় বর্তমান দলীয় চেয়ারম্যানদের বাদ দিয়ে ইচ্ছামতো তার পছন্দের লোকদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।’

তবে ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভালুকায় কোনো মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে বলে তার জানা নেই। এ নিয়ে ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভালুকার বিএনপি নেতাদের মধ্যে শুধু তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। মারামারি হয়নি।

আওয়ামী লীগ এখন জনবিছিন্ন-নোমান

ক্ষমতাসীন সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন আখ্যা দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন জনবিছিন্ন হয়ে পড়ায় তাদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আজকে দেশে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। এটা জাতীয় সঙ্কট। এমতাবস্থায় জাতীয় স্বার্থে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার আহবান জানান তিনি।

সোমবার এক সভায় তিনি বলেন, কারাগার থেকে নেতাকর্মীদের মুক্ত করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেননা মানুষ চায় পরিবর্তন। ভোটের মাধ্যমে সেই পরিবর্তন করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় জনগণ উন্মুখ হয়ে আছেন। বর্তমানে যে শাসনতন্ত্র বা সংবিধান রয়েছে সেখানে জনগণের অধিকারের কোনো ব্যবস্থা নেই, আইন প্রয়োগের নেই কোনো নির্দেশনা।

রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এই সভা হয়। কলামিস্ট ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পেশাজীবীদের মুক্তি দাবি ও বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার দাবিতে কলম একাডেমি নামক একটি সংগঠন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সংগঠনের সভাপতি মইনুল আহসান মুন্নার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরা, ধানের শীর্ষের সম্পাদক ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থ, বিএনপির সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বর্তমান শাসকদল আওয়ামী লীগ জনবিছিন্ন হয়ে পড়ায় তাদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আজকে দেশে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। এটা জাতীয় সঙ্কট। তাই জাতীয় স্বার্থে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। অন্যথায় অস্থিরতা থেকে শাসক দল আরো বেশি স্বৈরশাসকে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, অপকর্মের জবাবদিহিতার ভয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। তবে কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা বিএনপি নেবে কিনা জানি না, জনগণ এই সরকারের অপশক্তির আক্রমণের জবাব দিবে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট ও কর্তৃত্ববাদী সরকারে পরিণত হওয়ায় দেশে দু:শাসন নেমে এসেছে। কথা বলার কোনো সুযোগ নেই, ভিন্ন মত প্রকাশ করলেই গ্রেফতারি পরোয়ানা, মামলা এবং জেল।

নোমান বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষক। তিনি সঠিক সময়ে ঘোষণা না দিলে সেটা মুক্তিযুদ্ধ নয়, দেশে বিদেশে গৃহযুদ্ধে রুপান্তরিত হতো।

ত্রিমুখী ষড়যন্ত্রে সেলিম ওসমান

স্টাফ রিপোর্টারঃ টেলিফোন করে এমপি সেলিম ওসমানকে বন্দরের পিআর সাত্তার লতিফ হাইস্কুলে ডেকে আনেন দেলোয়ার চেয়ারম্যান। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, স্কুল কমিটি, এলাকার হেফাজত ভোট এই ৩ চক্রের চক্রান্তে পড়ে যান সেলিম ওসমান। ষড়যন্ত্রে পিআর সাত্তার লতিফ হাইস্কুল কমিটি সভাপতি ফারুকুল ইসলাম ও জেলা জাপা সভাপতি আবু জাহেরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সবচেয়ে বেশি। আর তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, জাতীয় পার্টির আরেক নেতার ভাতিজা টগর। যে মাইকে এলাকাবাসীকে ডেকে এনেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেক ব্যক্তি এসব কথা জানিয়েছেন। আর স্কুলে পৌঁছে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত না নিতে পেরে উপস্থিত জনতাকে সামাল দিতেই সেলিম উসমান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে চড় মারেন। ধর্ম অবমাননার বিষয়টি একটি গুজব।

বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এমপি সেলিম ওসমানকে বন্দর ঘটনাস্থলে ডেকে নেওয়ার মিশনে এ দুজনের সঙ্গে সম্প্রতি জাতীয় পার্টিতে যোগদানকারী কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলু প্রধানও জড়িত। সংশিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সেদিন প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে পিটুনিরও মূল নায়ক কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান। স্কুলের মিটিং চলার সময় সভাকক্ষের দরজা খুলে বাইরে থেকে কিছু লোক নিয়ে ঢুকে দেলোয়ার প্রধান। তারাই তাকে পিটুনি দেয়। পরে তারাই বাইরে গিয়ে প্রচার করে শিক্ষক ধর্ম অবমাননা করেছেন। মাইকে এই ঘোষণা দেয়। দেলোয়ার প্রধান এবার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে পুনরায় নির্বাচিত হতে লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী হয়েছেন। সেদিন ধর্মের নামে উন্মত্ত চার-পাঁচ হাজার লোক স্কুল মাঠে জড়ো করতে আবু জাহের ও ফারকুল ইসলামের সঙ্গে দেলোয়ার হোসেন ও এমপি সেলিম ওসমানকে বন্দরে ডেকে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে যোগ দেন। একই ষড়যন্ত্রে এরা তিনজন একত্রিত হলেও তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন ভিন্ন। যেমন স্কুল কমিটি সভাপতি ফারুকের উদ্দেশ্য ছিল, তার ছোটবোন স্কুল শিক্ষক পারভিন আক্তারকে প্রধান শিক্ষক বানানো। এ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন বর্তমান প্রধান শিক্ষককে তাড়ানো। এ কারণে স্কুল সভাপতি ফারুক একটি অজুহাত খুঁজছিলেন। ৮ মে রিফাত নামের এক ছাত্রকে মারধর করায় ফারুক অজুহাত পেয়ে যান। এবার উদ্দেশ্য কার্যকর করতে সে আবু জাহেরের সঙ্গে হাত মেলান। এতে জাপা নেতা আবু জাহেরের স্বার্থ পারভিন আক্তারকে প্রধান শিক্ষক করতে পারলে ভোটপ্রাপ্তি এবং এলাকায় নিরঙ্কুশ প্রভাব প্রতিষ্ঠা হয়। ওদিকে, চার-পাঁচ হাজার ভোটার স্কুল মাঠে উপস্থিত দেখে দেলোয়ার চেয়ারম্যান মনে করেন, এমপি সাহেবকে নদীর এ পারে এনে তাকে দিয়ে যদি হেড মাস্টারকে শায়েস্তা করা যায়। এই লোকগুলো যেহেতু ধর্ম অবমাননার ঘোষণায় সমবেত হয়েছে। তাদের কাছে হেডমাস্টারকে শায়েস্তা করে ধর্ম রক্ষার নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় এবং এই নিয়ে যদি এমপি সাহেব সমবেত জনতাকে আসন্ন নির্বাচনে তাকে ভোট দিতে অনুরোধ করেন, তাহলে তিনি নির্বাচিত হতে পারবেন। মূলত, এ উদ্দেশ্যেই দেলোয়ার প্রধান ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে হাত মেলান।

ইবাদত বন্দেগিতে শবে বরাত পালিত

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রোববার মহিমান্বিত রাত ‘শবে বরাত’ পালিত হয়েছে। সারা দেশে মসজিদে বা ঘরে রাত জেগে ইবাদত বন্দেগি করছেন মুসুল্লিরা। অনেকে দিনের বেলা রোজাও রেখেছিলেন। অনেকে মসজিদের বাইরে বসে থাকা গরিব-অসহায় মানুষদের সহায়তাও করেছেন।

মহিমান্বিত এই রাতে সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহর অনুগ্রহের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন ছিলেন। জীবনের পাপ মার্জনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।

ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি হরেক রকমের হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ উপাদেয় খাবার তৈরি হয়েছে। এসব খাবার বিতরণ করা হয় আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে। সন্ধ্যার পরে অনেকে কবরস্থানে গিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত আপনজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।

শপথ অনুষ্ঠানে মমতার আমন্ত্রণ, শেখ হাসিনার না

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে দ্বিতীয় দফায় শপথ নেবেন মমতা ব্যানার্জি। সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। কিন্তু ওই দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী থাকায় সে অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না তিনি।

তবে, দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি সূত্র বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আসতে না-পারলেও তার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ কোনও সদস্যকে কলকাতার ওই অনুষ্ঠানে পাঠাবেন। গত ১৯ মে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরেছিল মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস।

সে দিন দুপুরেই নিজের বাসভবনে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্য তিনি যে সাংবাদিক সম্মেলন করেন, সেখানেই মিস ব্যানার্জি বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রিত্বের এই মেয়াদে তিনি প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করে তুলতে চান।

অপরাধী কে এমপি সেলিম ওসমান নাকি শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত?

এই মুহুর্তে দেশের প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত এবং সেলিম ওসমান এমপি। শিক্ষককে সেলিম ওসমান চরম অপমান করেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শ্যামল কান্তি।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ চলছে। অনেকে হাস্যকর প্রতিবাদও দেখাচ্ছেন। শ্যামল কান্তি বনাম সেলিম ওসমানের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক খেলাও শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছেন। এখন বিষয়টি তিনি সমাধান করবেন এমন বিশ্বাস অসংখ্য জনতার।

গ্রামে একটি প্রবাদ বাক্য আছে। সেটি হলো বিনা বাতাসে গাছের পাতা নড়ে না। এমপি সেলিম ওসমান যা করেছেন সেটি কেউ সমর্থন করতে পারে না। তবে শিক্ষক শ্যামল কান্তি কী কোনও অপরাধ করেননি? সে বিষয়টি নিয়ে কার কোনও কথা নেই। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করেছেন শ্যামল কান্তি। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, একজন ছাত্রকে তিনি মারধর করেছেন। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করেছেন। চিকিৎসা দিয়েছেন। ছাত্রের মার কাছে দু:খ প্রকাশ করেছেন।

এখন প্রশ্ন হল একজন প্রধান শিক্ষক হয়ে এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করাটা কী অপরাধ নয়? শিক্ষার্থীর অপরাধ সে শিক্ষকের ডাকে সাড়া দিয়ে দাড়াঁয়নি। ছাত্র রিফাত বলেছে সে শুনতে পায়নি তাই দাড়ায়নি।

আমার বিশ্বাস সেলিম ওসমান এমপি না হলে বিষয়টি নিয়ে এভাবে হইচই হত না। সেলিম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চাইবেন না। এখন সমাধান কী হতে পারে? যারা সেলিম ওসমানের বিচার চাইছেন তাদের কেউ আদালতে যেতে পারেন। অপরদিকে শিক্ষার্থীকে মারধর করার অপরাধে শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধেও পাল্টা মামলা করতে পারেন কেউ। আদালতই সিদ্ধান্ত নেবেন।

একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই পারে ওসমান পরিবারের সিদ্ধান্ত নিতে

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ‘একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই পারে ওসমান পরিবারের ব্যাপারের সিদ্ধান্ত নিতে। সারা দেশ শ্যামল কান্তি ভক্তের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এভাবেই দাঁড়াতে হবে।’

আজ শুক্রবার সকালে যশোর প্রেসক্লাবে ‘চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অবসানে সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় শাহরিয়ার কবির এসব কথা বলেন।

শাহরিয়ার কবির বলেন, যশোরের চৌগাছা, অভয়নগরসহ কয়েকটি স্থানে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে পত্রিকায় খবর এসেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক এবং দেশের ভাবমূর্তির বিষয়। এই ঘটনাগুলো সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়গুলোর প্রতিকারের জন্য আলাদা সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও পৃথক সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রণালয় করতে হবে। এ ছাড়া জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনও করতে হবে, যা ভারত, এমনকি পাকিস্তানেও আছে। এগুলো করতে পারলে সংখ্যালঘুরা যেভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, তা চিহ্নিত করে সমাধান করা সম্ভব হবে।’

মতবিনিময় সভায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সম্পাদকম-লীর সদস্য মমতাজ লতিফ, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গণজাগরণ মঞ্চ, যশোরের আহ্বায়ক কাজী আবদুস শহীদ লালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের সভাপতি ডি এম শাহিদুজ্জামান, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দাস রতন, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি ইকবাল কবীর জাহিদ, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সেক্রেটারি গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

মতবিনিময় সভা শেষে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা যশোরের চৌগাছায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে শাহরিয়ার কবির বলেন, মতবিনিময় সভা থেকে পাওয়া তথ্য ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁরা ঢাকায় ফিরে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসবেন।

আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষক শ্যামল কান্তির ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে-তাহরিকে খাতমে নবুওয়্যাত বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই ইসলামকে কটূক্তির বিষয়টি চাপা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশে তাহরিকে খাতমে নবুওয়্যাতসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতারা। তারা বলেছেন, আল্লাহকে কটূক্তি করার সূত্র ধরেই ওই ঘটনার সূত্রপাত। এ কারণে ওই শিক্ষকের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। একই সময়ে শিক্ষককে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ শিক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ না করলে নারায়ণগঞ্জ থেকে হরতাল, অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে।
শুক্রবার দুপুরে জুমআর নামাজের পর শহরের ডিআইটি মসজিদের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে ‘নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মুসলিম জনতা’ ইসলামকে কটূক্তির প্রতিবাদে ওই সমাবেশে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়। পরে একটি মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে জুমআর নামাজের পর থেকেই শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা মিছিল নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে ওই সমাবেশে যোগ দিতে থাকে। দুপুর ২টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত ওই সমাবেশে বৃষ্টির মধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হন।

‘যে ঘটনা নিয়ে সূত্রপাত আমরা ইতোমধ্যে সেই ছেলের (রিফাত) সঙ্গে কথা বলেছি। সে মসজিদে বসে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে যে- ইসলাম নিয়ে ওই শিক্ষক কটূক্তি করেছেন। তাই নারায়ণগঞ্জের মুসলিম জনতা এ ব্যাপারে আর বসে থাকছে না। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের শাস্তি, শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ এবং শিক্ষক পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল না হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে সারাদেশ অচল করে দেওয়া হবে।’

আমি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম-সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে : সংসদ সদস্য পদসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদধারী সেলিম ওসমান সেসব পদে দায়িত্ব পালন না করার ঘোষণা দিয়েছেন।

নারায়গণগঞ্জ পিয়ারা সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের কান ধরে উঠবোস ঘটনাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেলিম ওসমান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ভাল কথা। তিনি তো মন্ত্রী। আমি কিন্তু শিক্ষককে বরখাস্তের কথা বলিনি। বলেছিলাম, তদন্ত করতে। প্রয়োজনে বরখাস্ত করা যেতে পারে। এটা তো কোনো সাংবাদিক ভাইরা লেখেননি। তবে আমি বলে দিচ্ছি, আমি সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য, বিকেএমইর সভাপতি, আরও কিছু ব্যবসায়িক সংগঠনের উচ্চপদে আছি। আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। এই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি সেসব পদে দায়িত্ব পালন করব না। এটাকে বলে পদত্যাগ। আমি পদত্যাগ করলাম। সংসদেও যাব না, যতদিন তদন্ত শেষ না হবে।’

নারায়গণগঞ্জ ক্লাবে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছিল।

সরকারি তদন্ত কমিটি শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় অবমাননার’ অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পায়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সেলিম ওসমান বলেন, তদন্ত কমিটির কেউ তো আমার সঙ্গে কথা বলেনি। শিক্ষামন্ত্রী তো আমার সঙ্গে কথা বলেননি। শিক্ষামন্ত্রী তার মতো করে কথা বলেছেন। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে- ওই শিক্ষক কটূক্তি করেছেন। তিনি নিজে আমার কাছে অপরাধ স্বীকার করেছেন। তার পরিবার আমার কাছে লিখিত দিয়েছে’।