১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 261

হিন্দু মেয়েরা শিবলিঙ্গের পুজা কেন করে?

ওম নমঃ শিবায়ঃ!
যখনই একে শিবপূজার বীজমন্ত্র বলে স্বীকার করে নিচ্ছি আমরা, তার সঙ্গেই দেখা দিচ্ছে একটা মোক্ষম প্রশ্ন।
মন্ত্রে শ্রদ্ধা অর্পণ করছি শিবকে, কিন্তু পূজা অর্পণের মাধ্যম শুধু লিঙ্গ কেন?
প্রশ্নটার উত্তর খোঁজা খুব একটা সহজ কাজ নয়। কেন না, উত্তরগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ধর্ম, পুরাণ কথা, ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব এবং বহু যুগ ধরে প্রবাহিত হওয়া ভারতীয় দর্শন। আর রয়েছে নানা মুনির নানা মত।
সেই সব যুক্তি ছুঁয়ে যেতে যেতে সবার আগে এগোনো যাক পুরাণ পথে। পুরাণ কী বলছে শিবের লিঙ্গ পূজা নিয়ে?
ভৃগু ঋষির অভিশাপ:
পুরাণে আছে, ঋষিরা একদা এক মহাযজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন সরস্বতী নদীর তটে। এখন, যজ্ঞ করলে তার ফল অর্পণ করতে হয় কোনও এক দেবতাকে। ব্রহ্মা, বিষ্ণু না শিব- কাকে অর্পণ করা হবে এই যজ্ঞের ফল, তাই নিয়েই সমস্যায় পড়েন ঋষিরা। তখন তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন ভৃগু। তিন দেবতাকে পরীক্ষা করার জন্য তিনি হাজির হন কৈলাসে।

কৈলাসে গিয়ে ভৃগু দেখেন, শিবের কোলে বসে রয়েছেন পার্বতী। অন্তরঙ্গ অবস্থায় আদিপিতা আর আদিমাতাকে দেখে তিনি লজ্জা পান। কিন্তু, শিবের কোনও বিকার ছিল না। ভৃগুর সামনেই তিনি আদর করছিলেন পার্বতীকে। তখন ক্রুদ্ধ হয়ে অভিশাপ দেন ভৃগু। তাঁর যুক্তি ছিল, মহাযোগী হয়েও শিব যখন কামনা সংযত করেননি, তখন পৃথিবীতে তাঁর লিঙ্গেরই পূজা হওয়া উচিত!
ভৃগুর কথা ব্যর্থ হয়নি। তার পর থেকেই পুরাণ মতে পৃথিবীতে শিবের লিঙ্গ পূজা হয়!

গণপিটুনী থেকে বাঁচাতে হিন্দু শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বস করান-এমপি সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জের এক স্কুল শিক্ষককে ধর্মীয় কটুক্তির অভিযোগে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এমপির উপস্থিতিতে কান ধরে ওঠ-বস করিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে। এরপর ওই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ছাত্রনির্যাতন ও নির্যাতনের সময় ধর্মীয় কটুক্তির অভিযোগে উত্তেজিত জনগণ মারধর করে।

তাদের হাত থেকে বাঁচাতে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিতে বাধ্য হয় বলে জানিয়েছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম।

অবশ্য প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত বিবিসি বাংলার কাছে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তার ওপর নির্যাতনের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন যে, ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন এমন অপবাদ দিয়ে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজনকে ক্ষেপিয়ে তোলা হয়েছিল।

শ্যামল কান্তি ভক্ত বলেন, তিনি স্কুলের এক ছাত্রকে সাজা দিতে গিয়ে মারধোর করেছিলেন। সেই ঘটনাটিকেও তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। বলা হয়, এই ছাত্রকে মারার সময় তিনি ধর্ম সম্পর্কে কটু কথা বলেছেন।

স্কুলের পরিচালনা নিয়ে বিরোধের জের ধরে যারা তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল তারা পুরো ঘটনার পেছনে আছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান এই শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করিয়ে সাজা দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,গণপিটুনী থেকে এই শিক্ষককে বাঁচাতে এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।

রূপগঞ্জে গুলিভর্তি পিস্তলসহ সন্ত্রাসী আটক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় গুলিভর্তি বিদেশি পিস্তলসহ রাজু মিয়া (৩৩) নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৪ মে) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার তারাব পৌরসভার মাসাবো কান্দাপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক রাজু মিয়া উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মাছিমপুর এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, রাজু মিয়া এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন। এ ঘটনায় মামলা শেষে রিমান্ড চেয়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হবে।

যাত্রাবাড়ী ইয়াবাসহ ২ জন গ্রেপ্তার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১১ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দক্ষিণ।

শনিবার (মে ১৪) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশন‍ার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার এ তথ্য জানান।

ডিবি সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকার ধনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ১১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এ সময় ইয়াবাবহনকারী রাকিব ও নূরুজ্জামান নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে যাত্রাবাড়ী থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও ডিবি সূত্রে জানা যায়।

দেশের সংকট সমাধানে নির্বাচিত সরকার দরকার

‘দেশের চলমান সংকট সমাধানে নির্বাচিত সরকার দরকার’ মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে এ জন্য দরকার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিবার্চন ও একটি স্বাধীন নিবার্চন কমিশন।

তিনি এ সময় বিচার বিভাগ ও সংসদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন,দেশে সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি তৈরি হয়েছে।

মির্জা ফখরুল তথ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান উনি কি ধরনের গণতন্ত্র চান।৭৫ সালের কথা কি উনি ভুলে গেছেন। বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের হত্যা করা হচ্ছে। বিএনপি নেত্রীসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া হচ্ছে। এর নাম কি গণতন্ত্র।

শনিবার (মে ১৪) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোট এর শরীক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপার্সন ও জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহার ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নয়ন আগে গণতন্ত্র পরে-আওয়ামী লীগের নতুন এই স্লোগান জনগণ গ্রহণ করবে না জেনেই সেখান থেকে তারা সরে এসেছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, সরকার কী উন্নয়ন করেছে? সাধারণ মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি, উন্নয়ন হয়েছে আপনাদের (ক্ষমতাসীনদের)। আপনারা কোটি কোটি নয়, শত শত কোটি টাকা লুণ্ঠন করে দেশের বাইরে পাঠিয়েছেন।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামনে বর্তমানে যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে সত্যিকার অর্থে সেটি একটি বড় রকমের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। তারা আসলে গণতন্ত্রের লেবাসে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়।

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, বিচার বিভাগ ও সংসদের মধ্যে যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে তাতে সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হয়েছে।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের অধিকারসমূহ ফিরে পেতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চলমান সঙ্কট নিরসনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন। সে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনও প্রয়োজন, যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন-জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ।

ফতুল্লায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থেকে অজ্ঞাতপচিয় এক যুবকের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার নন্দলালপুর বটতলা এলাকার একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবকের পরনে লুঙ্গি ও সাদা টি-শার্ট ছিল।

ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রিপন আলী খান জানান, নিহতের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ভিক্টোরীয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

‘গালিগালাজ’ করা অসুস্থ মানসিকতার পরিচয়

গালি একটি সামাজিক ব্যাধি। গালি দেয়া পাপের কাজ। গালিগালাজ করা কোনো সুস্থ মানসিকতার পরিচয় নয়। ভালো মানুষ কখনো গালি দেয় না। দিতেই পারে না। মুদ্রাদোষ বা অভ্যাসবশত অনেকেই কথায় কথায় গালি দেয়, অনেকেই হাসি-তামাশা ও ঠাট্টাচ্ছলেও অন্যকে গালি দিয়ে বসেÑ এসবের কোনোটিই ঠিক নয়। গালি সম্বন্ধে হজরত রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘এমন দুই ব্যক্তি, যারা একে অপরকে গালমন্দ করল, তখন ওই গালির পাপ সে ব্যক্তির ওপরই পতিত হবে, যে প্রথমে গালি দিয়েছেÑ যে পর্যন্ত না নির্যাতিত ব্যক্তি সীমা অতিক্রম করে।’

এই হাদিসের আলোকে বোঝা যায়Ñ গালির সূচনাকারী ব্যক্তি অত্যাচারী এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি অত্যাচারিত। আর অত্যাচারিত ব্যক্তি ওই পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারে যে পরিমাণ সে নির্যাতিত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে গালি দ্বারা গালির প্রতিশোধ গ্রহণ না করাই উত্তম। অন্যথায় উত্তম ও অধমের প্রভেদ থাকবে না। এতে বোঝা যায় যে, কোনো মন্দ কাজের জবাব ভালো দ্বারা দেয়াই উত্তম। ইসলামের সৌন্দর্য হলো এমন কথা, কাজ ও বিষয় পরিহার করা যা নিরর্থক। অর্থাৎ যেসব কথা, কাজ ও বিষয়ে দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো ফায়দা নেই তা পরিহার করা। গালি দেয়ার ফলে দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো উপকার হয় না বরং ক্ষতিই সাধিত হয়।

অতএব আমাদের উচিতÑ গালির অভ্যাস পরিত্যাগ করা। হজরত রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘কোনো মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকি।’ [বুখারি ও মুসলিম] জিহ্বার সংযত ও পরিমিত ব্যবহার সমাজ, পরিবারে ও রাষ্ট্রে শান্তি আসে। জিহ্বার ব্যবহার প্রসঙ্গে হজরত রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘যখন আদম সন্তান ভোরে ঘুম থেকে উঠে তখন তার অঙ্গসমূহ জিহ্বাকে বিনয়ের সঙ্গে বলে আমাদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় কর। কেননা আমরা তোমার সঙ্গে জড়িত। সুতরাং তুমি ঠিক থাকলে আমরাও ঠিক থাকব। আর তুমি বাঁকা হলে আমরাও বাঁকা হয়ে পড়ব।’ কিন্তু জিহ্বা যেহেতু মনের মুখপাত্র তাই সব অঙ্গের কার্যকলাপ জিহ্বা দ্বারা প্রকাশ পায়। সে জন্য অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, মন্দ কথা, খারাপ উক্তি ও গালি থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। হজরত রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘যে নীরব থেকেছে সে মুক্তি পেয়েছে।’  [তিরমিজি]।

ফাঁসি বাংলাদেশের একান্তই অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, জাতিসংঘে গুরুত্ব পাবে না: সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌস

বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতি ইসলামি নেতাদের মৃত্যুদন্ড- কার্যকর করার বিষয়ে জাতিসংঘের কাছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ও অন্যান্য দেশের কাছে নালিশ জানাতে চায় পাকিস্তান।

শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ। সর্বশেষ মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদন্ড কার্যকরের পর দেশটি বিবৃতি দিলেও এবার এমন তথ্য জানানো হলো।

মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতি ইসলামি নেতাদের মৃত্যুদন্ড- কার্যকর করার বিষয়ে জাতিসংঘের কাছে পাকিস্তানের নালিশের বিষয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌস।

পাকিস্তান বাংলাদেশি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ড- কার্যকরের প্রতিবাদ করে বিষয়টি জাতিসংঘ পর্যন্ত নিয়ে যেতে চায় কিন্তু একটি স্বাধীনদেশের বিপক্ষে আরেকটি দেশের পক্ষ থেকে এই নালিশের কোন কূটনৈতিক গুরুত্ব আছে কিনা এ প্রসঙ্গে নাসিম ফেরদৌস বলেন জাতিসংঘে মানবাধিকার কমিশনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে একদেশ আরেকেেদশর বিরুদ্ধে নালিশ করতে পারে। কিন্তু ফাঁসির বিষয়গুলো বাংলাদেশের একান্তই অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সুতরাং পাকিস্তানের সারতাজ আজিজ যা বলেছেন, কিভাবে বলেছেন এটা খুবই আশ্চর্য লাগছে। কারণ এই বিষয়টাতে তাদের কারো বিরোধিতা করা হয়নি এবং এটা আমাদের প্রচলিত আইনে আদালতের যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে তারই বাস্তবায়ন। এখানে নিজামীর প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ ছিল কিন্তু সে চায় নাই। সুতরাং এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় নাই বলেই আমি বিশ্বাস করি। আমার বিশ্বাস জাতিসংঘ সেই জিনিসটাই তুলে ধরবে এবং এই অভিযোগ গ্রহণ করবে না। তবে বাংলাদেশের এই বিষয়ে আরও অনেক বেশি তৎপর হতে হবে, কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। যাতে পাকিস্তান বিষয়টি একেবারেই উত্থাপন করতে না পারে।

জাতিসংঘের কাছে বিষয়টা কতটা গুরুত্ব পাবে এর উত্তরে নাসিম ফেরদৌস বলেন, জাতিসংঘের কাছে যে কোন দেশ নালিশ করতেই পারে কিন্তু এটা যেহেতু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় সেহেতু জাতিসংঘের কাছে এটা গুরুত্ব পাওয়ার কথা না। আশা করছি সেটা গুরুত্ব পাবে না। পাকিস্তান নালিশ করলেই যে, সেটা গ্রহণ করবে এমন না।

এই বিষয়গুলো দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে কোন দিকে নিয়ে যেতে পারে এ প্রসঙ্গে নাসিম ফেরদৌস বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক আবার বিবেচনা করে দেখা হবে। এই মুহূর্তে সম্পর্ক কোথায় যাবে বলা মুশকিল। তবে আশা করি পাকিস্তান একটু সংযত হবে। যদি এই ধরনের বক্তব্য দিতেই থাকে তাহলে কী হবে সেটা বলা যাচ্ছে না।

প্রতিটি রায়ের পরে বা মৃত্যুদন্ড কার্যকরের পর বারবার বিবৃতি দেয়া হচ্ছে এটা কতটা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে, এর উত্তরে নাসিম ফেরদৌস বলেন, এটা একেবারেই কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। কারণ এটা একেবারেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমার বিশ্বাস পাকিস্তান এটা করছে তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য। এখন তাদের যে অবস্থান ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে তাদের যে প্রতিক্রিয়া হয় সেটা থেকে তারা এটাকে বিকৃত করছে। আমাদের রায় কিন্তু কোন ধর্মের বিরুদ্ধে না বা বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে না। ব্যক্তি বিশেষের উপরে হয়েছে তাদের কর্মকান্ডের কারণে। পাকিস্তানের অবস্থান একেবারে তাদের রাজনৈতিক কারণে।

পাকিস্তানের দাবি, জামায়াত নেতাদের ফাঁসিতে ঝোলানো ১৯৭৪ সালে যে চুক্তি হয়েছিল সেটির লঙ্ঘন। কিন্তু ঐ চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের কোন নাগরিকের অপরাধের বিচারের বিরোধীতা করার সুযোগ আছে কিনা এ প্রসঙ্গে নাসিম ফেরদৌস বলেন, আমি পাকিস্তানি নের্তৃবৃন্দকে বলব চুক্তিটি আবার ভাল করে পড়ে দেখতে। সেখানে কোথাও বলা নেই বাংলাদেশি কোন নাগরিকের বিচার করা যাবে না এবং এই ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের  বিচার কখনও করা যাবে না। কারণ এ ধরনের কোন কথা আন্তর্জাতিক কোন চুক্তিতে থাকতে পারে না। চুক্তিতে যেটা ছিল তাদের ১৯৫ জন অপরাধীকে ফেরত দেয়া হয়েছে। চুক্তিতে তাদেরও যে বিচার করা যাবে না সেটাও বলা নেই। আমি তাদেরকে চুক্তিটি বারবার পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ করব।

বাংলাদেশ ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতিতে যাচ্ছে-জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ

বাংলাদেশের ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বিশ্বসংস্থার উদ্বেগমূলক এই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন মহাসচিব বান কি মুনের ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ। জুলহাস মান্নানসহ ব্লগারদের  হত্যা, বিচারবহিভূত হত্যাকান্ড, সাংবাদিক শফিক রেহমান- শওকত মাহমুদের কারা নির্যাতন, ফাঁসির দন্ড কার্যকর, বাংলাদেশ থেকে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার ইত্যাদি বিষয় উঠে আসে ওই ব্রিফিংয়ে।

বাংলাদেশের সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি  সম্পাদকীয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশের গনতন্ত্র ও বিচারহীন অবস্থার উন্নতিতে জাতিসংঘের ভূমিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডোজারিক জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগের কথা জানিয়ে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সাংবাদিক শফিক রেহমান, শওকত মাহমুদের কারা নির্যাতনের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দন্ড কার্যকরের জের ধরে  তুরস্কের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয় বলে মত দেন তিনি।

ওবামাকে খুন করা উচিত-ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ‘খুন করা উচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক এক পরিচারক। এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।

সাবেক পরিচারক অ্যান্থনি সেনেকাল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মার্কিন সেনাবাহিনীর উচিত ওবামাকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে শত্রুপক্ষের এজেন্টের ভূমিকা পালনের দায়ে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা।’

অ্যান্থনি সেনেকাল ট্রাম্পের পরিচারক হিসেবে ৩০ বছর কাজ করেছেন। তবে ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির তাৎক্ষণিকভাবে এই বক্তব্যের দায় প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্প শিবিরের মুখপাত্র হোপ হিকস বলেন, ‘আমরা এই ধরনের মারাত্মক বক্তব্যের নিন্দা জানাই। অ্যান্থনি সেনেকাল ২০০৯ সালের জুন থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে নেই।’

মুসলিমদের প্রতি ওবামার দুর্বলতা আছে বলে সেনেকাল মনে করেন। এ কারণেই ওবামার প্রতি তাঁর তীব্র ক্ষোভ বলে মনে করা হয়। এর আগে সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনেকাল বলেছিলেন, ‘ওবামাকে হোয়াইট হাউসের সামনে ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত।’ সেনেকাল হোয়াইট হাউসকে ‘হোয়াইট মস্ক’ (সাদা মসজিদ) হিসেবে আখ্যায়িত করেন।