মাদক ব্যবসায়ী শয়তানের ভাই। মাদক,সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের সাথে আমি কখনোই আপোষ করবো না। মাদক সব উন্নয়ন গিলে খেতে চায়। রাজনীতি একটা বিশাল অংক, আর এই অংক আমি বুঝি। চারদিকে শকুনের খেলা শুরু হয়ে গেছে।
আগামী দুই মাস এই খেলা ওরা খেলবে। আমি ভোট চাইনা আমি জনগনের দোয়া চাই। ক্ষমতা দেয়ার মালিক আল্লাহ, নেয়ার মালিকও আল্লাহ। তাই এমপি হতে পারি আর না পারি তাতে দুঃখ নেই। তবে মানুষের ভালবাসা আর দোয়া চাই।
কারণ এমপি, মন্ত্রী হওয়া সহজ কিন্তু মানুষের ভালবাসা পাওয়া কঠিন। আমি সেই ভালবাসাই চাই। সোমবার বিকেলে বক্তাবলী ইউনিয়নের রাধানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পরিচিতি ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আফাজউদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে,অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসিবে উপস্থিত ছিলেন,ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম শওকত আলী,মহানগর আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া প্রমুখ।
শামীম ওসমান তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন,১৯৯৬ সালে যখন নির্বাচন করলাম। তখন বক্তাবলীবলী অঞ্চলে রাস্তাগুলোর বেহাল দশা ছিল। ঐ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বক্তাবলীর রাস্তাঘাটের উন্নয়নের চেষ্টা করেছি।
আ’লীগ সরকারের সময়ই বক্তাবলীতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এতো কাজ করার পরও ২০০১ সালে বক্তাবলী থেকে ভোট পেয়েছি খুবই অল্প। এবার আবার যখন সংসদে গেলাম,গিয়ে প্রথমেই আমি বক্তাবলীর মানুষের পক্ষে জাতীয় সংসদে কথা বলেছি।
তারই ফলশ্রুতিতে বক্তাবলীতে ফেরী আনতে আমি সক্ষমও হয়েছি। বক্তাবলীতে ফেরী দিতে হলে সরকারী কিছু নিয়ম কানুন মানতে হয়। আমি কৌশল করে সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর কাছ থেকে এই ফেরী এনে দিয়েছি। আগামীতে যদি আল্লাহ আমাকে এমপি বানায় তাহলে বক্তাবলীতে সেতু নির্মাণ করা হবে।
আরেক প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন,বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান যখনই আমার কাছে যায়,তিনি শুধু কাজ আর কাজের কথা বলেন। আমার কাছ থেকে তিনি কাজ আদায় করে নেন। বক্তাবলীকে নিয়ে আমার স্বপ্ন অনেক। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধান মন্ত্রী করতে হবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আ’লীগকে শক্তিশালী করতে হবে।
দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। বিএনপি জামাত এখনো ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না,এটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। তবে ষড়যন্ত্র ছিল, ষড়যন্ত্রও থাকবে। কারণ দলের মধ্যে এখনও খন্দকার মোস্তাকরা রয়েছে। সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখতে হবে। শামীম ওসমানের বক্তব্যের পর বক্তাবলীর বেশ কয়েকটি কেন্দ্র কমিটির নেতৃবৃন্দের তালিকা বক্তাবলী ইউনিয়ন আ’লীগ নেতৃবৃন্দ তার হাতে তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান,প্রসন্ননগর গ্রামের প্রবীন আ’লীগ নেতা হযরত আলী মাদবর, মুনসুর আলী মাদবর,সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ভিপি আলমগীর হোসেন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাশফীকুর রহমান শিশির, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নাজির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, আজগর আলী, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান প্রধান, জলিল গাজী, মনির হোসেন,আলহাজ্ব ওমর ফারুক, আব্দুল মতিন, রাসেল চৌধুরী, আকিলউদ্দিন, আমজাদ হোসেন, হাজেরা বেগম, মরিয়ম বেগম, কুলসুম বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান, আলী হোসেন বেপারী, ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম মাস্টার, শফিক মাহমুদ পিন্টু, দেলোয়ার হোসেন,ফতুল্লা থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সদর থানা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এসটি আলমগীর সরকার, আনোয়ার আলী, মো.সিরাজুল ইসলাম, রাসেদুল ইসলাম,বাদল হোসেন ববি প্রমূখ।