৩রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 264

গাড়িতে আলগা স্টিকার নয়: ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া

প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট স্টিকার বাদে গাড়িতে আলগা কোনো স্টিকার লাগানো যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
বুধবার সকালে ডিএমপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অপরাধীরা সংবাদপত্রের, পুলিশের এবং অ্যাডভোকেটের আলগা স্টিকার ব্যবহার করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। তারা আলগা স্টিকার ব্যবহার করছেন, সেটি করা যাবে না। যারা প্রকৃত সাংবাদিক তাদের প্রতিষ্ঠানের লোগোযুক্ত-স্টিকার ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়া রাজধানী ঢাকায় গাড়িতে বেআইনিভাবে হাইড্রোলিক হর্ন যারা ব্যবহার করছেন তাদের সেটি খুলে ফেলতে হবে। নয়তো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপি কমিশনার।

মেরাজের রাতে রাসুল (সা.) কী উপহার পেয়েছিলেন?

ঐতিহাসিকদের ভাষ্য মতেÑ ৬২০ খ্রিস্টাব্দে রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে হজরত রাসুলুল্লাহ সা. আল্লাহ তায়ালার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কাবা শরিফ থেকে বায়তুল মোকাদ্দাস গমন করেন। সেখানে উপস্থিত নবীদের নামাজের ইমামতি করে তিনি ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন এবং সিদরাতুল মুনতাহায় উপস্থিত হন। সেখান থেকে বিশেষ বাহনে চড়ে আরশে আজিমে গিয়ে আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ ও সান্নিধ্য লাভ করেন। এ ঘটনাকে মেরাজ বলা হয়। মেরাজে হজরত রাসুলুল্লাহ সা. জান্নাত, জাহান্নামসহ সৃষ্টিজগতের সবকিছুর রহস্য প্রত্যক্ষ করেন।

মেরাজের রাতে আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে নবীজি  সা. উম্মতের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশসহ ইসলামি সমাজ পরিচালনার বিধিবিধান নিয়ে আসেন। পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নামাজ ইসলামের পাঁচ রুকনের অন্যতম একটি। যেহেতু মেরাজের রাতে মুসলমানদের নামাজের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, এ জন্য নামাজকে ‘মুমিনের মেরাজ’ বলে অভিহিত করা হয়।

মুসলিম শরিফে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. এর বর্ণনায় তিনটি উপহারের কথা উল্লেখ আছেÑ

পাঁচওয়াক্ত নামাজ, ২. সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, ৩. আল্লাহর সঙ্গে শিরক না করলে অন্যান্য গোনাহ মাফ হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কিত ঘোষণা।

মুসলিম শরিফে মেরাজের বিশদ বিবরণ সংবলিত আল বুনানির বর্ণনায় আরেকটি উপহারের উল্লেখ আছে এভাবেÑ যে ব্যক্তি কোনো সৎকর্ম করার মনস্থ করবে, তা বাস্তবায়ন করার আগেই তার জন্য একটি সওয়াব লিখে দেওয়া হবে। আর সে সংকল্প বাস্তবায়ন করলে দেওয়া হবে দশ গুণ সওয়াব। আর যে ব্যক্তি কোনো মন্দ কাজ করার মনস্থ করবে, যতক্ষণ সে কাজটি না করবে ততক্ষণ তার জন্য কোনো গোনাহ লেখা হবে না। যদি সে কাজটি করে বসে, তবে তার জন্য একটি গোনাহ লেখা হবে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়েছে মেরাজের রাতে। এর প্রক্রিয়া ছিল বেশ চমৎকার ও গভীর তাৎপর্যময়। উম্মত দৈনিক পঞ্চাশ বার আল্লাহর সমীপে হাজির হতে পারবে, এই উপহার নিয়ে নবীজি খুশিমনে চলে আসছিলেন আরশ হতে। ষষ্ঠ আসমানে হজরত মুসা আ. পথ আগলে জিজ্ঞেস করলেন, কী পেলেন, কী নিয়ে যাচ্ছেন? নবীজি বললেন, দৈনিক ৫০ ওয়াক্ত নামাজ। হজরত মুসা আ. বললেন, আপনি গিয়ে সংখ্যা কমিয়ে নিন, দৈনিক পঞ্চাশ বেলা নামাজ আদায় করতে পারবে না আপনার উম্মত। মহানবী ফিরে গেলেন আল্লাহর কাছে। বলা হলো, তাহলে পয়তাল্লিশবার। ফিরে আসতে হজরত মুসা আ. আবারও জিজ্ঞেস করলেন। হজরত সা. বললেন, পয়তাল্লিশবার পেয়েছি। তিনি বুঝিয়ে বললেন, আমি বনি ইসরাইলকে নিয়ে অনেক চেষ্টা করেছি, পারিনি। আপনিও পারবেন না, ফিরে যান, কমিয়ে আনুন। এভাবে প্রতিবারে ৫ ওয়াক্ত করে কমানো হলো নামাজ। হজরত মুসা আ. এবারও ফিরে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিলেন। নবীজি বললেন, আমার আর যেতে লজ্জা লাগে। তখন গায়েবিভাবে ঘোষণা আসে, যারা এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে তাদেরকে পঞ্চাশ ওয়াক্তের সওয়াব দেওয়া হবে।

নামাজের মানসিক, নৈতিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত সুফলগুলো বাড়তি পাওনা মাত্র। মেরাজে নাজিলকৃত সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের মহিমাও অপরিসীম। হাদিসে বলা হয়েছেÑ এ হচ্ছে আল্লাহর আরশের নিচের দুটি ভা-ার। প্রথম আয়াতে সব নবী-রাসুলদের আ. প্রতি বিশ্বাস ও সম্মানবোধের সূত্রে বিশ্বসভ্যতার সঙ্গে একাত্মতা আর শেষ আয়াতে মহামহিম আল্লাহর কাছে সমর্পিত ও সমাহিত হওয়ার ঘোষণা।

সৎকর্ম সম্পাদনের আগেই শুধু ভালো চিন্তার বিনিময়ে একটি করে সওয়াব দেওয়ার ঘোষণা উম্মতের জন্য সর্বোচ্চ উপহার। আসলে চিন্তাই মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। যে জাতির প্রতিটি সদস্য সৎ ও ভালো চিন্তায় অভ্যস্ত হবে, সে জাতির উন্নতি কেউ ঠেকাতে পারবে না।

মেরাজের আলোচ্য উপহার আমাদেরকে সেই উন্নতির পথে, আল্লাহর সান্নিধ্যের পানে, পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফার দায়িত্ব পালনের চেতনায় উজ্জীবিত করুক। আমিন।

পাহাড়ে পাকিস্তানি আইএসআই এখনও সক্রিয় : এইচ টি ইমাম

পাহাড়ে এখনও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই অ্যাক্টিভ আছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, আইএসআই ১৯৬৯ সালে পাহাড়ে হান্টিং গ্রাউন্ড স্থাপন করে পাহাড়ি মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থা নেয়। এরপর প্রায় চার যুগ অতিক্রম করলেও কাজের ধরণ পরিবর্তন করে আজও তারা পাহাড়ে বিভেদ সৃষ্টি করে চলেছে।

বুধবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে বিআইআইএসএস আয়োজিত ‘জাতীয় উন্নয়নে ক্ষুদ্র যথাযথ সম্পৃক্তিকরণের ক্ষেত্র তৈরিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, প্রফেনর ড. মেজবা কামাল, মেজর জেনারেল (অব) আব্দুর রশিদ, মেজর জেনারেল (অব) আ. রহমান প্রমুখ।

এইচ টি ইমাম বলেন, কাপ্তাই হাইড্রোলিক পাওয়ার পাম্প প্রতিষ্ঠা করার সময় পাহাড়ী মানুষ তাদের বিরোধিতা করেন। ওই কাপ্তাই হ্রদের ৪৭০ বর্গকিলোমিটার এলাকার বিপুল সংখ্যাক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে যায়। তলিয়ে যায় জনপদ, জীবন-জীবিকা, আবাদী জমি এবং মনুষ্যত্ব। এই সব প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য আইএসআই- আর্মি পাহাড়িদের বিরুদ্ধে অ্যাক্টিভ ছিল। উদ্বাস্তু এই সব মানুষ শেষ পর্যন্ত ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা-পূর্ব আইএসআই পাহাড়িদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতো। এখন আইএসআই অপতৎপরতার ধরণ বদলেছে। তারা পাহাড়িতে বিভেদ সৃষ্টি, পাহাড়ি-বাঙালি দ্বন্দ্ব তৈরি এবং স্থানীয় রাজনীতিকদের প্রভাবিত করে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় কর্য়া। স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকা-কে উৎসাহিত করে। এ জন্য তারা প্রশিক্ষণদেয়, অর্থ ব্যয় করে। সরকারি কর্মকর্তা, বনরক্ষীসহ বিভিন্ন মাধ্যমে খবর আসে।

পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা দেশের বাইরেও আত্মপরিচয়সহ নানা অজুহাতে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ কারণে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন নামে, পরিচয়ে পাহাড়িদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত তৈরি করে। সূত্র-আমাদের সময়.কম

বাবার গুনাবলী পায়নি জয় : রিজভী আহমেদ

সজীব ওয়াজেদ জয় তার বাবার গুনাবলী পায়নি। তার আচার আচরণের মধ্যে সংস্কৃতির ঘাটতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। খালেদা জিয়া সম্পর্কে জয়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে আমাদের অর্থনীতির কার্যালয়ে নিয়মিত বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, শফিক রেহমানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে সরকার বিএনপিকে ভয় দেখাতে চায়। ৮২ বছর বয়সের শফিক রেহমানকে ছাড়ি নাই এতএব তোমরা সাবধান হও। এই ম্যাসেজটাই সরকার দিতে চেয়েছে। আর এটা দিয়েই গণতন্ত্রকে হরণ করেছে সরকার।

ফেসবুক স্ট্যাটাস সজীব ওয়াজেদ জয় গতকাল রোববার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।’

গতকালের স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় উল্লেখ করেন, ‘একজন মহিলা যিনি এতিমের টাকা চুরি করেছেন, যার ছেলে দুর্নীতির কারণে এফবি আই কর্তৃক পলাতক আসামি, তার মতো লোকের অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রের দিকে কাদা ছোড়া উচিত নয়।’ স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।’

গত শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাংক হিসাবে আড়াই হাজার কোটি টাকা (তিন’শ মিলিয়ন ডলার) জমা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি মামলার নথিতে এটি আছে বলেও দাবি করেন খালেদা জিয়া।

সজীব ওয়াজেদ জয় আরও বলেন, ‘আপনার পোষা ভৃত্য মাহমুদুর রহমান এবং শফিক রেহমান এফবি আই এর গোপন নথি চুরি করে আমার সব ব্যাংক হিসাবের তালিকা পেয়েছে, কিন্তু সেই টাকা খুঁজে পায়নি। ১/১১ এর সামরিক শাসকেরা যারা আমার মাকে আটক করেছিল তারাও সেটি খুঁজে পায়নি। এমনকি এফবিআই সেটি পায়নি। এটা এ জন্য যে, আমি ৩০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছিও কোনো সম্পদ কোনো দিন অর্জন করিনি। আমি তত ধনী নই।’ সূত্র-আমাদের সময়.কম

নীলফামারীতে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার

নীলফামারীর ডোমারে পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ শিশু আর্নিকা আক্তারের (৯) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে রংপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরীর দল।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের উত্তর হরিনচড়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আজহারুল ইসলামের পুকুর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

আর্নিকা ডোমার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড ভাটিয়াপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের মেয়ে এবং ছোটরাউতা জলপাখুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

জানা যায়, দুপুরে আর্নিকাসহ দুইজন পুকুরে মাছ ধরতে আসে। এরপর সে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোজাখুঁজি করে না পেয়ে পুকুরে পড়তে পারে ভেবে ডোমার ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

ডোমার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ভূপেন্দ্র নাথ বর্মন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীর দলের সহযোগীতায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।সূত্র-জাস্ট নিউজ

আবারো জনসন এন্ড জনসনের জরিমানা

জনসন এন্ড জনসনের (জেএন্ডজে) তৈরি ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করায় জরায়ুর ক্যান্সার হয়েছে বলে অভিযোগ করা এক নারীকে ৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ ও জরিমানা দেয়ার জন্য জেএন্ডজে-কে নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন এক আদালত। তিন সপ্তাহ ধরে বিচার কার্যক্রম চলার পর সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের আদালত এ রায় দেয়।

এর আগে একই আদালত জরায়ুর ক্যান্সারে মারা যাওয়া এক নারীর পরিবারের মামলার রায়ে ওই পরিবারকে ৭ কোটি ২০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ ও জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছিল জেএন্ডজেকে। ওই নারীও জেএন্ডজে-র ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতেন।

জেএন্ডজে-এর উৎপাদিত ট্যালক-ভিত্তিক পণ্যগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, তাদের পণ্যে এমন সতর্কতা যুক্ত না করায় কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রায় ১,২০০ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর প্রথমটিতে হারার পর দ্বিতীয়টিতেও সরাসরি দোষী সাব্যস্ত হল কোম্পানিটি। আদালত ভুক্তভোগী গ্লোরিয়া রিস্টেসান্ডকে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ ও ৫০ লাখ ডলার জরিমানা দেয়ার জন্য জেএন্ডজে-কে নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে জেএন্ডজে।

রিস্টেসান্ড জানিয়েছেন, কয়েক দশক ধরে তিনি তার যৌনাঙ্গে জেএন্ডজে-র ট্যালক-ভিত্তিক পাউডার ব্যবহার করতেন, এগুলোর মধ্যে বহুল পরিচিত বেবি পাউডার এবং ‘শাওয়ার টু শাওয়ার’ পাউডার রয়েছে। রিস্টেসান্ডের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, রিস্টেসান্ডের জরায়ুর ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং সার্জারির মাধ্যমে তার জরায়ু অপসারণ করার পর ক্যান্সার সেরে যায়।

জেএন্ডজে এর মুখপাত্র ক্যারল গুডরিচ বলেছেন, কসমেটিক ট্যালকের সুরক্ষা নিয়ে করা ৩০ বছরের গবেষণা ফলাফলের বিরোধিতা করছেন বাদী। রায়ের বিরুদ্ধে তাদের কোম্পানি আপিল করবে এবং নিজেদের পণ্য ব্যবহারে কোনো ঝুঁকি নেই এটি প্রমাণ করবে। রয়টার্স।

জয়ের চ্যালেঞ্জে বেকায়দায় খালেদা জিয়া

অপপ্রচার চালাতে কোন রকম তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ডলার পাচারের কথা তুলে চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়লেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে পুরো বিএনপি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা জয়কে হত্যা চেষ্টার মামলায় বিএনপিপন্থী সাংবাদিক শফিক রেহমান ফেঁসে যাওয়ার পর প্রশ্নের মুখে পড়া খালেদা জিয়া কৌশলে জয়কে জড়িয়ে অর্থপাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু এবার সেই টাকার খোঁজ দিতে খালেদার কাছেই দাবি তুলেছেন জয়। স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ‘ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।’

খালেদা জিয়ার কাছে জয়ের স্পষ্ট এ দাবিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ প্রত্যেকেই বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অবশ্যই এখন তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে হবে। এটা তার জন্য এখন চ্যালেঞ্জ। নিজের পরিচ্ছন্ন অবস্থানের জন্য সাধারণ মানুষ জয়কে অভিনন্দন জানালেও খালেদা জিয়াকে নিজের অবস্থান পরিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির অন্যান্য নেতা বিশেষত চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জয়কে জড়িয়ে অর্থপাচারের কাহিনী প্রচারের কারণ মূলত সাংবাদিক শফিক রেহমানের আটক ও তার মাধ্যমে দলের একের পর এক গোমর ফাঁস হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক। শফিক রেহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার বাড়িতে অভিযানের পর এফবি আইয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ, জয়ের নানা তথ্যসহ একের পর এক অপরাধের প্রমাণ বেরিয়ে আসছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই বড় ধরনের সঙ্কটে পড়ার ভয় ঢুকে গেছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে। দলটির নেতারা সন্দেহ করছেন, যে কোন সময় তাদের দলের অন্য অনেকে জড়িয়ে পড়তে পারেন। খোদ খালেদাপুত্র তারেক রহমানের জড়িত থাকার চিন্তায় উদ্বিগ্ন দলটির নেতারা। এমন এক পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই খালেদা জিয়া বলে বসলেন, প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের একটি এ্যাকাউন্টেই আড়াই হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন ডলার জমা আছে। এক সপ্তাহে অন্তত দু’বার এ কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। কেবল তাই নয়, এ কাজে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মামলার নথির কথাও যুক্ত করেছেন কোন তথ্যপ্রমাণ ছাড়া। খালেদা জিয়া জয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তোলেন।

জয়কে প্রাণনাশের চক্রান্তের মামলায় শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সভায় খালেদা জিয়া বলেন, সেই মামলার নথিতেই আছে প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের একটি এ্যাকাউন্টেই আড়াই হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন ডলার জমা আছে। এই টাকা কোথা থেকে গেছে? এই টাকার উৎস কী? জয়ের বিষয়ে তথ্য পেতে এফবি আইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে এ কথা বলেন খালেদা জিয়া। ওই মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে সিজারের কারাদ-ের পর বাংলাদেশ পুলিশ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ঢাকায় মামলা কওে, যে মামলায় আটক হন শফিক রেহমান।

শনিবারের বক্তব্যের পর রবিবার একই বিষয়ে কথা বলেন খালেদা জিয়া। রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মে দিবসের সমাবেশে খালেদা জিয়া কথিত ৩০ কোটি ডলার নিয়ে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান। সমাবেশ মঞ্চে টাঙানো শফিক রেহমানের মুক্তির দাবিতে পোস্টার দেখিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, শফিক রেহমান কোন রাজনীতি করেন না। তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো কেন? তার দোষটা কী ছিল? দোষটা ছিল- প্রধানমন্ত্রীর পুত্রৃ কী যেন নাম? উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা এ সময় ‘চোর চোর’, ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে আওয়াজ দিতে থাকেন।

খালেদা বলেন, আদালত তার (সজীব ওয়াজেদ জয়) এ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার, আড়াই হাজার কোটি টাকা নিয়ে সন্দেহ করেছে। এফবি আই এই টাকা তদন্ত করে পেয়েছে। এখানে শফিক রেহমানের দোষটা কোথায়? তাকে গ্রেফতার করে এখন নাটক চলছে। শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করে খালেদা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি তাদের যদি মুক্তি না দেন, আপনি যদি সত্যি সত্যি দেশের মানুষের প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকেন, তাহলে এই যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ আড়াই হাজার কোটি টাকা আপনার ছেলে জয় কোথা থেকে পেল, তাকে ভেতরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। ওই অর্থগুলো কি বৈধ? এই ঘটনা ‘চাপা দেয়া যাবে না’ বলেও আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ার করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।

তবে একতরফাভাবে একের পর এক অভিযোগ তোলায় এবার ঠিকই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ফেসবুক স্ট্যাটাসে খালেদা জিয়ার কাছেই কথিত ওই অর্থের উৎস বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছেন জয়। খালেদা জিয়াকে ‘চোর ও মিথ্যাবাদী’ আখ্যায়িত করে তিনি রবিবার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একজন মহিলা, যিনি এতিমের টাকা চুরি করেছেন, যার ছেলে দুর্নীতির কারণে এফবি আই কর্তৃক পলাতক আসামি, তার মতো লোকের অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর নাতির দিকে কাদা ছোড়া উচিত নয়।’ কোন ধরনের দুর্নীতিতে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় বলেছেন, ‘আপনার (খালেদা) পোষা ভৃত্য মাহমুদুর রহমান এবং শফিক রেহমান এফবি আইয়ের গোপন নথি চুরি করে আমার সব ব্যাংক হিসাবের তালিকা পেয়েছে, কিন্তু সেই টাকা খুঁজে পায়নি। ১/১১-এর সামরিক শাসকরা যারা আমার মাকে আটক করেছিল, তারাও সেটি খুঁজে পায়নি। এমনকি এফবি আই সেটি পায়নি। এটা এজন্য যে, আমি ৩০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছিও কোন সম্পদ কোনদিন অর্জন করিনি। আমি তত ধনী নই।’

এদিকে খালেদা জিয়ার কাছে জয়ের স্পষ্ট এ দাবিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতেই অন্যকে অপবাদ দিচ্ছেন। পেট্রোলবোমা বাহিনীর নেত্রী (খালেদা) হরর মুভির নায়িকাকেও হার মানিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা মেরেছেন। হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পর পর পাঁচবার চাম্পিয়ন হয়েছে। এমনকি এতিমের টাকা চুরির অভিযোগে তার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে মামলা চলছে। নিজের, নিজের পুত্রের এবং দলের দুর্নীতি আড়াল করার জন্য জাতির সঙ্গে মশকরা করেছেন খালেদা জিয়া। তাই খালেদাকে বলব কথাবার্তা সাবধানের সঙ্গে বলবেন। নিজেদের দুর্নীতি ঢাকার জন্য অন্যকে অপবাদ দেবেন না। সূত্র-জনকণ্ঠ

সরকারি টাকায় বিলাসিতা: হরিলুটের হিসাব চাইলো সংসদীয় কমিটি

যানবাহন ক্রয় ও মেরামতের নামে হরিলুট এবং কাজে-অকাজে ঘন ঘন বিদেশ সফর করে সরকারি টাকা অপচয় করছেন কর্মকর্তারা। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।

বৈঠকে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কমিটির সদস্যরা। পরে বিগত ২ বছরে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কোন কোন কর্মকর্তা কতবার বিদেশ সফরে গেছেন তার তালিকা আগামী বৈঠকে জমা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তরের বিভিন্ন যানবাহনের তালিকা (ব্যবহৃত কর্মকর্তা/কর্মস্থল) প্রস্তুতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তালুকদার আব্দুল খালেক, বি.এম মোজাম্মেল হক, আবদুর রহমান বদি, মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল ও হেপী বড়ালসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সংসদ সচিবালয় জানায়, কমিটি ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিটি দুর্যোগকালীন প্রয়োজনীয় মুহূর্তে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের সুপারিশ করেছে।

বৈঠকে ব্রিজ/কালভার্ট প্রকল্পের আওতায় দেশের সব এলাকায় সুষমভাবে বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়। এসময় নাটোরের সবচেয়ে নীচু এলাকাগুলোকে বিশেষ বরাদ্দের আওতায় আনতে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উক্ত এলাকায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিন বরাদ্দের জন্য বলা হয়।

কমিটি এমপিদের বিশেষ বরাদ্দ সমানভাবে প্রদানের সুপারিশ করে। তবে বাস্তবতার নিরিখে প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষ বরাদ্দ বাড়ানো যেতে পারে বলেও মত দিয়েছে কমিটি। মহিলা এমপিদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বৈঠকে বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে টিআর/কাবিখা বরাদ্দ প্রদান অথবা সমপরিমাণ অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। সূত্রঃ বাংলামেইল ২৪ ডট কম

ভারতে যৌন নিপীড়ন রুখতে ‘প্যানিক বাটন’ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে

ভারতে মোবাইল ফোন সেটে প্যানিক বাটন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আগামী বছর থেকে ভারতের সব মোবাইল ফোন সেটে ‘প্যানিক বাটন’ নামে একটি বিশেষ বাটন রাখা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, নারীর প্রতি দেশে ক্রমবর্ধমান যৌন নিপীড়নসহ ধর্ষণ প্রতিরোধেই এই ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার দেশটির টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বাটনটি জরুরি সেবা পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে। মোবাইলের প্যানিক বাটনটি চেপেই নারীরা জরুরি সেবার জন্য ফোন করতে পারবেন।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘২০১৭ সালের ১ জানুয়ারিতে প্যানিক বাটন ছাড়া কোনও মোবাইল ফোন সেট ভারতের বিক্রি করা যাবে না।’

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মোবাইল ফোনে ইনবিল্ট জিপিএসও বাধ্যতামূলক করা হবে। সোমবার রাতে দেশটির টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ জানান, প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে উন্নত করার জন্য। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের চেয়ে আরও ভালো কী হতে পারে।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

ইসলামে নারীর সাজ-সজ্জা

ইসলাম নারীকে সাজসজ্জা গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে সাজসজ্জা গ্রহণ করাকে একটি সওয়াবের কাজ বলেও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। স্বামীর উদ্দেশ্যে সাজসজ্জায় থাকার জন্য স্ত্রীর প্রতি ইসলামের নির্দেশ রয়েছে। বর্তমানে নারীদের অবস্থা হলো, স্বামীর সামনে তারা সাধারণ ঘরোয়া কাপড়-চোপড় পরে থাকে। আর বাইরে বেড়াতে যাওয়ার সময় আপাদমস্তক সুসজ্জিত হয়ে যায়। কেউ স্বামীর উদ্দেশ্যে সাজ-সজ্জা গ্রহণ করলে সমালোচনা শুরু হয়ে যায় যে, মেয়েটির লাজ-লজ্জা বলতে কিছুই নেই- স্বামীর সামনে সে কেমন রূপচর্চা করছে!

একজন নারী স্বামীসহ ঐ সকল পুরুষের সামনে সাজ্জ-সজ্জা প্রকাশ করতে পারবে যাদের সঙ্গে মেয়ে লোকের বিয়ে চিরস্থায়ীভাবে হারাম। তাদের তালিকা হচ্ছে: নিজ বাবা, ভাই, ছেলে, ছেলের ছেলে, শ্বশুর ইত্যাদি। তবে শর্ত হলো, ওই ব্যক্তিকে আমানতদার হতে হবে যিনি আল্লাকে ভয় করেন। সে যদি ফাসিক ও গুনাহগার হয় তাদের সামনে সৌন্দর্য প্রকাশ করা জায়েয নেই, সেটা নিজ ভাই হলেও না। অনুরূপভাবে নারীরা অমুসলিম মহিলাদের সামনে সৌন্দর্য প্রকাশের বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। পবিত্র কুরআনের নি¤েœাক্ত বাণীটি তার সু¯পষ্ট প্রমাণ। আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, ‘তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর. পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভ্রাতু®পুত্র, ভাগিনা, স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্ত দাসী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ স¤পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত অন্য কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। [সূরা আন-নূর: ৩১]

একজন নারী আয়াতে বর্ণিত সকল লোক ব্যতীত অন্যদের সামনে সুসজ্জিতাবস্থায় যতবারই আসুক ততবারই তাদের গুণাহ হবে। বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু মূসা আল আশয়ারী (রা.) থেকেও এ মর্মে একটি হাদীস বর্ণিত আছে। রাসুল (সা.)বলেছেন, ‘প্রত্যেক চোখ যেনা করে। মেয়েলোক যখন সুগন্ধি মেখে কোন মজলিসের পাশ অতিক্রম করে, সেও যেনাকারিণী। (আবু দাউদ ও তিরমিযী) এর অর্থ হলো, সে যেনার প্রতি আহ্বানকারিণী। এধরণের কাজের কারণে সে গুনাহগার হিসেবে সাব্যস্ত হবে। হাদীসে উল্লিখিত চোখ যেনা করে এর অর্থ হলো, স্ত্রীদের নিষিদ্ধ সতরের দিকে তাকানো গুনাহ। কেননা, হারাম দৃষ্টি যেনার কারণ এবং যৌন কামনা সৃষ্টির উপায়। ইবনু খুযাইমা বর্ণিত আরো একটি হাদীস উপরোক্ত বিষয়টির ভয়াবহতার প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ সে স্ত্রীলোকের নামাজ কবুল করেন না, যে সুগন্ধি মেখে তার ঘ্রাণ বাতাসে ছড়িয়ে মসজিদের উদ্দেশে বের হয়, যে পর্যন্ত না সে ঘরে ফিরে আসে ও গোসল করে। (আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ) এটা হলো, সুগন্ধি নিয়ে মসজিদে যাওয়ার পরিণতি। কিন্তু যে নারীরা সুঘ্রাণ ছড়িয়ে খোলামেলা পুরুষের মজলিসে কিংবা অনুষ্ঠান অথবা তাদের ক্লাব ও অন্য লোকের ঘরে যায়, তাদের অবস্থা সহজেই অনুমেয়।