১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১লা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 126

ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউপির ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ শুরু

মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরীব দুঃস্থ অসহায় জনসাধারনের মাঝে  ১৩ আগষ্ট সোমবার সকালে এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ শুরু।  এবার  ৩ হাজার ৫শ ৩৮ কার্ডের বিপরীতে জনপ্রতি ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

এনায়েতনগর ইউপির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সালমা ওসমান লিপি,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা, উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। আরো উপস্থিত ছিলেন এনায়েতনগর ইউপির সচিব মোঃ দিদার সোহেন, প্যানেল চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন,২নং ওয়ার্ডের সদস্য আক্তার হোসেন,৪ং ওয়ার্ড সদস্য আঃ বাতেন, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য আতাউর রহমান প্রধাণ, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য কামরুল হাসান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আসমা আক্তার,সাজেদা বেগম ও রোজিনা আক্তার প্রমূখ।

বক্তাবলীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রহিম বাদশা,স্ত্রী ও শালিকাসহ গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রহিম বাদশাকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এসময় তার হেফাজত থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যে রহিম বাদশার স্ত্রী জয়নব ও শালিকাকে আটক করা হয়।

শনিবার (১১ আগস্ট) রাতে বক্তাবলীর রামনগর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

রহিম বাদশাকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো: মঞ্জুর কাদের।

তিনি জানান, রহিম বাদশার কাছ থেকে প্রায় হাজার দু’য়েক ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ওর (রহিম বাদশা) দেয়া তথ্য অনুযায়ী ওর স্ত্রীর কাছেও ইয়াবা রয়েছে। এজন্য ওর স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইয়াবা উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত আছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

বক্তাবলীর ইউপিতে বিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ শুরু

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :১২ই আগষ্ট রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের বিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ।

এবার ২ হাজার কার্ডের বিপরীতে জনপ্রতি ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

টেটাঁ যুদ্ধে উত্তাল বক্তাবলীর আকবর নগর, থানায় দুই মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী এলাকার  আকবর নগর গ্রামে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামেদ আলী বাহিনীর সাথে রহিম হাজীর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় সামেদ আলীর বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হলো ২ টি । আর অপর দিকে, সামেদ আলীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করেছে স্ত্রী রহিম হাজী বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই দুই পরিবারের মারামারি ও বিবাদের নেপথ্যে রয়েছে ঢাকা জেলা দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন জাজিরার ভূমিদস্যু আবুল কাশেম ওরফে নেতা কাশেম এমনটাই বলছে আকবর নগর ও জাজিরার জন সাধারন।

মামলা সূত্রে জানাযায়, ঢাকা জেলার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ পূর্ব জাজিরা এলাকার ফাতেমার স্বামী জয়নাল আবেদীন মন্ডল । সে মাটি কাটার কন্টেক্টরী করে আসছে। তার কাছে ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী আকবর নগর এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদস্যু সমেদ আলী ও তার পরিবার ১০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে আসছে। দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে গত ৯ আগষ্ট সন্ধ্যায় জয়নাল ও তার লোকজন নিয়ে রহিম হাজী ইট খোলায় টলার যোগে যায়। এসময় সমেদ আলী ও তার ছেলে রাজিব(২৬), সজীব (২২), গনি (৩৬০ সহ ২০/২৫জন মিলে জয়নালসহ তার লোকজনকে মারপিট করে। এসময় এরাও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দেয়। একপর্যায় সামেদ আলীর লোকজন জয়নালের কপালে টেটা বিদ্ধ করে । এরপর সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে নিয়ে সে আহত গত ১০ আগষ্ট ভোর সাড়ে ৪টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষনা দেয়। এপর মরহুম জয়নাল আবেদীন মন্ডলের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ১১ আগষ্ট ফতুল্লা মডেল থানায় সামেদ আলীসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং- ৪৯(৮)১৮।

অপর মামলাটি করেছে সেলিনা বেগম বাদী হয়ে। তার মামলা বিবরনীতে জানাযায়, ফতুল্লার বক্তাবলী আকবর নগর এলাকার আবুল হোসেন (৫৫)। তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৫)। তিনি জানান, তার গ্রামের সমেদ আলী ও রহিম হাজীর পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব শত্রতার বিরোধের জের ধরে গত ৯ আগষ্ট বিকেল সাড়ে টায় তারা উভয়ইর সন্তান ও ভাই ভাতিজা নিয়ে কথা কাটিকাটি ও মারা মারি হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফুলু মাদবরের বাড়িতে টুকে সামেদ আলীর ছেলে রাজিব ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা মিলে মাদবরের ছেলে নবীসহ ৭/৮ জনকে তারা টেটা বিদ্ধ করে। একপর্যায় রাত সাড়ে আটটায় আবুল হোসেনের স্ত্রী তার ছোট ছেলে শামীম কে ঘুম পড়িয়ে সে নামাজে দাড়ায়। এমন সময় সে দেখতে পায় তার বাঁশের মুলি বেড়াতে আগুন জ্বলছে। এরপর সে চিৎকার দিয়ে তার ছোট ছেলেকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়। এসময় ঘরে থাকা টাকা স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনাও ফতুল্লা মডেল থানায় ফাতেমা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।

এলাকাবাসীর দাবী সামেদ আলী ও রহিম হাজীর সাথে বিরোধের নেপথ্যে রয়েছে কেরানীগঞ্জ জাজিরার আবুল কাশেম তিনিই নাটের গুরু। এই গুরুই বিরোধ সৃষ্টি করে দুই পক্ষকেই লাগিয়ে রেখে সে তার নিজের স্বার্থ সিদ্ধি হাসিল করে আসছে বলে এমনটাই জানিয়েছে আকবর নগর ও জাজিরার বাসিন্দারা । আকবর নগরবাসীর দাবী এই মোষ্ট ভিলেন আবুল কাশেমকেও আইনী আওতায় আনা হোক।

ফতুল্লা পাইলট স্কুলে স্মার্টকার্ড বিতরণ চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদে গত ৬ আগষ্ট থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। ফতুল্লা ইউনিয়নের ভোটারা স্বর্ত:স্ফূত লাইনের দাঁড়িয়ে স্মার্ট কার্ড নিচ্ছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত লম্বা লাইন ধরে থাকতে দেখা গেছে অনেককে। তবে দীর্ঘ সময় লাইনের দাঁড়িয়ে স্মার্টকার্ড নিলেও কারো কাছে বিষয়টি বিরক্তবোধ করছে না।

লাইনের দাঁড়িয়ে স্মার্ট কার্ড নিতে আসা বেশ ক’জন ভোটারের সঙ্গে আলাপকালে জানান, কার্ড নিচ্ছি এটা আমার প্রয়োজনে। তাই দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে কোন বিরক্ত লাগছে না। কেউ কেউ দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়ে স্বস্তির হাসিও হাসতে দেখা গেছে। অনেকে আবার স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অভিব্যাক্তি ব্যক্ত করেছে। কেউ কেউ হাতে স্মার্ট কার্ড নিয়ে ফটোসেশন এবং সেলফী তুলে এই সময়কে স্মৃতিরে এ্যালবামে বন্ধি রেখেছে।

বক্তাবলী আকবর নগরের জয়নালের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবর নগর এলাকায় রহিম হাজ্বী ও সামেদ আলী নিজেদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আঃরহিমের সমর্থক জয়নাল আবেদীনের মৃত্যুতে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নিহতের স্বজনরা। শুক্রবার বিকেলে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুক্তিযোদ্ধ লাল চাঁন মোদবরের সভাপতিতে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা আঃ রহিম ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন,কোতালের বাগ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মসজিদের মোতাওয়াল্লি আশরাফ উদ্দিন আশা, হাজী নাহিদ হাসান সবুজ, নিহতের মেয়ে জামাতা শ্যামল,ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান জুয়েল, বাসেদ প্রধান প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন,জুয়েল, সাঈদ, আ: রহিম, জসিম,তাইজুদ্দিন,আরমান,ইসরাফিল, মাহমুদ মেম্বার,ইমরান,শাহাদাত হোসেন, সবুরসহ কয়েক শতাধিক মানুষ প্রতিবাদ সভায় অংশ নেয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকার আকবর নগর গ্রামের সামেদ আলী হাজ্বী  ও রহিম হাজ্বীর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ সামেদ আলী বাহিনীর হামলায় আহত টেটাবিদ্ধ জয়নাল আবেদীন মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান।

এছাড়া রহিম হাজ্বী বাহিনীর মৃত তাহের আলীর স্ত্রী নাসিমা (৫০),রিয়াজুলের স্ত্রী আউশি (৩০),রমজান আলী হাজ্বীর পুত্র আলমগীর (৪৫), সামেদ আলীর পুত্র রনি (৩৫),  ফুলু মাদবরের পুত্র নবী হোসেন (৩৫) ও কবির হোসেন( ৩৭)। নবী
হোসেনের হাতের কনুইতে টেটাবিদ্ধ হলে প্রথমে মুন্সিগঞ্জে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় নবী হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

এলাকাবাসী জানান,বিকাল ৫ ঘটিকার সময় রহিম হাজ্বীর ভাতিজা ফুলু মাতবরের পুত্র কবীর হোসেন,নবী হোসেন সহ তার বন্ধুরা আকবর নগর মসজিদের সামনে বসে ছিল। সামেদ আলীর পুত্র ওসমানসহ তার সহযোগীরা মসজিদের সামনে আসলে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায়ে সামেদ আলী বাহিনীর অর্তকিত হামলা চালায়। এতে রহিম হাজ্বীর ভাতিজা টেটাবিদ্ধ হয়।

সামেদ আলীর লোক জন জানান,ডাকাতি করার উদ্যেশ্য রহিম হাজ্বী বাহিনীর সদস্য ফুলু মাদবরের পুত্র কবির হোসেন,নবী হোসেন এর নেতৃত্বে কাদির, রিয়াজুল,টারজান,সুইজা,জিহাদ,সাইদুর,আল আমিন,রশিদ,জাহিদ, হাসান সহ ৬০/৭০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাষান মাদবরের পুত্র সামসুলের বাড়ি,সফি মাদবর সহ ৩/৪ টি বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট চালায়।

সামসুলের স্ত্রী লিমা জানান,সন্ত্রাসীরা ভাংচুর করে ৫০/৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।এ ছাড়া ৮ টি গরু ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান আলমগীর হোসেন।

রহিম হাজ্বীর ভাই ফুলু মাদবর বলেন,আজ সামেদ আলী বাহিনীর লোকজন অর্তকিত ভাবে আমার ছেলে নবী হোসেন ও কবীর হোসেনের উপর হামলা চালায়।সামেদ আলীর লোকজনের বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা সাজানো।

সামেদ আলী জানান,রহিম হাজ্বীর লোকজন নিজেদের টেটাঁয় নিজেরা টেটাঁবিদ্ধ হয়েছে।

এলাকাবাসি জানায়,রহিম হাজ্বী ও সামেদ আলী নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে প্রায় সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। মাস খানেক আগে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জু কাদের ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর উপস্থিতিতে উভয়কে মিলিয়ে দেয়া হয়।

দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই শাফিউল আলম ও এসআই কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থল হতে ১১ টি টেটাঁ উদ্ধার করে।

বক্তাবলীর আকবরনগরে দুই হাজ্বী বাহিনীর সংঘর্ষে আহত-১০

ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকার আকবর নগর গ্রামের সামেদ আলী হাজ্বী  ও রহিম হাজ্বীর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই শাফিউল আলম ও এসআই কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থল হতে ১১ টি টেটাঁ উদ্ধার করে।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৫ ঘটিকার সময় বক্তাবলীর আকবর নগর গ্রামে।

আহতরা হলেন,রহিম হাজ্বী বাহিনীর মৃত তাহের আলীর স্ত্রী নাসিমা (৫০),রিয়াজুলের স্ত্রী আউশি (৩০),রমজান আলী হাজ্বীর পুত্র আলমগীর (৪৫), সামেদ আলীর পুত্র রনি (৩৫),  ফুলু মাদবরের পুত্র নবী হোসেন (৩৫) ও কবির হোসেন( ৩৭)। নবী
হোসেনের হাতের কনুইতে টেটাবিদ্ধ হলে প্রথমে মুন্সিগঞ্জে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় নবী হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

এলাকাবাসী জানান,বিকাল ৫ ঘটিকার সময় রহিম হাজ্বীর ভাতিজা ফুলু মাতবরের পুত্র কবীর হোসেন,নবী হোসেন সহ তার বন্ধুরা আকবর নগর মসজিদের সামনে বসে ছিল। সামেদ আলীর পুত্র ওসমানসহ তার সহযোগীরা মসজিদের সামনে আসলে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায়ে সামেদ আলী বাহিনীর অর্তকিত হামলা চালায়। এতে রহিম হাজ্বীর ভাতিজা টেটাবিদ্ধ হয়।

সামেদ আলীর লোক জন জানান,ডাকাতি করার উদ্যেশ্য রহিম হাজ্বী বাহিনীর সদস্য ফুলু মাদবরের পুত্র কবির হোসেন,নবী হোসেন এর নেতৃত্বে কাদির, রিয়াজুল,টারজান,সুইজা,জিহাদ,সাইদুর,আল আমিন,রশিদ,জাহিদ, হাসান সহ ৬০/৭০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাষান মাদবরের পুত্র সামসুলের বাড়ি,সফি মাদবর সহ ৩/৪ টি বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট চালায়।
সামসুলের স্ত্রী লিমা জানান,সন্ত্রাসীরা ভাংচুর করে ৫০/৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।এ ছাড়া ৮ টি গরু ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান আলমগীর হোসেন।

রহিম হাজ্বীর ভাই ফুলু মাদবর বলেন,আজ সামেদ আলী বাহিনীর লোকজন অর্তকিত ভাবে আমার ছেলে নবী হোসেন ও কবীর হোসেনের উপর হামলা চালায়।সামেদ আলীর লোকজনের বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা সাজানো।
সামেদ আলী জানান,রহিম হাজ্বীর লোকজন নিজেদের টেটাঁয় নিজেরা টেটাঁবিদ্ধ হয়েছে।

এলাকাবাসি জানায়,রহিম হাজ্বী ও সামেদ আলী নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে প্রায় সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। মাস খানেক আগে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জু কাদের ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর উপস্থিতিতে উভয়কে মিলিয়ে দেয়া হয়।

রূপগঞ্জে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ ৪ জন গ্রফেতার

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দুই লাখ ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪ মাদক স¤্রাটকে র‌্যাব-১ গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে ৩’শ ফুট সড়কের পাশ্ববর্তী রূপগঞ্জের পর্শী এলাকার লেংটার মাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-১ এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রেজাউল করিম জানান, বুধবার রাতে পর্শী লেংটার মাজার এলাকায় ইয়াবা আদান-প্রদানের খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় মাদক স¤্রাট রাজেসপুরের নুর ইসলামের ছেলে মনির মিয়া, দক্ষিণ কুমিল্লার ধর্মপুর এলাকার শরাফত আলীর ছেলে মাসুম মিয়া, কুমিল্লার বসন্তপুর এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন ও কক্সবাজারের রামু থানার নন্দখালী এলাকার আব্দুল মতলব মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করা হয়। একপর্যায়ে তাদের তল্লাশী চালিয়ে ২ লাখ ৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের প্রতিবাদ সভা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাংবাদিকরা যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েও হামলা শিকার হচ্ছে না, আর আমাদের দেশে দিনের পর দিন সাংবাদিকরা সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হচ্ছে,সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নির্যাতিত হচ্ছে। এসব হামলার বিচার না হলে সাংবাদিকরা সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দিবে।

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের দ্বারা সাংবাদিকরা হামলার শিকারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরো বলেন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে দায়িত্ব পালনের সময় যে সমস্ত সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়েছে তাদের গ্রেফতার করা না হলে এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা না হলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে বাধ্য করা হবে।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ্, সহ-সভাপতি এড.মশিউর রহমান শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, প্রচার সম্পাদক জিএ রাজু, অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম,সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান, কার্যকরী সদস্য মনির হোসেন, মাসুদ আলী,এ আর মিলন, আবুল কালাম আজাদ, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু, বন্দর থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাব্বির আহমেদ সেন্টু, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ফতুল্লা থানা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ,সদস্য সচিব শেখ মোঃ সেলিম, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এ আর কুতুবে আলম, অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন, বিজয় টিভির ফতুল্লা প্রতিনিধি বদিউজ্জামান, মাইটিভির ফতুল্লা প্রতিনিধি শাহাব উদ্দিন,রাসেল আহমেদ,জনি,হারুন অর রশিদ সাগর, মোঃ মুন্না প্রমুখ। প্রতিবাদ সভা শেষে সাংবাদিকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সড়ক প্রদক্ষিন করে ফতুল্লা মডেল থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের সহধর্মিনী ও জাতীয় মহিলা সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি বলেছেন, আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন না হলে স্কুল-কলেজ, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন করেও সফলতা আসবেনা।তোমরা আমাদের সন্তান, তোমরাই আমাদের আশা ভরসা, তোমরা ধবংস হয়ে যাবে তা আমরা মেনে নিতে পারবোনা। কাজেই সববিষয়েই বিবেক খাটাতে হবে। তোমরা সঠিক ভাবে গড়ে উঠতে না পারলে সামাজিক ভাবে প্রভাব পড়বে।

বুধবার (৮ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসনে আরা বেগম।

লিপি ওসমান আরো বলেন, বাংলাদেশকে সামনের দিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার বেচে থাকা জরুরী। সবারকাছে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ যে অবস্থানে আছে, উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা আছে তা ধরে রাখতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। অন্যথায় দেশ পিছিয়ে পড়বে। তাই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে পুনরায় নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনতে হবে।

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে দোয়া ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি এবং বয়স্ক ও বিধবাদের মাঝে ভাতা বই বিতরণ করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, নারায়ণগঞ্জ কর্মাস কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শিরীন বেগম, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুরাইয়া আশরাফি, সমাজসেবা অফিসার ফিরোজ হোসেন প্রমুখ।