১৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 134

টিপু বাহিনীর ভয়ে শঙ্কিত আহত দেলুর পরিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ মামলাবাজ বরিশাইল্যা টিপুর বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে টিপু বাহিনীর হামলার শিকার আহত দেলুর পরিবার। মামলা তুলে নিতে অব্যাহত হুমকীর পর থানায় সাধারন ডায়েরী করেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। এদিকে, মামলাকে ভিন্ন দিকে প্রভাহিত করতে ইতোমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বদলের অভিযোগ উঠেছে টিপুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলার আসামী হয়েও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বদল করে নিজের পছন্দ অনুযায়ী নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার। এ নিয়ে আহত দেলুর পরিবার সুষ্ঠু বিচার নিয়ে অনেকটা শঙ্কিত।

সন্ত্রাসী হামলা আহত দেলুর স্ত্রী এবং মামলার বাদী আমেনা খাতুন জানান, সরকারী রাস্তা দখলে রেখে টিপু তার ডাইংয়ের মালামাল রাখার জায়গা তৈরী করায় আমার স্বামী এর প্রতিবাদ জানালে মামলাবাজী টিপু তাকে দেখে নেয়ার হুমকী দেয়। এবং হুমকীর একদিন পরই প্রকাশ্য দিবালোকে বরিশাইল্যা টিপু, তার ছোট ভাই সাপ্পু, ভাগ্নে মাদক ব্যবসায়ী রায়হান, রাজিবসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার স্বামীর উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় দীর্ঘদিন আমার স্বামী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসাধীন ছিলো। এই মামলা নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা তুষার কান্তিকে মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরবর্তীতে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল করে মামলার মোটিভ ভিন্ন দিকে ধাবিত করার চেষ্টা করে। আমেনা বেগমের অভিযোগ, মামলার আসামী টিপুর এবং তার ছোট ভাই সাপ্পু, ভাগ্নে মাদক ব্যবসায়ী রায়হান, রাজিব, বরিশাইল্যা মিজান,, ইসলাম ওরুফে ইসলা মামলা তুলে নিতে কয়ক দফা বাড়ীতে এসে এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে হুমকী দিয়েছে। এখনো তাদের এই হুমকী অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।

মামলার বিবরনীতে জানাযায়, গত ৮ জানুয়ারী বিকেলে জয়নগর ও দিপ্তি ডাইংয়ের মধ্যে অবস্থিত সরকারী রাস্তাটি দীর্ঘ ২ বছর ধরে বন্ধ করে দিয়ে মানুষ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করেন দিপ্তি ডাইংয়ের মালিক রফিকুল ইসলাম টিপু। এ নিয়ে এলাকাবাসী একাধিক বার প্রতিবাদ জানালেও টিপু প্রতিবাদকারীদের নানা ভাবে ভয়ভিতি দেখিয়ে আসছিলো। গত ৮ জানুয়ারী এলাকারা দেলোয়ার হোসেন রাস্তা বন্ধ রাখার প্রতিবাদ জানালে নব্য গডফাদার টিপু তার ভাই সাপ্পু, ভাগ্নে রায়হান,রাজিবসহ বেশ কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী দেলোয়ারের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় দেলোয়ারের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা দেলোয়ার গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। টিপুর বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা, চেকজালিয়াতি, সন্ত্রাসী লালনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী ঝাড়– মিছিলও করেছিলো। উল্লেখ্য, বরিশাইল্যা টিপু সাবেক এমপি কবরীর সময়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানের ফ্যাক্টরীতে হামলা চালিয়েছিলো বলেও অবিযোগ রয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জে গার্মেন্টসকর্মী ধর্ষিত

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জে গার্মেন্টস কর্মী ধর্ষিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক আমির হোসেন আশিক (২০) কে গ্রেফতার করেছে। রবিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় নাসিক ৭ নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় সোমবার (২ জুলাই) দুপুরে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষক আমির হোসেন আশিক কদমতলী নয়াপাড়া এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল আজিজ জানায়, গ্রেফতারকৃত আশিক এবং ধর্ষিতা ও নারী স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরী করতো। সেই সুবাধে তাদের উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের জের ধরে প্রায় সময় তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতো। তারই প্রেক্ষিতে রবিবার গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার পর ওই নারী তার নিজ বাসায় চলে যায়। পরে আশিক সন্ধ্যা ৭টায় ওই নারীর বাসায় গিয়ে বেড়াতে যাবার কথা বলে তাকে আশিকের বাসায় নিয়ে আসে। এসময় আশিক তার সাথে গল্প করার একপর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। তখন মেয়েটির আর্তচিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক আশিক পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতা থানায় এসে অভিযোগ করলে রাতেই ধর্ষক আশিককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৩। তিনি আরো জানায়, সোমবার দুপুরে ওই ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে এবং ধর্ষককে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে শিশু হত্যায় দুইজনের ফাঁসির আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জে খুন হওয়া ঝালকাঠির নলছিটির শিশু আশিকুর রহমান রিফাত (১১) হত্যাকান্ডের ঘটনায় দুই জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার (২ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত (বিশেষ ট্রাইবুনাল ২) এর বিচারক মোহাম্মদ রবিউল আউয়াল রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন মহিউদ্দিন হাসানাত ও সাইফুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় আদালতে সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পলাতক রয়েছেন মহিউদ্দিন হাসনাত। আদালতের অতিরিক্ত পিপি ফজলুল রহমান ফাঁসির আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে এ রায় দিয়েছেন।

নিহতের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন জানান, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে এরা হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও ফাঁসির এই রায়ে আমি ও আমার পরিবার সন্তুষ্ট। রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাই। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নবী হোসেন জানান, এই মামলায় রায় যথার্থ হয়েছে। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি করছি আমরা। ২০১২ সালের ১০ আগস্ট আপন বোনের স্বামী (দুলাভাই) ও তার ভাড়াটে দুই খুনি গলাকেটে হত্যা করে শিশু রিফাতকে।

নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নলছিটির ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন তার একমাত্র ছেলে আসিকুর রহমান রিফাতকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর-২ নম্বরের মনিপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। তাদের সঙ্গে মেয়ে ও মেয়ের জামাতাও থাকতেন। তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয় জামাতা মহিউদ্দিন হাসানাতের। এতে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত হয় জামাতা হাসানাত।

এরই জের ধরে ২০১২ সালের ১০ আগস্ট বাসার পাশের গলিতে বিকাল ৩টার দিকে খেলার সময় রিফাতকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে ওঠায় হাসানাত। দুলাভাই হাসানাত এবং ৩০ হাজার টাকায় ভাড়া করা দুই খুনি সাইফুল ইসলাম ও মিঠু শিশু রিফাতকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার নাভানা ভূঁইয়া সিটিতে নিয়ে যায়। নির্জন ওই স্থানে রাতে রিফাতের হাত-পা বেঁধে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে তারা। রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ রিফাতের জবাই করা লাশ উদ্ধার করে।

বক্তাবলির কানাইনগরের এই বৃদ্ধটি হারিয়ে গেছে।

ফতুল্লার বক্তাবলি এলাকার কানাইনগর গ্রামের মো:ফজলুল হক(৭১)নামের এই বৃদ্ধ লোকটি (৩০ জুন) শনিবার আছরের নামাজ পড়ার উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার কোন খোজ পাওয়া যাচ্ছে না। যদি কোন সুহৃয়ভাব ব্যক্তি তার কোন সন্ধান পেয়ে থাকেন তবে নিন্মোক্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হল:01984723318।

রূপগঞ্জে দালাল চক্রের খপ্পরে ১১৫ জন হজ্ব যাত্রী

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রূপগঞ্জে আল মুজদালিফা এভিয়েশন নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সির নামে একটি দালাল চক্র ১১৫ জন হজ্ব যাত্রীর কাছ থেকে ১ কোটি ১৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আতœসাত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে ওই সকল হজ্ব যাত্রীর হজ্বে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর থেকেই দালালচক্রটি ‘গা’ ঢাকা দিয়েছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হজ্ব যাত্রীরা।

ট্রাভেল এজেন্সির মালিক বাহাউদ্দিন জানান, রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় তার আল মুজদালিফা এভিয়েশন নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয় রয়েছে। ওই কার্যালয়ে এ বছর ১১৫ জন হজ্ব যাত্রী হজ্বে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার ট্রাভেল এজেন্সীতে নিবন্ধন করেন। পরবর্তীতে হজ্বে যাওয়ার বিমান ভাড়াসহ যাবতীয় খরচসহ তাদের প্রত্যেকের আরো ৯৯ হাজার টাকা করে দেওয়া কথা ছিলো। কিন্তু ওই টাকা সরাসরি আল মুজদালিফা এভিয়েশন ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয়ে পরিশোধ না করে হজ¦ যাত্রীরা দালালদের হাতে টাকা তুলে দেয়। ওই টাকা দালালরা আর আল মুজদালিফা এভিয়েশন ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয়ে জমা বা পরিশোধ করেনি। টাকা আত্বসাতকারী দালালরা হলো, আড়াইহাজার উপজেলার আব্দুল হক, নরসিংদী মাদবদী এলাকার দালাল মীর মোহাম্মদ কাজী আব্দুল হক, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি এলাকার ইকবাল হোসেন, ব্রা²নবাড়িয়ার এলাকার ফরিদ উদ্দিন। বিষয়টি ট্রাভেল এজেন্সীর পক্ষ থেকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে জানানো হয়েছে।

হজ¦ যাত্রীরা অভিযোগ করে জানান, হাজ্বীদের প্রত্যেকের কাছ ৯৯ হাজার করে নিয়ে ট্রাভেল এজেন্সীতে জমা না দিয়ে তারা আত্মসাত করে পালিয়ে গেছে দালালচক্র । দালাল চক্র সদস্য’দের বের করে টাকা আদায় করে এজেন্সিতে জমা দেয়ানো হলে হজে¦ যাওয়া নিশ্চিত হবে। তা নাহলে হজে¦ যাওয়া অনিশ্চিত হবে। এ জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তারা।

জেলায় আবারো শ্রেষ্ঠ হলেন ফতুল্লা মডেল থানার এসআই এনামুল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাসিক কল্যাণ সভায় ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কাজী এনামুল হক নারায়নগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রবিবার সকালে ঢাকা ডিআইজি রেঞ্জ অফিসে ফতুল্লা মডেল থানা এসআই কাজী এনামুল হকের হাতে হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি আবদুল্লাহ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু কালাম সিদ্দিক, অতিরিক্তি ডিআইজি আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কাজী এনামুল হক ছাড়াও ঢাকা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল নির্বাচিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের পিপিএমও ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

আবারো ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি মঞ্জুর কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের পিপিএম আবারো ঢাকা বিভাগের জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন।

রবিবার সকালে ঢাকা ডিআইজি রেঞ্জ অফিসে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের পিপিএম হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি আবদুল্লাহ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু কালাম সিদ্দিক, অতিরিক্তি ডিআইজি আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের পিপিএম ছাড়াও ঢাকা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল শরফুদ্দিন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ এছাড়া জেলা শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী এনামূল হক নির্বাচিত হয়েছে।

ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ এএসপি নির্বাচিত হলেন শরফুদ্দিন

স্টাফ রিপোর্টারঃ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল শরফুদ্দিন আহমেদ ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন।

গত মাসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাট, অস্ত্র উদ্ধার এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল হিসেবে ঢাকা রেঞ্জে শরফুদ্দিনকে শ্রেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল নির্বাচিত করা হয়।

রবিবার সকালে ঢাকা ডিআইজি রেঞ্জ অফিসে শরফুদ্দিনের হাতে সেরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের স্মারকপত্র তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি আবদুল্লাহ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু কালাম সিদ্দিক ও অতিরিক্তি ডিআইজি আসাদুজ্জামানসহ প্রমুখ।

রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া ঢাকা বিভাবে শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্দ মঞ্জুর কাদের পিপিএম ও জেলার শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নির্বাচিত হয়েছে। কাজী এনামূল হক নির্বাচিত হয়েছে।

কোটা সংস্কারে ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ : ঘটতে পারে ছাত্র অভ্যুত্থান

ঘরে ঘরে চাকরি আর ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর মত চকমপ্রদ ওয়াদা দিয়ে অবৈধ কেয়ারটেকার সরকারের বদান্নতায় ক্ষমতায় এসে আরো একটি টার্ম বিনে ভোটেই সরকার গঠন করে টানা দশ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করছে শেখ হাসিনা সরকার ।

দৃশ্যমান কয়েকটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে দফায় দফায় প্রকল্প মেয়াদ আর বাজেট বাড়িয়ে সারা দেশের সড়ক ব্যবস্থা গত দশ বছর ধরে অচল রেখেও নির্দিধায় পার করছে সময়গুলো । গৃহপালিত বিরোধীদল আর মেরুদন্ড ভাংগা বিএনপি জামায়াত তাদের চলার পথে কোন বাধাই হতে পারেনি ।

চলমান নয় বছরের মাথায় আজ ঘরে ঘরে বেকার, বৈশম্য, নিপিরণ, ক্ষুধা, দারিদ্র, আর বেকারত্বের অভিশাপে পুড়ছে সমাজের বড় অংশটি ।

যে বৈশম্যের বিরুদ্বে আন্দোলন করে পাকিস্তানীদের হাত থেকে বাংলাদেশ নামক ভুখন্ডের জন্ম হয়েছিল , স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরে সেই লাল সবুজের দেশে ৩০ লক্ষ শহীদের দেশে, আড়াই লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া সে বাংলায় ৫৬% কোটা দিয়ে চাকরী ক্ষেত্রে দেশের মেধাবীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে গত ৪৫ বছর ধরে ।

কোটা নিয়ে এই ক্ষোভ জন্ম নিচ্ছিল বহু বছর থেকেই । ২০১৮ তে এসে সেই আন্দোলন রুপ নেয় অনেকটা ছাত্রবিপ্লবে । ঘটে যায় লোহ মানবী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্বরণকালের সবচেয়ে বড় আন্দোলন । সব ধরনের রক্তচুক্ষকে উপেক্ষা করে ছাত্ররা নেমে পড়ে রাস্তায় । বাংলাদেশের সব বড় আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটার নামে মেধার বৈশম্যের বিরুদ্ব্যে এ আন্দোলন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে সব সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ জেলা উপজেলার সকল কলেজে ।

আন্দোলনের ভয়াবহতা প্রথমে উপলদ্বি করতে না পারলেও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগ এবং পুলিশের হামলার পর পর ই তা ভয়ংকর রুপ ধারণ করে । প্রথম বারের মত কোন ছাত্র আন্দোলনে বিপুল সংখক ছাত্রী অংশ নেয় । যে ছাত্রদের বলা হয় এ প্রজন্ম শুধু ফেসবুকে বিপ্লব করে এ প্রজন্মের ছাত্রদের মধ্যে ৬৯ এর অভ্যুত্থান, ৭১ এর রক্ত ঝড়া কিংবা ৯০ এর শ্বৈরাচার বিরুধী আন্দোলনের মত সংগ্রাম করা সম্ভব না । এপ্রজন্মের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রদের যে খানে দীর্ঘদীন ধরে ট্যাগ দেয়া হচ্ছিল তারা অনেকটা “বয়লার মুরগীর মত” । সেই বেসরকারী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও নেমে পড়ে রাস্তায় । প্রকাশ্যে পুলিশ অফিসারের গুম করে ফেলার হুমকিতে পরোয়া না করে সেখানে হুংকার ছুড়ে ।

এতে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে মুহুর্তে মুহুর্তে । সকাল সন্ধ্যা কিংবা গভীর রাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে অধিকার বঞ্চিত ছাত্রদের ন্যায় সংগত আন্দোলনের প্লাটফর্ম । এরই মধ্যে খবর আসে হলে হলে ছাত্র এবং ছাত্রীদের নিপীরণ করছে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ । মধ্য রাতে কবি সুফিয়া কামাল হলে এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেয়ার খবর ভাইরাল হলে অগ্নিগর্ভে রুপ নেয় । পরের দিন ঢাকা সহ সারা দেশ অচল হয়ে যায় । সে রাতের পরেই প্রধানমন্ত্রী সংসদের দাঁড়িয়ে জাতীর উদ্দ্যেশ্য ভাষণে অনেকটা রাগ আর ক্ষোভে বলেন “কোন কোটাই থাকবেনা”

এ ভাষণের পরে ছাত্রসমাজ প্রধানমন্ত্রীকে ”মাদার অফ এডুকেশনে” ভুষিত করেন । ছাত্ররা ফিরে যায় ক্যাম্পাসে, পড়ার টেবিলে । কিছু দিনের মধ্যে কোটা বিষয়ে প্রজ্ঞাপন হবে বলেও জানানো হয় ।

কিন্তু আজ কাল করে কালক্ষেপণ করা হচ্ছিল এটা নিয়ে । শুধু মাত্র রমজানটা পার করতে চাচ্ছিল সরকার । তারা জানে কোন ভাবে ছাত্রদের এই ইউনিটি আর স্পিরিটটা নষ্টা করে দিতে পারলেই ঈদের পরে ঝোপ বুঝে কোপ মারা যাবে ।

হয়েছেও তাই, শকতারা ৯৯ জন ছাত্রদের প্রাণের দাবীর সাথে অনেকটা তামাশা করা হল । ছোট বড় কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের ব্যানার বা সহযোগীতা ছাড়াই যে বিশাল ইউনিটির নেতৃত্ব দিয়েছিল যে ছেলে গুলো তাদের উপর নেমে আসলো নানা হুমকি ।

সর্বশেষ গত ৩০ এ জুন তাদের একটি সংবাদ সম্মেলনে যে ভাবে ছাত্রলীগ হামলা করে পন্ড করে দিল তা স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারিনি দেশের ৯৯% ছাত্ররা ।

এ ঘটানায় ক্ষোভে ফুঁসছে সকল ছাত্ররা । ক্রমেই দানা বেধে উঠছে তা । যে কোন সময় এ ক্ষোভ গনবিস্ফোরণ রুপ নিতে পারে ।

আর ৯৯ % এ ছাত্রদের যৌক্তিক দাবীকে দমানোর জন্য সরকার দলীয় সুবিধাভোগী যে নেতৃত্ব আজ এ হামলা করেছে তাদের কে দেখলে ইতিহাস হয়তো গলার মধ্য আঙ্গুল দিয়ে তাদের উপর বমি করে দিতে পারে একদিন । সে বমি দেশের বড় ছাত্রসংগঠন গুলোর নেতৃত্ব দেয়া অন্যান্ন ছাত্রসংগঠনের (ছাত্র দল, ছাত্রশিবির, ছাত্র মৈত্রি কিংবা ইশা ছাত্র আন্দোলনের) নেতাদের উপরও পড়তে পারে ।

যে ভাবে নুরুল হক নুরু, রাশেদ কিংবা মাহমুদরা ছাত্রদের ত্রাতা হয়ে আবির্ভুত হয়েছিল সে ভাবেই আসবে যুগে যুগে ওরা যদি নরপিচাশের হাতে হারিয়েও যায় তবে মনে রাখবেন ( এখনকার ছাত্রনেতারা) ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবেনা । প্রকৃতি শুন্যস্থান রাখেনা পুরন করে দেয়, ওদের শুন্যস্থানও পুরন হয়ে যাবে কিন্তু আপনারা অপরাধী হয়েই বাচবেন ।

সুতরং ৯৯% ছাত্রদের প্রাণের দাবীতে একসাথে নামুন । এ বিপ্লবে শামিল হোন । সরকারের কাছেও অনুরোধ আপনারা শুভবুদ্ধির পরিচয় দিন । না হলে পরিণতি হবে এরশাদের মত । ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা হয়ে বাঁচতে হবে আজীবন । প্রধানমন্ত্রী আপনার ওয়াদা রক্ষা করেন । ছা্ত্ররা ফুঁসেছে । সুফিয়া কামাল হলে সে রাতে রগ কেটে যেমন আপনার পছন্দের ছাত্ররা পার পায়নি কারো হাত থেকে যে কোন সময় সে ঘটনা আবার ঘটতে পারে।

শফিকুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : শুক্রবার বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ ডি.আই.টি চত্বরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আলহাজ¦ মাওলানা আনোয়ার হোসেন জিহাদীর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশ ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, জেলা ও মহানগরের সেক্রেটারি যথাক্রমে মাও. শাহআলম কাঁচপুরী ও মুহা. সুলতান মাহমুদ। আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি গিয়াসুদ্দিন মুহাম্মাদ খালিদ ও জেলার সভাপতি মাও. মুহা. শফিকুল ইসলাম, ইশা ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুহা. ইমদাদুল হক প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত ২০ জুন রাত ১২টায় তার নিজ বাড়ি থেকে মিথ্যা মামলা দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের প্রার্থীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শিবিরের সেক্রেটারি বলে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন এবং গত সংসদ নির্বাচনেও তিনি হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন-এর পক্ষে নির্বাচন করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার মধ্যে তিনি ছিলেন একজন সৎ, নম্র-ভদ্র ও নরম মনের মানুষ। গরীবের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। এমতাবস্থায় অবিলম্বে আমাদের প্রার্থীর মুক্তির দাবি করছি। অন্যথায় ইসলামী আন্দোলনসহ এর সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তখন উদ্ভুত পরিস্থিতির সকল দায়দায়িত্ব প্রশাসনকেই বহন করতে হবে। ইসলামী আন্দোলন শান্তিপ্রিয় আন্দোলনে বিশ্বাসী। তারা কোন বিশৃংখলা বা রাষ্ট্রবিরোধী কোন কার্যকলাপে জড়িত নয়। ইসলাম ও মানবতার জন্য ধারাবাহিকভাবে আমাদের আন্দোলন ও কর্মসূচি চলছে। এমতাবস্থায় আমাদের পিছু টেনে ধরতে একদল স্বার্থান্বেসী মহল হিংসাত্মকভাবে এহেন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন দলের নেতৃবৃন্দ।