১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 152

সিলেটে সুন্নি-ওহাবি সংঘর্ষে নিহত ২

সিলেটের জৈন্তাপুরে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করা নিয়ে সুন্নি ও ওহাবি নামে দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উভয়পক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাংলাবাজার আমবাড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে।

নিহতদের মধ্যে মোজাম্মিল হোসেন (২৫) নামে এক তরুণ ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি হরিপুর মাদ্রাসার দাওয়ারা হাফসির শেষ বর্ষের ছাত্র । তার বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ি এলাকায়।

আরেকজন সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে ৩০ জন একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমবাড়ি এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে ওহাবি সম্প্রদায়। এ সংবাদ পেয়ে সুন্নি সম্প্রদায়ের লোকেরা ওই ওয়াজ বন্ধ করতে যায়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ওয়াজে আগত শত শত মুসল্লি আতঙ্কিত হয়ে দিক-বেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।

প্রথম দফা সংঘর্ষে ওহাবি পক্ষ সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসল্লিদের মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় সুন্নি পক্ষের মাদ্রাসাছাত্র মোজাম্মিল ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।

পরে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা । তখন ওহাবিপক্ষের লোকেরা স্থানীয় বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিলে সুন্নিরা সেখানেও হামলা চালান।

বিক্ষুব্ধ সুন্নিরা চারটি গ্রামে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর চালান। এভাবে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত সহিংসতা চলে। পরে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় এলাকার চেয়ারম্যান ও মাতব্বরদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি ময়নুল জাকির জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্যরা টহলে রয়েছেন।পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।

ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সম্মেলন পণ্ড

দলীয় অন্তর্কোন্দলের রেশ, ককটেল বিস্ফোরণ আর বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতিতে ভন্ডুল হয়ে গেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন।

মঙ্গলবার দীর্ঘ নয় বছর পর নগরীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে বেলা ১১টার দিকে এ সম্মেলন শুরু হয়। কিন্তু সম্মেলনের শুরু দিকেই সংগঠনটির বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়া ছুরির মতো ঘটনা ঘটলে তা ভন্ডুল হয়ে যায়। পাশাপাশি সম্মেলন কক্ষের পেছনের দিকে একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।

বেলা ১১টার পরপরই মঞ্চে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে আসেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। এ সময় সম্মেলন কক্ষের পেছনের দিকে বসা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা চট্টগ্রাম নগরীর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের নাম উল্লেখ করে স্লোগান দিতে থাকেন। এতে জাকির হোসাইন তাঁদের স্লোগান দিতে বারণ করে বলেন, শেখ হাসিনা আর বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কারো নামে স্লোগান দেওয়া যাবে না। কিন্তু স্লোগান দাতারা তাঁর কথায় কোনো কর্ণপাত করেননি। পরে তিনি অসমাপ্ত রেখেই বক্তব্য শেষ করেন।

জাকির হোসেনের পর বক্তব্য দিতে মঞ্চে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাকিব হোসেন। তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সম্মেলন কক্ষের পেছনের দিকে স্লোগানের পাশাপাশি শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদের নিষেধ সত্ত্বেও এই সাংঘর্ষিক অবস্থা চলতে থাকে। এ সময় কক্ষের পেছনের দিকে একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

বিস্ফোরণে শব্দে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সবাই সম্মেলন কক্ষ থেকে দৌড়ে বাইরে চলে যান। এ অবস্থার মধ্যেই দুপুর ১২টার দিকে সম্মেলনে আসা অতিথিরা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। পরে পুলিশ এসে সবাইকে সম্মেলন কক্ষের বাইরে বের করে দেয়। ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের বাইরে এখনো দফায় দফায় বিভিন্ন গ্রুপ স্লোগান দিয়ে যাচ্ছে। ফলে দুপুরের পর অনুষ্ঠেয় কাউন্সিল পর্ব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

এ সম্মেলন প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। এ ছাড়া অতিথিদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী, রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।

আল্লামা আব্বাসী হুজুরের মাহফিলে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা কন্টাক এবং ব্যক্তিগত বডিগার্ড নিয়ে নিউজের প্রতিবাদ ও দাঁতভাঙ্গা জবাব

বিজ্ঞপ্তি:গত রবিবার আল্লামা আব্বাসী হুজুরের নাটোরের মাহফিলকে পুঁজিকরে কিছু হলুদ সাংবাদিক বিভিন্নভাবে ভাতেমরা কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় অপপ্রচারে চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আব্বাসী সাইবার টিমের কর্মীদের নিকট প্রশ্ন আসায় তার সঠিক ঘঠনাটি জানানোর লক্ষে কিছু কথা……………….

১.হলুদ গুটিকয়েক সাংবাদিকদের প্রথম মিথ্যাচার ছিল- আল্লামা আব্বাসী হুজুর নাকি নাটোর, সিংড়ার,শালমার দাখিল মাদ্রাসা মাহফিল করার জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া ৮০ হাজার এবং ১ ঘন্টা ওয়াজ করার নামে ১ লাখ টাকা নিয়েছেন..!
তার জবাবে প্রথমেই বলে নিচ্ছি- এই হলুদ সাংবাদিক ভাইটা কতটা গাঁজাখোরী লেখা লেখেছে, তা সেই ভাল জানে। কারণ আল্লামা আব্বাসী হুজুর মাহফিলে কন্টাক করেন এটা একটা পাগলকে বললেও বিশ্বাস করবেনা কারণ সাড়া বাংলার মানুষ জানে দিবালোকের ন্যায় এটা স্পষ্ট যে আব্বাসী হুজুর কন্টাক করেন না বরং তিনি কন্টাক বিরোধী। কন্টাক তো দূরের কথা পরিচিত কেউ যদি মাহফিলে কন্টাক করে যায় তাহলে তাকে সমচিন জবাব দেন। আর সেখানে তিনি ১ লাখ টাকা কন্টাক করেছেন ? এই ধরণের গাঁজাখুরি কথা একমাত্র মাতালরাই লিখতে পারে।
তবে হেলিকপ্টার ভাড়া যেটা আসে সেটা মাহফিল কমিটি বহন করে থাকে। তবে সেটার সাথে আব্বাসী হুজুরের কোন সম্পর্ক নাই বরং সেটা হুজুরের পি. এস এবং মাহফিল কমিটির মাধ্যমে হেলিকপ্টার কোম্পানিকে শিডিউল দেওয়া হয়। যা সরাসরি কোম্পানির সাথে মাহফিল কমিটির যোগাযোগ। যেখানে আব্বাসী হুজুরের কোন সম্পর্ক নেই। এখন এই মহাসত্যকে মিথ্যার ছাইদিয়ে যারা ঢাকতে চায়। আমি তাদেরকে বলবো তারা এখনো বোকার স্বর্গে বাস করছে। আর বিস্তারিত জানতে নাটোর মাহফিল কমিটির সভাপতির কাছ থেকে জানতে পারেন-০১৭৭৪৭২৯১৪৭

এ ব্যাপারে শালমার দাখিল মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মুসলিম উদ্দিনের সাথে ইউরোবাংলা সিলেটের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে সাংবাদিক অনলাইন পত্রিকায় নিউজ করেছে তার সম্পূর্ন মনগড়া বানোয়াট সাজানো গল্প। আমাদের সাথে আব্বাসী হুজুর কোন কন্টাক করে আসেননি। তিনি আমাদের কাছে থেকে কোন অগ্রীম নেননি। আমরা শুধূ হেলিকপ্টার ভাড়া সরাসরি পাইলট কে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি আমাদের মাহফিলে বক্তব্য দিয়েছেন আড়াই ঘন্টা লেখা হয়েছে একঘন্টা এটা সর্ম্পূন ঐ সাংবাদিকের বানানো গল্প। আমরা ঐ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরো বলেন যারা হুজুরকে এসব অপবাদ দেয় তারা পথদ্রষ্ট ওহাবী খারেজী দলের সদস্য। একটা সংবাদ লেখার আগে যাছাই বাচাই না করে এসব নিউজ করা ঠিক হয়নি।

এছাড়াও হেলিকপ্টার এভিয়েশনে যোগাযোগ করতে পারেন। সঠিকটা জেনে যাবেন। ‎মনে রাখবেন আল্লাহ যার সম্মান দেন,তাকে কেউ পরাস্ত করতে পারেনা।

২….. সেখানে ২য় মিথ্যাচার করা হয়েছে- হুজুর নাকি প্রতি ঘন্টা ওয়াজের বিনিময়ে ১ লাখ টাকা নিয়ে থাকেন। আমি বলবো আপনার মিথ্যাচার নম্রুদ,ফেরাউনকেও হার মানায়..!!!
এই বিষয়ে আমি কিছু না লিখে প্রথমেই সেই সমস্ত মিথ্যাবাদীদেরকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম।আল্লামা আব্বাসী হুজুর ১ ঘন্টা ওয়াজের বিনিময়ে ১ লাখ টাকা কন্টাক করেন, কিংবা তিনি কন্টাক করেন এই ধরণের কথা প্রমান করতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। আর যদি প্রমান না করতে পারেন তাহলে আপনার বিপক্ষে দূত মানহানি মামলা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

‎৩….. আল্লামা আব্বাসী হুজুর নাকি বিলাসিতার জন্য হেলিকপ্টার এবং বডিগার্ড ব্যবহার করে থাকেন। আরো কত উদ্ভট কথা। প্রথমেই আমি বলতে চাই বিলাসিতা কাকে বলে????? সেই সংজ্ঞাটি কি জানা আছে?? নাকি মাথায় বিলাতি গোবর তাই আলেমদের বিরোধী করাই চিরাচরিত অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়ে ??
‎কোন এমপি,মন্ত্রী, নায়ক,নায়িকা,শিল্পী, বা শিল্পপতি যদি হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে তাহলে কোন এলার্জী নাই। কিন্তু কোন আলেম ওলামা হেলিকপ্টারে মাহফিলের মত মহানকাজে গেলেই চোখটা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়! আল্লামা আব্বাসী হুজুর কোরআনের দাওয়াত নিয়ে দেশ,দেশের বাহিরে থাকেন সাড়া বছর। আর প্রতিদিন ১/২/৩ টি মাহফিল দিনে রাত্রে থাকায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে হয় নিয়মিত চার মাস। দেখা যায় আজকে দুইটি মাহফিল দিনে ফরিদপুর আর রাত্রে সিলেট। এখন একদিনে দুইটি মাহফিল করাকি সম্ভব..??
তাই ‎শুধু মাত্র সময় সেভ করার জন্যই হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয় এটা বিলাসিতা হয় নয় বরং এটা হুজুরের জন্য প্রয়োজন।

‎৪. হুজুর কেন ব্যক্তিগত বডিগার্ড রাখেন এটা নিয়েও তাদের এলার্জী। আবার কত ফতোয়া তিনি কেন সাথে বডিগার্ড রাখেন??? রাসুল (সা) কি বডিগার্ড রেখেছিলেন ? বাহ এ যেন ফেসবুক মুফতী !

প্রথমেই বলে নেই রাসুল (সা) আমাদের মত সাধারণ মানুষ নন। ওনার সাথে কোন কিছুরই তুলনা করা যাবেনা। তবে ওনার দেখানো পথকে অনুসরণ করতে হবে। সেখান থেকেই দৃষ্টান্ত দিচ্ছি একবার এক সাহাবী এক উটের রশিছেড়ে দিয়ে বলল্য ইয়া রাসল্লাল্লাহ (সা)।আমি উটের রশি ছেড়ে দিয়েছি আর আমি আল্লাহর উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুলে বিশ্বাসী। তখন রাসুল (সা) বললেন তুমি আগে উটের রশি বাধো তারপর তাওয়াক্কুল কর।
‎এখন যারা কুরআনের দাওয়াত দেয় কাফের মুশরেকরা তাকে দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাচালায় যেমনটি করেছে শহীদ ফারুকি(রহঃ) কে.।
‎আজ সাড়া বাংলায় যখন কথিত কিছু আলেম নামের জালেমরা ইহুদি খৃষ্টানদের টাকা খেয়ে উম্মতের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, ঠিক তখনই কোরআন, হাদিসের সঠিক বাণি যখন প্রচার করে যাচ্ছেন ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেব।তখনই একদন হিজলাসদৃশ, মুনাফেকরা আল্লামা আব্বাসী হুজুরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় যখন এতেও কোন কাজ হচ্ছেনা তখন তারা তাঁকে বারবার হত্যার পরিকল্পনা করেও ব্যর্থ হয়েছে।বিশেষ করে ২৫ মের ঐতিহাসিক বাহাসের পর তারা যেন পাগলা কুকুর হয়েগেছে। আজ তারা হিটলার নীতিতে চলেগেছে।
‎অতি ভক্তি কিন্তু চোরের লক্ষণ। তাহলে কি শহীদ ফারুকির মত আরেকটি ঘঠনা ঘঠাতে মরিয়া এই চক্রটি
‎।তারা হয়তো ভুলে গেছে সব মাওলায়ে কারীমের পক্ষ থেকে ফায়সালা হয়। তারা যতই হত্যার চেষ্টা করুক না কেন তা কাজে আসবেনা।
‎পরিশেষে ঐসকল হলুদ সাংবাদিকদের কাছে কিছু প্রশ্ন রেখে ইতি টানছি-

১…আপনারা আব্বাসী হুজুরের বিপক্ষে রিপোর্ট করলেন অথচ তার অফিসিয়াল ফেইসবুক আইডিই জানেন না??

২…. উনি কন্টাক্ট করে হাদিয়া নেয় এমন একটি প্রমাণ দিতে পারলেন না, আবার মিথ্যাচার ????

৩….আব্বাসী হুজুর মাহফিলে ১লক্ষ টাকা হাদিয়া নেয় আর হেলিকপ্টার ভাড়া ৮০ হাজার বাহ ভালইতো!! হেলিকপ্টার ভাড়া কিভাবে করা হয় তাকি জানা আছে ??

৪…আপনি কি চোখে কম দেখেন নাকি মিথ্যাশ্রিত বিদ্যাই আপনাদের প্রধান পুজি! আব্বাসী হুজুরের দুই পাশেইকি বডি গার্ড নাকি এক পাশে???
আর পুলিশ কি হুজুরের নিরাপত্তার জন্য নাকি হেলিকপ্টার দেখার জন্য..????

এ ব্যাপারে শালমার দাখিল মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মুসলিম উদ্দিনের সাথে ইউরোবাংলা সিলেটের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে সাংবাদিক অনলাইন পত্রিকায় নিউজ করেছে তার সম্পূর্ন মনগড়া বানোয়াট সাজানো গল্প। আমাদের সাথে আব্বাসী হুজুর কোন কন্টাক করে আসেননি। তিনি আমাদের কাছে থেকে কোন অগ্রীম নেননি। আমরা শুধূ হেলিকপ্টার ভাড়া সরাসরি পাইলট কে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি আমাদের মাহফিলে বক্তব্য দিয়েছেন আড়াই ঘন্টা লেখা হয়েছে একঘন্টা এটা সর্ম্পূন ঐ সাংবাদিকের বানানো গল্প। আমরা ঐ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরো বলেন যারা হুজুরকে এসব অপবাদ দেয় তারা পথদ্রষ্ট ওহাবী খারেজী দলের সদস্য। একটা সংবাদ লেখার আগে যাছাই বাচাই না করে এসব নিউজ করা ঠিক হয়নি। বাহ..!!!!এক রবট সুফিয়ার জন্য যখন ১৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিলেন????
তখন অপচয় হয়নি…..!!!!!
আব্বাসী হুজুরের পিএস মাওলানা আহমদ হাসান সাথে নিউজ প্রতিদিন ডট নেটের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন কেউ যদি প্রমান দিতে পারে হুজুর টাকা কনটাক্ট করে টাকা নিয়েছেন বাংলাদেশের কোথায় তাকে আমরা পুরস্কৃত করবো। এটা ওয়াহাবী লা-মাজহাবীদের অপপ্রচার করে হুজুরের সুনাম নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এসব হুলুদ সাংবাদিকদের মিথ্যা নিউজের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হুজুর হচ্ছেন কনটাক্ট আ চুক্তিবাদী বিরোধী। কখনো প্রোগ্রামে হুজুর অগ্রীম কোন টাকা নেন না। আর হাদিয়ার ব্যাপারে তিনি কোন কথা বলেন না যার মনে যত চায় তত দেন। যারা হুজুরে প্রোগ্রাম করেছে তাদের সাথে কথা বলেন সকল সন্দে দুর হয়ে যাবে।
আশাকরি জবাব দিবেন…..
এব্যাপারে ড. সাইয়েদ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী হুজুরের সাথে ইউরোবাংলা সিলেটের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি চ্যালেঞ্চ দিয়ে বলছি কাহার সাহসা তাকে আমার সামনে এসে একবার প্রমান করুক আমি চুক্তি করে কোন জায়গায় মাহফিল করেছি। আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচার ও অপ-প্রচার করছে আল্লাহর গজব তাদেরকে একদিন ধ্বংস করে দিবে। এসব আজগুবি সংবাদে তৌহিদি জনতা কোন সময় কান দিবেন না।যারা বলে আমি কন্টাক করে মাহফিল করি তারা ইহুদিদের দালাল ছাড়া আর কিছু না। আমার প্রতিটি মাহফিলে খোঁজ নেন তখন যদি মাহফিল কাহার কাছে বলে আমি কন্টাক করে টাকা নিয়েছি তখন আমাকে প্রশ্ন করবেন আর না হয় এসব বিষয় নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না। আমি বাংলাদেশে একমাত্র বক্তাদের একজন চুক্তি করে ওয়াজের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান। আমার ওয়াজে আমার ব্যক্তি আর্কষনের কেউ আসে না। সবাই আল্লাহর কোনআন হাদিসের আকর্ষনে সবাই ওয়াজ শোনতে হাজার হাজার জনতা আসে। যারা তৌহিদের দাওয়াত দেয় তারা কখনো টাকার এসব কাজ করে না। আমার বিরুদ্ধে যে সব অপপ্রচার করা হচ্ছে ষড়যন্ত্র করে মাহফিল বন্ধ করা হচ্ছে কেউ কেউ আবার আড়ালে থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা অপ-প্রচার করছে তাদেরকে বলবো সাহস থাকলে একবার আব্বাসীর মুখাবেলা করে দেখেন কে সঠিক। আমি সত্যের পথে আজীবন অটল থাকবো এতে বিন্দুমাত্র পিছপা হবো না। আমি তৌহিদের দাওয়াত দিতে আর আল্লাহর রাসুলের কথা বলতে গিয়ে যদি প্রান চলে গেলেও হাসি মুখে বরণ করবো। এসব অপ-প্রচার অপেক্ষা করে তৌহিদের দাওয়াত চলবে এক চুল পরিমান সত্যের পথ থেকে সরে আসবো না।

প্রচারে মাওলানা আহমদ হাসান গাজীপুরী
আব্বাসী সাইবার টীম বাংলাদেশ

জাহাঙ্গীর ডালিমের “বৃষ্টি ভেজা কবিতা” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কবি জাহাঙ্গীর ডালিমের “বৃষ্টি ভেজা কবিতা” কাব্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমী লিটল মেঘ চত্তরে বাংলাদেশ রাইর্টার্স ক্লাবের স্টলের সামনে এই বইয়ের মোড়গ উন্মোচিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ছড়াকার জলুল হায়দার, কবি সোহাগ সিদ্দিকী, কবিা  ও উপস্থাপিতা নাহিদা আশরাফি,সাংবাদিক মাইদুর রহমান রুবেল,ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিন, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক কবি আবদুর রহিম, কবি শহিদুজ্জামান ফিরোজ, দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক কবি সাব্বির আহমেদ সেন্টু, দৈনিক সংবাদ চর্চার সম্পাদক মোহাম্মদ নেয়াত উল্লাহ্, কাজী আনিসুল হক হিরা, কবি কাজী রাকিবুল রকি, মাসুদ রানা, বাপ্পি সাহা, প্রছদ শিল্পী শিপন আহমেদ, জুবায়ের রিংকু, মোঃ আলাল, অপু ভূইঁয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন, নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

সোনারগাঁয়ে বৈদ্যেরবাজার ট্রলার ঘাটে বেপরোয়া চাদাঁবাজী

সোনারগাঁ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যের বাজার ট্রলার ঘাটে বেপরোয়া চাদাঁবাজী ও ঘাট দিয়ে চলাচলরত যাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এ ঘাট দিয়ে চলাচলরত যাত্রীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ট্রলারঘাটটি বিআইডব্লিউটিএ থেকে ইজারা নিয়েছেন বৈদ্যেরবাজার এলাকার রামগঞ্জ গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া। এ ঘাটটি দিয়ে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার প্রায় শতাধিক ট্রলার প্রতিদিন আসা যাওয়া করে।

বিআইডব্লিউটিএ থেকে ঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপারের সময় জনপ্রতি দুই টাকা করে নির্ধারন করা হলেও সেলিম মিয়া ও যুবলীগ নেতা হামিদুল মিয়ার নিয়োজিত বাহীনির লোকজন মাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াস মিয়া, সোলমান মিয়া, হানিফা মিয়া, জুনায়েদ মিয়া জনপ্রতি পাঁচ টাকা করে আদায় করছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে অশালীন আচরন করা হয় এবং নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি করা হয়। এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করে। তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এ বাহিনীর সদস্যরা।

ভুক্তভোগী আড়াইহাজার এলাকার আলমগীর হোসেন বলেন, নিরাপত্তা, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের কারণে এ ঘাটে যাত্রী আশংকাজনক হারে কমে গেছে। যাত্রী পারাপারে জনপ্রতি দুই টাকা নেওয়া কথা থাকলেও ভাংতির অযুহাত দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে পাচঁ টাকা আদায় করে নেয়। কেউ প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গে অশালীন আচরন ও নারীদের শ্লীলতাহানি করা হয়। এধরনের কর্মকান্ড চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এ ঘাটে যাত্রী আরো কমে যাওয়ায় আশংকা রয়েছে।

এ বিষয়ে জাতে চাইলে সেলিম মিয়া বলেন, বিআইডব্লিউটিএ এর নির্ধারিত ফি যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। কারো কাছে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছেনা।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান, এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। চাদাঁবাজদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

নয়াপল্টনে পুলিশি হামলায় দুই সাংবাদিক আহত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রথম জন কিরণ সেখ। বাংলাদেশ জার্নালের স্টাফ রিপোর্টার। বিএনপি বীটের পরিচিত মুখ। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও আজ নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তাকে বেধড়ক পিটিয়েছে পুলিশ। আরেকজন কামরুল হাসান। দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার। তাকেও পুলিশ দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরও পুলিশ তাদের নির্যাতন ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেেএমন অভিযোগ আহত দুই সাংবাদিকের। তারা দুজনই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে এ ঘটনা ঘটে।

সাংবাদিক কিরণ সেখ জানান, বিএনপির কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহে সকালে নয়াপল্টনে আসি।বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আসামাত্রই পল্টন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কুবায়েরের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে, পরিচয় জানতে চান।তিনি বলেন, আমি পেশাগত পরিচয়পত্র দেখাতেই গালাগাল করতে থাকেন। প্রতিবাদ করলে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। পরে শার্টের কলার ধরে টেনে তুলে আবারও পেটান।কিরণ শেখ আরও বলেন, কেন মারছে, জানতে চাইলে নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। গাল ধরে থাপ্পড় মেরে বলা হয়- একদম চুপ কর, কোনো কথা বলবি তো শেষ করে দেব।

’ঘটনার খবর পেয়ে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে কর্তব্যরত অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরা গেলে কিরণ সেখকে ছেড়ে দেয়া হয়।পরে এ বিষয়ে মতিঝিল জোনের সহকারি কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এটা অপ্রত্যাশিত। আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এডিসি স্যারও সরি বলেছেন। এরপরতো আর কিছু বলার থাকে না।

এদিকে পুলিশি হামলায় সাংবাদিক আহতের ঘটনা সাংবাদিক মহলে ছড়িয়ে পরলে সর্বত্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দাবি উঠেছে ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেব্যবস্থা নেয়ার। অপরদিকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটি এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে রোববার দুপুরে পৃথক পৃথক কর্মসূচি দিয়েছে সংগঠন দু’টি।

বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি ইকবালকে আটক করল পাওনাদার

মাশফীকুর রহমান শিশির:

বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি মোঃ আল-আমিন ইকবালকে আটক করল তার এক পাওনাদার। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮) বাদ আসর বক্তাবলী এলাকার মধ্যনগর গ্রামে।

মধ্যনগর বাজারস্থ জামির উদ্দিন প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল সে। অনুষ্ঠান চলাকালে পাওনাদার সিরাজুল ইসলাম অনুষ্ঠানস্থলে তার লোকজন পাঠায় ইকবালকে আটক করার জন্য। পাওনাদারের লোকজন ইকবালকে অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্তৃপক্ষ তাদেরকে নিবৃত করেন।

পরে অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্তৃপক্ষ পাওনাদার ও ইকবালের মধ্যে সমঝোতা স্বরূপ পাওনাদারের টাকা পরিশোধের জন্য দিন-তারিখ নির্ধারণ করে দেন। ঘটনার পরে সে দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে বলে জানা গেছে।
পাওনাদার সিরাজুল ইসলাম বলেন, “এভারশাইন বহুমূখী সমবায় সমিতি নামে সিঙ্গাপুরে ইকবাল একটি সমিতি করেছিল। সেই সমিতিতে আমার মত বহু লোককে বিভিন্ন চটকদার প্রলোভন দেখিয়ে সদস্য বানিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি তার সেই সমিতিতে পাঁচ লাখ টাকা পাওনা আছি। সে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমার পাওনা টাকা দিচ্ছে না।”
এ ব্যাপারে মোঃ আল-আমিন ইকবালের বক্তব্য জানতে তার ফোন নাম্বারে কল করে তাকে পাওয়া যায় নি।

নাঃগঞ্জে ৪ হাজার হকারের পূণর্বাসন নিশ্চিত করেই উচ্ছেদ করতে হবে-মুজাহিদুল ইসলাম

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পাটির্র (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের মজুরী বৃদ্ধি হলেও কেনো শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করা হচ্ছে না? সিপিবি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ে স্বাধীনতার পর থেকে জোর গলায় কথা বলেছে এবং শ্রমিকের পাশে ছিলো। আগামী দিনেও শ্রমিকের সংকট উত্তরণে তাদের পাশে থাকবে।

জাতীয় নিন্মতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা ঘোষণা করার দাবিতে শুক্রবার শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন ও পাঠাগারের সামনে সিপিবি আয়োজিত জেলার সকল স্তরের শ্রমিকদের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আগামী নির্বাচনে শুধুমাত্র বিএনপি এবং আওয়ামীলীগই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না। শ্রমিকের পক্ষে শ্রমিক নেতারাও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী বেশে সংসদে শ্রমিদের পক্ষে আইন পাশ করবে।

গার্মেন্ট শ্রমিকদের সম্পর্কে তিনি বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকদের কষ্টে অর্জিত আয়ে ধনী হচ্ছে সমাজের গুটিকয়েক পুজিঁবাদী মানুষ। সরকাররি কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাড়লেও ভাগ্য ফেরেনি গার্মেন্ট শ্রমিকদের। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অমানবিক পরিশ্রম করে মিলে মাত্র ৫ হাজার ৩’শ টাকা। যেটা জীবনধারণের জন্যে যৎসামান্য। তাই সব বিবেচনায় এনে শ্রমিকের বেতন ১৬ হাজার টাকা করতে হবে।

সরকারকে দোষারপ করে তিনি বলেন, সরকার দলীয় লোকেরা শুধুমাত্র ভোটের সময় শ্রমিকের কথা বলে, ভোট পাওয়ার জন্যে। কিন্তু সিপিবি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ে স্বাধীনতার পর থেকে জোর গলায় কথা বলেছে এবং শ্রমিকের পাশে ছিলো। আগামী দিনেও শ্রমিকের সংকট উত্তরণে তাদের পাশে থাকবে।

নারায়ণগঞ্জের হকার ইস্যু নিয়ে মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার এবং অন্যান্য দিন সন্ধ্যার পর থেকে হকারদের বসতে দেয়া হবে বলে নগর মাতা সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে থেকে আশ্বাস দেয়া হলেও হকারদের পিটিয়ে ফুটপাত থেকে উচ্ছেদ করা হয়। যা একটি অমানবিক ও পাষন্ড আচরণ।

তিনি বলেন, পৃথিবীর বড় বড় সকল দেশেই হকার রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের হকারদের যদি উচ্ছেদ করতেই হয় তা হলে এই ৪ হাজার হকারের পূণর্বাসন নিশ্চিত করেই তাদের উচ্ছেদ করতে হবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড হাফিজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য শ্রমিক নেতা কমরেড এড. মন্টু ঘোষ, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড শিবনাথ চক্রবর্তী, সিপিবি শহর কমিটির সভাপতি কমরেড আব্দুল হাই শরীফ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ণ কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারন সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এম. এ. শাহীন, শ্রমিক নেতা কমরেড দুলাল সাহা, নারী নেত্রী শাহানারা বেগম, শ্রমিক নেতা ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে ছাত্রলীগকে বাঁধা দিলো (চবি) প্রশাসন!

সারাবিশ্বে যখন ২১ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিশ্ববাসী নিজ নিজ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণে ব্যস্ত তখন ‘ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’ এর প্রশাসন পুষ্পমাল্যে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করায় একদল ছাত্রদের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণে বাধা দেয়।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া এই লজ্জাজনক ঘটনার পরিপেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের নির্দেশে আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ভিসি মহোদয় ও প্রোক্টরের সাথে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাকিব হাসান সুইম, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাসেল হোসাইন, সদস্য আশিকুর রহমান অণু।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাকিব হাসান সুইম বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি)এ আমরা একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিলাম । বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয় ও প্রোক্টরের সাথে বৈঠক করি।

এসময় বৈঠকের সুইম বলেন, বাংলাদেশের এক খন্ড জমিন বাদ থাকবে না যেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চা করা যাবে না। এই ক্যাম্পাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর চর্চা হবেই। জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে অতি দ্রুত এই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার সুপারিশ করবো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা একজন বলেন, মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর ছাত্রলীগের প্রতিনিধি সাথে বৈঠকের ছবি তুলতে নিষেধ করে বলে তোমরা জাতীয় দিবসে এসো, সরকারি প্রোগ্রাম ছাড়া তোমাদের সাথে ছবি তুলা যাবে না।

উল্লেখ্য, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল দিতে বাধা দেয় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) কর্তৃপক্ষ। শ্রদ্ধা নিবেদনের ফুলের তোড়ায় ছাত্রলীগ লেখা থাকায় ফুল দিতে বাধা প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।
এসময় সাকিব হাসান সুইম উপাচার্যকে বলেন, আমরা(ছাত্রলীগ) অতি শীঘ্রই কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়নে জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করে সাংগঠনিক দক্ষতা ও মেধার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচন করে এই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি প্রদান করবো।

শাহজালালে বিমান আটকে দিল মশা!

পাখির আঘাতের কারণে বিমান আটকে যাওয়ার ঘটনা আছে অনেক কিন্তু মশার কারণে ফ্লাইট বিলম্ব- বিশ্বে হয়তো প্রথম ঘটনা এটি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার রাতে এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে অসংখ্য মশা ঢুকে পড়ায় যাত্রীরা চেঁচামেচি ও হট্টগোল শুরু করেন। মশার উৎপাতে রাত দেড়টায় চলন্ত ফ্লাইটটিকে রানওয়ের মুখে থামিয়ে দিতে বাধ্য হন পাইলট। পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় প্রায় এক ঘণ্টা চলে মশক নিধন অভিযান।

এ সময় যাত্রীদের সবাইকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ফ্লাইটের যাত্রী সোহেল। সোহেল জানান, শাহজালালের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে এই ঘটনা ঘটে। বিমানের ভেতরে অসংখ্য মশা ঢুকে পড়ায় যাত্রীরা চেঁচামেচি ও হট্টগোল শুরু করেন। এক ঘণ্টার মধ্যে বিমানের ভেতর ও রানওয়েতে মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। পরে রাত আড়াইটায় ফ্লাইটটি আকাশে ওড়ে।

বিমানবন্দরের একটি সূত্রে জানা গেছে, মশার উৎপাতের কারণে ফ্লাইট আটকে যাওয়ার ঘটনা বিশ্বে এটিই হয়তো প্রথম। তবে শাহজালালে মশার উৎপাত নতুন নয়। ফ্লাইটে ওঠার পর যাত্রীরা মশার কামড়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রায়ই। বিদেশিরাও বিরক্তি প্রকাশ করে থাকেন। বিমানবন্দরের ভেতরে-বাইরে তো কথাই নেই। লাগেজ বেল্টে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার ভোগান্তির সাথে যোগ হয়েছে মশার কামড়।

বিমানবন্দরের দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে আক্ষেপের সঙ্গে সিভিল এভিয়েশনের এক কর্মকর্তা বলেন, এমন ঘটনায় দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। কিন্তু চেষ্টা করেও মশার কাছে আমাদের হার মানতে হচ্ছে।