১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 154

প্রধানমন্ত্রীর ফোন, কেমন আছেন খালেদা!

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার খোঁজ খবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, শুক্রবার আবুদাবি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মধ্যে কারাগারে বেগম জিয়া সম্পর্কেও খোঁজ নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কারাগারে প্রাপ্য সব সুযোগ সুবিধা তাঁকে যেন দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করতে বলেন।

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রী জানান যে,খালেদা জিয়া সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন। প্রাপ্য সুযোগের চেয়েও বেশী সুযোগ সুবিধা বেগম জিয়াকে দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন মামলার বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান। মামলার অন্যান্য ৫ আসামীকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সাজা প্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন- সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান। মামলায় শুরু থেকে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

রায়ে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেকের ২কোটি ১০লক্ষ ৭১ হাজার টাকা সমপরিমান জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী শুরু

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী শুরু করেছে দলটি।

শনিবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।

এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবদীন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, রফিক সিকদার , মর্তুজা চৌধুরী তুলা, মুক্তিযাদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহম্মেদ, হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সরদার মো: নূরুজ্জামান, কাজী মোক্তার, মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়া, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিক দল সহ ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সারা দেশের জেলা, মহানগর ও উপজেলায় একসঙ্গে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্বাক্ষর করতে পারবেন।

জিয়া অরাফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পয় এটি বিএনপির তৃতীয় দফা কর্মসূচি। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি, ১০ ফেব্রুয়ারি থানা, উপজেলা, জেলা মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ, ১২ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন, ১৩ ফেব্রুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি ও ১৪ ফেব্রুয়ারি অনশন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির এই পাঁচদিনের কর্মসূচি পালন ছাড়াও বিদেশি কূটনৈতিক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, পেশাজীবী, আইনজীবী ২০ দলীয় জোটসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের জ্যৈষ্ঠ নেতারা।

সাব্বির আলম খন্দকারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও শোক র‌্যালী

শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার এবং নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করার দাবিতে র‌্যালী করেছে শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার ফাউন্ডেশন।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে নগরীর মাসদাইরস্থ নিজ বাড়ীর সামনে থেকে শুরু হওয়া শোক র‌্যালী শুরু হয়ে মাসদাইর কবরস্থানে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে নিহতের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

র‌্যালিতে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দাকার বলেন, ‘আমার ভাইকে কোন ব্যক্তিগত কারণে হত্যা করা হয়নি। শুধু মাত্র সমাজসেবায় মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাই আইনশৃঙ্খলার মিটিংয়ে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজীদের নাম উল্লেখ্য করে এবং তারা কে কত টাকা পায় এসব বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আজও আমার ভাইয়ের হত্যা বিচার পাইনি। শুধুমাত্র টাকার কাছে হেরে গেছি। হত্যাকারীরা টাকা দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ চার্জশীট করিয়েছে। তাই আজও বিচার পাইনি। খুনিরা আবারো ঢাকায় ফিরে আমাদের খুন করার হুমকি দিচ্ছে।

02-1সাব্বির আলম খন্দাকার গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এর সাবেক সহ সভাপতি ও ব্যবসায়ী নেতা ছিলেন। মৃত্যু তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসেরও সহ-সভাপতি ছিলেন।

এর আগে সকালে নগরীর মাসদাইরে খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ‘নারায়ণগঞ্জ সর্বস্তরের সন্ত্রাস বিরোধী জনগণ’ এর ব্যানারে মানববন্ধন করে বিএনপির নেতারা। ওই মানববন্ধন থেকে হত্যাকারীদের ফাঁসি ও নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার দাবি জানান বক্তারা। মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন খন্দকার মানব বন্ধনে সভাপতিত্ব করেন।

লালপুরে প্রশ্নপত্র ও আ’লীগ সভাপতিসহ আটক ১৩

নাটোরের লালপুরে প্রশ্নপত্রসহ হাতে নাতে আ’লীগ সভাপতি ও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ -১৩ জনকে আটক করেছে নাটোর সিপিসি-২ র‌্যাব-৫।

লালপুর-ডি কেন্দ্র চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা থেকে কদিমচিলান ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি হাসান আলী(৫০), যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা(৩৫) ও সোহেল রানার স্ত্রী কলসনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌশ রুনা(৩২) কে রসায়ন প্রশ্ন পত্র সহ তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়।আজ সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটের সময় যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার বাড়ির সামনে থেকে আটক করা হয়। এসময় ১০ জন শিক্ষার্থীকেও আটক করা হয়। তারা হলেন, কলসনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী তাহমিনা খাতুন( ১৫), আছিয়া খাতুন(১৫), জান্নাতুল ফেরদৌশ(১৫), নুরে জান্নাত(১৫), সুমি খাতুন(১৫), রত্না খাতুন(১৫), নাসরিন জাহান নিপা(১৫) , জিসান কাজী নিবিড়(১৭) ও হাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাসুমা খাতুন(১৫), সৈকত সরকার (১৭)।

উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে লালপুর ডি- পরীক্ষা কেন্দ্রটি কলসনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই প্রথম স্থানান্তরিত করে চাঁদপুর -১ নং উচ্চ বিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। সে কারনেই নতুন কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে নাটোর র‌্যাব-৫ এর মেজর কমান্ডার শিবলী মোস্তফার নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলামের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

কারারুদ্ধ জননী; কারারুদ্ধ গণতন্ত্র

নির্মোহ নীলগিরি:সরকার ক্রমাগত একের পর এক তামাশা করে যাচ্ছে। এই তামাশা তারা করছে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সাথে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে, বাংলাদেশের জনগণের সাথে। কিন্তু হীরক রাজার দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষের মুখে আজ স্কচটেপ লাগিয়ে রেখেছে। চোখে লাগিয়ে রেখেছে রঙ্গিন চশমা। ‘লাগ ভেল্কি লাগ’ বলে একের পর এক ভেল্কি দেখাচ্ছে। আবাল জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকার একের পর এক দেশ বিরোধী চুক্তি করে যাচ্ছে। আর দেশের মানুষকে গালভরা ফিরিস্তি দিয়ে বলছে বাচ্চালোক তালিয়া বাজাও। তাদের পোষা মাধ্যম গুলো হাততালি দিয়ে মারহাবা মারহাবা করে বলছে ‘ক্যায়া বাত ক্যায়া বাত’। সকল অন্যায়, দুর্নীতি অনিয়ম হালাল করতে বেহায়া মিডিয়া কিছু নির্লজ্জ ক্লাউন নিয়ে বসে যাচ্ছে লাইভ মস্করা-শো করতে। ছিঃ এরা পারেও বটে!!!

বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সংগ্রামে ত্যাগ এবং আপসহীন ভুমিকার জন্য দেশবাসীর কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীতে পরিণত হন বেগম খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসাবে সুদীর্ঘ সময় তিনি গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাঁর এই সংগ্রামের পথ কখনোই মসৃণ ছিলনা। বরং তাঁকে ষড়যন্ত্রের খানাখন্দে ভরা কণ্টকাকীর্ণ দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। কোন হুমকি, কোন ষড়যন্ত্র, কোন বাঁধা তাকে থামাতে পারেনি। ইস্পাত কঠোর দৃঢ়তায় তিনি দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় তাঁর এই সংগ্রামী ভূমিকার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি ষ্টেট সিনেটর ’ফাইটার ফর ডেমোক্রেসি’ খেতাবে ভূষিত করেন।

মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন ‘‘আমার কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে যেখানে সবচেয়ে র্দূবলতম ব্যাক্তিও সবচেয়ে সবলের সমান সুযোগ পায়।‘‘ সব নাগরিকের সমান অধিকার ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার চর্চার মাধ্যমেই শুধু গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই চর্চা চলেছে কি? গণতন্ত্র শম্ভুক গতিতে হাঁটতে গিয়ে প্রতি পদে হোঁচট খেয়েছে। স্বেচ্ছাচারিতা, একগুয়েমী, আগ্রাসী দমননীতির র্হাডলে প্রতিবার গণতন্ত্র হয়েছে বাধাগ্রস্থ। বতর্মান সরকার র্নিবাচিত সরকারের দোহাই দিয়েছে কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকারের আচরণগত পরীক্ষায় পেয়েছে ডাবল জিরো।

গণতন্ত্র হত্যা করতে আর নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে আওয়ামী সরকার বারবার একই নাটক মঞ্চস্থ করে। সেই একই ডায়লগ, একই বুলি। শুধু স্থান আর কালটা ভিন্ন। ২০১৩ সালে ‘র্মাচ ফর ডেমোক্রেসী‘ কমর্সূচী ঠেকাতে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছিলো তার নিজ বাসভবনে আর ‘গণতন্ত্র হত্যা‘ দিবসের কমর্সূচী ঠেকাতে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল দলীয় কার্যালয়ে। সেই একই কায়দায় আইন শৃংক্ষলাবাহিনী দিয়ে কয়েক স্তরের বেস্টনী, জলকামান, প্রিজন ভ্যান আর ইট-বালু-সুরকীর ট্রাক দিয়ে রাস্তায় তৈরী করা হয়েছিল ব্যারিকেড। আর ২০১৫ সালে নতুন সংযোজন করা হয়েছিল গেইটে ঢাউস সাইজের একখানা তালা। আর ২০১৮ তে এসে মিথ্যা সাজানো ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় সাজা দিয়ে এভাবে সরকার শুধু বেগম খালেদা জিয়াকেই কারারুদ্ধ করেনি, কারারুদ্ধ করেছে গোটা দেশকে, গণতন্ত্রকে।

কর্তৃত্ববাদী সরকার মিথ্যা বানোয়াট মামালায় বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পুরেই ক্ষান্ত হয়নি। গোয়েবলসের মতো ধারাবাহিক ভাবে র্নিজলা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজেদেরকে করে তুলেছে তামাশার পাত্র। এখন লটারী করে ঠিক করতে হবে যে- মানুষ নিজের চোখকে বিশ্বাস করবে নাকি শেখ হাসিনা এবং তার সভাসদদের কথা বিশ্বাস করবে!

একদিকে বলা হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে সবরকম সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বাস্তবে আমরা কি দেখছি- সত্তরঊর্ধ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে রাখা হয়েছে একাকী একটি পরিত্যাক্ত, স্যাঁতস্যাঁতে ভবনে। কোন ডিভিশন দেয়া হয়নি।

আর ‘হীরক রাজার দেশের’ মতো প্রধানমন্ত্রীর সাথে সুর মিলিয়ে তার সব মন্ত্রীরা বলে চলেছেন- কোথায় আজ খালেদা জিয়া? জেলে পুরে চোখের আড়াল করলেই তাঁকে মনের আড়াল করা যাবেনা। তিনি আছেন লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়।

৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ আবারো ছোট্ট একটি নমুনা দেখিয়েছে যে তারা বেগম খালেদা জিয়ার সাথেই আছে। ১৪৪ ধারা জারি করেও বেগম জিয়ার গাড়ী বহরে গণমানুষের স্রোত আটকাতে পারেনি। ঢাকার অলি গলি রাজপথ থেকে হঠাৎ আসা সুনামির মতো মানুষ আসতে থাকে। তাদের গন্তব্য ছিল একটাই। বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহর। তারা এসেছিলেন নেত্রীর প্রতি তাদের আনুগত্য, তাদের সহমর্মিতা, তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করতে। পুলিশের গ্রেফতার, লাঠিচার্জ, টিয়ার গুলি, ছাত্রলীগ যুবলীগের হামলা ও তাদের ঠেকাতে পারেনি।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দেওয়ার ওয়াদা করে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগকে পরিনত করেছে তাদের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার নামে চলছে সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতা। বিচারের বানী এখন শুধুই নিভৃতে কেঁদে মরে। বিচারের আশায় অসহায় মানুষ আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও ন্যয় বিচার যেন শুধুই মরিচীকা। বলা হয়ে থাকে আইনের হাত অনেক লম্বা কিন্তু এখানে প্রমানিত হয় সরকার দলীয় প্রভাবের কাছে বাংলাদেশের আইনী ব্যবস্থা পক্ষাঘাতগ্রস্ত, ডিজএইবল।

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টর দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। সন্ত্রাসের কালো ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছেনা দেশের একজন মানুষও। সরকার দলীয় লোকজনের পাশাপাশি এমনকি সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোও একেকটা সন্ত্রাস আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে আর সরকার এক্ষেত্রে উটপাখির নীতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু সমস্ত আবহাওয়া রিপোর্টকে ভুল প্রমানিত করে হঠাৎ আসা টর্নেডোর মতো, যত ঝড় ঝাপটা বিরোধী দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক এমনকি তাদের আত্মীয় স্বজনদের উপর দিয়ে যাচ্ছে। জেল-জুলুম, নির্যাতনতো রয়েছেই, এমনকি তাদের হত্যা, গুম খুন করতেও দ্বিধা করছেনা। কোন একটা অপকর্মের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার সবচেয়ে সহজ সমাধান বিরোধী নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ার দেয়া। এ হচ্ছে এক ঢিলে দুইপাখি মারার সবচেয়ে সহজ সমাধান বটিকা। ইস্যু ধামাচাপার সাথে সাথে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

উন্নয়নের নামে যেখানে দেশে চলছে অবাধ লুটপাটের মহোৎসব আর বিচারের নামে চলছে প্রহসন, যেখানে সরকার ব্যতিব্যস্ত রয়েছে ইন্ডিয়া তোষণে আর সরকারি নেতাকর্মীরা ব্যস্ত রয়েছে নিজ নিজ উদরপূর্তিতে। শুধুমাত্র হয়রানি করার হীন উদ্দেশে বৃহৎ সরকারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দুদক নামক পঁচা শামুকের দ্বারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে। বেগম জিয়াকে চার দেয়ালে আটকে রাখলে, মানুষের মনে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আর ঘৃণা শুধু বাড়বে বৈ কমবেনা। তাই অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

ক্ষমতাকে আরো দীর্ঘায়িত করতে যা যা করা দরকার কোর্টের মাধ্যমে হালাল করিয়ে নিচ্ছে সরকার। যাকে যে ভাবে দমানো দরকার, কন্ঠরোধ করা দরকার, রুলজারির মাধ্যমে তার বাস্তবায়ন করছে তারা। র্কোট কেন রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হবে? যাত্রাপালার সংয়ের মতো অতি উৎসাহী কিছু বিচারপতির কারনে বিচারালয় দলীয় অংগ সংগঠনের আদলে কাজ করছে। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের ক্যাডার এই বিচারপতির কাছে বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার পাওয়া বাতুলতা মাত্র। ছাত্রজীবনে শেখ হাসিনার পরিক্ষীত সৈনিক বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অন্যায় রায় দিয়ে বিচারপতির পরীক্ষায় গোল্ডেন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এবার শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে গোল্ড মেডেল পাবার অপেক্ষা।

সরকার ভাবে তাদের ভুজুং ভাজুং বাংলাদেশের মানুষ বোঝেনা। আইনী জুজুর ভয় দেখিয়ে, একপ্রকার চিপে ধরে জনগণের মুখ বন্ধ করে রাখছে সরকার। সেদিন আর বেশী দূরে নেই যেদিন জেগে উঠবে লক্ষ কোটি জনতা। বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা একদিন জাগবেই সেই জনতা। এই জনতা। সূত্র:(জাস্ট নিউজ)

লেখকঃ লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক।

প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা অসম্ভব: শিক্ষা সচিব

বর্তমান প্রক্রিয়ায় কোনো ভাবেই প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।

তিনি বলেন, আমাদের এমন কোনো প্রক্রিয়ায় যেতে হবে যেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ থাকবে না। আর এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি দ্রুত আমরা এমন কোনো প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করতে পারবো।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রালয়ে প্রশ্নফাঁস নিয়ে আদালতের দেওয়া নির্দেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষা সচিব এসব কথা বলেন।

আজ এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের তদন্ত করার জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রশ্নফাঁস রোধে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সোহরাব হোসাইন বলেন, আদালত যে আদেশ দেবে আমরা অবশ্যই তা পরিপূর্ণভাবে পালন করবো। মন্ত্রী মহোদয় আসার পর আমরা পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করব।

শিক্ষা সচিব বলেন, পাবলিক পরীক্ষা যথাযথ পরিচালনা করা এককভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। আগেও কখনো সম্ভব হয়নি। এখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আরও বিভিন্ন উইং যুক্ত।

সোহরাব হোসাইন বলেন, ইন্টারনেট সুবিধা থাকায় যারা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত তারা দ্রুত ও সহজে কাজটা করতে পারছে। মুর্হুতের মধ্যে একটি জায়গায় প্রশ্ন ফাঁস হলেই তা ছড়িয়ে যাচ্ছে। নেটের কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে তা নয়। বরং যেখানেই প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে তা দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। আর এই নেট যদি না থাকতো তাহলে এতো দ্রুত ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ছড়িয়ে যেত না।

শিক্ষা সচিব বলেন, এখন যে পরিস্থিতি সেই পরিস্থিতিতে সবাই মিলে একটা উপায় বের করতে হবে, যে প্রক্রিয়া প্রশ্ন আউটের কোনো ব্যাপার থাকবে না। সেই প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করার জন্য সকলে মিলে এগিয়ে আসতে হবে। সেজন্য মন্ত্রণালয় ও ব্যক্তিগতভাবে আমি কাজ করছি। আমি অবিলম্বে এটি মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে দেব।

সোহরাব হোসাইন বলেন, আমি চাই আগামী বছর থেকে যে পরীক্ষা হবে সেই পরীক্ষা যাতে কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়া হতে পারে সে রকম একটা প্রক্রিয়া আমরা সবাইকে নিয়ে আমরা বের করতে চাই, সে পথে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।

ওসি ফতুল্লাসহ তিন অফিসার আবারো শ্রেষ্ঠ

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের আয়োজিত অপরাধ সভায় ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.কামাল উদ্দিন বিশেষ ও এস.আই কাজী এনামুল হক ও এ.এস.আই তারেক আজিজ শ্রেষ্ঠ অফিসারের সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মাসিক মূল্যায়ন সভা এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন যোগদানের পর থেকে ফতুল­া থানার সার্বিক দিকদিয়ে তিনি চমৎকারভাবে সাজিয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় থানার শৈলপিক দিকদিয়ে জেলার অন্যান্য থানার চেয়ে সে সবার শীর্ষে। ফতুল­া মডেল থানার সিভিল টীম প্রধান এস.আই কাজী এনামুল হক ও তার সহকর্মী এ.এস.আই তারেক আজিজ ওয়ারেন্ট তামিল মাদক উদ্ধার ও সন্ত্রাসী দমনে বেশ কয়েক বার পুরস্কার পেয়েছে। জানুয়ারী মাসেও তারা সেরা পুরস্কার পেয়েছে। ১৫ ফেব্র“য়ারী জেলা পুলিশ সুপারের আয়োজিত অপরাধ সভায় জেলার শ্রেষ্ঠ এস.আই হিসেবে কাজী এনামুলহক এবং এ.এস.আই হিসেবে পুরস্কার পেলেন তারেক আজিজ।

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীর মত আমাদেরও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে-এড. শাখওয়াত

নাশকতা এবং বিস্ফোরক মামলায় ১১ দিনের কারাবাস শেষে কারামুক্তি লাভ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. শাখওয়াত হোসেন খান সহ ৩ আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩টায় কারাগারের প্রধান ফটক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনের সামনে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নেতাকর্মীরা।

এর আগে জেলা ও দায়রা জজ মো: আনিসুর রহমান মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড.শাখওয়াত হোসেন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জেলার যুগ্ম সম্পাদক এড. আনোয়ার হোসেন প্রধান, ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মঈনুদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করেন।

কারামুক্তি হয়ে এড. শাখওয়াত হোসেন খান বলেন, কারাজীবন সুখের নয়। এর আগেও কারাজীবন পার করতে হয়েছে, কিন্তু এবারের মতো লজ্জা এবং ন্যাক্কারজনকভাবে আমাদের এর আগে আর রাখা হয়নি। অপরাধ না করা সত্বেও আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়েছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন মৃত্যুর আসামীকে কনডেম সেলে রাখা হয় আমরা জানতাম। কিন্তু আমাদেরকেও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। অজস্য নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে, যারা রাজনীতি থেকে প্রায় নিস্কিয় হয়ে গিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই চালিয়েছি। ভবিষ্যৎও লড়াই চালিয়ে যাবো, যতদিন পর্যন্ত আমাদের নেত্রীর মুক্তি না হয়।

পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে বীমা করে শতাধিক গ্রাহকরা দিশেহারা

পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে জীবন বীমা করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শতাধিক গ্রাহকরা দিশেহারা। বীমা পলিসির মেয়াদ পূর্তির চেক প্রদান করার ১ বছর অতিবাহিত হলেও ওই চেকের টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না গ্রাহকেরা। পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের একাউন্টে টাকা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকেরা ব্যাংক ও বীমা অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

উপজেলার রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সুলপিনা এলাকার গ্রাহক পারভীন আক্তার জানান, ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তার বীমা পলিসির মেয়াদ পূর্ণ হয়। তখন কোম্পানি থেকে তাকে ৫০০৪৫৭৯-৮ নং পলিসির নামে একটি চেক প্রদান করেন। একাউন্টে কোনো টাকা না থাকায় ১ বছর অতিবাহিত হলেও ওই চেকের টাকা উত্তোলন করতে পারছে না। তাছাড়া ১৫ বছর মেয়াদী এসব জীবন বীমা গ্রাহকদের এক টাকাও লাভ দেয়া হয়নি কোম্পানী থেকে। বরং জমাকৃত টাকার চেয়েও কম টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে গ্রাহকদের মাঝে।

পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহক ও উপজেলার সুলপিনা এলাকার মোগল মিয়া (৫০০৩৯১৮-৯), হালিমা বেগম (৫০০৩৮১৩-২), গোলজার হোসেন একই অভিযোগ করে বলেন, এক বছর পার হয়ে গেছে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কোনো চেক জমা দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে না। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চেকের টাকা না পেলে আদালতের সরণাপন্ন হবেন বলেও তারা জানান।

এ ব্যাপারে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড কোম্পানির ইভিপি (প্রশাসন) জাকির হোসেন জানান, সাময়িক অসুবিধার জন্য গত এক বছর ধরেই কোম্পানির কোনো চেক পাস হচ্ছে না। শত শত পলিসি হোল্ডার হয়রানি হচ্ছে শিকার করে আরো বলেন, একাউন্টে টাকার বিষয়টি কোম্পানির চেয়ারম্যানই বলতে পারবেন। তবে গ্রাহকদের টাকা পরিশোধের ব্যাপারে একাধিকবার বোর্ড মিটিং হয়েছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে।

শেখ হাসিনার বদলে খালেদা জিয়ার নামে দোয়া করায় মসজিদের ইমাম আটক

শেখ হাসিনার নামে দোয়া করতে গিয়ে ভুলে খালেদার জিয়ারনাম বলায় আটক হলেন মসজিদের ইমাম আবু বকর সিদ্দিক। ঘটনাটি ঘটেছে উল্লাপাড়া উপজেলার ভেটুয়াকান্দি গ্রামে।

বুধবার সকালে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান কওশিক আহমেদ জানান, উল্লাপাড়ার ভেটুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনার নামে দোয়া করতে গিয়ে ভুলে খালেদা জিয়ার নাম বলায় এমপির নির্দেশে ইমামকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান ওসি।আটক আবু বকর সিদ্দিক একই উপজেলার পশ্চিম বামন গ্রাম এবং বাখুয়া দারুর রাশাদ মাদ্রাসার ছাত্র।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার উল্লাপাড়ার এমপি তানভীর ইমাম ওই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। অনুষ্ঠানে দোয়া করার জন্য আনা হয় অত্র গ্রামের মসজিদের ইমাম আবু বকর সিদ্দিককে। তিনি মোনাজাতে শেখ হাসিনার নামের জায়গায় ভুলে খালেদা জিয়ার নাম বলে ফেলেন।

এ সময় এমপি তানভীর মোনাজাত ছেড়ে দিয়ে ওই ইমামকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন এবং পুলিশকে আটকের নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।