১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 160

বিল পরিশোধ করতে না পারায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইট বন্ধ!

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিল পরিশোধ করতে না পারায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

চুক্তি অনুযায়ী ২০০৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম ব্যবহার করার অনুমতি ছিল। নিয়ম অনুযায়ী গত ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডোমেইন নেম চুক্তি নবায়ন করার কথা থাকলে বিসিসিআই কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধ করে ডোমেইন নেম নবায়ন করতে পারেনি। যার ফলে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিষয়টি নজরে আসালে আবার ডোমেইনটি নবায়ন করা হয়।

এদিকে গত রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালীন বিসিসিআই এর ওয়েবসাইটটি দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকে।যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অনেকে বলছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অর্থাভাব না থাকা শর্তেও বিল পরিশোধ করতে না পারায় ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়া লজ্জাজনক।এ ঘটনার জন্য বিসিসিআই দোষ দিচ্ছে বোর্ডের ইন্টারনেট ডোমেইনের নিয়ন্ত্রক লোলিত মোদিকে। বলা হচ্ছে তিনি ঠিক সময়ের মধ্যে নবায়নের অর্থ দেননি। সে কারণেই ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। সূত্র(ইন্ডিয়া টাইমস)

প্রধানমন্ত্রী যা চান তা রায় হয়ে বেরিয়ে অাসে: রিজভী

অার কোন অভিযান নাই, শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযান। ঢাকা শহরে কত মাদক ব্যবসায়ী, কত অপরাধী শহর ভরে গেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার অার প্রশাসনের কোন অভিযোগ নাই, অভিযান নাই। সরকারের অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকর্মীরা সোচ্চার প্রতিবাদী তারা রাজপথে প্রতিবাদ জানাচ্ছে এই কারণে সরকার তাদের দলবল নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় আক্রমণ করছে , পরিবার, ছেলে মেয়েদের কেও রেহাই পাচ্ছেনা। তাদেরও পুলিশ অাটক করে থানায় নিয়ে যাচ্ছে নির্যাতন চালাচ্ছে।

অাজ দুপুরে দলীয় কার্যলয়ে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন,

রিজভী অারও জানান, বেগম জিয়ার সাথে সিলেট সফর শেষে বাসায় ফেরার পথে মগবাজার থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলকে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত পুলিশ অাটকের কথা শিকার করছেনা।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত সারাদেশ এগারো’শরও বেশি বিশ দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী । অারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এইমূহর্তে অারও দেড়’শর মতো বিশ দলীয় নেতাকর্মী অাটক ও গ্রেফতারের নির্যাতনের খবর অাসছে।

রায়ের আগে রিজভী শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তিনি(প্রধানমন্ত্রী) যা চান তা খালেদার রায় হয়ে বেরিয়ে অাসে।

সাখাওয়াতসহ আইনজীবিদের গ্রেফতারে এড. আল আমীন সিদ্দিকীর তীব্র নিন্দা

মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খানসহ আইনজীবিদের গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন  জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক এড. আল আমীন সিদ্দিকী।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অপকর্ম ঢাকার জন্যই পুলিশের দ্বারা গ্রেফতারের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। আমরা অচিরেই তাদের মুক্তি দাবি করছি।

প্রসঙ্গত, সিলেটে মাজার জিয়ারতে যাওয়ার সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়ে ফেরার পথে সাখাওয়াতসহ ৩ আইনজীবিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন এড. আনোয়ার প্রধান ও এড. মাইনুদ্দিন।

নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারে মশিউর রহমান রনি ও শাহ জাহানের তীব্র নিন্দা

বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশী ও গণগ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্র্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান রনি ও ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা মোঃ শাহ জাহান ।  এক বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানান।

ওই বিবৃতিতে তারা বলেন, বি এন পির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাসুকুল ইসলাম রাজীবসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমান সরকারের অপকর্ম ঢাকার জন্যই পুলিশের দ্বারা গ্রেফতার করিয়ে ও তল্লাশী চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে।
তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ভীত। তাই তারা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে ঢুকিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। তবে পুলিশ নেতাকর্মীদের যতই গ্রেফতার করুক না কেন জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিকরা ভীত নয়। তারা যে কোন উপায়ে দলীয় সকল কর্মসূচি সফল করবে

আমিও সাংবাদিক ছিলাম : প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আমিও এক সময় সাংবাদিক ছিলাম। এখন সাংবাদিকতায় নারীরাও এগিয়ে আসছে। এটা খুব ভালো দিক। সোমবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় তার সঙ্গে আইন, মানবাধিকার ও সংবিধানবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় কয়েকজন নারী সাংবাদিকও উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সাংবাদিকতায় নারীরাও এগিয়ে আছে, এটা খুব ভালো দিক। খাস কামরায় প্রধান বিচারপতির পাশে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ল’রিপোর্টার্স ফোরামের নেতারা তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার কথা তুলে ধরলে প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

এলআরএফ সভাপতি আশুতোষ সরকার, সাবেক সভাপতি এম. বদি-উজ-জামান, সহ-সভাপতি মাশহুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম পান্নু, যুগ্ম-সম্পাদক কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আহমেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য হাবিবুর রহমান, আবদুল জাব্বার খান, মো. আফজাল হোসেন ও মেহেদী হাসান ডালিমসহ আইন বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন এ সময়। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী থাকাকালীন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দৈনিক সংবাদের আইনবিষয়ক প্রতিবেদক ছিলেন।

সরকার মামলা আতঙ্কে রেখেছে বিএনপির নেতাদের

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিতে গেলে পুলিশের কাজে বাঁধা, পুলিশের উপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং নাশকতায় ঘটনায় পৃথকভাবে পুলিশ বাদী হয়ে তিন থানায় ৪টি মামলা করেছে।

এসব মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৪৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করে করা হয়েছে। আর এ মামলায় রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভার মেয়রসহ ২৬ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাল রোববার বিকেলে পুলিশ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ ও সোনারগা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে পুলিশের গ্রেফতার অভিযানে জেলার বিভিন্ন এলাকার বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেছে। আর পুলিশও বিএনপির নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার পৃথকভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিতে গেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ হামলার ঘটনা ঘটে। এমনকি পুলিশকে লক্ষ্য কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণও ঘটায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।

এ ঘটনায় সোনারগা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। একটি মামলার বাদী হলো এসআই মুজিবুর রহমান ও এএসআই এনামুল হক। আর রূপগঞ্জ থানার দায়েরকৃত মামলার বাদী হলেন এসআই সাব্বির এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বাদী হলেন (এসআই) রফিকুল ইসলাম।

খালেদার জিয়ার রায়েন দিন নজরদারিতে হোটেল, মেস ও ফেইসবুক

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- না ঘটে, সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে মেস ও আবাসিক হোটেল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার রায়ের তারিখ ঘোষণার দিন (২৫ জানুয়ারি) থেকেই মেস ও হোটেলগুলোতে নজরদারি শুরু হয়েছে। পুলিশের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী হোটেলে আগত অতিথিদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে রুম বুকিং দেয়া হচ্ছে কি-না এসব নজরদারি করছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ফেইসবুকে বিভিন্ন পেইজে এবং গ্রুপে ৮ ফেব্রুয়ারিকে নিয়ে কোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা হচ্ছে কি-না সেগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।

গোয়েন্দা সূত্র আরও জানায়, এছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা মেসগুলোতে জড়ো হয়ে সহিংসতা তৈরির চেষ্টা করতে পারেন এমন আভাসে থানাভিত্তিক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। থানা পুলিশ স্ব স্ব এলাকার মেসগুলোতে গিয়ে ভাড়াটিয়া ছাড়া অন্য কেউ থাকছেন কি-না তা নজরদারি করছে। এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের।

নজরদারির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে হোটেলগুলোতে অতিথির নাম-ঠিকানা লেখা, ছবি তোলা, এনআইডি, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি, ফোন নম্বর রাখা ও ফোন দিয়ে নম্বর যাচাই করাসহ ৮টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হোটেলগুলো নির্দেশনামাফিক কাজ করছে কি-না তা নজরদারি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফর্মে দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়িগুলোতে ভাড়াটিয়ারা থাকছেন কি-না সেটিও খেয়াল রাখা হচ্ছে।

এদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সুপার থানার ওসিদের নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- যেসব স্থানে আগে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে, সেসব স্থান চিহ্নিত করা করে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা। থানাসহ পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা বাড়ানো, পুলিশের সব সিসি টিভি ক্যামেরা সচল রাখা, টহল বা অভিযানে পুলিশ সদস্যরা একা না গিয়ে একসঙ্গে টহল দেয়া। নির্দেশনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্যামেরা রাখতে বলা হয়েছে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তারা ছবি তুলে রাখতে পারেন।

জেলা পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা টাইমস নারায়ণগঞ্জকে জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি কোনো সহিংসতার আশঙ্কা করছি না, তবে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এদিন যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা রোধে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কোনোভাবেই অবনতি না হয় সেজন্য পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে নির্দেশনা দেয়া আছে। একইভাবে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম (সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং) বিভাগও সক্রিয় রয়েছে বলে জানান তিনি।

যে কোনো আন্দোলনে বাস-ট্রাকের মতো পরিবহনগুলো আগুনে পুড়িয়ে প্রতিবাদ করে আন্দোলনকারীরা। রায়ের দিন এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে কি-না এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যানবাহন মালিকরা।

নারায়ণগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর অবস্থা মোকাবেলার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এছাড়াও পুলিশ সুপার মহোদয় আমাদের সার্বক্ষনিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয় এ বিষয়ে একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেলক্ষ্যেই প্রস্তুত রয়েছি।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, পুলিশের প্রধান দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। পুলিশ দৃঢ়তার সঙ্গে এ কাজ করে যাচ্ছে। যাতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে সে জন্য কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ।

বক্তাবলীর আল-আমিন ইকবালের প্রতারণার রিপোর্ট প্রকাশিত হল সিঙ্গাপুরের জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে

মাশফীকুর রহমান শিশির: সামান্য নির্মান শ্রমিক থেকে হঠাৎ কোটিপতি বনে যাওয়া বক্তাবলী এলাকার রামনগর গ্রামের মো. আল-আমিন ইকবালের মালিকানাধীন এভারশাইন বহুমূখী সমবায় সমিতি লি. তথা এভারশাইন গ্রুপের দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশিত হলো সিঙ্গাপুরের জাতীয় দৈনিক “দ্য স্ট্রেইট টাইমস” পত্রিকায়। “বাংলাদেশি শ্রমিকরা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে দুশ্চিন্তায়” শিরোনামে পত্রিকাটিতে প্রকাশিত রিপোর্টে প্রতারণার বিষয়টি বিস্তারিত ওঠে এসেছে । “দ্য স্ট্রেইট টাইমস” পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অবলম্বনে মো. আল আমিন ইকবালের দুর্নীতির বিস্তারিত পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।

সিঙ্গাপুরে বেশ কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক তাদের বিনিয়োগ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। বিশ্বাস করে একটি ফার্মে তারা অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন কিন্তু সেখান থেকে এখন আর কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

সিঙ্গাপুর প্রবাসী ২০ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের অভিযোগ, তারা ২ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার যা বাংলাদেশি অর্থে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এভারশাইন গ্রুপ নামে একটি ফার্ম ঢাকায় ‘সিঙ্গাপুর সিটি’ নামে হাউজিং প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বলে এই টাকা নিয়েছে। তাদের অর্থ বিনিয়োগের সময় শেষ হয় গত বছরের শেষ দিকে। এরপর আর প্রতিশ্রুত অর্থ ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না।

বিনিয়োগকারীরা সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইট টাইমসকে জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি হোটেলে ওই কোম্পানি একটি আবাসন মেলার আয়োজন করেছিল। তারা জানিয়েছিল, সিঙ্গাপুর ও ঢাকায় তাদের কার্যালয় রয়েছে। লিটল ইন্ডিয়ায় একটি রেস্টুরেন্টের ভবনের উপর তলায় কোম্পানিটির প্রধানের একটি দোকান ছিল। সেখানেই টাকা জমা দিত প্রবাসীরা।

দ্য স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদক অ চ্যাং উই’কে শ্রমিকরা জানান, তাদের বিনিয়োগের প্রসপেক্টাস, কাজের শিরোনাম এবং টাকা জমা দেওয়ার রশিদও তাদের কাছে রয়েছে।

৩৪ বছরের নাঈম সিঙ্গাপুরের একটি বাগানে মালির কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ওই মালিককে বিশ্বাস করেছিলাম। গ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকায় পরিবারকে স্থানান্তরের জন্যে আমার সব টাকা আমি বিনিয়োগ করেছিলাম।’

‘২০১২ সালে সিঙ্গাপুরের একটি হোটেলে আবাসন নিয়ে একটি রোড-শো অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তার হাতে লিফলেট এবং অন্যান্য প্রচারপত্র ধরিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে একটি নকশায় দেখানো হয় বড় একটি কমিউনিটি সেন্টার থাকবে। এমনকি মেরিলিয়নের মতো একটি ভাস্কর্যও থাকবে সেখানে।’

নির্মাণ শ্রমিক ৪২ বছরের রিফাতও একটি অংশে টাকা বিনিয়োগ করেন। তিনি বলেন, আমি আমার ভালোবাসার দেশে একটি জায়গায় থাকতে চেয়েছিলাম।

এই দুইজনই এভারশাইন বহুমূখী সমবায় সমিতিতে টাকা রাখেন। এখন অবশ্য বোঝা যাচ্ছে এই সমিতি অবৈধ। কারণ সিঙ্গাপুরের সংস্কৃতি, যোগাযোগ এবং যুব মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়নি।
বিনিয়োগকারীরা জনপ্রতি ৬০০ সিঙ্গাপুরি ডলার থেকে ২ হাজার ৪০০ সিঙ্গাপুরি ডলার (৩৭ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা) পর্যন্ত ওই কোম্পানিকে দেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তাদের এই মূলধন দুই বছরে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এভারশাইন গ্রুপে নাঈম ও রিফাত গত তিন বছর ধরে বিনিয়োগ করে আসছিলেন।

তবে সিঙ্গাপুরের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড কর্পোরেট রেগুলেটরি অথরিটির সঙ্গে এই কোম্পানির নাম যাচাই করে জানা যায়, এভারশাইন গ্রুপটি ২০১১ সালে নিবন্ধিত হয়েছিল। তবে, তিন বছর পর এই প্রতিষ্ঠানটি এভারশাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি হিসেবে নতুন নামকরণ হয় এবং মালিকানা পরিবর্তিত হয়। নতুন মালিক বলছেন, তাদের বিনিয়োগের মতো কোনো প্রকল্প নেই।

সিঙ্গাপুরের বাংলা ভাষাভাষীদের পত্রিকা ‘বাংলার কণ্ঠ’র সম্পাদক একেএম মহসিন বলেন, তিনি এই ধরনের অভিযোগ ২০০৯ সালের দিকে শুনেছিলেন। আবারও এমনটা ঘটলো। শ্রমিকরা চিন্তায় আছেন তাদের বহুল কষ্টে অর্জিত অর্থ ফেরত পাবেন কিনা।

বিনিয়োগকারী শ্রমিকরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা এভারশাইন গ্রুপের মালিককে খুঁজে পাচ্ছেন না।তারা কয়েকজন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, সিঙ্গাপুরে বিদেশি সম্পত্তি বিক্রি অবৈধ কিছু নয়।

কয়েকজন শ্রমিক আশা করছেন, তারা তাদের বিনিয়োগ করা অর্থ হয়তো ফিরে পাবেন। কারণ কয়েকজন পেয়েছেন। নাঈম বলেন, কয়েকজন বেশ হৈ-চৈ করার পর ওই ফার্মের মালিকের কাছ থেকে অর্থ ফেরত পেয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এভারশাইন গ্রুপের একজন সাবেক পরিচালক জানান, তিনি শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন এবং সেই অর্থ আবার ফেরত দেওয়ার কাজ করতেন। তিনি বলেন, মালিক আমাকে প্রতি রোববার সাড়ে তিন হাজার সিঙ্গাপুর ডলার (২ লাখ ১৭ হাজার টাকা) দিয়ে তার অফিসে বসাতেন মানুষকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্যে। আমি অনেককেই টাকা ফেরত দিয়েছি।

ফার্মের মালিককে খুঁজতে তার রেস্টুরেন্টে গিয়ে পাওয়া যায় নি। রেস্টুরেন্টের কর্মীরা বলেছেন, তাদের মালিক সিঙ্গাপুরেই রয়েছেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে অফিসে আসছেন না।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা শ্রমিকদের নিয়মিত মনে করিয়ে দিই তারা যেন সিঙ্গাপুরে থাকাকালিন এই দেশের নিয়ম মেনে চলেন। তাদেরকে অবৈধ সমবায় সমিতিতে বিনিয়োগ না করতে বলি। আমরা যখন ডরমেটরিগুলো পরিদর্শন করি তখনও একই কথা বলি।

 

নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত দখল মুক্ত করতে পুলিশের উচ্ছেদ অভিযান

নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ফুটপাত থেকে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দখলদার মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ।
রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়ুম আলী সরদারের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য কাঁচপুর মোড় থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া বাস স্ট্যান্ড এবং কাঁচপুর মোড় থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাস স্ট্যান্ড ও মোগড়াপাড়া বাস স্ট্যান্ড হয়ে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চালায় হয়।
এসময় মহাসড়কের দু’পাশের ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সহস্রাধিক বিভিন্ন দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়ুম আলী সরদার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কিছু ভাসমান ব্যবসায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দু’পাশের ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা করে আসছে। এতে মহাসড়কে যান চলাচলে যানজট সৃষ্টিসহ মহাসড়কে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছিল।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার সিমানা এলাকা হতে অবৈধ দখলদার ও চোরাই তেল ব্যবসায়ীদের দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান করে মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করার লক্ষেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী, আব্দুস সামাদ, সার্জেন্ট মাহবুব, পিএসআই আতাউর রহমান এবং সহকারী উপ-পরিদর্শক কুদ্দুস ও আমিনুলসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।

নারায়ণগঞ্জে মেয়রসহ ১১ বিএনপি নেতা আটক

নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পৌর মেয়রসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা ও থানা পুলিশ। শনিবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকদের মধ্যে রয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র ও বিএনপি নেতা আবুল বাশার বাদশা, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফর মেম্বার, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সামছুল হক সরকার, পৌর বিএনপি নেতা আলমগীর, সোনারগাঁও থানার ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক ও সোহেল।জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিএসবি) সরাফত উল্লাহ এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নাশকতা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে সোনারগাঁওয়ে ১০ জন ও রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভার মেয়রসহ মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।