১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 162

পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব নিলেন জাবেদ পাটোয়ারী

ডেস্ক নিউজঃ বাংলাদেশ পুলিশের নবনিযুক্ত ইন্সপেক্টর জেনারেলের (আইজিপি) দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জাবেদ পাটোয়ারী। বুধবার দুপুরে পুলিশ সদরদফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক। দায়িত্ব হস্তান্তরের মাধ্যমে ৩২ বছরের কর্মজীবনের ইতি টানেন একেএম শহীদুল হক।

বুধবার পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত ‘বিদায় সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে শহীদুল হক বলেন, আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব শেষ হওয়ার মাধ্যমে পূর্ণ সন্তুষ্টি নিয়ে ৩২ বছরের চাকরি জীবনের ইতি টানছি।

তিনি আরও বলেন, গত তিন বছর এক মাস আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে চেষ্টা করেছি পুলিশের সক্ষমতা উঁচুমাত্রায় নিয়ে যেতে এবং পুলিশকে জনবান্ধব করতে। দায়িত্ব পালনকালে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সাহকিতার সঙ্গে সব সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি।

‘গত তিন বছরে পুলিশে যা অর্জন তার কৃতিত্ব কনস্টেবল থেকে আইজি পর্যন্ত সবার। আর সব ব্যর্থতার দায় আমার। দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের সবাইকে হয়তো খুশি করতে পারিনি। একটা প্রশাসনিক কাঠামোতে কাজ করতে হয়েছে। এর বাইরে কিছু চাপ, কিছু গাইডলাইন থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমি কারো প্রতি বিরাগভাজন ছিলাম না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, স্বপ্ন অনেক থাকে কিন্তু সব তো পূরণ হয় না। তবে অধিকাংশ কর্মপরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করেছি। পুলিশের পেশাদারিত্বের জন্য ২০টি নির্দেশনা দিয়ে গেছি। ৯৯৯- জরুরি সেবা ছিল সবচেয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।

তবে থানা লেভেলে পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। আমি চেয়েছিলাম মানুষ যেখানে অভিযোগ নিয়ে যায়, যেটা মানুষের শেষ ভরসা, সেখানে সেবা পেয়ে যেন সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরে। আমি থানা পর্যায়ে সেবার মান বাড়াতে অনেক চেষ্টা করেছি, অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু পুরোপুরি পরিবর্তন হয়নি। যদিও এটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পুলিশে নতুন ছেলেরা আসছে, আশা করব তারাই মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে।

একই অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বিগত দিনগুলোতে আইজিপিকে সবাই যেভাবে সহায়তা করেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সামনের দিনগুলোতেও সে সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।

মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার পুলিশের যে প্রয়াস, সেটা অব্যাহত রাখতে পারলে আরও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন সদ্য দায়িত্ব নেয়া জাবেদ পাটোয়ারী।

না.গঞ্জ বার নির্বাচনে বিএনপির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় মাহবুব উদ্দিন খোকনের শুভেচ্ছা

নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির ২০১৭-২০১৮ কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে ১১টি পদে বিজয়ী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় বিজয়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ব্যারিষ্টার এম খোকন।
বুধবার সকালে ব্যারিষ্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের পক্ষে গ্লোবালভিশন টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এক ক্ষুদে বার্তায় এ শুভেচ্ছা জানান জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম জুলফিকার আলী জুনু।
সারা দেশেই বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের জয়জয়কার উল্লেখ করে ব্যারিষ্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমাজ এ দেশের বিচার বিভাগকে স্বাধীন দেখতে চায়।  বিচার বিভাগের সুষ্ঠু পরিবেশ ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমাজ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের এই বিজয় সরকারকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বিএনপির জনপ্রিয়তা কতটুকু।  সারা দেশেই বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এই জয়জয়কার আগামী নির্বাচনের যথেষ্ট ইঙ্গিত বহন করে বলেও মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বার বার নির্বাচিত এই সম্পাদক।
মঙ্গলবার সকাল থেকে অনুষ্ঠিত ২০১৭-২০১৮ কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে মোট ৯২৭ জন আইনজীবী ভোটারের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ৯১৩ টি ভোট। নির্বাচনে ২টি প্যানেলে মোট ১৭টি পদের জন্য ৩৪ জন আইনজীবী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া কার্যকারী সদস্য পদে স্বতন্ত্র থেকে আরো ১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৬টি পদে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামীপন্থী আইনজীবী সাদা প্যানেল।  অপরদিকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবী পেয়েছন ১১টি পদ।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেলের সভাপতি পদে হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সেক্রেটারী পদে মোহসীন মিয়া, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে আব্দুল লতিফ, সহ সভাপতি পদে সালাউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ পদে জসিমউদ্দিন, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে মনিরুজ্জামান কাজল, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আবুল বাশার রুবেল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে সাজ্জাদুল হক সুমন, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে সুভাষ বিশ্বাস, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে স্বপন ভূইয়া, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ইসরাত জাহান ইনা, কার্যকরী সদস্য পদে মশিউর রহমান, রাশেদ ভূইয়া, সোয়েব আহমেদ শুভ, আবদুল মান্নান ও রুমানা আক্তার।
অপরদিকে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের ১৭ জন প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে জহিরুল হক, সেক্রেটারি পদে আব্দুল হামিদ ভূইয়া ভাসানী, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ মোল্লা, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, সমাজ সেবা সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট শারমীন, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে ওমর ফারুক নয়ন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে সাইদুল ইসলাম সুমন, কার্যকরী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট আমেনা আক্তার শিল্পী, অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব গোলাপ, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আনু, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ফাহিম ও অ্যাডভোকেট আল আমিন সবুজ। এছাড়া কার্যকরি সদস্য পদে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। তিনি হলেন- আসাদুল্লাহ সাগর।
এ বছর নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন, নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন নান্নু, অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা, অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম ও অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার বেগম। আপিল বোর্ডে রয়েছেন অ্যাডভোকেট শওকত আলী, অ্যাডভোকেট রমজান আলী ও অ্যাডভোকেট হারুন উর রশিদ।

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ মামলা

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে নেতাদের ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের ওপর বিএনপির কর্মীদের হামলা ও প্রিজনভ্যান ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা ও শাহবাগ থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।

রমনা ও শাহবাগ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলাগুলোর মধ্যে রমনা থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং শাহবাগ থানায় একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি ১১, আওয়ামী লীগ ৬ পদে জয়ী

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে ১৭ পদের মধ্যে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক ও কার্যকরী সদস্য পদসহ ৬ পদে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ।

অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ সিনিয়র সহ সভাপতি, সহ সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, আপ্যায়ন সম্পাদক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, লাইব্রেরী সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক ও কার্যকরী সদস্য পদসহ ১১ পদে জয়ী হয়েছে।

মঙ্গলবার জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৯২৭ জন ভোটারের মধ্যে ৯১২ জন ভোট দিয়েছেন।

সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের হাসান ফেরদৌস জুয়েল পেয়েছেন ৪৬৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের জহিরুল হক পেয়েছেন ৪৩৫ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া পেয়েছেন ৪৮১ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাষানী ভূইয়া পেয়েছেন ৪১৫ ভোট।

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট আবদুল লতিফ মিঞা পেয়েছেন ৩৬১ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা পেয়েছেন ৫২৮ ভোট।

সহ-সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন পেয়েছেন ৩২৩ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন পেয়েছেন ৫৫৯ ভোট।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ৪৭৩ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আব্দুস সামাদ মোল্লা পেয়েছেন ৪০৫ ভোট।

কোষাধ্যক্ষ পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট জসিমউদ্দিন পেয়েছেন ৩৯০ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম পেয়েছেন ৫০২ ভোট।

আপ্যায়ন সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া। প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল।

ক্রীড়া সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম সুমনকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল জয়ী হয়েছেন।

সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম। লাইব্রেরী সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন।

সমাজ সেবা সম্পাদক পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান ইনাকে পরাজিত করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট শারমীন আক্তার বিজয়ী হন।

আইন ইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা জিতেছেন। পরাজিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অ্যাডভোকেট স্বপন ভূইয়া।

কার্যকরী সদস্য পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের অ্যাডভোকেট রাশেদ ভূইয়া ও অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে সদস্য পদে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে অ্যাডভোকেট আমেনা আক্তার শিল্পী, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আনু ও আল আমিন সবুজ বিজয়ী হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের সমাবেশ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের পূর্ব  ঘোষিত আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বিশাল সমাবেশ স্থগিত করেছেন  তিনি কৌশলগত কারণে এ সমাবেশ স্থগিত করেছেন।

তবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির পর সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট চলাকালীন সময়ে গণমাধ্যমকে ডেকে পূর্বের ঘোষিত সমাবেশ স্থগিতের কথা জানান শামীম ওসমান।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে মতবিনিময় সভা করে ৩ ফেব্রুয়ারি শহরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন শামীম ওসমান।

তিনি বলেছিলেন, এ সমাবেশ হবে স্মরণকালের সব থেকে বড় এবং প্রমাণ করা হবে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যাতে বুঝতে পারেন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী। এ সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতকে বুঝিয়ে দেয়া হবে নারায়ণগঞ্জে কোনো ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।

সমাবেশ স্থগিতের বিষয়ে শামীম ওসমান আদালত পাড়ায় বলেন, আগামী ৩ তারিখে স্মরণকালের বৃহৎ সমাবেশ করবো বলেছিলাম। যেহেতু ৮ তারিখে একটি রায় হবে। এছাড়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পর যারা জ্বালাও পোড়াও করেছিল তাদের আস্ফালন আবারও দেখতে পাচ্ছি এবং এ সুযোগে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াত শিবিরের ওপরে ভর করে দেশে যে অরাজকতা চালানোর চেষ্টা করছে আমি চেয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জের মানুষকে আগ থেকে সচেতন করতে। কিন্তু জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে এখনও বিষয়টি ফাইনাল করতে পারিনি। এছাড়া কৌশলগত কারণে ৮ তারিখে রায়ের পর আমরা সুবিধা মতো নারায়ণগঞ্জে এ জনসভা করবো। কারণ আমরা রায়ের পক্ষে শ্রদ্ধাশীল। তাই আদালতের রায় কি হয় তার অপেক্ষায় থাকবে নারায়ণগঞ্জবাসী।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতের রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত নারায়ণগঞ্জের মাটিতে কোনো ধরনের অপরাজকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। নারায়ণগঞ্জবাসী শান্তি চায়, ভালোভাবে বাঁচতে চায়। তাই ৮ তারিখে আদালতের রায়ের পর পরিস্থিতি বুঝে সমাবেশের আয়োজন করা হবে। আগেও বলেছিল, এখনও বলছি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ ঐক্য ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।

নারায়ণগঞ্জে আদালতপাড়া যেন রাজনীতিকদের মিলন মেলা

আবুল কালাম আজাদ/আবদুর রহিমঃ  নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে জেলার রাজনীতি আদালত প্রাঙ্গনে এসে ভর করেছিলো নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরই। আর মঙ্গলবার ভোটের দিন জেলার রাজনীতিকদের সিংহভাগই আদালতে হাজির হয়েছে। নির্বাবাচন পর্যবেক্ষন করতে এসে পুরো আদালত প্রাঙ্গন হয়ে ওঠে নেতাদের মিলন মেলার কেন্দ্রস্থল। আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে পুরো আদালতপাড়া হয়ে ওঠে উৎসব মুখর। আওয়ামী লীগ,বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আদালতপাড়ায় এসে জড়ো হয়।

ভোটগ্রহন চলাকালীন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্যান্ডেলে উপস্থিত হন, আওয়ামীলীগের নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, সংরক্ষিত নারী সাংসদ অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো: বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, জাতীয় শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতা কাউছার আহমেদ পলাশ, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, মহনগর ছাত্রলীগের আহবায়ক হাবিবুর রহমান রিয়াদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো: জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল,ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু মোহাম্মদ শরিফুল হক প্রমুখ।

অপরদিকে বিএনপির প্যান্ডেলে উপস্থিত হন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও জেলা বারের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, অ্যাডভাকেট জাকির হোসেন,  জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী প্রমুখ

আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ এর পক্ষে হাসান ফেরদৌস জুয়েল (সভাপতি),মোহসীন মিয়া (সেক্রেটারী),আব্দুল লতিফ (সিনিয়র সহ সভাপতি), সালাউদ্দিন (সহ সভাপতি), মাহবুবুর রহমান (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), জসিমউদ্দিন (কোষাধ্যক্ষ), মনিরুজ্জামান কাজল (আপ্যায়ন সম্পাদক), আবুল বাশার রুবেল (ক্রীড়া সম্পাদক), সাজ্জাদুল হক সুমন (সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক), সুভাষ বিশ্বাস (লাইব্রেরী সম্পাদক),  স্বপন ভূইয়া (আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক), ইসরাত জাহান ইনা (সমাজসেবা সম্পাদক)। এবং কার্যকরী সদস্য পদে মশিউর রহমান, রাশেদ ভূইয়া, সোয়েব আহমেদ শুভ, আবদুল মান্নান ও রুমানা আক্তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ এর পক্ষে জহিরুল হক (সভাপতি), আব্দুল হামিদ ভূইয়া ভাসানী (সেক্রেটারী), রেজাউল করিম খান রেজা (সিনিয়র সহ-সভাপতি), আজিজ আল মামুন (সহ-সভাপতি), আব্দুস সামাদ মোল্লা (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), নুরুল আমিন মাসুম (কোষাধ্যক্ষ), সুমন মিয়া (আপ্যায়ন সম্পাদক), জাহিদুল ইসলাম মুক্তা (আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক), নজরুল ইসলাম মাসুম (সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক), শারমীন (সমাজ সেবা সম্পাদক), ওমর ফারুক নয়ন (লাইব্রেরী সম্পাদক), সাইদুল ইসলাম সুমন (ক্রীড়া সম্পাদক)। এবং কার্যকরী সদস্য পদে আমেনা আক্তার শিল্পী, আহসান হাবিব গোলাপ, রফিকুল ইসলাম আনু, ফজলুর রহমান ফাহিম ও আল আমিন সবুজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ বারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাড. আক্তার হোসেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন অ্যাড. মোফাজ্জল হোসেন নান্নু, অ্যাড. নুরুল হুদা, অ্যাড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম ও অ্যাড. কামরুন্নাহার বেগম।

এছাড়া এবারের নির্বাচনে আপিল বোর্ডে’র দায়িত্ব পালন করেন ৩ আইনজীবী। তাঁরা হলেন, অ্যাড. শওকত আলী, অ্যাড. রমজান আলী ও অ্যাড. হারুন উর রশিদ।

বক্তাবলীতে পূর্বচর গড়কুল উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়

ডেস্ক নিউজঃ বক্তাবলীতে পূর্বচর গড়কুল উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলাম মঙ্গলবার  সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

শিক্ষাখাতে বর্তমান সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করে অনুষ্ঠানে তোফাজ্জল হোসেন তাবেল বলেন, নারীরা অনেকদূর এগিয়েছে। পুরুষদের সাথে কাধে কাধে মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনে এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ একজন দেশের রাষ্ট্রনায়কও হতে পারে। সুতরাং এখন থেকেই সে প্রস্তুতি নিয়ে নিজেদের গড়তে হবে।

নেছার উদ্দীন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল গোপালগঞ্জের অজপাড়া টুঙ্গিপাড়ায়, কিন্তু নিজের মেধা ও পরিশ্রমের কারণে তিনি দেশের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন। দেশনেতা থেকে বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, অজপাড়া গাঁ বলে এখন আর কোন শব্দ নেই। প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। তাই বক্তাবলীর এই গ্রাম থেকেও সাফল্যের চূড়োয় উঠতে পারে যে কেউ।

অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, শিক্ষা একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় নিজেদের আবদ্ধ না রেখে জ্ঞান অর্জনের দিকে শিক্ষার্থীদের মনোযোগী হতে হবে। জিপিএ-৫ অর্জন-ই নয়, প্রত্যেককে আলোকিত মানুষও হতে হবে। এসময় সকলে হাত উচিয়ে আলোকিত মানুষ হবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে নাজির হোসেন বলেন, বিগত দিনে সকলের সহযোগিতার কারণে এ স্কুল শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে। শিক্ষক-অভিভাবক ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং এলাকাবাসীর অব্যাহত সহযোগিতায় আগামী দিনেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি তিন তিনবার তাকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, একটি স্কুলের সাফল্যের ফল শুধু স্কুলই নয়, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। তাই প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য এগিয়ে যেতে হবে। এসময় তিনি এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত প্রত্যেককে একটি করে ল্যাপটপ পুরস্কার দেবার ঘোষণা দেন।

স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো: নাজির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন তাবেল। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-তাঁতীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ নেছার উদ্দীন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, তাঁতীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম শাহেদ, সংবাদচর্চা সম্পাদক ও টাইমস নারায়ণগঞ্জ’র প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, আলোকিত বক্তাবলীর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ।

 

সিদ্ধিরগঞ্জ শিশুছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিদ্ধিরগঞ্জে অপহৃত তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী রোকসানা (১০) কে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার রাতে পুলিশ বন্দর থান এলাকা থেকে রায়হান কবির সোহাগ (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পরে সোহাগকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনাটি স্বীকার করে হত্যাকান্ডের বর্ণনা দেয়। সোমবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ (সার্কেল-ক) মোঃ শরফ্দ্দুীন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- থানার ওসি আব্দুস সাত্তার মিয়া ও পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম।

সাংবাদিক সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ মোঃ শরফুদ্দীন জানান, গত ২৩ জানুয়ারি বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের আরামবাগ এলাকায় থেকে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী রোকসানা নিখোঁজ হয়। ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা আশরাফুল ইসলাম ২৪ জানুয়ারি থানায় একটি জিডি করেন। পরে গত ২৬ জানুয়ারি সোনারগাঁও থানা কাইকারটেক ব্রিজ এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে একটি প্লাষ্টিকের বস্তা ভর্তি এক কিশোরীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি হাত-পা বাধা ও মুখে স্কচটেপ পেঁচানো অবস্থায় ছিল। পরে লাশটি পুলিশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। মর্গে গিয়ে রোকসানার পিতা আশরাফুল আলম লাশটি সনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ২৭ জানুয়ারি আশরাফুল আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও জানান, মামলাটি তদন্তকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ খুনের সঙ্গে জড়িত রায়হান করিব সোহাগকে সনাক্তের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়। পরে সোহাগকে জিজ্ঞাবাসাবাদ করলে সে ঘটনাটি স্বীকার করে হত্যাকান্ডের বর্ণনা দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ পুলিশকে জানান, রোকসানাকে অপহরণ করে বন্দরের ২২ টি হোসেন রোডের কবির হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রোকসানা চিৎকার করতে থাকলে তার হাত-বা বেধে ও মুখে  স্কচটেপ পেঁচিয়ে গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে নিহত রোকসানার লাশ বস্তায় ভরে একটি ব্যাটারীচালিত আটো রিকসা যোগে সোনারগাঁয়ের কাইারটেক চর এলাকায় নিয়ে ব্রিজের নিচে ফেলে দিয়ে আসে।

অতিরিক্ত পুলিশ মোঃ শরফুদ্দীন আরো জানান, মামলা দায়েরের পর পরই সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, উপ পরিদর্শক (এসআই) মামুন উল আবেদ ও রাসেল আহমেদকে দিয়ে এ ঘটনায় একটি কমিটি করে দেয়া হয়। কমিটি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুস সাত্তার মিয়া জানান, সোহাগের দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন পাখি নিহত রোকসানার বড় বোন আরমিয়ার বান্ধবী। সেই সুত্রে ধরেই রোকসানাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত সোহাগ। নিহত রোকসানা পাখির স্বামী সোহাগকে দুলাভাই বলে ডাকত। এক সময়ে সোহাগের কু-নজরে পড়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী রোকসানা। ঘটনার দিন রোকাসানাকে নিজ বাসা থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় সোহাগ। পরদিন তার পরিবারের কাছে মোবাইলে ফোনে মুক্তিপণ হিসেবে ছয় হাজার টাকা দাবি করে। পরে তাকে হত্যা করে লাশ কাইকার টেক ব্রিজের নিচে ফেলে চলে।

নিহত রোকসানার বড় বোন আরমিনা বলেন, আমার আদরের বোনকে নৃশংসভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের একটাই দাবি তার ফাঁসি চাই। আমরা মৃত্যুর বদলে মৃত্যু দেখতে চাই। নিহতের মা কারিনা আক্তার বলেন, আমার আদরের ছোট মেয়েকে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমার বুক খালি করেছে। আমি আসামীর ফাঁসির অর্ডার চাই। মৃত্যুর বদলে মৃত্যু চাই।

 

নারায়ণগঞ্জে শিশু হত্যায় পিতা পুত্রের মৃত্যুদন্ড

আদালত প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার আলোচিত শিশু মাকসুদুল ইসলাম তুহিন(৭) হত্যা মামলায় পিতা পুত্রকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে লাশ গুমের অপরাধে ২০১ ধারায় প্রত্যেককে ৩ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে অপহরণ করার অভিযোগে ৩৬৪(ক) ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের রায় ঘোষনা করেছেন।
দন্ডিতরা হলো-আড়াইহাজার উপজেলার বগাদি কান্দাপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন(৫৫) তার ছেলে মাহফুজুর রহমান(২৫)।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন আসামীদের উপস্থিতিতে এরায় ঘোষনা করেন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রশিকিউটর এমএ রহিম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আড়াইহাজার উপজেলার বগাদি কান্দাপাড়া গ্রামের  কাজী নাসির উদ্দিনের ছেলে দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র মাকসুদুল ইসলাম তুহিনকে গত ২০১৫ সালের ৯ মে সকাল সাড়ে ১০টায় বগাদি কান্দাপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনে থেকে আম ভর্তা খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে  অপহরণ করা হয়।
পরের দিন মোবাইলে ফোন করে তুহিনের বাবা কাজি নাসিরের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। এরপর পুলিশ মোবাইল ট্রাকিং করে মাহফুজকে নরসিংদী থেকে ১২ মে গ্রেফতার করে। পরে মাহফুজ তার বাবা বিল্লাল হোসেনের ঘর থেকে নীল রঙের ড্রাম বন্দি তুহিনের লাশ উদ্ধার করে দেয়। ওইসময় পুলিশ বিল্লালকেও গ্রেফতার করে। বিল্লাল নিহত তুহিনের আপন চাচা।

মীনা উজ্জ্বলের কবিতা

“””এলোমেলো ভাবনা”””

কলম আর খাতারা
জীবনানন্দের পাতারা
ছুটি নিয়েছে রাঙানো নখের কাছে থেকে,
চশমার ফ্রেমের দায় থেকে,
থাক না ওরা, কটা দিন
আয়েশের খায়েশে।

খুশবু, সুবাসিত আয়নাঘর
লাল চুড়ি, সাতরঙা টিপ, টেনে নেয় অকারণ,
ময়ূরপঙ্খী নায়ে, ঢেউয়ের তোড়ে, নীল পালকে
পূব আকাশের রাজকুমার ভেসে আসে পশ্চিমে
পেতে রাখা বুকে, লাল গালিচায়
উষ্ণ অভ্যর্থনা আর গাঢ় চুম্বনে
মাধবী-চাঁপা আজ অন্তঃসত্বা হবে
এক বসন্ত প্রেমের সুরায়,
এলোমেলো ভালবাসারা উড়তে থাকবে
ঘরে, পর্দা-জানালা সব খুলে, বাইরে।

দেখো, ঐ দেখো
ভাবনাগুলো, উতলা আবেগে
কেমন করে উড়ছে সারি সারি!
উড়ছে দেখো, ছুটে যাচ্ছে ঐ দূর আকাশে,
পঙ্খীরাজে চড়ে, সাঁই সাঁই,
শোন রাজকুমার,
ভৈরবীর নেশায়, আকুলতায়
কুমারী আজ কবিতা হবে নিঃসংকোচে,
পিতৃত্বের দায়, নাও কিবা নাই নাও
শব্দ, বর্ণের আলোয় হাজার বছরের
ইতিহাস হারিয়ে, কুমারী আজ
উপাখ্যান হবে, নেপথ্য হবে
না লেখা, কোন এক জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থের।