২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 177

বক্তাবলীর লক্ষীনগরের চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী মতিন গ্রেফতার

নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর লক্ষীনগর গ্রামের চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল মতিনকে ২৫০ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

১৯ নভেম্বর রবিবার বিকালে বক্তাবলী ফেরিঘাট হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো.মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান শেখ ও টুটুল মোল্লা সঙ্গীয় ফোর্সসহ লক্ষীনগর গ্রামের মৃত.দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মতিনকে আটক করে। এ সময় তার কোমড়ে লুকিয়ে থাকা ২৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। মো.আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে অপহৃত শিশু গাজীপুরে উদ্ধার

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে অপহৃত শিশুকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। এসময় অপহরণকারিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সিআইখোলা এলাকার ফারিয়া টেইলার্স থেকে এক শিশুকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত শিশুটির নাম ফারিহা (১) ফারিয়ার বাবার নাম শাহ আলম। সে ফারিয়া টেইলার্সের মালিক।

পুলিশ অপহরনকারি দেলোয়ার হোসেন (২৩) আটক করেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নারায়নগঞ্জের অতিঃ পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন বলেন বুধবার বেলা ৩ টার দিকে শাহ আলমের দোকানের কর্মচারি তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেলোয়ার ফারিয়ার বাবা শাহ আলমের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ বিষয়ে শাহ আলম বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয় গাজিপুরের নবপাড়া এলাকায়। পরবর্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক রাসেল সংগিয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে গাজিপুর নবপাড়া এলাকার বিআরটিএর আবাসিক কোয়াটার থেকে অপহৃত ফারিয়াকে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণ কারি দেলোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দেলোয়ারকে আসমি করে একটি অপহরন মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

ফতুল্লায় সৃজন হাউজিংয়ের মালিক প্রতারক শামীম তারেক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গত ১৫ নভেম্বর রাতে কুতুবপুর এলাকায় সৃজন হাউজিংয়ের মালিক মহা প্রতারক মো. শামীম তারেককে (৪৬) প্রতারনার মামলায় গ্রেফতার করে।

মিনারা সুলতানার কবিতা

 

মানুষ হই
মিনারা সুলতানা

যান্ত্রিক শহরের যান্ত্রিকতায়
হারিয়ে ফেলেছি মানবিক অস্তিত্ব
তবে আয় আবার মানুষ হই।
প্রতিনিয়ত বুকের উপর বেড়েই চলেছে লাশের মিছিল।
সভ্য শহরে অসভ্যদের বাস।
শিরায় উপশিরায় প্রবাহমান বর্জ্য রক্ত
তবুও যেন অত্রিপ্ত আত্মা
কুড়ে কুড়ে খায় মানবদেহগুলোকে।
স্বপ্নগুলোর উপর চলে বুলডোজার
মুখ ভরে আসে রক্তবমিতে।
কলিজাটাকে ছিড়েও জেন শান্তি নেই
নির্মম চোখগুলো হাসে উপহাসের হাসি।

সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে সংঘর্ষ আহত ৬

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সিটির ৬ নং ওয়ার্ড আদমজী সোনামিয়া বাজার রেললাইন এলাকায় দু‘পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ২ জন গুরুতরসহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। জমি ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় দু‘দফা এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেলিম ও আরজু নামে ২ জনকে আটক করেছে। থানায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, আদমজী সোনামিয়া বাজার এলাকার মোঃ সুমন খান নামে এক ব্যক্তি ৯ পয়েন্ট জমি বিক্রি করার ইচ্ছা পোষন করেন। একই এলাকার হানিফ খার ছেলে সাহেব আলী ও শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজু ওই জমি কিনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। সাজু গং ৪ লাখ টাকা দরদাম করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বায়না করে। এ খবর জেনে সাহেব আলী বিক্রেতাকে পটিয়ে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দরদাম করে গত সোমবার ২ লাখ টাকা বায়না করে। এ বিষয়টি জানার পর এনিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাহেব আলী ও সাজু গংদের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দু,পক্ষকে শান্ত করে চলে আসেন। পুলিশ চলে আসার কিছুক্ষণ পর বেলা ১২ টায় আবার বিরোধ সৃষ্টি হয়। বৃদ্ধ হানিফ ও তার ছেলে সাহেব আলী, সেলিম খা, জাফর খা ও জাফর খার মেয়ের জামাই আরজু লাঠি সোটা নিয়ে হামলা করে। তারা চাপাতি দিয়ে শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তখন সাজুর ভাই সজিব, বোন সাথি,বিথি ও মা মর্জিনা বেগম ওরফে (ব্যালী) লাটি-সোটা নিয়ে পাল্টা হামলা করে। শুরু হয় দু,পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি। লাঠির আঘাতে সাহেব আলীর মাথা ফেটে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় আরো আহত হয় সাহেব আলীর পিতা বৃদ্ধ হানিফ খা, অপর পক্ষের সজিব, স্কুল ছাত্র হৃদয়, সাজুর বোন সাথি ও বিথি। খবর পেয়ে আবার এসআই রফিকুল ইসলাম ও রেজাউল সঙ্গীয় ফোর্সসহ দ্রæত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সাহেব আলী পক্ষের সেলিম খা ও তার ভাতিজি জামাই আরজুকে আটক করে। গুরুতর আহত সাহেব আলী ও সাজুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। গুরুতর আহত সাজু ও সাহেব আলীকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে বলে আহতদের স্বজনরা জানায়।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় সন্ধা পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলে পুলিশ জানায়। তবে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

রূপগঞ্জে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পারটেক্স গ্রæপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আম্বর গ্রুপের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিধ্বস্তের ঘটনায় স্কোয়াড্রন লিডারসহ ৩ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কলাতলী এলাকায় আবাসন প্রকল্প আমেরিকান সিটির বালুর মাঠে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। মাটি থেকে প্রায় ২০০ ফুট ওপরে থাকতেই হেলিকপ্টারটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। এতে হেলিকপ্টারটির ( এএইচওয়াই এস-২ ) সামনের ও পিছনের অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি দেখতে হাজার হাজার জনতার ভীড় জমে। 
আহতদের মধ্যে রয়েছেন হেলিকপ্টারের স্কোয়াড্রন লিডার ও কো-পাইলট জিয়া ইসলাম, কর্ণেল মিজান ও প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে একজন জানান, বিকাল পৌনে ৩ টার দিকে তারা ঢাকা থেকে পারটেক্স গ্রæপের নিজস্ব হেলিকপ্টারে করে রূপগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। হেলিকপ্টারটি পরীক্ষামূলক চালানোর উদ্দেশ্যেই উড্ডয়ন করা হলে পথিমধ্যে হঠাৎ করে যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দেয়। তখন পাইলট হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে কলাতলীর অবতরণের সময় সেটি বেশ উঁচু থেকে আছড়ে পড়ে। আহতদের চিকিৎসার জন্য অন্য একটি হেলিকপ্টার যোগে দ্রæত ঢাকায় পাঠানো হয়। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাঈল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হেলিকপ্টারটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরামের কার্যকরী কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীর ডালিমকে সভাপতি, আব্দুর রহিম সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এএসএম এনামুল হক প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৭-২০১৯ মেয়াদের নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরামের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে অন্যরা হচ্ছেন-সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম, সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় দত্ত, শহীদুল্লাহ শিশির, আহমেদ রউফ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো: ফয়সাল, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক অপু ভুইয়া, সমাজকল্যাণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ সাগর, অর্থ সম্পাদক সুমন সরকার, দপ্তর সম্পাদক মো: আলাল, প্রচার সম্পাদক ইকবাল হোসেন রোমেছ, প্রকাশনা সম্পাদক সোহেল কবীর, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন-ফরিদ আহমেদ হৃদয়, আলতাফ হোসেন রায়হান, হোসেন ফরহাদ, রাসেল মৃধা ও আবুল খায়ের সিহাব।

কমিটিতে ৮জনকে উপদেষ্টাম-লী করা হয়েছে। তাঁরা হলেন-মুজিবুল হক কবীর, আমজাদ হোসেন, এস এ শামীম, বাতেন বাহার, জিএম জব্বার চিশতি, ইয়াদী মাহমুদ, গোলাম নবী পান্না ও মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ।

ফতুল্লার প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দকে দাপা যুব উন্নয়ন সংস্থার শুভেচ্ছা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে দাপা যুব উন্নয়ন সংস্থার নেতৃবৃন্দ। এসময় নতুন কমিটির সভাপতি এম সামাদ মতিন ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিমকে ফুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দাপা যুব উন্নয়ন সংস্থা।

এসময় প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এড. মশিউর রহমান শাহিন, সাংগঠনকি সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল এবং প্রচার সম্পাদক জি এ রাজুকে ফুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সংগঠটি। শুভেচ্ছা বিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন, দাপা যুব উন্নয়ন সংস্থার মিজানুর রহমান দিপু, মোঃ হানিফ প্রধান, অপু, সাইফুল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, বাপ্পি, হৃদয়,রাব্বি, বাবু-১, বাবু-২, আশরাফুল ইসলাম তৌকির, সাব্বির প্রমুখ।

হাবীবাহ্ নাসরীন এর কবিতা

তার পথ চেয়ে
হাবীবাহ্ নাসরীন

আবেগের বানে ভেসে ভেসে আসা
প্রেম পূজারীর ফুল
তার পথ চেয়ে মনের দেয়ালে
কখন জমেছে ঝুল।

কখন নেমেছে অচেনা আঁধার
কখন নিভেছে আলো
তারাবোনা ওই আকাশি চাদর
তবু যেন জমকালো।

তবু যেন কিছু কিছু পিছুটান
অবিরাম ডাকে আয়
ফেলে আসা সেই প্রিয় খেলাঘর
আকাশের আঙিনায়।

রাতজাগা তারা কেড়ে নিল কারা
বেহিসেবী যত ভুল
পাপে পরিতাপে কখন পুড়েছে
হৃদয়ের উপকূল।

কার পথ চেয়ে সারাটি জীবন
স্রোতহীন জলে ভাসা
সেই বুঝি প্রেম, মায়াবিনী প্রেম
ঘাতকীনি ভালোবাসা।

তানিয়া বিনতে অাকরামের কবিতা

মা

…..তানিয়া বিনতে অাকরাম

পাখিদের ডানা নিয়ে শীত এল গ্রামে,

ভোরের গন্ধ জুড়ে ফুলেদের নামে সূর্য কিরণ দিলে,

আলো এসে ঝরে, অযথাই, অকারণে মাকে মনে পড়ে।

মার হাতে বুনে রাখা লাল সোয়েটার,

এখনও তেমনি আছে আদর-বাহার,

দেরাজের এককোণে যত্নেই রাখা,

হাতে নিলে আজও দেখি মার মুখ আঁকা।

ক্লান্তিতে ভেঙ্গে এলে যুদ্ধের দিন,

মনে হয় মার হাত কপালে বিলীন,

‘ভয় নেই, আমি আছি, আমি তোর মা’

কানে কানে কার গলা? কেউ জানে না।