২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 183

বদলী হয়েও না‘গঞ্জের শ্রেষ্ঠ এসআই মিজান-এএসআই কামরুল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বদলী হয়ে যাবার পরও নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশের শ্রেষ্ঠ এসআই ও এএসআইয়ের সম্মাননা পেলেন ফতুল্লা মডেল থানার সদ্য বদলীকৃত চৌকষ কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান ও এএসআই কামরুল হাসান। ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যান সভায় পুলিশ সুপার মঈনুল হকের কাছ থেকে দুই কর্মকর্তার সম্মাননা ক্রেষ্ট গ্রহন করেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামালউদ্দিন।
ওসি কামালউদ্দিন জানান, সদ্য বদলী হওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান ও এএসআই কামরুল হাসান এখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় ব্যাপক দক্ষতার সাথে মাদক ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে ভূমিকা পালন করেছেন। আর এ কারনেই নিয়মিতভাবেই জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই ও এ্এসআইয়ের সম্মাননা পেয়েছেন তারা। কিন্তু সরকারী রুটিনমাফিক বদলী রীতির কারনেই নিয়মমাফিক তাদের বদলী হতে হয়েছে।
উল্লেখ্য,কর্ম-দক্ষতার কারণে এর আগেও একাধিকবার এস.আই মিজানুর রহমান এবং টানা বারো মাস এ,এস,আই কামরুল হাসান জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী এবং মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার নির্বাচিত হয়েছিলেন। কার্য জীবনের সফলতার ফলে আইজি পদকের মত পদকেও ভুষিত হয়েছিলেন ফতুল্লা মডেল থানার এ.এস.আই কামরুল হাসান। এছাড়াও ঢাকা রেঞ্জের মধ্যে তিন তিনবার শ্রেষ্ঠ এ.এস.আই নির্বাচিত হওয়ার মত গৌরবও রয়েছে কামরুল ইসলামের সফলতার ঝুড়িতে।
সম্প্রতি এসআই মিজানুর রহমান শরিয়তপুর জেলায় এবং এএসআই কামরুল হাসান মানিকগঞ্জ জেলায় বদলী হন।

আলোচনা আর কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে “কবিয়াল” এর অভিষেক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ “কবিয়াল” সাহিত্য,-সংস্কৃতি ও সামাজিক পর্ষদ এর অভিষেক হয়েছে।শুক্রবার কবি বাপ্পি সাহার সভাপতিত্বে বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল ভি আই পি কনফারেন্স হলে সৃষ্টি, সুন্দর ও কল্যাণে ‘কবিয়াল সাহিত্য – সংস্কৃতি ও সামাজিক পর্ষদ’র এর অভিষেক, নবগঠিত কমিটি ঘোষণা ও সাহিত্য আড্ডার মধ্যে দিয়ে এই আয়োজন শেষ হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সুরকার এস এ শামীম, কবি ইয়াদী মাহমুদ্, কবি ও সংগঠক দীপক ভৌমিক,কবি বাতেন বাহার,কবি সোহাগ সিদ্দিকি,কবি ও সম্পাদক নাহীদা অাশরাফী,কবি ও সংগঠক তৌহিদুল ইসলাম কনক, নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেস ক্লাব এর সভাপতি সাইফুল্লাহ্ মাহমুদ টিটু, ছড়াকার ও গল্পকার জাহাঙ্গীর ডালিম,দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ সেন্টু,দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন,কবি তাহমিনা শিল্পী,কবি মাহবুবা ফারুক,কবি শ্যমলী খান,কবি আশেকে খোদা, ফারুক আহম্মেদ, সমতটের কাগজ এর সম্পাদক দামাল জামাল।

প্রথমে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান পর্ব শুরু করা হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কবি মাসুদ রানা লাল একে একে ফুল দিয়ে সম্মানিত অতিথিকে ফুল ও উওরিও দিয়ে বরন করা হয়, যারা কবিতা পাঠ করছেন তারা হলেন, লুৎফর রহমান মিয়া ভাই,মানব কল্যান পরিষদের সভাপতি এম এ মান্নান ভূইয়া, মিথুন খান, শফিকুল ইসলাম আরজু, শহিদুল্লাহ শিশির, মো:আলাল, জান্নাতুল ফেরদৌস, সোলেয়মান ইমরান, নিরব রায়হান,ইকবাল হোসের রোমেছ,হোসেন ফরহাদ,পরশ সাইফুল্লাহ,কবিয়াল নিয়ে গান পরিবেশন করেন হাবিবুর রহমান হাবিব। যারা যারা উপস্থিত ছিলেন কবি ও গল্পকার মোহম্মদ আল-মনির, দৈনিক সংবাদ চর্চার সস্পাদক মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, সাহিদ দেলোয়ার,বদরুল আলম,মোঃ মিজানুর রহমান,মাসুদ রানা,রমজান মাহমুদ,হুসাইন আদনান,মনজুর আহম্মেদ,মনিরা আক্তার,সুকুমার চন্দ্র মন্ডল,হামিদ কাফি,রুহুল আমিন,অপু ভূইয়া,খাইরুল ইসলাম,আল মামুন,মোঃবরকত উল্লাহ,সাংবাদিক জাহাগীর হোসেন,সালাউদ্দিন আমির,মোঃ আনোয়ারুল হক,সাংবাদিক আল আমীন তালুকদার,শারার যুয়ারের অর্পন,আলতাফ হোসেন রায়হান,মোঃ রাসেল মৃধা,এমডি সোহেল,আলিফ মাহমুদ,সোবহান মাসুদ,নিরব রায়হান,মোঃ সাইফুল ইসলাম, নাজমুন নাহার নাসরিন,সুমন সরকার,সোলায়মান ইমরান সহ প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন কবি সাদ্দাম মোহাম্মদ।

এক নজরে “কবিয়াল”সাহিত্য-সংস্কৃতিও সামাজিক পর্ষদ এর কমিটি-

সভাপতি : বাপ্পি সাহা সিনিয়র সহ সভাপতি : সাইফুল্লাহ মাহমুদ টিটু সহ সভাপতি : শফিকুল ইসলাম আরজু ” : আব্দুর রহিম ” : শহীদুল্লাহ শিশির ” : আবুল কালাম আজাদ ” : গিয়াস উদ্দিন খন্দকার ” : মাহমুদুল হাসান ” : সালাম মিয়া ( প্রবাসী) সাধারণ সম্পাদক : মাসুদ রানা লাল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক : সাদ্দাম মোহাম্মদ সহ সাধারণ সম্পাদক : মুন্নি রুনা সাংগঠনিক সম্পাদক : মঞ্জুরুল ইসলাম সহ সাংগঠনিক সম্পাদক: রুহুল আমিন অর্থ সম্পাদক : মিজানুর রহমান দপ্তর সম্পাদক : এম আর সেলিম প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক :সোলায়মান ইমরান সহ প্রচার ও প্রকাশনা : জান্নাতুল ফেরদৌস তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক : মাসুদ রানা সাংস্কৃতিক সম্পাদক : ইকবাল হোসেন রোমেছ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক : এনামূল হক প্রিন্স সাহিত্য সম্পাদক : অপু ভূইয়া নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক : সানজিদা আফরিন গবেষণা সম্পাদক : স্বপন রেজা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক : মৃত্যুঞ্জয় দও সদস্য : ফরিদ আহম্মেদ বাঁধন ফরিদা ইয়াসমিন সুমনা শেখ হাবিবুর রহমান সুমন সরকার তাসলিমা আক্তার পারভিন জাকির আহম্মেদ রিয়া খান আক্তারুজ্জামান লুবনা আক্তার রবিউল ইসলাম রাসেল মৃধা উপদেষ্টা মন্ডলীতে আছেন ইয়াদী মাহমুদ্ দীপক ভৌমিক বাতেন বাহার এস এ শামীম সুভাষ সাহা রনজিৎ মোদক জাহাঙ্গীর ডালিম মহম্মদ আলমনির ভিপি আলমগীর মানিক চক্রবর্তী মোঃ আলাল। অনুষ্ঠানে কবি মোঃ আলালের লেখা ‘বায়ান্ন থেকে একাত্তর’ কাব্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

গিয়াসউদ্দিনের মন্তব্য ‘পাগলের শামিল’

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কমিটির অপর সদস্য সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনের মন্তব্যকে ‘পাগলের শামিল’ মন্তব্য করেছেন বিএনপির বিভিন্ন সহযোগি সংগঠনের নেতারা। ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও সেক্রেটারী শাহ আলম মুকুল প্রেরিত বিবৃতিতে এসব উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া বিবৃতি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ও এস এম সায়েম, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জুয়েল আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদ প্রমুখ।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘যে ইস্যুতে গিয়াসউদ্দিন কথা বলেছেন সেটাইতো অর্বাচীন। কারণ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে সরাসরি কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলেনি। কিন্তু ‘চিলে কান নিয়ে গেছে’ ভেবে গিয়াসউদ্দিন এখন একটি ভ্রান্ত খবরবে পুজি করে নজরুল ইসলাম আজাদের সমালোচনা করছেন। যুবদল নেতারা বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সকল নেতারা এখন নজরুল ইসলাম আজাদকে তাদের অভিভাবক মনে করে যা গিয়াসউদ্দিনের জন্য খুবই হতাশাজনক খবর। রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিতে হয় মননশীল ও প্রজ্ঞা দিয়ে। আজাদ সে কাজটিই করে যাচ্ছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের রাজনীতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সু সংঘঠিত করছেন। আর সে কারণেই একটি মহল তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন। আজাদ রাজনীতিতে শিশু না বরং নবীণ হিসেবে স্ব যোগ্যতায় নিজের অবস্থান সুসংহত করেছেন। স্ব উপার্যিত টাকায় তিনি নির্যাতিত তথা মামলা হামলার শিকার নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কারাগারে থাকাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। সরকার দলের একের পর এক হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন। তিনি সোনারগাঁও কেন কোথায় কোন ধরনের ‘বাণিজ্যকরণ’ এর সঙ্গে জড়িত এমন কোন উদহারণ প্রমাণও কেউ দিতে পারবে না।

মিয়ানমারের অং সান সুচি’র বিচার শুরু

ডেস্ক নিউজঃ মিয়ানমারের ক্ষমতাশীল দলের নেত্রী অং সান সুচি ও দেশটির সেনাপ্রধানসহ অন্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে একটি আন্তর্জাতিক গণআদালতে বিচার শুরু হয়েছে।

সোমবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পার্মানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল (পিপিটি) নামে ওই আদালতে শুনানি শুরু হয়।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েছে, সোমবার বিচার শুরু হয়। আগামী শুক্রবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

এই ট্রাইব্যুনালে রোহিঙ্গা ও কাচিন সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের বর্ণনা দিয়েছেন।

কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল অংশ নেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ মাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্ট্যাডিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যানটন জবানবন্দি দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, পুলিশ, অন্যান্য বৌদ্ধ মিলিশিয়া এবং দেশটির বর্তমান বেসামরিক সরকার অভিযুক্ত। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকও ওই শুনানিতে অংশ নেন।

মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমারে মুসলিম নিপীড়ন বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হবে। বিকালে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সমাপনী বক্তব্য শেষে বিবাদী পক্ষ বক্তব্য রাখবেন। বৃহস্পতিবার দিনভর বিচারকমণ্ডলীর সদস্যরা তাদের বক্তব্য পেশ করবেন। আট সদস্যের বিচারক প্যানেলে রয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্তে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও আইনজীবীরা।

রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা মিয়ানমারের সর্বস্তরে বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার।

ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ বক্ষব্যাধি মেডিসিনে উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহন করায় নিউ পপুলার মেডিকেল সার্ভিসের অভিনন্দন

বক্ষব্যাধি মেডিসিন বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতর ডিগ্রী (এম ডি-বক্ষব্যাধি মেডিসিন ) গ্রহন করায় ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদকে প্রানঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান নিউ পপুলার মেডিকেল সার্ভিসের পরিচালক ও সকল সদস্যবৃন্দ।

ফতুল্লায় ছাত্রলীগের ত্রান বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাংসদ শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমানের পক্ষ থেকে বন্যার্ত ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে “ত্রান সামগ্রী বিতরন  অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপ্রতি রাফেল প্রধান, তোলারাম কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের জি এস আসাদ, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা শুভ রায়, আহম্মেদ কাউছার, ফতুল্লাহ থানা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান জুয়েল, বাছেদ প্রধান, উমর ফারুখ ফয়সাল, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা কর্মী  ও এলাকার পঞ্চায়েতের সভাপ্রতি হাজী আহসান উল্লাহ, সেক্রেটারি মুসলিম উদ্দিন মুসা প্রমুখ।

নিরীহ ১৫ হাজার পরিবারের ফসলি জমি উদ্ধার না হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অচল করে দেব – তৈমুর

রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের নিরীহ ১০ থেকে ১৫ হাজার পরিবারের প্রায় তিন হাজার একর অবৈধভাবে দখল থাকা ফসলি জমি উদ্ধার না হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অচল করে দেবার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকার।

বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের নামে বেনামে অবৈধভাবে দখল ফসলি জমি দখল করে নিয়েছেন ভূমিদস্যুরা। প্রতিবাদে জমিহারা নিরীহ কৃষকরা আদালতপাড়ায় মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে এমন ঘোষনা দেন তৈমূর।

মানব বন্ধনে ওই উপজেলার করাটিয়া, আঙ্গারজোড়া, পাশনদা, চারিতালোক, পাইশকা, কুতুব গ্রামের শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

তৈমূর আলম খন্দকার আরও বলেন, জনগণের জানমালের রক্ষার দায়িত্ব হলো প্রশাসনের। কিন্তু সেই প্রশাসনের নামে সাইনবোর্ড লাগিয়ে অসহায় কৃষকদের হাজার একর জমি দখল করে নিয়ে যাচ্ছে এলাকার একটি ভূমি দস্যু চক্র। আমরা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে ফসলি জমি রক্ষার জন্য স্মারকলিপি প্রদান করছি। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। এর পরে কোন পদক্ষেপ না নিলে রূপগঞ্জবাসীকে নিয়ে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য ও  জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আনিসুর রহমান দিপু বলেন, ভূমি দস্যুরা যত বড় নেতাই হোক না কেনো নারায়ণগঞ্জ আইনজীবীরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। আর যারা ফসলি জমিতে হাত দিবে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ফসলি জমি রক্ষার জন্য একটি আইন পাশ করেছে। সেখানে উল্লেখ আছে কেউ জোরপূর্বক ফসলি জমি দখল করতে পারবে না। আর যদি এই ভাবে ভূমি দস্যুরা কৃষকের ফসলি জমি নিয়ে যায় তাহলে কৃষকদের পাশাপাশি আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবো ।

এ সময় ভোক্তভোগির স্বীকার কৃষকরা বলেন, আমাদের ফসলি জমি পৈতিক সূত্রেই পাওয়া। কিন্তু বালু ভরাটের নামে আমাদের প্রায় তিন হাজার একর জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন ভূমিদস্যুরা। তারা আরও জানান, কাঞ্চন পৌর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই তরিকুল ইসলাম মোগল তার সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের সাথে আঁতাত করে জোর করে আমাদের জমি দখল করছে। আমরা জমিতে গেলে তারা আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

তারা আরও বলেন, ইটালিয়ান সিটি, পুলিশ অফিসার সমবায় সমিতি, প্রীতি রিয়েলিটি লিঃ এই আবাসন প্রকল্প গুলো স্থানীয় ভূমি দস্যুদের সঙ্গে নিয়ে অবৈধভাবে বালু ভরাট করে আমাদের ফসলি জমি নিয়ে যাচ্ছে।

এ সময়ে নিরহ ভূমিহীন মালিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-এড. হাসান মাহমুদ, হাবিবুর রহমান মোল্লা, নাজিম উদ্দিন মোল্লা, মহিউদ্দিন ভূঁইয়া, ওসমান গনি, আব্দুল আজিজ, শাহজাহান ভূঁইয়া প্রমুখ।

 

‘রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণকে ভয় পাই না’ – সু চি

মিয়ানমারে নির্বিচারে রোহিঙ্গা গণহত্যায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্বেগে মোটেও বিচলিত নন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর (কার্যত প্রধানমন্ত্রী) অং সান সু চি। তিনি কঠোর সুরে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যবেক্ষণ মিয়ানমার ভয় পায় না।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব নেতারা মিয়ানমারে আসুন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করুন, দেখুন কেন রোহিঙ্গারা পালাচ্ছে।

আজ রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের নাইপিদো-তে দেওয়া ভাষণে সু চি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গারা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে। তবে সরকার শান্তি বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

সু চির ভাষণ নিয়ে কী বলছে বিশ্ব নেতারা ?

দীর্ঘদিন চুপ থাকার পর মিয়ানমারের রাখাইনের রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আজ মঙ্গলবার নীরবতা ভাঙেন স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। টেলিভিশনে প্রচারিত জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, রাখাইনে সবার দুর্ভোগ গভীরভাবে অনুভব করে তাঁর সরকার। সেখান থেকে মুসলমানদের পালিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার খবরে সরকার উদ্বিগ্ন। মুসলমানরা কেন পালাচ্ছে, তা সরকার খুঁজে বের করতে চায় বলেও তিনি জানান। সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানান। রাখাইনে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন।

এএফপি বলছে, তবে সু চির এসব কথায় আশ্বস্ত হতে পারছে না আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তারা বলছে, সু চি তাঁর ভাষণে সেনাবাহিনীর ভূমিকার বিষয়ে কিছু বলেননি। তিনি তাঁর বক্তব্যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আক্রান্ত লোকজনকে দোষারোপ করেছেন।

মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান মিশনের প্রধান মারজুকি দারুসমান বলেছেন, রাখাইনে যেসব সহিংসতার অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা খতিয়ে দেখতে হলে ঘটনাস্থলে যেতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন দেশটিতে পূর্ণভাবে অবাধে প্রবেশের নিশ্চয়তা। এই সংকটের বিষয়ে দ্রুতই দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা সহিংসতার অভিযোগের বিষয়ে কিছু না বলায় অং সান সু চি ও তাঁর সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি বলছে, আজকের ভাষণে সু চি স্পষ্ট করেছেন যে তিনি ও তাঁর সরকার রাখাইনের সহিংসতা বিষয়ে বালুতে মাথা গুঁজে রেখেছেন। তিনি বরং তাঁর বক্তব্যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদেরই দোষারোপ করেছেন। সু চি পরিস্থিতি দেখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যে আহ্বান জানিয়েছেন, সে ব্যাপারে সংস্থাটি বলছে, মিয়ানমারের যদি কিছু লুকানোর না থাকে, তাহলে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান কমিটিকে তদন্তের জন্য দেশটিতে ঢুকতে দেওয়া হোক।

রাখাইনে চলমান দমন-পীড়নের মুখে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই এ বিষয়ে মিয়ানমার ও সু চির ভূমিকার সমালোচনা করে আসছেন।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কর্মকর্তা ফিল রবার্টসন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কিছুটা বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করছেন সু চি। তবে তিনি এত কিছু বলছেন না, যা তাঁকে সেনাবাহিনী ও মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে ঝামেলায় ফেলতে পারে। কারণ এ দুটি পক্ষই রোহিঙ্গাদের অপছন্দ করে।’

রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সু চি

অবশেষে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মুখ খুললেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। তিনি বলেছেন, রাখাইন থেকে মুসলমানদের পালিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার খবরে তারা (সরকার) উদ্বিগ্ন। তারা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায়।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আজ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে সু চি এ কথা বলেন। তাঁর ভাষণ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

মিয়ানমারের রাখাইনে সবশেষ সহিংসতা শুরুর পর এই প্রথম প্রকাশ্যে বক্তব্য দিলেন সু চি। রাখাইনে চলমান দমন-পীড়নের মুখে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটে এত দিন নীরব থাকায় সমালোচিত হচ্ছিলেন সু চি।

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, রাখাইন সহিংসতায় সব মানুষের দুর্ভোগ গভীরভাবে অনুভব করেন তিনি।

সু চি বলেন, ‘রাখাইন থেকে মুসলিমরা কেন পালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে চাই।’

বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের সত্যাসত্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া যেকোনো সময় শুরুর ব্যাপারে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে জানান সু চি।

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর বলেন, ‘আমরা শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।’

এনএলডি নেত্রী বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, ঐক্য চাই। যুদ্ধ চাই না।’

অন্যকে দোষারোপ করা বা দায়িত্ব এড়ানো মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশ্য নয় উল্লেখ করে সু চি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বেআইনি সহিংসতার নিন্দা জানাই।’

রাখাইন সংকট প্রসঙ্গে সু চি বলেন, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আছে। তাঁদের সব কথাই শুনতে হবে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অভিযোগগুলো যে তথ্য-প্রমাণনির্ভর, তা নিশ্চিত করতে হবে।

পরিস্থিতি দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাখাইন পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন সু চি। এ ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বলেছেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে তাঁর সরকার কাজ করবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের বিষয়ে মিয়ানমার সরকার ভীত নয় বলে উল্লেখ করেন সু চি। তিনি বলেন, মিয়ানমার একটি নবীন ও ভঙ্গুর দেশ। তাঁরা অনেক সমস্যা মোকাবিলা করছেন। সব সমস্যাই মোকাবিলা করতে হবে। কিছু সমস্যা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না।