২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 228

নারায়ণগঞ্জের জনগন আমার মালিক- শামীম ওসমান

শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের জনগন আমার মালিক।আমি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা না। জেলা কমিটিরও কেউ না। আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী। আপনাদের ভাই।  আমি আপনাদের ভাই হিসেবেই থাকতে চাই। শনিবার বিকেলে নগরীর ওসমানী আউটার ষ্টেডিয়ামে আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন। সমাবেশের ব্যানারে লেখা ছিলো ‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত করে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে বিশাল জনসভা’। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ এ সমাবেশ আয়োজন করে। এমপি শামীম ওসমান কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হতে যাচ্ছেন বলে গত কয়েকদিন ধরে এমপি শামীম ওসমানের সমর্থক স্থানীয় নেতারা ও তার সমর্থক স্থানীয় পত্রিকাগুলি ধারনা দিচ্ছিলো। কিন্তু শামীম ওসমান সাংগঠনিক সম্পাদক হতে পারেননি। এমনকি কেন্দ্রীয় কমিটির কোথাও তার ঠাই হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জে যখন ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছিলো তখন সমাবেশে তিনি একথা বলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামীলীগ কর্মী জানান, এমপি শামীম ওসমান আশায় ছিলেন তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাই পাচ্ছেন। জনসভাটি আয়োজন করা হয় এমপি শামীম ওসমানের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাই পাওয়ায় তাকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমন কোন সুখবর না আসায় জনসভায় ‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত করে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে বিশাল জনসভা’ হিসেবে এ আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে আাবারো জঙ্গি হামলার আশংকা প্রকাশ করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় পঞ্চায়েত কমিটি গঠন করে জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে তাদের ধ্বংস করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, সে বাচ্চা মানুষ। আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনার মন জয় করতে হলে অবশ্যই আইভীকে ক্ষমা চাইতে হবে। বড় ভাই হিসেবে আমি তাকে ক্ষমা চাইতে বলেছি। সে যদি ক্ষমা না চায় তাহলে আমার কিছু করার নাই। আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় তাহলে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগরে সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদাল, মহানগর আওয়ামীলীগরে সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সহ-সভাপতি রোকনউদ্দীন আহম্মদে, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগরে সভাপতি মজবিুর রহমান, বন্দর থানা আওয়ামীলীগরে সভাপতি এমএ রশিদ, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগরে সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী,নারায়ণগগঞ্জ মহানগর প্রজন্মলেিগর সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমন, সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদ মুস্তাহিদ খান, সোহেল মাহমুদ, ডা: কামরুল হাসান সরকার, শেখ সেলিম মাদবর প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ এডভোকেট হোসনে আরা বাবলি, রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী। দুপুর থেকে শহর, বন্দর, সোনারগাঁও, সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও ফতুল্লাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা মহাসমাবেশে যোগ দেয়। এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে ফেষ্টুন ব্যানার, প্লে-কার্ড নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেয়। সমাবেশের সুবিধার্থে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে যানচলাচল বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। বিকেল চারটা থেকে পাচটা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড দিয়ে যান চলাচলও। ফলে নগরীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। সন্ধা সাড়ে সাতটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ যানজট অব্যহত ছিলো। যানজটের কারনে নগরবাসিকে প্রচন্ড দূর্ভোগে পড়তে হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বাস থেকে নেমে পায়ে হেটে বাড়ি ফিরেন।এছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জের দোকানপাট বন্ধ করে জনসভায় আসতে বাধ্য করা হয় বলে ভুক্তভোগী অনেকেই অভিযোগ করেন। জনসভার কারনে প্রধান সড়কগুলোতে যানজটের কারনে নগরীর প্রতিটি পাড়া মহল্লায়ও যানজট সৃষ্টি হয়।এছাড়া গতকাল নগরীর ফুটপাথগুলোও ছিলো হকারমুক্ত। হকারদের জনসভায় আসতে কঠোর নির্দেশ ছিলো বলে হকাররা জানায়। শামীম ওসমান বলেন, ৯৬ সালের আগে কোন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে একটি কথাও লেখা হয় নাই। কেউ কোন দিন খারাপ বলে নাই। সেদিন আমরা লংমার্চ ঠেকিয়ে দিয়েছিলাম-এটা সত্য। আমার কাছে খবর ছিল, অবশ্যই সর্ব্বোচ্চ পর্যায় থেকে খবর ছিল। যারা সাংবাদিক ভাই, সচেতন মানুষ আছেন তাদেরকে আহবান করবো, যান সেই দিনকার গোয়েন্দা সংস্থার ফাইল দেখেন। ডিজিএফআই, এনএসআই, সিটি এসবির ফাইল দেখেন। সেই ফাইলে লেখা আছে, খালেদা জিয়া ৯৮ সালে লং মার্চে যাচ্ছিলেন। সেই লং মার্চে জামায়াতও ছিল। সেই গাড়ির বহরে তিনটি বাসে মাটি কাটা লেবার ছিল। ফেনীর কোন এক জায়গায় সেই বাসগুলোকে উদ্দেশ্যে করে বোমা হামলা করে তাদেরকে হত্যা করা হতো। সেদিন চট্টগ্রামের দায়িত্ব ছিল সাকা চৌধুরী ও ঢাকার দায়িত্বে ছিল সাদেক হোসেন খোকা। তারা তখন বলতো খালেদা জিয়ার বহরে হামলা হয়েছে। শত শত কোটি টাকার বাজেট ছিল। যখন-এই খবর আমার কাছে আসলো-এই কাজটা করতে গেলে আমি তাদের চক্ষুশূল হবো। আমি তখন চিন্তা করলাম আমার রিস্কের কারণে যদি ৬০/৭০ জন লোকের প্রাণ বেঁচে যায় এবং বাংলাদেশের মানুষ যদি সংঘাত থেকে বেঁচে যায়। তাহলে আমার দায়িত্ব এই কাজটা করার। আমরা কিন্তু লং মার্চ আটকে রাখিনি, বিলম্বিত করেছিলাম। যেই সময় সরকারের কাছে খবর ছিল, সেই সময় লং মার্চের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব ছিল না। আমার দায়িত্ব ছিল গাড়িগুলো আটকে দেয়ার। যখন নির্দেশ এলো তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার জীবনের উপর কোন হুমকি নাই। তখন গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তখন বিরোধী দলীয় নেত্রী আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিলেন। তিনি দেখে নিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা হয়েছে। শামীম ওসমান আরো বলেন, আজ সারা বাংলাদেশে যখন জঙ্গীবাদের কথা বলছে। আমি আগে যখন জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতাম, তখন অনেকেই বলতে শামীম ওসমান এই তত্ত¡ পায় কই। তখন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের দলীয় নেত্রী সাহারা খাতুনও বলেছিলেন, দেশে জঙ্গীবাদ নাই। তখন আমি বলেছিলাম, জঙ্গীবাদ আছে। আজকে বিএনপির শাসুজ্জামান দুদু গত পরশু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কাশ্মিরের জনগণের পক্ষে। আমি এই বক্তব্যের গভীরে যেতে চাই। এই কাশ্মির কন্ট্রোল করতে চায়, লস্কর এ তৈয়্যবা, জয়শ-এ-মোহাম্মদ এর মতো আর্ন্তজাতিক জঙ্গী সংগঠনগুলো। বিএনপির নেতা দুদুর কথায় তা স্পষ্ট হয় তারা এসব আন্তজার্তিক জঙ্গী সংগঠন লস্কর এ তৈয়্যবা, জয়শ-এ-মোহাম্মদ’র সমর্থন চায়। তারা জানে জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই আজকে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। #

বক্তাবলীতে ১০টাকা কেজি চাউল বিক্রি কার্যক্রম শুভ উদ্ভোধন করেন হাজী এম.শওকত আলী।

সরকার প্রদত্ত হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিতরনের কার্যক্রম সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউপিতে শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে ১০টায় বক্তাবলী বাজারে এ কার্যক্রম শুভ উদ্ভোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান হাজী এম.শওকত আলী।

এ সময় আরো উপস্থিত বক্তাবলী ইউপি মেম্বার আতাউর রহমান প্রধান,হাজী মো.ওমর ফারুক,মো.রাসেল চৌধুরী,আকিলউদ্দিনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ইউপির ৯টি ওয়ার্ডের মো.রমজান বেপারী,রাকায়েত বেপারী ও মন্নাফ ৩জন ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরের চাউল বক্তাবলীতে বিক্রি করা হবে।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী এম.শওকত আলী ডিলারদের উদ্দেশ্যে বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সামনে এগুচ্ছেন। তার এ মহৎ উদ্দেশ্যেকে সফল করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি ডিলারদেরকে বলেন,কোনভাবেই যেন ১০টাকা কেজি দরের চাউল হতদরিদ্র বাদে অন্যকোন স্থানে বিক্রি না হয়। যদি কোন ডিলারদের বিরুদ্ধে এরুপ কোন অভিযোগ উঠে তাহলে তাদের ডিলারশিপ বাদ করা সহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

১০টাকা কেজি দরের চাউল বিক্রির প্রথম দিনেই ইউপিতে ১৫০০ জন হতদরিদ্র চাউল সংগ্রহ করেন।

ওবায়দুল কা‌দেরের বক্তব্যে জাতি হতাশ : রিজভী আহমেদ

সঙ্কট সমাধা‌নে সংলাপ বা আ‌লোচনা নাকচ ক‌রে দি‌য়ে আওয়ামী লী‌গের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কা‌দেরের বক্তব্য জা‌তি‌কে হতাশ ক‌রে‌ছে ব‌লে মন্তব্য করে‌ছেন বিএন‌পির সি‌নিয়র যুগ্ম মহাস‌চিব অ্যাড‌ভো‌কেট রুহুল ক‌বির রিজভী।

শুক্রবার বেলা সোয়া এগারটার দি‌কে রাজধানীর নয়াপল্ট‌নে বিএন‌পির কেন্দ্রীয় কাযাল‌য়ে এক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে তি‌নি এ কথা ব‌লেন।

রুহুল ক‌বির রিজভী ব‌লেন, আমরা আ‌গে থে‌কে জা‌নি ক্ষমতাসীনরা কেন আ‌লোচনায় বস‌তে চান না। শেখ হা‌সিনার অধী‌নে নির্বাচ‌নে গে‌লে কী হ‌বে তার উপ‌দেষ্টা এইচ টি ইমাম ব‌লে‌ছেন, নির্বাচ‌নের প্রস্তু‌তি গু‌ছি‌য়ে রে‌খে‌ছিলাম। অর্থাৎ ভোট যাই হোক ফলাফল শাসক দ‌লের প‌ক্ষে। শাসক দল ফের এ রকম এক‌টি নির্বাচন কর‌তে চায়। তাই তারা আ‌লোচনায় বস‌তে চান না।

তি‌নি ব‌লেন, শাসক দ‌লের অঙ্গ সংগঠ‌নের নেতাকর্মী‌দের দ্বারা নারী নির্যাতন রে‌ড়েই চল‌ছে। এ‌দের উপদ্র‌বে ছে‌লে‌মে‌য়েরা স্কু‌লে যে‌তে পা‌রে না। রাজধানীসহ সারা দে‌শে দিন‌দিন ক্ষমতাসীন‌দের নির্যাত‌নের ভয়াবহতা বাড়‌ছে। বিচা‌রের হাত অপরাধী‌দের দি‌কে প্রসা‌রিত হ‌চ্ছে না। কারণ তারা শাসক দ‌লের কর্মী। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হ‌য়েও কিভা‌বে নি‌শ্চুপ থা‌কেন তা জনগ‌ণের ম‌নে প্রশ্ন।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে আরো উপ‌স্থিত ছি‌লেন,‌ বিএন‌পির যুগ্ম-মহাস‌চিব খায়রুল ক‌বির খোকন, আন্তর্জা‌তিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড‌ভো‌কেট মাসুদ আহ‌মেদ তালুকদার, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আ‌জিজুল বারী হেলাল, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু,‌ বেলাল আহ‌মেদ প্রমুখ।

ইশ্বরের নির্দেশ! আর গালি দেবেন না ফিলিপিনের প্রেসিডেন্ট

ফিলিপিনের প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতার্তে সম্প্রতি বার বার সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন খুবই বাজে ভাষায় বিভিন্ন দেশের নেতাদের গালিগালাজ করে।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট দুতার্তে এখন দাবি করছেন, এরকম গালিগালাজ বন্ধ করার জন্য তিনি ঐশীবাণী শুনেছেন। নইলে তাকে বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে তাকে।

আমি একটি কন্ঠ শুনতে পেলাম আমি যেন গালি দেয়া বন্ধ করি। নইলে মধ্য আকাশ থেকে আমার বিমান বিধ্বস্ত হবে। কাজেই আমি প্রতিজ্ঞা করছি আর বাজে কথা বলবো না।

জাপানে এক সফর থেকে নিজের শহর ডাভাও-তে ফিরে প্রেসিডেন্ট দুতার্তে তার এই সংকল্পের কথা জানান।

প্রেসিডেন্ট দুতার্তে যে ভাষায় বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের নেতাদের গালাগালি করেন, তার কারণে অবশ্য স্বদেশের মানুষের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বাড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামাকে তিনি “কুকুরের বাচ্চা” বলে গালি দেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে “ভন্ড” বলে বর্ণনা করেন। এমনকী তিনি জাতিসংঘ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা দেন।

হিটলারের সঙ্গে নিজের তুলনায় খুশি হয়ে তিনি দরকার হলে তিরিশ লক্ষ মাদকাসক্তকে হত্যা করতে রাজি বলে জানান।

প্রেসিডেন্ট দুতার্তে নিজ দেশে মাদক ব্যবসা এবং মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ চালাচ্ছেন, সেটার সমালোচনার জবাবে এসব কথা বলেন।

তবে এখন থেকে নিজের বক্তৃতায় আর কোন বাজে শব্দ, কথা আর ব্যবহার করবেন না বলে অঙ্গীকার করছেন তিনি।

তবে এই অঙ্গীকার তিনি মেনে চলবেন কীনা, তাকে তিনি শর্তসাপেক্ষ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ঈশ্বরকে কথা দেয়া মানে, ফিলিপিনের জনগণকে কথা দেয়া। তবে এই কথা তিনি রাখবেন কীনা, সেটা নির্ভর করবে সময়ের ওপর।

ফিলিপিনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতো প্রেসিডেন্ট দুতার্তেও রোমান ক্যাথলিক ধর্মের অনুসারী। কিন্তু রোমান ক্যাথলিকদের ধর্মগুরু পোপকেও তিনি “পতিতার বাচ্চা” বলে গালি দেন।

প্রেসিডেন্ট দুতার্তে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দেশের দীর্ঘদিনের মৈত্রীর সম্পর্ক ছেদ করতে চান বলে জানান। তিনি বলেন, মার্কিন সেনারা আগামী দুবছরের মধ্যে ফিলিপিন ছেড়ে যাচ্ছে, সেটাই তিনি দেখতে চান। -বিবিসি

বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যার বিচার প্রক্রিয়া আবারো প্রশ্নবিদ্ধ

বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যায় দায় মুক্তি বা বিচার এড়ানোর অভিযোগ তুলেছে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্তর্জাতিক সংগঠন সিপিজে৷ তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে অন্তত সাত জন সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় দায়মুক্তির কথা বলেছে তারা।

তবে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিজম বা সিপিজে যে সাত জনের নাম বলেছে তাদের মধ্যে মাত্র দুই জন পেশাদার সাংবাদিক, বাকি পাঁচ জন ব্লগার বা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট৷ সিপিজের প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক হত্যার বিচার এড়ানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এ বছর ১১তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এর আগের বছর বাংলাদেশ ছিল ১২তম স্থানে৷ তার মানে হলো. সিপিজে’র বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থার অবনতি ঘটেছে৷

সিপিজে’র তালিকার শীর্ষে আছে সোমালিয়া৷ দেশটি দ্বিতীয়বারের মতো শীর্ষে অবস্থান করছে৷ সোমালিয়ার পরে আছে যথাক্রমে ইরাক, লিবিয়া, ফিলিপাইন্স, দক্ষিন সুদান, মেক্সিকো, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ব্রাজিল, রাশিয়া, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া ও ভারত৷

সাংবাদিক হত্যার মামলাগুলোর সন্দেহভাজনদের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসসহ অপরাপর জঙ্গি সংগঠন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি ৪০ শতাংশ ঘটনায় জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়৷ সেখানে বলা হয়, ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সাংবাদিক হত্যার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এবারের তালিকাটি করা হয়েছে৷ এই সময়কালে অন্তত পাঁচটির বেশি অমীমাংসিত সাংবাদিক হত্যা মামলা রয়েছে এমন দেশের সংখ্যা ১৩টি৷ গত বছর এই তালিকায় এমন দেশের সংখ্যা ছিল ১৪৷ তালিকার ক্ষেত্রে যেসব মামলায় কারো কোনো শাস্তি হয়নি, সেসব মামলাকে অমীমাংসিত হিসেবে ধরা হচ্ছে৷ আর যেসব মামলায় অপরাধীদের মধ্যে সবাইকে আইনের আওতায় আনা যায়নি, সেগুলোকে আংশিক অব্যাহতি হিসেবে ধরা হলেও তালিকাভূক্ত করা হয়নি৷

সিপিজে বাংলাদেশের যে ৭ জনের হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের বিচার না হওয়ার কথা বলছে, তাদের ২ জন সরাসরি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত ছিলেন৷ সেই দুজন হলেন, ২০১৪ সালের ২১ মে  নিহত সদরুল আলম নিপুল এবং ২০১২ সালের ১৫ জুন নিহত জামাল উদ্দীন৷ আর বাকি পাঁচ জন, অর্থাৎ উল্লেখিত ব্লগার-অ্যাক্টিভিস্টরা হলেন, ২০১৫ সালে নিহত ফয়সাল আরেফীন দীপন, নিলয় নীল, অনন্ত বিজয় দাশ, ওয়াশিকুর রহমান বাবু এবং অভিজিত রায়৷ ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যার বিচার হওযায় ওই মামলাটি এই তালিকায় নেয়নি সিপিজে৷ সিপিজে বলছে, বাংলাদেশে হত্যাকারীদের নিশানায় ছিলেন সেক্যুলার ব্লগার এবং মাদক চোরাচালান সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা সাংবাদিক৷

বাংলাদেশে ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২২ জন সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে৷ আর ২০০৬ সাল থেকে পরের ১০ বছরে হত্যার শিকার হয়েছিলেন ৬ জন৷ এই হিসেবে অবশ্য ব্লগাররা নেই৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার অধ্যাপক ড. সফিউল আলম ভুইয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, বাংলাদেশে শুধু সাংবাদিক হত্যা নয়, যে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতেই অনেক সময় লাগে৷ এটা প্রচলিত আইনের ত্রুটি৷ উদ্দেশ্যমূলকভাকে সাংবাদিক হত্যার বিচার বিলম্বিত করা হয় তা আমার মনে হয় না৷ তবে তিনি মনে করেন, হত্যাকাণ্ডের বিচার ত্বরান্বিত করতে আইন সংশোধন করা যেতে পারে৷

অন্যদিকে সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান মনে করেন, এসব জরিপ নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ আছে৷ ব্লগাররা মুক্তমনা৷ তাদের সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভূক্ত করে এই জরিপ গ্রহনযোগ্য হবেনা বলেই মনে হয়৷

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যার নানা ধরণ আছে৷ এর ভিতরে পেশার কারণে কতটি হত্যাকান্ড ঘটেছে, তা অনুসন্ধান করা প্রয়োজন৷ তবে সাংবাদিক হত্যায় যারা জড়িত, তারা শক্তিশালী এবং তারা নানা কৌশল অবলম্বন করে৷ এ কারণে তারা অনেক সময় পার পেয়ে যায়৷ আবেদ খান আরো বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত ব্রিটিশ আইন আসামিদের পক্ষে, বাদির পক্ষে নয়৷ বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে এটিও একটি বড় বাধা৷-ডয়চে ভেলে।

ছেলের দুশ্চিন্তায় গ্যালারিতে বসেই কাঁদলেন মুশফিকের মা

আজ বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের মধ্যকার শেষ টেস্টের প্রথম দিনের খেলার মাঝামাঝি সময়ে বেন স্টোকসের ধেয়ে আসা বাউন্সারটা লাগল একেবারে মুশফিকুর রহিমের হেলমেটের পেছনে। মাটিতে পড়ে গেলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক।

ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরাই দ্রুত ফিজিওকে আসার ইঙ্গিত দিলেন। দৌড়ে ঢুকলেন বাংলাদেশ দলের ফিজিও। খানিক পরে ইংল্যান্ডের ফিজিও। স্ট্রেচার হাতে ফায়ার ব্রিগেডের দুই সদস্যও। খানিক পরে মুশফিক নিজেই উঠে দাঁড়ালেন। দুশ্চিন্তার মেঘটা সরে গেল তাতে। দর্শকেরা অধিনায়ককে অনুপ্রাণিত করলেন তুমুল করতালিতে।

তবে যখন বাউন্সারের আঘাতে ক্রিজে লুটিয়ে পড়লেন মুশফিক, তখন টিভি স্ক্রিনে তখন ভেসে আসল মুশফিকের বাবা-মায়ের চেহারা।

তবে দর্শকেরা অধিনায়ককে তুমুল করতালিতে অনুপ্রাণিত করলেও গ্যালারিতে বসা মুশফিকের মা রহিমা খাতুনের শংকা কাটলো না। কেঁদে দিলেন ছেলের দুশ্চিন্তায়।

দুশ্চিন্তা তো থাকবেই! মা বলে কথা। তবে এসময় মুশফিকের বাবা মাহবুব হামিদ তাকে সান্তনা দেন।

বর্তমানে আমি রাজনীতিতে সক্রিয় নই: সোহেল তাজ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে গুঞ্জন ছিল দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ দলটির কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসছেন। সম্মেলনের আগে গুঞ্জন চললেও সম্মেলন শেষে তাজকে দেখা যায়নি দলটির কোনো পদে। তবে সব আলোচনার অবসান ঘটিয়েছেন সাবেক এ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন ‘বর্তমানে আমি রাজনীতিতে সক্রিয় নই।’

সোহেল তাজের ফেসবুকে স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘আপনাদের মন্তব্য এবং গণমাধ্যমের কিছু সংবাদ দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে, অনেকের ধারণা সদ্য অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ council এ আমাকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে।

এই বিষয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর খবরও প্রকাশিত হয়েছে এবং এও প্রচারিত হয়েছে যে, আমি দেশে ফিরেছি council এর কারণে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এসব ধারণা সঠিক নয়, আমি কোনো পদ কারো কাছে চাইনি এবং আশাও করিনি, কারণ বর্তমানে আমি রাজনীতিতে সক্রিয় নই।’

সোহেল তাজের এ স্ট্যাটাস প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় চার হাজার লাইক ও প্রায় বারো’শ কমেন্ট পড়েছে। সেই সঙ্গে ১৪০টির মত শেয়ার হয়েছে।

এদিকে স্ট্যাটাসে দেয়া সোহেল তাজের এমন সিদ্ধান্তকে পরিবর্তনের অনুরোধ জানান সাধারণ পাঠকরা। পাঠকরা তাকে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানান। দেশের জন্য সোহেল তাজকে দরকার বলে তারা উল্লেখ করেন।

এর আগে সোহেল তাজ রাজনীতিতে ফিরছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা গিয়েছিল। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়ার বিষয় গুঞ্জন ছিল সোহেল তাজের। কাউন্সিলের আগে সোহেল তাজের এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এ গুঞ্জনে আরও জোরালো হয়েছে। তিনি তার ফেসবুক পাতায় বাংলাদেশের লাখো মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আর এর জন্য বাংলাদেশে প্রচুর সময় দিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে তিনি রাজনীতিতে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

তার বাস্তব প্রমাণও মিলেছিল সম্মেলনের মঞ্চে সোহেল তাজের উপস্থিতি। সেই সঙ্গে সম্মেলনের ঠিক আগ মুহূর্তে টানা দুদিন দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক। সম্মেলন স্থলও পরিদর্শন করেছেন তিনি।

প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ চারদলীয় জোট সরকার আমলে রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় থেকে অনেকের নজর কাড়েন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয় অর্জন করেন। সে সময় গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গঠিত মন্ত্রিসভায় সোহেল তাজকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এর পাঁচ মাসের মাথায় ২০০৯ সালেই তিনি পদত্যাগ করেন।

ওই বছর ৩১ মে তিনি পদত্যাগ করে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন। কিন্তু তখন তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন বছর পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি পদত্যাগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারিরও আবেদন জানান। সেই সময় থেকে তার ব্যক্তিগত হিসাবে পাঠানো বেতন-ভাতার যাবতীয় অর্থ ফেরত নেয়ারও অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে। এরপর ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিলে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ।

বন্দরে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মানববন্ধন

বন্দরে স্বামী পরিত্যাক্তা ২ সন্তানের জননী দুলালী হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও বাদ আসর নবীগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে মানববন্ধন করে। খুনীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে এলাকাবাসী অংশ গ্রহন করেন।

গত ১৬ অক্টোবর নবীগঞ্জ রওশন বাগের বাড়ী থেকে দুলালীকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে। ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৭ অক্টোবর দুলালী বেগম (২৫) মারা যায়।

ময়না তদন্ত শেষে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় নবীগঞ্জ কবরস্থানে দুলালীর লাশ দাফন করা হয়।

মামলার বাদী নিহত দুলালীর চাচা আক্তার হোসেন জানান, বন্দর থানার নবীগঞ্জ রওশনবাগ এলাকার মৃত বাছেদ মিয়ার মেয়ে দুলালী সাথে বন্দর তিনগাঁও সুতারপাড় ভদ্রাসন এলাকার হাসান আলী মিয়ার ছেলে নূর ইসলাম পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এ সুবাধে প্রায় সময় প্রেমিক নূর ইসলামের বাড়ীতে যাতায়ত করত।

এ সূত্র ধরে গত ১৬ অক্টবর সন্ধ্যা ৭টায় প্রেমিক নূর ইসলাম প্রেমিকা দুলালীকে কথা আছে বলে রওশনবাগ এলাকা থেকে তার ডেকে নিয়ে যায়। পরে পরকিয়া প্রেমিক নূর ইসলামের ২ স্ত্রী সেলিনা বেগম, হেলেনা বেগম, ছেলে আল আমিন, মা মাফিয়া বেগম মিলে তাকে পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত ভেবে কুশিয়ারায় চন্ডিতলা বিলে ফেলে পালিয়ে যায়। ১০ দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। দুলালী খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন রওশনবাগ পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক কামাল বাদশার নেতৃত্বে, লাভলু, সুরুজ, মধূ, সুমন, মহসীন, বাপ্পি, রহিম, আক্তার, আরমান, পাগলা, আক্তার হোসেন, কালুন, আলী আকবর, আন্নাস, রাজু আহাম্মেদ, আঃ করিম, খোরশেদ, রুবেল, রবিউল হোসেন পাখিসহ এলাকার শত শত নারী-পুরুষ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বন্দর থানার পুলিশ প্রশাসন দুলালীর খুনীদের গ্রেফতারে ও মামলা নিতে সকল প্রকার সহযোগিতা করেছেন। তাই তারা বন্দর পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

বক্তারা আরও বলেন দুলালী একজন নিরিহ ও অসহায় মহিলা ছিলেন, তার ২টি বাচ্চা। দুলালী খুন হওয়ায় এ বাচ্চা ২টি সম্পূর্ন অসহায় হয়ে পড়েছে।

এ অসহায় নারীর খুনীদের দৃুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ড মূলক শাস্তি দাবি করেন। সেই সাথে এলাকাবাসী স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ফতুল্লায় ইউপি সদস্যসহ ৩ ছিনতাইকারী গ্রেফতার

ফতুল্লায় ইউপি সদস্যসহ আন্তঃজেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা ছিনতাইচক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত একটি অটোরিকশা (ঢাকা মেট্রো-থ-১৩-০০৭৪) উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দিনগত গভীর রাতে ফতুল্লার তুষারধারা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলো, পটুয়াখালির বাউফল বিশাল এলাকার মৃত আব্দুল সাত্তার মিয়ার ছেলে ইউপি সদস্য শানু (৪৫), নড়াইল নরাগাতি থানার কালিনগর এলাকার কাজি হারুন অর রশিদের ছেলে কাজি তরিকুল ইসলাম (৩৬) ও মুন্সিগঞ্জ জেলার দক্ষিণ চরমশোয়ারার মঞ্জিল মিয়ার ছেলে মামুন (৩০)।

ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজি এনামুল জানান, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের কৌশলে বোকা বানিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে চক্রটি। পরে মুক্তিপণ দাবি করে চাহিদা অনুযায়ী টাকা আদায় করে অটোরিকশা ফেরত দেওয়া হতো। বিশেষ করে বাউফল ইউপি সদস্য শানু ছিনতাইচক্রের মূলহোতা। তার নেতৃত্বে একটি বড় চক্র রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নয়া সমিকরণ

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন হিসেব। প্রাপ্তি-প্রত্যাশা নিয়েও চলছে নয়া সমিকরণ। দীর্ঘ ১৪ বছর পর জেলা আওয়ামী লীগ আংশিক গঠনের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নড়েচড়ে বসে। যারা এতোদিন পদের বাইরে থেকে দলের সব কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহন করেছে তাদের মধ্যে পদ প্রাপ্তি আকাঙ্খা জেগে উঠেছে। আবার অনেকে প্রত্যাশিত পদ পেতেও লবিং-তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। শঙ্কিত রয়েছে পদ আকড়ে থাকা সুবিধাবাদী নেতারাও। এতোদিন পর দল পূর্নগঠন শুরু হওয়ায় ওইসব সুবিধাবাদী নেতারা স্বপদে বহাল থাকতে পারবে কিনা এ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতারা চাচ্ছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কর্মীবান্ধব নেতারা নেতৃত্বে ফিরে আসুক। আর সে লক্ষ্য নিয়েই কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে তৃনমূলে শুরু হয়েছে নানামুখী তৎপরতা। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নিস্ক্রীয় নেতাদের সক্রিয় করতে এবং পদের বাইরে থেকে যারা দলের হয়ে রাজপথে সক্রিয় রাজনীতি করেছে তাদের মূল্যায়নের আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর কাজ। এছাড়া নেতাকর্মীদের নতুন করে সংগঠিত করতে একাধিক কর্মসূচির হাতে নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে আগামীকাল অক্টো অফিস এলাকায় অবস্থিত সামসুজ্জোহা ষ্টেডিয়ামে সমাবেশের আয়োজন করেছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের মতে, এই সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের যে কোন সময়ের চেয়ে স্মরনীয় সমাবেশ হবে। আর এই সমাবেশের মধ্যদিয়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ নতুন করে জেগে উঠবে। তবে এই সমাবেশকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নেতাকর্মীরা সমাবেশকে সফল করতে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রস্তুতি সভা অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারাঢয়ণগঞ্জের একাধিক নেতার স্থান পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কেউ গুরুত্বপূর্ন কোন পদে স্থান পায়নি। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা নেমে আসে। আর এই হতাশা কাটানোর জন্য আগামীকালের সমাবেশ গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধা মহল। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কমিটিগুলো দীর্ঘদিন ধরে পূর্নগঠন প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। এর ফলে নেতাকর্মীদেও মধ্যে স্থবিরতা নেমে আসে। জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চ্য ফিরে আসে। নেতাকর্মীরা নতুন করে চাঙ্গা হয়ে ওঠেছে। জেলা আওয়ামী লীগের পাশাপাশি অঙ্গ সংগঠনগুলোতে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করছে জেলা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ইতোমধ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও সক্রিয় নেতাদেও গুরুত্ব দেয়া হবে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলও একই ধরনের কথা বলেছেন। দলের তৃনমূলের কর্মীদেও মতে, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার কথা সত্যি হলে অনেক পরে হলেও দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা সঠিক মূল্যায়ন পাবে। কর্মীদের মতে, নেতাদের এমন বক্তব্য যেন গতানুগথিক ধারার না হয় সে ব্যাপারে নেতাদের আরো সর্তক হতে হবে। দলের অপর একটি সূত্রে জানাগেছে, জেলা আওয়ামী লীগের খসড়া কমিটি প্রস্তুত করে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটিগুলোও নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অঙ্গ সংগঠগুলোতেও নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করছে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তবে আওয়ামী লীগের এই প্রাণচাঞ্চল্য ধরে রাখতে কর্মীবান্ধব নেতাদের সঠিক মূল্যায়নের বিকল্প কিছু নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধা মহল।